এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরমানু চুক্তি

    Ishan
    অন্যান্য | ১১ আগস্ট ২০০৭ | ৫০৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 71.132.147.103 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:০৯393004
  • কিন্তু সারথি,
    চুক্তি রদ-ই বা কেন?
    ভারতের মতন দেশের আমেরিকার তাবেদারি করবার কোনো প্রয়োজন নেই সেটা একদম ঠিক, কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করা যাবে না, সেটাও তো এক্সট্রিম গাঁটামো।
    একদিকে বিশ্বায়নের জয়গান গাইব, অথচ সেই বিশ্বের মধ্যে আমেরিকাকে রাখব না, সে তো ভাই মুশকিল - অন্তত এই ২০০৮ সালে।
  • nyara | 64.105.168.210 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:১৩393005
  • আলোচনা? কোথায় করছেন মশাই? একধারসে লেবেল লাগিয়ে গালাগাল করছেন। আপনার ঢিল ছুঁড়ছেন আপনি ছুঁড়ুন, পাটকেল খেলে দেখলে ঠোঁট উল্টে অভিমান করেন কেন?

    তাহলে বামদের হাতে ইমপেন্ডিং এনার্জি ক্রাইসিসের কোন সমাধান নেই? সুতরাং আশু কর্তব্য মালটাকে ঘেঁটে দেওয়া। বেড়ে পলিসি।
  • Kyle | 24.24.228.247 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:১৬393006
  • আমার মতন একটা গোদা লোকের এই সব সুক্ষ্ম ব্যপারে বড্ড সমস্যি হয়।
    চুক্তিতে কি এমন হাতির মাথা ঘোড়ার ডিম আছে যে রদ না হলে দেশটা আমেরিকার কাছে বিকিয়ে যাবে? চুক্তির ডিটেলটা কেউ সহজ বাংলায় বুঝিয়ে দেবে - গাম্বাট গুলোর তবে এট্টু সুবিধে হয়
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:৩৩393007
  • এই থ্রেডটার উদ্দেশ্য তাই ছিলো (কোনোকালে)। কিন্তু কেউ ল্যাখে নাই। কঠিন রেফারেন্স না দিয়ে গোদা বাংলায় পয়েন্ট বাই পয়েন্ট কেউ লেখো - কে, কি, কেন, কবে, কোথায় - খায় না মাথায় দেয়। তাপ্পর সেটা নিয়ে লড়লেই হবে।
  • kallol | 220.226.209.5 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:৩৯393008
  • কেউ কি হাইড অ্যাক্ট আর ১২৩ প্যাক্ট নিয়ে কিছু লিখবে?
    এগুলো কি ঐ পরমানু চুক্তির অংশ? এতে কি আছে?

  • pinaki | 131.151.54.206 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:৪৫393009
  • পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা মধ্য, অতি, স্বঘোষিত - সব বাম মহল থেকেই করা হয়েছে বলে জানি। অতি বামদের মুখপত্রগুলিতে এ নিয়ে বিস্তর লেখাপত্র পাওয়া যাবে। কিন্তু এটা ঠিক যে হরিপুরে পরমাণূ বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ার কথা হলে যেভাবে মিটিং মিছিল হয় - এক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। এমনকি সিপিয়েম - যারা কিনা প্রতি মুহুর্তেই এই ইস্যুতে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে - তারাও এটা নিয়ে খুব বেশি মিটিং মিছিল করার জায়গায় নেই। তার একটা কারণ আছে। হরিপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে তার সাথে দূষণ, উচ্ছেদ, মৎসজীবীদের জীবিকাহানি - এত প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত, যে একটা বড় অংশের মানুষ শুধুমাত্র নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদেই আন্দোলনে নামছেন। ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষেও এই মানুষদের চাপে আন্দোলনে নামা ছাড়া উপায় থাকছে না। সিঙ্গুরেও যেটা আমরা দেখেছি। সিঙ্গুরে মমতার সংগঠন হাওয়া হয়ে যেত যদি গ্রাসরুটের চাপকে পাত্তা না দিত। জীবনে কেউ কোনোদিন ভেবেছে মমতা ২৬ দিন অনশন করবে আন্দোলনের খাতিরে? কিন্তু গ্রাসরুটের চাপ এমনই জিনিস যে ওকে দিয়ে সেটাও করিয়ে নিল। তাই হরিপুর নিয়ে না চাইলেও মেইনস্ট্রীম রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলনে নামতে হবে। তখনই সেটা খবর হবে। আর সেই সুবাদে কচি কাঁচা অতিবামরাও কিছু প্রচার পেয়ে যাবেন। (আর তারই সুবাদে সারথী বাবুরা সেটা নিয়ে গুচতে সারকাজ্‌ম রচাবার সুযোগও পাবেন)। প্রসঙ্গত: আজ অব্দি শুধুমাত্র অতি বামেদের নিজেদের উদ্যোগে হওয়া কটি আন্দোলন প্রচারের আলো পেয়েছে? সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, হরিপুর - কোনোটিই পেতো না - যদি না মেইনস্ট্রীম দলগুলোর ভূমিকা থাকতো। অতিবামরা প্রতিটি রাজনৈতিক ইস্যুতেই তাঁদের সামর্থ অনুযায়ী প্রচার করে থাকেন। কিন্তু তাঁরা আণুবীক্ষণিক। সিপিয়েমের সক্রিয় কর্মী ছাড়া কেবল আজকাল পড়া সমর্থকদের কাছে সেই খবর কোনোকালেই থাকতো না। আজও নেই।

    এদিকে পরমাণু চুক্তির বিষয়টি দেখুন। এখানে প্রত্যক্ষ ক্ষতি কিছু দেখানো যাবে না। কোনো মানুষের কি এক্ষুনি এর ফলে কোনো বাস্তু, জমি বা জীবিকাচ্যুতি হচ্ছে? না। এখুনি কোনো দৃশ্যমান দূষণ আছে? না। যা ক্ষতি - সেটা মূলত: সার্বভৌমঙ্কÄ সংক্রান্ত এবং বলা বাহুল্য সেটা অত্যন্ত গোল গোল এবং abstract ব্যাপার। যার বিরুদ্ধেও হাজারটা যুক্তি আছে। ফলে এটা নিয়ে মিছিল করে ফেলা এত সহজ কাজ নয়। সিপিয়েমের রেজিমেন্টেড সংগঠন - তাও তারাও পারছে না। কারণ বড় মিছিল করতে হলে মিছিলে যে লোকটা আসবে তার কাছেও যুক্তিটা একটা দূর অব্দি স্পষ্ট হতে হয়। খুব কাঁচা ভাবে হলেও। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এই মুহূর্তে সেটা মোটেও স্পষ্ট নয়। অনেক প্রগতিশীল মানুষের মনেও প্রচুর কনফিউশন। তাই এই চুক্তির বিপক্ষে যুক্তিগুলো প্রথমত: বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের কাছে এবং তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোটা এই মুহুর্তের কাজ। সেই স্তরটা পেরোনো গেলে - মানে একটা বড় অংশের মানুষের কাছে এর বিপক্ষের যুক্তিগুলো গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলে - তখন প্রতিরোধের আন্দোলন করা যায়। সিপিয়েম নেতৃঙ্কÄও খুবই ভালো বোঝেন এই ডায়নামিক্সটা। তাই তাঁরাও লেখালিখি আর সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি ছাড়া অন্য ফর্মের অন্দোলনে যেতে পারছেন না। অতিবামরা যে সেটা আরো-ই পারবেন না তাঁদের ক্ষুদ্র সাংগঠনিক শক্তির জন্যে - সেটা তো বলাই বাহুল্য।

    অবশ্য সারকাজমের খাতিরে এতটা গভীরে না ঢুকলেও চলে। :-))
  • pi | 69.251.184.3 | ২৫ জুন ২০০৮ ১২:৪৬393010
  • http://tinyurl.com/46l6cb

    এখানে তো বলছে, জলবিদ্যুত বিকল্প শক্তি হিসেবে ভালো সম্ভাবনা রাখে।
    নিউক্লিয়ার ও নন-নিউক্লিয়ার পাওয়ারের একটা ভালো কস্ট-বেনেফিট অ্যানালিসিস ও আছে এখানে।

    আর, উনি একা না, আরো বহু বিজ্ঞানীরাও বলছেন :
    "Disputing the government's claim about the energy security aspect if the deal is signed, the scientists say it has been quantitatively shown that the additional power will come at a much higher cost per unit of electricity compared to the conventional coal or hydro power, which India can generate without any foreign imports. "

    http://tinyurl.com/46ebn2

    বসে বসে আর এর বঙ্গানুবাদ করতে পারলাম না :)
  • pi | 69.251.184.3 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:০০393011
  • পিনাকীদা, প্রত্যক্ষ ক্ষতি নেই ? পরিবেশের ?
  • pinaki | 131.151.54.206 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:০৩393012
  • আমি নিজে পাওয়ার আর এনার্জি রিলেটেড বিষয় নিয়ে রিসার্চ করি। UK তে দেখেছি ওদের সরকার renewable energy নিয়ে হোয়াইট পেপার বের করেছে। ২০২০ এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা সেট করা হয়েছে wind power কে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০% এ নিয়ে যাওয়া হবে। আমেরিকাতে নিউক্লিয়ার নিয়ে যা মনোযোগ, ইউরোপে ততোটা নয়। ইউরোপ অনেক বেশী অন্যান্য রিনিউএবল এনার্জির প্রতি মনোযোগী। ভারতে ১/৩ অংশ কোস্টাল এরীয়া। wind power এর পোটেনশিয়াল প্রচুর। আর আমি নিজেই যেমন রিসার্চ করি wind power কে গ্রিড এর সাথে জুড়লে যা সমস্যা হয় - তা নিয়ে। এই নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ কাজ সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। কিন্তু প্রথম যেটা দরকার সেটা হল - একটা সুসংহত পলিসি। সরকারের মনোযোগ। সেসব কিছু না করে অমেরিকার পয়ে মাথা কুটলে কোনোকালেই কোনো alternative বেরোবে না। ইন্ডিপেন্ডেন্স তো দূর কা বাত।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:০৯393014
  • আমি বলতে চাইলাম দূষণটা একটা পরমাণু চুল্লী তৈরীর সময় সেখানকার মানুষের নজরে আনা সহজ। একটা চুক্তির সাথে সেটাকে রিলেট করানো এতো সহজ নয়।

    ভারতে তো অনেক জায়গাতে পরমাণু চুল্লী অলরেডী আছে। ভয়াবহ দূষণও আছে। সেখানকার মানুষ ছাড়া অন্যরা কতটুকু ভাবে তা নিয়ে?
  • lcm | 71.132.147.103 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:১৪393015
  • -- চুক্তির মোক্ষম ফিচারগুলি (পাতি বাংলায়) --
    * ইউ এস তাদের সিভিলিয়ান নিউক্লিয়ার টেকনোলজি শেয়ার করবে ভারতের সঙ্গে।
    * ইউ এস ভারতকে নিউক্লিয়ার ফুয়েল দেবে। ঠিক দেবে না, র‌্যাদার বিক্রী করবে।
    * ভারতে ঠিক কি ধরনের নিউক্লিয়ার কাজকর্ম হচ্ছে, তা যখন খুশী এসে দেখতে পারবে ইউ এস।

    -- পক্ষে --
    * ভারতের ৩% ইলেকট্রিসিটি এখন আসে নিউক্লিয়ার পাওয়ার থেকে। ২০৫০ সালে, নিউক্লিয়ার শক্তি থেকে ২৫% বিদ্যুৎ তৈরী করা যাবে
    * ভারতে কয়লা, ইউরেনিয়াম-এর লিমিটেড রিসার্ভ, এর ওপর নির্ভরতা কমবে
    * বিশ্বের থোরিয়াম রিজার্ভের ২৫% আছে ভারতে। অদূর ভবিষ্যতে এই থোরিয়াম বস্তুটি দিয়ে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বানানো যাবে, যার সব কারিগরি ইউ এস-এর জানা আছে।

    --- বিপক্ষে ----
    - ভারতের পরমানু অস্ত্র নির্মানে আর কোনো রকম প্রাইভেসি বলে বস্তুটি থাকবে না। দেশের প্রতিরক্ষার গোপনীয়তা এবং সাথে সাথে সার্বভৌমত্ব বিসর্জন... ইত্যাদি।
    - ইরান-আফগান-ভারত গ্যাস পাইপলাইন তৈরীতে ইউ এস বাগড়া দিতে পারে
    - ...

  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:১৮393016
  • ইংল্যাণ্ডে ব্লেয়ার গভমেন্ট প্রচুর গালি খেয়েছিলো ফের নিউক্লিয়ার পাওয়ার নিয়ে কথা শুরু করে। উইন্ড ফার্ম আর ওয়েভ ফার্ম - এই দুটো নিয়ে কাজ হচ্ছে দেখেছি। কোনো একটা এনার্জি কোং - পাওয়ারজেন সম্ভবত: - দাবি করে যে ওদের অধিকাংশটাই উইন্ড ফার্ম থেকে।
  • sarathi | 59.160.220.131 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:৩২393017
  • বঙ্গানুবাদ করার ধৈর্য নেই , তাই http://tinyurl.com/4dz2wn

    এখানে দেখুন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় US will have the right to seek return of nuclear fuel and technology but it will compensate for the costs incurred as a consequence of such removal.

    আবার চাকরির মত নোটিস পিরিয়ডও আছে ;) এক বছরের

    সবচেয়ে আপত্তিকর সবকটা পরমাণুকেন্দ্রের দরজা সর্বদা আমেরিকার জন্য হাট করে খুলে রাখা , মার্কিন পরমাণুকেন্দ্রে ভারতীয় প্রতিনিধির নো নো নো এϾট্র!
  • pi | 69.251.184.3 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৩:৪৩393018
  • পিনাকীদা, সেতো যাদের 'বাস্তু, জমি, জীবিকা চ্যুতি' হচ্ছে , তারা ছাড়া অন্যরা কতটুকু ভাবে তা নিয়ে ?
    তাই বলে কি সেগুলি 'মিছিলের' ইস্যু হয়ে উঠছে না?

    আমি বলতে চাইলাম , আপত্তিটা শুধু সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত abstract গোল গোল ব্যাপার নিয়েই তো নয়।
    পরমাণু চুক্তি হলে চুল্লীও হবে, দূষণ ও অবধারিত ভাবে হবে।
    এই ইস্যুগুলো নিয়ে ও তার সাথে বিকল্প শক্তির জন্য সুসংহত পলিসি দাবী ... এই স্থূল বক্তব্যগুলোকে সার্বভৌমত্বের সূক্ষ্ম প্রশ্নের পাশাপাশি রেখে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা হলে জনগণের কাছে আরো বেশি করে পৌঁছনো যেত না কি ?
    সে কম রেডদের কথাই হোক কি অতিবাম ।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৪:২৫393019
  • পরমাণু চুক্তি না হলেও চুল্লী হবে। এই চুক্তিটার বিরোধিতার মূল ফোকাস সার্বভৌমঙ্কÄ। পরমাণু চুল্লী নিয়ে বা অল্টারনেটিভ এনার্জি পলিসি-র যে দাবী - সেটা নিয়ে অবশ্যই আন্দোলনের স্কোপ আছে। সেটা এই চুক্তি নিরপেক্ষভাবেই।
  • stoic | 160.103.2.224 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৪:৩৯393020
  • সার্বভৌমত্য ইত্যাদির ব্যাপারে বলার কিছু নাই, তবে দূষণ নিয়ে অল্প দু কথা বলার আছে।
    আমি ফ্রান্সে থাকি, এই দেশের প্রায় ৮০% এনার্জি আসে নিউক্লিয়ার পাওয়ার থেকে। (২০০৬ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৭৮%)। ইন ফ্যাক্ট নিউক্লিয়ার পাওয়ার এর ডোমেইনে তিনজন বড়দা আছে পৃথিবীতে, ইউএস, ফ্রান্স আর জাপান। এর মধ্যে ফ্রান্সের পার্সেন্টেজ প্রোডাকশন সবচেয়ে বেশী। আমি নিজে পেট চালাই রেডিওকেমিস্ট্রি রিসার্চ করে, তাই বলছি এনভায়রন্টমেন্টাল পলিউশান, নিউক্লিয়ার পাওয়ারে খুবই কম, কনভেনশানাল এনার্জি প্রোডাকশনের মধ্যে। এটা ওয়ান অফ দ্য ক্লিনেস্ট পাওয়ার, ফসিল ফুয়েলের কম্প্যারিসনে। কোনো সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, বা মার্কারি এমিশন হয় না। নিউক্লিয়ার পাওয়ারের মেইন চ্যালেন্‌জ হল স্পেন্ট ফুয়েলের সেফ স্টোরেজ আর ডিসপোসাল। এই নিয়ে প্রচুর রিসার্চ চলছে, আরো চলবে। বেসিক্যালি রেডিওয়্যাক্টিভ ওয়েস্ট দু রকমের, হাই-লেভেল আর লো-লেভেল। হাই-লেভেল টাই বিপদজনক, তাই ওটা ঠিকঠাক স্টোর করা দরকার। তবে এই হাই-লেভেল এর সুবিধে হল, এটা ডিকেই করে, যার ফলে বছর চল্লিশ বাদে এর অ্যাকটিভিটি প্রায় ৯৯% কমে যায়। লো-লেভেল ওয়েস্ট এর ট্রিটমেন্ট অনেক সহজ, আর এর অ্যাক্টিভিটি ন্যাচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশানের চেয়ে বেশি নয়। তাই দুষণের ভয় অনেকখানি ই অপ্রাসঙ্গিক। আর ফোর্থ জেনারেশান রিয়্যাক্টর, যা নিয়ে রিসার্চ চলছে, একবার কমার্শিয়ালি চালু হলে থোরিয়াম ব্যবহার করা যাবে, দূষণের দিক থেকে আরো বেটার অপশন।
    তবে হ্যাঁ, কোনো ভুলচুক করার চান্স কম এই নিউক্লিয়ার এনার্জিতে। ছড়িয়ে লাট করা ইস নট অ্যান অপশন। :-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৪:৪৭393021
  • এই নিয়ে রিসার্চে কারা সবচেয়ে এগিয়ে? কাদের হাতে টেকনিক্যাল নো-হাউ বেশি? আম্রিকা না বাকি দুটো? যদি বাকিরা হয় তাইলে ভারতের তাদের সাথে না যাওয়ার কি কারণ?
  • stoic | 160.103.2.224 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৪:৫৮393022
  • আম্রিগার কথা জানিনা, হয়ত bozo বলতে পারবেন। তবে ফ্রান্সের টেকনিক্যাল নো-হাউ খুবই হাই। আমাদের প্রচুর জাপানী ক্লায়েন্ট আসে JAEA থেকে, তাই ওরাও খুব খাটছে এগোনোর জন্য।
    একবার যেন পড়েছিলাম ভারত ফ্রান্সের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছে নিউক্লিয়ার টেকনোলজির ব্যাপারে। তবে আমার ভুল ও হতে পারে। এটা আমারও জিজ্ঞাস্য। ফ্রান্সের সঙ্গে ডিল করে না কেন।
    বাইল্যাটেরাল অগ্রিমেন্টের কিছু ব্যাপার থাকতে পারে। হয়ত ফ্রান্স বলেছে আগে নন-প্রোলিফারেশান ট্রিটি সাইন করো, তাপ্পর অন্য কথা।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৫:১৭393023
  • TOI থেকে:

    The UPA-Left committee meeting will discuss whether or not the government should go ahead to sign the India-specific safeguards agreement with IAEA as part of implementation of nuclear deal with US.

    IAEA-এর ব্যপারটা কী?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৫:২৮393025
  • ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন - আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা মোটামুটি মনিটরিং করে বেড়ায়। প্রথম প্রথম এটা নিয়ে যখন তর্ক শুরু হল তখন শুনেছিলাম একটা ক্লজ আছে যা দিয়ে এদের লোক যে কোন সময়ে ভারতের যে কোন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে কি হচ্ছে না হচ্ছে দেখতে আসতে পারে। সেখানে সিভিল আর মিলিটারি ইনস্টলেশন নিয়েও একটা বিতর্ক ছিলো।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৫:৪১393026
  • কিন্তু স্টোইকদা, ফ্রান্স এর নিউক্লিয়ার পাওয়ার এর হ্যাজার্ড নিয়ে গ্রীনপিস এর গুচ্ছ গুচ্ছ ডকুমেন্টও আছে। আমার কাছেই একটা ছিল। এখুনি খুঁজে পাচ্ছি না।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৬:১৪393027
  • অরিজিত, সেইটুকু জানি। ঐ আর্টিকলটায় India-specific safeguard agreement যেটা লিখেছে, সেইটা কী?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৬:২৭393029
  • কি জানি।
  • stoic | 160.103.2.224 | ২৫ জুন ২০০৮ ১৬:২৭393028
  • পিনাকি,

    ভালো (ডেটাসমেত) কিছু লিংক থাকলে দিও। dipban অ্যাট gmail ডট কম।

    কিছু হ্যাজার্ড এর কথা অস্বীকার করছি না। কিন্তু তুলনামুলক ভাবে অন্যান্য কনভেনশানাল পাওয়ার জেনারেশানের থেকে আবহাওয়ার দূষণ কম সেটা হাইলাইট করতে চেয়েছিলাম।
    আমি নিজে যা পড়েছি (খুবই কম), তাতে নিউক্লিয়ার পাওয়ারের কাছাকছি থাকা জনসংখ্যায় নাকি ক্যান্সারের কেস বেড়ে গেছে, এইসব ধরণের স্টাডি দেখেছি। মুস্কিল হল এইসব স্টাডিগুলো বেশির ভাগই স্ট্যাটিসটিক্সাল, তাই আমার পক্ষে সায়ান্টিফিক্যালি ভেরিফাই করা একটু চাপ হয়ে যায়। :-)
    যেমন কোথাও নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট হবার আগে প্রতি কুড়িটা লোকে একজনের ক্যান্সার হত, এখন প্রতি কুড়িটা লোকে দুজনের হয়। প্রবলেম টা হল নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট না তৈরি হলেও এখন দুজনের ক্যান্সার হত কিনা সেটা ভেরিফাই করা যাবে না। তাই এইসব স্টাডির ফর আর এগেইনস্ট, দু তরফেই প্রচুর চেঁচামেচি আছে।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ২৬ জুন ২০০৮ ০২:২২393031
  • পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে এল সি এম মোটামুটি একটা সংক্ষিপ্ত লিস্ট দিয়েছে। (25 June 1:14 PM)
    এর মধ্যে কিন্তু একটা বড় ভুল আছে। চুক্তি আমি যেটুকু বুঝেছি তা হল,
    *** ভারতে কি ধরণের নিউক্লিয়ার কাজ হচ্ছে তা যখন খুশী দেখতে পারবে ইউ এস *** এই কথাটা ভুল।
    দেখতে পারবে IAEA , ইউ এস নয়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হল, IAEA শুধু সেই সব ফেসিলিটি, যন্ত্র, কম্পোনেন্ট ইত্যাদি দেখতে পারবে যেখানে ইউ এস সেগুলো সাপ্লাই করেছে। এটার উদ্দেশ্য হল আমেরিকা যদি একটা রিয়্যাক্টর বেচে বিদ্যুৎ তৈরীর জন্য, তারা দেখতে চায় যে ভারতে সেই রিয়্যাক্টর বা তার পার্ট নিউক্লিয়ার বম্ব তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছেনা। আমার ইন্টারপ্রিটেশন হল, ভারত যদি সম্পূর্ণ নিজের টেকনোলজিতে অন্য লোকেশনে বম্ব বানায়, IAEA তাতে নাক গলাবেনা। এই কারণে আমেরিকা, ইউরোপে অনেকে 123 agreement এর বিরুদ্ধে।

    আমার মত : এতে ভারতে নিউক্লিয়ার টেকনোলোজির এক্সপার্টিজ বাড়বে। কিছু ভারতীয় পরমাণু গবেষক এই ট্রিটির বিরুদ্ধে গেছেন। কারণ কেউই নিজের চাকরী হারাতে চায়না। ভারতের আরো বোমার দরকার নেই। ইন ফ্যাক্ট দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে ভারতে যা ইউরেনিয়াম তৈরী করেছে তার বেশীর ভাগ খরচ করেছে সিভিলিয়ান কাজে। আমার মনে হয়, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট আগামী কিছুদিনের জন্য কাজে দেবে। কিন্তু , অন দা লং রান, ভারতকেও অন্য এনার্জি সোর্স খুঁজতে হবে। ভারতে এই মুহুর্তে বোমা বানানোর চেয়ে অনেক বেশী দরকারী বিদ্যুৎএর।

  • shrabani | 124.30.233.101 | ২৬ জুন ২০০৮ ১৫:০৮393032
  • IAEA - International Atomic Energy agency

    ভারতে কিন্তু জল বিদ্যুতে ভাল কাজ হচ্ছে। এই বছরে 1723 MW capacity addition হয়েছে। এছাড়া XIth প্ল্যানে আরো 16553 MW(21%) capacity additionএর প্রস্তাব আছে।
    নর্থ ইস্ট স্টেট্‌স, উত্তরাখন্ড, হিমাচল এ বেশ কিছু নতুন হাইড্রো প্ল্যান্ট আসছে, কাজ চলছে।

    এবছর জানুয়ারী অবধি হাইড্রো ক্যাপাসিটী হল 35208.76 MW (25%)
    সে জায়গায় নিউক্লিয়ার হল 4120 MW
  • shrabani | 124.30.233.101 | ২৬ জুন ২০০৮ ১৫:১৯393033
  • সরকার নিউক্লিয়ার নিয়ে যত উৎসাহী তার কিছুটা পরিমাণ উৎসাহও যদি গ্যাস সমস্যা সমাধানের দিকে দিত!

    আমাদের দেশের ভাল ভাল গ্যাস প্ল্যান্টগুলো দিনের পর দিন গ্যাসের অভাবে ঠিকমত চলেনা,আন্ডার ক্যাপাসিটী জেনারেট করতে হয়। অথচ maintenance খরচ কিছু কম নেই।

    একটা নতুন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট ইনস্টল করতেই যা খরচ!
  • sarathi | 59.160.220.131 | ২৬ জুন ২০০৮ ১৬:০২393034
  • বিদ্যুৎ তো দরকার , পরমাণু শক্তির ভাল খারাপ নিয়েও লড়াই হোক

    কিন্তু অন্য পরমাণু শক্তিধর দেশের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা মার্কিন চুক্তির পক্ষে সওয়াল করলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দিহান না হয়ে উপায় নেই
  • shyamal | 64.47.121.98 | ২৬ জুন ২০০৮ ১৯:১২393036
  • আমি বেশ কিছুদিন আগে কোথাও পড়েছিলাম যে এক অরুনাচল প্রদেশেই এতো নদী আছে যে সেখানে পুরো পোটেনশিয়ালে যদি জলবিদ্যুত তৈরী করা হয়, দেশের বিদ্যুত সমস্যা থাকবেনা। কেউ জানেন ডিটেল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন