এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তিব্বত নিয়ে

    Arijit
    অন্যান্য | ২০ মার্চ ২০০৮ | ৭৭৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 70.55.12.174 | ২১ মার্চ ২০০৮ ১৯:০৩397700
  • রঞ্জনদার আর একটা কথা ইন্টারেস্টিং: দেশে থাকলে মহারাষ্ট্রের লোকেরা অন্যান্য রাজ্যের লোকেদের খেদিয়ে দিতে পারবে না, কিন্তু আলাদা দেশ বানিয়ে ফেললে খেদিয়ে দেওয়ার অধিকার থাকবে? ইতিহাসের সাক্ষ্য যদি আন্দোলনের লেজিটিমেসির নির্ণায়ক না হয়, তাহলে হিন্দুরাষ্ট্রের আন্দোলনের মধ্যে কোনো সমস্যাই নেই। কারণ, মুসলমানেরা এই দেশ থাকত কি না থাকত, সেটা ধর্তব্যের মধ্যেই আসছে না- হিন্দুরা চাইছে একটা আলাদা রাষ্ট্র যেখানে মুসলমানেরা থাকবে না- সমস্যাটা কোথায়? চাইছে কি? ঈশেনের কথামতো, "এটা, এই পৃথিবীর কোনো ক্ষেত্রেই জানার উপায় নেই।" তাহলে চোদ্দোর চার উঠে গিয়ে হাতে রইল পেনসিল- মুসলমানদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, গণহত্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে যদি মুসলমানদের খেদিয়ে দেওয়া যায়?
  • arjo | 168.26.215.54 | ২১ মার্চ ২০০৮ ১৯:২৭397701
  • রঞ্জন দা কি হবে বা হতে চলেছে তার ওপর বেস করে নিজের অবস্থান নেওয়া যায় না। একটা হচ্ছে ভবিতব্য আর একটা হচ্ছে আমার মনে হয় কোনটা ঠিক। শিবসেনার যদি অধিকার থাকে মহরাষ্ট্র মারাঠীদের বলার তবে আমারও অধিকার আছে সেই অবস্থানের বিরোধিতা করার। গুজরাটে অধিকাংশ হিন্দু মনে করেছিল মুসলিম মারা দরকার তাই মেরেছিল। সেটা হয়েছে তা বলে কি আমাকে সাপোর্ট করতে হবে? তিব্বতেও কি হবে তা আমার আপনার কথা শুনে কেউ করবে না। আমরা তো নিমিত্ত মাত্র সবই তাঁর ইচ্ছে। কিন্তুক তা বলে কি স্টান্স থাকবে না।

    কথা হল স্টান্সটা কি? পরিষ্কার নয়। কারণ কিছুই প্রায় জানি না। :-)

    এই এদিক ওদিক থেকে পাওয়া কয়েকটি টুকরো তথ্য:-

    ফ্রি টিবেট মুভমেন্টের পক্ষে:-

    সাতশ বছর আগে মোঙ্গলিয়ান ডাইনেস্টির আগে টিবেট ছিল স্বাধীন রাষ্ট্র। এমনকি মোঙ্গলিয়ান এবং ক্যুইঙ্গ ডাইনেস্টির সময়ও টিবেট ছিল মোটামুটি ভাবে সেল্ফ গর্ভনিং। তাই চীনের এই রুল করাকে সে¾ট্রাল টিবেটিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CTA) কলোনিয়াল ইম্পিরিয়ালিসম হিসেবেই দেখে থাকে।

    ফ্রি টিবেট মুভমেন্টের বিপক্ষে:-

    অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ বলে সেই সাতশ বছর আগের থেকে টিবেট চীনের অংশ। ক্যুইং, মিং, রিপাব্লিক অফ চায়না এবং পিআরসি সমস্ত সময়েই তিব্বত ছিল চীনের অংশ। অন্যকোনো রাষ্ট্র তিব্বত কে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে নি।

    এর মধ্যে অন্য কিছু তথ্যের চাপান উতর আছে। CTA বলে সেই ১৯৫০ থেকে আজ অবধি প্রায় ১.২ মিলিয়ন টিবেটিয়ান হিংসা বা অন্য কোনো কারণে মারা গেছে যা PRC অফকোর্স ডিনাই করে। আরও এরকম চাপান উতর প্রচুর আছে।

    যেহেতু লড়াইএর শুরুটাই ইতিহাস নিয়ে তাই কোনপক্ষে যাব তা ভাবতে গেলে সঠিক ইতিহাস জেনে নিতে হবেই হবে।

    দলাই লামার অবস্থান:-

    সেই ১৯৫০ থেকে উনি বলে আসছেন মধ্যপন্থার কথা ওনার অবস্থান হচ্ছে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দরকার নেই, ফরেন পলিসি ও দরকার নেই শুধু তিব্বতের স্বকীয়তা বজায় থাকুক। আর সব ব্যাপারে কথা বলবে তিব্বতের লোকেরা। সেটা যেহেতু একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য তাই একটু ভয় লাগে।
  • ranjan roy | 122.168.70.155 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২০:০২397702
  • r এবং arjo,
    হিন্দুরাষ্ট্র বা মহারাষ্ট্রীয়ান রাষ্ট্রের ফ্যালাসি।
    -------------------------------
    উঁহু:, কথাটা ঘেঁটে গেছে। আমরা কেউ কি চাইবো সেটাতো আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ভ্যালু সিস্টেমের ব্যাপার। এটা একটা পক্ষ। আরেকটা পক্ষ কনসার্নড জনগোষ্ঠী কি চাইছে। সেটা আমার অপছন্দের হতে পারে কিন্তু তাদের ব্যাপারে সেটাই লেজিটিমেট। যেমন আমি চাই গুজরাতের রাজনীতির মঞ্চ থেকে লরেন মুদির মত দু:স্বপ্নেরা মুছে যাক।
    তার জন্য আমি প্রচার আন্দোলনে নামতেও রাজি। কিন্তু যতক্ষণ সেটা গুজরাতের মেজরিটি না চাইছে, এবং ওকে গদি থেকে টেনে না নামাচ্ছে ততক্ষণ ঐ গুজরাতের লেজিটিমেট সরকার।
    মহারাষ্ট্রের জনতা , বা বাংলাদেশের জনতা যদি আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে এবং সংবিধান বানায় যে ওদের রাষ্ট্রে ওদের নিজস্ব কম্যুনিটির লোকজন ছাড়া অন্যেরা সেকন্ড ক্লাস সিটীজেন, তাহলে সেটা ওদের আভ্যন্তরীন ব্যাপার হয়ে যাবে, আমরা পছন্দ না করি অন্যদেশে তাকা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই। যেমন নেপাল যতদিন জনতা বদল চায়নি ততদিন ওটা হিন্দুরাষ্ট্র ছিল, পাকিস্তান ( বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম কি?)মুসলিম রাষ্ট্র আছে। আমরা কি ওদের লেজিটিমেট নয় বলতে পারি? পাকিস্তান সরকার যদি আমায় কন্সিস্টেন্সির জন্যে পুরস্কার দিতে ডাকে তবে কি যাবো না? হ্যাঁ, যদি মোদি ঐ পুরস্কার দিতে ডাকে তবে আমি মঞ্চে উঠে মোদির "" হাতে রক্ত লেগে আছে'' বলে হাত মেলাতে অস্বীকার করবো এমন একটা ব্যক্তিগত ইচ্ছে আছে।
    ঐ শাবানা আজমি সফদর হাসমি মারা গেলে যেমন করেছিলেন আর কি!:)))))))।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২০:২৮397703
  • কালকে টাইম পাইনি। কিন্তু রঞ্জনদাই মোটামুটি আমার কথাগুলান লিখে দিয়েছেন।

    বাংলা কথা হচ্ছে, কি হল, কিভাবে হল, সেটা নির্ঘাত ইতিহাস পড়েই বুঝতে হবে। কিন্তু লেজিটিমেসি ঐভাবে নির্ধারিত হয়না। এমনকি আন্দোলনের ডায়নামিক্সও ইতিহাসের ছকে সেভাবে বাঁধা থাকেনা। বেশি দূরে যাবার দরকার নেই, হাতের কাছে মাওবাদী আন্দোলনের ইতিহাস আছে। ভারতে মাওবাদী আন্দোলনের রুট খুঁজতে হলে নকশালবাড়ি যেতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের ডায়নামিক্সকে দেখতে হলে নকশালবাড়ি গিয়ে কোনো লাভ নাই। তখন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা গল্প। আলাদা প্রেক্ষাপট। এমনকি লেজিটিমেসির প্রশ্নটাও আলাদা।

    দ্বিতীয় আরেকটা জিনিস খুব ইন্টারেস্টিং, যে, ইতিহাস আন্দোলন বা সামাজিক চেতনার ঊর্ধ্বে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো আখাম্বা অজর-অমর জিনিস না। ইতিহাস মূলত: পক্ষপাতপূর্ণ একটি বস্তু। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ইতিহাস রচনাকে নির্ধারন করে। অ্যাজ ফর এক্সাম্পল, গোর্খাদের যদি গোর্খাল্যান্ডের বাই চাপে, তারা ঠিকই "পৃথক গোর্খা ঐতিহ্য' এর ইতিহাস খুঁজে বার করবে। যেমন করে আমরা খুঁজে বার করেছি অশোক বা আকবরকে। বা বিজেপি করেছে শিবাজীকে। এনারা সক্কলেই এক্সিস্ট করতেন, কিন্তু বিভিন্ন ইতিহাস বইতে এঁদের যে "বিশেষ আলো'তে দেখা হয়, সেটা এই সময়ের সমাজচেতনার প্রতিফলন। এগুলো ইতিহাস নির্মান। বর্তমানে দাঁড়িয়ে ইতিহাস বানানো। ইতিহাস মাত্রেই ঐতিহাসিক উপন্যাস।
  • arjo | 168.26.215.54 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২০:৩৯397704
  • তাইলে তো আর কোনো কথাই নেই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তিব্বত চীনের অংশ এইটাই লেজিটিমেট। আবার যদি কোনোদিন তিব্বত তিব্বত হয় তখন সেটাকে লেজিটিমেট বলে মেনে নেব। লেজিটিমেসির ডেফিনিশন টা কি?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২০:৪১397705
  • এবার অন্য প্রশ্নটা। মহারাষ্ট্র মারাঠাদের জন্য, এই স্লোগানে কোনো দোষ আছে বা নেই। না, এতে কোনো দোষ নেই। কারণ রাজ্যগুলো ভাষাভিত্তিক ভাবে তৈরি করাটাই হল পলিসি। পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গভাষীদের। তামিলনাড়ু তামিলদের ইত্যাদি। ( বেশ কিছু জায়গায় অবশ্য এ নিয়ে কিঞ্চিৎ জটিলতা আছে। যেমন ঝাড়খন্ডে বঙ্গভাষী প্রচুর। বা দার্জিলিং এ গোর্খা। কিন্তু সেই জটিলতাটা বাদ দিচ্ছি এখানে।)

    এবার প্রবলেমটা হল, যদি, ভারতে থেকে কেউ দাবী করেন, যে, মহারাষ্ট্র মারাঠাদের, অতএব, বাঙালিরা সেখানে থাকবেনা। বা থাকলেও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে থাকবে। আমি আজ আমেরিকায় থাকি। সবাই জানে আমেরিকা হল আমেরিকানদের। এবং আমি আমেরিকার নাগরিকও নই। তবুও, আমি বেসিক কিছু রাইটস সেখানে এনজয় করি। পুলিশ, আমেরিকান নই বলে হুজ্জুতি করেনা। কেউ ঘাড় ধরে বার করে দেবার হুমকিও দেয়না। এগুলো আমার বেসিক রাইট, যা নাগরিক না হয়েও আমি পাই। এবং এগুলোর সঙ্গে "আমেরিকা আমেরিকানদের' এর কোনো বিরোধ নেই।

    একই ভাবে মহারাষ্ট্র যদি মারাঠীদের হয়, তো ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু তার পরেও আমার কিছু রাইট প্রাপ্য। আমেরিকার আমি নাগরিক নই, কিন্তু ভারতের আমি নাগরিক। অতএব আরও বেশি রাইট প্রাপ্য। আমি মারাঠি নই, কিন্তু মুম্বাইতে থাকি, সে কারণে আমি মারাঠিদের থেকে একটুও খাটো নই। এটা আমার অধিকার। এবং এই অধিকারের সঙ্গে "মহারাষ্ট্র মারাঠিদের', এই স্লোগানের কোনো বিরোধ নেই।

    তো, এই বেসিক রাইট গুলো মেনে নিলে কোনো সমস্যাই নেই। নইলে আপত্তি আছে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২০:৪৩397706
  • আজ্জ, ইতিহাস দিয়ে লেজিটিমেসি নির্ধারিত হয়না সেই কথাই তো বলছি। ইতিহাস বলছে তিব্বত চিনের অংশ। সাম্প্রতিক অতীতে। বলছে তো বলছে। সেটার সঙ্গে লেজিটিমেসির কোনো সম্পর্ক নেই। আসল কথা হল, জনতা কি চায়। সেইটা দেখতে হবে।
  • arjo | 168.26.215.54 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২১:০১397707
  • ১। তার মানে কন্সিসটেনটলি নয় তুল্যমুল্য বিচার করে দেখব কোনটা সাপোর্ট করব কোনটা নয়। আপত্তি নেই।

    ২। ইতিহাস দিয়ে যেমন লেজিটিমেসি ডিটারমাইন্ড হয় না। তেমনি বাংলাদেশ, বা প্যালেস্তাইনে কি হয়েছিল তাই দিয়ে বোঝা যাবে না তিব্বতে কি হচ্ছে। প্রতিটা ঘটনার নিজস্ব ড্যায়নামিক্স আছে। এই আন্দোলনের উৎস হচ্ছে ঐতিহাসিক ভাবে তিব্বত চীনের অন্তর্গত কিনা। তাই এক্ষেত্রে ইতিহাস ইম্পর্ট্যান্ট।

    ৩। আমার সর্বপ্রথম পোস্টে তাই বলেছি যে দেখতে হবে জনগণ কি চাইছে। সেটা জানার কোনো উপায় নেই। আর কে কি চাইছে সেটাও একটা ভেগ ব্যাপার। অনেকদিন পর্যন্ত্য জানতাম স্বর্গের আর এক নাম রাসিয়া আর সেখানকার জনগণ ও স্বর্গের দেবদূত। এখন জানি তখন যা জানতাম ভুল। বহুদিন অবধি জানাই ছিল না নাৎসি হলোকাস্টের কথা।

    ভাষার নামে, ধর্মের নামে যেখানেই যাই হোক না কেন সেটা সাপোর্ট করতে অসুবিধা। আমরা বাঙলী কেও না, আমরা মারাঠীকেও না, নরেন মোদীকেও না, বিজেপি কেও না।

    তিব্বত বলা যাচ্ছে না। কারণ ঠিক জানা নেই জনগণ কি চায়।
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২১:০৪397708
  • ভাবছিলুম জনগনের চাওয়া কাশ্মীর কি মিজোরামেও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ কিনা।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২১:১৭397710
  • অজ্জোর সঙ্গে এইটায় একমত। তিব্বতের আদ্ধেক খবর আসছে। কি হচ্ছে না হচ্ছে ঈশ্বর জানেন।

    অজদা, আমার কথা বলতে পারি। কাশ্মীর বা মিজোরামের ক্ষেত্রেও আমার একই বক্তব্য।
  • Arpan | 124.125.224.101 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২১:৪৫397711
  • অধিকাংশ লোকে সব সময় একটা সাইড বেছে নিতে পছন্দ করে। লাল বনাম নীল, ছিপিএম বনাম তিনোমুল, হাঁদা বনাম ভোঁদা। টিভিতে আইস হকি দেখালেও (যেইটা আমি কিছু বুঝি না) নিশ্চিত একটা সাইডকে বেছে নেব। নইলে পোষায় না। :-)

    তো, সেই জায়গায় আলোচনাটা হচ্ছে। সেসব ঠিক আছে। সেখানে তিব্বত কী চায় বা র‌্যাদার সেইখানের জনগণ কী চায় সেইটা একটা টপিক। বা নিকট ইতিহাস কী বলে। নিজের স্ট্যান্সটাকে লেজিটিমেসি দেবার জন্য।

    আরেকটা টপিক হাল্কা করে হলেও আছে। তা হল আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন চলছে, তার পদ্ধতি। বা সেই আন্দোলন দমন করার পদ্ধতি। এই দুটো জায়গায় বেসিক হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন হচ্ছে কিনা সেইটা খেয়াল রাখা জরুরি। এই পার্টিকুলার পয়েন্টটাতে লেজিটিমেসি নিয়ে তর্কটা ওঠা উচিত না। তবুও ওঠে। কারণ, এক, সব খবর এসে পৌঁছায় না, পৌঁছলেও পরস্পরবিরোধী খবরাখবর আসে (উদাহরণের দরকার নেই, গত এক বছরে বারবার তা আমরা সবাই দেখেছি)। দ্বিতীয় কারণ, এইটা একটা দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যপার হলে সেখানে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নাক গলানো উচিত কিনা এই কূট প্রশ্ন সামনে এসে যায়। তৃতীয় একটা কারণ আছে, না মানলেও আছে, সেইটা হল আমাদের স্ট্যান্স অনেকসময় কনসিস্টেন্সি বেসড হয় না। যেই কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরেও চীন তার এগেইনস্টে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রয়োগ করে। অথবা খুব হালে মায়নমারের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল সরব হলেও ভারত চুপ করে থাকে।
  • umesh | 62.254.196.200 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২১:৪৮397712
  • মহারাষ্ট এর কেস টা পুরো আলাদা।
    এদের আন্দোলন কখনো আলাদা দেশ এর জন্যে নই বা পুরোপুরি নন-মারাঠী এর বিরুদ্ধে নই।
    এরা কখনো বলে না আম্বানি go back, SR Khan go back, pritish nandi go back
    এদের আন্দোলন পুরোপুরি নিচু লেভেল এর কর্মী নিয়ে।
    UP, Bihar এর মানুষেরা অনেক কম মজুরিতে কাজ করতে রাজি হয়ে মারাঠি দের কাজ কেড়ে নিচ্ছে। অথবা কাজের মজুরি কম করে দিচ্ছে।
    আর সেটা কে মুলধন করে শিবসেনা আন্দোলন করছে।
    মারাঠি দের (বা শিবসেনা) কখনো নন-মারাঠী skilled woker, engineer, doctor দের বিরুদ্ধাচারন করেছে বলে আমি last 10 বছর দেখিনি।

  • ranjan roy | 122.168.73.58 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২২:১১397713
  • অর্পণকে ডিট্টো।
    আর আমার বাকি বক্তব্য যা ইশান বলেছে।
  • r | 70.55.12.174 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২২:৫৭397714
  • তাহলে দাঁড়াল আত্মনিয়ন্ত্রণ সবার উপরে। এ ছাড়া আরও অনেকগুলো জিনিষ আছে, যথা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বহুত্ববাদ- এইসব আত্মনিয়ন্ত্রণের পরে আসে। কিন্তু কেন?

    রঞ্জনদার মতে অন্য রাষ্ট্রে যদি কিছু হয় তা হল "ওদের" ব্যাপার। অর্থাৎ, সবার উপরে জাতিরাষ্ট্র সত্য, তাহার উপর নাই। তাহলে জাতিরাষ্ট্র ও তজ্জনিত জাতীয়তাবাদই শেষ কথা?

    আর যদি না আসে, তাহলে "আত্মনিয়ন্ত্রণের" একটি একক অ্যাজেন্ডা বলে কিছু নেই, এবং "আত্মনিয়ন্ত্রণের" অধিকারের মধ্যে কোনো বেয়ন্ড অল কোনো পবিত্রতাও নেই। তার সাথে অনেক কিছু মিলেমিশে আছে। অতএব, এই মিলেমিশে থাকা বহুরকমের রাজনৈতিক ক্রাইটেরিয়া এবং ইতিহাস দিয়ে ঠিক করতে হয় রাজনৈতিক স্টান্স কি হবে। এইটাই আমার মোদ্দা কথা।

    ঈশেনের মতে, মহারাষ্ট্র মারাঠিদের, কিন্তু আমার কিছু অধিকার চাই। ব্যাপারটা হল- থাকছ তাই খাচ্ছ, না থাকলে কোথায় পেতে? সংবিধানে অধিকার আছে বলে সেই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া অন্যায়। কিন্তু কাল জনগণেশের ডিমান্ডে যদি সেই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তখন প্রতিবাদ করার কোনো মরাল অধিকার থাকবে তো? কারণ, মহারাষ্ট্র তো মারাঠিদের।

    জনগণেশের এই চাওয়াপাওয়ার হিসেবটাও বেজায় গোলমেলে। ঈশেন বলে চাইছে না চাওয়ানো হচ্ছে তা কোনোদিন বোঝা সম্ভব নয়। যদি বোঝা সম্ভব না হয়, তাহলে বুঝব কি করে জনগণ কি চাইছে? :-)
  • r | 70.55.12.174 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:০৮397715
  • ঈশেনের ওয়ান লাইনারের প্রতি একটি স্বাভাবিক টান আছে, যথা ইতিহাস মাত্রই ঐতিহাসিক উপন্যাস। আমার বিশ্বাস এর পিছনে যতটা নিজের লেখাকে আকর্ষণীয় করার তাগিদ আছে ততটা ভেবেচিন্তে দেখা নেই। কারণ ভাবনাচিন্তা করলে দেখা যাবে ইতিহাসের একটা অংশের বিবরণ বিজয়ী ও বিজিতের ইতিহাসে একইভাবে লেখা হয়। অর্থাৎ ১৯৬৭ সালের ইজরায়েল-আরবের ছয়দিনের যুদ্ধে ইজরায়েল জিতেছিল, এবং আরব দেশগুলো হেরেছিল, বা, ১৯৬৭ সালের আগে যে ভূমিখন্ড সিরিয়া বা জর্ডানের কব্জায় ছিল তা এই যুদ্ধের পরে ইজরায়েল অধিকার করে- এই ঘটনাবলী ইজরায়েলের ইতিহাস বই বা প্যালেস্টাইনের ইতিহাস বইতে আলাদাভাবে লেখা হয় না। যেটা আলাদাভবে লেখা হয়- তা হল এই ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা- বিজয়ী ও বিজিত যুদ্ধের ইতিহাসকে আলাদা ভাবে ব্যাখ্যা করে। যারা বিজয়ী ও বিজিতের মধ্যে পড়ে না, তারাও নিজেদের মত করে ব্যাখ্যা করবে- কিন্তু যেটা বদলাবে না সেটা হল ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র কিভাবে পরিবর্তিত হয়।
  • r | 70.55.12.174 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:১৫397716
  • আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্থান-কাল-পাত্রনিরপেক্ষ লেজিটিমেসির থেকে এথনিক ক্লেনজিঙের বৌদ্ধিক লেজিটিমেসি খুঁজে পাওয়ার রাস্তাটা খুব একটা ব্যাঁকাচোরা নয়।
  • Arpan | 124.125.224.101 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:২০397717
  • "বৌদ্ধিক' মানে?

    বুদ্ধিসঞ্জাত? না বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত?
  • nyara | 67.88.241.3 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:২১397719
  • র-বাবুর একটি কথার সঙ্গে একদম একমত। আমার কিছু কিছু শভিনিজম মেনে নিই - যেমন ভাষা সংক্রান্ত শভিনিজম। কিছু মানি না - বিশেষত: ধর্ম সংক্রান্ত শভিনিজম। তৎকালীন পলিটিকাল কারেক্টনেসের অতিরিক্ত আর কি কারণ থাকতে পারে এরকম দুমুখো পশ্চারিং-এর?
  • Arpan | 124.125.224.101 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:২১397718
  • না বুদ্ধ সংক্রান্ত? :-)
  • r | 70.55.12.174 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:৩৩397721
  • ভাষা বনাম ধর্ম বনাম জাতির প্রশ্নটা রঞ্জনদা কনসার্ন্‌ড জনগোষ্ঠীর ঘাড়ে চাপিয়ে সরে গেছেন। :-)
  • Arpan | 124.125.224.101 | ২১ মার্চ ২০০৮ ২৩:৪১397722
  • রঞ্জনদার জ্ঞাতার্থে: বাংলাদেশ একটি ইসলাম মতাবলম্বী রাষ্ট্র।

    http://www.pmo.gov.bd/constitution/index.htm
  • Ishan | 12.240.14.60 | ২২ মার্চ ২০০৮ ০৮:১৭397723
  • "সেকুলার' একটি ওয়েস্টার্ন দাবী। এবং "কাস্ট' ব্যাপারটা কি জিনিস ওয়েস্ট সেটা জানেনা। তা সত্বেও ন্যাড়াদা এবং রঙ্গনের প্রশ্নের একটা সোজা উত্তর আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ভাষাভিত্তিক শভিনিজম দাবী করে থাকে "আমার ভাষা খুব ভালো'। কিন্তু "পৃথিবীর অন্য সব ভাষাগুলো ধুর' এই কথা বলেনা। ধর্মভিত্তিক শভিনিজমের সঙ্গে এর একটা মিল আছে। ধর্মও বলে "আমার ধর্ম খুব ভালো'। কিন্তু সঙ্গে এই কথাও বলে, যে, "বাকি ধর্মগুলি জালি'।

    সেই কারণে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার মধ্যে সংখ্যালঘু ভাষাকে জায়গা দেওয়া সম্ভব। এমনকি সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে একাধিক ভাষার ইকুয়াল স্ট্যাটাসও সম্ভব। কিন্তু ধর্ম (বা কাস্ট) ভিত্তিক জাতীয়তাবাদে এটা অসম্ভব। একটা ধর্মই সেরা। বাকিগুলিকে সমমর্যাদা দেওয়া অসম্ভব।

    সোজা বাংলায় ফরাসী বিপ্লবের "সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা'র সঙ্গে ভাষাটা যায়। ধর্ম বা কাস্ট যায়না।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ২২ মার্চ ২০০৮ ০৮:৩৬397724
  • রঙ্গনের শেষ পোস্টের আগের পোস্ট দুটোয় বক্তব্য (বা সমালোচনা) ঠিক সুসংবদ্ধ নয়। উত্তর দিতে গেলে একটু বেশিই লিখতে হবে। এক এক করে লেখা যাক।

    এক। "জনতা চাইছে না চাওয়ানো হচ্ছে কোনোদিন সম্ভব নয়।' এটা আমার বক্তব্য। রঙ্গন একমত না দ্বিমত বোঝা যাচ্ছে না। শুধু প্রশ্ন রেখেছে "তাহলে বুঝব কিকরে জনতা কি চাইছে?'

    এর উত্তর সোজা। একজন লোককে যদি বন্দুকের সামনে বা কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে কনসেন্ট আদায় করা হয় (বা অনুরূপ কোনো পদ্ধতিতে), তাহলে সেই কনসেন্টের কোনো মূল্য নেই। এটা ফিজিক্যাল থ্রেটের সামনে দাঁড় করিয়ে কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচার। লোককে জোর করে "চাওয়ানো'।

    এই ফিজিক্যাল থ্রেট না থাকলে, একজন মানুষ, নিজে যা স্থির করে সেটাই তার চাওয়া। সে এম টিভির অপপ্রচারের শিকার হতে পারে, ধর্মান্ধতার দাস হতে পারে, কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারে। কিন্তু তার পরেও সে যা ঠিক করছে, সেটাই তার চাওয়া। আমি আপনি, বড়জোর সে "ভুল' করছে বলতে পারি। কিন্তু আমরা কোনো হরিদাস পাল নই, যে, তাকে দিয়ে "চাওয়ানো' হচ্ছে বলে দেব। ব্যস।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ২২ মার্চ ২০০৮ ০৮:৫৮397725
  • দুই। ঐতিহাসিক উপন্যাস। বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাসে গোদা ঘটনাগুলো একই থাকে। বিদ্যাসাগর আদৌ জন্মাননি বা রবীন্দ্রনাথ আসলে ঠাকুরবাড়ির সন্তান ছিলেন না এরকম দাবী কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস আজ অবধি করেনি। ঐতিহাসিক উপন্যাস যেটা করে, তা হল, না জানা ফাঁকগুলো আন্দাজ বা কল্পনা বা লজিকাল ডিডাকশান দিয়ে ভর্তি করে। নিজের মতো ব্যাখ্যা দেয়, ইত্যাদি ইত্যাদি। ইতিহাসেও অবিকল তাইই হয়। পদ্ধতিগতভাবে এক চিলতেও তফাত নেই।

    এটা ঠিক আমার অরিজিনাল কথাও না। ভাওয়াল সন্ন্যাসীকে নিয়ে একটি ইতিহাস বই লিখেছিলেন শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটা সম্পর্কে একটা ইন্টারভিউয়ে এইরকমই একটা দাবী করেছিলেন। খালি "ঐতিহাসিক উপন্যাস' এর জায়গায়, যদ্দুর মনে হচ্ছে নাটক এর রেফারেন্স দিয়েছিলেন। তারপর মোটামুটি একই গপ্পো।

    তো, আমি "নাটক' লিখিনি। "ঐতিহাসিক উপন্যাস' লিখেছি। সেটাই বেটার মনে হয়েছে বলে। সেটা জাস্ট এক্সপ্রেশনের সুবিধের জন্য। কারণ কথায় কথায় পার্থ চাটুজ্যে সুমিত সরকারের রেফারেন্স দেবার কোনো মানে হয়না।

    ভাষা একটি শক্তিশালী অস্ত্র। এক লাইনে বেশি কথা বলা, আমার বিশ্বাস, গদ্য রচনার ক্ষেত্রে একটি ক্রেডিট বলেই গণ্য গণ্য করা হয়। অন্যথায় উহাকে হ্যাজানো বলে। এই পোস্টে যেটা করলাম। অপ্রয়োজনে।
  • kallol | 220.226.209.5 | ২২ মার্চ ২০০৮ ১২:০১397726
  • খুব উৎসাহ নিয়ে পড়ছি এই টইয়ের অলোচনা। একসময় সব কম্যুনিষ্টদের মত আমিও মনে করতাম তিব্বত চিনের অংশ। আর তাছাড়া তা যদি নাও হয়, তবু লামাতন্ত্রের হাত থেকে তিবতি মানুষকে মুক্ত করে তাদের জনগনতন্ত্রে / সমাজতন্ত্রে পৌঁছে দিয়ে চিন ঠিকই করেছে। এটা আমার অতীতের মত। পরে স্বাধীন তিব্বতের দাবী সমর্থন করেছি।
    কিন্তু এখন কেমন গুলিয়ে যায়। চিনের কম্যুনিষ্ট শাসন বা লামাতন্ত্রের মধ্যে কোনটা ভালো আমি জানি না। তবে আমার কাছে দুটো-ই খারাপ। এখন প্রশ্ন হল তিব্বতের মানুষ কি চাইছেন? কিভাবে জানব? কিভাবে এটা জানা যাবে তিব্বতের মানুষ লামাতন্ত্র চাইছে না চিনের শাসন চাইছে না অন্য কিছু?
    যেমন কাশ্মীর। লোকে সেখানে ভারতে থাকতে চায়, না পাকিস্তানে থাকতে চায়, না স্বাধীন কাশ্মীর চায়?
    একটা উপায় হতে পারে রেফারেন্ডাম নেওয়া। আমি সেটার সমর্থক। কিন্তু তারও গন্ডোগোল আছে। ধরো ভোটে দেখা গেলো তিনটে অপশনে ভোট পড়লো ৪০-৩৫-২৫ তবে কি হবে ?
    আমার নিজেরই পোষ্টটা পড়ে মনে হল - ইচ্ছে করে গোলাচ্ছি। কিন্তু আমি ভীষন কনফিউজ্‌ড। বিশ্বাস কর।
  • ranjan roy | 122.168.73.58 | ২২ মার্চ ২০০৮ ১২:৩২397727
  • মজা আ গিয়া। মামু এবং রাঙ্গাদা-- একদম ঝকাস্‌। এখানে তীক্ষ্ণতা আছে, তিক্ততা নেই। কারো কোন স্ট্যান্ড নেয়ার পেছনে কোন মোটিভ খোঁজা হচ্ছে না।
    বেঁচে থাক আমার গুরুচন্ডালী, বুড়োবয়স যাবে না খালি।
    হোলির মুডে ভাঙ না খেয়ে একটু হ্যাজালাম।:))))))।।

    ভাষার প্রশ্নে ইশানকে ডিটো। আমি নিশ্চয়ই চাইবো বঙ্গদেশে বাংলার বিশেষ সম্মান হোক, অন্তত: অবমাননা না হোক। কিন্তু ওড়িয়া স্কুল খোলা যাবে না, বা কেউ চাইলেও কোলকাতাতে ওড়িয়া ফার্স্ট ল্যাংগোয়েজ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে বসতে পারবে না--- এমন দাবি করবো না। বা, কেউ অন্য ভাষায় পত্রিকা বার করলে কিকথা বল্লে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন বলে নাকে কাঁদবো না।
    কিন্তু হিন্দুধর্মের বিশেষ স্থান চাইলে স্বভাবত:ই আসবে মন্দিরের সামনে দিয়ে ম্লেচ্ছদের জুলুশ নিয়ে যাওয়া চলবে না, অন্যধর্মের স্কুলেও হিন্দুধর্মের মহত্ব নিয়ে বই পড়াতে হবে, হিন্দু পরবে ছুটি দিতে হবে। গোরুরচনা নিয়ে ইয়ার্কি চলবে না। মুসলমানের লেখা নাটকে ব্যঙ্গ করে ""গোবরগণেশ'' বলা চলবে না। এমনকি প্রকারান্তরে এটাওমানতে হবে
    - হিন্দুধর্ম এমনই মহান যে অন্যকোন ধর্মের আর দরকারই নেই। ওতেই সর্বধর্মের সারকথা সন্নিবিষ্ট।

    জনগোষ্ঠীর ওপর সব ছেড়ে দেওয়া। নিশ্চয়ই, জনগোষ্ঠীকে নাবালক না ভেবে সাবালক ভাবতে বলছি। আরে, ভুল বা ঠিক যাই করুক ভুগতে হবে ওদেরই। তা'লে আমি কোন হরিদাস পাল যে ওদের ভাগ্যবিধাতা হতে যাবো? ওদের এইটুকু বলবো- কাঠ খেলে আঙরা হাগবে।
    সাধে কি মহামতি লেনিন বলিয়া গিয়াছেন---"" যে নিপীড়িত জাতি অস্ত্র ধরিতে শিখে নাই, তাহারা দাসের ন্যায় জীবনযাপনের যোগ্য।'' ( কোথায় বলিয়াছেন ভুলিয়া গিয়াছি।)
    আমার প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে যদি একটি বেকার ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে দু:খ পাবো, বোঝাবো, কিন্তু না মানলে আমাদের অপছন্দের ছেলেটিকে ""ইলেজিটিমেট জামাই'' না বলে মেয়ে-জামাইকে ত্যাজ্য না করে গ্রহণ করবো। বেশি হলে রাত্তিরে শুয়ে শুয়ে গিন্নিকে বলবো-- মেয়েটার কপালে দু:খ্যু আছে। ঘটে এতটুকু বুদ্ধি নেই।:)))))।

  • ranjan roy | 122.168.73.58 | ২২ মার্চ ২০০৮ ১৩:১৯397728
  • কল্লোল এবং রঙ্গনের পোস্ট পড়ে মনে হোলো
    একটা ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
    লেজিটিমেট আইডেন্টিটি এবং তার সীমারেখা।রঙ্গন এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি তুলেছেন। ওটা ওদের ঘরের ব্যাপার বলে কতক্ষণ চুপ করে থাকবো। এ'ব্যাপারে আমিও কল্লোলের মত কনফিউজ্‌ড, শুধু নিজের মত করে এবং সবার সাহায্য নিয়ে চিন্তার জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছি।
    ধরুন, আমার পাশের ঘরের থেকে মেয়েজামাইয়ের ঝগড়ার আওয়াজ আসছে। কি করবো?
    আমরা একে অন্যকে হস্তক্ষেপ করতে আটকাবো আর বলবো--তোমার যাওয়ার দরকার নেই,এমন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়েই থাকে, ওদের নিজের মধ্যে বুঝেনিতে দ্যাও। (এটা পতি-পত্নীর লেজিটিমেট :))))।
    কিন্তু যদি একটু পড়ে মেয়ের( বা জামাইয়ের) চিৎকার শুনি--- আমাকে বাঁচান, ও আমার ওপর কেরোসিন ঢালছে। তাহলে?
    এখানেই সীমারেখার প্রশ্ন, জাতিসংঘের মানবাধিকার চার্টার বা পঞ্চশীলের প্রশ্ন। কারণ, মানবাধিকার সেই টেন কম্যান্ডমেন্টের সময় থেকে অলঙ্ঘ্য। এখানেই লেজিটিমেসির সীমার বাইরে সমর্থন বা বিরোধের প্রশ্নে অর্পণের বক্তব্য প্রাসংগিক।
    অর্থাৎ আমি যেমন চোরকে বন্দি করে বিচার করে শাস্তি দেয়ার রাষ্ট্রের অধিকারকে "" লেজিটিমেট'' বলে সমর্থন করবো, তেমনি চোরকে থানায় বা জেলে ক্যালানোকে রাষ্ট্রের "" ইলেজিটিমেট বিহেভিয়র'' বলে প্রতিবাদ করবো,----এটাই আমার লেজিটিমেসির কন্‌সিস্টেন্সি:)))))))।
    আর রঙ্গনকে-- ফ্যালাসি নিয়ে।
    কাজেই তিব্বত চীনের অংশ বলে ওকে শাসনে রাখা চীনের লেজিটিমেট অধিকার বলে সমর্থন করেও শাসনটা মাত্রাছাড়া হলে ( যেমন কোথাও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাচ্চাদের ইলেকট্রিক শক দিচ্ছে) মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে চীনসরকারের সমালোচনায় কোন কন্‌সিস্টেন্সির অভাব নেই।
    অজ্জিৎএর মত অনেক সিপিএম সাপোর্টারও নন্দীগ্রামে প্রশ্নে বুদ্ধবাবুর মাত্রাছাড়া ঔদ্ধত্যের কন্‌সিস্টেন্টলি বিরোধিতা করেছেন।
    আর তিব্বতিদের চীন্থেকে আলাদা হওয়ার অধিকারকে লেযিটিমেট মানলে তো কথাই নেই। চীন সরকার ক'ইঞ্চি মানবাধিকার উল্লংঘন করলো সেটা অপ্রাসংগিক হয়ে পড়ে।
  • kallol | 122.171.16.172 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ০০:২১397729
  • এই অধিকার-অনধিকারের সীমারেখা নিয়ে ইদানিং খুব গোল পাকে। একজন মানুষ এমন একটা কাজ করছে, যা তাকে ধ্বংস করে দেবে। ধরা যাক। ক - তার তিনকূলে কেউ নেই। সে হেরইন নিচ্ছে। কারুর কোন অসুবিধা করছে না। আমি কি তাকে বারন করব ? আর এক জন খ - তারও তিনকূলে কেউ নেই। তার অসুখ আছে। খাদ্যনলী জায়গায় জায়গায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। তার নিয়মিত চিকিৎসার দরকার। সে তা না করে শ্রমিক সংগঠন করছে। আমি কি তাকে বারন করব ?
    তিব্বতের মানুষ যদি চিনের দ্বারা শোষিত, অত্যাচারিত হবার বদলে লামাদের দ্বারা শোষিত, অত্যাচারিত হতে চায় - আমি কি করব ?

  • ip | 69.251.184.3 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ১৩:২৪397730
  • 'জনগণ কি চায়, সেইটি দেখতে হবে', বোঝা গেলো।
    ধর্ম ভিত্তিক জাতীয়তাবাদে 'অন্যদের সমমর্যাদা দেওয়া যাবে না' কিন্তু ভাষা ভিত্তিক হলে অন্যদের accommodate করা যাবে সেটাও মানা গেলো।

    কিন্তু এটিও তো বলা হচ্ছে যে, physical threat ছাড়া যদি কেউ 'ধর্মীয় অপপ্রচারের শিকার' হয়েও কিছু ঠিক করে, তো সেইটিই 'তার চাওয়া' বলে মেনে নিতে হবে।

    অতএব 'সেইটি দেখতে হবে', নয় কি ?

    আর এই ধর্মীয় অপপ্রচারের শিকার হয়ে চাওয়াটা ধর্ম ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ হবার প্রবল সম্ভাবনা।

    তাহলে ?
    হয়তো কিছু গোলাচ্ছি।
  • Blank | 203.99.212.224 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ১৪:০৭397732
  • তিব্বত নিয়ে প্রসিদ্ধ খবরের কাগজের পাতায় একটা কথা বারবার উঠে এসেছে, 'চীনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন'। কি এবং কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন