এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০৩:১৪398499
  • নেটিকেট একটা গাইডলাইন। যার অনেকটাই ভাঙা, বাঁকাচোরা, কেউ মানেন, কেউ মানেন না, কেউ আংশিকভাবে মানেন, কেউ না জেনে প্র্যাকটিস করেন, কেউ জেনেও কেয়ার করেন না। জায়গাবিশেষে ও কালচারবিশেষে একই মানুষ আমরা আমাদের বিভিন্ন মুখ দেখাই প্রতিবেশীকে। আপিশে আমরা শিখেছি কিছু নিয়মনীতির বালাই রেখে লোকের সঙ্গে ইনট্যার‌্যাক্ট করতে, জায়গাফেরে শিখেছি অপরিচিতকে "হাই" বলে হাসা পাগলের লক্ষণ নয়, সময় ও জায়গার সঙ্গে সঙ্গে একজন প্রতিবেশীর সঙ্গে ব্যবহারেরও একটা আপাত: প্রোটোকল আছে।

    মায়াপাতায় কি তেমন কিছু আছে? বা থাকা উচিত। অবয়বহীন একজনের সঙ্গে আরেকজনের কিবোর্ডগাথার সেট অফ প্রোটোকলস। ধরুন না এই গু চ-তেই? সবাই কি ভাবেন এ সম্পর্কে?
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০৩:২৮398510
  • দিনকয়েক আগে ভার্জিনিয়া শি-র যে বইটি থেকে লিংক দেওয়া হয়েছিল ভাটপাতায় সে বইটা আমি পড়ি নি। শুধু গাইদলাইনের কোর সেটে চোখ বুলিয়েছিলাম। গাইডলাইনের সেই কোর সেট পড়ে দুটো শব্দই মাথায় এসেছিল "কমনসেন্স" ও "ফিল্টারিং"। আমরা সবাই-ই যে কোনো রকম কমিউনিকেশনের সময় যা অ্যাপ্লাই করে থাকি। গাইডলাইনগুলো পড়েও মনে হয়েছিলো, এ আর এমন কি। এ তো করাই উচিৎ। আমি তো এমনি এমনি করি।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০৩:৪০398521
  • কিন্তু সত্যিই করি কি? দেখা যাক।

    (সবাই, দয়া করে একে সেন্সরশিপের সঙ্গে গোলাবেন না। চারণভূমির আগাছা-জঙ্গল-প্রিয়তার সঙ্গে নেটিকেটের কোন বিরোধ নাই। সম্পর্ক হয়তো কিছুটা থাকলেও থাকতে পারে।)

    নেটিকেটের রুল টেন থেকেই শুরু করি। তারপর কাউন্টডাউন হবে নয়, আট .. ইত্যাদি:

    Rule 10: Be forgiving of other people's mistakes

    (স্বগত:)নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। ক্ষমা করাই উচিৎ। আমিও তো কত ভুল করি। কিছুই জানি না প্রায়, প্রচুর ভুল করি, চুরি করে উইকি দেখে নিই, অভিধান দেখে নিই, ফান্ডাবাজদের থেকে জিগেস করে নিই ইত্যাদি। অন্যের ভুল ধরা আমার মোটেও শোভা পায় না।

    কিন্তু। কিন্তু। স্টিল। এখানে, আফটার অল আমরা ভাট করতে এসেছি। সুরঙ্গমার(প্লেস হোল্ডার) ঐ মজার ভুলটা ধরলে ও মোটেও কিছু মনে করবে না, আর কি ফান হবে ভাবো তো। অতএব সুরঙ্গমা, সুচেতনা, বনলতা আর হ্যাঁ ঐ নতুন আসা মুখচোরা মিনির ভুলই বা নয় কেন। চলুক চলুক।

    (ইতি স্বগত:)
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০৪:২৯398532
  • ন নম্বর:

    Rule 9: Don't abuse your power

    এটা ট্রিভিয়াল। বাচ্চা ছেলেও জানে অন্যের মেল পড়া অন্যায় ইত্যাদি। সুপারইউজার হলেও অন্যের প্রাইভেসিকে সম্মান করতে হয়।

    (কর্পোরেটের অবশ্য সে দায় নেই। এদিকে আমার প্রথম চাকরিতে, যখন ব্যাকাপ টেপে করে মেল এনে আনটার করে লোকালি ডিস্ট্রিবিউট করা হত, তখন সিস অ্যাডমিন পদবীর কৌতূহলী জনতাকে ধরে ফেলেছিলাম মেল পঠনরত অবস্থায়। কিছুই হল না। ক্ষমা টমা চেয়ে নিলো শুধু।)
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০৪:৫০398543
  • অ্যাকচুয়ালি সব স্কিপ করে এখনই দু নম্বরটায় চলে যাবো। কারণ এটা বোধহয় বেশ ইন্টারেস্টিং ও বিতর্কযোগ্য :

    Rule 2: Adhere to the same standards of behavior online that you follow in real life
  • Du | 67.111.229.98 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ০১:৫৯398554
  • স্কিপ করো কেন ? রুল জানার চেয়েও মজা হল তোমার ফুটনোটগুলো পড়তে।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ০৪:০৪398560
  • না, স্কিপ করলাম মানে অন্যগুলোতে ফিরে আসবো পরে। কবে, জানি না :)
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ০৭:৪২398561
  • দুই নং রুল নিয়ে পামিতাদির মন্তব্য কই? :-)
    এরম একটা গনগনে টপিক মাছি তাড়াচ্ছে কেন?
  • b | 193.1.100.109 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ১৪:৩৮398562
  • ধরুন, কাউকে কোনো email করেছি কিছু একটা অনুরোধ করে, বা কোনো information চেয়ে। প্রচুর লোক দেখেছি , যদি সেই অনুরোধ রাখতে অপারগ হয়, তবে সেরেফ কাটিয়ে দেয়। যেন e mail-টা পায়-ই নি।
    এটাকে আমার বেশ অসভ্য (বোল্ড এবং ইটালিক্স) আচরণ বলে মনে হয়।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ১৫:৫৫398500
  • অনুরোধ ছাড়াও - মেল-এর অ্যাকনলেজমেন্ট না করলে আমারও বিরক্তি লাগে। মেলে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে অ্যাটলিস্ট বলা উচিত যে আমি পরে উত্তর দেবো - মানে মেলটা যে পেয়েছি সেটা জানানো উচিত। এই অভ্যেসটা ভারতীয়দের মধ্যে খুব বেশি।
  • S | 122.163.17.163 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ১৫:৫৮398501
  • সেম হিয়ার। এটা ইনফিতে খুব মানা হত। মানে, খাতায় কলমে নিয়ম ছিল না, কিন্তু মেল করলে উত্তর পাওয়া গ্যারান্টীড। টিসিএসে নেই, আইবিএমেও নেই। টিসিএসে তো মেল করে রেসিপিয়েন্টের ডেস্কে পার্সোনালি গিয়ে রিপ্লাই জেনে আসতে হত। আইবিএমে তো সকলই হাওয়ায়। কে যে কোন আপিসে বসে, তার যে কী ফোন্নং, সে আপিসে আছে না ঘরে বসে আছে, সকলই গবায় জানে। উত্তর না দিলে তাকে ধরারও কোনও উপায় নেই।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ১৬:০৪398502
  • আমাকে একবার টিসিএসের এইচআর বলেছিলো যে আমরা খুব বিজি, তাই...আমি উল্টে চার কথা শুনিয়েছিলাম - রাত্তির দুটো অবধি আমরা কাজ করি, আর তুমি আমাকে বিজি দেখাচ্ছ হতভাগা?

    একসময় কমনওয়েল্‌থ স্কলারশিপের জন্যে চেষ্টা করেছিলুম (হালার ইউজিসি এক মাস দেরী করে ইন্টারভিউ কল করে, তদ্দিনে আমি আম্রিকায় - নইলে শালা কবে কাজ শেষ হয়ে যেত) - তো তার আগে ইংল্যাণ্ডের কিছু ইউনির প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করি - তো তারাও নিশ্চয় বিজি - কিন্তু প্রত্যেকে সময় করে উত্তর দিয়েছিলো। এখানে আসার আগেও প্রথম নিউক্যাসলের অ্যাড দেখে আমার প্রোফাইল দিয়ে পল ওয়াটসনকে মেল করেছিলাম যে আমি ইন্ডাস্ট্রীর লোক, কিন্তু এটা তো পোস্ট ডক চেয়েছ তোমরা - আমি কি অ্যাপ্লাই করতে পারি - সেও একই - ঠিক উত্তর দিয়েছিলো, অনেক এনকারেজ করে। ব্রিটিশ ভদ্রতা - অনেক ক্ষেত্রে মৌখিক হলেও, আছে তো।
  • S | 122.163.17.163 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ১৬:২১398503
  • কালচারের ব্যাপার। আইআইটির যে কোনও প্রফেসরকে মেল করো, উত্তর আসবে অর্ধেক দিনের ভেতর। তাঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি / শুনেছি রাতে চার ঘন্টা মাত্র ঘুমোন। বাকি সময় ল্যাবে বা ক্লাসে পড়ে থাকেন।
  • kali | 160.36.240.150 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ২১:২৩398504
  • পামিতাদির দুই নং রুল নিয়ে একটা কথা বলার আছে। মনে করো আমার অ্যাভয়ডান্স পার্সোন্যালিটি ডিস-অর্ডার আছে, উইথ সিলেক্টিভ মিউটিসম। কাজেই আমি রিয়াল লাইফে কারু সাথেই কথা বলতে খুব অসুবিধা বোধ করি, খুবই। কিন্তু নেট এ কোনই অসুবিধা হয়না।এবং যথেচ্ছ বকে যাই। এটা তো রিয়াল ও ভার্চুয়াল দু লাইফেই এক স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেইন করা হচ্ছেনা। তাহলে কি এটা নেটিকেট বিরুদ্ধ? বা দ্বিচারিতা?
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ২১:৪২398505
  • ডিসর্ডারের কি দরকার? আমি তো ডিসর্ডার ছাড়াই ওম্নি - মানে সাক্ষাতে বেশি বকতে পারি না। কিন্তু নেটে অন্যরকম।

    তবে এই রুলটা মনে হয় বড় স্কেলের জন্যে।
  • Du | 67.111.229.98 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ২১:৫৭398506
  • নেটি, মাটি সবেতেই এই কেট চালানো সোজা :--
    নিজেকে অপর ব্যক্তির জায়গায় রাখো।
    এর পরেও কাউকে দু:খ দেওয়া হয়ে যেতে পারে -- কিন্তু সেটা অনেস্ট মিসটেক --- মাপ না করার কোন কারণ নাই।
  • kali | 160.36.240.150 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০০:০৮398507
  • বুঝলাম অরিজিৎ। কিন্তু 'বেশি বকতে না পারা' আর ডিসর্ডার ওয়ালা লোকের অসুবিধার মধ্যে তবুও অনেকই তফাৎ আছে।
  • r | 198.96.180.245 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০০:১৯398508
  • দু-এর কথাটা আমারও ঠিক মনে হয়, কিন্তু এম্প্যাথিমূলক নৈতিকতার একটা লজিকাল গলদ আছে। কারণ যে লোকটা মোটামুটি সর্বংসহ, যার কোনো কিছুতেই হেলদোল নেই, সে তাহলে অন্যকে যা কিছু বলার লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে। আর যে খুব সেন্সিটিভ, সে আবার অন্যাকে কিছু বলতেই পারবে না। মানে যা হওয়া উচিত, ব্যাপারটা ঠিক তার উলটো জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে। :-)
  • kd | 59.93.196.246 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০০:৪০398509
  • অধিকাংশ ভারতীয়(PIO, NRI)ই RSVPর উত্তর দেয় না, sase থাকা সঙ্কেÄও। ওদেশে অনেকদিন থাকার পরও অনেকে শিখে উঠতে পারেনি।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৪:২৫398511
  • দু, দু,
    মাফ। প না ফ।
    :-))))
    অবশ্য, বুনানই বানান গড়ে/তাহারই কৃপার পরে/বানানের মহিমা ইত্যা।
    :-)))))
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৫:৫৭398512
  • কলি, তুমি যে উদাহরণ দিলে, ঠিক ঐটার কথা এখানে বলছে কি? লেখার মধ্যেকার ব্যক্তিত্ব ও কইয়ে মানুষটির ব্যক্তিত্বে ফারাক থাকতে পারে, কিন্তু তারা ইϾট্রন্সিকালি আলাদা লোক, আলাদা চিন্তাভাবনার কেউ নন। (যদি না সি্‌প্‌লট পার্সোনালিটি হয়) কিন্তু ধর এই যে নামের অ্যানোনিমিটি। এই নৈর্ব্যক্তিকতা অনেকেই পছন্দ করেন মায়াপাতায় - আফটার অল এটা মায়াপাতা, মুখোমুখি হয়ত কেউ কারুর সঙ্গে হবে না কোনদিন। কিন্তু নৈর্ব্যক্তিকতার একটা দায়বদ্ধতাও থাকে - এই যে কদিন আগের টই-এর "অশালীন" পোস্টগুলো ক্রমাগত যে ব্যক্তি করছিল, রিয়াল লাইফে সে অমন অ্যাপ্রোচ বা ভাষা ব্যবহার করতে পারত(ইন টোটো না হলেও এসেন্সে) এই একই সেট অফ জনতার সঙ্গে? আমি বলব মায়াপাতা মিডিয়ামটার সুযোগ নিয়ে করা এটা একধরণের দ্বিচারিতা।

    কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে অ্যানোনিমিটি থাকা উচিত নয়? মায়াপাতার প্রকৃতির সঙ্গে অ্যানোনিমিটি যায় আর যারা জেনু নৈর্ব্যক্তিকতা চান তারাই নইলে ভিক্টিম হবেন। (তবে আমার ব্যক্তিগত মত, একটা সময় পরে আর কিছু পারস্পরিক জানাচেনার পর নৈর্ব্যক্তিকতা অনেকটাই উঠে যায়, শুধু নাম দিয়ে তার খুব উপযোগিতা থাকে না তাই)
  • Du | 71.170.109.244 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৬:০৩398513
  • ট্যান, এটা এক্কেরে ক্লাসিক্যাল সিলেটি কেস - সটাৎ বেরিয়ে পড়েছে :))
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৬:১৭398514
  • তবে লেখায় মানুষের যে ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে, তাতে অনেক রূপ-রস-বর্ণ-এক্সপ্রেশান অনুস্থিত থকে। পাশাপাশি সাজানো কটা অক্ষর বেশী সাদামাটা বা ক্ষেত্রবিশেষে কর্কশ শোনাতে পারে। ইচ্ছাকৃত হয়ত নয়। তাই চলে যেতে হয় পাঁচ নং লাইনে:

    Rule 5: Make yourself look good online
  • m | 12.240.14.60 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৬:২২398515
  • পারমিতা,এটার উল্টোটাও হতে পারে- লেখার রস রং আসল মানুষটার মধ্যে তুমি খুঁজে পেলে না,কারণ মায়াপাতায় তুমি চাইলে নিজেকে একেবারে অন্যরকম করেও উপস্থাপিত করতে পারো।এখানে তুমি যা নও,যা তুমি হতে চাও-সেইরকম।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৬:৩৫398516
  • এই "যা নও তাই হতে চাও" কেসটাও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। যে ঘুঁটেকুড়ুণী (নো অফেন্স মেণ্ট টু এনি পার্টিকুলার প্রফেশান) রাজকন্যারূপে দেখা দিলো তার নিজের হয়ত একটা ইচ্ছেপূরণ হল, কিন্তু অন্য পক্ষ সেম পেজে নেই এবং সে জানলোও না সে অজান্তে একটা একক অভিনয়ের দর্শক, কনজিউমার ও অংশীদার। এটা কি "ঠিক"?

    (কনসিকোয়েন্সের কথা নয় বাদই দিলাম)
  • a x | 207.69.137.23 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৮:০৩398517
  • যে ব্যক্তিটি, নেটের "অ্যানোনিমিটি"র "সুযোগ" নিয়ে চারটি "অশালীন" কথা বলে যায়। হয়ত সেটাই আসল সে। বাইরের জগতে তাকে বাধ্য হয়ে "ভদ্রতা"র মুখোশ পরতে হয়। সেক্ষেত্রে, বাহির, "রিয়াল" জগতটাতেই তার "দ্বিচারিতা"। নেট তাকে এর থেকে কিছুটা মুক্তি দেয়।
  • Sumeru | 59.93.245.243 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ১১:৫৩398518
  • আজ কাজকর্ম ঘেঁটে গিয়ে কিছুটা সময় পেয়ে এদিক-ওদিক পড়ছিলাম।
    অগত্যা।
    মজা পাচ্ছি।
    কিছু মাথায় আসছে।

    ১) রেলের কামরায় শশা , ঘামগন্ধ আর দুলুনিতে জুড়ে আসা চোখের পাতার ভেতর শশাসব গোল পেয়ারা হয়ে যাচ্ছে। সামনে এক বালিকা, হাতমুঠুতে কিছু খুচরো পয়সা। আলো ঠিকরে চোখ পর্যন্ত এলে,তা যেন একশিশি কুমকুম, খুলতে গিয়ে বুড়ো আঙ্গুলে গোলা চামড়া দাগ, তাও দেখা যায়। আসলে সেই রকম দাগ আরো আছে, যারা পেয়ারার ঝাঁকা থেকে লেবু তুলেছিল, মুসাম্বির উপরেও তাই বর্ষ প্রাচীন সিকি ছাপ।

    ২) কমলা পাহাড়ে ঘাসেরা পুড়ছে। কালিপটকার মত বেঁধে রাখা গুচ্ছ গুচ্ছ ঘাস। রেললাইনের মত করে তারা পুড়ছে সমবেত। হাওয়া উড়ে আসা প্লাস্টিক ঘুঘুর ডাক ডাকতে ডাকতে পেরিয়ে যাচ্ছে রেল লাইনের মত দাগটানা অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ।

    ৩) সার সার ভজালির কালেকশান। আই পি অ্যাড্রেসের মত লেখা সোনার দোকানের ধাতুতক্ষণ। কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় মানুষ না থাকলেও এগুলি সব রিমোট তাড়িত। জ্যামিতিক নড়ন চড়ন। ফটোশপে দুটো ফিল্টার মারতেই সেটা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। আর সূর্যের কাছে নিয়ে গেলেও সে গলে না, বরং বরফের মত হয়ে গেল তার শরীর, এখন ঠিক সেন্টের শিশির মত দেখাচ্ছে।

    এগুলো এই থ্রেড পড়েই মথায় এল।
  • santanu | 82.112.6.2 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ১৩:১৭398519
  • আরে সাব্বাস, সুমেরু র মাথার পায়ে গড়।
  • san | 220.227.64.98 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ১৯:৫০398520
  • আমার এই আসল নকল নিয়ে একটা বেসিক কোচ্চেন ছিলো। আমি তো র‌্যাশনাল চিন্তার বেসিসেই একটা গিভন লোকের সঙ্গে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকম বিহেভ করি। ধরা যাক লোকটা কনস্ট্যান্ট । এখন পরিস্থিতি 'এ' তে আলাপ হলে আমি 'ক' প্যাটার্নে বিহেভ করবো আর পরিস্থিতি 'বি' তে হলে 'খ' প্যাটার্নে করবো। এটা তো নর্মাল।

    তো এই বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে একটা স্পেশাল কেস হল অ্যানোনিমিটি।যা থাকলে আমি লোকের সঙ্গে একভাবে মিশি ,না থাকলে আরেক রকম। এখন, দুরকম প্যাটার্ণ ফলো করলে তার একটাকে নকল ই বা হতে হবে কেন? এটাকে আসল এটাকে নকল এইভাবে দেগে দেবার দরকারই বা কি, আর সব রকম অবস্থায় তোমাই একটাই মাত্র বিহেভিয়ারাল প্যাটার্ন থাকতে হবে এই অদ্ভুত আবদারই বা করার যুক্তি টা কি?

    মোদ্দা কথা, আমার তিন রকম সিচুয়েশনে , তিন রকম মুডে তিন রকম প্যাটার্ন যদি তৈরি হয় (ধরে নিচ্ছি একই লোকের সঙ্গে) , যা আসলে প্রায়শই হয়, তো তিনটে মিলিয়েই তো আমি। আসল আমি নকল আমি আবার কি?

  • shrabani | 124.30.233.101 | ০৭ মার্চ ২০০৮ ১১:১৯398522
  • যে যা নয় তা সাজা সে বাস্তব জগতেই হোক আর মায়াপাতায়ই হোক খুব কঠিন ব্যাপার আমার মনে হয়, আর এটা বেশীদিন চলেনা। সাজিয়ে গুছিয়ে মায়াপাতার আড়ালে নিজেকে প্রেজেন্ট করা যায় কিন্তু তা স্থায়ীভাবে সম্ভব হয়না। তাই যে যেরকম সেই ভাবেই সামনে আসুক, আর বাস্তবে যে ভাবে আমরা আমাদের ব্যবহারের রুলস নিজেরা সেট করি ( অর্থাৎ কার সাথে কি পরিস্থিতিতে কি ভাবে ডীল করব) সে ভাবে নেটেও করব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন