এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সমাজবাদী মধ্যবিত্ত পুনি্‌জবাদী গরীব

    shyamal
    অন্যান্য | ১১ জুলাই ২০০৮ | ৬৮১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০১:০২399100
  • ওটা হবে পুঁজিবাদী। গুরুর এক বিশেষ ফিচার ওটাকে পুনিজবাদী করেছে।

  • shyamal | 64.47.121.98 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০১:২৪399111
  • ভারতে যারা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, তারা প্রায় সবাই সংগঠিত সেকটরে চাকরী করেন। এখানে সমাজবাদ ভাল রকম বর্তমান। বাজারের চেয়ে বেশী মুল্য দেওয়া হয় অন্য ব্যাপারকে।
    যেমন মাইনের স্কেল। আপনি কি মাইনেতে প্রথম চাকরীতে ঢুকবেন তা ঠিক করে আপনার শিক্ষার ডিগ্রি। সাধারণত: মুড়ি মিছরি এক দর। স্কুলে , কলেজে পড়াবেন? সব জায়গায় একই মাইনে। কম্পিউটার সায়েন্স পড়ালেও যা, ইতিহাস পড়ালেও তাই।
    তার পর ইনক্রিমেন্ট বা রেইজ? ঠিক করাই আছে কত হবে। নেহাৎ চুরি না করলে ওটা হবেই। কাজের ওপরে নির্ভরশীল নয়।
    সরকার বা কোম্পানী মাইনে বাড়ালে সবার একইরকম বাড়বে। পারফর্মেন্সের ওপর নয়।
    কালেকটিভ বার্গেইন। ইউনিয়ন আর মালিক গোষ্ঠি দর কষাকষি করে ঠিক করল চাকুরেদের মাইনে কত % বাড়বে। প্রত্যেকে যে ব্যাক্তি, প্রত্যেকের কাজের আউটপুট অনুযায়ী মাইনে বাড়ানো যে মালিকের প্রিরোগেটিভ --- তাকে পাত্তাই দেওয়া হয়না।

    অন্য দিকে গরীব। বেশীরভাগই অসংগঠিত সেকটর। রোজ কঠিনতম ধনতন্ত্রের সম্মুখীন যেখানে কোন সেফটি নেট নেই। বাজার সব কিছু ঠিক করে। যে মেয়েটি রোজ কলমি শাক নিয়ে ক্যানিংয়ের ট্রেনে আসে আর তিন আঁটি দুটাকায় বিক্রি করে, সে ঐ দামে করে কারণ বাজার সেটা ঠিক করেছে। তার স্কেল নেই, রেইজ নেই, কালেকটিভ বারগেন নেই। কিন্তু যে বাবু সমাজবাদের সুযোগে ওগুলো পাচ্ছেন, তিনি এসে দুটাকায় তিন আঁটি কলমি নিয়ে যান। আলু এখন ছয় কি সাত টাকা। কেন পঁচিশ টাকা নয়? কারণ , বাজার। ঐ সমাজ বাদী লোকেরা হৈ হৈ করে উঠবেন যদি কেউ আলু পঁচিশ টাকায় বিক্রি করতে চায়। কিন্তু ঐ দামে বিকোলে তো আলু চাষী, ফড়ে, আলুওয়ালা, রিলায়েন্স সবার লাভ । অনেক গরীব লোকের লাভ। সে কি বাজারে সাতটাকা আর আমি দেব পঁচিশ? ইয়ার্কী নাকি?
    তখন যদি আমি বলি যে আলু ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, আমেরিকাতে যথেচ্ছ রপ্তানী করতে দিন। ওসব জায়গায় দাম অনেক বেশী। তখন সমতা রাখতে দেশেও আলুর দাম হবে অন্তত: কুড়ি টাকা। তাতে মধ্যবিত্ত সমাজবাদী বাবুদের রাগ। না তবে গরীব আলু কিনতে পারবেনা। তাই কি? না আপনি বাজার অর্থনীতির সুযোগ নিচ্ছেন? গাছেরও খাচ্ছেন, তলারও কুড়াচ্ছেন। (চলবে)

  • shyamal | 64.47.121.98 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০১:৩৬399122
  • এই মধ্যবিত্তরা যেখানে কাজ করেন তার মালিকের ওপরে ভীষণ খাপ্পা থাকেন। ওরা তো শোষণের জন্যই আছে।
    কিন্তু তিনি যখন মালিক হন? অধিকাংশ মধ্যবিত্তই আমাদের দেশে মালিকও, কারণ তাঁর বাড়িতে কাজের মেয়ে আছে।
    ১) বাবু শনি, রবি ছুটি পান ও তাকে ন্যায্য বলে ধরেন। কাজের মেয়ে কিন্তু সাত দিন কাজ করবে।
    ২) বাবু দিনে আট ঘন্টা কাজ করেন। সরকারী হলে চার। কিন্তু তিনি যখন মালিক, কাজের মেয়ে করবে অনেক বেশী।
    ৩) বাবু সরকারের নিন্দা করেন। কিন্তু নিজের বাড়িতে কাজের মেয়েকে ন্যুনতম মজুরী দেননা। বাজার ঠিক করে কত দেবেন।
    ৪) বাবু বলেন সবাই সমান। বিশেষত: বামপন্থী বাবুরা। কিন্তু কাজের মেয়ের ছেলে যখন সোফায় বসে, তাকে কান ধরে নামিয়ে দেন।
    ৫) কাজের মেয়ের মাইনে প্রতি বছর বাড়েনা। বাবুর বাড়ে।
    ৬) বাবু মহার্ঘ ভাতা নামক এক আজব চীজ পান যেটা বোধ হয় অন্য কোন দেশে চাকুরেদের দেওয়া হয়না। কিন্তু জিনিষের দাম অনেক বাড়লেও বাবু কাজের মেয়ের মাইনে বাড়াননা।
    (এগুলো আগেও বলেছি। কিন্তু কোন রেসপন্স পাইনি, তাই আবার লিখলাম)

    যাদের ড্রাইভার আছে, সেক্ষেত্রেও একই থিওরি প্রযোজ্য।
  • atanu | 60.48.203.244 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০৫:২৮399133
  • মহার্ঘভাতা টাইপের একটা আইটেম মালয়েশিয়াতে আছে যাকে এরা বলে কোলা (Cost of living allowance)।
  • aja | 207.47.98.129 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০৬:২৪399144
  • বাবু বলেন সবাই সমান, যে পারে চুসে লিক। হারামজাদা।
  • h | 220.225.84.122 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০৭:০৬399155
  • আমিও আগে অনেক কথা বকেছি, অনেকেই বকেছেন, তাই দিয়ে প্রস্তাবনা বা রেস্পন্সের ধরণ কিসু বদলায় নি। আপনে ছায়ার সঙ্গে কুস্তি করুন।
  • h | 220.225.2.203 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০৭:০৮399166
  • দক্ষিনপন্থী বাবুরা কাজের মেয়েদের প্রচন্ড সম্মান করেন রেগুলার হারে এই তথ্যটা এইরকম সায়িন্টিফিকালি ভাবে পেশ করার জন্য ধন্যবাদ। অসম্মান করে ফেল্লেও নিশ্চয়ি সেটা আইডিয়োলোজিকাল সততা !
  • d | 121.245.152.11 | ১১ জুলাই ২০০৮ ০৭:৫০399177
  • "সে' আসে আসে আসে ...........
    "সে' আসে আসে আসে ...........
    "সে' আসে আসে আসে ...........
    "সে' আসে আসে আসে ...........
    ...............................
    ...............................
    ...............................
    ...............................
    ...............................
    ...............................
    ...............................

    "সে' আসে আসে আসে ...........

  • Arijit | 61.95.144.123 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:০১399188
  • unsigned char i = 0;
    while (i le 1000) {
    sing a song about market;
    i++;
    }
  • nyara | 64.105.168.210 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:০৯399101
  • অরিজিত, ধরে নিচ্ছি, তোমাদের কিছু জবাব নেই শ্যামলবাবুর কথার।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:১৩399102
  • শ্যামলবাবুর লিখিত ঐ ছ'পয়েন্টে লিখিত মধ্যবিত্ত ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের সত্যি কোন জবাব পাইনা।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:২২399103
  • সরি ন্যাড়াদা - আর জবাব দেবো না। ইনফাইনাইট লুপ থেকে বেরোলে দেখা যাবে।
  • h | 125.18.104.1 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:৩৪399104
  • বামপন্থী মধ্যবিত্ত মানেই দ্বিচারী। আর দক্ষিনপন্থী মধ্যবিত্ত মানেই প্রচণ্ড কাজে ও কথায় মিল সৎ লোক। মোটামুটি এই ঢপের প্যারাডাইমে আলোচনা টা চাইছেন। এই বৃত্ত এতটাই ক্লান্তিকর, এর থেকে কেসটা বেরোলে পরে দেখা যাবে। বেরোনো চান্স অবশ্য নিল। কারণ বৃত্তটাই আলোচনার একমাত্র বিষয়। তাইলে মধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত কে নিয়ে আরেকবার আলোচনা করতে পারবে। থিংকিং সেগমেন্ট হয়ে টিঁকে থাকতে গেলে খচ্চা হবে না?
  • nyara | 64.105.168.210 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:৪০399105
  • এই থ্রেডের কোন পোস্টে বামপন্থী দক্ষিণপন্থী কোনরকম অ্যাঙ্গল তুমি আনার আগে আসে নি।

    আর যদিই এনেই থাক, তাহলে বলি, মনে হয়না শ্যামলবাবুর বক্তব্য কথায় ও কাজের মিল সম্বন্ধিত। ওনার বক্তব্য বামপন্থীরা যখন মালিক (বাড়ির কাজের মেয়ের ক্ষেত্রে), তখন বাজারতন্ত্রী। বাজার কাজের মেয়ের যে মাইনে, যে বেনেফিট, যে ব্যবহার স্থির করেছে তাঁরা সেটাই ফলো করেন। কিন্তু নিজেরা যখন কর্মী, তখন চান স্টেটের প্রটেকশন।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:৫৬399106
  • শ্যামলবাবু বামপন্থী এনেছিলেন, h এর আগে।
    বাবু বলেন সবাই সমান, বিশেষত: বামপন্থী বাবুরা, কিন্তু কাজের লোক সোফায় বসলে কান ধরে নাবিয়ে দেন।

  • nyara | 64.105.168.210 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১০:৫৯399107
  • রাইট। মিস করে গেছিলাম। মাই ব্যাড।
  • shrabani | 124.30.233.101 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১১:৫২399108
  • শ্যামলবাবুর সব রান্নায় ফোড়ন সেই একই!
  • S | 202.140.54.29 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১২:০৬399109
  • শ্যামল যা লিখছেন সমস্তই কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গকেন্দ্রিক। এবং অত্যন্ত জেনেরিকতা দোষে দুষ্ট।

    কে বলল কাজের লোকের মাইনে বছর বছর বাড়ে না? মহার্ঘভাতাকে আজব চীজ হঠাৎ মনে হল কেন? কোথা থেকে খবর পেলেন যে সরকারি কর্মী মাত্রেই দিনে চার ঘন্টা কাজ করে? কাজের মেয়ে কম পয়সা পায় বলে দূ:খে আপনার বুক ফাটছে, আপনারই সমবয়েসী আইআইএম পাসআউট যখন লাখের অঙ্কে কামায় আর আপনি হাজারের অঙ্কে কামান, তখন সেটাকে বৈষম্য মনে হয় না?
  • san | 12.144.134.2 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১২:২৫399110
  • দক্ষিণপন্থীরা কাজের মেয়েকে বিশাল কিছু সম্মান করে থাকেন এইটা তো শ্যামলবাবু বলছেন বলে দেখিনি। তবে এক দলকে মহৎ না বলেও কেন আরেক দলকে হিপোক্রিট বলা যাবেনা এইটা আমার মোটা মাথায় ঢোকেনা।

    সাম্যবাদী কমরেডদের দ্বিচারিতা নিয়ে শ্যামলবাবু যা যা বললেন, এই সুতোয়, আমি অন্তত একদম একমত। লোকে যা প্রিচ করে তা কাজে না করলে হিপোক্রিট ছাড়া আবার কি বলবে? অপরপক্ষও তো করেনা, এটা বলা এখানে অবান্তর - তারা তো সমাজবাজ সাম্যবাদ নিয়ে প্রিচ করেনা।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১২:৩৫399112
  • কয়েকটি অবজার্ভেশন:

    ১) কাজের লোকের বেতন বছর বছর বাড়ে না, এইটা সর্বত্র সত্যি নয়। বিশেষ করে যেখানে ডিমান্ড খুব বেশি।

    ২) বাবু মাত্রেই মহার্ঘভাতা পায় না। বেসরকারি ক্ষেত্রে বছর গেলে এক পয়সাও মাইনে বাড়ে না এমনো হয় (নিজের বা ইউনিট বা সংস্থার পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলে)। এমনো হয় মাইনে কমে গেল (ভ্যারিয়েবল কম্পোনেন্ট)।

    ৩) আট ঘন্টা ধরাবাঁধা কাজের গল্প নাই থাকতে পারে। হতে পারে শনি-রবি বা রাতের ঘুম ভোগে গেল এবং তার জন্য এক পয়সা ওভারটাইম না পেলেও।

    তবে মূল বক্তব্যের বিষয়ে আলাদা কোন বক্তব্য নাই। মোটামুটি একমত।
  • san | 12.144.134.2 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১২:৫০399113
  • আইআইম পাস আউট বেশি মাইনে পাওয়া মানে বৈষম্য? কি কেলো !!!!!

    এর পরে কি শুনতে চলেছি - ক্লাসে একজন অংকে নব্বই পেয়েছে অতএব বাকি সকলের নব্বই না পাওয়া একরকম বৈষম্য? ;-)
  • kallol | 220.226.209.5 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১২:৫৬399114
  • কাজের লোক, অন্তত: দু রকম। ঠিকা আর সারাক্ষণের।
    ১) দুই ধরনের কাজের লোকই সপ্তাহে সাতদিন কাজ করে। কারন কাজের ধরনটাই তাই।
    ক) কিন্তু তারা যখন তখন ডুব মারে। তার জন্য অধিকাংশ সময় তারা আগে জানায়ও না। তাতে যেটা হয়, বাসন ধোয়া, কাপড় কাচা, ঘর পরিস্কার করার কাজগুলো করতে গিয়ে, অপিসে দেরী হয়, কখনো কখনো ছুটিও নিতে হয়।
    আর হ্যাঁ, এর জন্য কাজের লোকের মাইনে কাটা যায় না।
    খ) বছরে অন্তত: দুবার তারা দেশে যায়। এক সপ্তাহ বলে দেড় মাস কাটিয়ে আসে। গোটাটাই সবেতন ছুটি। বদলী যাকে দিয়ে যায়, সেও এক সপ্তাহের পর গাঁই গুঁই করে। সে দেড় মাসই থাকে, কিন্তু নানান ঝামেলা করে। এর মধ্যে মাইনে বাড়ানোর চাপও থাকে, যা অধিকাংশ সময়ে কিছুটা মানতেই হয়।
    ২) কাজের লোক যদি ঠিকা হয়, তবে সে কাজ করে বড়জোর চার ঘন্টা (দু বেলা ভাগ করে)। আর সারাক্ষণের হলে, তার কোন কাজের ঘন্টা নেই। তবে সে বিনা পয়সায় থাকা-খাওয়া-জামা কাপড় পায়। কিন্তু কাজের কোন ধরাবাধা সময় নেই বলে - কোন বাড়িতেই রাত্তির চোদ্দটার সময় কেউ তাকে বাটনা বাটতে বা চা করে দিতে বলে না। বাড়ির অন্য সকলে যখন অপিসে খাটাছে, তখন দুপুর বেলায় তার দিবানিদ্রায় কেউ ব্যাঘাত ঘটায় না।
    ৩) এখন ন্যুনতম মজুরী কত? আমার কলকাতার বাড়ীতে সকাল ও সন্ধ্যায় আলাদা মানুষ কাজ করে। সকালের জন বাসন মাজে, কাপড় কাচে, ঘর পরিস্কার কারে। তার মাইনে ৪০০ টাকা - দুঘন্টার জন্য। সন্ধ্যার জন রুটি করে আর একটা তরকারী বানায়। এক থেকে দেড় ঘন্টা। তার মাইনে ২০০ টাকা।
    সারাক্ষণের লোক, আমার বন্ধুর বাড়িতে নেয় ২৫০০ টাকা। থাকা,খাওয়া,জামা কাপড়,তেল,সাবান,ওষুধ, বছরে দুবার বাড়ি যাতায়াতের ভাড়া।
    পুজোর সময়। সকলকেই এক মাসের মাইনে বোনাস হিসাবে দিতে নয়।
    বছরে মোটামুটি একবার তার বাড়ির থেকে কেউ না কেউ আসে, সপ্তাহ খানেক থাকে। তার থাকা খাওয়া নিখরচায় হয়।
    তাদের বাড়িতে বিয়ে-শাদী হলে, আমরা নিমন্ত্রিত হই। জামাইয়ের ঘড়ি বা, মেয়ে/বৌয়ের সোনার দুলের বায়না মনতে হয়। অবশ্য সেটা করতে ভালই লাগে।
    ৪) বামপন্থী-ডানপন্থী কোন বাড়িতেই কাজের লোক সোফায় বসে না। বসলে কি করা হয় জানি না। তবে আমার দেখা যে কয়েকটা বাড়িতে কাজের লোক, সোফা কোন ছাড়, শোবার ঘারের বিছানাতেও বসে, তারা প্রত্যেকেই বামপন্থী।
    ৫) কাজের লোকের মাইনে প্রতি বছর বাড়ে। বাড়াটা কখনো ৫০,৭৫,৮০,১০০-র মধ্যে থাকে। সেটা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপরে। এটা ঠিকার হিসাব। সারাক্ষণেরটা জানি না।
    ৬) জিনিসের দাম বাড়লে - তারাও মাইনে বাড়ার কথা বলেন। এখন আমার বাড়িতে এটা চলছে। দুজনেই অন্তত: ৭০ টাকা বাড়াতে বলছে। সেটা ৫০ টাকায় নামবে। কিন্তু বাড়াতে হবেও।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০১399115
  • কলকাতায় যে কাজের লোক কোল্লোলদার কথামত ৪০০ টাকা নেয়, এইখানে একই কাজ (মাত্র দুইজনের সংসার, অতএব একঘন্টার আগেই কাজ শেষ) করতে নেয় ৭৫০ টাকা। সবে তিনমাস হয়েছে। কিন্তু এখন থেকেই মাইনে বাড়ানোর জন্য চাপ আসছে।

    চা আর জলখাবার চায়নি, কিন্তু দেওয়া হয়।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০২399116
  • ** কল্লোলদার
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৪399117
  • আর হ্যাঁ, সে মটিতেই বসে জলখাবার খায়। দু-তিনবার টেবিল ইউজ করতে বলেছি। কিন্তু বোধহয় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেনি।
  • h | 125.18.104.1 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৫399118
  • মোটামুটি যা আলোচনা তাতে 'ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা'র ভিত্তিতে কেসটা যেখানে গিয়ে দাঁড়াবে সেটা মোটামুটি এই। আমি ভালো মধ্যবিত্ত। বাকিরা খারাপ মধ্যবিত্ত। আমি যাই করি তার মহত জাস্টিফিকেশন আছে, সততার বা মতাদর্শের। আর বাকিরা ভীসন নিমের পাঁচন।

    এই শাটল কক টা পিটিয়ে কোন লাভ আছে কি?
  • r | 125.18.17.16 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৫399119
  • মধ্যবিত্তের ডাব্‌ল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে দ্বিমত থাকার কিছু হয় নি। সমস্যা হচ্ছে যে শ্যামলবাবু "গরু" নিয়ে একটি প্রবন্ধই মুখস্থ করে এসেছেন। অতএব, মধ্যবিত্তের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, পরমাণু চুক্তি, রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস, মায় সাইফ-করীনার প্রেম নিয়ে কথা শুরু হলেও সব ঘুরেফিরে সেই পরমব্রহ্ম, ওরফে "গরু"তে গিয়েই পৌঁছবে। খুব ভালোভাষায় বলতে গেলে, এরে কয় জীবনদর্শন, আর খুব খারাপ কথায় এরে কয় একঘেয়ে বরকন্দাজী। কিন্তু দুইয়ের মধ্যে মিল একটাই- এইজাতীয় বক্তব্য পেশকারী এককোক্তির পর্যায়েই থাকে, কোনো সুষ্ঠু আলাপচারিতা বা আলোচনার সুযোগ দেয় না।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৬399120
  • কেস দাঁড় করানোর কথা হচ্ছে না। কিন্তু ডেটা না দিলেও যে পয়েন্টাকারে সেই গোল গোল বৃত্তের মধ্যেই ঘুরবে।
  • lcm | 59.93.193.147 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৮399121
  • যাক!
  • san | 12.144.134.2 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৯399123
  • সে কট্টর কমরেডদেরও গরু রচনাই থাকে। সাদার বদলে কালো গরু হলেও হতে পারে ম্যাক্সিমাম। কিন্তু নিজের নিজের গোয়ালের বাইরে কেউই বেরোয় না। অধিকাংশের কথা বলছি আর কি। বামপন্থীদের মধ্যে খোলামনের লোকজন বেশি বাকিরা বেশিরভাগ রচনা বই মুখস্ত করে আসে - এটাও একধরণের গরু রচনাই তো হল :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন