এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ছোটোগল্প

    Cam
    বইপত্তর | ২৭ জুন ২০০৮ | ৪৫২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cam | 131.95.121.107 | ২৯ জুন ২০০৮ ২১:৩৯400930
  • আরে কার্ল না কার্ল না -ও তো অস্কার! ভারী ভালো ছেলে ছিলো সেই সরল সোজা জার্মান ছোকরা-প্রেসিশন মেশিনারির কাজ করতো,কিন্তু সন্ধ্যে হলেই ভীষণ মদ খেয়ে মাতাল হয়ে যেতো আর মাথা ব্যথা হয়ে মাথায় পট্টি বাঁধতো! সেই পট্টিবাঁধা মাথার লোক হয়ে সে অত সূক্ষ্ম জিনিসের কাজ করতো কিকরে মুজতবা ভেবেই পেতো না!
    মুজতবা আলির এইসব গল্পগুলো এক একটা জেম!
    "কাফে দে জেনি" পড়েছেন কেউ? জিনিয়াসদের কাফে?
  • Sudipta | 219.64.67.128 | ২৯ জুন ২০০৮ ২১:৪৬400931
  • তা আর পড়ব না! চাচাকাহিনীর কোনো গল্প-ই কি বাদ দেওয়ার মত! :-)
  • cam | 131.95.121.107 | ২৯ জুন ২০০৮ ২১:৫৫400932
  • অস্কারের কথা ছিলো এরকম-তখন সে ভীষণ মাথাব্যথায় কাবু হয়ে প্রতিজ্ঞা করছে আর জীবনে বীয়ার ছোবে না-বলছে""মাথার ভেতর যেন এরোপ্লেনের প্রপেলার চলছে, চোখে দেখছি সারি সারি গোলাপী হাতী চলছে,জিভ টাগরায় ইস্কুরুপে আঁটা হয়ে গেছে,কানে শুনছি মা যেন বাবাকে ঠ্যাঙাচ্ছে।উফ উফ উফ।""
    একটু ভুলভাল হলো হয়তো, কিন্তু এরকমই বলতো অস্কার।:-)))
  • cam | 131.95.121.107 | ২৯ জুন ২০০৮ ২২:১১400933
  • অসাধারণ ছোটোগল্প বিভূতিভূষণের "জলসত্র"। ধু ধু কচু-চুষির মাঠ পেরিয়ে তৃষ্ণার্ত পথিক এসে জল পায় সেখানে। একটি ছায়া করা বটগাছ সেখানে। অনেকদিন আগে সেইগাছ যখন কচি চারা তখন এক গরীব ফেরিয়ালা তার বোনকে নিয়ে ওখান দিয়ে যেতে যেতে বোনটা তৃষ্ণায় এলিয়ে পড়লো,একটু এগিয়ে জল পাবে বলে ভোলাতে ভোলাতে আনছিলো দাদা,কিন্তু একটু এগিয়ে মানে সে বহু মাইল। ঐ কচি বটচারার কাছে এসে বোনটা একেবারেই লুটিয়ে পড়লো,দাদা ছায়ায় তাকে রেখে দৌড়ে গেলো জল কোথাও যদি পায়, ধু ধু মাঠ পার হয়ে যদি জল মেলে গাঁয়ে, কিন্তু সে তো বহুদূর-
    জল নিয়ে ফিরে এসে সে দ্যাখে বোনটা মরে গেছে-অসহ্য তৃষ্ণায় সে কচু ঝোপ থেকে কচুর ডাটা তুলে চুষেছিলো, তাই মুখে লেগে আছে। সেই থেকে ঐ মাঠের নাম কচুচুষির মাঠ।
    সে মেয়ে দাদাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে মিনতি করে বলতো দাদা ঐখানে তুই একটা জলসত্র গড়ে দে।
    সেই দাদার দেওয়া জলসত্র।
    কবেকার পড়া গল্প-সামান্য এইকটা কথা লিখতে লিখতে লিখতে কেমন শিউরে উঠছে মন-বহুকাল আগের অকালমৃতা সেই গাঁয়ের মেয়ে যেকিনা দাদাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলতো দাদা দাদা তুই ওখানে একটা জলসত্র গড়ে দে।
    কতকাল আগের সব বিশ্বাস, সব গ্রামের লোকজ বিশ্বাস আজ এসব হয়তো আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যই নয়-তবু দক্ষ শিল্পীর তুলির টানে মানুষের ভেতরের সেই অকৃত্রিম মাটিজলহাওয়ার মানুষটা বেরিয়ে এসে আকাশের নীচে দাঁড়ায়,মুক্ত করে দেয় তার রুদ্ধ আশ্রু।
    কালজয়ী লেখা তো এইসবকেই বলে,তাই নয়?

  • cam | 131.95.121.107 | ৩০ জুন ২০০৮ ০১:১২400934
  • একটি অন্যরকম ছোটোগল্প শত্রুজিৎ দাশগুপ্তের "সঞ্চয়"। একজন মানুষের আরেকজন হয়ে যাওয়ার কাহিনি। কিন্তু অনেক কষ্টে পাওয়া সোনার শেকলের বন্ধন ছিন্ন করা যে সোজা নয়!
    নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ ঘরের ছেলে নিজের চেষ্টায় শহরে ব্যবসা করে উন্নতি করে, গ্রাম থেকে ভাইদের এনে সে অংশীদার করতে চেয়েছিলো-ভীতু ভাইরা সংস্কারের বন্ধন ছাড়তে পারেনি। পরে তারা কর্মচারী হয়েছিলো কিন্তু সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই। ততদিনে উন্নতিকামী ব্যবসায়ী এস ভট্টাচার্য্য অনেক বড়োলোক, ততোধিক বড়োলোক ও প্রভাবশালী শ্বশুরের সাহায্যে আরো দ্রুত উন্নতি হয় তার-ছেলেমেয়েরা চলে যায় উন্নত আবাসিক বিদ্যালয়ে।
    এই সবদিকে অর্থে ও উন্নতিতে ঝলমল করা সংসারের মাঝখানে বসে মানসিক অসুখ হয় ভদ্রলোকের-সমস্ত রকম চিকিৎসা হয়-কিন্তু ওর কেবল মনে হয় সব শুকনো হাড় শুধু,সে শৌনক, শুকনো হাড় নিয়ে কামড়াকামড়ি করছে। কোনো আশ্রয় নেই তার, কোনো বিশ্বাসের ভূমি নেই,কোনো বিশ্বাস করার মতন আপনজন নেই, কোনো সংস্কারের বা বিশ্বাসের খুঁটি নেই যাকে ধরে নেই ঝড়ে উড়ে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
    মানসিক অসুখ কিছুটা কমলো চিকিৎসায়, কিন্তু এতটাই অনুজ্জল দুর্বল লাগে তাকে যে ডাক্তার পরামর্শ দেয় হাওয়াবদলের-বহু নামীদামী জায়্‌গা তোলাপড়া করে শেষে তিনি আর স্ত্রী যান চিরচেনা পুরীতে, সমুদ্রতীরে। পর্যটকাক্রান্ত অঞ্চল থেকে একটু দূরে অপেক্ষাকৃত নির্জনে হাওয়াবদল। এইখানে এসে নবজন্ম হলো ওনার, মরে গেলো এস ভট্টাচার্য্য, জন্ম নিলো নতুন এক মানুষ, যে মাঝিদের সঙ্গে মিশে গেলো তাদের একজন হয়ে।
    আসল গল্পটা অনেক মুনশীয়ানায় লেখা, এই হাড়াহাড়ি(মানে হাড়ের কাঠামোর মতন লেখায়) লেখায় কিছুই বোঝাতে পারলাম না,অনুরাগীরা সুযোগ পেলে পড়ে নেবেন।
  • cam | 131.95.121.107 | ৩০ জুন ২০০৮ ০২:১৩400935
  • বনফুলের সেই ঝকমকে উইটি গল্পটা-নাম মনে নেই। কারুর মনে থাকলে বলে দেবেন প্লীজ।
    কাহিনিভাগ এমন-লেখকের কাছে ধার করে ছকু দোকান দিয়েছিলো, কিন্তু দোকান ভালো চললেও ধার আর শোধের নাম করে না।রোজই বিকেলবেলা উনি যান, দোকানে বসে গল্পটল্প করে চলে আসেন,কিন্তু টাকা পান না।
    ছকু বলে ব্যবসা আর যুদ্ধ আসলে নাকি একই কথা,ছলেবলে কৌশলে জয় করাই নাকি আসল। উদা দেয় ব্রিটিশ কোম্পানী যখন ভারতে প্রথম এসেছিলো তারা ছিলো ধূর্ত ব্যবসায়ী, অনেক কূট কার্য্য তারা করেছিলো,নন্দকুমারের ফাঁসী দিয়েছিলো, হেস্টিংস অনেকরকম ইয়ে করেছিলো।তখন নাকি তারা ছিলো খাঁটি ব্যবসায়ী। কিন্তু দেশের জলহাওয়ার ফল ফললো,ব্যাটারা সাধু হয়ে পড়লো। যেই না গান্ধীজী কুট করে বল্লেন কুইট ইন্ডিয়া, অমনি ব্যাটারা সুট সুট করে ভেগে গেলো!
    এইসব শুনে লেখকের হৃৎকম্প হয়, ধারের টাকা ফেরৎ পাবার আশা তিনি ত্যাগ করেন।
    কিন্তু তবু অভ্যাসবশে যান,বসে গল্প করে চলে আসেন। একদিন দ্যাখেন এক স্যাকরা এসে ছকুর কাছে টাকা নিয়ে গেলো, ছকুর বৌয়ের হার গড়াতে দিয়েছিলো।
    লেখক সেদিন নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরে আসেন, শেষ লাইনটিই মারাত্মক পাঞ্চলাইন-"গল্পের রসভঙ্গ হইবে বলিয়া আগে বলি নাই, ছকু আমার জামাই।""
  • nyara | 64.105.168.210 | ৩০ জুন ২০০৮ ১১:৫৭400936
  • সত্যজিতের 'এক ডজন' এবং 'আরও একডজনের' গল্পগুলোকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোটগল্প বলে আমার মনে হয়। তবে ঐ যে, 'সোশাল কন্টেন্ট' নামক ধূসর সংজ্ঞার মালটিকে চেনা যায় না বলে গল্পগুলো নিয়ে সিরিয়াস আলোচনা হয়না ও আঁতেলদের পাত্তা পায় না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ জুন ২০০৮ ১২:০৫400937
  • রঞ্জনদা - কার্ল নয়, অস্কার। মাথায় ফেট্টি বেঁধে প্রিসিশন মেশিনে কাজ করতো। বোনের নাম মারিয়া। বেলতলাতে দু দু বার।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ জুন ২০০৮ ১৪:৫৬400938
  • তব্বে চাচাকাহিনীর অন্যতম সেরা গপ্পো "বেঁচে থাক সর্দিকাশি' - গপ্পোটা পড়ে সেই সময় দানিয়ুব/রাইনল্যাণ্ড না দেখে থাকলেও বুঝে গেসলুম। আর ঝটকা খাওয়ানো গল্প হল "পণ্ডিতমশাই'।

    শুধু কি বাংলাই হবে? তাইলে যে অনেএএএক কিছু বাদ পড়ে যাবে - দ্য লাস্ট লিফ, দ্য গিফট অব দ্য মেজাই-এর মতন।
  • ranjan roy | 122.168.7.197 | ০১ জুলাই ২০০৮ ০১:২৫400940
  • অস্কার, অস্কার। ঠিক।
    কার্ল অন্য গল্পের নায়ক। বার্লিনে মুজতবার বন্ধুর বড়দা। অত্যন্ত হ্যান্ডসাম ছেলেটি মুজতবাকে নিজের বৌএর সংগে পরিচয় করিয়ে বলে -- আমি কার্ল, এই ইডিয়েট্‌টার দাদা। আর ইনি হলেন আমার শির:পীড়া, অর্থাৎ ভামিনী। মুজতবা মুচকি হেসে বল্লেন--- আমার কাছে কিন্তু শির:পীড়ার ভালো হাকিমী দাওয়াই আছে।
    কার্লের একসময় সাম্যবাদী দলের সংগে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সুবাদে ও নাজীদের হাতে গ্রেফতার হয়। মারা যায়।
    বর্লিনে বোমাবর্ষণের সময় রিফিউজি হয়ে মাল টেনে টেনে বহু মাইল যেতে যেতে কার্লের বউয়ের পিঠ স্থায়ী ভাবে বেঁকে যায়।
    মুজতবা পরে জার্মনি গিয়ে ওনার সাথে দেখা করেছেন।
    আর মাটিল্ডের গল্প? বা " দ্য ত্রো''? জাহাজে করে ঝোড়ো সমুদ্র পেরিয়ে ঘটনাচক্রে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মারাঠি ও গুজরাটি কে হারিয়ে বাঙালীর সুন্দরীকে নিজের কেবিনে শোয়ানোর গল্প?
  • cam | 131.95.121.107 | ০১ জুলাই ২০০৮ ০১:৩২400941
  • আরেকটি গল্প-হাসি দিয়ে শুরু হয়ে গভীর অশ্রু-টলমল। এটাও মুজতবার। পুনশ্চ। ঘটনাস্থল প্যারিস। সন্ধ্যেয় এক গোল্ড ডিগার সুন্দরী লেখকের প্রায় সর্বস্ব খরচ করিয়ে বিদায় নেয়। পরে দেখা হয় সেই গরীব মেয়েটির সঙ্গে, সে এত দুর্বল হাঁটতে হাঁটতে পড়ে যায়। উপবাসিনী। সেই তার প্রথম রাত্রি, নিরুপায় হয়েই সে নেমেছে। যাই হোক সামান্য যে কটা কড়ি বাকী ছিলো তা দিয়ে স্যান্ডউইচ ইত্যাদি খাইয়ে ওকে বাড়ী পৌঁছে দিলো লেখক। পরদিন মেয়েটির একটা চিরকুট সমেত একটা সোয়েটার-সে উপহার দিয়ে গেছে।সে গ্রামে চলে গেছে-উপবাসে মরা সেখানে সহজ হবে।
    গল্পগুলো তো গল্প নয়, একেকটা রত্ন, রত্ন।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০১ জুলাই ২০০৮ ১০:০২400942
  • কর্নেলের গল্পটাও দুর্ধর্ষ - হের ওর্বের্স্ট - মুজতবা কিছুদিন পেয়িং গেস্ট হিসেবে ছিলেন আর গ্যেটে পড়তেন ওঁর সাথে। মেয়েকে কর্নেল তাড়িয়ে দিয়েছিলেন কারণ সে এক ফরাসীকে বিয়ে করেছিলো। মুজতবাকে চলে যেতে বলেন - কারণ উনি সেই মেয়ের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন। আর কখনো কর্নেল পেয়িং গেস্ট রাখেননি, একরকম না খেতে পেয়ে মারা যান।

    সত্যি - প্রতিটা গল্পই রত্ন।
  • cam | 131.95.121.107 | ০২ জুলাই ২০০৮ ২২:২৯400943
  • ছোটোগল্প বিষয়ে বলতে গেলে প্রভাতকুমার মুখো ও অনবদ্য। কেউ এনার লেখাপত্র নিয়ে এট্টু এট্টু কন তো!
    নরেন্দ্রনাথ মিত্র ও ছোটোগল্পে দক্ষ।এনার লেখা নিয়ে কেউ কন।
    ছোটোগল্প সংকলন ভালো কিছু কেউ যদি পান, সংবাদ দিবেন প্লীজ।
  • ranjan roy | 122.168.7.197 | ০২ জুলাই ২০০৮ ২৩:৪৫400944
  • নারান গাঙ্গুলি ছোটগল্পের থিওরি বা বাংলা ছোটগল্পের ইতিহস ছাড়াও নিজে অনেক ভাল ভাল গল্প লিখে গেছে।
    নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ""রস'' বেশভাল গল্প। পরে অমিতাভ-নূতনে্‌ক নিয়ে সিনেমা হল। কিন্তু গল্পটা অনেক ভাল। মতি নন্দী বেশ ভাল গল্প লেখেন। প্রফুল্ল রায়ের "" রাজা আসে রাজা যায়'' আমার দারুণ লেগেছিলো। এটা নিয়ে কাল বলবো। কেউ তারাশংকর আর জগদীশ গুপ্তের ছোট গল্প নিয়ে বলুন।
  • Abhyu | 204.52.215.1 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ০০:৩৯400945
  • পাইক শ্রীমিহির প্রামাণিক - কারো পছন্দ?
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২৩:৫৭400946
  • আশাপূর্ণা দেবীর কথা কি কেউ লিখেছেন। ওনার গল্পগুলো যে সব ভালো লাগত তা নয়। তবে একটু অন্য ধরণের। কোন একটা বইয়ের ভূমিকায় পড়েছিলাম উনি ছোটগল্প যখন লিখতেন তখন খুব নৈর্ব্যক্তিক আর উপন্যাস লেখার সময় রেবেল। আর বেশির ভাগ গল্পই মেয়েদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা। সেটাই স্বাভাবিক। তাই ছোটগল্প লেখকদের মধ্যে ওনার স্থান একটু অন্যরকম। তবে যেটা পড়ে খুব কষ্ট হয়েছিল, সেটা একটা বাচ্ছা ছেলেকে নিয়ে লেখা। ছেলেটি চুরি করতে এসে ধরা পড়ে। কিন্তু বাড়ির কর্তা তাকে জেলে না দিয়ে বাড়িতে কাজ দেয়। একদিন বাজারে গিয়ে ছেলেটি আর ফেরে না। বাড়ির সবাই কর্তাকে দুষছে। এমন সময় খবর এলো ছেলেটির অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। নামটা মনে নেই। বেশ ড্রামাটিক কিন্তু মন খারাপ হয়েছিল।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০০:০২400947
  • আশাপূর্ণা দেবীর হিউমার বোধ ছিল অসাধারণ। আর দৈনন্দিন জীবনের হিপক্রিসিগুলো দেখার ছিল অসাধারণ চোখ।
    একটা গল্পে আছে, বাড়ির গিন্নি ঝিকে ধমকেছে, বোধ হয় ছাড়িয়েও দিয়েছে কারন ঝি কি একটা ছোট জিনিষ চুরি করেছে।
    আর বোধ হয় একটা প্লাস্টিকের বালতি বা এরম কিছু ছিল যেটা বাড়ির কর্তা আপিস থেকে " না বলে চেয়ে এনেছেন"।
  • cam | 131.95.121.107 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৪৮400948
  • আশাপূর্ণা দেবীর "বরফজল" বলে একটা তীক্ষ্ম ছোটোগল্পের কথা বার বার মনে হচ্ছিলো ঐ সঙ্গীতা বন্দ্যোর থ্রেডে যখন কাছাখোলা নাচানাচি চলছিলো তখন। ভালগারিটি নিয়ে নেকুপনার যুগে গল্পটা একটা সপাট থাপ্পড়। কতকাল আগেই ভদ্রমহিলা কতটাই এগিয়ে ছিলেন নির্মোহ দৃষ্টিতে!
    দ্বিমত থাকতে পারে অবশ্যই, কিন্তু যে বাস্তবতা কলমের মুখে ঝকমক করে উঠেছে, সেটা স্বীকার না করে উপায় নেই।

  • c | 131.95.219.92 | ১১ জুলাই ২০০৮ ২০:৩৮400949
  • নাহ,কেউ বোধহয় বাংলা ছোটোগল্প পড়ে না।
    কিন্নর রায় আর দেবর্ষি সারগীর গল্পগুলো নিয়ে কেউ তো লিখতে পারতেন! অনেকদিন জানার ইচ্ছে যে এদের লেখা সম্পর্কে পাঠকেরা কি বলেন।

  • c | 131.95.121.107 | ১২ জুলাই ২০০৮ ২০:৫৪400951
  • সুবোধ ঘোষের ছোটোগল্পগুলো নিয়ে কেউ যদি কিছু বলতেন!
  • c | 131.95.121.107 | ১৫ জুলাই ২০০৮ ০৩:২৮400952
  • প্রেমেন্দ্র মিত্র। শক্তিশালী লেখনী তার। অন্য লেখার সঙ্গে ছোটোগল্পগুলো তার পরিচয়। আমাদের পাঠ্যে ছিলো "পুন্নাম" বলে প্রেমেন্দ্রমিত্রের একটা অসাধারণ ছোটোগল্প। এক দরিদ্র কেরাণী পরিবার আর অসুস্থ শিশুপুত্রকে ঘিরে কাহিনি। খুবই মুনশীয়ানায় লেখা গল্প।শেষে এসে একটা ধাক্কা লাগে। শেষটুকু অশেষ হয়ে যায়।
  • c | 131.95.121.107 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ২১:০৬400953
  • তুলে দিলাম।
    ইচ্ছে মতন নতুন পুরানো লেখা নিয়ে লিখুন।
    সুনীল শীর্ষেন্দুও তো এককালে ভালো ভালো ছোটোগল্প লিখেছেন! আর লীলা মজুমদারের গল্পগুলো...আশাপূর্ণা দেবীর...
    আরে যারা যেখানে যা পড়েছেন সবই তো বলা বাকী।বলুন।
  • bratin | 198.45.18.84 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ২১:২৩400954
  • বিভূতিভুষন এর "মর ফো লজি" পড়েছেন ? গল্প ট হলো এইরকম

    এক প্রবীন অধ্যাপক দেখ ছেন practical exam এ এক টি মেয়ে কিছু তেই exam এ দেয়া সমস্যা টার সমধান কর তে পার ছে না। তিনি lab in charge কে বল লেন মেয়ে টিকে সাহায্য করতে । মেয়ে টিকে কেন যেন তার খুব চেনা চেনা লাগ ছে । পরে জানা যায় মেয়ে টির মা profcollege সময়ে র প্রেমিকা ।
  • c | 131.95.121.107 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ২৩:২১400955
  • দেবর্ষি সারগীর গল্পগুলো কেমন লাগে?
  • c | 131.95.121.107 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ২৩:২২400956
  • "পরশুরামের কুঠার" বলে একটা গল্প আছে,সেটা কেউ পড়েছেন?
  • Bratin | 198.45.18.38 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ২২:৩৬400957
  • c, দেবর্ষি সারগী পড়ি নি । বিভূতিভুষন র আরো কয়েক টা অসাধারন ছোট গল্পে র কথা মনে পর ছে । এক টা হলো তাল নবমি । গ্রামের এক টা দরিদ্র ছেলে তাল কুড়িয়ে পায় ; কিন্তু নিম ন্ত্রন পাবার আশায় সে তালের জন্যে কোনো পয়সা নেয় না । রাতে সে স্বপ্ন দেখে লাবণী দি তার পাতে উপুড় করে তাল ফুলুরি দিচ্ছে । কিন্তু স্বপের সঙ্গে বাস্তবের মিল খুব কম । পরের দিন দেখে পাড়া র সকলে নিমন্ত্রিত । তাদের বাড়ি ছাড়া । আরেক টা গল্প হল "হিং এর কচুরি" । যা থেকে বাঙ্গ লা তে "নিশিপদ্ম" আর হিন্দি তে "অমর প্রেম" cinema গুলি হয়েছে ।

    ছোট গল্পের অরেক জন শক্তিশালি লেখক হলেন "পর শুরাম" । ওনার লেখা "চিকিৎসা বিভ্রাট", "কচি সংসদ" , "লম্ব কণ" , এবং আর অনেক গল্প চিরন্তন সৃষ্টি ।
  • c | 131.95.121.107 | ২৩ জুলাই ২০০৮ ২০:৫৬400958
  • প্রভাতকুমারের ছোটোগল্পগুলো আবার পড়তে পড়তে বেশ একটা ঝরঝরে হাসির আবহাওয়া তৈরী হচ্ছে।কিছু কিছু অশ্রুঝলমল ও আছে।কিন্তু হাসির লেখাই প্রভাতকুমারের আসল মুনশীয়ানা।
    কেউ লিখুন প্রভাতকুমারের গল্প নিয়ে।
  • Blank | 170.153.62.251 | ৩০ জুলাই ২০০৮ ২৩:৪৪400959
  • তুলে দিলাম
  • c | 131.95.121.107 | ৩১ জুলাই ২০০৮ ০৪:৪২400960
  • আরে তুলে দিলে কি হবে? লেখো না বাপু নিজেরা।
  • Bratin | 198.45.18.48 | ৩১ জুলাই ২০০৮ ১৯:৫০400962
  • বনফুলের আরো কয়েক টা গল্প মনে পড় ছে । প্রথম টা কে অনু গল্প বলা যেতে পারে। সব মিলিয়ে ৫-৬ line র গল্প । গল্প টা এই রকম

    তাদের দু জন কে ই আজ দেখ তে এসেছে ।

    প্রথম জন কে পছন্দ হল কারন সে কালো । পরের জন কে হল না কারন সে কালো ।

    বলি র জন্য কালো পাঁঠা সু লক্ষ ন । বিয়ের জন্যে কালো মেয়ে নয়।

    গল্প টা পড়ে চম কে গিয়েছিলাম । এত অল্প কথা ই এত গভীর কথা বলা তাঁর পক্ষে ই সম্ভব ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন