এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ধরণী দ্বিধা হও :)

    kS
    অন্যান্য | ০৬ নভেম্বর ২০০৮ | ৪৪৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.70.38 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৮ ২২:১০405870
  • যাঁরা শিল্পাদিদি ও শাবানাদিদিকে বকাবকি করেছিলেন তাঁদের উদ্দেশে প্রয়াত কবি শক্তি চাটুজ্জের একবার কফিহাউসে চারমিনারের প্যাকেটের ওপর লেখা নিম্ন বাক্যবন্ধটি উপযুক্ত----"" বঞ্চিত বাঞ্চোতেরা''।
    যাঁরা আমার সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেন তাঁরা ""Aye'' এবং অন্যেরা ""Nay'' বলুন বা আমাকে খিস্তি করুন!
  • ranjan roy | 122.168.70.38 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৮ ২২:২৪405871
  • অজ্জিৎ,
    উহুঁ, মেয়েটির কথায় বার খাইনি তো, খেয়েছিলাম তোল্লাইবাজ বন্ধু ও ছোটভাইয়ের কথায়। আবার ওরা বার খেয়েছিলো মেয়ের মার "" ভালো ছেলে'', ""অন্য জাতে আপত্তি নেই'' শুনে।
    ভেবেছিলো উনি বোধহয় আমার দিকে ইশারা করছেন। আমি যে রেজিস্টার্ড ভালোছেলে! ""আগমার্কা মুরগীর ডিম'' এর মত:))))।।
    যাকগে, আমার ভালোছেলে হয়ে ছড়ানোর আর একটি গল্প বলে সিরিয়াস লেখায় মন দেব।
    মুশকিল হল আমার সিরিয়াস লেখা ইয়ার্কি আর ইয়ার্কিগুলো সিরিয়াস হয়ে প্রায়ই ডোবায়।
  • ranjan roy | 122.168.70.38 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৮ ২২:৩৮405872
  • শেষ ছড়ু ঘটনা।
    ------------------------
    বিয়ের পর মধ্যবিত্ত বাঙালী পরিবারে আশা করা হয় নতুন বৌ সবার পরে শুতে যাবে আর সবার আগে উঠবে। তা' আমার মত ইয়ে সক্কাল বেলায় ওনার তাড়াহুড়ো করে বিছানা ছাড়ার উপক্রম দেখলেই বাধা দিত। বলত -- এত তাড়াতাড়ি ওঠার কোন দরকার নেই।
    ---- কি বলছ! মা উঠে গেছেন যে। পরে বদনাম হবে। যদি কিছু বলেন? আমি লজায় মরে যাবো।
    ---- যখন কথা উঠবে তখন দেখবো।
    ---- আহা! তখন তুমি আর কি দেখবে?
    যাকগে, সপ্তাহতিনেক পরে ও মুখ কালো করে বল্লো---- হল তো? আজকে মা আমাকে ডেকে বল্লেন-" তোমার বাবা বলছিলেন বাড়ির বৌ এতবেলা করে উঠলে ভালো দেখায় না।''
    ---- ঠিক আছে, কাল থেকে সক্কালবেলায় উঠেপড়বে।
    ----- সে তো উঠবই। কিন্তু আমার যে ফালতু বদনাম হল, কথা উঠলো, তার কি হবে? এসব করে তোমার কি লাভ হল বলতো?
    ------ আসলে আমার খুব আফশোস ছিল যে আমার জন্যে আজ অব্দি কোন মেয়ে বদনাম হয় নি। আমাদের পাড়াতেও না। সেই আফশোস দূর হল, ব্যস্‌।
    ---আমি তোমার পাড়ার-বেপাড়ার মেয়ে নই,ভোপালের মেয়ে , বুঝলে!!!
  • kS | 122.169.89.59 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৮ ২৩:৫৯405873
  • !!!!! :-)
  • rimi | 168.26.215.135 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ০১:৩৩405874
  • বাপ রে!! এই জন্যেই বিয়ে করতে ভালো লাগে না। বিয়ে করা আর জেলে যাওয়ার মধ্যে কোনো তফাৎ নাই :-((
  • aja | 207.47.98.129 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ০১:৪৫405875
  • গুড। আর করিস না :)।
  • c | 131.95.121.107 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ০১:৫৬405876
  • এলিজাবেথ টেলারেরে কন গিয়া। ;-)
  • aja | 207.47.98.129 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ০১:৫৯405877
  • পাড়ার মাইয়াগো এই সব কইতে নাই।
  • Du | 67.111.229.98 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ০৩:১৫405878
  • আমি তো আগে জানতাম এইগুলো ঘটিদের সিস্টেম।
    অবশ্য ব্রাহ্মণদেরও, অসমীয়া, বাঙালী নির্বিশেষে সেই বৌদের ভোরে উঠে চান ইত্যাদি।
    আমাদের বাড়িতে আশি বছর পর্য্যন্ত দিম্মাই আনবিটেন রেকর্ড হোল্ডার আর্লি রাইযিং আর লেট স্লীপিং এর, মামীরা কম্পিটিশন দেবার চেষ্টাও করেনি।

    রেসিস্ট কমেন্টের জন্য আগেই মাপ চেয়ে রাখলাম।
  • san | 123.201.53.144 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১০:৩০405880
  • কি ভয়াবহ জীবন ! এর থেকে তো ভূত হয়ে বাঁচা অনেক ভালো ছিল !! সোজাও ছিল।
  • d | 203.143.184.10 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১০:৩৭405881
  • রঞ্জনদার এই শেষের গল্পটা পড়ে ঠিক হাসতে পারলাম না।
  • san | 123.201.53.144 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১০:৪১405882
  • হাসবে! হাসবে কেন! ভয়ের গল্পে কেউ হাসে নাকি ! কি মুশকিল !
  • h | 203.99.212.224 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৮405883
  • হাওড়া থেকে রাত পেরিয়ে পটনা, সেখেন থেকে গয়া(পুরি সব্জী), দুপুর দুপুর কাশী(রুটি সব্জী), তার পর সন্ধেবেলা লক্ষ্ণৌ (রুটি মাংস), সেই রাত পেরোলে সক্কাল সক্কাল সমতলে শিবশম্ভূর প্রথম ঠেক। হরিদ্বার। সেখেন থেকে আবার বাসে মুসোরী(স্ট্রবেরি), তেহরী(কমলালেবুর রস) হয়ে উত্তরকাশী। উত্তরকাশীর কিলোমিটার দশেক আগে একট পুঁচকে বাজার , তার নাম ডুন্ডা(শুধুই মিছরি)।
    সেইখানে একটা ছোট্টো স্কুল। সাকুল্যে ছাত্র ছাত্রী জনা তিরিশেক। তাদের জন্য মাশটার আর দিদিমণি আর প্রিন্সিপাল ও আকাউন্টান্ট, প্লাম্বার আর ইলেকট্রিশিয়ান, ম্যানেজার ইত্যাদি মিলিয়ে জনা পনেরো। খাজনার চেয়ে বাজনা ডেফিনিটলি বেশি।
    অপূর্ব সুন্দর জায়্‌গা। উত্তরকাশী যাওয়ার রাস্তাটার উপরে যেখানে দেবিধরের ঝর্না টা আছড়ে পড়ছে
    তার থেকে ফিট পঞ্চাশেক দুরে ভাগীরথী। তিহরি ড্যাম চালু হয়ে গেলে এই স্রোত টি থাকার কথা নয়। তো পাকা রাস্তা ধরে দুশ গজ গেলেই, ডান পাশে একটা ছোটো টেবিল টপ ভ্যালি। নামহীন। সেইখানে ইশকুল। রাস্তার এক পাশে বিরাট বিরাট সব পাইনে ঢাকা পাহাড়, অন্য পাশটায় এই টেবিল টপ। টেবিল টপ কেনো? কারণ ভ্যালিটির দৈর্ঘ্য আধ কিলোমিটার হলেও, প্রস্থ পঞ্চাশ মিটারের বেশি নয়। এই পঞ্চাশ মিটার টুকু পেরিয়ে গেলেই ভাগীরথীর খাদ। শ দুয়েক ফিট। তবু শীত পেরিয়ে বসন্ত যখন আসে একটু একটু, উপরের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করে, তখন ঐ শ দুয়েক ফিট নীচ থেকেই, বাড়তে থাকা জলের একটা শোঁ শোঁ আওয়াজে কানে তালা লাগে। সারারাত শোঁ শোঁ। বর্ষাকালে তো কথাই নেই।

    সেখানে সকালের দিকে পাখি সব করে রব ইত্যাদি। ছেলে মেয়েরা অংক শিখতে শিখতে স্ট্রেট গাছ ধরে ঝুলতে আরম্ভ করলে, বা ঘাড়ের উপরে উঠে আজ গণিত নহী করেঙ্গে , আজ স্যার কহানী সুনায়েঙ্গে বলে তারস্বরে চেঁচায়, তাহলেও কিছু বলার নেই। কারণ বিদ্যালয়ে শাসন, পুরষ্কার,শাস্তি নিষিদ্ধ। অনুশাসন শাসনে আসে না ঠিক, কিন্তু সেক্ষেত্রে হেলমেট ও গার্ড, কানে তুলো ও নাকে অক্সিজেন, সহ ফুল ক্রিকেট কিট ও কোমরের অর্থোপেডিক বেল্ট কিম্বা নভোচারীর ফেলে দেওয়া পোশাক মাষ্টার দের পক্ষে বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত ছিল। তো দিনের বেলা গুলি প্রাণান্তকর মাঝে মাঝে হলেও হানিকারক নয়।
    রাতি পোহানোটা একটু চাপ। কারণ রাত টুকুর জন্য ক্ষুদেরা যাদের হাতে ধেড়ে মাষ্টারদের ছেড়ে দিয়ে যায় তারা একটু প্রকৃতির কোল ঘেঁষা। ধরুন বারান্দায় বসে সন্ধের মুখে ভাগীরথের ওপারের পাহাড় আর পেঁয়াজের স্টেপ ক্ষেত দেখছেন সিলভার ওক বা বার্চের ফাঁক দিয়ে, এমন সময় যদি ঘনবাদামী রোঁওয়া ওঠা কেউ ফস করে সামনে দিয়ে পেরিয়ে যায়, চমকানোর কিছু নেই, ও ভ্যালির পরিচিত শেয়াল। প্রিন্সির নির্দেশ, শি হ্যাজ আ নিউ ফ্যামিলি, প্লিজ বিহেভ রেসপন্সিবলি। মাঝে মাঝে যদি মালী ভাইয়ার মেয়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে বলে যায়, তাদের আরেকটি মুর্গীও কাল রাতে বাগীরা টেনে নিয়ে গেছে, তাহলেও চমকানোর কিছু নেই,বারান্দার কোণার সিঁড়ি বেয়ে যদি আপনারি ঘরে আপনার আগে ঢুকে যেতে চায়, বিভিন্ন ধরণের পেল্লায় সাপ, তাহলেও পিতৃপুরুষ তথা বীরেন্দ্রকেষ্টর মৃনময়ী বা বাংলা কালীঘাটের ন্যাংটামার নাম জপতে জপতে বীর পাচক ভজন সিংহ কে ডাক
    দিলেই চলবে। সে এসে তাকে টরচের আলো মেরে মেরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করে তাড়িয়ে দেবে, এবং বলে যাবে ইয়ে কাটতে নহী হ্যায়, ঠন্ড হোনে সে অন্দর আ যাতেঁ হ্যায়। প্রচন্ড ভয়ে ঠক ঠক করে সমতলসন্তানদের কাঁপতে দেখলে কারবোলিক অ্যাসিডের কেন্দ্রীয় বোতল টি থেকে ছিটে ফোঁটা দিয়ে যান সিঁড়িতে বা চৌকাঠে। সে অ্যাসিড ও অবশ্য মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সুরুয়ার মত। অ্যাসিডের জলের অ্যাসিডের জলের অ্যাসিডের জলের অ্যাসিড। তাতে পাহাড়ি সাপেদের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়, তারা দু একদিন আসে না, ভজন সিংহের গুডউইলের সম্মানে। আমরাও নৈসর্গ উপভোগের বদলে দরজা জানলা বন্ধ করে, রুম হিটার চালিয়ে ইষ্ট নাম জপতে জপতে রাত কাটাই। তখন পুস্তক চয়নে একটা ভুল হয়েছি্‌হল, এ কথা মনে পড়লে এখনো কষ্ট পাই। ছাই পাঁশ বিলিতি নবেল বা পোবোন্দো না পরে তখন এক্কেরে তুলসীদাসী রামায়ণটি মুখস্থ করা উচিত ছিল। ঠাকুরের নামে পূণ্য ও হত আর যাবতীয়
    বনবেড়াল, সাপ, বেজী এবং শেয়াল বা বাগীরা দের প্রাণে একটু অযোধ্যার ক্রাউন প্রিন্সের কড়া শাসনের ভয় ঢোকানো যেত।
    তো এহেন স্কুলে একদা প্রারম্ভিক গ্রীষ্মে, হই হই করে ব্যস্ততা বেড়ে গেল। কি এক মিটিং এবং শিক্ষা কনফারেন্স হবে। জনা পঞ্চাশেক আঁতেল অথবা ছাত্রছাত্রী আসবেন। আতিথেয়তায় পিছিয়ে থাকা চলে না, তাই রান্নাঘর সামলাতে এলেন স্বয়ং মিশ্রজি। ইনি মূলত: বেনারসী কুশ্তিগির। অবসরে মেঠাই, পেঁড়া, জলেবী, রাবড়ি, সমোসা কচৌরি বানিয়ে থাকেন। চেহারাটি বড়ে গোলাম আলি সাহেবকে লজ্জা দেবে। আর গো,ন্‌ফ লজ্জা দেবে নাথুলালকে। ইনি যখন গসিপি জোগাড়েদের মাঝে মাঝে কেয়া হো রহা হ্যায় বলে ধমক দ্যান, তখন নিশ্চয় বীর হনুমান কোথাও একটা ন্যাজ মুচড়ে একটু আত্ম প্রসাদ লাভ করেন, ভাবেন, যাক এখনো কাশীর গঙ্গাঘাটের আখড়া গুলোতে অন্তত শৌর্যের ভারতীয় ঐতিহ্য এখনো মৃত নয়। সে হুংকারে রোগাপাতলা পেটরোগা পটলাদের অথবা নাদুস নুদুস রসগোল্লা প্রেমীদের যে পিলে চমকে আঠাশ হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে তাঁর নজর দেওয়ার টাইম
    নেই।সারভাইভাল অফ দ্য ডেফেস্ট।
    তো দুদিন ধরে জলেবী সমোসা চলছে। ভজন সিংহের কালনিনারি সৃজনপ্রতিভা যে উপত্যকায় বছর দুয়েক ধরেই মূলত: সুকনো রুটি বা পেঁয়াজের ঝোল কিম্বা বেসনের বড়ায় বড়জোর রাজমার ডালে সীমিত সেখানে মনপাগলা যে অচিরেই মিশ্রজিকে সর্বশক্তিমান নরসিংহ হিসেবে মনে মনে পুজা করবে তাতে আর সন্দেহ কি। চেহারাতেও একটা ভক্তি আসে।
    সেবার কোন কারণে ভালুকের উপদ্রব একটু বেড়েছিল। প্রায়শ:ই শোনা যাচ্ছিল আশে পাশের গ্রাম গুলোর নানা গল্প। এই সেদিন জানলা দিয়ে মুখ বড়িয়েছে। এই সেদিন রান্ন ঘরে ঢুকেছে। এই সেদিন দুধওয়ালা র মেয়ে মোষ চড়াতে গেছিল নদীর ওপারে, তাকে নাকি টানা দশ মিনিট দাঁত খিঁচিয়েছে ইত্যাদি। তো আমার এমনিতে ভয় ডর কম। একা একা হেঁটে ঘুরে বেড়াই পাহাড়ে পাহাড়ে। দেবীধরের ঝর্নার উৎস সন্ধানে তিনটে পাহাড় পেরিয়ে ঘুরে এসেছি একা একা। ৭ কিলোমিটার দূরের রানাড়ি গ্রাম সেইখান থেকে মধ্য রাতে ফিরেছি একা একা। প্রচন্ড সাহস। তার উপর একটা গ্রামের কোণায়, ভাগেরথী ব্রীজ পেরিয়ে, জমিদারেরে পাথরের দেওয়াল দেওয়া জমির পাশে, অফ অল থিংস একটি কাস্তে হাতুড়ি খচিত রক্ত পতাকা সজ্জিত সিপিআইয়ের আপিস দেখার পর থেকেই মনের মধ্যে কিরকম একটা চে চে ভাব। শুধু রাত্রে যখন ঘরে গিয়ে শুই তখন মনে হয় এই অপেক্ষা আর সইতে পারিনা ওগো
    মহামতি নীল কিম্বা বসুকী বংশীয় গণ আমাকে তোমরা এইবার তোমাদের মাঝেই নিয়ে যাও আমি তোমাদের যাও , আমি তোমাদের রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে শোনাবো, আমি তো তোমাদেরি লোক। এই অপেক্ষা আর সইতে পারি না। একটাই বুক আর কত দুরুদুরু একটা ই পেট আর কত গুড় গুড় করবে?
    তো সেদিন রাত্রে গরীবের পেটে একটু পরোটা ভাজি পড়েছে। সঙ্গে দুপুরে ভাজা জলেবি। রাত্রে একটু ওয়াকম্যান বাহিত পশ্চিমী মার্গ সঙ্গীত চচ্চা করছি।উত্তরকাশীর বাজারে প্রাপ্ত ব্যাটারিতে ব্রাহমস শোনার একটাই শর্ত, মিনিট পনেরোর মধ্যে যা শোনার শুনে নাও, পরেরে ভাগ শুনবে আগামী মঙ্গল বার জগদীশের দোকানে নতুন ব্যাটারি আসার পরে। আর অল্প স্বল্প বাকি থাকলে শুনো পরের মাসে। ১৮০০ মাস মাইনের সবটাই ব্যাটারি তে যাওয়া তো ঠিক কনজার্ভেশনের বিজ্ঞান নয়। আমি দুবারে বিএসসি বলে কথা।তায় ভুতের গল্পবলা মাস্টার হিসেবে ক্ষুদেপ্রিয় বিজ্ঞাণশিক্ষক। ব্যাটারি হাফ ও ফুল লাইফ কাটিয়ে ক্ষ্যান্ত দিয়েছে। আমি সদ্যশ্রুত ব্রাহমস সম্পর্কে সদ্যছিন্ন বান্ধবীকে একটি কালপনিক বক্তৃতায় মুগ্‌ধ করছি, চোখ মুদে সংগীত চর্চা ও অন্যান্য আলাপের স্বপ্ন দেখবো দেখবো কর্ছি, এমন সময়
    হঠাত গভীর রাত্রে আর্ট টিচার মিস বোসের গলায় বাবারে মারে মারে বাবারে চিৎকার। আমি পুনরায় জুবুথুবু হয়ে কম্বলেই বসে রইলাম। একে সগীত চর্চায় বাধা তায় বাইরে বিভিন্ন ঈশ্বরেরে চতুষ্পদ সন্তানের ঘন ঘন আনাগোণার কুখ্যাতি।
    এছাড়া আমার লোকজনের ব্যক্তিগত জীবনে ইন্টারফিয়ার করার অভ্যেসটা তদ্দিনে ঈষৎ মৃত। বিভিন্ন প্রেমে ও গণাঅন্দোলনে ঘা খেয়ে খেয়ে পরোপোকারী জিন ফাইনালি সেল্ফিশ হতে শিখেছেন।
    প্রতিবেশীর বিপদের রাত্রে না বেরোনোর অপরাধেবাকি রত আর ঘুমোতে পারলাম না।

    পরের দিন বেরিয়ে যা শুনলাম তা মোটামুটি এই।মিসেস বোস ঘরের ভেতর থেকে বারান্দার জানলা টা বন্ধ করতে না পেরে বারান্দায় বেরিয়েছিলেন জানলাটা বন্ধ করতে। কাকতালীয় ভাবে ঠিক ঐ সময় দিয়েই মিশ্রজি গায়ে কম্বল দিয়ে লোকসঙ্গীত চর্চা করতে করতে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরের দিকে যাচ্ছিলেন, মিসেস বোসের যেকোন কারণেই হোক মনে হয় এই বুঝি সেই গ্রামাঞ্চল দাপিয়ে বেড়ানো ফল খেকো ভল্লুক। চেহারায় সামান্য মিল থাকলেও ভালুকের পক্ষে যে বেনারসের জনপ্রিয় লকগীত এমনকি গুন গুন করেও গাওয়া সম্ভব নয় এটা তাঁর খেয়াল হয় নি। এবং শুধু তাই নয়, আরো কোন আশ্চর্য্যজনক কারণে নার্ভাস হয়ে তিনি নিজের ঘরের ভেতরে না ঢুকে ঊর্ধশ্বাসে স্কুলের সর্বময় কর্তা সেক্রেটারি সাহেবের কোয়ার্টারের দিকে দৌড়ন। ততক্ষণে বৃদ্ধ সেক্রেটারি সাহেব বেরিয়ে এসেছেন। মিসেস বোস মধ্য রাত্রে তাঁকে প্রণাপণে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন আপনি ওকে কিছু বলুন, আপনি ওকে কিছু বলুন।

    সেক্রেটারি র পক্ষে বাংলা বোঝা এবং ভালুজের পক্ষে হিন্দী বোঝা দুটৈ যে স্রেফ ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠিক অত তাড়াতাড়ি সম্ভব নয় এটাও তাঁর খেয়াল হয় নি।

    সম্পূর্ণ বিমূড় হয়ে মিশ্রজি এবং সেক্রেটারি সাহেব কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে, আলো জ্বালিয়ে আত্মপরিচয় ব্যক্ত করে মিসেস বোসকে শান্ত করে তাঁকে নিজের ঘরে পাঠান।

    পরের দিন বিকেলে সেমিনারের উদ্বোধনী ভাষনে সেক্রেটারি সাহেব আগত অতিথি ছাত্র ছাত্রীদের আহ্বান করে বলেন, উমর সে ম্যায় বুড়া হুঁ, লেকিন দিল মে আভি ভি হুঁ জওয়াঁ ;-)
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৪:৩৮405884
  • ফিদা হয়ে গেলাম লেখাখান পড়ে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৪:৪২405885
  • কি চাপ
  • san | 12.144.134.2 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৪:৫৪405886
  • পুরোটা বিশ্বাস করব কিনা বুঝতে পাচ্ছিনা ;-)
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৫:০১405887
  • বিশ্বাস করতে বয়ে গেছে। কিন্তু "তবু শীত পেরিয়ে বসন্ত যখন আসে একটু একটু" লাইনটা থেকে যে ভাবে মুডটা সেট করা হয়, সেটা ব্যাপক। অনেকদিন আগের পড়া কিছু পাউস্তোভস্কির ছোটগল্পের কথা মনে পড়লো।
  • d | 203.143.184.10 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৫:১৮405888
  • ওয়াহ! কেয়াব্বাত হ্যায়!
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৫:২৫405889
  • আংকল যা ল্যাখসে না - ভাইঝিগুলো এক্কেরে... ;-)
  • I | 59.93.211.8 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ২২:২৮405891
  • ফাটাফাটি !!!!!
  • dd | 122.167.40.160 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ২২:৪৪405892
  • হনু, সে খুসী ই হোক কি রেগেই যাক। কইয়াই ফালাই।

    অর মজার ল্যাখা গুলান বিলকুল ফাস ক্লাস ফাস। জেরোম কে জেরোমের মতন দারুন নৈর্বক্তিক উদাসীন ফাজলামি। ভাষার জিমনাস্টিক নাই, যেন নিজের মনে বিড় বিড় কইর‌্যা কথা কয়। অ্যামনটা আজকাল আর দেখি না।

    রেজাল্টাটা অত্যুৎকৃষ্ট।

    বড্ডো ভালো।
  • sayan | 160.83.72.212 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ২২:৫২405893
  • ইয়ে এইচ তথা ভালুক বা হনু নামটাও কি ঐ থেকেই অনুপ্রাণিত?
  • Du | 67.111.229.98 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ ২৩:৩৭405894
  • মারাত্মক :) ! সেই বেড়ানোর গল্পের সময়ই বলেছিলাম আরো লিখতে।
  • siki | 122.162.83.144 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৮ ০০:১৯405895
  • বোধিকে বাহান্নটা FC
  • r | 59.161.137.142 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৮ ০১:২৭405896
  • তুখোড় হইসে। :-)
  • rimi | 168.26.215.135 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৮ ০২:৩১405897
  • ব্যাপক!!
  • ranjan roy | 122.168.68.173 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৮ ০৬:১৪405898
  • আমি বোধির এই লেখা নিয়ে ডিডির বক্তব্যের সঙ্গে ছত্রে ছত্রে সহমত। ঐ আপনমনে বিড়বিড় করার শৈলীশুদ্ধু। চমৎকার!
  • pi | 69.139.150.151 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৮ ০৪:৫২405899
  • এক সে বঢ়কর এক !
  • kS | 122.170.27.56 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৩:০৮405900
  • খুব ভালো লাগলো। দুরন্ত শৈলী। এরকম গপ্প আরো পাওয়া যাবে আশা
  • ranjan roy | 122.168.70.139 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮ ০১:০৬405902
  • শন্তিনিকেতন নিয়ে আর একখানি---
    সময়টা সম্ববত: ১৯৬২র শেষ কি ১৯৬৩'র শুরু।
    সারা বাংলায় তখনও রবীন্দ্রশতবার্ষিকীর রেশ মিলিয়ে যায়নি। কোলকাতার পার্কসার্কাস পাড়া থেকে তপন (আমার খুব ঘনিষ্ঠ)হাজির হল শান্তিনিকেতনে। পরণে বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবী, সাদা পাজামা, কাঁধে একটা ঝোলা। এই পোশাক তখন শান্তিনিকেতনে অলিখিত ড্রেস-কোডের মত ছিল।
    তাই তপন এϾট্র পেয়ে গেল নানান অঙ্গনে, ছুটির দিনেও। উঠেছিলো সরকারী গেস্টহাউসে। তখন শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন ইত্যাদির মধ্যে বিশ্বভারতীর নিজস্ব বাসসার্ভিস ছিল, জনসাধারণের জন্যে কোন মানা ছিল না। আর ওদের নিজস্ব মনোগ্রাম সম্বলিত ১৩ পয়সার টিকিটও ছিল।
    তখন শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। তপনের ঐ ড্রেসকোডের ফলে মনের সুখে ঘুরে বেড়ানো চলে। ইতিমধ্যে তপনের চোখ পড়লো এক তরুণীর দিকে। ছিপ্‌ছিপে, লম্বাটে মেয়েটি চোখ যেন কচি বাঁশপাতা। গায়ের হলদে রঙ আর মেখলার মতো পরিধান। মেয়েটি কি মণিপুরি? সরকারি অতিথিশালায় তপনের ঘুম আসে না। দিনদুই আরো থেকে গেল। মেয়েটির সঙ্গে ভাব করতে হবে। নাচের রিহার্সাল, আল্পনা দেয়ার গ্রুপ-- সবার মাঝে মেয়েটি অনন্যা।
    তপনের রেস্ত ফুরিয়ে আসছে। কালকের মধ্যে কোলকাতা রওয়ানা দিতে হবে। কিন্তু তপনের একবিন্দু ইচ্ছে নেই কোলকাতা ফিরতে।
    মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় করতে হবে। কিন্তু কি করে?
    শেষকালে মরিয়া হয়ে ও এগিয়ে গিয়ে ও মেয়েটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
    ---শুনছেন?
    ---আমাকে বলছেন?
    মেয়েটি যেন তুলি দিয়ে আঁকা তার ভ্রুজোড়া তুলে তাকালো।
    ( তপনের মনে হল--তরাসভরে চকিতকরে প্রদীপখানি জ্বেলে, শুধালে কেন এলে?)
    --- আমার এই খাতায় একটা অটোগ্রাফ দেবেন?
    --- কেন? আলাদা করে শুধু আমাকে বলছেন কেন?
    --- বলছি কারণ আপনাকে সবার মধ্যে আলাদা দেখতে, মানে ঠিক বাঙালী মেয়ের মত তো নয়।
    মেয়েটি এক সেকন্ড কিছু ভাবলো। তারপর খাতাটা টেনে নিয়ে লিখল-- "" কত অজানারে জানাইলে তুমি , কতজনে দিলে ঠাঁই।
    দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই''।
    " পরকে করিলে ভাই''! "" ভাই''?
    তপনের গায়ে যেন বিছুটি লেগেছে। ওর মনে হল শান্তিনিকেতনের মত খারাপ জায়গা ভূভারতে আর দুটি নেই।
    পরের ট্রেনেই কোলকাতা ফিরতে হবে। স্টেশনে বসে তপন খাতাটি খুলে আবার দেখলো। মেয়েটি সই করেছে --- চামেলী তান্‌। এ আবার কিরকম নাম রে বাবা!
    স্টেশনে কোলকাতাগামী কিছু শান্তিনিকেতনী ছাত্রদের শুধোলে তারা বল্লে-- সেকি! চামেলি তান্‌ কে জানেন না? ও হল চীনাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তানের মেয়ে।

    এত বছর কেটে গেছে। আজ প্রৌঢ়া চামেলি তান ভারতে চীনাভাষা শিক্ষার ব্যাপারে ও রবীন্দ্রসাহিত্য অধ্যাপনায় একটি প্রবাদপ্রতিম নাম।
    তপনও হারিয়ে ফেলেছে তার প্রথম যৌবনের সুকুমারবৃত্তি গুলো। আজ সে শান্তিনিকেতন বেড়াতে গেলে যত্নকরে রাখা সেই অটোগ্রাফ ও বাসের টিকিটটি দেখিয়ে বেশ কিছু ঘ্যাম নেয় ও সুবিধে আদায় করে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন