এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছত্তিসগড়: কৃষক আত্মহত্যা - মিথ মিথ্যা মাধ্যম

    a x
    অন্যান্য | ০৬ মে ২০০৯ | ৩৯৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০০৯ ২০:৩৯410567
  • রঞ্জনদা, এখানে গুছিয়ে লিখুন। ঐ থ্রেডে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছিল। অনেক প্রশ্ন আছে। বাকিরাও লিখুন।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০০৯ ২০:৪৩410578
  • প্রথমত: একটা প্রশ্ন রঞ্জনদাকে। দ্রির কথার সূত্র ধরে, এই একেবারে ছোটচাষীরা ব্যাংক থেকে কি লোন নেয় না মহাজনের কাছ থেকে। যদি মহাজনের কাছ থেকে নেয়, তাহলে তো ঋণ মকুব প্রোগ্র্যামে এদের কোনোই সুরাহা হবেনা। ইনফ্যাক্ট এই ঋণ মকুব প্রোগ্র্যামের এটা একটা ক্রিটিসিজম ছিল যে যাদের দরকার নেই, বড় চাষী বা মাঝারি চাষী তাদেরই জন্য এই প্রোগ্র্যাম আর যাদের সবচেয়ে বেশি দরকার, তাদের কিছুই লাভ হলনা।

    আপনি হয়ত জানেন, গত দশ বছরে মহাজনদের কাছ থেকে ধার নেওয়ার আবার একটা আপওয়ার্ড ট্রেন্ড দেখা দিয়েছে। এটা কেন? গ্রামীন ব্যাংকের কাছে না গিয়ে ছোট চাষী কেন মহাজনের কাছে যায়?
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০০৯ ২১:০০410589
  • শুভ্রাংশু চৌধুরী প্রথম এই বিশাল সংখ্যক কৃষকের আত্মহত্যার কথা জানতে শুরু করেন। ইনি গত ৭-৮ বছর ধরে লোক্যালি এবং CGNetএর মাধ্যমে ছত্তিসগড়ের ঘটনা নিয়ে লিখে যাচ্ছেন। he was one of the first যাঁরা openly সালওয়া জুডুম নিয়ে ক্রিটিসাইজ করেন। বিনায়ক সেনের বেআইনী ডিটেন্‌শন নিয়ে খুবই সরব হন। এর জন্য BJP থেকে থ্রেট ইত্যাদি আসে, DGP বিশ্বরাজন মাওবাদী লেবেল লাগিয়ে দেয় ইত্যাদি। ওনার লেখা Art of Not Writing যার লিংক দিয়েছিলাম, "জনসত্তা"'র অপ-এডে (এপ্রিল ২৬, ২০০৯) ভালোমত আক্রমণ করা হয়।

    শুভ্রাংশুর রিপোর্টিং খুব একটা র‌্যাডিকাল নয়, ইনফ্যাক্ট সাইনাথের লেখার সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, এই কৃষক আত্মহত্যার পেছনে, উনি ঠিক বৃহত্তর সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রশ্ন গুলো তোলেননা। কিন্তু উনি আদতে কি ঘটছে ওখানে সেটা জানানোর জন্য লড়ে যাচ্ছেন।

    এগুলো যাস্ট জানালাম যার লেখা থেকেই এই সব আলোচনার শুরু তার ব্যাকগ্রাউন্ডটা কি।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০০৯ ২১:০৩410600
  • আত্মহত্যার কথা জানাতে* শুরু ...
  • ranjan roy | 122.168.205.109 | ০৬ মে ২০০৯ ২৩:৪২410611
  • অক্ষকে,
    এটা খুব সিরিয়াস ব্যপার। জানা দরকার হচ্ছে টা কি?
    চলুন, সবাই মিলে ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা করি। আমি শুভ্রাংশু চৌধুরিকে ক্রেডিট দেব এইজন্যে যে উনি সাহস করে cg-neT খুলে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার বাইরে একটা অল্টারনেটিভ ফোরাম দাঁড় করিয়েছেন।
    একটু ওনাকে খুঁচিয়ে দেখুন না, যদি ঐ ক্রাইম রিপোর্টের সোর্সের থেকে এগিয়ে যদি কোন ফিল্ড স্টাডি থেকে কিছু জেনে থাকেন?
    দুই,
    গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়াও ছোট চাষীরা যায় সমবায় ব্যাংক ও তার সেবা সহকারী সমিতি থেকে সার, বীজ ও নগদ নিতে।
    এর পরে মহাজন। আবার বলছি -বঙ্গের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে। ৩৬গড়ে ৫ একর অব্দি ছোটচাষী। বঙ্গে ৫ একর মানে মধ্য চাষী।
    মহাজনের কাছে যায় অনুৎপাদক ( বিয়ে,অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ, ঘর চাওয়া) ঋণ নিতে, আর ওখানে কোল্যাটারাল এর ঝামেলা , ডকুমেন্টেশনের ঝামেলা মিনিমাম। খুব তাড়াতাড়ি পয়সা পাওয়া যায়।
    আবার বলছি আমি কৃষিঋণের জন্যে আত্মহত্যার ( ৩৬গড়ের স্পেসিফিক কনটেকস্টে) কোন কারণ দেখছি না।
    কারণ, এক, একফসলী ও মোটাধানের ক্ষেতি হওয়ায় ইন্‌পুট কস্ট কম, ফলে লোনের রাশি কম।
    দুই, ঋণ আদায়ের জন্যেছোট চাষীর কাছে বাবা-বাছা করা বা মাত্র ছমাসের/ একবছরের সরল সুদ নিয়ে লোন রিনিউ করার চালু সিস্টেম। ফলে চাষী বিশেষ চাপ অনুভব করে না।
    তিন, ছোটচাষীর জমি মর্টগেজ করা হয় না। ফলে ওর ভিটেমাটি চটি হওয়ার আশংকা নেই।
    চার, তবু চাষী আত্মহত্যা করে। নানান পারিবারিকো মানসিক তাড়নায়। পত্রিকায় রিপোর্ট হয়।
    যেমন বউকে বাপের বাড়ি থেকে ফেরৎ পাঠাচ্ছে না, আনতে গেলে শালারা মেরেছে। সম্পত্তি নিয়ে কলহ।
    জাত ও অন্য ব্যাপারে সামাজিক প্রতাড়না। একঘরে করা।মেয়েদের ক্ষেত্রে রেপ হওয়ার পর প্রতিকার না হওয়া। এইসব।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০০৯ ০০:৪৫410622
  • রঞ্জনদা, এক এক করে উত্তর দেবার চেষ্টা করছি। যেহেতু বাইরে বা মেনস্ট্রীমে বিশেষ কিছু পাওয়া যাবেনা, তাই শুভ্রাংশুর লেখার লিংক দেব মাঝে মাঝে।

    ১। national crime record bureau, হোম মিনিস্ট্রীর আন্ডারে। এটি এদের রিপোর্ট। এরা বলছে স্টেটে পুলিশের রিপোর্ট (যেহেতু আত্মহত্যা একটি অপরাধ আইনত) থেকেই এই সংখ্যায় এরা এসেছে। এগ্রিকালচার মন্ত্রী, শরদ পাওয়ারকে রাম জেঠমালানি এই প্রশ্ন করাতে উনি স্বীকার করেন যে NCRB'র এই সংখ্যা সঠিক। কাজেই বছরে ১৫০০ হাজার কৃষকের আত্মহত্যা এই তথ্যটা ভুল ধরে নেবার কোনো কারণ আপাতত পাচ্ছিনা। কেন করছে, সেখান থেকেই আলোচনাটা শুরু করা যাক তাহলে।

    বলে রাখা ভালো RTI'এর আন্ডারে পুলিশের কাছে এই রেকর্ড চাওয়া হয়, যার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

    ২। শুভ্রাংশু এবং আরো কিছু লোকের রিসার্চ অনুযায়ী এই আত্মহত্যা র‌্যান্ডম না। মূলত: "রাইস বোল" (rice bowl) এই কেন্দ্রীভূত। এইটা লিংক এক্‌খুনি নেই, পরে খুঁজে দেব। কিন্তু এইটা দেখতে পারেন -
    Finally we have got some figures from the State Crime Records Bureau through a circuitous route.

    These figures tell us that the farmers suicide is concentrated in the paddy growing districts of Central Chhattisgarh. Tribal districts of North and South have less than half the farmers suicides in comparison to the Central region.

    Is additional income from forest saving the farmers in tribal region?

    The districts with higher suicide rates were the same as the districts with highest use of fertilizer. Is there a connection? All of this needs a study.

    We realised that the resistance centered around an argument which linked our claims directly to Vidarbha, and farmer suicide due to large loans taken by them for cash crops. And since the Chhattisgarhi farmer had no large loans, he could not be committing suicide.
    (যা আপনি বলছেন, যদি না ভুল বুঝে থাকি)

    We were not claiming that the situation in Chhattisgarh was the same as in Vidarbha.

    We were only asking for a deeper investigation, and our request was getting buried in an irrelevant argument.

    http://tinyurl.com/dfpl6f


    ৩। এই লিংকেই দেখতে পাবেন দুর্গ ডিস্ট্রিক্ট থেকে কিছু রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশের কাছ থেকে, সেখানে, ১১টি কৃষক আত্মহত্যার কথা আছে, এবং সবকটির কারণ দেখানো হয়েছে ঋণ।
    - দুর্গ এর কমপ্লিট লিস্ট না এটা, দুর্গ ডিস্ট্রিক্টে ছত্তিসগড়ে সবচেয়ে বেশি সুইসাইড হয়না, এবং এই রিপোর্ট গুলো শুধুমাত্র ২০০৪ সালের।
    আরও দেখুন, এই ১১টিই সব না। (পরে ১২ বলে উল্লেখ করা হয়েছে)
    Apart from the 12 farmers who committed suicide due to debt, in the list there are 21 additional cases where the cause of death is listed as “economic reasons”.

    ৪। শুভ্রাংশু নিউজ সোর্সের বাইরে গিয়ে হদিশ লাগিয়েছে তো। দাঁড়ান খুঁজছি।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০০৯ ০১:০৩410633
  • ৪। http://tinyurl.com/ck8p2s
    ক। সন্তোষ নিশাদ - একটু একটু করে জমি বিক্রি করেন, বাবার চিকিৎসার জন্য, শেষ পর্যন্ত পুরোটাই। পরের গ্রীষ্মে সন্তোষ লিজে কিছু জমি নেন, তরমুজের চাষ শুরু করেন, ঐ জমি বেচা টাকা দিয়ে বীজ কিনে। এর কিছুদিন বাদে কাছেই একটি ড্যাম থেকে কোনো নোটিশ ছাড়াই কর্তৃপক্ষ ড্যাম খুলে দিলে পুরো ফসল জলে ভেসে যায়।
    সন্তোষ প্রতিবেশীদের থেকে ধার করে দ্বিতীয়বার শুরু করতে যান। সব টাকা না কুলোতে পেরে, রায়পুরের এক ট্রেডারের কাছ থেকে ধার করেন। ট্রেডারের সাথে ঠিক হয়, সব ফসল ট্রেডারের হাতে তুলে দিতে হবে, তারপর হিসেব নিকেশ হবে।
    কিছুদিন বাদে ঠিক একই জিনিস হয়, আবার জলে ভেসে ফসলের ক্ষতি হয়। সন্তোষ মাত্র ২,২০০ টাকা উদ্ধার করতে পারে, যা দিয়ে ধারও শোধ হয়না। এর পরের দিন আত্মহত্যা করেন সন্তোষ।
    খ। পরেরজন - রামসাহনী পাটেল। NREGAর আন্ডারে কাজ করেও টাকা পান না। স্ত্রী অসুস্থ, চিকিৎসা, ধার। গ্রামের সরপঞ্চের কাছে যান ডিস্ট্রিক্ট অফিস থেকে ধার পাবার জন্য, কোনো লাভ হয়না।

    He then went to the village moneylender who reminded him that his family still had to return an earlier loan of Rs 50,000 that they had taken from him. Ramsahni went back home.

    One day the pain became unbearable and Ramsahni’s wife died.

    Ramsahni consumed pesticide a few days later.

    District Collector S Chand told me: “He was a bit mentally disturbed after the death of his wife. That is the reason for his suicide. There was no land in the name of Ramsahni, so officially he was not a farmer and it is not a case of farmer suicide.”

    The family land was still in the name of Ramsahni’s father, Shyamlal Patel, so the district collector indeed had the rules down pat.


    গ। কুমার চন্দ্র। ৩।৫ একর জমি ছিল, পাম্প, কুয়ো (borewell) ইত্যাদির জন্য ধার চায় ব্যাংকে। এর মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যায়, কিন্তু তিনবার ড্রিল করেও জলের তল মেলেনা। কিন্তু এই কোম্পানী কে যেহেতু কাজ করেছে, তাই টাকা দিতেই হবে। ব্যাংক ম্যানেজার বার বার কথা দেন, কিছুদিনের মধ্যেই লোন পেয়ে যাবেন কুমার। এর মধ্যে ৬ মাস কেটে যায়, ঐ ড্রিল কোম্পানী ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে।
    The day Kumar consumed pesticide he had gone to the bank like he did almost every day of that month.

    The local newspapers quoted the authorities as saying that although Kumar was a farmer he had no loans against his name. So, he did not commit suicide because of non-payment of loans!


    এই আর্টিকলটা শেষ হয় সাইনাথের একটা মন্তব্য দিয়ে -

    ""I can tell you one thing for sure: next year in Chhattisgarh the figures for farmer suicides will come down," says P Sainath. "They will just stop recording them.""
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০০৯ ০১:০৫410644
  • .৫ একর
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৭ মে ২০০৯ ০৩:১৩410645
  • এ সমস্ত তথ্য একটা জিনিষ প্রমাণ করে। চাষ একটি ব্যবসা ও তাতে প্রচুর লগ্নী দরকার, প্রচুর ঝুঁকি আছে। কিন্তু বহুলোকের লগ্নীর টাকা বা ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বা রিসোর্স না থাকা সত্বেও চাষ করে কারণ
    ১) গ্রামে অন্য কোন কাজ তৈরী হয় নি
    ২) পিতৃসুত্রে চাষের জমি পেয়েছে বলে ধারণা যে তাকে চাষ করতেই হবে

    এর আগে কোথাও রঞ্জনদা লিখেছিলেন যে চুক্তি চাষে চাষীদের ক্ষতি হয়। কেন বলবেন কি?

    এসব দেখে আমার তো মনে হচ্ছে যে কর্পোরেট চাষ শিগ্গিরি চালু করা দরকার। সেক্ষেত্রে কিছু মানুষ কোম্পানির জমিতে কোম্পানির নিয়মানুযায়ী চাষের কাজ করবে। কর্মিরা হবে সংগঠিত ক্ষেত্রে , কাজেই সুযোগ সুবিধা বেশি থাকবে। কোন ঝুঁকি থাকবেনা। ন্যুনতম আয়ের চেয়ে বেশি কোম্পানিকে দিতেই হবে। আত্মহত্যার কারণগুলো থাকবেনা। কেউ বলবেন কি , কর্পোরেট চাষ তাহলে এত খারাপ কেন? (বুদ্ধদেববাবু ও অন্য বামপন্থীদের চোখে)।
  • ranjan roy | 122.168.71.146 | ০৭ মে ২০০৯ ২২:৪৭410568
  • অক্ষ,
    আমি শুভ্রাংশুর এই লেখাগুলি গতবছর পড়েছি, যদ্দূর মনে পড়ছে। কারো না কারো সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছে হয়েছিল, হাতের কাছে কাউকে পাইনি।
    আপনারা এত ভালো ভাবে ইন্‌ভলভড হওয়ায় আমার ভালো হল।
    আবার দেখুন, শুভ্রাংশু'র ও সাইনাথের লেখা থেকে এটা কি ফুটে উঠছেনা যে এটা আসলে একটি পশ্চাদপদ অঞ্চলের উদাসীন সিস্টেমের ছায়ায় ব্যাপক ডিপ্রাইভেশনের ছবি।
    যেহেতু এইসব এলাকায় ৯৫% লোকই কৃষক পরিবারের, কাজেই সে ব্যক্তিগত ভাবে চাষ না করলেও তাকে চাষি বলা যেতেই পারে। এ'ধরণের ঘটনা যেকোন গরীব পশ্চাদপদ অঞ্চলে ঘটতেই থাকে। প্রত্যক্ষ ভাবে pauperisation এর outcome
    এমন উদাহরণ বিহার, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উড়িষ্যা ও বঙ্গের কোন কোন এলাকায় পাওয়া যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।
    আমার আপত্তি অন্য জায়গায়। এই সিনড্রোমকে কোন ভাবেই প্রত্যক্ষভাবে বিশাল ঋণ নিয়ে তার চাপে আত্মহত্যা বলতে যা বুঝি, তা বলা যায় কি? তাই বিদর্ভের সাথে তুলনা।
    আর এটা এমনভাবে বলা হচ্ছে যেন এটা হটাৎ ঘটেছে। তার মানে নতুন কোন ক্যাটালিস্ট জন্ম নিয়েছে, যা এই অভূতপূর্ব ঘটনা কে জন্ম দিয়েছে।
    যদি চৌধুরি বা সাইনাথরা ২০০০ থেকে ২০০৫ অব্দি ৩৬ গড়ে একটা আত্মহত্যায় মৃত্যুর চার্ট বানিয়ে দেন , তাহলে ওনাদের কথার সারবত্তা স্পষ্ট: হবে। নইলে মনে হবে ১৫০০ চাষি খুব ছোট্ট কালখন্ডের মধ্যে কন্সে®¾ট্রড এলাকায় আত্মহত্যা করেছে।
    ডি: আমি কিন্তু স্থিতাবস্থার বা ব্যাংকের অ্যাটিচুডকে জাস্টিফাই করছি না। সেরকম মনে হলে নিশ্চয়ই নি:সংকোচে বলবেন। কেউ নিজের চেহারা সহজে দেখতে পায় না। আমিও না।
  • ranjan roy | 122.168.71.146 | ০৭ মে ২০০৯ ২৩:০১410569
  • শ্যামল,
    আসলে আপনি যেমন ভাবছেন যে কর্পোরেট ফার্মিং প্রায় ফ্যাকটরি স্টাইলে হবে, যেন চাষ একটা শিল্প, তেমনটা ইন্ডিয়ায় হয় না। আম্রিকা বা ইউরোপে হয়।
    বহু আগে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ জে কে গ্যালব্রেথ বলেছিলেন--- ভারতে শিল্পপতি নেই, মুনাফাখোর আছে।
    কথাটা আজও সত্যি।
    এখানে কর্পোরেট চাষ হচ্ছে নীলকর দের স্টাইলে , চাষীদের দাদন দিয়ে, ক¾ট্রাক্ট করে চাষীদের নিজেদের জমিতে কোম্পানির পছন্দমত চাষ করা।
    এখানে জমি কোম্পানীর নয়, চাষীরা সংঘটিত লেবার নয়। সবার সঙ্গে ইন্ডিভিজুয়াল ক¾ট্রাক্ট হয়। ত্রিপক্ষীয় হলে তাতে ব্যাংক একপক্ষ হয়।
    ফলে বার্গেনিং পাওয়ার কম। আপাতদৃষ্টিতে লোভনীয় দাম দেয়, কিন্তু পেমেন্ট ম্যাচিওর করতে টাইম ল্যাগ আছে, অনেক রাইডার আছে, বীমা কোম্পানীর মত। ঠিক যেভাবে বড় ঠিকেদার পেটি ক¾ট্রাক্টের পেমেন্ট আটকে দেয়।
    তাই ছোট কৃষকের কাছে ওটা রিস্কি ভেন্‌চার। সময়মত নিজেদের খাবার ধান পাবে কিনা গ্যারান্টেড নয়। অর্থাৎ আপনার অ্যাসাম্পশান গুলো ভ্যালিড নয়, অর এত লিনিয়ার ওয়ান-টু-ওয়ান নয়।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৮ মে ২০০৯ ০৩:৪৯410570
  • রঞ্জনদা, ধরে নিচ্ছি আপনার আগের পোস্টটা সাবজেক্টিভ। মুশকিল হল চুক্তি চাষ আর কর্পোরেট চাষের ব্যাপারে পুরো নিরপেক্ষ মত পাওয়া কঠিন যেহেতু এ ব্যাপারে সকলেরই একপেশে মত ( এদিকে বা ওদিকে) আছে।
    ভারতে আজও কর্পোরেট ফার্মিং বেআইনী। কাজেই তাতে ভাল হত কিনা কেউ জানেনা। কনট্র্যাক্ট ফার্মিং চালু হয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, উ:প্র:, ম:প্র:, কর্নাটক, অন্ধ্র, তামিলনাডুতে। লিবারাল(?) বুদ্ধদেব তো বলেই দিয়েছেন কনট্র্যাক্ট ফার্মিং হবে ওভার হিজ ডেডবডি। কলকাতায় আমার বাড়ির কাছে জার্মান সুপারমার্কেট মেট্রো একটি বিরাট বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছে কিন্তু বাম সরকারের দৌলতে সেখানে আমার প্রবেশ নিষেধ। শুধু পাইকারী ক্রেতারা কার্ড দেখিয়ে ঢুকতে পারবেন।
    গড়িয়াহাটে কদিন আগে গোয়েঙ্কাদের স্পেন্সার্স খোলা নিয়ে বামেরা ভাঙচুর করল। কারণ স্পেনসার্সে তরকারি নাকি এত কম দামে দেওয়া হবে যে কাছের গরীব,খুচরো বিক্রেতাদের ""পেটে লাথি পড়বে""।
    অর্থাৎ উৎপাদন, বিক্রি কোথাও উন্নতি সহ্য করা হবেনা। একই যুক্তিতে গাধারা এককালে কম্পিউটারের বিরোধীতা করেছিল।

    একই কারণে চুক্তি চাষ বা কর্পোরেট চাষ করতে দেওয়া হয়না। এটা দেখুন :
    http://tinyurl.com/c339jh । একেবারে সরকারি তথ্য।
    এতে দেখানো হয়েছে পেপসী পাঞ্জাবে চুক্তি চাষ করে কি উন্নতি ঘটিয়েছে টমেটো, আলু, বাসমতী, বাদাম ইত্যাদির চাষে। ২০০৪ সালে পেপসী শুধু বাসমতী চাষই করে ৪০০০ হেক্টর জমিতে অর্থাৎ প্রায় ৩০০০০ বিঘা। প:বঙ্গ সরকার কোনদিন সাম্রাজ্যবাদী পেপসীকে এত জমিতে চাষ করতে দেবে?
    দেখা গেছে পেপসী ও অন্য কোম্পানীরা জমির মান ল্যাবোরেটরিতে পরীক্ষা করে সেভাবে চাষের রীতি ও সার , জলের পরিমাণ ইত্যাদি ঠিক করে দেয়। ফলে বহু জায়গায় উৎপাদনশীলতা তিনগুণ হয়েছে। (লংকা ও টমেটোর ক্ষেত্রে)

    পেপসীর সফলতার অন্যতম কারণ হল Regular and timely payment to contracted farmers through computerised receipts and transparent system। একে কি নীল চাষের সঙ্গে তুলনা করবেন?

    আরো কয়েকটি সংস্থা চুক্তি চাষ করে কি ভাবে সফল হয়েছে সেই উদাহরণও আছে।

  • lcm | 128.48.7.72 | ০৮ মে ২০০৯ ০৪:১৪410571
  • শ্যামল,
    স্পেন্সার্স-এ দাম বেশী।
  • lcm | 128.48.7.72 | ০৮ মে ২০০৯ ০৪:১৯410572
  • দাম টা ইস্যু নয়। আসলে অনেক লোক রোজগার হীন হয়ে পড়বে, সেটাই ছিল মেইন ভয়।
    চাষী ২ টাকা কিলো পায়, কিন্তু ক্রেতা দেয় ৮ টাকা। মাঝে ৬ টাকায় অনেকের রুটি রুজি চলে। সেখানটায় কর্পোরেট ঢুকে পড়লে মাঝের লোকগুলো রোজগারহীন হয়ে পড়বে, এই ছিল মূল আশংকা।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৮ মে ২০০৯ ০৪:৪৫410573
  • এল সি এম, ঠিক কথা। এই মাঝের লোকেদের বলা হয় মিডলম্যান বা দালাল বা ফড়ে। চুক্তি চাষ করলে রিলায়েন্সের ট্রাক সোজা ক্ষেতে গিয়ে ফসল নিয়ে আসত কাজেই দালালেরা কিছু পেত না। কিন্তু এক সময়ে ঠিক একই যুক্তি দিয়েছিল বামেরা যে কম্পিউটার এলে অনেকের চাকরী যাবে অথবা সরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্কে বহুদিন লোক নেওয়া বন্ধ থাকবে। তা হয়েওছিল। বহুদিন সরকারী ব্যাঙ্ক নতুন লোক নেয়নি কারণ কম্পিউটার আসায় তার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। কিন্তু ওভার অল, তাতে ক্ষতি হয়েছে না বিশাল লাভ হয়েছে?

    নতুন টেকনোলজি বা প্রসেস এলে উৎপাদনশীলতা বাড়ার ফলে কিছু অবসোলেট কাজ চিরতরে চলে যায়। কিন্তু তার বদলে আসে অজস্র নতুন কাজ। কোথা থেকে আসবে সেগুলো আগে থেকে প্ল্যান করা যায়না। ১৯৯৫ এ কে ভেবেছিল, সেল ফোনের কার্ড বিক্রি করে আর টাকা ভরে ভারতে ২০০৯ এ কোটি কোটি লোক আয় করবে?

    সরকার গোঁয়ার্তুমি করে সেল ফোনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে এটা হতই না।
  • lcm | 128.48.7.72 | ০৮ মে ২০০৯ ০৫:২০410574
  • শ্যামল,
    ঠিক। কিন্তু যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশী সেখানে ইমপ্লিমেন্ট করা ঝাড়। সিঙ্গুরে এই কেস হয়েছে। জমির মালিক ১০০, কিন্তু জমির ওপর ডিপেন্ড করে আছে ৫০০ পরিবার। এবং এই ইমপ্লিমেন্টেশনের প্রবলেম হচ্ছে যে ইমপ্যাক্ট সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়।
    আমি ঠিক জানি না, কেন আশির দশকে কম্পূটার আসাতে বাধা দিয়েছিল কিছু দল। কম্পুটার আসলেও সঙ্গে সঙ্গে অনেক মানুষ রুজিহীন হয়ে পড়ে না, সময় লাগে। কিন্তু, জমি চলে গেলে একটা ইমিডিয়েট ক্রাইসিস তৈরী হয়, যাস্ট বেঁচে থাকার ক্রাইসিস, ভয়, প্যানিক।
    উন্নত প্রযুক্তির ফল হিসেবে হঠাৎ করে যদি অনেক মানুষের জীবনধারনই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তখন তাদেরকে সূদুরপ্রসারী ফল বুঝিয়ে লাভ নেই।

  • pi | 69.143.119.233 | ০৮ মে ২০০৯ ১৪:০১410575
  • রঞ্জনদা, এখানে ছয় বছরের আত্মহত্যার চার্ট রয়েছে তো।

    http://tinyurl.com/cww95t

    একদম শেষে দেখুন।
    সব সংখ্যাই ঐ ১৪০০র উনিশ বিশ তফাতে।

    এটা অভূতপূর্ব ঘটনা এমনটিতো ওনারা ক্লেইম করছেন না, ঘটা সঙ্কেÄও অশ্রুতপূর্ব, বাইরের লোকেদের কাছে, এইরকম কিছু বলছেন।
  • pi | 69.143.119.233 | ০৮ মে ২০০৯ ১৫:০৫410576
  • ছত্তিশগড়ে আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে অনেকগুলো চার্ট পেলাম , এখানে গিয়ে, http://tinyurl.com/pceycw


    দুটো চার্ট তুলে রাখলুম।

    কী কী কারণে আত্ম্যহত্যা : http://tinyurl.com/pceycw


    জীবিকা অনুযায়ী আত্মহত্যার সংখ্যা : http://tinyurl.com/oqgeoo

    কিন্তু এবার তো চার্ট ঘাটতে ঘাঁটতে ঘেঁটেই গেলুম একটু ।:(
    কেন ?
    কারণ, কী কী কারণে কতজন আত্মহত্যা করেছেন সে হিসাব রয়েছে, কতজন কৃষকদের আত্মহত্যা করেছেন সে লিস্টিও আছে, কিন্তু কতজন কৃষক কী কী কারণে করেছেন, সেটা দেওয়া নেই।

    প্রতি বছর মোট আত্মহত্যার সংখ্যা দেখা যাচ্ছে ৪০০০ + ।
    এর মধ্যে কৃষকদের ~১৪০০ সংখ্যাটা
    কী কী কারণে সেরকম তো কোন ব্রেক আপ নেই।

    আর মোট আত্মহত্যার এক তৃতীয়াংশ ও তো unknown causes
    other causes , যা প্রায় ৮০০-১০০০, তা ই বা কী কী কারণে বলা থাকলে একটা তাও আন্দাজ পাওয়া যেত।

    poverty, bankruptcy, unemployment এই কারণগুলো র জন্য কিন্তু সব জীবিকা মিলিয়েও সংখ্যাটা শ দুইয়ের বেশি নয়।

    তাই ঋণ জনিত কারণে প্রতি বছর ১৪০০-১৫০০ কৃষন ছত্তিশগড়ে আত্মহত্যা করেছেন এটা বোধহ্‌হয় বলা চলে না।

    ও, দেখলাম শুভ্রাংশু ও লিখেছেন এক জায়গায়।

    The Bureau figures do not claim that the farmers are committing suicide due to reasons related to farming. And I am not claiming that here either.
    I am only requesting for a study of these figures, to probe and understand what is happening.

  • a x | 143.111.22.23 | ০৮ মে ২০০৯ ২১:২১410577
  • এই লিস্টে ২০০৭ টা নেই।

    ২০০৬ - ১৪৮৩
    ২০০৭ - ১৫৯৩।

    এই বছরের লেখাতে দুর্গে ২০৬ জন কৃষকের আত্মহত্যার কথা আছে, দুর্গ দ্বিতীয়, রায়পুর প্রথম।

    পাইএর দেওয়া লিস্টে দেখলাম মোট আত্মহত্যা প্রায় এক থাকলেও, কৃষক আত্মহত্যার কিন্তু আপওয়ার্ড ট্রেন্ড। ইনফ্যাক্ট ২০০৫ থেকে ২০০৬এ মোট সংখ্যা কমেছে, কৃষকদের সংখ্যাটা বেড়েছে।

    http://sanhati.com/articles/1326/ এখানে আরো অনেক গুলো কেস স্টাডি পাবেন। এই কেস স্টাডি গুলোতে দেখবএন কি পরিমাণে মহাজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন এনারা।

    আমরা হয়ত একটু গুলাচ্ছি। শুভ্রাংশু বলেননি যে সব কৃষকই ঋণের দায় আত্মহত্যা করছে, বা এমনকি সেটাই প্রধান কারণ। কিন্তু চিফ মিনিস্টার বলছেন (এমনকি রঞ্জনদা ও বললেন) যে "একটিও" সুইসাইড ঋণের জন্য না। শুভ্রাংশু দেখিয়েছে বহু কৃষকই ঋণের ভারে প্রাণ দিচ্ছেন।
    Even the state Chief Minister Raman Singh, says, “Not a single farmer has committed suicide due to loans in the state ever”. This, despite police records for last few years in Durg district that has 13 farmers listed as committing suicide due to debt. Not only that, 31 farmers are listed as having committed suicide due to ‘economic distress'.
  • a x | 143.111.22.23 | ০৮ মে ২০০৯ ২১:২৩410579
  • এই লেখাটাতে একটা কেস স্টাডিতে দেখবেন, আগে আত্মীয় পরিজন এর ধার মেটাচ্ছে, ব্যাংকেরটা সবশেষে। এটার কারণ হয়ত আপনি যা বললেন, অর্থাৎ ব্যাংক সেরকম কোনো চাপ দেয়না।
  • pi | 128.231.22.89 | ০৯ মে ২০০৯ ০৩:৪৩410580
  • ২০০৭ এ সংখ্যাটা বেড়েছে, কিন্তু সেটা ট্রেন্ড কিনা বলা যায় না। এই ডাটাসেটে গত কয়েক বছরের ফ্লাকচুয়েশন টা দেখুন।

    কাল ঘুম চোখে এক ই লিংক দুবার দিয়েছি। :(

    কী কী কারণে আত্মহত্যা , তার লিস্ট টা এখানে।
    http://tinyurl.com/q9nh4h

    ঋণের জন্য কৃষক আত্মহত্যা কোন ক্যাটেগরি থেকে ধরা হয় ?
    শুভ্রাংশু দেখলাম দুর্গের হিসেব দেখিয়েছেন।

    police records for last few years in Durg district that has 13 farmers listed as committing suicide due to debt আর
    31 farmers are listed as having committed suicide due to ?economic distress'.
    এইদুটো তথ্য দিয়েছেন উনি।

    আমি দুর্গের লিস্ট টাও তুলে রাখলাম।
    মনে হয় এটার থেকে ই হিসেবটা পেয়েছেন উনি।
    http://tinyurl.com/pddzl6

    আর এখানে ঐ 'আর্থিক তেঙ্গি (?) সে পরেশন ' এই ক্যাটেগরি তে দেখলাম ১৩ জনের নাম রয়েছে।

    ও আরো একটা পয়েন্ট, দুর্গের হিসেবে, গ্রামীণ ক্ষেত্রের সবাই কৃষক কিনা তা কিন্তু বলা নেই। তাই কৃষকের সংখ্যা ১৩ ও কম হতে পারে।

    উনি 31 farmers are listed as having committed suicide due to ?economic distress' এটা কোথা থেকে পেলেন সোর্স বলেননি।

    যাই হোক, এবার তালে পুরো ছত্তিশগড়ের হিসেবে ফেরা আসা যাক।
    আর NCRB র ডাটা নিয়েই কথা হচ্ছে যখন, তখন সেটাই দেখা হোক।

    http://tinyurl.com/q9nh4h
    'আর্থিক তেংগি মানে economic distress ধরে নিয়ে এই ক্যাটেগরি টা দেখলাম :
    'banruptcy or sudden change in economic status'

    আর সেখানে সংখ্যা ১০০ র বেশি না ,আর বছরের পর বছর সে সংখ্যা বাড়েওনি।
    ২০০৭ এ ৫৮ জন।
    এই ৫৮ ও সব জীবিকা মিলিয়ে, শুধু কৃষকদের তো আরো কম হবে।

    আর এই সংখ্যাটার কথা বলতে গেলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, তার থেকে ছত্তিশগড় কিন্তু আলাদা করে বেশি কিছু নয়।
    এখানে দেখুন, সারা দেশের ডাটা তোলা আছে।
    http://westbengalnews.googlepages.com/Table-2.10.pdf

    ছত্তিশগড়ে যেটা ৫৮, সেটা অন্ধ্রতে ৮৫০, কেরালাতে 856, মহারাষ্ট্রে ৮৮৩, গুজরাতে ২০৬, প বংগে ৯৩ ইত্যাদি ।

    ছত্তিশগড়ে কৃষক মৃত্যু কেন তালে আলাদা করে আলোচ্য?
  • a x | 143.111.22.23 | ০৯ মে ২০০৯ ০৪:২৭410581
  • পাই কি বললে ঠিক বুঝলাম না। ক্লেমটা এরকম না যে ঋণ বা অর্থনৈতিক কারণেই সবাই আত্মহত্যা করছে, এমনকি তুমিই তো শুভ্রাংশুর লেখার উদ্ধৃতি দিলে এই মর্মে। ছত্তিসগড়ে সারা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কৃষকের আত্মহত্যা (প্রতি ১০০,০০০এর মধ্যে), তাই আলোচ্য। সাইনাথ এবং নাগরাজের লেখাতে ছত্তিসগড় কে মধ্যপ্রদেশের সাথে একসাথে দেখানো হয়, সেটাকে ডাইসেক্ট করতে গিয়ে দেখা যায় যে ছত্তিসগড়ের নিজের সংখ্যাটা সিংহভাগ।
    এবার এদের মধ্যে কেউ কেউ ঋণের জন্য। সবাই নয়। কিন্তু একটাও ঋণের জন্য না, যেটা মেনস্ট্রীমে ক্লেম করা হচ্ছে, সেরকম না। ইনফ্যাক্ট এই ক্লেমটাও করা হয় যে একটিও কৃষক আত্মহত্যা করছেনা। ১৫০০ তো একটা মাইন্ড বগলিং নাম্বার বলেই মনে হয়। যে লেখাগুলোর লিংক দিয়েছি তাতে শুভ্রাংশু বলছে, যে সুইসাইড যথেষ্ট কমপ্লেক্স ইস্যু, বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
    আর কিছু কিছু ট্রেন্ড আছে, যা আগে লিখেছি। কোথায় কোথায় ঋণের জন্য হলেও সেটা রেকর্ডেড হচ্ছেনা সেভাবে সেটাও বলা হয়েছে।

  • pi | 128.231.22.89 | ০৯ মে ২০০৯ ০৬:০৪410582
  • ১। ছত্তিশগড়ে 'একটিও কৃষক ও আত্মহত্যা করছেনা', এই 'ক্লেম'টা কে করেছে ?

    ২। দুর্গের লিস্টে ( http://westbengalnews.googlepages.com/durg_20061.pdf)
    ২০ 'আর্থিক তেংগিতে পরেশন' হয়ে আত্মহত্যাকারী দের ১৩ জনের মধ্যে ৩ জন হলেন কৃষিজীবী।

    শুভ্রাংশু লিখলেন, 'Even the state Chief Minister Raman Singh, says, “Not a single farmer has committed suicide due to loans in the state ever”.This, despite police records for last few years in Durg district that has 13 farmers listed as committing suicide due to debt.

    মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা বলেছেন কিনা এখনো শিওর হয়ে বলা যাচ্ছেনা কারণ ঐ ৩ টি 'আর্থিক তেংগি'র কেসের মধ্যে 'লোন'জনিত কারণ একটিও কিনা কোথাও বলা নেই।
    এদিকে শুভ্রাংশু কিন্তু পুলিশ রেকর্ড কোট করতে গিয়ে ভুল বলছেন বলেই মনে হচ্ছে । ওনার ঐ 13 farmers এর ১০ জন ই কৃষিজীবী নন।
  • pi | 128.231.22.89 | ০৯ মে ২০০৯ ০৬:৫৪410583
  • ৩। সারা রাজ্যের হিসেবে একটিও ঋণ জনিত কেসে সুইসাইড নেই, মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্লেম টা করে থাকলে তা ভুল হতে পারে। যদিও পুলিশ রেকর্ড এর ভিত্তিতে সেটাকে ভুল বলা , যেটা শুভ্রাংশু বলছেন, সেটা বলাটা মুশকিল।
    কারণ রেকর্ড এ শুধু আর্থিক দুর্গতি বলা আছে, ঋণ কিনা বলা নেই।

    আর আগের ১। এর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে, শুভ্রাংশু র ই একটি লেখাতে দেখলাম, ডিস্ট্রিক কালেক্টর বলেছেন, কোন কৃষক আত্মহত্যা করেনি। অক্ষদা বোধহয় এনার কথা বলেছিলেন।

    কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও ডিস্ট্রিক কালেক্টর এই ক্লেম গুলো কোথায় করেছেন ?
    শুভ্রাংশু র লেখা ছাড়া আর তো কোথাও রেফারেন্স পাচ্ছিনা।

    রঞ্জনদা, এগুলো কি লোকাল নিউজপেপারে করা ক্লেম ?

    ৪। 31 farmers are listed as having committed suicide due to 'economic distress' এর সোর্স এখনো পাইনি
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০৯ মে ২০০৯ ০৭:৩৩410584
  • সবাই আমার মত ১, ২, ৩, ৪ পয়েন করে লিখতে শিখে গেল। (কালো চশমার স্মাইলিটা হবে এখানে)
  • pi | 128.231.22.89 | ০৯ মে ২০০৯ ০৮:৩৪410585
  • ৫। এবার এই ছত্তিশগড় ই কেন সেই নিয়ে তোলা প্রশ্ন প্রসংগে।

    আপনি বলছেন ১৫০০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে।

    উদ্বেগের কারণ যদি হয় ১৫০০ জন, তাহলে আমি বলবো, ১৫০০ কৃষকের মতন ৮০০-৯০০ জন গৃহবধূ ও আত্মহত্যা করেছেন, ৬০০-৭০০ self employed লোক ও করেছেন, প্রায় হাজার খানেক অন্য জীবিকার লোক ও করেছেন। সেই সব কিছু নিয়ে ই আলোচনা হোক।

    আত্মহত্যা করা ইটসেল্ফ উদ্বেগজনক ব্যাপার বলে আলোচনা চাইলে আমি এই রাজ্যগুলো নিয়ে আলোচনা করতে উৎসাহী হবো, যাদের আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যেখানে সবার উপরে রয়েছে আমাদের রাজ্য, মহারাষ্ট্র, এপি, কর্ণাটক, http://ncrb.nic.in/ADSI2007/Suicides07.pdf, পৃ, ১৭২

    ছত্তিশগড় অনেক পিছনে। তালে তাকে নিয়ে কেন ?

    সুইসাইড রেট বেশি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ ?
    ১৭৩ পাতা দ্রষ্টব্য ।
    ছত্তিশগড়ের আগে আরো অনেক রাজ্য আছে, আলোচনায় তারাও আসুক তবে।

    কৃষকের আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বেগ, কমরেড?
    তাহলে কারণগুলোর ব্যবচ্ছেদ করা হউক।
    মোট আত্মহত্যার সিংহভাগ ই তো দেখা যাচ্ছে অসুখ বিসুখ, প্রেম, কাজিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে।
    http://westbengalnews.googlepages.com/suicide_figures_by_causes_2001-20061.xls

    আমরা কি এই কারণগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন বা এখানে আলোচনায় উৎসাহী ?

    আমি নই, আমার ধারণা আপনিও নন :)

    কৃশাকদের আত্মহত্যা, এটা কে আমি কখন আলোচনার ইস্যু মনে করবো ? যদি এর বেশিরভাগ কোন বিশেষ অর্থনৈতিক পলিসিগত কারণে হয়ে থাকে।
    যেমনটা মহারাষ্ট্র, এ পি, কর্নাটকে হয়েছে।

    ছত্তিশগড়ের ব্যাপারটা এইরকম কিছু কিনা আপনি সেইটা জানতে চান, ঠিক কিনা ?

    এনিয়ে দ্রি র পোস্টটা উল্লেখ্য, 24 Apr 2009 -- 10:40 AM এর

    হ্‌ত্‌ত্‌প://য়্‌ব্‌ব।গুরুচন্দলি।ওম/গুরুচন্দলি।ওন্ত্রোল্লের?পোরে্‌ত্‌লতীদ=৮পোর্লেতঅগে=২ওন্তেনে্‌ত্‌ট্‌য়্‌প=ওন্তেন্তউরি=ওন্তেন্ত১২২১৫৮৬১৯০৬৯৫

    উনি বলছেন, এই আত্মহত্যার একটা বড় অংশ ঋণজাল।
    সেটা হলে উদ্বেগের ও আলোচনার বিষয় হতে পারে, অবশ্য ই ।

    কিন্তু আদৌ কি তাই ?
    মহারাষ্ট্র, এ পি, কর্নাটক এই রাজ্যগুলিতে আর্থিক কারণে আত্মহত্যার সংখ্যা যেখানে ৫০০-৮০০, ছত্তিশগড়ে তা ~ ৫০, অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে কম।
    কয়েক বছরে এই সংখ্যার কোন ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড ও নাই।

    তাহলে, আলোচনার জন্য এই ১৫০০ সংখ্যাটার গুরুত্ব কোথায় ?
    এটা বারবার আলোচনায় আসছে কেন ?
    আর, স্পেসিফিক্যালি এই ছতিশগড়ের কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা তালে কিসের ভিত্তিতে ও কেন ?

    আর মজা হল, শুব্রাংশু মেনে নিচ্ছেন The Bureau figures do not claim that the farmers are committing suicide due to reasons related to farming. And I am not claiming that here either. অথচ ওনার পুরো লেখাটাই ঋণ, ফার্মিঁ, আত্মহত্যা ও এদের যোগাযোগ প্রসংগে।

    যে একটা দুটো কেস স্টাডির কথা উনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলো নিয়ে অনশ্য ই আলোচনা হতে পারে, করা দরকার ও , কিন্তু NCRB র ডাটা র পরিপ্রেক্ষিতে নয়, ঐ ১৫০০ জন কৃশাক আত্মহত্যা করেছেন, এই যুক্তিতে নয়।

    মেনস্ট্রীম যদি একটি আত্মহত্যার কথা উল্লেখ না করে সেটা যেমন ভুল, অন্য মিডিয়াগুলোর একটি বিশাল সংখ্যার অপ্রয়োজনীয় উল্লেখ ও কিন্তু ভুল বার্তা পৌঁছে দ্যায়।

    সাইনথের এবারের কাউন্টারকারেণ্টের লেখা নিয়ে ও আমার এখন ধন্দ জেগেছে। লিখছি।

  • a x | 75.53.196.7 | ০৯ মে ২০০৯ ০৯:৫৭410586
  • ইকনমিক রিসেশনের থ্রেডে রঞ্জনদা বলেছিলেন একটিও উনি জানেন না ঋণজনিত কারণে।

    দুর্গের লিস্ট শুভ্রাংশু বলেছে পুলিশের কাছ থেকে। আর কতজন দুর্গের কৃষিজীবি আত্মহত্যা করেছে, ৩ না ১০ এটা নিয়ে যদি বা কনফিউশন থাকে ১৫০০ জন যে কৃষিজীবি, সেটা NCRB'র ডাটা।

    মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র এগুলোতে তো কৃষকের আত্মহত্যার সংখ্যা খুবই বেশি, এবং তা নিয়ে কথা হয়েও থাকে, ছত্তিসগড় নিয়ে এতদিন হয়নি। এবং এই অ্যাবসোলিউট সংখ্যা না বলে, ঐ পাশের কলামের সংখ্যাটা বলা উচিৎ, পপুলেশন কারেকশন করে। অর্থাৎ ছত্তিসগড়ের ৫৮ ভার্সাস অন্ধ্রর ৮৫০ না, ছত্তিসগড়ের ১.২ ভার্সাস অন্ধ্রর ৫.৬।

    আর দুর্গের এই লিস্টে বিভিন্ন কারণ - কর্জের জন্য, ম্যাটাডোর না কিনতে পারার জন্য, আর্থিক, কাম-ধান্দা না হোনে সে ইত্যাদি আরো আছে, সেগুলো গুনতে হবে। তাছাড়া এটা যে কম্প্রিহেন্সিভ লিস্ট না বলা হয়েছে।

    এবাদেও মনে রাখা দরকার, মানসিক অসুস্থতা, (দেখার মত, কতগুলো কৃষিকার্যর সাথে যুক্ত লোকের আত্মহত্যার কারণ পরপর লেখা আছে মানসিক কারণ) ইত্যাদি যেখানে দেখানো হয়েছে, তার কয়েকটা কেস স্টাডি দেখিয়েছে শুভ্রাংশু যে বাবার নামে জমি বলে, বা মহাজনের কাছে ধার কিন্তু স্ত্রী মারা যাবার জন্য, ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে।

    আর আবারও বলছি কেউ বলেনি ঋণই এই সমস্ত আত্মহত্যার পেছনে (পাইএর ৩:০৫'এর শেষ থেকে তিন নম্বর পয়েন্ট)।

    দুর্গের এই আত্মহত্যার লিস্টটা কিন্তু খুবই ইন্টেরেস্টিং। প্রায় ১০০ জন কৃষিকার্য বা কৃষি মজদুরী কার্যের সাথে যুক্ত, আরো কিছু যুক্ত কৃষি গৃহ কার্য (?) র সাথে। ঐ প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর কারণ পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বা বেশিদিন অসুখ সহ্য না করতে পারা কিম্বা দিমাগি হালাত!
  • a x | 75.53.196.7 | ০৯ মে ২০০৯ ১০:০৯410587
  • মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্র ইত্যাদি জায়গা নিয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছে। মূলত সাইনাথের মাধ্যমে। কিন্তু ছত্তিসগড় নিয়ে এতদিন হয়নি। কেন ছত্তিসগড়, ১৫০০ সংখ্যা কি ম্যাজিক নাম্বার? ১৫০০ কে পপুলেশন দিয়ে ভাগ করে ১০০,০০০ দিয়ে গুণ করলে যা পাওয়া যায়, অর্থাৎ ইন্ডেক্স, সেটি একদম উপরে। বিদর্ভের থেকে উপরে। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রর সাইজটা মাথায় রাখলে ভালো হয়। এবং আজ না, গত ৭ বছর ধরে, অথচ কেউ উচ্চবাচ্য করেনি। এবার কেউ কেন এটা নিয়ে করল, সেটা তার অপরাধ হতে পারে, এমনটা ভাবতে হবে ভাবিনি।

    ঐ গৃহবধূদের সংখ্যাটা প্রথমেই চোখে পড়েছে, এবং অবশ্যই ওটা নিয়ে কথা হওয়া উচিৎ। ঐ গৃহবধূদের আর্থিক স্তর দিয়ে ক্লাসিফিকেশনও দরকার। কিন্তু এইটা নিয়ে না বলে ঐটে নিয়ে কেন বললেন এইরকম দাবী হলে তো মুশকিল।

    আমার আগ্রহ -
    ১) কেন এই বিশ্বাসটা আছে ছত্তিসগড়ে যে একটিও কৃষক ঋণের ভারে আত্মহত্যা করেন না।
    ২) এই যে পয়েন্টার্স গুলো - রাইস বোলেই কেন্দ্রীভূত, এবং যেখানে সার বেশি ব্যবহার হয়, সেখানে বেশি, এগুলো কি কিছু ইন্ডিকেট করে।
    ৩) এবং পার লাখে এই এত বিশাল সংখ্যক, যেখানে ক্র্যাশ ক্রপ চাষ হয়না, সেটার মূল কারণ কি হতে পারে। যদিও ধানই হয়ত এখানের ক্র্যাশ ক্রপ।

    এই নিয়ে রঞ্জনদা কিছু বলতে শুরু করেছিলেন, তাই আরো বিশদে জানতে চাওয়া।
  • dri | 117.194.230.93 | ০৯ মে ২০০৯ ১১:৪১410588
  • পাইদির দেওয়া লিংকগুলো দেখে আমারও মনে হতে শুরু করছে ছত্তিশগড়ে চাষীদের ঋণজনিত আত্মহত্যা একটা বিরাট বড় সমস্যা নয়। ইল্লিসিট রিলেশান, ফ্যামিলি প্রবলেম, মেন্টাল ইলনেস, লাভ অ্যাফেয়ার ইত্যাদির সমস্যা চাষীদের সমস্যা বলে ক্লাসিফাই করাটা কতটা ঠিক হবে সেই নিয়ে একটু ডাউট রইল। দেখতে হবে পুরো পপুলেশানে এই পার্সেণ্টেজগুলো কেমন। অবশ্য চাষীদের এই পার্সেন্টেজগুলো আনইউজুয়ালি হাই হলে সেই নিয়ে স্পেসিফিক সোশাল স্টাডি হতে পারে। আমার বেশী ইন্টারেস্ট ঋণজনিত সমস্যায় চাষীরা কিভাবে রিয়্যাক্ট করছে। কোথায় কোথায় এই সমস্যাগুলো বেশী। এবং যে সব চাষীরা আত্মহত্যা করছে না, তারা কি করছে। রঞ্জনদার কϾট্রবিউশানের অপেক্ষায় রইলাম।

    এছাড়া শ্যামলবাবুর ইঙ্গিতে একটু রিয়্যাক্ট না করে পারছি না। ওনার বক্তব্য চাষীরা বড্ড আত্মহত্যা করছে। লোন নিয়ে শোধ করতে পারছে না। রিস্ক নেওয়া কি চাষীদের কাজ? রিস্ক নেবে কর্পোরেট। ল্যান্ড সিলিং উঠিয়ে দাও। সব ল্যান্ড কর্পোরেশানের হাতে তুলে দাও।

    আমার কথা হল রিস্ক নিয়ে টাকা নয়ছয় করে আম্রিকান ব্যাঙ্কগুলোর এখন কি অবস্থা? বড় কর্পোরেটের হাতে রিস্কের সব দায়িত্ব তুলে দিয়ে কি হল সে তো দেখাই গেল।

    মানুষের কাজের ব্যবস্থা করার আগে ভিটেমাটি কেড়ে নেবার প্রোগ্রাম করার আগে অনেক অনেক বার ভাবা দরকার।
  • a x | 75.53.196.7 | ০৯ মে ২০০৯ ১২:১৭410590
  • "পপুলেশনে এই পার্সেন্টেজ কত" - দ্রির প্রশ্নর উত্তর -
    পুলিশের রেকর্ডে যাদের কৃষিকাজ দেখায়, তারা landowner মানে ভূমিহীন বা ক্ষেতমজুর কিন্তু এই হিসেবে নেই।
    এবার ছত্তিসগড়ে সুইসাইডের সংখ্যা ২০০৮'এ ৩২.৫৫ লাখ, মোট পপুলেশনের ১৫%। আর এই মোট সুইসাইডের ৩২.২% land owning কৃষক। বাকি কৃষির সাথে যুক্ত কিন্তু মজুর ইত্যাদি কে ধরা হচ্ছেনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন