এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমি গাই ঘরে ফেরার গান

    r
    অন্যান্য | ২৪ এপ্রিল ২০০৯ | ২১৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arya | 203.91.201.56 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ০৯:৪৪410985
  • আমি চাকরি পাওয়ার প্রথমে গামারিয়া, জামশেদ্‌পুর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে একটা গ্রাম, ওখানেই ছিলো আমাদের স্টীল প্ল্যান্ট। জায়গাটার প্রাক্‌তিক সৌন্দর্য অসাধারন।আমাদের হস্টেলের বারান্দা থেকে সুবর্ণরেখা আর দলমার একটা অর্পূব ভিউ পাওয়া যেতো।মাঝে মধ্যে হাতিও নাম্‌ত দলমা থেকে।
    তারপর কোলকাতা।
    তারপর পুণে।
    তারপর ফিনল্যান্ড। দেশটার প্রাক্‌তিক সৌন্দর্য শীতকালে একরকম, গ্রীষ্মকালে একরকম।
    তারপর ক্রোয়েশিয়া, অসম্ভব প্রাক্‌তিক সৌন্দর্য, ইস্ট ইউরোপিআন দেশগুলো যেমন হয়।
    এখ্‌ন কোলকাতা, কিন্তু বাইরে যাবার ডাক আবার এসে গেছে।
    কিন্তু কোলকাতা ফেরার টান সব সময় ছিলো এবং আছে।
    ভবিষ্যতের কথা বলতে পারি না।
  • Sibu | 173.145.201.215 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ১০:০৮410986
  • পাহাড়ের নীচে নীল-নীল সমুদ্দুর। সমুদ্দুরের ধার ঘেষে বালি-বালি সৈকত, আর নীলে সাদায় ঢেউ তোলা ফেনা। বুড়ো কুয়াশা-র বাস সেই পাহাড়ের পায়ের কাছে, সমুদ্দুরের জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে। দিনের বেলায় কুয়াশা ঘুমু করে জলের নীচে গুহার ভেতরে। সেই গুহাতে সবুজ শেওলা, আর বাদামী আলো, আর লালে হলুদে সবুজে আকি-বুকি কাটা মাছেরা ভুর-ভুরি কেটে ঘুরে বেড়ায়। গুহার দেয়াল ধরে-ধরে ঝিনুকের তাক। তাতে সাজানো রামধনু রঙের মুক্তো আর শুক্তি। রিমিঝিমি আলোতে কুয়াশা ঝিমোতে থাকে, ঘুমোতে থাকে, আর, ক্কচিত কখনো স্বপ্ন দেখতে থাকে। বুড়ো মানুষের স্বপ্ন যত সব।

    যখন সন্ধে হোয়ে আসে, তখন কুয়াশার বুড়ো হাড়ে শীত লাগে। জলের তলায় ঠান্ডা হয়ে আসা গুহার আশ্রয় ছেড়ে কুয়াশা তার বিরাট ধোঁয়াটে শরীর নিয়ে একটু একটু কোরে ওপরে উঠে আসে। যত রাত বাড়ে, তত কুয়াশা জল ছেড়ে পাহাড়ের মাথায় উঠতে থাকে। পাহাড়ের বাসিন্দারা প্রথমে দেখে বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজগুলোর আলো ঝাপসা হয়ে গেলো, তারপর রাস্তার আলো আর গাড়ির আলো ভালো করে দেখা যায়না। শেষে কাঁচের জানালায় কুয়াশা জড়িয়ে যায়। আর তখন চাঁদ, তারা সব ঝাপসা হয়ে ঝিম ধোরে ঘুমোতে থাকে।
  • Samik | 219.64.11.35 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ১৬:৩৪410987
  • টেস্টিং।
  • til | 220.253.240.3 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৫০410988
  • ফেরা? কোথায় ফেরা?
    নিজের ঘরে। আপন ঘরে- কিন্তু কিছুদিন থাকলে পরের (প্রবাসের) ঘরও যে আপন হয়ে যায়।
    ধন্ধ আপাতত থাউকগা!

    একটা মজার কথা বলি। রাঁচীতে ইঞ্জিনীয়ার্স হোস্টেলে থাকতাম, দৈববলে (কপাল জোরে) দুবছরের জন্যে বম্বেতে পোষ্টগ্র্যাড করতে কোং পাঠালো। (জামাই আদর)। সেখানেও হোস্টেল। এদিকে রাঁচীর ঘর ছাড়িনি।
    খুচখাচ প্রজেক্ট করতে বা কলেজ ছুটিতে আসতাম।
    দু জায়গাতেই এক সেট করে ঘর, এক সেট বিছানা, হাওয়াই চপ্পল ইত্যাদি।
    রাঁচীতে ফিরলে যেন ঘরে ফেরা, সেখানে যেন জনম জনম ধরে আছি, লোক্যাল পলিটিকস, লোক্যাল সমস্যা, ইত্যাদি। আবার কদিন বাদে বম্বে ফিরলে যেন আবার বাড়ী ফেরা।
    ঠিক লিখতে পারলাম না অনুভূতির কথা।
    আসলে অভ্যেসই মূল কথা!

  • Lama | 203.99.212.53 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ২০:৩৯410989
  • প্রথমবার চাকরিতে ইস্তফা। মাসখানেক খাওয়াপরা চালানোর মত টাকাপয়সা ট্যাঁকে নিয়ে কলকাতাগামী উদ্যানআভা তুফান এক্সপ্রেসে চেপে বসা। রাস্তায় একাধিক অচেনা মানুষের সঙ্গে পরিচয় এবং বেকার যুবকের প্রতি সহানুভূতিসূচক হাহুতাশে বিরক্তির উদ্রেক।

    আগ্রায় গাড়ি থামামাত্র অবতরণ ও তাজমহল দর্শন। পরদিন আবার কলকাতাগামী ট্রেন।

    মাঝরাতে পাঁচিল টপকে গৃহপ্রবেশ। হুতোর ছানাবড়া চোখ।

    তারপর সারারাত বাজে ভাট, ধূমপান ও মহীনের ঘোড়াগুলি শ্রবণ।

    - আমার ঘরে ফেরার গল্পগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি মনে আছে।
  • Abhyu | 97.81.108.219 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ২১:০৫410990
  • আমার প্রথমবার ঘরে ফেরা। ১৯৯৯ সালে পিএইচডি করতে ঢুকি। ২০০১ সালে বাড়ি গেলাম, এদেশে আসার পরে প্রথমবার। দেড় মাসের ছুটি। আশা করেছিলাম দু বছর আগে যখন দেশ ছেড়েছিলাম সময় সেখানেই থেমে আছে। ছুটি শেষে যখন অ্যানাআর্বারে ফিরলাম, গরম জলে স্নান করতে করতে মনে হল, বাব্বা, কতদিন পরে ঘরে ফিরলাম।

    আমি এখনো দেশে ফিরে যাওয়ার আশা রাখি, কিন্তু জানি কখনোই, কোথাওই ফেরা যায় না - সব নতুন করে শুরু করতে হয়।
  • a x | 143.111.22.23 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৫৪410991
  • আমি একজনকে চিনি। র‌্যাদার চিনতাম। সে একদিনের জন্য "ফিরেছিল"। এখান থেকে প্লেনে উঠে, কোলকাতা নেমে, ট্রেন ধরে, একটা স্টেশনে নেমে একটি মেয়ের সাথে দেখা করে, আবার ট্রেন ধরে কোলকাতা এবং ফিরতি ফ্লাইট আম্রিকার।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ মে ২০১০ ০০:০০410992
  • ঢপ। পড়েই বোঝা যায়।
  • a x | 143.111.22.23 | ০১ মে ২০১০ ০০:০৪410993
  • না ঢপ না।
  • Abhyu | 97.81.108.219 | ০১ মে ২০১০ ০১:০৭410995
  • ছেলেটি কি করে?
  • stoic | 160.103.2.224 | ০১ মে ২০১০ ০১:২২410996
  • এই টই টা পড়তে পড়তে এই গান টা মাথায় এলো।

  • Abhyu | 97.81.108.219 | ০১ মে ২০১০ ০৭:২২410997
  • পথের প্রান্তে কোন সুদূর গাঁয়
    যেথা সময় থমকে থাকে বটের ছায়
    সন্ধ্যাদীপ ভালে তারার টিপ
    যেখা ফুলের গন্ধে মোর মন মাতায়

    আহা, কোন সুদূর সেই স্বপ্নপুর
    মন যে গায় ঘরে ফেরার সুর
    মোর পথ চেয়ে আজও সেই মেয়ে
    বুঝি স্বপ্নজাল বোনে গান গেয়ে

    মেলার রাস্তা ধরে মেয়ের দল
    যেত কাঁকন বাজিয়ে পায়ে রুপোর মল
    পশরা সাজিয়ে যত জেলের মেয়ে
    যেত ঘাগরা দুলিয়ে কত গান গেয়ে

    আহা, কোন সুদূর সেই স্বপ্নপুর
    মন যে গায় ঘরে ফেরার সুর
    মোর পথ চেয়ে আজও সেই মেয়ে
    বুঝি স্বপ্নজাল বোনে গান গেয়ে

    হাসির হররা ভরা আঙিনায়
    কত রাঙিন মেয়েরা সব আসে যায়
    আমার মন সেথায় রয় বসে
    আমি যাই চলে কোন দূর দেশে

    আহা, কোন সুদূর সেই স্বপ্নপুর
    মন যে গায় ঘরে ফেরার সুর
    মোর পথ চেয়ে আজও সেই মেয়ে
    বুঝি স্বপ্নজাল বোনে গান গেয়ে
  • Abhyu | 97.81.108.219 | ০১ মে ২০১০ ০৭:২৭410998

  • pipi | 92.225.75.141 | ০১ মে ২০১০ ১৭:৩১410999
  • মন্দাক্রান্তার "ঘর বলতে....' কবিতাটা কেউ একটু তুলে দেবে?
  • Du | 71.97.53.73 | ০১ মে ২০১০ ১৯:৪৯411000
  • বাবুলসে নজরে মিলাউ ক্যয়সে, ঘর যাউ ক্যয়সে ---
  • Lama | 117.194.224.172 | ০১ মে ২০১০ ২২:৪১411001
  • তারাপদ রায়ের লেখা থেকে ক লাইন তুলে দিলাম:

    "অনেক দিন আগের কথা এসব।

    আমার জন্মের, আমার বাবার জন্মের, আমার ঠাকুরদারও জন্মের আগের। পুরনো সব নামধাম, মানুষজন, অবলুপ্ত গ্রামগঞ্জ। মাটির মধ্যে মিশে যাওয়া, জনপদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া নদীনালা। আগাছার ঝোপে ঢেকে যাওয়া ইঁট খুলে যাওয়া ঘরবাড়ি, কবেকার ঘরসংসার।

    এই গ্রীষ্মে ভাঁটফুলের গন্ধে ম-ম করছে শূণ্য আঙিনা, পতিত উঠোন। দন্ডকলসের ছোট ফুলে তার চেয়েও ছোট বাদামী রঙের পিঁপড়ে খুঁটে খুঁটে মধু খাচ্ছে। দূরে পুকুরপাড়ে কামরাঙা গাছের ডালে একটা ঘুঘু সারাদুপুর ডাকছে অবিরত, পুরনো দিনের মত। ঝাঁ ঝাঁ রোদে ঝিমঝিম করছে ফেলে আসা বাসাবাড়ি।

    আমার হয়তো আর যাওয়া নেই।

    আমার হয়তো আর যাওয়া হবে না। আমি দুশো মাইল দূর থেকে, পঁচিশ পঞ্চাশ বছর দূর থেকে শুধু দেখি আর দেখি। ভাঁট ফুলের গন্ধ, ঘুঘুর ডাক, আরো কত শব্দ বর্ণ গন্ধ স্পর্শ ভেসে আসে কত দূর থেকে দুপুরবেলার রৌদ্রময় বাতাসে।'

    (চারাবাড়ি পোড়াবাড়ি)
  • M | 222.254.193.14 | ০২ মে ২০১০ ১৫:২৫411002
  • আমারতো পুরো ক্যাম্পিং কেস লাগে, এক সময় ছিলো যখন ক্যাম্প থেকে ফেরার সময় ম্যাটাডোরে বেডিং বাক্সের সঙ্গে আমাদের বোঝাই করা হত হাওড়া স্টেশন থেকে, মাঝেরহাট ব্রিজের মাথা থেকে জাহাজের মুন্ডু দেখতে পেলেই মনে হত ঘরে ফিরছি।বেডিং এর চুড়ায় বসে কেমন একটা ফেরার আনন্দ আর ক্যাম্প শেষ হয়ে যাবার দু:খে দোল খেতে খেতে গ্রুপ এসে যেত।

    খুব অল্প কিছুদিন যদুপুরের গা ঘেঁষা একটা কলেজে ঢুকেছিলাম, তখন কলেজ যাওয়াটাই বাড়ী ফেরা লাগতো, আমার সবই এরকম উল্টো।

    তারপর বিয়েরপর তো পুরো পিং পং ব্যাপার।শ্বশুরবাড়ীতে কিছুদিন অন্তর অসুস্থ হচ্ছি আর ড্যাডের বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে,সেখানে সুস্থ করেই আবার দুর দুর করে শ্বশুরবাড়ী,পুরো কনফু কোনটা ফেরা।

    আবার ব্যাক টু দি প্যাভিলিয়ন, আবার সেখান থেকে ফ্ল্যাট, কদিন সেখানে কে জানে।এই করেই ক্যাম্পিং চলছে। তবে এ একদিক থেকে বেশ ভালোই বিচিত্রতার শেষ নেই।ফেরা বলেও কিছু নেই।আমার ফিরতে একটুও ভাল্লাগেনা।
  • . | 115.117.230.178 | ০২ মে ২০১০ ১৬:২৩411003
  • এবার আমি ফিরি ফেরার কুতূহলে
    এবার আমি ফিরি ফেরার কামনায়
    অনেক হলো দিন অনেক হলো বলে
    এবার আমি ফিরি ফেরার কুতূহলে
    এবার আমি ফিরি ফেরার কামনায়
    অনেক হলো দিন অনেক হলো হায়
    দিনের বেলা ঘরে, ঘরের বেলা দিন
    রাতের মেঘ সবই গড়ায়ে যায় জলে
    নিজেরে সাবধান করিতে হবে খুব
    পরেরে সাবধান করিবে তুমি আসি
    তোমার ভুলগুলি তুমি কি ভুলে যাবে
    তোমার ভুলগুলি আমি যে ভালোবাসি
    এবার আমি ফিরি ফেরার বেলা হলে
    এবার ফিরে যাই ফেরার কামনায়
    দিনের বেলা ঘরে রাতের মেঘ করে
    রাতের বেলা ঘরে দিনের মেঘ নাই।

  • arindam | 59.93.209.19 | ০২ মে ২০১০ ১৬:২৪411004
  • ঘর
    মন্দাক্রান্তা সেন
    ----------------
    ঘর বলতে ছায়ায় ঘেরা বাড়ি
    দুয়োর খুলে উঠোনে পা পেড়ে
    ঘর বলতে ফিরব তাড়াতাড়ি
    ঘর বলতে তোমায় মনে পড়ে

    ঘর বলতে মাঠের পরে মাঠ
    আলের ধারে রোদ মেলেছে পা
    দিঘির কোলে ভাঙা শানের ঘাট
    ভাত রেঁধেছি, নাইতে যাবে না?

    ঘর বলতে সন্ধে নেমে এলে
    পিদিম জ্বেলে বসব পাশাপাশি
    নিঝুম পাড়া, আটটা বেজে গেলে
    দূরের থেকে শুনব রেলের বাঁশি

    ঘর বলতে সমস্ত রাত ধরে
    ঘুমের চেয়েও নিবিড় ভালোবাসা
    ঘর বলতে তোমার দুঁচোখ ভরে
    স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আসা

    ঘর বলতে এসব খুঁটিনাটি
    ঘর বলতে আকাশ থেকে ভূমি
    একদিকে পথ, বিষম হাঁটাহাঁটি
    পথের শেষে, ঘর বলতে- তুমি।(ঘর, এ সবই রাতের চিহ্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে, মন্দাক্রান্তা সেন)
  • sda | 117.194.195.186 | ০২ মে ২০১০ ১৯:০৩411006
  • বছর দুই আগের কথা। বম্বের একটা ছোটো কোম্পানির প্রজেক্ট পেয়েছিলাম আমি আর এক কলেজ তুতো দাদা। বৈশালীনগর এ একটা এক কামরার ফ্ল্যাট দিয়েছিলো, ব্রেকফাস্ট অফিসে, লান্‌চ আসতো বসের বাড়ি থেকে আর রাতে খাওয়ার জন্য উইকলি টাকা দিত।

    দিন সাতেক মহানন্দে কাটল। তার পর শুরু হল বাওয়াল। কোলকাতায় বসে যে দাবিদাওয়া শুনেছিলাম এখানে এসে দেখি তা ফুলে ফেপে চতুর্গুন। বস একটি অপগন্ডো, বাজারে যে software দেখে সব কিছুর ফিচার তার চাই। কোন SRS এর বালাই নেই, যখন যা মাথায় আসছে, বায়না শুরু। হতভাগা কে একদিন স্পষ্ট বল্লাম যে আমাকে ২-৩ জন কোডার জোগাড় করে দিন, তা ছাড়া পসিবল না। তাতে ও রাজি না।
    দুজনে পরামর্শ করে ঠিক হল, প্রজেক্ট চুলোয় যাক। অলরেডি advance হিসাবে যা জুটেছে তাতে সব খরচা বাদে ও এক মাস কলেজ কামাই পুষিয়ে যাবে। এই অন্তহীন প্রকল্প ১০ বছর চালালেও কিছু হবে না।
    তো, সেই পথে কাজ চললো। সকালে অফিসে এসে torrent এ মুভি ডাউনলোডে বসিয়ে দিতাম। firefox এর এক ট্যাবে অর্কুট অন্য ট্যাবে download.com খোলা (2GB ফ্রি ডাউনলোড এর কানেকশন ছিলো ! )। দুপুরে টেবিলে ঠ্যাঙ্গ তুলে স্বল্প ভাতঘুম। একবার এই অবস্থায় বস ঘর এ ঢুকে পড়ায় বলেছিলাম সারা সকাল কোড করে ক্লান্ত। একটা বড় html ফাইল visual studio তে খুলে দেখিয়ে দিয়েছিলাম প্রমাণ স্বরূপ। অগুন্তি লাল নীল কালার্ড ট্যাগ আর ডানদিকে scroll box এর খর্বতা দেখে যথাক্রমে কোডের জটিলতা আর আমাদের পরিশ্রম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বস ডিনারে নিয়ে গেলো সেদিন। সাধে কি বলে নলেজ ইজ পাওয়ার !
    তত দিনে বোম্বের জীবনধারা, বিশেষ করে মদ্যবিপনীর সুলভতা আমদের মায়ার বন্ধনে বেঁধে ফেলেছে। বিন্দাস জীবন কেটে যাচ্ছিল, হঠাৎ একদিন বাড়ি ফেরার তাগিদ এলো।
    একদিন মধ্যরাতে হঠাৎ দৈববাণী র মত মাথায় এলো যে কলকাতাকে খুব মিস করছি। মদ্যপ অবস্থায় ডিসিশন নিতে সময় লাগে না। সেই রাতে বস কে একটি মেল - leaving for home tomorrow। হতভাগা একটু পরে ফোন করেছে , কিন্তু তখন আর লজিক্যল স্টেটে নেই আমরা। এক তরফাই চেঁচিয়ে মরল। পরের দিন ভোরে উঠে মুলুন্দ স্টেশনে গিয়ে সেদিন রাতের বোম্বে মেলের টিকিট কাটা হল, ভগবানের দয়াতে RAC পেলাম। ফ্ল্যাটে ফিরে দেখি বস এসে বসে আছে । আর এক প্রস্থ রাগারাগি , ভয় দেখানো কিছুতেই কাজ হল ন। বেশি লাভের আশায় কোনো ক¾ট্রাক্ট ও সাইন করায়নি আমাদের। কলেজে complain করবে বলে ভয় দেখাল। কিছুতেই কিছু হল না।
    তার পর আর কি , বাকি দিন টা VT স্টেশনে কাটানো। রাতে ট্রেন ধরে ২ দিন পর কলকাতা। কলেজে ফিরে কেউ কিছু জানতে চাইলে গম্ভীর মুখে "অনসাইট গিয়েছিলাম" বলে ফাঁট বাগানো।
    একটা কৌতুহল থেকেই গেছে। সেই মাসে কম্পানির ইন্টারনেট বিল কত এসেছিল!
  • SS | 24.47.16.181 | ০৩ মে ২০১০ ০২:৪২411007
  • কী আশ্চর্য ঘটনা! আমিও একজনকে চিনি যে কয়েক ঘন্টার জন্য 'ফিরেছিল'। তবে এক্ষেত্রে সে তার মা কে দেশে পৌঁছে দিতে গিয়েছিল। ইউএস-চেন্নাই-ইউএস ট্রিপ এর মাঝে শুধু ৫-৬ ঘন্টা বাড়িতে ছিল।
  • Arya | 203.91.201.56 | ০৩ মে ২০১০ ১০:৩৩411008
  • আমার আরেকটা ফেরার গল্প মনে পড়ছে। তখন জামশেদ্‌পুর এ থাকি।সবে চাকরি তে জয়েন করেছি। সরস্বতী পুজোর আগের দিন রাতের ট্রেন, বারোটার দিকে হবে, ঠিক টাইমটা আজ আর মনে নেই। অন্য সময় খালি মেল/ এক্সপ্রেস এর টিকিট কেটে উঠে প্‌ড়্‌তাম, সেবার কায়্‌দা করে রিজারভেশন নিয়েছি।

    যাই হোক, প্ল্যান্ট থেকে B শিফট করে দশটা নাগাদ বেরোলাম। স্টেশনে পৌঁছলাম প্রায় এগারোটা বাজে।আমার যে ট্রেনে রিজারভেশন ছিলো, সেটা আসছিলো সম্বলপুর থেকে। প্রচন্ড শীত, ৪-৫ ডিগ্রি হবে। জামশেদ্‌পুর খোলামেলা প্ল্যাটফর্ম,হুহু করে হাওয়া দিচ্ছে দলমা থেকে, জমে যাবো মনে হচ্ছে। এর মধ্যে শোনা গেলো, সম্বলপুরে কিছু গোলমাল এর জন্য ট্রেন আসতে দেরি হবে।

    এই সময় হঠাৎ শুনতে পেলাম, বোধ্‌হয় বম্বে মেল আসছে।আমি ভাবছি কি করবো, কায়্‌দা করে রিজারভেশন নিয়েছি, না নিলেই বোধ্‌হয় ভালো হতো, শুধু মেল/ এক্সপ্রেস এর টিকিট থাকলে চিন্তা ছিলো না। কিন্তু ঠান্ডা তেও আর থাকা যাচ্ছে না। যা থাকে কপালে, উঠে তো পড়ি। দিব্যি উঠে প্‌ড়্‌লাম। হাওড়া অবধি কোনো প্রব্লেম নেই।

    স্টেশনে নেবেই চেকার, ২৫০ টাকা ফাইন, তারপর বাড়ি, তারপর সরস্বতী পুজো,পুজোর আনন্দ, পুরোনো বন্ধু-বান্ধব, ২৫০ টাকার শোক সহজেই ভুলিয়ে দিয়েছিলো।
  • Paramita | 122.167.255.173 | ১৪ মে ২০১০ ০০:৫৪411009
  • এখুনি আকা ও পাতায় বললো, মাঝে মাঝে মনে হয় এখানে না এলেই ভালো করতাম। "এখানে"-টা পাল্টে দিই। আকার আম্রিকা থেকে আমার ভারত হয়ে যাক। এখানে না এলেই ভালো করতাম, মনে হয়। বাবা-মার সঙ্গে বোধহয় দু দশক পর আছি। আমাদের জন্য সব ছেড়েছুড়ে, নিজেদের ঘরদোর ফেলে এখানে এক কথায় চলে এসেছে। কবে যেন এদের ফেলে চলে গিয়েছিলাম? ক্লাস এইটে নাকি বারো ক্লাসের পর। তারপর আর একসঙ্গে থাকি নি। এখন যদি এই ফেরা "ওয়ার্ক আউট" না করাতে পারি, ওদের দ্বিতীয়বার দাগা দিয়ে চলে যাবো? বহুদিন হল যারা নিজের সন্ততির উপস্থিত্র আশা ছেড়ে দেওয়া দূরে থাক, কোনদিন করেই নি, তারা দিনরাত বাচ্চাদের কলরব শুনছে, দুর্বল হয়ে যাওয়া হাতে জোর করে কোলে তুলে নিচ্ছে, বিকেলে পার্কে ওদের সঙ্গে বেড়াতে দিয়ে যেন নিজেরাই ধন্য হয়ে যাচ্ছে, তাদের ফেলে রেখে, দ্বিতীয়বারের মত, শেষবারের মত চলে যাবো?
  • Paramita | 122.167.255.173 | ১৪ মে ২০১০ ০১:১৭411010
  • এখানে কেউ কথা রাখে না।

    ন্যাকা নই। জানা কথা। আসার পর থেকে সবই খুব স্পোর্টিংলি নিচ্ছিলাম। সব ধরনের দুরত্ব, সব রকম সময় না রাখা। হেঁ হেঁ, ও নিয়ে ভেবে লাভ নেই। এতো হবেই। দেশে ফিরেছি, এগুলো ব্যাগেজ। আস্তে আস্তে দেখলাম, ওটা সব স্তরে ছড়িয়ে আছে। আপিশে, মেয়েদের স্কুলে, শপিং মলে, রাস্তার পাশে বসা সবজি দোকানে। ইরিটেশন বাড়ছে। সেদিন ব্যাংকে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ পেছনে শুনি এক মহিলা চিৎকার করছেন, "this whole country needs a makeover". জানলাম যে উনি ২০০৪ সালে ফিরেছেন। এখনো ধকল সামলাতে পারেন নি।

    তো, কথা হল, ফিরলে কেন? ফিরে এতো নিন্দেই বা গাইছো কেন? কচি খুকি নাকি - মাথার দিব্যি কেউ তো দেয় নি। কিন্তু দুটো ব্যাপার। শুনেছিলাম, স্বর্গ যদি থাকে তা এইখানে তা এইখানে। কেউ বলেছিলো। রাতে ওখানে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মনে হত, আমার ছোটোবেলাটাকে আর কোনদিন ছুঁতে পারবো না। এই লাস্ট চান্স। দ্বিতীয়ত:, সবাই বলল, সব আজকাল দেশে পাওয়া যায়। সব, সব। পলিউশান ছাড়া সবকিছুর জন্য নাকি মাস্টারকার্ড আছে। হা:।

    কাজেই একটা ওয়ার্কিং সিস্টেম পাবো, বিশেষত: ব্যাঙ্গালোরে, সেই আশা নিয়েই এসেছিলাম।
  • Paramita | 202.3.120.9 | ১৪ মে ২০১০ ০১:৪৮411011
  • গুঞ্জা সম্প্রতি একটি বাংলা চ্যাটারবক্সে পরিণত হয়েছেন। ইংরেজী আর বলতে পারেন না। কেউ ইংরেজীতে কথা বললে রিকোয়েস্ট করেন, বাংলায় বল। সেই সঙ্গে আমার খাবার নিয়ে ঘ্যাঁতানো মেয়ে সম্পূর্ণভাবে এক ভোজনরসিকে পরিবর্তিত। বড়জনের প্রিয় খাবার "গরম গরম রসগোল্লা, নরম নরম লুচি"। ছোটজন আঙুল চাটতে চাটতে ঝাল নুন স্পাইসি খাবার খান। সকালে দুধ সিরিয়াল উধাও - তার জায়গায় রুটি তরকারি, পরোটা কি দোসা। বিকেলে আপিশ থেকে ফিরতে না ফিরতে বেগুনি কি ঝালমুড়ি কি পাঁপড়ভাজা। সপ্তাহান্তে ভোজনালয়ের সম্ভাবনা অপরিসীম।

    ফলত: ক্রমবর্ধমান ভুঁড়ির আর দোষ কি। এদিকে শাইনিং ইন্ডিয়ার কর্পোরেট দুনিয়ায় একটা অসম্ভব ভালো জিনিস দেখতে পাচ্ছি, সবাই পাগলের মত জিম্প্রেমী। কেউ বা ম্যারাথনের জন্য রেডি হচ্ছে। সকালে আপিশে এসে জিম টিম করে চান করে আপিশে কাপড় জামা মেলে দেয়। আমাদের গ্রুপটা এক ধাপ ওপরে। তাঁবু থেকে শুধু করে ভলিবল খেলা সবই কাজের জায়গার সঙ্গে লাগোয়া। গত হপ্তায় ভিপি এসে রিক্লাইনারের বাজেট অ্যাপ্রুভ করেছেন, সেও এসে যাবে শিগগিরি। ওদের মটো নাকি, উই ওয়ার্ক হার্ড, উই পার্টি হার্ড।

    আমিই শুধু রইনু বাকি। তাই গতকাল এক ব্যাগ জিম ড্রেস, জুতো এনে রেখেছি আপিশে। পরের স্টেপ সাহস করে জিমে যাওয়া। চাকরির জন্য মানুষ কিই না করে। যে আমি জীবনে লুকোচুরি ছাড়া কিছু খেলি নি, সেই আমি একদিন ভলিবল পর্যন্ত খেলে ফেললাম, টিম বিল্ডিং-এর কিরে।
  • M | 222.254.188.67 | ১৪ মে ২০১০ ০৯:০৬411012
  • খিঁক
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৪ মে ২০১০ ১১:২২411013
  • পামিতাদি - ডামিজ থেকে এক্ষপার্ট হতে আর এই বছর দুই;-)
  • san | 203.91.201.56 | ১৪ মে ২০১০ ১১:৫৩411014
  • আর আমার কোলকাতায় আসার পর সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান অসুবিধাটি হয়েছিল এই যে, আপিসের জিম অ্যাক্সেসিবল নয়।

    ( একে ছোট প্রবলেম ভেবে মুচকি হাসবেন না , যাদের রেগুলার ওয়ার্ক আউট করা অভ্যেস এমন কাউকে জিগিয়ে দেখুন বেশ কিছুদিন না করলে মনমেজাজ ক্যামন তিতিবিরক্ত হয়ে থাকে)
  • r2h | 198.175.62.19 | ০২ জুন ২০১১ ২৩:৫৩411015
  • "ফিরবো বললে ফেরা যায় নাকি/ পেরিয়েছো দেশ কাল জানো নাকি/ এসময়...'
    সবেতো জুন মাস। কিন্তু আমাদের দেশে, আমাদের শহরে তো এরকম হাওয়া বয় না খোলামেলা মেপল পাতার ফাঁকে, তাই মনে হয় যেন পূজো চলে এলো, যেন শীতের আর দেরী নেই বেশী, যেন আমাদের ঘেমো ধূসর নদীপথগুলি সেজে উঠবে অকস্মাৎ আকাশের ছায়ায়, যেন পড়ে থাকবে দীপাবলীর ছাই, ছাতের ধারে জানালার কার্নিশে, যেন ঘরে ফেরা শেষ হয়ে বিস্মৃতি খুঁজে নেবে পরিযায়ী লোক। পোস্টকার্ডের ইনল্যান্ড লেটারে দিন তো গিয়াছে কবেই, টেলিফোনেও আজকাল মিটারের দিকে উদ্বিগ্ন তাকিয়ে থাকতে হয়না। তাই সবাই আজ বড় কাছাকাছি, তাই আমাদের সবিশেষ প্রয়োজন হয়না আকুলতার। তাই দ্রুত আমি আবেগবর্জিত ব্যাকরণের দিকে মন দিই, নিজের সঙ্গে বাক্যালাপ করিনা বিশেষ, আসলে তো পূজো আসতে এখনো কত দেরী।
    পায়ের তলার সর্ষে আর খুঁজে পাইনা, বড় তাড়াতাড়ি, এইতো কালকে উইকএন্ড, বাইরে শরৎ না কি বসন্ত, আর একলা অকাল বোধন। আর যেরকম ডিডি চেয়েছেন, "একটি মাত্র সুপদ্যের চাবি'।
    -----------------------------------------
    "এ চিঠির নেই জবাব দেবার দায়
    আপাতত এটি দেরাজে দিলেম রেখে
    পারো যদি এসো শব্দবিহীন পায়
    চোখ টিপে ধোরো হঠাৎ পিছন থেকে

    এনো সচকিত কাঁকনের রিনিরিন
    আকাশে চুলের গন্ধটি দিও পাতি
    আনিও গভীর আনন্দঘন দিন
    এনো সুমধুর স্বপ্নসঘন রাতি'

    আর রবিবাবুর পদ্য ভূল উদ্ধৃত করা এমন কিছু অপরাধ নয়, বললেই হবে?
  • lisa | 128.174.77.223 | ০৩ জুন ২০১১ ০০:০৮411017
  • পলাশীর যুদ্ধ ও ফেরা -

    যুদ্ধের শেষে ক্লান্ত পলাশী নদীতীর ধরিয়া বাড়ি ফিরিল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন