এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিজন সেতুর উপর আনন্দমার্গি সন্ন্যাসী হত্যা ১৯৮২,৩০শে এপরিল: আজকের রাজনৈতিক আবহে দাড়িয়ে ফিরে দেখা।।।।

    kanti
    অন্যান্য | ১৯ এপ্রিল ২০০৯ | ৫০২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kanti | 125.20.11.34 | ১৯ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:০৭412239
  • আজ রবিবারের বাংলা স্টেট্‌সম্যানে এ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ বেরিয়েছে । আজ থেকে ২৭ বছর আগে এই ন্রিশংস হত্যাকান্ডটি প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটেছিল ।ঘটিয়েছিলেন পিতামহ জ্যোতি বসুর পরম প্রিয় ত্‌ৎকালিন সিপিএম বাহিনী। তখন সংবাদ মাধ্যম বলতে ছিল গুটিকয় সংবাদ পত্র।আমাদের আবছা মনে পড়ে সেই সময়ে আনন্দমার্গীদের নামে নানা অদ্ভুত অপপ্রচারের কথা। পুরুলিয়ায় এদের আশ্রমে বাইরে থেকে বারে বারে আক্রমনের কথা।

    এই লেখাটিতে লেখক তুষার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন; এই নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সেই সময়ের বুদ্ধিজীবিরা দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতু পর্যন্ত একটি মৌন মিছিল বার কোরেছিলেন। সেই মিছিলে হেটেছিলেন মৈত্রেয়ী দেবী,অন্নদাশংকর রায়,শৈবাল গুপ্ত,সোমেন বসু,বিনয় দাশগুপ্ত,ড: প্রতুল গুপ্ত,অধ্যাপক নির্মল ভট্টাচার্য সহ কয়েক শ মানুষ। অসুস্থতার কারনে সত্যজিত রায় আসতে পারেন নি। আমার জিজ্ঞাস্য আজকের বয়সী সুশীলেরা তখন কে কোথায় কি করছিলেন। (চলবে)
  • kanti | 125.20.11.34 | ১৯ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:৩৪412250
  • লেখক আরো বলেছেন, সে সময় সরকার তদন্তের নামে আজকের দিনের মতই ঘটনাটিকে নানা কৌশলে ধামা চাপা দিতে সফল হন। তখন আজকের মত বিদ্যুতিন মাধ্যম ছিল না। জ্যোতি বাবুর পরামর্শে/নির্দেশে তখন বুদ্ধবাবু সরকারি খরচে দুটি পুস্তিকা ছাপান। ১) আনন্দমার্গ ভায়লেন্স ইজ দ্যা কি ২)আনন্দমার্গের কার্যক্রম ও হিংসার ইতিহাস। বিনা মূল্যে বিদেশী দূতাবাসগুলিতে বিতরনের জন্য ।

    সুযোগ তাকলে লেখাটি পড়ুন,মতামত দিন। কারো কাছে আরো তথ্য থাকলে লিখুন।
  • shyamal | 122.162.17.44 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৪৩412261
  • আনন্দমার্গ হত্যাকান্ড সিপিএম ধামাচাপা দিয়েছে। এটা ছিল সিপিএমের কমিউন্যাল হত্যাকান্ড। একটি বিশেষ কমিউনিটিকে আক্রমণ ও এদের ছেলেধরা বলে অপপ্রচার।
    এছাড়া সিপিএম বর্ধমানে সাঁই বাড়িতে ঢুকে কয়েকজন মানুষকে হত্যা করে নৃশংস ভাবে। আজকের আনন্দবাজারে প্রকাশ, বহু গ্রামে তৃণমূলের কর্মীরা ঢুকতে পারছেন না। গ্রামের লোকদের জিজ্ঞেস করলে বলছে এখানে কোন সন্ত্রাস নেই। শুধু একজন গ্রামবাসী সাহস করে বলেছেন সিপিএম সন্ত্রাস করছে। তার নাম জিজ্ঞেস করায় বলেছেন, খেপেছেন? নাম দিলে আমার ধোপা, নাপিত বন্ধ হবে।
    এখন আর সিপিএম খুব দরকার না হলে খুন করেনা। তার বদলে গ্রামের বিরোধীদের একঘরে করে। তারা রেশন কার্ড, বিপিএল কার্ড পায় না। সরকার থেকে যেসব সুযোগ সুবিধা তাদের প্রাপ্য তা থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাই তারা ভাবে কি হবে জলে থেকে কুমীরের সঙ্গে বচসা করে। মনে রাখবেন অধিকাংশ গরীব থাকে গ্রামে, আর গরিব মানুষ সরকারের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল, মধ্যবিত্তের তুলনায়। সেজন্য এদের গরিব করে রাখলে এরা সরকারের ও পার্টির তাঁবে থাকবে আর ভোট দেবে । এই পলিসি গত ৩২ বছর ধরে চলছে।
    তবে মানুষের ধৈর্য বোধ হয় এবারে শেষ হয়েছে। আর জোট হওয়ায় তাঁরা একটা অল্টারনেটিভের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২০ এপ্রিল ২০০৯ ২১:২৯412283
  • "গণপিটুনিতে হত্যা' বঙ্গের সবচেয়ে বর্বর অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি। এবং এর সঙ্গে সো কলড বামপন্থারও একটা সম্পর্ক আছে। সরাসরি, অথবা পরোক্ষ। বিহারের মাওবাদীরা (পুরাতন এমসিসি) নাকি গণহত্যাকে সরাসরি একটি উৎসবের রূপ দিতেন। "জনতার বিচার' এর পর "শ্রেণীশত্রু'দের বেঁধে রেখে পিটিয়ে কুপিয়ে মারা হত। কাজটা অ্যাকটিভ ক্যাডাররা করতেন। আর হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতেন, (বা জড়ো করা হত) সেই দৃশ্য দেখতে।

    এই ধরণের কাজের যুক্তি বা অজুহাত একটাই। "ভায়োলেন্সের জবাবে পাল্টা মব ভায়োলেন্স'। হিংসার বদলে গণহিংসা। চোখের বদলে চোখ। নাকের বদলে নাক। পশ্চিমবঙ্গেও স্টেটকে, পুলিশকে এড়িয়ে নিজের ব্যবস্থা নিজে করার, হিংসাকে হিংসা দিয়ে রিপ্লেস করার একটা কালচার দারুন ভাবে প্রোমোট করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অভ্যাসের ফলে এটা জনতার হাড়ে-মজ্জায়ও ঢুকিয়ে দেওয়া গেছে। "আলোকপ্রাপ্ত' লোকেরাও এই কালচারটাই প্রোমোট করে চলেন এখন, যেকোনো ইসুতে। পুলিশকেও এমন বানানো হয়েছে, যেন, ঝামেলায় যেতে লোকে ভয় পায়, এবং এই পদ্ধতিকে বৈধতা দেওয়া যায়।

    এর পিছনে তথাকথিত বাম জঙ্গীপনার যথেষ্ট ভূমিকা আছে। বিজন সেতুই হোক বা করন্দা, তাঁরা সর্বত্রই "গণ আন্দোলন'কে "গণপিটুনি' দিয়ে রিপ্লেস করেছেন।

    এটা বলার পরেও আমার কটা প্রশ্ন আছে। আমার একান্ত ব্যক্তিগত। কথা যখন উঠেছে, কেউ জানালে খুব ভালো হয়।

    ১। গণপিটুনির এই কালচারটা কি একান্তই বাম জমানার? (আমি স্রেফ রাজনৈতিক হত্যার কথা বলছিনা কিন্তু) শৈবাল মিত্র তেমনই লিখেছেন। পুরোনো লোকেরা একটু আলোকপাত করুন। কারণ এটা নিয়ে লেখাপত্তর বিশেষ নেই। শমিত কর বলে এক ভদ্রলোক একটা বই লিখেছেন, সেটা আমি যোগাড় করতে পারিনি এবার কলকাতা গিয়ে।

    ২। পাবলিক লিঞ্চিং পশ্চিম বা দক্ষিণভারতে কি দেখা যায়?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০০:০৬412299
  • আমি বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারিনি।

    লিঙ্গ বা জাতগত হিংসা নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। ওগুলো সারা ভারতে হয় এবং হয়েই থাকে, এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই। আমার মূল প্রশ্নটা হল সেসব নিয়ে, যেখানে:
    এক, যেখানে গণহিংসাকে কাস্ট বা জেন্ডারের এরকম কোনো খোপে ঝট করে পুরে দেওয়া যাচ্ছেনা। মানে, সম্প্রক থাকলেও তা ক্ষীণ।
    দুই, যেখানে, হিংসাকে একটু উৎসবের চেহারা দেওয়া হচ্ছে, বা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    উদাহরণ দিয়ে বলি। পাড়ার মোড়ে চোর ধরা পড়লে বা ছেলেধরা ধরা পড়লে, বা ট্রাকড্রাইভার অ্যাক্সিডেন্ট করে ধরা পড়লে বঙ্গীয় জনসমাজে যে হিংসার হিল্লোল খেলে যায়, তার সঙ্গে জেন্ডার বা কাস্টের কোনো সম্পক্কো নেই। লিঙ্গ বা জাতগত পীড়নেরও কোনো সম্পর্ক নেই। হাতের সামনে এর জ্বলন্ত উদাহরণ হল বানতলা। খুঁজলেই আরও উদাহরণ নির্ঘাত পাওয়া যাবে। কিন্তু তার বিশেষ দরকার নেই। গল্পটা হল, এই সমস্ত জায়গায়, এক, হিংসা, জাস্ট একটা উৎসব। দুই, গণহিংসাকে এই সমস্ত জায়গায় ঝট করে কোনো একটা চেনা খোপে (জেন্ডার, কাস্ট, বা পাতি গুন্ডামি, ডাকাতি, ইত্যাদি) পুরে দেওয়া যাচ্ছেনা। (পুরে দেওয়া যাচ্ছেনা, কারণ, সেরকম কোনো খোপ তৈরিই হয়নি, আমাদের সমাজতাত্বিকরা ইংরিজি বই টোকা ছাড়া আর বিশেষ কিছু করেন না :) )

    তো, এই ধরণের হিংসা প্রোমোট করার জন্য স্পষ্টত:ই আমি বামপন্থী ঘরানাকে দায়ী করছি। কিন্তু তৎসহ, আমার প্রশ্ন হল, বামফ্রন্ট জমানার আগে বা ভারতের অন্যত্র এ ধরণের হিংসা কেমন দেখা যেত/যায়। অন্যত্র দেখা গেলে, অন্য কোনো ঘরানাকেও আমরা হিসেবে আনতে হবে। দরকার হলে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০১:০৬412300
  • গুন্ডামি ডাকাতি আর চুরি ছেলেধরার মধ্যে ফারাকটা আর্টিফিসিয়াল লাগছে। মনে হচ্ছে একটা পয়েন্ট তৈরী করার জন্য দুটোকে আলাদা করা হচ্ছে।

    আর চোর, ছেলেধরাদের লিঞ্চ করার ঘটনা কি ভারতের অন্যত্র হয় না? হাতের কাছে স্ট্যাটিসটিকস নেই, আর স্ট্যাটিসটিকস পাওয়াও মুশকিল (কেন না পুলিশ এই স্ট্যাটিসটিকস ঠিকমত কালেক্ট করবে না সহজবোধ্য কারনেই)। কিন্তু আ-প্রায়োরী সন্দেহ আছেই প:ব: এ বাবদে বাকী ভারতবর্ষ থেকে খুব হেটেরোজিনিয়াস কিনা।

    একটা ইন্টারেস্টিং কথা বলি। লিঞ্চিং শব্দটা এসেছে এক আম্রিকানের নাম থেকে। সেই লোকটি আম্রিকান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দলবল নিয়ে (ভার্জিনিয়াতে বোধ হয়) ব্রিটিশ সমর্থকদের 'লিঞ্চ' করত। কাজেই পলিটিক্যাল লিঞ্চিং (এমসিসি যেটা করত বলে বলা হয়েছে) বামপন্থীদের একচেটে নয়।
  • Blank | 59.93.243.109 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০১:৩৩412301
  • কিছুদিন আগে কয়েক জন জাঠ দ্বারা পিটুনি দিয়ে একটি বাচ্ছা কে মারা টা ই গন পিটুনির আওতায় আসবে?
  • Blank | 59.93.243.109 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০১:৪৬412240
  • আর ভায়োলেন্স কে উৎসবের মতন করে দেখার কথা বললেই কেমন যেন সতীদাহ প্রথার কথা মনে হয়। আর ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে ফাঁসি দেওয়া হতো কোলকাতার রাজপথের ওপরেই। লোকে ভীড় করে, হুজুগ করে ফাঁসিও দেখতে যেতো। ফাঁসীর দড়ি আর কাঠ তারপর টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হতো।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০২:২১412241
  • জাঠদের কথা জানিনা। তবে সতীদাহটা ক্লাসিক এক্সাম্পল। সতীদাহতে জেন্ডারের প্রশ্ন আছে। তার সঙ্গে আছে ফেস্টিভ মুড। এই ফেস্টিভ মুডটাই হল গণহিংসার প্রাণ। এই গণ অংশগ্রহণ, ফেস্টিভ মুড, এটা একটা আলাদা ক্যাটেগরি, যেটাকে, সতীদাহের ক্ষেত্রে, জাস্ট, জেন্ডারের প্রশ্নের খোপে ফেলে দেওয়া যায়না।

    অবিকল এই জিনিসটাই আমরা যে মব ভায়োলেন্সের পরিচিত, সেখানে দেখা যায়। এর পিছনে জেন্ডার, কাস্ট, তার ছায়া ফেলে থাকতেই পারে, এবং ফেলেও হয়তো। কিন্তু পুরো জিনিসটাকে শুধু জেন্ডার বা কাস্টে রিডিউস করে ফেলা যায়না।

    ডি: সতীদাহ নিয়ে আমি খুব বেশি কিছু জানিনা। ওভার অল পারসেপশন থেকে বললাম।

  • kanti | 125.20.11.34 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০৮:৩৯412242
  • ঘটনাটিকে কোন ভাবেই মব ভায়লেন্স বলা যায় না।দিন ক্ষন দেখে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে বিশেষ পার্টির মদতে এবং প্রচ্ছন্ন সরকারি সমর্থনে এটি ঘটানো হয়। সরকার এর তদন্ত ধামা চাপা দেয় এবং আনন্দমার্গিদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির জন্য দুটি পুস্তিকা ছাপেন। আনন্দমার্গিদের দর্শন কি ছিল সঠিক জানিনা। তবে কট্টর হিন্দুয়ানি থেকে তা আলাদা ছিল। পুরুলিয়ার আনন্দ নগরকে কেন্দ্র করে এরা স্থানিয় অনুন্নত মানুষের জন্য নানা উন্নয়্‌ন মূলক কাজের চেষ্টাও করেছিল। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবা দরকার।
  • h | 203.99.212.224 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:২৪412243
  • ইউরোপ বা আমেরিকার ডাইনি আর হেরেটিক পোড়ানো (আর্থার মিলার এর ক্রুসিবল), আমেরিকার ডিপ সাউথ বা ক্যারিবিয়ান কোস্টের ছোটো টাউনের ভায়োলেন্স (ফকনার এবং মার্কেজ), মেক্সিকো বা স্পেনের সিভিল ওয়ারের সময়কার দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে চলা ভায়োলেন্স, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, স্থানীয় মহিলারা যারা নাৎসী বাহিনীর সেনা দের সঙ্গে প্রেম করেছিলেন বা অকুপেশনের সময়ে বেশ্যাবৃত্তি করতেন তাদের মাথা ন্যাড়া করিয়ে গায়ে থুতু দেওয়ার জন্য আহ্বান সহ মিছিল, এগুলোর মধ্যে মিল একটাই, একটা পর্যায়ের সামাজিক অ্যাপ্রুভাল। কতগুলো সমাজ এর থেকে বেরিয়ে এসেছে, আইনের শাসন কায়েম হয়েছে। তার কারণ রাষ্ট্র এবং আইন বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশ কোন একটা জায়গায় তার ভূমিআ নির্দিষ্ট করে পালন করেছে। কোথাও কোথাও আদৌ বেরোয় নি, আমাদের দেশে থানার পুলিশ থেকে সিবিআই পর্যন্ত ইনস্টিটিউশনাল গন্ডোগোল রয়েছে। স্বাধীন ভারতে যতবার পুলিশের গুলি চালনায় যত মানুষ মারা গেছে, আমার খুব সন্দেহ আছে, সারা পৃথিবীতে এটা ইউনিক। দাঙ্গা করে, রাজনৈতিক পার্টির গুন্ডারা কোথাও শাস্তি ঠিক ঠাক পায় কিনা খুব সন্দেহ আছে। আমরা খুব গভীর ভাবে অসুস্থ সমাজের অসুস্থ মানুষ। ৮০ বা ৯০ দশকে এইখানে যে সব পাবলিক লিঞ্চিং এর ঘটনা ঘটেছে, সেটা র একটা বড় দিক হল, স্থানীয় পুলিশের কমপ্লিট দীর্ঘ ফেলিওর। মানুষ আইন নিজের হাতে নেওয়াটা কেই বিরাট কৃতিঙ্কেÄর কথা মনে করছে কারণ প্রথমত: পুলিশের আচরণের সঙ্গে আর যাই হোক কম্যুনিটি সার্ভিসিং বা ন্যায় বিচারের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই, দ্বিতীয়ত: পুলিশের আদৌ কোন অ্যাকাউন্টেবিলিটি নাই, মুম্বাই এর এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দের চিলিং কাজকর্ম কোন ধরণের আইনের শাসনে আদৌ চলা মুশকিল (তার পেছনেও সামাজিক অ্যাপ্রুভাল) বা সিরিয়াস সাংবিধানিক সমস্যা রয়েছে কাশ্মীরে, তৃতীয়ত: মানুষ যখন আইন হাতে তোলে তখন মানুষ আর যাই হোক ন্যায় বিচার কিসু করে না। আদিবাসীদের ডাইনী পোড়ানো থেকে আরম্ভ করে, গ্রামীন অ্যাডালটারি তে দেশের নানা জায়্‌গার সালিষী সভার বিচার কিম্বা ট্র্যাডিশনের নামে দলিতের উপরে অত্যাচার এই গুলোর সামাজিক অ্যাপ্রুভাল অবিশ্বাস্য। বদলাতে পারত যদি আইন রক্ষকরা একটু পদের হতেন। পশ্চিমে কি হয়েছে, কোথাও কোথাও পুলিশ নিজের ভূমিকা কিছুটা কৃতিঙ্কেÄর সঙ্গে হয়তো পালন করছে ঠিক, ডাইনি সন্দেহে আজ আর ফ্রান্সে কাউকে পুড়িয়ে মারা যায় না, তবে অনেক গোঁজামিল ও আছে। রাষ্ট্রের কর্তৃঙ্কেÄর উপরে সামান্যতম প্রশ্ন এলেও কি হবে এ সম্পর্কে কোন নরমপন্থী কনসেনশাস নাই। ৬৮ র ছাত্রদের উপরে রায়ট পুলিশের চার্জ ই বলো, আর ব্রাজিলিয়ান ইলেকট্রিশিয়ানকে সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে হত্যা বলো কিম্বা অল্প কিছুদিন আগে পর্যন্তও বর্ণ বিদ্বেষের অপরাধ দমনে আমের্কিকার কোন কোন জায়গার পুলিশের ডেলিবারেট ব্যর্থতা বলো বা গুয়ানতানামোর মত একটা বিচিত্র সেট আপ বলো, সর্বত্রই আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, পুলিশ পুলিশির ব্যাপারে আইন মেনে চলার ব্যাপারে অনেকটা এগোলেও , সামাজিক ভায়োলেন্ট অ্যাপ্রুভালের ধারক হিসেবে তার ভূমিকাটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। মুম্বাই রায়ট বা গুজরাট রায়ট এর উদাহরণ।
    ট্র্যাডিশনাল সমাজেই বলো, আধুনিক সমাজেই বলো, মূল ব্যাপার অপরাধ ও শাস্তি বিষয়ে মানুষের ধারণা। কখনো কখনো এই ধারণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরী হয়েছে। একটা মানুষ যে বেঁচে আছে এটাই তার অপরাধ হয়ে গেছে, জার্মানী বা রশিয়ার অ্যান্টি সেমিটিজম, তুরস্কের আর্মেনিয়ান ম্যাসাকার, লেবাননে ইজরায়েলি মদতে ফালানি্‌জস্টদের শাবরা -শাটিলা বসতির হত্যাকান্ড, রাশিয়া, চীন বা কাম্বোডিয়ার রাষ্ট্রের শত্রু নিধন প্রোগ্রাম, বসনিয়া বা আফ্রিকার নানা জায়্‌গার আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়্‌গায় টেরিবল সব এথনিক ক্ল্যাশ এর মধ্যে ভয়ংকরতার প্রতিযোগিতায় কে এগিয়ে বলা মুশকিল, সকলেই রক্তপাতে ফার্স্ট।
  • kc | 213.132.250.2 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৩১412244
  • এর কারণ, জাতি হিসেবে আমরা একটি অসভ্য জাত। আর এটা আজকের ঘটনা নয়, বহু কাল আগে আমাদের দাদু ঠাকুর্দারা তার পরিচয় দিয়েছিলেন বাঙলার শ্রেষ্ট মানুষটির চুলদাড়ী উপড়ে নিয়ে, আমরা রেখেছি ৯২ সালে দাঙ্গার সময় হোষ্টেল থেকে বেরিয়ে গিয়ে দোকান ভেঙ্গে জিনিস লুঠ কোরে, এ জিনিস আমাদের রক্তে, জিনে ঢুকে গেছে বা ছিলো। এর পিছনে কোনো ভৌগলিক বা প্রাকৃতিক কোনো কারণ থাকতে পারে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৩৫412245
  • অসভ্য, কুঁড়ে, কুচুটে, ভীতু...

    কুঁড়ে/কুচুটেপনার নিদর্শন ইতিহাস ঘাঁটলে অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু এই গণপিটুনির আর্লিয়েস্ট নিদর্শন কখন?
  • Blank | 203.99.212.224 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১১:৩৩412246
  • লুঠ পাট করার আরো রিসেন্ট নিদর্শন আছে। সেই যেবার বই মেলায় আগুন লাগলো, সেবারে কত লোক যে বই পত্তর যাস্ট লুটে নিয়েছিলো তার কোনো হিসেব নেই। অবশ্যি বই চুরি জিনিসটা বেশ গর্বের ব্যপার :)
  • kanti | 125.20.11.34 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৩৫412247
  • আলোচনাটা মূল বিষয়ের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে হোচ্ছে।মূল বিষয়ের মধ্যেই সেটা রাখতে অনুরোধ রাখছি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৫৩412248
  • এক্ষুনি প্রমান দিতে পারবো না।
    দিল্লীতে গাড়িচালককে পেটানো (অ্যাকসিডেন্ট করায়) দেখেছি। পুনায় একজন মাতালকে পেটাতে দেখেছি। জিজ্ঞাসা করায় শুনেছি "গন্ধা কাম কিয়া"। গৌহাটিতেও ট্রাক ড্রাইভার পেটাতে দেখেছি। চোর পেটানো তো সর্বভারতীয় সংষ্কৃতি (মৃচ্ছকটিক দ্রষ্টব্য)।
    বামেরা বিশেষ করে সিপিএম, নকশাল এবং এস ইউ সি গণবিচারের নামে এমন বহু করেছে প:ব:, বিহার, ছত্তিস্‌গড়, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, অন্ধ্র-তে।
    তবে এব্যাপারে শুধু বামেরাই ""বেঁড়ে ব্যাটা"" নয়।

  • sayan | 160.83.96.82 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:১১412249
  • হ্যাঁ। "বেঁড়ে ব্যাটা'র বাইরেও বিভিন্ন X-সেনা, Y-মোর্চা, ভিএইচপি, দেবেগৌড়া'র জনতা দল - অনেকেই ভারতের নানা প্রান্তে সরকার/পুলিশের প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ মদতে "পাবলিক সেন্টিমেন্ট'এ পুষ্টি যোগাতে এহেন কম্ম করে থাকেন। শুধু বাঙালীকে দুষলে চলবে না।
  • r | 198.96.180.245 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:২৫412251
  • "বাম"রা বেঁড়ে ব্যাটা অবশ্যই নন। কংগ্রেস বা বি জে পি-র মব ভায়োলেন্স তৈরি করার ইতিহাস "দীর্ঘ ও গৌরবজনক"। বামাদের সমস্যা হল, ভায়োলেন্সের সমর্থনে তাদের একটা তাঙ্কিÄক ফ্রেমওয়ার্ক আছে। সেই ফ্রেমওয়ার্ক মার্ক্স বা লেনিন তৈরি করেন। এমন কি স্তালিনও না, কারণ স্তালিনের ভায়োলেন্স ছিল ইউটিলেটেরিয়ান স্টেট ভায়োলেন্স। মার্ক্স ভায়োলেন্স অগ্রাহ্য করেন নি। কিন্তু বলেছিলেন, পরিবর্তনের আগের পর্ব হিংসার পর্ব, "প্রিসিডেড" শব্দ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু "কজড" নয়, অর্থাৎ হিংসার ফলেই বিপ্লব আসে- এ কথা আদৌ কোথাও বলা হয় নি। নব্য-বাম, বিশেষত" ফ্র্যাঞ্জ ফ্যানঁ, তার বইয়ের ভূমিকা লেখক সাœÑ, এবং মাও- এরা হিংসার তাঙ্কিÄক যথার্থতা দিলেন। হাতের কাছে থাকলে চারু মজুমদারের লেখার কিছু উদ্ধৃতি দিতাম। শুধু "যে না শ্রেণীশত্রুর রক্তে হাত রাঙিয়েছে সে বিপ্লবী নয়" গোছের ওয়ান-লাইনার নয়, প্রবন্ধের পূর্ণাঙ্গ উদ্ধৃতি। সেখানে হিংসাকে প্রায় ক্যাথার্টিক উপাচারে উন্নীত করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে মাওবাদী সম্পাদকের এক দীর্ঘ পত্র ই পি ডব্লু-তে বেরিয়েছিল। সেখানেও মনে হবে দে আর আন্ডার আ হিপনটিক স্পেল অফ ভায়োলেন্স, ক্রিয়েটিং আ থিওলজি অফ ভায়োলেন্স।
  • r | 198.96.180.245 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:৩৩412252
  • কংগ্রেস বা বি জে পি-র কোনো ফ্রেমওয়ার্ক নেই তা নয়। উগ্র জাতীয়তাবাদ দুই দলেরই কমন ফ্রেমওয়ার্ক, আর বি জে পি-র তার সাথে রয়েছে অ্যাগ্রেসিভ ম্যাসকুলিন হিন্দুত্ব। কিন্তু ডানপন্থীরা চিরকালই তঙ্কেÄ খাটো হওয়ায়, এই ফ্রেমওয়ার্কগুলো রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের গন্ডি পেরিয়ে সিরিয়াস আলোচনার পরিসরে আসে নি। তার উপর গান্ধীর ছায়া থাকায় একটু ইতি গজ স্টাইলে বিভিন্ন খুন করতে হয়েছে। কিন্তু বামপন্থী হিংসার তঙ্কÄ যেহেতু এক, আন্তর্জাতিক ডিসকোর্সে পরিণত হয়েছিল এক সময় এবং দুই, তার প্রায়োগিক সাফল্যও এসেছে, অতএব তাঙ্কিÄক লেজিটিমেসি নিয়ে খুব বেশি কিন্তু-কিন্তু করতে হয় নি।
  • r | 198.96.180.245 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:০৩412253
  • * মার্ক্স বা লেনিন তৈরি করেন নি।
  • sibu | 207.47.98.129 | ২১ এপ্রিল ২০০৯ ২২:১৭412254
  • র-কে:

    বামপন্থী হিংসার তঙ্কÄ লেনিন তৈরী করেন নি এমন কথা কি করে বলা যায়? মানে আমি লেনিনের - রাষ্ট্র হল শ্রেনী নিপীড়নের অস্ত্র, এবং সেই অস্ত্র দখল করে প্রলেতারিয়েত পাল্টা শ্রেনী দমন চালাবে, এই কথাটা বোঝাচ্ছি।

    লেনিনকে কোট করতে হলে:


    We have already said above, and shall show more fully later, that the theory of Marx and Engels of the inevitability of a violent revolution refers to the bourgeois state. The latter cannot be superseded by the proletarian state (the dictatorship of the proletariat) through the process of 'withering away", but, as a general rule, only through a violent revolution. The panegyric Engels sang in its honor, and which fully corresponds to Marx's repeated statements (see the concluding passages of The Poverty of Philosophy[5] and the Communist Manifesto,[6] with their proud and open proclamation of the inevitability of a violent revolution; see what Marx wrote nearly 30 years later, in criticizing the Gotha Programme of 1875,[7] when he mercilessly castigated the opportunist character of that programme) — this panegyric is by no means a mere “impulse”, a mere declamation or a polemical sally. The necessity of systematically imbuing the masses with this and precisely this view of violent revolution lies at the root of the entire theory of Marx and Engels. The betrayal of their theory by the now prevailing social-chauvinist and Kautskyite trends expresses itself strikingly in both these trends ignoring such propaganda and agitation.


    খেয়াল করুন - "sang in its honor."
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ এপ্রিল ২০০৯ ০০:০০412255
  • হনুর যুক্তিপরম্পরাটা চেনা। পুলিশ অকাজ করে। দুষ্কর্ম করে। জনতা পুলিশের উপর আস্থা হারায়। এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। বা তুলে নিতে বাধ্য হয়। এটাই চালু যুক্তিপরম্পরা। জনসমাজে প্রচলিত। প্রচলিত বামপন্থী যুক্তিপদ্ধতিও এর চেয়ে আলাদা কিছু না। সেই যুক্তি অনুযায়ী, রাষ্ট্রযন্ত্র হল শ্রেণীশোষণের অঙ্গ। পুলিশ হল সেই রাষ্টের প্রতিভূ। পুলিশকে দিয়ে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। অতএব, জনতা রাষ্ট্র ও পুলিশে আস্থাহীন হয়ে নিজের দায়িত্ব নিজে বুঝে নেবে। ইত্যাদি। এই যুক্তিতেই বিহারে এমসিসির হাত-পা কাটা, খুন জখম। পশ্চিমবঙ্গে আনন্দমার্গী হত্যা, বা করন্দা।

    গণহত্যার ফেস্টিভ মুডে আসলে পুলিশের উপর আস্থা বা অনাস্থা গৌণ ব্যাপার। অ্যাক্সিডেন্ট হলে যখন লোকে দলবেঁধে ড্রাইভারকে বেঁধে রেখে ঠ্যাঙায়, তখন, একবার জনতার মুখের দিতে তাকিয়ে দেখো, অপার্থিব আনন্দ খেলা করে। র‌্যাগিং এর সময়ে বাচ্চাদের হ্যাটা করতে গেলেও জনতার মুখে সেই একই জিনিস দেখা যায়। এসবের সঙ্গে কোনো একটা স্তরে রাষ্ট্র বা ক্ষোভের কোনো একটা সম্পর্ক নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু সেটা গৌণ। আসল কথা হল, মবের আনন্দ। অন্যের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের আনন্দ।

    এই আনন্দের কোনো স্ট্যাটিস্টিক্স নাই। কারণ, কোনো একটা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, জিনিসটাকে আগে আইডেন্টিফাই করতে হয়। সমাজতত্বে গণপিটুনির কোনো জায়গা নেই (কেন নেই, সে অন্য কথা)। কাজেই এটা নিয়ে থিয়োরি চর্চা করে বিশেষ লাভ নেই। এমন কোনো থিয়োরি নেই, যেটা এই বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবে। তাই আমি লোকজনের অভিজ্ঞতার কথা জিজ্ঞাসা করছিলাম। সেটা কল্লোলদা ছাড়া আর কেউ শেয়ার করলেন না। :)

  • Du | 65.124.26.7 | ২২ এপ্রিল ২০০৯ ০০:২১412257
  • গৌহাটীর কথা কল্লোলদা লিখেছেন, সেখানে চোর ধরা পড়লে , তাদের অন্তত: আধমরা অবস্থায় ছাড়াতে গেলেও মবের মার না খেয়ে কেউ ছাড়াতে পারতো না। পাড়ার কথা বললে নেপালী,কছড়ি ইত্যাদি ছিলেন, রাজনীতির সাথে তাদের সম্পর্ক কিছুই নেই, বড়জোর মদ টদ পাওয়া যেত ভোটের আগে।
  • pi | 69.255.233.93 | ২২ এপ্রিল ২০০৯ ০০:৪৪412258
  • কিন্তু যেখানে রাষ্ট্র আর আইন নিজেই হিংসা, বর্বরতার পথ বেছে দ্যায় ?
    মবের আনন্দের ব্যাপারটা তো এখানেও বেসিক্যালি সেই এক ই ।
    উপরি পাওনা রাষ্ট্রের স্বীকতির ঘেরাটোপে থেকে ফেস্টিভ মুডে বৈধা জনিত নিরাপত্তার প্রলেপ পড়া।
    এখানে তো আর পুলিশের প্রতি অনাস্থা জনিত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ নয়।

    এই যেমন অবৈধ সম্পর্কের জন্য সবাই মিলে পাথর ছুঁড়ে মারার শাস্তি। এই বর্বরতা তো ইরানে এতদিন আইনত: হত।
    এদ্দিনে এই আইন বদলানো নিয়ে একটু কাজকম্মো শুরু হয়েছে।

    http://tinyurl.com/d6kf8v
  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ মে ২০০৯ ১২:২১412259
  • নিষ্ঠুরতা মানুষের অন্যতম রিপু। ইশানের সাথে একমত। যখন গণধোলাই চলে তখন যারা তাতে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন করে তারা তো বটেই, এমনকি যারা তাতে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন করেনা, তারাও একটা উল্লাস বোধ করে। সেটা তাদের শরীরী ও মুখের ভাষায় প্রকট থাকে। যারা এটাকে সমর্থন করে না, বা বাধা দিতে যায় তারা সংখ্যালঘু।
    আমরা প্রায় সকলেই পিঁপড়ে, মশা, ফড়িং-এর পা, ডানা ছিঁড়ে ফেলে বাল্য বয়সে আনান্দ পেয়েছি। ইঁদুর বা ছুঁচো ইঁট দিয়ে থেঁতলে মেরেছি।
    সবার ভিতরেই থাকে এগুলো। সময়-সুযোগ-যুক্তি ঠিকঠাক মিলে গেলেই হল - বেরিয়ে আসে.......... লাদেনের বিরুদ্ধে, বুশের বিরুদ্ধে, মোদীর বিরুদ্ধে, কাসভের বিরুদ্ধে, বুদ্ধর বিরুদ্ধে, মমতার বিরুদ্ধে.............
  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ মে ২০০৯ ১২:২৫412260
  • অন্যভাবে দেখলে নিষ্ঠুরতা ছাড়া বেঁচে থাকাই তো মুস্কিল।
    চোখের সামনে মাছ, মুরগী কাটা; মাচা থেকে কুমড়ো কি পুঁই ডগা ছিঁড়ে আনা - সবই তো নিষ্ঠুরতা। ঐ যে, সময়-সুযোগ-যুক্তির খেলা।
  • dri | 117.194.225.175 | ১২ মে ২০০৯ ১২:৩৫412262
  • মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে আনন্দমার্গীদের সম্বন্ধে আমরা বেশী কিছু জানি না। আচ্ছা পুরুলিয়ায় যে আর্মস ড্রপ কেস হয়েছিল সেগুলো আনন্দমার্গীদের উদ্দেশ্যেই না? কারো মনে আছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন