এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তবলার ফান্ডা : তাল বোল লয় মাত্রা

    Samik
    অন্যান্য | ২৮ জুলাই ২০০৯ | ১২৮৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 125.18.104.1 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:৩৯415350
  • রবীন্দ্রসঙ্গীতে যা যা যন্ত্র চলতে পারে:

    এস্রাজ, বেহালা, আড়বাঁশি, খোল, পাখোয়াজ, মৃদঙ্গম, মাদল, চেলো, সরোদ, পিয়ানো, দোতারা।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:৪১415351
  • একটা জিনিস জিগ্গেস করি - তবলার বোল/তাল আর ঢোল/খোল/পাখোয়াজের বোল/তালে কি তফাত হয়? হলে কি রকম?
  • Samik | 219.64.11.35 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৯:৪৫415352
  • উরি: ... সেই পুরনো কিস্‌সা!

    তবলা অলরাউন্ডার। চপল চটুল ইত্যাদি গানের মাধ্যমেই তার আবির্ভাব। মূলত মুসলমানী বাদ্য। কাওয়ালি, ঠুংরি খেয়াল গজল ইত্যাদিতে এর ব্যবহার।

    পাখোয়াজ একেবারে গেরাম্ভারি বাদ্য। শুদ্ধ ধ্রুপদাঙ্গে তার ব্যবহার। ভারতনাট্যম, ওড়িশি বা অন্যান্য ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে এর ব্যবহার।

    পাখোয়াজ, তবলার বাবা। পাখোয়াজের ধ্বনি গম্ভীর। মিষ্টতর ধ্বনির আশায় পাখোয়াজকে কেটে দুই টুকরো করে ফেলার পরে যখন সত্যিই তা থেকে মিষ্টি আওয়াজ বেরোল, আবিষ্কর্তা নাকি সবিস্ময়ে বলে উঠেছিলেন, ""তব্‌ ভি বোলা!'' সেই থেকে নাম তবলা। এটা অনেক মতের একটা। কোনও ঐতিহাসিক বেস নেই।

    খোল, বা শ্রীখোল, উইকি সার্চ না-করেই বলছি, সম্ভবত বঙ্গজ বাদ্য। মূলত বাউল কীর্তনাঙ্গ গানের সঙ্গতেই এর ব্যবহার সীমিত।

    ঢোল নিয়ে ফান্ডা জিরো।

    পাখোয়াজের সমস্ত বোল তবলায় বাজানো যায়, চেপেচুপে বাজালে তবলাতে খোলের আওয়াজও তোলা যায়। খোলের কোনও বোল হয় কিনা, জানা নেই। হয় নিশ্চয়ই।
  • vikram | 193.120.76.238 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৯:৫০415353
  • আর বগল? তার কিছু নেই?
  • Samik | 219.64.11.35 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ২০:০০415354
  • ঐটা আমি বহু চেষ্টা করেছি। আজও বাজাতে পারি না। :-(

    শালা, কোনও টিচারও পাওয়া যায় না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ২০:০৫415355
  • না না আমি জিগ্গেস করছিলুম যে এই দাদরা-নগর-হাভেলী-কাহারবা ইত্যাদি কি তবলার এক্সক্লুসিভ জিনিস নাকি পাখোয়াজ/ঢোল/খোলেও হয়?
  • Samik | 219.64.11.35 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ২০:১৫415356
  • না। খোলে এর তুল্যমূল্য বিট্‌ পড়ে অবশ্যই, তবে তাকে দাদরা কাহারবা বলে কিনা, জানি না।

    পাখোয়াজে দাদরা কাহারবা বাজানো যায় না। আগেই বলেছি, এরা চপল তাল। পাখোয়াজের জন্য নয়। পাখোয়াজে বাজে চৌতাল, সুরফাঁকতাল। সম্ভবত তেওড়াও পাখোয়াজে বাজানো যায় (ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর)।
  • ranjan roy | 122.168.68.168 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ০০:৪৬415357
  • উরি ত্তারা! এমন জমাটি টই আর বিদ্যুৎচলে গেল। যাক আধঘন্টায় এসে গেছে।
    আমার বক্তব্য বাদক-গায়ক নয়, সমঝদার (??)শ্রোতার পার্স্পেক্টিভে।
    আগে ডি: শমীক-কোয়ার্ক-অজ্জোর সঙ্গে ৯৯% সহমত, শুধু চারমাত্রার কাহারবা বাদে। আমাদের বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের গানএর বইতেও চারমাত্রার কাহারবা বা কার্ফা ছিল। ভুল বল্লাম? জামাতাসদৃশ অভ্যু খুড়শ্বশুরের ভুল ধরিয়ে দিতে পারে।
    বিক্রমকে:
    খঞ্জনি বাজাতে হলেও তো তাল-লয়( সম-ফাঁক) খেয়াল রাখতেই হবে। মিশনের ধ্রুপদাঙ্গ গানেও পাখোয়াজের সঙ্গে খঞ্জনি বাজানো হয়।
    প্রতিদিন সন্ধ্যায় যে আরাত্রিক( বিবেকানন্দ রচিত) ""খন্ডন-ভব-বন্ধন'' গাওয়া হয় তা বেশ বিলম্বিত লয়ে চৌতালে গাওয়া হয়ন্ত: প্রথম দুই- দুই লাইনের আটটি স্তবক।
    তারপরেই ঐ লাইন গুলি চৌতালেই একটু দ্রুত(জলদ) গাওয়া হয়। তারপরের দু-লাইন ত্রিতালে(দ্রুতলয়ে) গাওয়া হয়( নমো নমোপ্রভু বাক্যগুণাতীত)। শেষদুলাইন ""ধে-ধে-ধে লঙ্গ-রঙ্গ-ভঙ্গ, বাজে অঙ্গসঙ্গ মৃদঙ্গ"" একতালে গাওয়া হয়। বাজে হার্মোনিয়াম,অর্গান,পাখোয়াজ,খঞ্জনি দুজোড়া।

    শমীক যা বলতে চেয়েছে তার সঙ্গে মুলত: একমত হয়েও এক্সপ্রেশনে একটু ভিন্ন মত রাখছি।
    এক, কোন সন্দেহ নেই যে দাদরা-কাহারবার মেজাজ চটুল, সুগম সঙ্গীতে বেশি উপযুক্ত। একতাল-ত্রিতাল অপেক্ষাকৃত গম্ভীর। দাদরা-কাহারবা যেন গোবিন্দার লাফানো-ঝাঁপানো।
    দুই, কিন্তু এই তফাৎটাকে কেবল দ্রুত-বিলম্বিত দিয়ে জাতিভাগ করলে ভুল-বোঝাবুঝির সম্ভাবনা থাকবে।
    উদাহরণস্বরূপ, ত্রিতাল-একতাল কি দ্রুত লয়ে বাজে না? খালি বিলম্বিতেই বাজে?
    তাতো নয়। তখন দ্রুত লয়ের গানটিতে দাদরা কেন না বাজিয়ে কেন একতাল বাজছে সেই প্রশ্ন উঠবে।
    যেমন, ""মণিহার'' ছবির কম জনপ্রিয় কিন্তু লতার গলায় দারুণ এই গানটি।
    "" কেন গেলে পরবাসে, বল বঁধুয়া''। যদ্দুর জানি গানটি একতালে। কিন্তু লয়? বেশ দ্রুত। কিন্তু কথা ও সুর আদৌ চটুল নয়।
    কাজেই শমীকের প্রথম প্রতিপাদ্যটি সত্যি, তফাৎ
    আসলে মেজাজের।
    আর উদাহরণ তো বেশ লাগসই দিয়েছেন।
    আমি আর একটু সংযোজন করছি।
    "" কান্নাহাসির দোলদোলানো পৌষফাগুনের পালা'' ,"" নীলদিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগলো'' আর "" কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা'', কেউ কখনও খুঁজে কি পায় স্বপ্নলোকের চাবি'' প্রায় একই লয়ে গাওয়া, আর নির্ভেজাল দাদরা।
    আবার "" ওরে,আগুন আমার ভাই, অমি তোমরি জয় গাই''--এটাও দাদরা। কিন্তু প্রথম তিনটে বা এই লোকগীতিটিতে ""পারঘাটাতে তুমি পারের নাইয়া দীনবন্ধুরে'' দাদরা একেবারে ডবল্‌ হয়ে বাজবে। ""ধা-ধি-না, তা-তি-না''র জায়গায় ""ধাধা-ধিধি-নানা, তাতা-তিতি-নানা''।
    কেন? ঐযে মেজাজের তাগিদ।শমীক যেমন বলেছে। এখানে বাঁধা কমন ঠেকা না বাজিয়ে অম্নি করে বাজালে একেবারে ""খাপে-খাপ, পঞ্চার বাপ''।
    আবার রবীন্দ্রসংগীত " চিনিলে না, আমারে কি? চিনিলে না'' কাহারবা,ত্রিতাল নয়। যদিও খুব দ্রুত নয়। শমীক কি বল?

    হ্যাঁ,শমীক; মিশনের অনুভবে বলছি-- পাখোয়াজে চৌতাল, ত্রিতাল, একতাল,তেওরা, ধামার, ঝাঁপতাল বাজে। কিন্তু কাহারবা- দাদরা? অবশ্যি স্যাক্রিলেজ।
    এখন প্রশ্ন হল--- তবলচী যদি গায়কের সঙ্গে কোন বিশেষ গান আগে থেকে রিহর্সাল না করে থাকে তাহলে স্টেজে বসে তালটা কি করে ধরবে?
    ঐ শমীক যেমন বলেছে--।
    আমরা তাকিয়ে থাকলে দেখতে পাবো- প্রথম দু'লাইন গাওয়া অব্দি তবলচি খুব মন দিয়ে প্রথমে গানের টেম্পো বা লয় মন দিয়ে শুনলো,সেটা ঠিক করে তালের লচক্‌ ফলো করে কোন তাল ঠিক করলো। তারপর গায়ক স্থায়ীর লাইন রিপিট করতেই কখনো রেলা নিয়ে ঠিক সম্‌ থেকে বা কখনো গান বুঝে আড়ি থেকে স্ট্রোক দিয়ে কাঁধ ঝাঁকিয়ে চাটিম্‌-চাটিম্‌ করে বাজাতে লাগলো। শমীক কি বল?
  • nyara | 64.105.168.210 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ০২:৪২415358
  • ৩/৪ আর ৬/৮ আমার এখনও ধরতে অসুবিধে হয়। মাত্রা - সে দেশী গানই হোক - গোণার সব চেয়ে ভালো উপায় কড় গোণা। মেজারটা তো মোটামুটি সবাই ধরতে পারেন। হাতের চাপড়ে বা পায়ের তালে।

    এবার দুটো মেজারের মাঝে কটা বীট আছে সেট বের করা একটু প্র্যাক্টিসের ব্যাপার। সহজ গানে মোটামুটি বীট প্রতি একটা সিলেবল পড়ে। যেমন 'খরবায়ু বয় বেগে' গানে মেজারগুলো পড়ছে 'খর', 'বয়', 'চারি', ছায়' এই শব্দের প্রথমে। কাজেই প্রথম মেজারে আছে 'খরবায়ু'। কড় গুণে দেখবেন প্রতিটা অক্ষর গাইতে সমান সময় লাগছে। কাজেই একটা মেজারে ৪-টে বীট আছে। কাজেই টাইম-সিগনেচারের ওপরের সংখ্যাটা চার। নিচেরটা ৪ না ৮ (মানে কোয়ার্টার নোট না ১/৮ নোট) সেটা বোঝার জন্যে লয়ের সঙ্গে কড় গোণার স্পিড বুঝে স্থির করতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি আঙুল চালাতে হলে সেটা ১/৮ নোট। এক্ষেত্রে কোয়ার্টার নোট। কাজেই 'খরবায়ু'র টাইম সিগ্নেচার ৪/৪।

    একটু গোলমেলে গানে, প্রথমে ৪/৪ লাগাতে চেষ্টা করুন। ৮০% চান্স, মিলে যাবে। আর নইলে ৩/৪ হবে তখনই বুঝবেন। এর কোনটাই না হলে মেজারের তালে ১ নম্বর কড়ে ফিরে আসুন। কয়েকটা মেজার করলেই দেখবেন গ্রুভে পড়ছে কিনা। যদি পড়ে তাহলে যত নম্বর কড়ের পরে ১-এ ফিরছেন, তত মাত্রার তাল বাজছে।

    একেবারে আমার মতন আনপড় লোকের টেকিনিক। এর থেকে ভাল টেকনিক হয়তো আছে। কিন্তু আমায় কেউ শিখিয়ে দেয়নি।

  • Arijit | 117.194.224.252 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ২০:১৫415214
  • কিন্তু ন্যাড়াদা - যদি গানের কথা না জানে কেউ তাহলে সিলেবলের হিসেব কি করে করবে? মানে আমি যেটা বলতে চাইছি সেটা হল রিদম ফলো করে বিটটা ধরা সম্ভব - কথা না জানলেও - এই ভারতীয় ক্লাসিকাল গানগুলোর একটারও আমি কথা জানি না। কিন্তু শুধু বিট না - প্রপার টাইম সিগনেচার?
  • Samik | 122.162.236.18 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ২২:০০415215
  • রঞ্জনদাও একেবারে দুর্দান্ত বুঝিয়েছে (ঐ চারতালের কাহারবাটা বাদে, ওতে এখনও আমার মন খুঁতখুঁত করছে)। তবলচী একেবারে অশ্রুত গান, ঠিক ঐ ভাবেই কান পেতে প্রথম স্থায়ী শুনে ধরে ফেলে।

    চিনিলে না, আমারে কি কাহারবা। ঢিমে তালের। যার নাম লাওনি কাহারবা। আগে বলেছিলাম। আরও গান: কোন দেবতা সে কী পরিহাসে, কেটেছে একেলা বিরহের বেলা। শীতের বনে কোন সে কঠিন আসবে বলে।

    ঢিমেতালের দাদরার গান : ঝরা পাতা গো, আমি তোমারই দলে। আছে দূ:খ, আছে মৃত্যু। কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না শুকনো পাতা যত। আজি বিজন ঘরে নিশীথ রাতে। ... কতো বলব? এদের একটাতেও একতাল হবে না।
  • ranjan roy | 122.168.27.120 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ২২:০৯415216
  • শমীক,
    কোলাকুলি করলাম।
    আচ্ছা, একটা জিনিস জানতে চাই। তেওড়া, রূপক আর চাচরের তফাৎ আমার কানে ধরা পড়ে না।
    পুরনো হেমন্তকুমারের""নাগিন'' ফিলিমে একটা দারুণ গান বৈজয়ন্তীর গ্রুপ ডান্সের সঙ্গে আছে।"" চলো সখি, সজনা বুলায়ে মোহে জানা হ্যায় প্রীত কী নগরিয়া''।
    এটা আমার তেওড়া মনে হচ্ছিল। কিন্তু এক তবলচি বল্লেন-- এটা চাচর। মাত্রা বিভাগ প্রায় তেওড়ার মতনই ৩-২-২, কিন্তু বাঁয়ার বোল বেশি, কাজ বেশি।
    এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আলোকপাত ?
  • r | 59.161.181.10 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ২২:২৫415217
  • হ্‌ম্‌ম্‌ম্‌।

    ভারতীয় গানে ব্যাপারটা সোজা। বিশেষত: গানের কথা জানা থাকলে সহজতর। ওয়েস্টার্নেও কথা জানা থাকলে অনেকটা সোজা হয়ে যায়। আমার মূল সমস্যা হচ্ছে ইনস্ট্রুমেন্টালের টাইম সিগনেচার ধরতে। ন্যাড়াস্যারের মেথডটা ইন্টুইটিভলি লজিকাল।
  • r | 59.161.181.10 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ২৩:০৭415218
  • ধরা যাক এটা। বাখের মিনিউয়েট ইন জি। এটা ৩/৪। শুনে কি করে বুঝব?


  • Samik | 122.162.236.62 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ২৩:২৫415219
  • ৩/৪ কী জিনিস, আমি এখনও ভিজুয়ালাইজ করতে পারছি না।

    বাখের এই কম্পোজিশনটা আমি জীবনে কোনওদিন শুনি নি। আজ প্রথম শুনলাম। এবং ঠিক সাত সেকেন্ডের মাথায় ধরে ফেল্লাম, এটা তিন/তিন ছন্দ। তবলা তো এসব মিউজিকের সাথে বাজে না, তবে বাজাতে পারলে বোলটা অনেকটা এই রকম হত :

    ঝিম্‌ চাক্‌ চাক্‌ / ঝিম্‌ চাক্‌ চাক্‌

    রঞ্জনদা,

    চলো সখী ... গানটার কথা পড়ে মনে করতে পারছি না শুনেছি কিনা। অন্তত মেমোরিতে ক্লিক করছে না। একটা লিংক দিতে পারবেন? শুনে বলতাম।

    খুব শর্টে বলতে গেলে, তেওড়া আর রূপক, দুজনেই সাত মাত্রা। কিন্তু তেওড়ার ভাগ হল :

    ১ ২ ৩ । ১ ২ ৩ ৪

    আর রূপকের ভাগ হল :

    ১ ২ ৩ । ১ ২ । ১ ২

    উদাহরণের গান আছে। তেওড়ায়, সত্যমঙ্গল প্রেমময় তুমি; আর রূপকে, চুপকে চুপকে রাতদিন।

    চাচর তালের নাম আমি শুনি নি এর আগে। গুগল দেখে বোঝার চেষ্টা করছি।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০২ আগস্ট ২০০৯ ০০:০১415220
  • কথা দিয়ে লিখলাম উদাহরণ দেবার জন্যে। আসলে কথা বা নো-কথা, মিউজিকাল ফ্রেজ হিসেবে মনে মনে গানটাকে ভাঙতে হবে। এটা একটু প্র্যাকটিসের ব্যাপার।

    বাখের মিনুয়েটটায় যেমন, মিনিট খানেকের মাথায় তালে তালে স্ট্রিং-এর একটা করে স্ট্যকাটো স্ট্রাইক আছে। প্রতিটা স্ট্রাইকে ১ নম্বর কড় থেকে গুণতে শুরু করলে দেখা যাবে, তিন নম্বর কড়ে পৌঁছনোর পরেই ঐ স্ট্রিং-টা আসছে।

    তিন নম্বর কড়ে পৌঁছচ্ছি না চার নম্বরে পৌঁছচ্চি, সেটা কড় গোণার স্পিডের ওপর নির্ভর করবে। কয়েকবার বিভিন্ন স্পিডে গুণলে বোঝা যাবে একটা স্পিডই গানের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে। এটাই প্র্যাকটিসের ব্যাপার। আমাকে কড় গুণতে হয়। শমীকের মতন যারা ট্রেন্‌ড মিউজিশিয়ান, তারা এই কড় গোণার এক্সারসাইজটা মনে মনে করে ফেলতে পারেন। তবে ঐ শমীক যা লিখেছে, ওয়াল্টজের চলন ধরা সবচেয়ে সোজা - বুম চাক চাক / বুম চাক চাক করে দেখা যায় মিলছে কিনা।

    মিনুয়েটটায় প্র্যকটিসের জন্যে ৪/৪ ধরে নিয়ে কড় গুণতে শুরু করুন প্রথম থেকে। দেখবেন ঠিক মিলছে না। তরপরে ৫ মাত্রা করে দেখুন, মিলবে না। ৩/৪ করে দেখুন মিলে যাবে।
  • r | 59.161.181.10 | ০২ আগস্ট ২০০৯ ০০:৩৮415221
  • এটা ৬/৮-এর উদাহরণ।


  • ranjan roy | 122.168.23.25 | ০২ আগস্ট ২০০৯ ২৩:৫১415222
  • শমীক,রঙ্গন ও ন্যাড়াস্যার,
    একটু আন্দাজে ঢিল মারি? মানে ঐ শমীকের ঝিন্‌ চাক চাক্‌/ ঝিন্‌ চাক্‌ চাক্‌ শুনে আর কি?
    অর্থাৎ ওয়েস্টার্ন নোটেশনে
    ৩/৪ মানে তিন মাত্রার চারটে পর্ব হতে পারে কি?
    যেমন ভারতীয় নোটেশনে এটা কে ৩ ইন্টু ৪ (৩*৪) করে লেখা হয়।
    তাহলে ৬/৮ মানে হবে ৬ মাত্রার ৮ পর্ব।
    ঢিলটা কত দূর দিয়ে গেল?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৩ আগস্ট ২০০৯ ১০:৩০415223
  • টাইম সিগনেচার ব্যাপারটা খুলে না বললে চলছে না। উইকি থেকে লিখে দিই - http://en.wikipedia.org/wiki/Time_signature এবং http://en.wikipedia.org/wiki/Compound_meter_%28music%29

    সিম্পল টাইম সিগনেচার লেখা হয় এইভাবে - ৩/৪, ৪/৪, ৬/৮, ৩/৮ ইত্যাদি। নীচের সংখ্যাটা হল "নোট ভ্যালু' - মানে এক বিট ইউনিট। ওপরের সংখ্যাটা হল প্রতি বারে এরকম কটা বিট আছে। ২/৪ মানে হল দুটো "ক্রচেট' (কোয়ার্টার বিট)। ৩/৮ মানে হল তিনটে কোয়েভার (ওয়ান এইটথ) বিট। অর্থাৎ, বার বস্তুটি কোথায় আসছে সেটা নোটেশন না দেখে বা কথা না জেনে ধরার ব্যাপার আসছে।

    ৪/৪ - অর্থাৎ কমন টাইম বোঝা কঠিন নয়। ৩/৪-ও খুব সিম্পল। শমীক তিন/তিন ছন্দ বলে দিলেও সেটা ৩/৪ নাকি ৩/৮ - মানে তিনটে ক্রচেট না তিনটে কোয়েভার - সেটা বলতে পারবে কি? আগে ছবিগুলো দেখে নাও উইকির পাতায় - তবে বুঝবে কি বলছি।

  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৩ আগস্ট ২০০৯ ১০:৩৮415225
  • মানে কড় গুণে ওপরের সংখ্যাটা ধরে নেওয়া যায়, কিন্তু নীচেরটা কি করে বুঝবে? কারণ কোয়েভার এবং ক্রচেটের "লেংথ' সবসময় একই থাকবে তার কোনো মানে নেই - লয়, অর্থাৎ মিউজিক পিসটা অ্যালেগ্রো না মর্ডারেটো না আন্দান্তে তার ওপর কিছুটা নির্ভর করে। খুব স্পীডি পিসে একটা মিনিম (অর্থাৎ দুই বিট)-ও বেশ তাড়াতাড়ি হতে পারে। কাজেই ৩/৩ ছন্দ থেকে সেটা তিনটে ক্রচেট না তিনটে কোয়েভার না তিনটে মিনিম সেটা বোঝার উপায় নেই।

    যদি ইউনিফর্ম আপ-ডাউন বোয়িং হয় তাহলে সেটা দেখে বোঝা যায় - কিন্তু যদি "স্লারিং' থাকে - অর্থাৎ একই বো মুভমেন্টে একাধিক নোট (ডাউন বো-তে তিনটে ক্রচেট বাজিয়ে দিলাম), তখন?
  • kc | 213.132.250.2 | ০৩ আগস্ট ২০০৯ ১১:১১415226
  • একটু অন্য টপিকে যাওয়া যাক। উৎসাহি জনতা riyazstudio নামক সফটওয়ারটি নামিয়ে ফেলুন, তারপর অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন, তিন বছর আগে আমার ১১০০ টাকা মতন লেগেছিল, এখনও দাম বেশী বাড়েনি বলেই মনে হয়। মোটামুটি সব রকমের তালের সঙ্গেই রেওয়াজ করতে পারবেন। clear funda হয়েও যাবে। তানপুরাটা কে নিজের স্কেল অনুযায়ি সেট করতেও পারবেন। তবলার লয়ও সেট করতে পারবেন।
    বিভিন্ন জায়গাতে কারণে অকারণে তানপুরা ভেঙ্গে আমি এইটাতেই থিতু হইসি।
  • quark | 202.141.148.99 | ০৪ আগস্ট ২০০৯ ১০:৪৮415227
  • আচ্ছা কার্ফা আর কাহারবা তো এক নয়, নাকি? চারমাত্রার কার্ফাকেই কাহারবা ব'লে গুলিয়ে যাচ্ছে না তো?

    আর এই দাদরা, একতাল ইন্টারচেঞ্জ ইত্যাদি নিয়ে এত কথা হ'ল, ৬ মাত্রার ষষ্ঠী তাল নিয়ে কেউ কিছু বলল না তো? অথবা একমাত্রিক, দ্বিমাত্রিক কিম্বা চতুর্মাত্রিক একতাল নিয়ে?
  • Abhyu | 12.50.88.2 | ০৪ আগস্ট ২০০৯ ১১:০৫415228
  • কেন ষষ্ঠী তাল নিয়ে কথা বললাম তো? অবশ্য অন্য টইতে :)
  • quark | 202.141.148.99 | ০৪ আগস্ট ২০০৯ ১১:৫৬415229
  • না, মানে আমি বলতে চাইলুম যে ঐ ৬টি মাত্রা হ'লেই যদি সব মিটে যেত তাইলে দাদরা থাকতে আর রবিঠাকুর ষষ্ঠী তাল বানাতে যেতেন কি? একই রকমভাবে ১২মাত্রার একতালের ঐ একমাত্রিক, দ্বিমাত্রিক, চতুর্মাত্রিক আলাদা করার দরকার হ'ত না।
  • ranjan roy | 122.168.27.112 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০০:৫৫415230
  • কোয়ার্ক,
    এবার আপনি একটু ডিটেলে বোঝান। আমার মত সাধারণ শ্রোতার কানে ""ষষ্ঠী তাল'' কোন চেহারা তৈরি করে না। অথচ রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় ষষ্ঠী তাল বেশ ঘুরে ফিরে আসে। আমার বোন ""দক্ষিণী''তে গান শিখতো। ও যেগুলোকে ষষ্ঠীতাল বলতো সব আমার কানে দাদরা।
    যেমন ""তিলওয়াড়া'' আর তিনতাল দুটৈ ১৬মাত্রা। তবে আমার কানে বিলম্বিত ঠেকায় তফাৎ ধরা পড়ে না।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০৬:৪৬415231
  • এটা কি তাল একটু বলে দেবে কেউ। যখন গান হচ্ছে তখন আর যখন ব্যাকগ্রাউণ্ডে সেতার বাজছে তখন কি একই তাল বাজানো হচ্ছে?


  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০৭:৫৬415232
  • লেটমি ট্রাই। কাহারবা। সেমি ক্লাসিকাল গান শুনলেই তিনতাল মনে হয়, কিন্তু এটা তিনতাল বাজেনি মনে হল।

    সর্বত্র একই তাল বাজছে। সেতার অসেতার সর্বত্র।
  • AB | 24.17.90.79 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০৮:২৫415233
  • না, শুরু হচ্ছে দ্রুত কাহারবা দিয়ে (মানে ঐ চার মাত্রার আর কি - আট মাত্রারো বলা যায়, সবই নির্ভর করে কি ভাবে গোনা হচ্ছে তার ওপরে, আসলে কিছুই ম্যাটার করে না)

    আর সেতার-এর সময় ত্রিতাল, সেই, আবারো দ্রুত (এবং ঐ ঐ ঐ)
  • quark | 202.141.148.99 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ১০:০৪415234
  • আই লিভ ইট টু শমীক
  • Samik | 122.162.236.152 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ১০:১৯415236
  • আরেকটা মিথ ভাঙাই। :-) রবীন্দ্রসংগীতে এটা ঠিকই যে গানের প্রথম লাইন দেখে যে তাল ধরা যায়, পুরো গানটা সেই একই তালে বাজে। ৯৮ শতাংশ গানই এই ধরণের হয়। কিন্তু পরে এরকম আরও অনেক গানই বেরিয়েছে যেখানে রিপ্রেজেন্টেশনের তাগিদে একই গানে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তাল ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন এই গানটা। বাজে গো বীণা। AB একদম ঠিক বলেছেন, এটা গানে দ্রুত কাহারবা, সেতারে ত্রিতাল, দ্রুত। গানে একটু ক্লাসিকাল টাচ আনার জন্য এই সেতার এবং ত্রিতালের আমদানি। এটা এই গানের চাহিদা।

    এই পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিক। মহালয়ার শুভ্র শঙ্খরবে গানটা মনে আছে? শুরুতে ঝম্পক তাল (৫ মাত্রা, ৩/২ ভাগ), মাঝে এক জায়গায় দাদরা ... ললিত ... কী যেন, কথাগুলো ভুলে গেছি, তারপরে আবার যখন ফিরে আসছে স্থায়ীর দিকে ... আকাশতলে অনিলে জলে দিকে দিগন্তরে ... তখন আবার ঝম্পক তাল শুরু হচ্ছে।

    আরেন্টি স্যার এই রকম কোনও পরীক্ষা করেন নি, একই গানে মাল্টিপল তাল নিয়ে। তাই এক্ষেত্রে কোনও উদাহরণ নেই রবীন্দ্রসঙ্গীতে।

    নজরুলগীতিতে একটা উদাহরণ মনে পড়ছে। ঝরা ফুলদলে কে অতিথি, গানটা পুরো দাদরা, কিন্তু লাস্ট লাইন : কোয়েলিয়া ... সেটা কাহারবায় বাজে। অবশ্য নজরুলগীতির কোনও প্রামাণ্য তাল কোথাও ডকুমেন্টেড নেই। আমি যেমন শুনেছি তেমন বললাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন