এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • সব চরিত্র কাল্পনিক

    kanti
    সিনেমা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৫৫২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kanti | 125.20.11.34 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০৯422607
  • আবার সেই ঋতুপর্ন । ব্যক্তি ঋতুপর্ন সম্পর্কে কিছু অপ্রিয় কথা বলতে গিয়ে সিনিমাওয়ালা ঋতুর মানসিকতার অস্বাভবিকতার দিকে নজর টানতে গিয়ে তার ভক্তদের বেশ গাল খেয়েছিলাম, মনে আছে।আমার এখনো বিশ্বাস,অনেক গুন থাকা সত্বেও ইনি একজন অসম্ভব রকমের অস্বাভবিক মানুষ।ওনার ভক্তরা যদি কেউ ইতি মধ্যে ওনার সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া ঐ ছবিটি দেখে থাকেন, কেমন লাগল, জানান। না, আমার দেখা সম্ভব হয়নি। আবাপতে সমরেশ মজুমদারের সমালোচনা পড়লাম।কৌতূহল বাড়ল ।আপনারা আলোচনায় আসুন। সমালোচনাটি অবশ্যই পড়ুন।
  • pi | 72.83.80.253 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:১৫422618
  • সিনেমাওয়ালা ঋতুর মানসিক অস্বাভাবিকতা বোলে তো?
  • shyamal | 24.117.233.39 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:২৩422629
  • একটা দুটো টিভি ইন্টারভিউ দেখা ছাড়া ব্যক্তি ঋতুপর্ণ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই। কিন্তু বর্তমানের পরিচালকদের মধ্যে উনি এবং অপর্ণা সেনের ছবি খুব ভাল লাগে। এই দুজন কনসিসটেন্টলি একের পর এক ভাল ছবি উপহার দিচ্ছেন। যদিও ""খেলা"" আমার তেমন ভাল লাগেনি।

    সত্যজিতের সঙ্গে এই দুজনের একটা জায়গায় মিল আছে। মিথ্যে ভড়ং নেই, কায়দা দেখানোর চেষ্টা নেই, সততা আছে।

    নতুন ছবিটা হয়তো ডিভিডিতে এলে দেখতে পাব।
  • I | 59.93.247.184 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪৯422640
  • সব চরিত্র কাল্পনিক
    ----------------------
    এটা না, আসলে একটা পূর্ণাঙ্গ লেখা। মানে ,ঠিক আড্ডাবাজির ফর্মে লেখা হয় নি। অর্থাৎ কিনা , হচ্ছে না। যেহেতু এখনো শেষ হয়নি। আরে শেষ কি, শুরুই হল বলা চলে। শেষ হতে তো দু-তিন মাস সময় লাগত, আমার স্বভাব ও সময় অনুযায়ী। এরই মধ্যে আপনারা ফস করে টই খুলে বসলেন। আপনাদের আর তর সইল না। তা, আমি লিখব না তা কি হয়? তাই অসময়ে ডিম ভেঙে দিয়েছি। লেখার ডিম। আর লেখার রাগী ভ্রুণ বেরিয়ে এসে আমাকে যারপরনাই বকছে। বাপ-মা তুলে বকছে। কেননা , সে তো আর পূর্ণাঙ্গ নয়। তার উপরিভাগ পরিণত, নিম্নাঙ্গ অপরিণত। তাড়াহুড়োর ফল।

    আগেকার দিন হলে তা-ও একটা কথা ছিল। অপরিণামদর্শী বিনতাকে বকে-ঝকে খোঁড়া ল্যাং ল্যাং ল্যাং অরুণ দিব্য সূর্যের রথের সারথী হয়ে রথ চালাতে চলে গেল। খোঁড়া, তা-ও। কিন্তু এ তো ঘোর কলি। আমাদের কোনো সূর্য নেই। রথ নেই। আছে শুধু জয়পুর ফুট। আমার খঞ্জ লেখা। যা, এনিথিং বাট পূর্ণাঙ্গ।
  • I | 59.93.247.184 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:১০422651
  • আমি সিনেমার কেউ নই। তবুও যে এই ছবি নিয়ে দু-এক কলম লিখতে বসা, তার কারণ আর কী হতে পারে, কবিতা ছাড়া? এই যে আমি মানুষমুখে শুনতে পেলাম একটি সিনেমার কথা, যার হদয় ফুঁড়ে গাছ উঠেছে , আশামুকুল-তরু, তার নাম নাকি কবিতার অমলতাস। তাই দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে, ব্যস্ততা পেরিয়ে, সন্তান পেরিয়ে কবিতা দেখতে গেলাম, আমি আর আমার মানুষী।
    -
    না, আমি কবিতারও কেউ নই। কবিতা কস্মিনকালেও আমাকে ডাকেনি তার সাতমহলা নাটমহলে। অথচ হাভাতে, হাঘরে আমি তার হিমজানালায় গাল ঠেকিয়ে দেখেছি অন্দরের তারা ও তুবড়ি, পানপাত্রের ক্রিস্টাল আর কলস্বনা মেয়েদের; তাদের শাড়ির ভাঁজের খসখস, তাদের হাসির ঠমক যে রূপোর ঘন্টার কেলাসিত টুং টাং-এসবই হল জনশ্রুতি। জনশ্রুতিকে আমি সত্যি হতে জেনেছি, জানালার কাচে গাল ঠেকানো বোকাহাবা ছেলে । আর বাইরে অবিরাম ঝরে গেছে বরফ। সাদা হয়ে গেছে মাঠঘাট। জ্যোৎস্না ও তুষারে।

    না, আমি রাজার বাড়ির বরাতি নই। সোনার জলে ছাপা নেমন্তন্নর চিঠি আমার জন্য আসেনি কখনো। তবু ঘুমের ঘোরে কখনো তো শুনেছি রাতের শেষ ট্রেনের বাঁশি; আমার বাড়ির পাশ দিয়ে, আমার জানালার ফাঁক দিয়ে, আমার মশারির চাল আর মনসার ঘট ছুঁয়ে সে আবার মিলিয়ে গেছে দূরে, দিগন্তের দিকে। একবার, শুধু একবার। এ বেঁচে থাকায় শুধু একটিবার।

  • I | 59.93.247.184 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:২৭422662
  • দীপাংশুর সঙ্গে একবার খুব তর্ক হয়েছিল। আমি ভারতীয় সিনেমা, বলা ভালো বাংলা সিনেমা নিয়ে বড্ড অভিযোগ করছিলাম। কেন এত গল্প , গল্প ছাড়া কি সিনেমা হতে হয় না? আমি গল্পহীনতার সিনেমা দেখতে চাইছিলাম। আমি কবিতা দেখতে চেয়েছিলাম সিনেমায়। জীবনানন্দের কবিতা। তখনো আমি পড়িনি শঙ্খ ঘোষের "চলচ্চিত্র আর কবিতা', তখনো কেবলই আমার একা-একাই মনে হয়েছে : হ্যা, কোথাও কোথাও কবিতা অবশ্য এসে ছুঁয়ে গেছে , হাত ধরাধরি করে হেঁটেওছে কয়েক'পা সিনেমার সঙ্গে-কিন্তু কত মোমেন্টারি সেই ছুঁয়ে থাকা। সারাটা রাস্তা, পাকদণ্ডী বেয়ে বেয়ে পথে-অপথে, বেসক্যাম্প থেকে পিক পর্যন্ত পৌঁছে দেবে না কেন কবিতা, সিনেমাকে? (কিন্তু এসব তো বেশ বেসিক ভাবনাচিন্তা-তাও আমার মনে হয়েছে। দু-পাত্তর বিদ্যে পেটে পড়লেই যে কেউই ভুড়ভুড়িয়ে ভাববে এসব কথা, এতে আর এমন বিশাল কী হল-ভেবেছি। তা যে নয়, সেকথা আজ, এই এতদিন পরে বোঝা গেল সমরেশ মজুমদারের লেখা পড়ে)।

    আরো পরে আমি পড়ে উঠব ঐ বইখানা শঙ্খ ঘোষের -"ইশারা অবিরত'-যেখানে আমারই মত অনুযোগ করবেন শঙ্খবাবু, ইতস্তত: জাগিয়ে তুলবেন বাংলা সিনেমায় তাঁর কবিতা দেখবার স্মৃতি, যেমন পথের পাঁচালী, যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা (আ:, কাঞ্চনজঙ্ঘা!), সেই যেখানে জগদীশ বলছেন -" এই যে tests হচ্ছে-nuclear tests-আকাশ সব বিন্দু বিন্দু বিষাক্ত radiation-এ ভরে যাচ্ছে.....একবার হয়তো গিয়ে দেখব পাখিগুলো আর আসেনি।'আসেনি কেননা হয়তো মাথার গোলমালে তারা পথ ভুলে গেছে, কিংবা "what's even worse হয়তো মাঝরাস্তায় মরে গিয়ে টুপটুপ করে বৃষ্টির ফোঁটার মত.....'(আমার গোপন শ্লাঘা জেগে ওঠে, আমি এই সিকোয়েন্সটিকে চিরকাল বিশুদ্ধতম কবিতা বলে জেনেছি বলে, আর আজ শঙ্খ ঘোষ যেন খুশী হয়ে পিঠ চাপড়েই দেন আমার)
    অথবা যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো,-ঘোরের মধ্যে , স্বপ্নে-পাওয়া মানুষের মত বঙ্গবালার বলে -ওঠা : মুই নাচুম- আর অমনি তার নেচে -ওঠা সেই দানবদলনী ছৌ; কিংবা বঙ্গবালার মুখে "শুভঘট সারি সারি'-র মত গান শুনে নীলকণ্ঠ'র মনে হওয়া-"জীবনের নক্সাটা পাল্টাব।' কিংবা সুবর্ণরেখা'র সেই ভাঙা রানওয়ে, কালীমূর্তির মুখে পড়ে যাওয়া ছোট্ট সীতা, আর বসন্তের হা-হা হাওয়ায় উড়ে যাওয়া শালের পাতা-তাকে তো আমরা কবিতা বলে জানি সবাই।
  • I | 59.93.196.26 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:২৩422673
  • কিন্তু সম্পূর্ণ একটা ছবি, কবিতা নিয়ে? হয়েছে কখনো, বাংলা সিনেমায়? (একটা তথ্য জানান শঙ্খ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথের "শিশুতীর্থ' কবিতাখানা লেখাই হয়েছিল এক জার্মান চলচ্চিত্র সংস্থার প্রেরণায়। না , একটু ভুল হল, আসলে The Child কবিতাটা, "শিশুতীর্থ' যার কবিকৃত বাংলা অনুবাদ। নানা কারণে সে কবিতা আর ছবি হয়ে ওঠেনি কখনো।) না:, তেমন তো কোনো উদ্ধার খুঁজে পাওয়া যায় না।

    উল্টোদিকে শঙ্খ ঘোষ তুলে আনেন ভিনদেশী সব ছবির কথা; বলেন আমারকর্ডের কথা, বুনুয়েলের The age of gold কিংবা কক্‌তোর Blood of a poet-এর কথা; তারকোভ্‌স্কির সিনেমা, তার হদয়লীন কবিতা,- কবিতা সরাসরি, কবিতা ঘটনাহীন। রাগী নায়ক দোতলার জানালা থেকে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয় সমস্ত আসবাব, আর "নিক্ষিপ্ত জিনিসগুলির মধ্যে হঠাৎ, প্রায় জীবনানন্দের কবিতার অলৌকিকতাকে মনে করিয়ে দিয়ে যেন ভেসে ওঠে মস্ত এক জিরাফের গলা, স্থির নি:শব্দ হয়ে জানালায় তা জেগে থাকে অল্পসময়, তারপর সেটাও গড়িয়ে পড়ে বাইরে'(The age of gold)।

    ঈষৎ অন্যমনা আক্ষেপে শঙ্খ ঘোষ বলেন-"সেসব চর্চায় পৌঁছতে বাংলা ফিল্মের হয়তো আরো অনেকটা সময় লেগে যাবে বলে মনে হয়।'

    হ্যা, কেননা বাজার ছোট। কে পয়সা দেবে? কে-ই বা দেখবে? উঠবে , পয়সা? সংক্ষেপে এই ছিল দীপাংশুর যুক্তি।

    সেকথাই বলেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বলেছিলেন জীবনানন্দের "আট বছর আগের একদিন 'নিয়েও তো ছবি হতে পরে, এমনকী "রাত্রি' থেকেও। কিন্তু কে দেখবে?
  • I | 59.93.196.26 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১৭422684
  • ছেলেটি বি. ই কলেজ। মেয়েটি বিদেশে লালিত। বাংলা ভাষা থেকে যত দূরে হতে হয়। এমন বিয়ে হলে বাংলাভাষায় যাকে বলে রাজযোটক , হতে পারে তেমন। মর্মর, যতদূর ধবল হতে হয়, তাদের ঘিরে থাকে। ফুটন্ত দুধের ধবলতা, উথলে ওঠে। ধবলতায় মেয়েটির দুধে-আলতা পা। পায়ের নুপুর। এমন দৃশ্যে কবিতা মানায় ভালো, যদি সে কিশোরী হয়; রাইকিশোরী, অর্থাৎ কিনা সলাজ। ও ভীরু।
    কিন্তু কবিতা তারও বেশী চেয়ে বসে কখনো, কদাচিৎ। রাক্ষসীর মত, সে তার বুকের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে রক্তশোধ দাবী করেছে। আমার ভালো লাগেনা এমন ভুলব্যবহার। তাকে তাড়াই দূরে দূরে , আমি। কেননা এমন দৃশ্যে মানায় না তাকে,ইক্কেবারে মানাইছে না রে। তুই দিগরিয়া বটের ছায়াতে ঘুরে মর বনবর্গী হাওয়ায় হাওয়ায়, কানালের জলে যা, সেখানে বর্ষা হয়ে গেছে একপশলা, সাপের মুখ ছিঁড়ে পড়ে আছে ঘন সোনাঝুড়ি বনে। না, এখানে না। এই এইচ আই জি কসমোপলিটান বাঙ্গালী দাম্পত্যে না। বাস্তুনাশী, বাস্তুগ্রাসী কবিতা, এই ধবলে ধবল মর্মরে, এ বেহুলাবাসরে, পরবাসে তোমায় মানায় না।

    কবিতা বলে : আমি তো বজ্রকীট। আমি তো গোপন জীবাণুর মত ঢুকি পুষ্পের মৃণালে। জ্বরের মত , কোমলাঙ্গে। টাকাপয়সার সংসারে দু-একজন তো থাকেই, দেখোনি তাদের, ট্রামে-বাসে, অফিসে-বিষাদে? তারা সব মৃত্যুর প্রিয় সন্তানেরা। আমি দংশন করি তাদের।
  • I | 59.93.196.26 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৩৭422695
  • """রাজা সে সকল উপহার নিয়ে তাদের বিদায় দিলেন এবং অমাত্য-সুহৃদ্‌গণের সঙ্গে ফল খাবার উপক্রম করলেন। তাঁর ফলে একটি ক্ষুদ্র কৃষ্ণনয়ন তাম্রবর্ণ কীট দেখে রাজা তা হাতে ধরে সচিবদের বললেন, সূর্য অস্ত যাচ্ছেন, আমার দু:খ বা ভয় নেই, শৃঙ্গীর বাক্য সত্য হ'ক, এই কীট তক্ষক হয়ে আমাকে দংশন করুক। এই বলে তিনি নিজের কণ্ঠদেশে সেই কীট রেখে হাসতে লাগলেন। তখন কীটরূপী তক্ষক নিজ মূর্তি ধরে রাজাকে বেষ্টন করলে এবং সগর্জনে তাঁকে দংশন করলে। ...বিষের অনলে রাজার গৃহ আলোকিত হ'ল, তিনি বজ্রাহতের ন্যায় প'ড়ে গেলেন।''

    আলোর ফলের মত সফলতা ছেলেটির ছিল। তা-ও সে হাসতে হাসতে খণ্ডিতজিহ্ব পোকাটিকে প্রশ্রয় দিল। এমন হয়। সবসময় হয় না। হাজারো সেফগার্ড থাকে জীবনে। তাই কলি মাথা নীচু করে ছায়ার চেয়ে ছায়া হয়ে নলের পেছন পেছন ঘুরতে থাকে। ছিদ্রের সন্ধানে। যেন মৃত্যু ছুরি বের করে ঘুরছে মার্কেজের গদ্যে।

    সিনেমার ইন্দ্রনীল জানত। তার পেছনে ঘুরতে লাগে নি। সে হাসতে হাসতে কলিকে ঢুকতে দিয়েছিল। কতরকম ফিকির জানে এরা, এইসব দুরূহ যুবারা। হয়তো হিসি করে পায়ে জল-ই দিল না একদিন।
  • I | 59.93.203.214 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৫৫422608
  • ঋতুপর্ণ আস্ত একটি কবিতা লেখেন নি। সেরকম কোনো অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। কেননা, তিনি ঋতুপর্ণ, তাঁকে বাজার মেনে চলতে হয়। ছবিতে বলিউড-বালা কাস্ট করতে হয়, প্রসেনজিতকে রাখতে হয় লিড রোলে।
    না, এসব কোনো গালাগালের কথা নয়। আমাদের সবাইকেই তো বেরোতে হয় দিনের শুরুতে, আটটা দশ কি ন'টা বাহান্ন-র গাড়ি ধরে, যা'র যা'র নিজস্ব মালের বস্তা কাঁধে নিয়ে। দিনের শেষে অন্ন আসে,তাকে খুঁজে-পেতে ধরে আনতে হয়,সে তো হাঁটতে হাঁটতে ঘরে এসে ঢোকে না! অতএব আমাদের ভাতের থালার কানায় লেগে থাকে অন্ন ও আপোষ। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমরা যারা আভাঁ গার্দ করে বেড়াচ্ছি, তারাই বা কী এমন মহান কম্ম করছি !
    আমার তো বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে,- এই যে সব দেওয়াল, সারি সারি হার্ডল পেতে রাখা, সেসব পেরিয়ে একটা ভালো ছবি বের করে আনা। চ্যালেঞ্জিং লাগে।
    ঋতুপর্ণ যেটা করেছেন, সেটা হল কবিতাকে সিনেসামাজিক করে তোলার একটা চেষ্টা । এমন কোনো বাংলা ছবি তো সত্যি আজ অবধি তৈরী হয়ে ওঠেনি, বাংলা কবিতা যার প্রথম ও প্রধান চরিত্র। সেদিক থেকে ঋতুপর্ণ রাস্তা তৈরী করতে নামলেন। প্রথম ইঁট পাতলেন, বলা যায়। ঋতুপর্ণকে অভিনন্দন।
    ছবির প্রিমিয়ার নিয়ে টেলিভিশনে ঋতুপর্ণ'র সাংবাদিক সম্মেলন আমি দেখেছি। প্রসেনজিতকে পাশে বসিয়ে দর্শকদের মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করলেন, এটা কোনো আঁতেল ছবি নয়, ভয় পাওয়ার কিছু নেই; এটা একটা সেনসিটিভ ছবি, এতে অজস্র কবিতার মুহূর্ত আছে। বাংলা ভাষা ও কবিতাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা আছে।

  • I | 59.93.203.214 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:১৮422609
  • ছোট ছোট সব দৃশ্য। গল্প জমে উঠতে না উঠতেই দৃশ্যান্তরে চলে যাওয়া। ফ্ল্যাশ ব্যাক আর ফ্ল্যাশ ফরোয়ার্ডের খেলায় সময় ও ন্যারেটিভকে ঈষৎ দুমড়ে দেওয়া। তাই বলে পুরোপুরি অস্বীকার করাও নয়।
    এর কোনোটাই নতুন নয়। দু:সাহসিক কিছু নয়। একশ' বছরের কিছু বেশী সময় ধরে জাদুলণ্ঠন হাতে একদল খ্যাপাটে লোক যা'সব কান্ড করে চলেছে, সেসবের নিরিখে হয়তো কমনপ্লেস।
    তবু, ঐ যে বললাম-কবিতার নিশিডাক। ফিডার রোডের মোড় ঘুরতেই জঞ্জালে-মাখামাখি দেওয়ালের গায়ে ঐ যে একখানা বড়সড় পোস্টার - কবিতারচনা: জয় গোস্বামী /রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর /লালন ফকির-তাই দেখেই তো ফিদা হয়ে গেলাম। কবিতার লাইন দিয়ে বাংলা সিনেমার পোস্টার? সিনেমার প্রোমো ট্রেলারে জয় গোস্বামী কবিতা পড়ছেন অন্ধকার স্টেজে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র একখানা স্পটলাইট মুখে নিয়ে ! এ আর থাকা যায় না।

    তাই লম্বা পাঁচ বছর বাদে বড় পর্দায় আবার ছবি দেখতে গেলাম।
  • I | 59.93.203.214 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:৩০422610
  • আমি না, একটা কবিতা লিখছিলাম। জঙ্গলের মধ্যে বসে। ঐ যে , একটা নদী ছিল। হাঁসকুঁড়ি নদী। তার পাশে বসে।
    মেয়েটি ছেলেটিকে বলে।
    -কই, সে কবিতাটা কোথায়? নিয়ে এসেছো তো, কবিতাটা? কিন্তু হাঁসকুঁড়ি? ইস্‌, কী বিশ্রী নাম ! ঠিক যেন ফুসকুড়ির মত শোনাচ্ছে।
    -শোনো না! সেটাই তো গল্প। তারপর ফেরার সময় দেখি পথ হারিয়ে ফেলেছি। যেদিকে যাই, সেদিকেই একই রকম জঙ্গল। একই রকম গাছ।
    -আর তারপর?
    -তারপর তো কবিতাটা কাজে লাগল। কবিতার পাতাটাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে গাছের গায়ে মার্ক করতে করতে আসলাম...
    -তুমি আস্ত একটা কবিতা জঙ্গলকে দিয়ে এলে?
    -হ্যা-আ ! কবিতাটাই তো আমাকে তোমার কাছে নিয়ে এলো ।
    গর্বিতা মেয়েটি বলে। তখনো চিবুকে লেগে আছে। কবিতার শেষ টুকরো।
  • I | 59.93.203.214 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:০৬422611
  • দুটো মানুষ। একজন বি. ই কলেজ। একজন ইংরেজি ভাষা। ছেলেটি কবিতা লেখে। মেয়েটি প্রজেক্ট রিপোর্ট। মাঝদুয়ারে আয়না। অর্থাৎ কিনা আরশি নগর। এপারে-ঐপারে।
    কবিতা তাকে খেয়ে ফেলে, অন্ধ ছেলেটিকে। কবিতার সাপের ছোবল খেতে খেতে সে পড়শীর খোঁজ নিতে ভুলে যায়। মেয়েটির মায়ের হার্ট অ্যাটাকের খবর আসে। সে জানাতে ভুলে যায়। বন্ধুদল নিয়ে হুল্লোড় করে, মদ খেয়ে সে আলমারিতে রাখা টাকা শেষ করে ফেলে। নন্দ'র মা কী খাবে , সে খোঁজ রাখেনা। রাধিকা বাড়ি ফিরে কী খাবে, সে খোঁজ রাখেনা। না, নিছক কবিতার দোষ নয়। সে চরিত্রগতভাবেই একজন আত্মকেন্দ্রিক মানুষ।

    আমি সঙ্গীতাকে জিগ্গেস করি-এই ইন্দ্রনীল, ও কি সেল্ফ-সেন্টার্ড নয়?
    সঙ্গীতা বলে,- হ্যা, ও সেল্ফ-সেন্টার্ড। অতি অবশ্যই সেল্ফ-সেন্টার্ড।
    যদিও সে নন্দ'র মা'কে নিয়ে কবিতা লেখে। গণেশকে নিয়ে কবিতা লেখে। গণেশ ওদের ইস্ত্রিওলা। রাই সেকথা কোনোদিনও জানতে পারেনি।
    কিন্তু কবিতা তাকে লাই দিয়েছে। শিল্প তাকে শেকল পড়িয়েছে। যখন জীবন দেখে, শুধু কবিতাকেই খোঁজে সে। গাঢ় তেলে ভারীডানা উড়াল-অক্ষম পাখীটিকে দেখে সে কেবল একটি ব্যালের কথাই ভাবে। তার জীবনের সেরা কবিতা হবে মানুষের দু:খ আর ভালবাসা, নীলিমা আর অপ্রেম। সে, শিল্পী, জীবনের মাসমজ্জা নিয়ে সে তার ছবিগাছে সার দেয়। কবিতাগাছে। তার কি দয়ামায়া নেই?
  • I | 59.93.203.214 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:২৩422612
  • ভৃগু গর্জন করে বলেছিল-না, তার দয়া-মায়া, কিচ্ছু নেই। সে একটা স্কাউন্ড্রেল। একটা মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
    সবাই একরকম একরোখা হয় না। সবাই গর্জন করতে পারেনা। এত নিশ্চিত থাকেনা। আমি সিনেমাশেষে মাথা নীচু করে ভাবতে ভাবতে ফিরি-সত্যি কি ও সেল্ফ-সেন্টার্ড? ঐ কবি-ছেলেটি,ইন্দ্রনীল? ( হা, ঋতুপর্ণকে কে মাথার দিব্যি দিয়েছিল, উনি আর নাম পেলেন না?)
    কিন্তু মেয়েটির প্রতি, জীবনের প্রতি আমার মায়া হয়। মানুষের দয়া নাই, তোমারি তরে।
    যেমন নন্দিনী বলেছিল, অথবা রাধিকা-কবিতার সময়ের অভাব নেই, সে যুগযুগান্তর ধরে অপেক্ষা করতে পারে। মানুষের দু:খ মানুষের নাগাল চায়। তার সময় অল্প।
  • I | 59.93.203.214 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৩৮422613
  • রাধিকা একজন পাগল দেখেছিল। নতুন বিয়ে হয়েছে তখন। ট্যাক্সিতে বসে থাকতে-থাকতে-কেননা ইন্দ্রনীল তাকে বসিয়ে রেখে প্রবীণ কবির বাড়িতে ঢুকে নিজের লেখা নতুন কবিতা পড়ে শোনাতে শোনাতে বেমালুম ভুলে যায় নতুন বৌয়ের কথা।
    সে একজন প্রবাসী পাগল। এই শহরে কিভাবে যেন এসে পড়েছে সে, আর ফিরে যেতে পারছে না তার জন্মের মাটির কাছে। উলিডুলি ছেঁড়া নোংরা জামা, গলায় গাঁদা ফুলের মালা, প্রবল উৎকণ্ঠা নিয়ে সে ট্যাক্সিওলাকে এসে জিগ্গেস করে-ঢাকা-বিক্রমপুর যাবা? ভয় পেয়েছিল তাকে দেখে, রাধিকা।

    ভয় ঘুমিয়ে থাকে শীতকাল জুড়ে। ভয় তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় কবিতা। যে মানুষটা তার বুকের কাছে আসে রাত্তিরে , আর সকালে বেরিয়ে যায় অন্নের খোঁজে, সে যদি একদিন আর ফিরে না আসে? যদি তার চেহারা নিয়ে ফিরে আসে অবিকল একরকম দেখতে অন্য একজন মানুষ, যে আসলে একটা পাগল-যে লুকিয়ে রেখেছে তার গাঁদা ফুলের মালা, দাঁড়িগোঁফের জঙ্গল, উলিডুলি ছেঁড়া নোংরা জামা? তার বুকের কাছে এ কোন প্রবাসী মানুষ তবে, কোন ঢাকা-বিক্রমপুর? আর তার নিজের মানুষটাই বা এত রাত্তিরে ঘুরে মরছে কোন আঘাটায়, কোন প্রবাসে?

    আর শব্দে-শব্দে, ফুলে-অন্ধকারে প্রবাস, শুধু প্রবাসে ভরে যেতে থাকে আমার আশপাশ, ছোট হলঘর সিনেমার,বেঁচে-থাকার সমস্ত অন্ধি-সন্ধি- আনাচ-কানাচ। রাত্রির সমুদ্র ঠেলে জেগে ওঠে পাগল, ওঠে ব্যাধিঘোরে জরজর কবি, তার সমাজ নেই-সন্তান নেই-শ্রীরাধিকা-চন্দ্রাবলী নেই; আছে শুধু দগ্‌ধ ডানা, নষ্টনীড়, প্রবাস, প্রবাস।
  • kanti | 125.20.11.34 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:২৬422614
  • আপন মনের মাধুরী মেশায়ে তোমারে করেছি রচনা। তুমি আমার ই, তুমি আমার ই ।

    দর্শক-কবি বা কবি-দর্শক বুঝিয়ে দিলেন যেন জল। ধন্যবাদ।।

    সাবেকী দর্শক।
  • I | 59.93.196.169 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৩৮422615
  • লেখাটা আর একটু বাকি আছে। লাইফ রিস্ক নিয়ে পড়তে থাকুন। তবে সিনেমাটা দেখে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
  • h | 61.95.144.10 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৫৫422616
  • মেগাসিটি চলে গেছে, কালিদাস-ও আর নেই। লেখাটা শেষ কর। পড়ছি। প্লিজ শেষ কর সিরিয়াসলি।
  • arindam | 59.93.194.202 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:০৪422617
  • I
    লেখা নিয়ে কথা হবেনা। দারুণ লেখা, এবং জীবন সংশয়ের কোন কারণ নেই, তা'বলে সিনেমাটা বাপরে
    খুব সহানুভুতি না থাকলে ঐ সিনেমা বসে দেখা যায়না।
  • kanti | 125.20.11.34 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:৪৫422619
  • কি যে কন মশয়। সিনিমা- কাইব্য বোঝেন না।আমার মতই আকাট নাকি? তবে হ্যা, আইয়ের ল্যাখাখান বেশ জব্বর জম্পেস।আমার কাছে একটু শিশি-বোতলের মত শক্ত হোলেও কিছু কিছু বেশ ফুরফুরে।
  • Souva | 203.141.92.14 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৪422620
  • লেখা জম্পেশ হয়েচে। বিশেষত, কাঞ্চনজঙ্ঘা, যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো, আমারকর্ড, লা'জ দ'র ইত্যাদি অমোঘ নাম-উচ্চারণে। এগুলি প্রত্যেকটাই আমার বিশেষ প্রিয় ও নিজস্ব।

    কিন্তু কয়েক জায়্‌গায় আমার খটকা আছে। সিনেমাকে কবিতার মতো হয়ে উঠতে হবে এমন দাবি আমার কিছু অসঙ্গত লাগে। বিশেষত, যখন অনেক সমালোচক ও পরিচালক কাব্যি বলতেই ধোঁয়া, মেঘ, সবুজ, আলো-ছায়া, আবছা ক্যালানে ডায়ালগ ইত্যাদি আর্কেটাইপে আটকে যান। কবিতায় রবীন্দর-জী, জীবনানন্দ, শঙ্খবাবু যেমন আছেন, তেমনি তুষার রায়, ফালগুনি রায়, ভাস্কর চক্কোত্তিও আছেন। সিনেমা যাঁরা বানান ও যাঁরা দ্যাখেন, তাঁরা এইটে ভুলে যান অথবা ভুলিয়ে দেওয়া হয়।
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩০422621
  • ইন্দো দার লেখাটা জম্পেশ হচ্ছে। আমার এক বন্ধু কে দিয়েছিলাম পড়তে। যে সিনিমাটা দেখেছে। সে বলেছে ইন্দোদার নাম গিনেস বুকে তুলতে।
    জগতে প্রথম কেউ, 'কবি কি বলতে চেয়েছেন' তার উত্তর নিজের ভাষায় লিখেছে :)
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:০১422622
  • তবে শঙ্খ ঘোষের ঐ লেখাটা আমার খুব একটা মন:পুত হয় নি যেটার কথা ইন্দো দা রেফার করেছে। বুনুয়েল আর দালির ক্রিয়েশান আমার কাছে অনেক বেশী ছবিমুলক সিনেমা।
    Un chien andalou প্রথম বার মনে হয়েছিলো যে সিনেমা একটা আলাদা মাধ্যম। বই এর পাতার গন্ধ শোঁকা নয়, সিনেমা দেখে গুন গুন করা নয়, আলো ছায়া দেখে ডায়েরী লেখা নয়। তার বাইরে অন্য কিছু জিনিস সিনেমা। যার সাথে চেনা মাধ্যম গুলোর মিল নেই। নতুন ভাবে বলার জায়গা সিনেমা। পরে age of gold টা দেখে মনে হলো যে এই লোকটার বানানো সিনেমাই দেখবো শুধু।
    কিন্তু তার পরে ফের নিজেকে পাল্টালেন। tristana, virdiana, Belle de jour আশা ভঙ্গ করেছে।
    পরে ডিসক্রিট চার্ম অফ বুর্জোয়া মনে হলো ফের সেই সুরিয়ালিসমে ফিরে যাওয়া। বার বার চিন্তা ভাবনায় ধাক্কা দেওয়া আর আলাদা আলাদা লাইন টানা মুহুর্ত তৈরী করা ছবি। সারা সিনেমা জুড়ে দেখার ভঙ্গী টাই যেন একমাত্র উদ্দেশ্য, দেখার জিনিস টা অনেক চাপা।
    হয়তো শঙ্খ বাবু কবিতা খুঁজে পেয়ে খুশী হন, আমি খুঁজে না পেলে।
  • Diptayan | 210.212.29.146 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৫৬422623
  • ইন্দো দা তুমি জিনিয়াস । প্রথম সেটা বুঝেছিলুম,ভাটে তোমার 'মেঘনাদবধ কাব্য' র রিভিয়্যু পড়ে। টু গুড।

    এই সিনেমা টা একটু অন্যরকম, হয়তো আনলাইক ঋ.ঘো., কিন্তু যে লোকটা গল্প বলে থাকে, সে যখন হঠাৎ ন্যারেটিভ ছেড়ে বেরিয়ে যায় সেটা অন্যরকম বই কি। আমি ফিল্ম সমালোচক নই,বোদ্ধা তো নই ই, সাধারণ চোখে এই অন্যতর পরিবেশন খারাপ লাগেনি। তবে ইন্দো দার লেখা টা এক্কেবারে অফ সুপারলেটিভ অর্ডার। ব্যাঞ্জনার প্রকাশ এতো পরিচ্ছন্ন যে স্বয়ং পরিচালক হয়তো অনেক ইনসাইট পেতেন। পার্সোনাল আর্কাইভে রেখে দিলুম।
  • arindam | 59.93.244.92 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:৪৭422624
  • I-এর
    লেখা অনবদ্য। আমি নিজেও save করে রাখলাম। ঋতুপর্ণ নিজে পড়লে লজ্জা পেত। এত ভেবে ও নিজেও করেনি, ও তো এমনি এমনি করেছে। সিনেমাটা খাজা। নায়ক নাকি বাংলা ভাষা, হায়রে!!!!
  • kanti | 125.20.11.34 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:০১422625
  • ইন্দোর লেখা আমার ও প্রিয়।মাথাটা নিরেট হোলেও আবার যত্ন কোরে পোড়বো। তবে রিতুপন্নকে আমার সহ্য হয়না।তাতে ববশ্য তার বোয়েই গেল। আমি ইন্দোর জন্য প্রথম নব বাল্মীকি সম্মান ঘোষণা কোরলাম।আর নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে দিলাম,খোচা দিয়ে এই লেখাটা লেখায় তার কবি চিত্তকে জাগিয়ে তোলার জন্য।
  • I | 59.93.204.20 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:২৩422626
  • যাই বলুন না, বিপাশা কিন্তু ফাটিয়ে দিয়েছে। ঐ সাদাসিধে ধরনে শাড়ি-পরা, হাল্কা সাজ, ছোট্ট টিপ অথবা টিপহীনতা; ঐ মুখ ! আহা! বুকে তীর খেয়ে গেলাম। নেহাত আদ্ধেক নম্বর কাটা গেল সোহিনী-বাবদ। সোহাগ সেনও বড় ভাল। যীশুকে এতকাল ছ্যাবলা ছেলে বলে জানতাম , সে-ও কত মাপা অভিনয় করে চলে গেল।

    কিন্তু প্রসেনজিত এটা কী করলেন? ওঁকে সরিয়ে নিন, আমার লাগছে। না-কামানো দাড়িতে লাগছে না, ভারভার্তিক মুখে লাগছে। শালগ্রাম শিলার মত লাগছে। সুখ জমে জমে পাথর হয়। আর সে¾ট্রাল ওবেসিটি। আর কোহলকারণে প্যারোটিড স্ফীতি। ঐ ইন্দ্রনীল, ও কস্মিনকালেও কবিতা লেখেনি। কবিতা ওর চোখেমুখে-আচারে-উদ্‌গারে কোনো পদচ্ছাপ রেখে যায় নি, শুধু একটি পস্থুমাস ব্লো-আপ ছাড়া, একমাত্র পার্টিং কিক। আর কে-উ ছিলেন না, এ বিশ্বচরাচরে? প্রসেনজিত ছাড়া?

    কিম্বা হলেও-হতে-পারে আমাদের চোখের দোষ, অভ্যাসের। আর দোষ পরিচালকের। তেমন করে ভাবা হয়নি; যত্ন করে। ডিম ভাঙা হয়ে গেছে কাঁচা থাকতে, খোঁড়া হয়ে গেছে চরিত্রটা। খারাপ প্রোটোটাইপ। হায়, আরেকটু ভাবনাচিন্তা, আরেকটু বিবেচনা-সে কোথায়?

  • I | 59.93.204.20 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৪৮422627
  • ততক্ষণে ছবি প্রায় আদ্ধেক গড়িয়ে গেছে, যখন আমার বোরিং লাগতে শুরু করেছে। মনে হচ্ছে অন্য যে কোনো ঋতুপর্ণ-ছবির মত, অর্থাৎ কিনা বছরবিয়োনি মায়ের সর্বশেষ প্রোডাকশন। কিন্তু ইন্টারভ্যালের আলো জ্বলে উঠে নিভে গেলে পরে, পপকর্ণ আর চিপস'এর কচরমচর থেমে গেলে পরে, ও হ্যা, পাশের সিটগুলি থেকে অনবরত মোবাইলের টুং-টাং বাজানো ছেলেপিলেরা উঠে গেলে পরে ঋতুপর্ণও একটু যেন ভরসা পেয়ে সান্দ্র হয়ে উঠতে পারেন। মনে হয় যেন এই বিরতির জন্যেই অপেক্ষা করছিলেন পরিচালক, যখন বিপাশার খোলা পিঠ ইত্যাদি'র খোঁজে আসা লোকজন হল থেকে বেরিয়ে গিয়ে কবিতাকে একটা কাঙ্খিত পরিসর দেবে একা হবার; অর্থাৎ কিনা রাধিকাকে।
    এই সিনেমা রাধিকার। এই সিনেমা হলেও-হতে -পারতো লাবণ্য দাশ অথবা সুরমা ঘটকের। এঁদের ভাষা আমরা কোনোদিন পড়ে দেখিনি। অবলুপ্ত প্রাকৃতের মত,শহীদের দেশের প্রান্তিকের মত এঁদের আমরা ছুঁয়ে দেখিনি কখনো। ঋতুপর্ণ এঁদের ভাষা দিলেন অনুবাদের কল্পনায়। সেই অর্থে, এই সিনেমার ""সব চরিত্র'' যদি দিনের শেষে কবির "স্বার্থপর বৌ'-এর ভাবনার ভাষা হয়, তবে তা কাল্পনিক তো বটেই !
  • I | 59.93.204.20 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০৯422628
  • শালার লেখার ইয়ে মারি ! একটা দিনও একটু শান্তিতে লিখতে দেবে না !! যা-ও বা চুরিচামারি করে চাট্টি সময় যোগাড় করি, ঠিক কোনো না কোনো উকুনে এসে খায়!
  • sibu | 66.102.14.1 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:১৩422630
  • আমি না, আমি না। দীপ্তেনদা :))।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন