এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • সব চরিত্র কাল্পনিক

    kanti
    সিনেমা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৫৫২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sayantan | 59.93.222.191 | ২০ অক্টোবর ২০০৯ ২০:২০422664
  • লেখা টা অসাধারন।
  • i | 124.168.170.176 | ১৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৩১422665
  • বড়াইএর গদ্য । মায়াময়। সিনেমাটি দেখবার ইচ্ছে জাগে। দেখব অবশ্যই।
    একটা কথা হঠাৎ মনে হ'ল...
    কবিতার বজ্রকীট দংশে যারে- 'দুরূহ' যুবাসকল-হাসতে হাসতে 'কলিকে জীবনে প্রবিষ্ট হতে দেওয়া 'মৃত্যুর সন্তান'-
    যুবা না হয়ে যুবতী হয় যদি... ইন্দ্রনীল না হয় হয় যদি সে ইন্দ্রাণী.. বজ্রকীট তাকে দংশে না সে বজ্রকীটের গলা মুচড়ে দেয়? সে কি নিজেই নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে 'দুরূহ' না হয়ে উঠতে?
    সিনেমাটা / গল্পটা/ এই অসম্ভব মায়াময় গদ্য ঠিক এইরকম-একইরকম থাকে তখন?
    ....
    ছায়ামাখা পথ বেয়ে জলের কাছে পৌঁছন তিনি। জলে নেমে যান । পায়ের পাতা হাঁটু কোমর গলা জল ক্রমশ:
    ..."to look life in the face..always to look life in the face..to know it for what it is..at last to know it, to love it for what it is..and then..to put it away".
  • kanti | 125.20.11.34 | ১৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৬:০৪422666
  • এই টৈএর শুরুতে আশা করেছিলাম,যারা ঐ ছবিটা দেখেছেন তারা আলোচনা করবেন। না,সে পথে বিশেষ কেউ পা বাড়ান নি।এক মাত্র ইন্দো ডাক্তার (কবি ও অবশ্য )ঐ ছবির অনুপ্রেরনায় একটি দীর্ঘ ভেজা ভেজা কুয়াশাময় রচনা পেশ কোরেছেন। অনেকেই বেশ তারিফ ও কোরেছেন। কিন্তু কবির ই অমোঘ উক্তি, " সকলেই কবি নয়।কেউ কেউ কবি।" আর এই হতভাগ্যের মগজ আর কল্পনা শক্তি সময়ের কশাঘাতে আর বয়সের ভারে একেবারে বরবাদ হয়ে গিয়েছে। ফলে অমন একটি জমাট, ওজনদার লেখার স্বাদ নিতে গিয়ে দাত আরো নড়বড়ে হোয়ে যায়। কিন্তু বাসনা যে মরেনা। তাই যারা বুঝে তারিফ কোরেছেন তাদের কাছে একটি অনুরোধ। আপনাদের কেউ একটু সাদা বাংলায় আমার মত আকাটদের জন্য অনুবাদ কোরে দিন না। প্রসংগত: মনে পড়ল, দিকুসা একবার অচল পত্রের পাতায় সুধীন্দ্রনাথের কিছু কবিতার বংগানুবাদ কোরেছিলেন। ইন্দোবাবু,আমি কিন্তু সত্যিই আপনার লেখা পড়তে ভালবাসি।এই কথায় কোন ভ্যাজাল নেই।
  • d | 117.195.35.83 | ১৯ নভেম্বর ২০০৯ ০৮:১২422667
  • "ইন্দ্রনীল' না হয়ে ইন্দ্রাণী হলে কী হত সেটা "ইন্দ্রাণী'র কাছ থেকেই শুনতে চাই।

    লেখ না।
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১৯ নভেম্বর ২০০৯ ১০:২৩422668
  • ইন্দ্রানীদি, এটা কার লেখা?
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১৯ নভেম্বর ২০০৯ ১০:২৯422669
  • আচ্ছা, পেয়ে গেছি :)

    আর আমিও শুনতে চাই ইন্দ্রানীর কথা। লেখো না। অনেকদিন পড়িনি তোমার লেখা।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৩ নভেম্বর ২০০৯ ১০:২১422670
  • এদ্দিনে লেখাটা বুঝতে পারলাম, ভালো লাগল, ভালো লেগেছে সিনেমাটাও। আমার নাম আদৌ ইন্দ্রনীল নয়, কবিতা থেকে প্রায় শত হস্ত দুরে আমার চলাচল। তাও ভালো লেগেছে। বিপাশা অসম্ভব ভালো। ইন্দ্রনীলদার লেখাটিও অতীব সুন্দর। সিনেমাটা না দেখলে বোঝা যায় না। দেখলে বোঝা যায় ইন্দ্রনীলদা (আমাদের) কত ভালো লেখে।

    তবু তাও, শুধু মাত্র বাজারের সাথে আপোষ করার জন্যই কি ইন্দ্রনীল(সিনেমার) কে পুরষ্কার পেতে হল? নইলে কি রাইয়ের কাছে অধরাই থাকত কবিতা? নইলে কি এক হয়ে মিলেমিশে যেতে পারত না কাজরী আর রাই?
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৫422671
  • বাজার তো বটেই। ঐ স্থূল নায়কটির মুখে, চোখে, চলনে কোথাও কি কোনো কবিতা ছিল? বাজারের জন্যই তো। ইন্দ্রর লেখা যে অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল তার কাছাকাছি তো পৌঁছতে পারলো না এই সিনেমা। তবে স্বপ্নদৃশ্য রচনায় ঋতুপর্ণের দক্ষতা আগেও দেখেছি 'বাড়ীওয়ালী'তে। এখানেও স্বপ্নগুলো দাগ কেটে গেলো। বিপাশা তো ভালই। আমার খুব ভালো লেগেছে সোহাগ সেনকেও। ভদ্রমহিলা অভিনয় করেন জানা ছিল না। খুব ন্যাচারাল।
  • r | 125.18.104.1 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৮422672
  • r | 125.18.104.1 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:৫১422674
  • lcm | 69.236.190.107 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:৫২422675
  • r দুটো কাল্পনিক কমেন্ট করল।
  • I | 59.93.221.11 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:২৬422677
  • থ্যাংকু, দমদিদি।
    হ্যাঁ, সিনেমায় ব্যবহৃত রাধিকা'র কবিতাটা খুঁজে পেলাম। জয় গোস্বামীরই লেখা। গৃহবধূর ডায়েরি। তাই এত চেনা-চেনা লাগছিল।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:১৬422678
  • গৃহবধূর ডায়েরি পড়তে চাই। কোথায়, মানে জয়ের কোন কবিতার বইতে পাওয়া যাবে?
  • I | 59.93.217.48 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩৫422679
  • কবিতা'র টই-য়ে না দিয়ে এখানেই দিলাম-

    "আমার সবচেয়ে ভয় হয় ঐ পাগলদের জন্যে ঐ রাস্তার পাগলদের জন্যে ঐ চটপরাদের জন্যে ঐ জটপড়া চুলদাড়ি কিংবা ন্যাড়ামাথাদের জন্যে আমার সবচেয়ে ভয় হয় ওরা প্রত্যেক মুহূর্তে কত কত দূরে চলে যাচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দেশ ছেড়ে ওদের কি বাপ-মা নেই ভাইবোন নেই কোন মেয়ে কি ওদের ভালোবাসল না ওরা কাকে চড় মেরে কার হাত ছাড়িয়ে কোন শিকল তোলা ঘরের জানলা টপকে একদিন দিগ্বিদিকে পালিয়ে যায়
    যেভাবে উল্কা যায় আকাশে এক ঝলকমাত্র দেখা দেবার পর কিন্তু তারপরেও তো পড়তেই থাকে পড়তেই থাকে কালো আকাশের মধ্যে দিয়ে অদৃশ্য তেমনি ওরা কোন পানদোকানের নীচে কোন বটতলায় কোন পার্কের বেঞ্চিতে নিঝুমপুর কোন প্ল্যাটফর্মে এক ঝলক দেখা দিয়েও আসলে তো পালাতেই থাকে পালাতেই আমার সবচেয়ে ভয় হয় আমার ঘরের মানুষটাও যখন বলে এবার পাগল হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যাবো একদিন যদি সত্যিসত্যিই বেরিয়ে যায় মাথাগরম লোকটা যদি কোন একটা পাগলের মধ্যে ঢুকে পড়ে রাগের মাথায় যদি ওর বদলে ওর পোশাক আর শরীর পরে সেই পাগলটা বাড়ি এসে বলে ভাত দাও বলে চান করবো তোমার সঙ্গে বলে ঘুম পাড়াও আমাকে তার শরীর চেনা কিন্তু নি: শ্বাস অপরিচিত তাকানো অপরের ধক ধক অচেনা কোন বুনোর যদি ঐসময় ঐ অত ভালোলাগার মধ্যেও আমার হঠাৎ মনে হয়, এ কে? এ কে? যদি বুকের ওপর থেকে চুল খামচে মাথা উঠিয়ে বলতে হয় তুমি কে? তুমি কে? কিংবা যদি ভালো লাগতে লাগতে ভুলেই যাই এ অন্য কেউ তখন আমার লোকটা কোথায় শীতের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে কোন প্ল্যাটফর্মে কোন বটগাছতলায় কোন বন্ধ দোকানের নীচে কিংবা কোন অভাগিনীর ঝুপড়ির মুখে এসে খসে পড়বে আর পড়তেই থাকবে পড়তে কালো আকাশের মধ্যে দিয়ে যেমন উল্কা যায় সারা শরীর ভরা ঘুম নিয়ে তার কিছুই তো জানতে পারব না আমি এই ভয়ে এই সবচেয়ে ভয়ে ঘামে ভিজে গিয়ে ঘুম ভেঙে মাঝরাত্তিরে আমি উঠে বসি বিছানায়....'

    বইয়ের নাম "পাতার পোশাক'।
  • I | 59.93.217.48 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৪৭422680
  • আর হ্যাঁ, দমদিদির একটা হালকা অনুযোগ দেখলাম অন্য টই'য়ে। ইন্দ্রাণীদি'র প্রশ্ন বিষয়ে। উত্তর দেওয়া যেত , দেওয়া হয় নি;কেন হয় নি এখন আর মনে পড়ছে না। হয়তো তেমন দেওয়ার মত উত্তর ছিল না; হয়তো মনে হয়েছে ইন্দ্রাণীদি ঠিক জরুরীভিত্তিতে উত্তর চায়ও নি তেমন, উত্তরটা জানা আর এটা একটা স্টেটমেন্ট। প্রশ্নের ছলে। হয়তো সময় না থাকার সেই পুরনো কুমীরছানা উঁকি দিচ্ছিল গর্ত দিয়ে। আর তাছাড়া কত কথাই তো বয়ে যায়, সব কথা বলতে ইচ্ছেও করে না সবসময়।

    কিন্তু এখন একটু ভাবলাম উত্তরটা নিয়ে। পড়লাম, পুরনো লেখাটা আবার। দমদি কন্ডিশনিং-এর কথা বলেছে। খুব ভুল হয়তো না। যতই কেন না ভালো ভালো অর্ধেক আকাশ-টাকাশ ভাবি, কন্ডিশনিং কি সহজে যায়? বুক বাজিয়ে ভুতনাস্তিক হলেই কী আর মাঝরাতে গোরস্তানে ভয় করে না?

    কিন্তু আর একটা ব্যাপারও ছিল দেখলাম ঐ বাক্যগুলির মধ্যে। সেটা ,context। সিনেমা-র কবিটি আমার /আপনার ইচ্ছানিরপেক্ষভাবে একজন পুরুষমানুষ; সেটা আর বদলাবো কিভাবে? আর তা'কে নিয়ে লিখতে গেলে আমার যদি মনে পড়ে যায় শঙ্খবাবু'র লেখা কবিতা'র লাইন- আজো কেন নিয়ে এলে ভ্রষ্ট এই অন্ধ মৃত্যুজপ/দুরূহ যুবারা যাকে ভালোবেসে প্রসিদ্ধ করেছে(ভুল হতে পারে, স্মৃতি থেকে উদ্ধার, আমার স্মৃতি রঞ্জনদা'র মত প্রখর না, কিন্তু "দুরূহ যুবা'- এই শব্দবন্ধ তো ছিলই), তাহলেই বা আমি কী করি? এখন যদি বলেন- শঙ্খবাবু, উনিও তো অকাকতালীয়ভাবে পুরুষমানুষ, তাহলে-তাহলে আমি চুপ করেই যাবো সম্ভবত:।

    অথবা এইসবকেই দিনের শেষে কন্ডিশনিং বলা সম্ভব; এই গল্পে-গানে-কবিতায় -পাবলিক ইমেজারিতে যেভাবে নির্মিত হয় স্ত্রী-পুং ও তৃতীয় লিঙ্গসমূহ। খুব সেনসিটিভ যে পুরুষ , সে-ও তো মাথার ভেতর জীবনানন্দ নিয়ে বড় হতে পারে-একবার নক্ষত্রের পানে চেয়ে-একবার বেদনার পানে/অনেক কবিতা লিখে চলে গেল যুবকের দল;/পৃথিবীর পথে-পথে সুন্দরীরা মূর্খ সসম্মানে/শুনিল আধেক কথা;-এইসব বধির নিশ্চল সোনার পিত্তলমূর্তি.....ইত্যাদি।

    কিন্তু তা-ও এইসব পাঁচিল পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যে করতে হয়, করতেই হয়, সে সব আমরা কে-ই বা না জানি। করি কীনা, ভিন্ন কথা। কিংবা কদ্দূর করি। শক্তি চাটুজ্জের সেই অসম্ভব পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট উক্তি-মেয়েরা পদ্য লিখতে পারে না-আমি তো অন্তত: বিশ্বাস করিনা(এইটা প্রকাশ্যে জানাতেও কেমন-কেমন লাগে, যেন বা ঢাক পেটানোর শব্দ শুনতে পেলাম)। কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম প্রিয় কবিতা-র টইয়ে কৃষ্ণা বসু'র লেখা আমার খুব পছন্দের একটা কবিতা "মেয়েমানুষের লাশ' তুলে দেবো, এখন দিলে জোর করে পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়ার চেষ্টা মনে হতে পারে।

    আর, ইন্দ্রাণীদি'র কথায় বলি,আমি ঢাক ঢোল-কাড়া-নাকাড়া-মাদল-ধামসা পিটিয়েই ইন্দ্রাণীদির লেখার ভক্ত। কখনো কখনো দিদির লেখা পড়ে আমার ছাইপাঁশ লেখা-র সঙ্গে মিল খুঁজে পেলে আহ্লাদ হয়। দিদি-র অনেক লেখাই-পড়ে মনে হয়েছে-আমারি লেখা। শুধু এত ভালো করে লিখতে পারতাম না, এই যা। হয়তো বিষাদে মিল। ইন্দ্রাণীদি, ভালো থেকো।
  • indraaNee | 124.171.5.182 | ০৭ মে ২০১০ ১৯:০৭422681
  • ইন্দ্রনীল,
    তোকে এচিঠি লেখা ডিউ ছিল আমার বহুদিন। তোকে বলার ছিল অনেক।
    সিনেমা দেখার আগেই পড়ে ফেলেছি তোর এই প্রগাঢ় মায়াময় গদ্য। পড়লাম প্রতিভাসের 'কবিতা প্রতিমাসে'-সেপ্টেম্বর ২০০৯ সংখ্যায় শঙ্করলাল ভট্টাচার্য, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ ধর, হিরণ মিত্র। ঋতুপর্ণ ঘোষের সাক্ষাৎকার। জয় গোস্বামীরও। সংক্ষিপ্ত যদিও। ঐ একই সংখ্যায়। শঙ্করলাল স্পষ্টই জানিয়েছেন তিনি দেখেননি সিনেমাটি। আলোচনা করেছেন সিনেমা কখন কবিতা হয়ে যায়।গোদারের কথা এসেছে, এসেছে 'পিয়েরো লা ফ্যু'।আলোচনার সূত্রে, অবশ্যই। গল্প শুনিয়েছেন,উদাহরণ স্বরূপ। ইতালীয় ছবি ইল পোস্তিনোর গল্প- যেখানে নেরুদার অজ্ঞাতবাসে তাঁকে নিয়মিত চিঠি দিতে আসছে এক ডাকপিয়ন। জানতে পারছে, কবির পরিচয়। গড়ে উঠছে আশ্চর্য সম্পর্ক-ডাকপিয়ন অধীর অপএক্ষায় থাকে চিঠি দিতে গিয়ে কবির থেকে কবিতা শুনবে কখন। একসময় সে নিজেই কবি হয়ে যায়।রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা শুরুই করেছেন, 'কবি ও কবিতা নিয়ে জগতে সিনেমা নেই বললেই চলে'।হিরণ মিত্র ধন্ধে পড়লেন 'ঘূর্ণির মতো সময়, যার আগুপিছু ধরা যায় না। যে ঘুরে চলে, অতীত বর্তমান মাখামাখি। ধাঁধা লাগানো, সময় খেলা, সম্পর্ক খেলা।'চন্ডী মুখোপাধ্যায় বলছেন-কল্পনা নয়, স্মৃতে আত্ম অণ্বেষণ।অনিরুদ্ধ ধর অন্তকথনে স্পষ্টই লিখলেন, 'আসলে শেষ পর্যন্ত সিনেমা হ'ল সিনেমাই, এবং কবিতা হল কবিতা।সিনেমার যেমন কবিতা হয়ে ওঠার দায় নেই, তেমন কবিতারও সিনেমার গা ঘেঁষে থাকার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।'
    দেখার আগেই এত কিছু পড়ে ফেলা আমার। বন্ধুজনের দর্শনপ্রতিক্রিয়া, কবির সাক্ষাৎকার, পরিচালক -কবির কথোপকথন। ফলত: নিজে থেকেই ভেবে নেওয়া এটা সেটা। সাত পাঁচ। দেখার আগেই।

    অবশেষে দেখলাম। লিখতে দেরী হ'ল। তোকে কিছু বলার ছিল...
  • indrani | 124.171.5.182 | ০৭ মে ২০১০ ১৯:৩৩422682
  • কাগজে আঁচড় দিতে পারি না আজকাল। শাদা কাগজ। কলম ছোঁয়াচ্ছি। শাদা কাগজ, লেখার কাগজ কি করে হয়ে যাচ্ছে ব্লটিং পেপার। শুষে নিচ্ছে কলমের কালি। একটা গাঢ় নীল বিন্দু প্রথমে । তারপর বড় হচ্ছে বড় হচ্ছে.. সমস্ত কাগজটাই নীল হয়ে যাচ্ছে একটা সময়। ব্যস্ততা, বিষাদ, ক্লান্তি। পারিপার্শ্বিক।প্রবাস। পৌন:পুনিকতা।দৈনন্দিনের অ্যাকোয়ারিয়াম।
    তলদেশে নীলচে বেগুণী নুড়ি, নয়নশোভন জলজ গুল্ম, শেকড়বিহীন। সাঁতরে চলে বাহারি মাছ।শ্যাওলাহীন তার পৃষ্ঠদেশ। রঙীন চকচকে আঁশ। দানা গিলে নেয় এক দুই তিন। সাঁতার কাটে। অগভীর ক্লোরিন জল। এদিক থেকে ওদিক,ওদিক থেকে এদিক। এ দেওয়াল থেকে সে দেওয়াল তক। ও দেওয়াল থেকে এ দেওয়াল। কাচ দেওয়াল।বুড়বুড়ি কাটে । ভালো থাকে। একদিন চিৎ হয়ে ভেসে উঠবে বলে।

    মেয়েটিও ঢুকে গেছিল বাহারি জলপাত্রে সেই কবে। ছবির একদম গোড়ায়। মনে আছে?
    সেই যে নিরবলম্ব কাঠপুতুলসমূহ -বন্ধ জানলা। আধো অন্ধকার ঘরে যেদিন লিখল- A littlr river/Twists and Turns ইংরিজিতেই বলল আলিস্যি করে ওরিজিনাল কিছু লেখে নি ক্রিয়েটিভ রাইটিংএর ক্লাসে। বাংলা কবিতা একটা। তর্জমা করে তুলে দিয়েছে খাতায়।
    চিনে নিলাম ঝাঁকের কইটিকে। এ মেয়ে অতল দীঘিতে স্বচ্ছন্দ হবে না। শ্যাওলায় দমবন্ধ হবে, লতাগুল্ম পথ আটকাবে। এ মেয়ে ক্ষণতরে পা ডোবাবে দুধ আলতায়। ক্ষণতরেই।সিঁথিমৌর থাকবে, কনে চন্দন, ঘিরে থাকবে এয়োতীকুল, উলু, শাঁখ। খলবলে জীয়ল মাছ হাতে নেবে। মুহূর্তকাল। পরমুহূর্তেই তাকে দেখব রঙ্‌হীন চারদেওয়ালের মধ্যে। ফ্যাটফ্যাটে সাদা আধুনিক বাথরুম, ফসেট, সোপ, নির্দাগ টাইলস। জীয়ল মাছের গন্ধ মুছে নিচ্ছে সালংকারা। চৌকাঠে তার নতুন বর। ঐ ব্যবধানটুকু থেকেই যাবে।
  • indrani | 124.171.5.182 | ০৭ মে ২০১০ ২০:০১422683
  • মেয়েটির যে নতুন বর। কবিতা লেখে। আপিস যেতে অনীহা। নতুন বৌকে ট্যাক্সিতে বসিয়ে রেখে সেই যে গেল কোথায়। ক্রিকেট, আড্ডা, বন্ধুসঙ্গ। সাংসারিক বোধবিহীন মানুষ। কবি না হলেও হ'ত।এরকম মানুষ দেখি নি আমরা? অ কবি?
    মসৃণ গাল নয় তার, ইংরিজিতে অস্বচ্ছন্দ, 'মাগী' শব্দটি উচ্চারণ করে নির্দ্বিধায়। নন্দর মা, ইস্ত্রিওলার সঙ্গে তুমুল স্বচ্চন্দ অথচ। কথোপকথনে। আলপচারিতায়। অ্যাকোয়ারিয়ামে বসত করে না সে যে। পিঠে তার শ্যাওলা। জানা কথাই, তার সঙ্গে একত্র যাপন হবে না আমাদের। গভীর জল সইবে না। শিকড়বাকড়ে দম আঁটকে মরব। এই যে আমরা। বাহারি মাছ। জলপাত্রে বাস। জানা কথাই আমরা পাগল দেখলে ভয় পাব আর সেই শ্যাওলা পিঠ সোহাগ করলে তীক্ষ্ণকন্ঠ হবো-ঘোষো না, ইট হার্টস।
  • indrani | 124.171.5.182 | ০৭ মে ২০১০ ২০:২৫422685
  • মেয়েটির যে সখা, তারও বাস ঐ বাহারি জলাধারেই। ত্রুটিহীন। স্মার্ট। মোবাইল। আচ্ছা, একটা পূর্ণ বাংলা বাক্যগঠনও কি শুনলাম তার মুখে? জানা কথাই, এ মেয়ে এই ছেলের সঙ্গে ঘুরবে ফিরবে, সাঁতরাবে। অগভীর জলে স্বচ্ছন্দ সাঁতার। জানাই তো। এ মেয়ে অনিশ্চয়তাকে ভয় পাবে, ইন্সিকিউরিটিকে কাছে আসতে দেবে না। স্বামীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার খবরে আতংকিত , ক্রুদ্ধ, বিষাদগ্রস্ত হবে। এ সব জানা ছিল।

    জানা ছিল না এ মাছের চোরা টান। জানা ছিল না এ মেয়ে পাগল দেখে ভয় পায় আপাত:। পাগল তাকে হন্ট করে। লিখিয়ে নেয় কবিতা। সে কবিতার ছত্রে ছত্রে শ্যাওলা পিঠের কথা। সে ভালোবাসে অগাধ জলাশয়। অথচ তা গোপন রেখে দানা গেলা, এ দেওয়াল ও দেওয়াল সাঁতরানো।

    শ্যাওলা পিঠের সে একদিন ফিরে যায়।প্রাচীন কোন দীঘিতেই হয়তো। এই যে বাহারি মাছ মেয়েটি-এতদিন গোপন রেখেছিল চোরাটান-এতদিন পরে জীবনে প্রথমবার ঘাই দেয়। খান খান হয়ে যায় জলপাত্র। বেরিয়ে পড়ে সে। সেই নদী-প্রথম দৃশ্যে যা ছিল টুইস্ট অ্যান্ড টার্নের লিটল রিভার... জানলার কাচে সালংকারা হাত রেখেছিল সে, হাতের পাশে হাত ছিল না কোনো... শেষ দৃশ্যে পরিষ্কার উচ্চারিত বাংলা-আমাদের ছোটো নদী চলে আঁকে বাঁকে... হাতের পাশে হাত রয়েছে এবার।
  • indrani | 124.171.5.182 | ০৭ মে ২০১০ ২০:৩৩422686
  • তুই যেমন দেখলি। আমি দেখলাম অন্যরকম।
    ঘাই দিতে ইচ্ছে হ'ল। ভয় পেলাম। জলপাত্র বিচূর্ণ হওয়ার ভয়। শ্যাওলার ভয়, শিকড়ের ভয়।
    চোরাটান, ভালোবাসা বুকে চেপে দানা খাই। ব্লটিং শুষে নেয় কলমের কালি।

    এই তো। এই বলার ছিল তোকে।
    খুব ভালো থাক।

    ইন্দ্রাণীদি।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ মে ২০১০ ২০:৪৮422687
  • এক মুগ্‌ধতায় টই-টম্বুর মন---ভাষা নেই---ভাবতাম সিনেমটা দেখেছি---জানলাম দেখিনি। আবার দেখব।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ মে ২০১০ ২০:৪৯422688
  • *মুগ্‌ধতায় !
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ মে ২০১০ ২০:৫০422689
  • * মুগ্‌ধ
    একি এখানে তো ঠিক দেখাচ্ছে :-০
  • dd | 122.167.122.251 | ০৭ মে ২০১০ ২৩:২০422690
  • যদি আমি দেশের রাজা হইতাম, তাহা হইলে ইন্দোদা ও টইবোনের (কি না ইন্দানী, সিডনীর)গলায় মালা পরাইয়া দিতাম।

    এরম ফাসক্লাস বাংলা, মাইরী, এই দীর্ঘ জেবেনে, মনেই হয় না, পড়িচি।

    ক্ষি উৎকৃষ্ট। মরি মরি।
  • ranjan roy | 122.168.11.188 | ০৮ মে ২০১০ ০০:৩৬422691
  • নিনার কথার প্রতিধ্বনি করলাম। ইন্দোডাক্তার আর সিডনীর ইন্দ্রাণীর যুগলবন্দী পড়ে মনে হল তিনবার দেখেও সিনেমাটা ভালো করে দেখা হয় নি।
    ইন্দোর লেখা পড়েই দেখার ইচ্ছেটা হয়েছিল। গতমাসে টিভিতে বোধহয় বার তিনেক দেখলাম। দুবার স্ত্রীর সঙ্গে। কাউকেও আলাদা করে দেখিনি। শুধু অলকনান্দা জলে ভেসে যাওয়া সময়, চলে যাওয়া বাস, বনের মধ্যে ফেলে আসা কবিতাকে খুঁজে আনার আকুতি আমাকে এক কুয়াশা-বিষাদে আচ্ছন্ন করে ফেললো। আর সাংসারিক বোধবুদ্ধি-দায়িত্বজ্ঞানহীন চরিত্রটি? সে কি আমি নই? শুধু ওর মত কবিতা লিখতে পারি না যে! খালি সবার চোখে অপরাধী হয়ে থাকি। এ সিনেমা নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা আমার নেই।
    ""ওর দাড়িটা কে কামিয়ে দিলো"?

  • indrani | 124.171.5.182 | ০৯ মে ২০১০ ০৩:৩৭422692
  • নিনা, রঞ্জনদাদা,
    আপনারা লিখুন সময় ক'রে আপনাদের দর্শন এবং/পুনর্দর্শন প্রতিক্রিয়া।

    ডিডি,
    :)
    বহুদিন পরে টইবোন সম্বোধন...
  • arindam | 59.93.200.112 | ০৯ মে ২০১০ ১০:১৪422693
  • ভাবের ঘরে মুর্তি বানাই-ভাবমুর্তি। ভাবমূর্তির সুপ্ত ইচ্ছের গুপ্ত সলতেতে আগুন ধরায় কবি। সেই আগুনে মুখ স্পষ্ট হয়, ছুটে যাই তার কাছে। ধরতে পারিনা, তবু ধরতে চাওয়ার মতন মূর্খামি ভর করে।স্বস্তি হয়না। তবু অ-স্বস্তিতে আপত্তি নেই কোনো। মনে হয় নিশ্চয়ই আছে, থাকবেই।ঠিক যেরকম কবিতা বুঝিনা বলে বলিনা- কবিতা সত্যি নয়! সেইরকমই।ভাবি আজ পারছিনা, কাল পারব।
    সিনেমাটা দেখার পর ইন্দ্রণীলের লেখাটা পড়ি। লেখাটা পড়ে আবার দেখতে ইচ্ছে করে সিনেমাটি, একাধিকবার দেখি। সিনেমাটি শুরু হয় মৃত্যু দিয়ে। অবসান। অবসান থেকে গন্তব্যে পৌঁছুতে চাই। হোঁচট খেয়েছি বারবার। সিনেমা দেখতে গিয়ে ইন্দ্রণীলের লেখাকে সঙ্গে রাখিনি। রাখতে পারেনি বলেই এই বিপর্যয়। সিনেমা দেখে আবার ইন্দ্রণীলের লেখা পড়েছি, আমার বারবার মনে হয়েছে, ইন্দ্রণীল শুধু মাত্র চরিত্রদের নাম্‌টুকু তার লেখায় নিয়েছেন সিনেমা থেকে বাদবাকী যা তা ইন্দ্রনীলের(ঠি যেরকম রবীন্দ্রনাথের নষ্টনীড়, সত্যজিৎ-এর চারুলতা)। ইন্দ্রনীলের লেখা পড়ে পরবর্তীকালে সিনেমাটি দেখতে বসে বারবার খুঁজতে চেয়েছি কেন রাধিকার এই পরিবর্তন। মৃত্যু।
    শঙ্খ ঘোষের বিখ্যাত লাইন
    ছিল, নেই- মাত্র এই ;( একটা ",' পাশে থাকা আর না-থাকা, জীবিত অথবা মৃত, সৃষ্টি আর ধ্বংস কে এনে ফেলা) আর তারপর "মাত্র এই'। মাত্র এই! বিস্ময়কে মনে নিয়ে খুঁজে ফেরা।
    কেন, বুঁকের পাজরে
    'আগুন জ্বালায় রাত্রে দারুণ জ্বালায়
    আর সব ধন ধ্যান নষ্ট হয়ে যায়?' ( না কবিতায় "?' চিহ্ন ছিলনা ছিল "।') কবি নিশ্চিত ছিলেন, কিন্তু সব চরিত্র কাল্পনিক সিনেমার এক দর্শক হিসাবে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। তাই খুঁজি। দু একটা ছোট-খাটো সংলাপ, দু একবার- বাবার খোঁজ নিও বলা(চূড়ান্ত অবহেলার সঙ্গে বলা) দেখে মনে হয়নি রাধিকাকে স্পর্শ করে আছে সে, যাতে কোনদিন রাধিকা বলতে পারে
    এতো স্পর্শ আদৌ কি কোনদিন করেছিলে?
    স্বার্থপর, উশৃঙ্খল বাজারি "কবি বর্ম' তো রাধিকাকে টানেনি, কেন টানেনি, কারণ কোনদিনইঅ রাধিকা কবিতার মুগ্‌ধ পাঠক ছিলনা। শুধু কবিতার জন্য "তোমার' সবকিছু দোষ ছেড়ে দিতে পারি এই রোমান্টিক আবেশে আচ্ছন্ন ছিল না সে। হোঁচটা খাই।ভাবি হ্যাঁ হতে পারে, মৃত্যু সব না পারলেও অনেককিছু ভুলিয়ে দেয়, ভাসিয়ে নিয়ে যায়, কিন্তু যেসব সীদ্ধান্ত সে নেয় তা হয়ত ক্ষনিকের কিন্তু ক্ষনিকের সীদ্ধান্ত নেওয়ার চরিত্রে যে টানাপোড়েন, অস্থিরতা চোখে পড়া উচিত মনে হয়েছিল আমার, তা চোখে পড়েনি। মনে হয়েছে সে অনেক ভেবেচিন্তে সীদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাহলে কেন নিল? কি নিয়েছে তা দেখেছি, কেন নিল তা বুঝিনি। বুঝিনা এই সীদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে কতটা সময় বয়ে গেছে...
    সিনেমার নিজস্ব ভাষা থাকতে হয়। তার কবিতা হয়ে ওঠার দরকার নেই। সিনেমায় রাধিকার ইংরাজী বলা, সারাক্ষণ শাড়ি পরে থাকা বেশ চোখে লাগে। মেলাতে অসুবিধা হয়।
    ইন্দ্রণীলের রাধিকাকে ভাবঘরে রোজ বানাই, ঋতুপর্ণের রাধিকার জন্য ভাবনা ঘরে কোন জায়গা রাখতে পারিনা।

  • Nina | 76.124.208.64 | ১০ মে ২০১০ ০০:২৫422694
  • ইন্দ্রাণী
    'আকাশ জোড়া লেখা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে---সবাই কি লিখতে পারে" !
    তোমার লেখার আমি সবসময়ই ভক্ত--খুঁজে খুঁজে পড়ি।
    সব চরিত্র কাল্পনিক বেশ কয়েকবার দেখব, মন দিয়ে--তোমাদের লেখাগুলির সঙ্গে মেলাতে খুব ইচ্ছে করছে--আপাতত মনে হচ্ছে লেখাগুলি সিনেমার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর!:-))

  • indrani | 137.157.8.253 | ১৩ মে ২০১০ ০৮:৫৩422696
  • নীনা,
    আপনার দেখার সঙ্গে মেলাতে যাবেন না এ লেখা বা এ লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতেও বসবেন না সিনেমা।
    এ লেখা কোনো রিভিউ নয়। দেখলাম, যা মনে হোলো তাই লিখলাম। আরো লিখলাম এ কারণে যে যা কিছু পড়েছিলাম, দেখার আগে, একটি লেখার সঙ্গেও আমার দেখা মেলে নি। বা আমার দর্শন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে একটি লেখাও।
    লিখুন আপনি-যা মনে হয়েছে আপনার। সাহিত্য বা ডকুমেন্টেশনই নিছক। অন্য কারো দেখা/চিন্তার সঙ্গে মিলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। লিখুন। সম্পাদক দাড়ি চুমরে বলবেন, তো... একেই আমরা বলব নিজস্ব কন্ঠস্বর!:)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন