এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দীপালোকে ব্যাঙ্কুয়ারী

    tkn
    অন্যান্য | ১৯ নভেম্বর ২০০৯ | ৪০৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SS | 128.248.169.37 | ২২ নভেম্বর ২০০৯ ২১:২৩429622
  • ও তেকোনা, এবার তো লিখুন! সেই কবে থেকে বসে আছি পরের কিস্তির আশায়।

    আর গল্পের নায়কও তেমনি, সব জায়গায় উনি বক্তব্য রাখছেন শুধু চন্দ্রলেখার গল্প ছাড়া!

    যাক এখন বুঝলাম, লজ্জায়।
  • aranya | 173.54.108.10 | ২৩ নভেম্বর ২০০৯ ০০:৪৭429623
  • ডিডি-দার কথা - বিশ্বাস করতেই হবে। দীপু যখন কিছু মনে করে নি, তেকোনাকে অনুরোধ করব ঐ নতুন হীরো-টাকে সরিয়ে চন্দ্রলেখাকে আবার দীপুর কাছেই ফিরিয়ে আনতে।
  • arindam | 202.56.207.56 | ২৩ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:০৭429624
  • তেকেনা
    খুব ভালো। চালিয়ে যান
  • tkn | 122.162.42.205 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৯429625
  • এরকম গোছানো রকমের অগোছালো ঘর দেখেনি কখোনো চন্দ্রা। অবশ্য ঘরদোর তেমন দেখেছেই বা কই। স্কুলবাড়ির সারি সারি বেঞ্চ, টেবিল চেয়ার। একটা বিরাট ঘরে অনেক অনেক বই আলমারী বন্ধ করে রাখা, আর অন্যদিকে কি যেন একটা ইয়াব্বড় ঘর ছিল যেদিকে যাওয়া মানা ছিল ওদের। ও ঘরে নাকি যখন তখন ওদের আত্মীয়দের চিৎ শোয়ানো পিন গাঁথানো অবস্থায় দেখা যায়। পাশের ঝোপের মেজকাকী একবার দেখেছিল পর পর লোহার কানা উঁচু বিছানায় জলের মধ্যে সারি সারি কাদের সব শোয়ানো আছে আর একপাল মেয়ে তাদের ওপর ঝুঁকে পরে কি সব করছে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে। তো সেই দেখে কাকী একটা গোটা দিন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। এখোনো খুব বৃষ্টি শেষে নরম কাদার মধ্যে বসে সে গল্প বলতে বলতে কাকীর ঘাড়ের কাছটা দপদপিয়ে ওঠে। তারপর থেকেই ওদিকে যাওয়া এক্কেবারে বারণ। আর এদিকে ছিল দারোয়ানের ঘর। তার বৌ ভারি পরিপাটি করে বিছানা গুছিয়ে তার এক কোনে ওদের খুকুর জামাকাপড়ও সাজিয়ে রাখত। মেঝেতে এক দিকে একটা গোঁ গোঁ আওয়াজ করা আগুনমেশিন ছিল। তাতে রান্নাবান্না হত। আর তার পাশেই ঝকঝকে থালা, ঘটি, গেলাস উপুড় করে রাখা থাকত। দেওয়ালে আয়না ছিল, আর ছবি ছিল অনেক। বৌটা রোজ চান করে সেই ছবিগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেক্ষন ধরে পেন্নাম করত। ওরম করে পেন্নাম করার ভঙ্গী ব্যাঙগমবাবার বইতেও দেখেছে তবে করার মত কাউকে পায়নি এখোনো চন্দ্রা। তবে এখন, এই ঘরের দিকে তাকিয়ে এই ছেলেটাকেই পেন্নাম করতে ইচ্ছে হল। কি অবস্থা করে রেখেছে ঘরের!! চতুর্দিকে এলোমেলো কাগজ, জামা কাপড়, মোজা, পেন, খাতা, খাবারের প্লেট, জলের বোতল.. ফিক করে হেসে ফেলল চন্দ্রা। এই যদি ওদের কেয়াঝোপের বৈঠকখানা হত! মা যা দিত না! সারাদিনের ঘ্যাং ঘ্যাং বকুনিতে আকাশে মেঘ জমে যেত
    এই যে, তুই এখানে বোস, আসছি.. টেবিলের একগাদা বই কাগজের মাঝেই ওকে বসিয়ে দিয়ে ভেতরে চলে গেল ছেলেটা।
    ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছিল চন্দ্রা। এই এক জ্বালা। ভগবানের মেকানিজমের কোনো মাথামুন্ডু নেই। এমন একটা স্ট্রাকচার বানিয়েছে যে গলাটা ঘুরিয়ে যে একটু ভালো করে দেখবে তার উপায় নেই। লাফ দিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে সব। কিন্তু এই ছেলেটা হঠাৎ ওকে বাড়ির মধ্যে এনে বসালো কেন! আর কেমন কথা বলছে ওর সঙ্গে! বন্ধুবান্ধব নেই নাকি এর? নাকি এও ওর মতই.... ছ্যাঁৎ করে উঠল ভেতরটা। এ কোনো ব্যাং কুমার? মানুষদের মধ্যে তো আজকাল রাজকুমারটুমার নেই, থাকলেও তারা রাজার ছেলে নয় মোটেই। সিনেমা লাইনের লোক। ভেকভন্ডুলে খবর বেরিয়েছিল মানুষেরা এখন আর শুধু রাজকুমার হয় না। সঙ্গে হিরাণী বা সন্তোষী এরম কিছু থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই ছেলেটাও কি ওর মতই? ঘরটার একদিকে ইয়াব্বড় বইয়ের তাক। চন্দ্রা চোখ ঠিকরে দেখতে লাগল কোথাও কোনো কামদেবব্যাংগমবাবার ছবি বা বই আছে নাকি।
    এই যে.... বা: বেশ লক্ষ্মী তো তুই! লাফিয়ে পালাস নি!
    কি বোকা বোকা কথা! জানলা আটকানো, দরজা আটকানো, পালাবো কোথায়! - উ: কি যে ইচ্ছে করছে কথা বলতে!! চোখ বন্ধ করে ফেলল চন্দ্রা। মনে মনে সংযমান্ডুক চিত্তশোধনী মন্ত্র জপ করা দরকার একটু। মনকে এক বিন্দুতে এনে সামনের পা দুটো দুপাশে একটু ছেতরে নি:শ্বাস নিতে নিতে পেটের প্রসারণ এবং ছাড়তে ছাড়তে পেট সংকোচন পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গে নামজপ সাড়ে সাতবার করতে পারলেই সমস্ত মানসিক উসখুসুনি শান্ত হয়। তবে এই সময় গলার মধ্যে থেকে একটা গুম্‌ম্‌ম্‌ম শব্দ উঠে আসার কথা, সেটা শুনে আবার ইনি না ভড়কে যান। যতটা সম্ভব নি:শব্দে নামজপ শুরু করল চন্দ্রা। কিন্তু কিছুতেই মনকে বাঁধা যাচ্ছে না। বারবার ইচ্ছে করছে চোখ পিটপিটিয়ে দেখতে। একটু ভয়ভয়ও যে করছে না তা নয়। একলা বাড়িতে একটা ছেলের সঙ্গে.... না হয় হলই বা ব্যাঙকুমারী, মেয়ে তো বটে! কোনোরকমে তাও মনটাকে বিন্দুবাঁধনে এনে ফেলছিল চন্দ্রা, এমন সময় টেবিলটাকে কাঁপিয়ে এমন উদ্ভুতুড়ে একটা আওয়াজ হল পাশেই যে চন্দ্রা চমকে এক লাফে হাত পা ছিরকুটে সোজা সোফার নিচে......

  • kd | 59.93.241.209 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১১:০৪429626
  • এই দ্যাকো!

    ক্লিফহ্যাঙ্গার!

    নেক্সট্‌, নেক্সট্‌!
  • arindam | 202.56.207.56 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১১:১৫429627
  • ব্যাপক এগোচ্ছে তেকোনা
    ফাঁকা ঘরেরে - ট্যাবুটা দারুণ লাগল।
  • r | 125.18.104.1 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৫429628
  • lcm | 69.236.190.107 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৯429629
  • পিক্সার-এর হাতে এ গল্প পরলে একটা অ্যানিমেশন ফিল্ম নামিয়ে দেবে। অবশ্য, ব্যঙ্কুয়ারীর গলা বাংলায় ডাবিং করানোর দায়িত্ব ঋতুপন্নো কে দেবে।
  • . | 198.96.180.245 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৫:৩৬429630
  • এ চন্দ্রা, উপর যা না রে চন্দ্রা। (রাজেশ খান্না ইশ্‌টাইল)
  • d | 117.195.35.252 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ২০:২০429632
  • তেকোনার এই ক্লিফ হ্যাঙ্গারগুলো পড়লেই না একেবারে @!#@!@#@@$#!@$%$!%$Q^#
  • d | 117.195.35.252 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ২০:২১429633
  • আরে দূর! গুচর কেউ না।
  • kc | 89.203.49.18 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৩৫429634
  • দমুদি 'অ্যাল'টা বললনাতো? :)
  • d | 117.195.35.252 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৫৫429635
  • :(
    :)
  • . | 159.53.78.142 | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১৩429636
  • রিব-বিড
  • ranjan roy | 115.184.40.180 | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১৬429637
  • তেকোনা,
    আর না, আর না,ক্লিফ হ্যাংগারে এতক্ষণ!
    এতগুলো গুরু ও চন্ডালের কি হাল হবে?
    সিনিয়র চন্ডাল হিসেবে আই কম্যান্ড দী! শুরু করো, শ্বাস নাও, জয় মাতা দী! বলে---।
  • a | 59.161.82.5 | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৪429638
  • এইটাকেও উপরে তুল্লাম, এটার কিছু গতি করা হোক।
  • tkn | 122.161.164.139 | ২৬ নভেম্বর ২০০৯ ১৬:৩৬429639
  • শমীক, ঘুম ভেঙেছে 6.20-তে

    আকা, কলকাতায় দুটো ঋতু, একের সঙ্গে পর্ণ আর একের সঙ্গে পর্ণা। একজন নারী আর একজন ন্যাড়া

    র কি আকাশ থেকে বাতাস নামাচ্ছেন টেনে? ক্যামনে?
    (৭৮৭৩ অবদি পড়ে এই তিন লাইন বলতে ইচ্ছে করল)
  • rokeyaa | 203.110.243.22 | ২৬ নভেম্বর ২০০৯ ১৬:৪১429640
  • অ্যাল! :)
  • tkn | 122.161.164.139 | ২৬ নভেম্বর ২০০৯ ২১:১৩429641
  • "হ্যালো... বলছি... হ্যাঁ হ্যাঁ, বলুন.. না এখোনো হয় নি, তবে কাল বিকেলের মধ্যে হয়ে যাবে.. আসলে স্কেচটা তৈরী হয়ে গেছে.. ন না, তা কেন..." ইত্যাদি শেষ হওয়ার পরেও কাঁপুনি থামেনি চন্দ্রার। কি বিদঘুটে ফোন রে বাবা! কেঁপে কেঁপে বেজে ওঠে!! নেহাত চন্দ্রার ভয়ডর এদ্দিনে অনেক কমে গেছে নইলে এতক্ষনে...
    "অ্যাই। সেই রাজীব সোম আবার ফোন করেছিল। তাড়া দিচ্ছে, কালকের মধ্যে কাজটা নামাতেই হবে। তুই বেশি দেরি করিস না আজ" শুনতে শুনতে চন্দ্রা সোফার নিচ থেকে উঁকি মারল। আবার কারুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছে ছেলেটা। জুতোটুতো খুলে ফেলেছে। "তুই চলে আয়, আমি রেডি হয়ে নিই ততক্ষন। আসার সময় কিছু একটু তুলে আনিস, আর যদি পারিস তোদের মোড়ের মাথার পেট শপটা খোলা আছে নাকি দেখে নিস তো... দেখিস না আছে কিনা... এলে একটা জিনিস দেখাবো.." বলতে বলতে ভেতরে চলে গেল পা দুটো।
    জিনিস?!? আস্ত জলজ্যান্ত একটা গোটাসোটা মোটাসোটা চন্দ্রলেখা জিনিস হল!!
    যাগ্গে যা বলছে বলুক। ওতো আর এখানে থাকতে যাচ্ছে না, দরজা খোলা পেলেই বেরিয়ে যাবে ঠিক। ততক্ষন বরং এই জায়গাটাই ঘুরে ফিরে দেখে নিলে হয় একটু। এতো কষ্ট করে এত দূর আসা। যদিও এসে টের পাচ্ছে এসব না করলেও চলত। যার জন্য এতো সাধনা তার ব্যাবহার দেখেই মনখারাপ হয়ে গেছে। অবশ্য মা বলে কোনো সাধনাই বৃথা যায় না। টিঙ্কুমণি, যে নাকি ওদের মধ্যে সবচেয়ে মোটাসোটা গাবলুস ছিল, শুধু ট্যাপড্যান্স করে করেই কি সুন্দর ছিমছাম হয়েছে এখন। ভাইবোনেদের মধ্যে চন্দ্রা আর টিঙ্কুই সবচেয়ে সুন্দর। নাচ ছাড়া আর কিছুতেই তেমন আগ্রহ নেই টিঙ্কুর। নইলে ওও কি চন্দ্রা মতই.....
    মনটা খারাপ হয়ে গেল। অনেক দুর চলে এসেছে সবাইকে ছেড়ে। "নামজপে আর মন্ত্রসাধনায় তুমি অনেক কিছু করতে পারো, জন্মান্তর অবধি পৌঁছতে পারো, কিন্তু পিছন ফিরে আসা চলবে না, তাহলে দ্বিতীয়বার আর সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয়" ব্যাঙ্গমবাবার অমোঘ প্রি-মেডিটেশন বাণী মনে পড়ে।
    "এই যে, এখানে আপনি" নিচু হয়ে আসা হাতটা দেখেই স্থির হয়ে গেল চন্দ্রা। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন অভ্যেসের লাফহাঁটনে সোফার নিচ ছেড়ে এগিয়ে এসেছে খেয়ালই করে নি। "চলুন, আপনার একটা থাকার জায়গা করার আগে অবধি আমার ঘরেই থাকবেন" - উ:, এ তো আচ্ছা পাগল! এতো বকবক করতে পারে অকারণে!! হাতে চড়তে চড়তে ওপর দিকে তাকাল চন্দ্রা। বেশ লম্বা চওড়া চেহারার ওপর হাসি হাসি একটা মুখ। দেখলেই মনে হয় বক্তিয়ার টাইপ। - "এই যে, এখানে থাকুন আপনি আপাতত, পরে ব্যবস্থা হবে ভালো একটা" বলতে বলতে বালি ছড়ানো একটা কাঁচের বাক্সের মধ্যে নামিয়ে দিল ছেলেটা। বা:, এটা তো বেশ সুন্দর জায়গা। অনেকটা বালির ওপর দু আঙুল মত জল রয়েছে। আস্তে নামিয়ে দিল চন্দ্রাকে "এখানে থাক। তুই বিস্কুট খাস?"
    "না খাইনা" বলে ফেলেই থমকে গেল। উ: কি বাঁচান বেঁচেছে!! কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আবার জগঝম্প ফোনের বাজনা। শুনতে পায়নি ভাগ্যিস! কাঁচের দেওয়াল ঘেরা বালির মেঝের ওপর বসে চারদিক দেখতে লাগল চন্দ্রা। ছোট্টো ঘর, একদিকের দেওয়ালে বিরাট বড়ো চৌকো সবুজ কাগজ লাগানো। হঠাৎ দেখলে মাঠ বলে মনে হয়। ডানদিকে একটা জানলা অল্প ফাঁক করা। সরু একটা দাগ বেয়ে আলো ঢুকছে ঘরে। অনেক বড় বড় সাদা কাগজ গোল পাকিয়ে রাখা আছে বিছানার ওপর। দারোয়ানের বউয়ের মত বৌ নেই মনে হয় এর, তাই বিছানাটা কুঁচকে মুচকে একশা হয়ে আছে।
    ঝপাং করে গায়ে এক ঝলক জল পড়তেই স্বাভাবিক রিফ্লেক্সে লাফ দিল চন্দ্রা। আরে! ওর গায়ের ওপর দিয়ে জল ভরছে যে! মজা লাগল খুব। ভালোই হল, চানও হয়ে গেল একটু। এবার কোণে ঠেকনা দিয়ে বসে পূব দিকে মুখ করে নামজপ শুরু করতে পারবে অনায়াসে
    'আদিত্য? কিরে? এখোনো রেডি হোসনি?' বলতে বলতে একটা প্যাংলা রোগা না খেতে পাওয়া ছেলে ঘরে ঢুকে এলো হুড়মুড়িয়ে। আদিত্য? বাহ বেশ নাম, চন্দ্রা মনে মনে অ্যাপ্রুভ করে।
    'আরে! এসে গেছিস? বোস বাইরে, আসছি রেডি হয়ে'
    'বসছি। পেট শপের কথা জিজ্ঞেস করলি কেন?
    আরে: এটা কি রে?'
    'কি আবার? ব্যাঙ চিনিস না নাকি?'
    গর্বে বুক ভরে ওঠে শুনেই। ব্যাঙ। কেমন সমস্কৃত শব্দ মনে হয়, শুনলেই বোঝা যায় আর্যবংশজাত। কত তো আছে গরু, ঘোরা, ইঁদুর, বেড়াল, মোষ, টিকটিকি, কই কারুর নাম শুনে এমন লাগে? মনটা কেমন করে ওঠে একটু। আর কদিন পরেই ও মন্ডুকানুষ হবে। তখন আর কেউ ওকে ব্যাঙ বলবে না
    "ব্যাঙ ধরে এনে রেখেছিস কেন ঘরের মধ্যে? তুই মাইরি পারিস " বলতে বলতে ল্যাগব্যাগাব্যাগ ছেলেটা এগিয়ে এলো চন্দ্রার দিকে
    "আরে দ্যাখ ভালো করে। কি গর্জাস দেখতে দেখেছিস? কালারটা ভালো করে দেখ। এরকম ভেজা ব্রাইট কালার..."
    লজ্জায় কচিকলাপাতা সবুজ হয়ে যায় চন্দ্রার টসটসে থ্যাবড়া গাল
    "এটা পুষবি নাকি? ঘরের মধ্যে!!"
    "হুঁ, দাঁড়া, আমি রেডি হয়ে নিই চট করে' বলতে বলতে টিশার্টটা খুলে ফ্যালে আদিত্য আর একলাফে পিছন ঘুরে বসে চন্দ্রা। বছরখানেক আগেও এসব বালাই ছিল না। জামাকাপড় পরা না পরা কিছুতেই কিছু এসে যেত না, কিন্তু এখন জামা না পরা ছেলেটার দিকে তাকাতে কেমন অস্বস্তি লাগছে.. আর বেশি দেরী নেই, বেশ টের পায় চন্দ্রা। আর কিছুদিন পরেই চন্দ্রলেখা নামের কেয়াঝোপের ব্যাঙ্কুমারী মন্ডুকানুষী হয়ে যাবে, এ তারই পূর্বাভাস
  • tkn | 122.161.164.139 | ২৬ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩০429643
  • ঘোড়া***
  • pharida | 122.163.95.161 | ২৬ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৯429644
  • আহা, যদি bang না দিলে প্রাণে.....

    ব্যাঙ আর প্রেম সব মিলে গেল গো.....
  • aranya | 173.54.108.10 | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:০১429645
  • মন্ডুকানুষী মানে চন্দ্রলেখা এবার মানুষ হবে, বা:, সাগ্রহে প্রতীক্ষা করছি।
  • Sayantan | 159.53.78.142 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ০১:২১429646
  • এটা আজ আপডেট হয়নি কেন??
  • aishik | 122.166.17.203 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:২০429647
  • তেকোনা দি যাআআআআআআ তাআআআআআআআআআ টাইপের ভালো লিখছ, কিন্তু আরো চাই।
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২৯429648
  • লিখব, কাল, ঠিক... :-)
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:২৩429649
  • দিন সাত আষ্টেক হল চন্দ্রার এ বাড়িতে। এদ্দিনে আদিত্যর রুটিন মোটামুটি বুঝে গেছে। সকালে উঠে দৌড়োতে যাওয়া, ফেরা, ফোনে কথা বলা, জল খাওয়া, কফি বসানো, বাথরুমে যাওয়া, ফোনে কথা বলা, কফি খাওয়া, কাজের মাসীকে দরজা খুলে দেওয়া, ফোনে কথা বলা, ডিম আর পাঁউরুটি নিয়ে টেবিলে বসা, কাগজ খোলা, ঝুঁকে পড়ে এ পাতায় ও পাতায় দাগ দেওয়া, ফোনে কথা বলা, বাথরুমে ঢোকা, চান আর গান শেষ করে বেরোনো, ফোনে কথা বলা, বিছানার ওপর তোয়ালেটা ফেলে দিয়ে এদিক ওদিক থেকে টেনেটুনে জামাকাপড় বের করে পরা, মাঝে শোবার ঘরের জানলার পর্দাটা সরিয়ে দেওয়া, ফোনে কথা বলা, মাঝে চন্দ্রার কাঁচের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ানো, বিস্কুট, মুড়ি বা পাঁউরুটি দেওয়া, মাসীকে কাজের ইনস্ট্রাকশন দিতে দিতে চুল আঁচড়ানো, ফোনে কথা বলা, বেরিয়ে যাওয়া .... এর মধ্যে মাসীও গজগজ করতে করতে ঘর ঝাড়াপোঁছা করে। এদিক ওদিক ফেলে রাখা জিনিস সব তুলে তুলে রাখে, মাঝে মাঝে কোমরে হাত দিয়ে ঝুঁকে উ: বলে, তারপর আবার কি সব বকবক করতে করতে জামাকাপড় কাচতে ঢুকে যায় বাথরুমে, নয়ত বালিশ বিছানা ঝেড়ে দেয়। এক এক দিন কাজ করতে করতে বসে নেয় খানিক্ষন সোফার ওপর।
    চন্দ্রা দেখে আর হাসে। মানুষের রকম বড় মজার। এই যে সবাই এত কথা বলে একা একাই, ফোনে ফোনে, মনে মনে, অথচ কেউ খেয়াল করে না এর মধ্যে ঘরে কেমন এক খাবলা রোদ ঢুকে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে চুপিসারে এগোতে থাকে আর একসময় খাটের পিছনের পায়াতে পৌঁছে গিয়ে পা বেয়ে খাটে চড়ার চেষ্টা করে, জানলার বাইরে কয়েকটা চড়াইছানা পাঠশালা যাওয়ার আগে ডানাটানা ঝাপটে মাথা নেড়ে নেড়ে পড়া রিভাইস করে নেয়, বাড়ির বাইরের ঘাসজমিটার দিকে সূয্যিঠাকুর কটমটিয়ে তাকিয়ে ভারী রাগরাগ ভাব করে আর সেই রাগের আঁচে পিঠ সেঁকে নেয় যত রাজ্যের ফড়িং আর প্রজাপতির দল। ভালো করে আলো না মাখলে বোধহয় রং ধরে না ওদের পাখনাগুলোতে।
    বুড়ি মাসী চলে গেলে চন্দ্রা লাফিয়ে বেরিয়ে আসে কাঁচঘর থেকে। জানলায় বসে বসে এসব দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। এইরকম রোদে সেঁকা মুচমুচে ফড়িং দেখলে ওর বন্ধুবান্ধব এখুনি কুচমুচিয়ে সাবাড় করে দেবে। চন্দ্রার তো সে উপায় নেই আর। প্রথম প্রথম কষ্ট হত খুব, মুখে কিচ্ছু রুচত না। কিন্তু ঐ যে, নরম হাসির ঐ ছেলেটা, ওর টানেই তো এতো সব কৃচ্ছসাধন, এতো কঠিন ব্রতের মধ্যে পা দেওয়া।
    কম কষ্ট করতে হয়েছে শুরুর দিকে! টানা এগারোদিন গলা দিয়ে একটাও শব্দ বার করতে পারবে না, মায়ের পাশে ঘুমোতে হবে, বৃষ্টির জল ছাড়া নাইতে পারবে না, কাদামাটির মধ্যে টানা এগারো ঘন্টা করে ধ্যানায়াম, প্রাণায়ামের থেকেও অনেক কঠিন সে কাজ। এভাবে পুরো ছমাস কাটার পরে বাবা দীক্ষা দিলেন। তারপর তো আরো নিয়মের কড়াকড়ি। রাতে প্রদীপের আলোর মুখোমুখি বসে ঘুমোতে হবে যাতে প্রদীপের শিখার আঁচ ওর দুই চোখের মধ্যিখানে সোজাসুজি এসে লাগে। ওভাবে কি ঘুমোনো যায়! বার বার ঢুলে পড়ে যেত চন্দ্রা। নেহাত টিঙ্কুমণিও পাশে পাশেই থাকত সবসময় তাই.... তবে এতকিছুর পর যেদিন চন্দ্রা দেখল অমবস্যার রাতে মানপাতায় ধরে রাখা বৃষ্টির জলে চান করে প্রদীপের আলোর মুখোমুখি দাঁড়াতেই কেমন পায়ের আঙুলের জোড়গুলো আলগা হয়ে গেল আর কাঁপুনি দিতে দিতে শরীরটা বড় হতে হতে একসময় কেয়া ঝোপের বাইরে বেরিয়ে গেল, সেদিন খুব ভয় লেগেছিল মনে। এর আগে ব্যাঙগমবাবার কাছে শুনেছে অবশ্য যে এইভাবেই ধীরে ধীরে একদিন মানুষী হয়ে যেতে পারবে ও, কিন্তু সে যে আদৌ ওর জীবনে ঘটবে তা কি ভেবেছিল ও সত্যিই? টিঙ্কুমণি বলেছিল ঐ সময় নাকি ওকে অনেকটা ইস্কুলের ছোটো মেয়েগুলোর মত লাগছিল, আর ঐ রকম চেহারা নিয়ে ওরম উবু হয়ে বসে থাকা দেখে নাকি টিঙ্কুর খুব হাসি পাচ্ছিল।
    এসব তো পরের দিনের শোনা কথা। নিজেকে তখন কেমন দেখাচ্ছিল তা তো দেখা হয় নি। বাবার আদেশে আগের দিন রাতের বৃষ্টির জল ধরে রেখেছিল ইস্কুলের পেছনের দিকের বড়বড় মানপাতায়। রাত্তির তো এমনিতেই কালো কুচকুচে তখন, তায় আকাশে কি মেঘ কি মেঘ! মন্ত্র জপতে জপতে চন্দ্রা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল কচুপাতার নিচে। টিঙ্কু দু পা দিয়ে টান দিচ্ছিল পাতায় আর ডগা বেয়ে কাঁচকাঁচ দানাদানা ঠান্ডা জল নেমে আসছিল চন্দ্রার মাথায়, মুখে.... আহা, কি সব দিন ছিল তখন। আর কি কখোনো ওখানে ফিরে যাওয়া হবে? কে জানে.. হয়তো হবে না। হলেও তদ্দিনে চন্দ্রা মানুষী হয়ে যাবে। কেউ কি চিনবে তখন ওকে?? কে জানে! জানলায় বসে বসে পুরোনো দিনের কথা ভাবতে ভাবতে চন্দ্রার চোখে আর আকাশে একই সঙ্গে মেঘ করে এলো...

  • Sayantan | 76.160.41.66 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৬429650
  • এক্কেবারে জলজ্যান্ত লেখা হচ্ছে। ঠিক মনে হচ্ছে পাশে একটি নিটোল নধর সোনাব্যাঙ বসে আছে। ব্যাঙের এত মনের কথা আর কেই বা লিখতে পারবে! :-))
  • Binary | 70.64.19.80 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৩429651
  • বা:
  • aishik | 122.166.17.203 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৯429652
  • তেকোনা তাপ্পর..........
  • tkn | 122.163.79.91 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১২429654
  • বৃষ্টি এলো... খুব.. আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামা দেখতে দেখতে দরজার আওয়াজে চন্দ্রার চটক ভাঙল। আদিত্য ফিরেছে। একদম উমনোঝুমনো ভিজে একসা। জল সপসপিয়ে মেঝে ভিজিয়ে বাথরুমে গিয়ে ঢুকল দৌড়ে। ইস্‌স্‌স্‌স, এমন ভাবে ভেজে কেউ!! তুমি কি আমার মত যে ভিজলে কিচ্ছুটি হবে না! মনে মনে গজগজিয়ে উঠল চন্দ্রা। তারপরেই ফিক করে হেসে ফেলল একটু। চোখের কোনা দিয়ে দেখা যাচ্ছে বাথরুমের একদিন। জামা প্যান্ট ছেড়ে মাথা মুছতে মুছতে রান্নাঘরের দিকে এগোচ্ছিল আদিত্য। হঠাৎ জানলায় চন্দ্রাকে দেখে এগিয়ে এল "একি! তুই বাইরে এলি কি করে?"
    আহা, যেন কত্ত মায়া ওর ওপর। সারাদিনে একবার ঘুরেও কি দেখ তুমি আমায়! কিন্তু এসব বলার সময় নয় এখন। আর বলবেই বা কেন! এমন আদর করে কেউ ওর গায়ে হাত রেখেছে কখোনো!
    আজ তোকে খেতে দিয়েছিলাম? বলতে বলতে ওকে হাতের পাতায় তুলে নিল আদিত্য
    চন্দ্রা আলগোছে শব্দ করল একটা। ভাগ্যিস ভয়েস মড্যুলেশনের ক্লাস করেছে কদিন, নইলে এই সোহাগের উত্তরই কান ফাটানো রিব-বিড হয়ে বাজত ঘরের মধ্যে।
    বৃষ্টি দেখছিস বুঝি! চল তোকে বাইরে ছেড়ে দিই..
    চোখ তুলে তাকালো চন্দ্রা। বাইরের আকাশ ডাকে ওকে, ভেজা মাটি, কাদাজমা রাস্তায় গিয়ে উস্তুমকুস্তুম জল ছিটিয়ে লাফনঝাঁপন করতে ইচ্ছে করে।
    জানলার শার্সির বাইরে হাত মেলে ধরল আদিত্য "যা, ভেজ গিয়ে বিন্দাস"
    নড়লনা চন্দ্রা একচুলও। কেন যে ইচ্ছে করল না যেতে কে জানে। বরং মনে হল যদি জাদুকরী ব্যাঙকুমারী হত ও, তবে ঐ মেঘের একটুকরো ঘরে এনে একপশলা বৃষ্টি নামিয়ে দিত একবার
    কই! যা.. যা:
    তাড়িয়ে দিচ্ছ আমায়! চন্দ্রা আর একবার বাইরের দিকে তাকাল। কি দোলচাল! এত খারাপই বা লাগছে কেন কে জানে। আদিত্যকে পাত্তা না দিয়ে টুকলাফে ঘরে ঢুকে পড়ল চন্দ্রা

    ভোরের দিকে জ্বর এলো বোধহয়। হাত পা কাঁপিয়ে ধুম জ্বর এনে বিছানা থেকে কোনোরকমে উঠে ড্রয়ার হাতড়াচ্ছিল আদিত্য। মাটির ওপর দিয়ে কিছু সরে গেলে টের পায় চন্দ্রা আর এতো একটা শক্ত সমর্থ মানুষ। জল নেওয়া, ওষুধ খাওয়া, সব দেখতে দেখতে টের পাচ্ছিল চন্দ্রা বুকের মধ্যে আর কেউ আছে। আর কেউ, কোনো মানুষী, যার ইচ্ছে করছে আদিত্যর কাছে যেতে, ওর শরীরের তাপ নিজের গায়ে টের পেতে.... আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ল আদিত্য, বাইরে গুড়গুড়িয়ে মেঘ ডাকছে তখনও.. মনে মনে ব্যাংগমবাবাকে ডাকতে শুরু করল চন্দ্রলেখা.. আর কতদিন! আর কি কি করতে হবে জেনে ফেলতে হবে আজই.. মন আর শরীর, ছেলেবেলা আর আগামীর টানাপোড়েনের মধ্যে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে বোধহয়...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন