এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দীপালোকে ব্যাঙ্কুয়ারী

    tkn
    অন্যান্য | ১৯ নভেম্বর ২০০৯ | ৪০৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 65.124.26.7 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২০429655
  • উ: অপূর্ব্ব - মাঝখানে গলা বের করে ম্যাজিক ভাঙতে চাই না - কিন্তু চুপও থাকা গেল না।
  • fan | 68.45.145.174 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:১২429656
  • উফ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ এই অপেক্ষাটা বড় কঠিন ----এবার কি হচ্ছে বল ল্‌ল্‌ল্‌ল

  • Nina | 68.45.145.174 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:০৫429657
  • তেকোনা
    এ শুধু তুই ই লিখতে পারিস--সত্যি ব্যাঙ এর এহেন রূপ বর্ণনা আর কারুর মাথায় আসবে না। দারুণ হচ্ছে একটু হাত চালা মা------
  • Samik | 122.162.75.204 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:২৪429659
  • দুটি আওয়াজ দেবো।

    ১) পাগ্‌লা ক্ষীর খা! গুড় দিয়ে রুটি, আর চিনি দিয়ে চা ...

    ২) একঘর উইথ অ্যাটাচ্‌ড বাথ, অ্যান্ড জোড়া ব্যালকনি।

    (ডুব মাল্লুম)
  • Binary | 70.64.19.80 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:২৪429658
  • শরীর শরীর .... তোমার মন নাই চন্দ্রা ? :))
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:০৫429660
  • জ্বর নামল কি? আবার তো ওষুধ খেল... জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু এখন এই জ্বোরো গায়ে বেচারা সামলাতে পারবে না মনে হয় চমকটমক। সারা সকাল বিছানায় শুয়ে থেকেছে। ফোন ধরেনি একবারও। মাসী এসে খিচুড়ি টাইপের কিছু একটা বানিয়ে দিয়ে গেছিল, সেটা কয়েক চামচ খেয়ে খাটের নিচে রেখে দিয়েছে। মন খারাপ লাগছে চন্দ্রার। বাইরে কালো কালো অন্ধকার দিন, ঘরে খাটে শুয়ে চুপচাপ আদিত্য, আধখাওয়া খিচুড়ির প্লেট, ছেড়ে রাখা জামা, খালি জলের গ্লাস.. সবকিছু মিলিয়ে খুব বিচ্ছিরি মনখারাপি বেলা যাচ্ছে। মাসী যাওয়ার পরে দরজাটাও লাগানো হয় নি। একটু ফাঁক হয়ে আছে দরজাটা। সেই যে এ বাড়িতে ঢুকেছিল তারপর আর একদিনও বাইরে বেরোয় নি চন্দ্রা। আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল দরজার দিকে.. ফাঁকটুকুতে চোখ রাখল... সামনের দরজাটা বন্ধ। ঐ দরজার ওপাশে একজন থাকে যার কথা ভেবে মানুষী হতে চেয়েছিল ব্যাংকুমারী। তার কথা ভেবেই ভেকভন্ডুলের পাতায় বিজ্ঞাপন দেখে বাবার আশ্রম, তারপরও কত পথ... কিন্তু এখন, যখন মনে প্রায় পুরোপুরি আর শরীরে খানিক মানুষী হয়ে উঠছে তখন ওর কথা খুব একটা মনে পড়ে না কেন কে জানে। এখন কি বাড়ির মধ্যে আছে? থাকলেই বা কি? আদিত্যর মত আদর করে তুলে ওকে ঘরে নিয়ে গিয়ে থোড়িই না রাখবে সে? কিন্তু ও কি আদিত্যর বন্ধু নয়? না বোধহয়।
    মেঝেতে পায়ের আওয়াজ হল কি? লাফিয়ে ভেতরে ঢুকে এল চন্দ্রা। হ্যাঁ, আদিত্য উঠেছে। বাথরুমে যাচ্ছে। শুকনো দেখাচ্ছে ওকে খুব। এরকম এলোমেলো রুখু মত, মুখে হাসি নেই, কানে ফোন নেই, ঠোঁটে কথা নেই আদিত্য একটুও ভালো লাগে না দেখতে। এদিকে বাইরের দরজাটাও খোলা। পারলে নিজেই বন্ধ করে দিত, কিন্তু সে উপায় তো নেই!
    "বাইরের দরজা খোলা আছে" বলেই আঁৎকে উঠে ডান পা দিয়ে মুখে চাপা দিতে গেল চন্দ্রা কিন্তু তার আগেই ঘুরে তাকিয়েছে আদিত্য। ভুরু কুঁচকে এদিক ওদিক দেখছে। একটু এগিয়ে এলো বসার জায়গাটাতে উঁকি দিতে তারপর ভ্যাবলাকান্ত মুখ করে পায়ে পায়ে এগিয়ে দরজাটা বন্ধ করল আগে।
    চন্দ্রা একদম সিঁটিয়ে গিয়ে বইখাতার ঢিপির আড়ালে লুকিয়েছে। কি মারাত্মক কান্ড! একেবারেই অন্যমনষ্ক ভাবে কথাটা বলে ফেলেছে। আদিত্য একটা "এসব কি হচ্ছে" এক্সপ্রেশন মুখে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেল। হাসি পাচ্ছে এবার একটু একটু। বোঝে নি ও কথাটা কোথা থেকে এসেছে। বেশ মজা তো! আর এটাও বোঝা গেল যে ওর কথা তারমানে এখন মানুষ সত্যি সত্যি বোঝে!
    খুশিতে তিনলাফ দিয়ে জানলার কাছে চলে গেল চন্দ্রা। আহা! কি মেঘ! কেমন বৃষ্টি হচ্ছে টুপুস টাপুস... আর এদিকে আজ প্রথম ওর কথা একটা জ্বলজ্যান্ত মানুষ শুনতে পেয়েছে
    "ওহো, তোকে তো আজ খেতেও দিই নি" মুখে চোখে জলের ছিটে মাখে খাটের দিকে যেতে যেতে ওর দিকে তাকাল আদিত্য... খিদে পেয়েছে না? তুই পোকাটোকা খাস না? পিঁপড়ে টিপড়ে? নিজে ধরেও তো...
    আহারে! নিজেকে কে দেখে তার ঠিক নেই! চন্দ্রার খাওয়া নিয়ে ভাবতে বসেছে...
    "আমারও, একটু চা খেতে পারলে মাথাটা ছাড়ত বুঝলি! বড্ড যন্তন্না করছে"
    "মাসীকে বললে না কেন করে দিতে একটু?" বলেই থমকে গেল চন্দ্রা .... সব্বনাশ!! আবার! এসব কি হচ্ছে! ও না চাইতেই মুখথেকে এরকম খইয়ের মত কথা ফুটছে কেন??
    আদিত্যও চমকে পিছন ফিরে তাকাল। এগিয়ে গিয়ে বসার জায়গাটার সামনে দাঁড়াল একটু, রান্নাঘরেও গেল, তারপর জানলার দিয়ে এগিয়ে এসে বাইরে উঁকি দিল
    কি বোকা রে! বৃষ্টি মাথায় করে কে ওর সঙ্গে কথা বলার জন্য দোতলার কার্ণিশে উঠে বসে থাকবে!! - ভাগ্যিস ব্যাঙেদের হাসিটাসি বোঝা যায় না তেমন। সব এক্সপ্রেশনই একটা মুখ ভ্যাটকানো মত হয়ে যায়,নইলে ওর ভেতর থেকে কুলকুলিয়ে হাসি উঠছে তা টের পেলেই হয়েছিল এখুনি
    "কি হল বলত! জ্বরটা খুব বেড়েছে মনে হয় বুঝলি! আয়্যাম হিয়ারিং ভয়েসেস.. " বলতে বলতে হাতের পাতাটা বাড়িয়ে দিল আদিত্য "চল, তোকে কিছু খেতে দিই, নিজেও একটু চা বানাই"
    আহ, খুব ভাল্লাগে যখন ও এমনি করে হাতটা পাতে... টুক্কুস করে ছোট্টো লাফ দিয়ে উঠে পড়ল চন্দ্রা।
    "তুই শুনতে পেলি কিছু? কি ভুতুড়ে ব্যাপার বলত! এতো জ্বর এসে গেল যে ভুলভাল কথা শুনছি...দেখি স্যারিডনফন আছে কিনা বাড়িতে, চায়ের সঙ্গে খেয়ে নেব বুঝলি"
    "ওসব তো কাল থেকে চলছে, তুমি ডাক্তার দেখাও আজই" - হে ভগবান্‌ন্‌ন, কম্ম সেরেছে। নিজেই ঘাবড়ে গেছে চন্দ্রা। এসব কে বলাচ্ছে ওকে দিয়ে!!! ভয়ে চোখ বুঁজতে বুঁজতেই টের পেল চন্দ্রা পড়ে যাচ্ছে আদিত্য.. খাটের ওপর... আছড়ে পড়তে পড়তেও কি যেন বলছে.... কিচ্ছু বোঝা গেল না..........

  • pharida | 122.163.99.254 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:১৮429661
  • তারপর....., প্লিজ থেমো না।
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:২৭429662
  • শমীক সেদিন যখন ঢেউ বিলোবে বলে ডাকছিল আমি বল্লুম অমি চাই, দিল না :( কি বন্দুক!!
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:১৭429663
  • উফ্‌হ! তেকোনা--এইরকম যায়গায় থেমে গেলি--ব্যাঙের মতন মুখ ভ্যাটকানো হাসি হাসছিস বুঝি---কেমন মজা পড়ছ যারা গালে হাত দিয়ে বসে থাক---কতক্ষন??
  • Binary | 70.64.19.80 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৩৫429665
  • তেকোনা, সব গল্পের সব নায়িকা, ব্যাঙ বা মানুষী, সব সময় মনে হয় যেন তেকোনা নিজেই নিজের কথা বলছে।
  • san | 123.201.53.2 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৪১429666
  • মানে মনে হচ্ছে তেকোনাদি আগে সোনাব্যাং ছিল? :-)
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৫429667
  • ....... আর ঠিক তখনই আকাশের কোণ বরাবর ঝকমকে রূপোলী ফাটল জেগে উঠে বিকট শব্দে কাঁপিয়ে দিল চারদিক। উ: কি আলো! কি ভয়ানক আওয়াজ! আর কি আশ্চর্য্য! চন্দ্রার সারা শরীর জুড়ে কি ভীষণ যন্ত্রণা!! যেন ভেতর থেকে কিছু একটা বেরিয়ে আসতে চাইছে, যেন প্রবল কোনো শক্তি ভীষণ জোরে ধাক্কা দিচ্ছে চামড়ার আস্তরণ ছিঁড়ে ফেলতে। কাঁপতে কাঁপতে মেঝের ওপর স্থির হয়ে গেল চন্দ্রা।
    যখন চোখ খুলল তখন চারিদিক ঘুরঘুট্টি অন্ধকার, বাইরে একটানা বৃষ্টির আওয়াজ, আর অর্ধেক ঝুলন্ত শরীর এলিয়ে খাটের ওপর পড়ে থাকা আদিত্য। চোখ সইয়ে নিতে নিতে নিজের দিকে তাকাল চন্দ্রা আর বিস্ময়ে স্থির হয়ে গেল একেবারে। ও এখন আর একটূও ও নেই। দিব্যি একটা মানুষী হয়ে গেছে কখন! চোখে মুখে হাত বুলিয়ে দেখল, ওম্মা!! কান হয়েছে কেমন! আর হাত! কেমন গোল গোল ভরাট ভরাট হাত। কে বলবে খানিক আগেই এগুলো দুটো সরু সরু ছেতরানো আঙুল ওয়ালা পা ছিল! নিজেকে সামলে উঠে বসতে বসতে মাথার মধ্যে বেজে উঠল ব্যাংগম বাবার স্বর "তুমি যদি একনিষ্ঠ সাধনপথ থেকে বিচ্যুত না হও তবে অচিরেই ব্যাং জন্ম থেকে মুক্তি পাবে.. কিন্তু সে হবে পরীক্ষামূলক মুক্তি। প্রতিদিন বারো ঘন্টা তুমি মানুষী রূপে থাকবে আর বাকি বারো ঘন্টা তোমার পূর্বাশ্রমরূপে। যথা সময়ে নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তোমার পূর্ণ মনুষ্য জন্ম লাভ হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তুমি যদি মনে কর যে তুমি ব্যাংকুমারী হয়েই থাকতে চাও, তবে তা আর সম্ভব হবে না। পুরোপুরি ব্যাং হয়ে থাকার অধিকার তুমি নিজেই ত্যাগ করেছ.....'
    মাথা নাড়ল চন্দ্রা। জানে ও, আগেই জেনেছিল, সাধনমার্গের যে স্তর পেরিয়ে আসছে সেই স্তরের প্রাপ্তি ওকে ভোগ করতে হবে পুরোপুরি, চাইলেও, না চাইলেও। উঠে বসল চন্দ্রা। আদিত্য এখনও অচেতন। জ্বর আর ব্যাঙের মুখের পাকা পাকা কথা দুটো একসঙ্গে নিতে পারেনি বেচারা। একটু মুখে চোখে জল দিতে পারলে হয়ত জ্ঞান ফিরবে। এক ছুট্টে রান্নাঘর থেকে জলের বোতল নিয়ে এল চন্দ্রা ... আদিত্য... এইইইই ... এইইই.. চোখ খোলো...
    মুখের ওপর নরম নরম ভিজে স্পর্শে চোখ খুলল আদিত্য
    এই রে! আবার চোখ উল্টে পড়বে নাকি!!
    "শোনো, ভয় পেও না, আমি চন্দ্রা, শুনছ! ভয় নেই, আমি চন্দ্রলেখা" আদিত্যর ভয় ভয় চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগল চন্দ্রা
    "চন্দ্রা! চন্দ্রা কে?" ধড়মড়িয়ে উঠে বসেছে আদিত্য "আপনি এখানে কি করে এলেন?"
    খিলখিলিয়ে হেসে ফেলে চন্দ্রা'- আপনি! একটু আগেই তুই পোকাটোকা খাসনা কেন বলছিল...
    হ্যাঁ, মানে, কে আপনি?
    বলে দেবে? নাকি এখন এটা ওটা বলে কাটিয়ে দেবে? ভাবতে ভাবতে মন ঠিক করে ফেলে চন্দ্রা "আমি চন্দ্রলেখা। তুমিই আমায় নিয়ে এসেছ তোমার ঘরে। তোমার হাতের পাতায় বসিয়ে.."
    "আমি!!! আমি এ এ এই আপনাকে হাতের ওপর বসিয়ে ঘরে এনেছি! যাহ শালা! কি হ্যালুসিনেশন আরম্ভ হয়েছে!! " বলতে বলতে ধড়মড়িয়ে খাট থেকে নেমে ওকে প্রায় ধাক্কা দিয়েই বাথরুমের দিকে এগিয়ে যায় আদিত্য
    বাইরে, খাটের ওপর বসে বসে চন্দ্রলেখা হাঁটুতে চিবুক ঠেকিয়ে একমনে আদিত্যর স্নানের শব্দ শুনতে থাকে ............
  • ranjan roy | 115.184.84.88 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৯429668
  • তেকোনা তো সোনা ব্যাঙ, আদিত্যটি কে?
    আর সবাই ব্যাঙের মনস্তত্ব নিয়ে প্রশংসায় ব্যাস্ত, আমার অবাক লাগছে আদিত্যের স্কেচ্‌। একটা ব্যাচেলর ছেলের দৈনন্দিন আলাভোলা জীবনযাত্রা কি দক্ষতায় আঁকছে!
  • a x | 143.111.22.23 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২০429670
  • একটা ছোট টেকনিকাল প্রশ্ন, কিছু মনে করবেন না। ব্যাংগম বাবা জামাকাপড় সমেত মানুষী রূপের বর দিয়েছেন তো?
  • pharida | 122.163.95.252 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২০429669
  • এমন একটা জায়গা বুঝে মিনিবাসের মতো এটা দাঁড়িয়ে যায়! আবার কত অপেক্ষা কে জানে!!
  • dd | 122.167.3.168 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩০429671
  • আর রে দ্যাখো দ্যাখো দ্যাখো।

    আমার মনে তো এই পোশ্নোটাই উঁকিঝুঁকি মারছে। লজ্জায় জিগইতে পারি নি, যদি বগ দেখায় ,বলে আপুনের তো খুব পাপী মন। এখন লোকবল থাকায় আম্মো জিগাইলাম।

    আদিত্যর তো প্রবলেম হ্যাস। এমন চমৎকার হ্যালুসিন্সন ছেড়ে সেই ছোঁড়া ছান কত্তে যায়? হয়তো দাঁত মেজে, কপালে দইএর ফোঁট লাগিয়ে বাইর হইবো। না কি ?
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৫৩429672
  • উঁহু, জামাকাপড়ের বর ছিল না, নেই। কিন্তু প্রতি বারো ঘন্টা অন্তর ফিরে ফিরে আসবে যে মানুষী চিত্রনাট্যের খাতিরে তার নগ্নতাকে মেনে নেবে কি দর্শক! একঘেঁয়ে হয়ে যাবে না?
    আর এঁয়াদেরও বলিহারি! রূপকথা পড়তে বসে এসব কি চিন্তা! যখন ছোটো ছিল তখন কত্ত ব্যাঙকে রাজপুত্তুর হতে দেখেছ কত বইয়ের পাতায়! জিগিয়েছিলে এমন কোচ্চেন???
  • aranya | 144.160.226.53 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৫৯429673
  • অফ কোর্স জামাকাপড় সমেত, ওমনি তেকোনার লেগ পুলিং :) , শুধু শাড়ী/সালোয়ার-কামিজ ইত্যাদি গুলো চন্দ্রলেখার চয়েস । শেষ তিনটে কিস্তি একসাথে পড়লাম আর ডিডি-দার নাইটহুডের সঙ্গে তেকোনাকে আরও গোটা কয় phd, d-lit এই সব দিলাম।
  • dd | 122.167.3.168 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:০০429674
  • হয়েছিলো, হয়েছিলো। মনে এই একই পোস্নো উদ্ভাসিত হয়েছিলো। সেই শৈশবেও।

    কিন্তু জিগামু কারে? হ্যান্স খীস্টান এন্ডারসেন রে পামু কোথায়?

    ঠিকাছে। ধরে নিলাম, সবাই শুনুন, চন্দ্রা সালোয়ার কামিজ (খুব পোলিটিকালি কারেক্ট)ড্রেস পইরেই মানুষ হলেন। আরে, পোষাক ছাড়া মানুষ হয় না কি ?

    না, এই চমৎকার গপ্পের ফ্লো নষ্টো করুম্না। কিন্তু স্যার তেকোনা, কপালে এট্টা সবুজ টিপ ও পরাইয়া দ্যান।

    ছোট্টো।
  • pinaki | 67.43.241.179 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩৮429676
  • বেচারা দীপু। এরম হবে জানলে দরজা বন্ধ করতো থোড়ি। ওকে আর একটা সুযোগ দেওয়া হোক।
  • SB | 59.93.199.87 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৪৪429677
  • পিনাকি কে ক (ফর আ চেঞ্জ ;-) )
  • M | 59.93.194.150 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:২৩429678
  • আমারো পড়ে এই মাত্র ঐ পোশ্নটাই পাচ্ছিলো এদিকে সবাই করে ফেলেছে,কি কেলো।
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৭:৩৫429679
  • জ্বর গায়ে আদিত্য আর কত স্নান করবে?
  • M | 59.93.241.238 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৭:৩৯429680
  • সত্যি দেখো!এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা গেলো না।এইযো তেকোনা, এবার চন্দ্রা কি শরৎ বাবুর নায়িকাতে ল্যান্ড করবে?
  • d | 117.195.38.191 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৫৩429681
  • সেরেছে!! এখন ১২ ঘন্টা ধরে আদিত্য স্নান করবে!? ডাবল, ট্রিপল, কোয়াড্রুপল নিউমোনিয়া তো ধন্বন্তরিও ঠ্যাকাতে পারবে না।
  • san | 123.201.53.2 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৮429682
  • ফর আ চেঞ্জ চিত্রনাট্যে নাইকার বদলে নায়কের স্নানদৃশ্য ;-)

    তা বেশ । তাপ্পর?
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৫429683
  • খানিকটা জল মাথায় ঢেলে বোধহয় বেশ ফুর্তি হয়েছে। বাথরুমের দরজা খুলে মাথা মুছতে মুছতে গুনগুনিয়ে বেরোচ্ছিল আদিত্য, একটু এগিয়ে এসেই থমকে গেল আবার
    একি?... আপনি এখোনো? যাব্বাবা!!
    হেসে ফেলে চন্দ্রা "না, যাইনি। চলে যেতে বলছ সত্যি?"
    "না, মানে, আমি সত্যিই হ্যালুসিনেট করছি না কি বুঝতে পারছি না"
    "সেটা কি? কেমন করে করে?"
    পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে আদিত্য "কেমন করে করে মানে? ও: হ্যালুসিনেশনের কথা বলছেন? জ্বরের ঘোরে ভুল দেখছি কিনা তা বলছি"
    উঠে দাঁড়ায় চন্দ্রা, হাত বাড়িয়ে কপালে হাত রাখে "এখন অত গরম নেই তো.. না ভুল দেখছ না। আমি তো সত্যিই আছি তোমার এখানে বেশ কদিন"
    "ভূ ভূউ ত!!" ছিটকে পিছিয়ে যায় আদিত্য
    "ও:! কি মুশকিল! ভূত কেন হবে? তাদের কি হাত পা ছোঁয়া যায় নাকি? তাদের তো সব হাওয়া হাওয়া!!.... তুমি চা খাবে বললে যে! খাবেনা? "
    "বললাম? কখন? ও হ্যাঁ। কেন আপনি কি চা ও বানিয়ে রেখেছেন আমার জন্য!"
    লজ্জা পায় চন্দ্রা। সেই কোনো এক রূপকথায় ব্যাঙ জাদুকরী তার শ্বশুরের জন্য রাজপোষাক বানিয়েছিল, রাজব্যাঞ্জন রেঁধেছিল, কিন্তু এসব ব্যাঙগমবাবার প্যাকেজে ছিল না। চন্দ্রা এসবের বর পায়নি
    "না, আমি ওসব পারি না" লাজুক আসে চন্দ্রা আর এই প্রথম, হয়ত একটু একটু ভয় কেটে যাওয়ার দরুনই আদিত্য খেয়াল করে কি মিষ্টি মত পানপাতা গড়ন মেয়েটার মুখের, হাসলে যেন গোটা মুখটাই ঝলমলিয়ে যায়, আর কেমন রোদ্দুর রোদ্দুর গায়ের রং। মেঘলা অন্ধকার রাত্তিরে সবুজ পোষাক পরা মেয়েটা যেন আরো বেশি সতেজ, চোখ পিছলে যাওয়া ঝিকমিকে একটা অস্তিত্ব। মনে হচ্ছে এখন ঘরের আলোটা নিভিয়ে দিলেও এর গা থেকে আলো বেরিয়ে চারদিকে ছিটিয়ে যাবে
    "কি দেখছ?"
    "আপনাকে, কে আপনি?"
    "তুমি চা বানাতে পারো? চলো আমায় শিখিয়ে দাও। চা খেতে খেতে শুনো আমি কে"
    "আপনি নিশ্চই চা খেতে খুব ভালোবাসেন তাই আমার চা খাওয়া নিয়ে এর'ম উঠেপড়ে লেগেছেন" হাসে আদিত্য
    "না, সকাল থেকে দু চামচ খিচুড়ি খেয়ে আছ। অনেক কিছু শুনতে হবে তোমাকে আমি কে বুঝতে গেলে। তাই ভাবলাম"
    বেশ মিষ্টি লাগছে ওর মুখে তুমি শুনতে যদিও কেন কে জানে আদিত্য নিজে কিছুতেই আপনির বাইরে বেরোতে পারছে না এখোনো
    ঘরে যে দুটো মোড়া আছে তা এই ক'দিনে টেরই পায় নি চন্দ্রা। ভাবত উঁচু করে জামাকাপড়ই রাখা থাকে। আদিত্য সব সরিয়ে টরিয়ে দুটো মোড়া বার করে জানলার সামনে রাখল "এখানে বসা যাক... দেখুন আমার করা চা খাওয়া যাবে কিনা.. আমি অবশ্য বেশ চেখে চেখেই বানাই। মিষ্টি অ্যাডজাস্ট করতে করতেই হাফ কাপ শেষ..." হাসছিল আদিত্য। ভয় করছে না একটুও আর। এমন একটা মেয়ে, যেখান থেকেই আসুক, যেন ফিরে না যায়...
    হাতে কাপ নিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়েছিল চন্দ্রা "এই ঘোর অন্ধকার, এত প্রিয়, মনে হয় চুপটি করে বসে থাকি জানো! এই সময়, বৃষ্টির শেষে ঝিঁঝিঁ ডাকে যখন, তখন সব শব্দগুলো কেমন জলমাখা হয়ে যায়.. তাই না?"
    "লাইট নিভিয়ে দেব?"
    "হুঁ, যদি তোমার খারাপ না লাগে"
    একা একটা ছেলের ঘরে, আলো নেভাতে বলছে! কোনো গড়বড় কেস নয়তো! একটু সন্দেহমত টোকো অনুভূতি উঠে আসে মনের মধ্যে
    "দেখ, এখন সব কেমন অন্যরকম না? তোমার চেনা পৃথিবী.... চেনা আওয়াজ.... চেনা আলো.... চেনা ভীড় .... এসবের বাইরে আর একটা সময়ের মধ্যে বসে আছি মনে হচ্ছে না?
    অভ্যাসবসে শব্দ করে চা খেতে গিয়েও সামলে নিল আদিত্য। এই অন্ধকার.. একঘেয়ে পোকার ডাক.. পাশে একটা কাঁচপুতুলের মত মেয়ে.. একটু শব্দেও এই স্বপ্ন ভেঙে যাক তা চায়না এখন কিছুতেই....
  • dd | 122.167.40.63 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪৪429684
  • উঁ:,

    বড্ডো মোক্ষোম যায়গায় থামে তো।

    কিন্তু কি কঠিন থিম রে বাবা।
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩২429685
  • হুঁ হুঁ এ হল তেKONA থিম কঠিন তো হবেই! কিন্তু এই থেমে যাওয়াটা বড্ড কষ্টকর আমাদের পাঠকদের জন্য!!
    রদ্দুর রদ্দুর গায়ের রঙ, হা হা হা আমার ছেলে চার বছর বয়েসে প্রথম ব্লন্ড দেখে কি এক্সসাইটেড--বল্ল র্দ্দুরের মতন চুল!
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:১৭429687
  • তুমি আমায় দেখে ভয় পেয়ে গেছিলে খুব, না?
    না তো! আপনাকে দেখে অবাক হয়েছি। মানে আপনি কে, কোথা থেকে এলেন.. কি করে ঢুকেছেন ঘরে.. আমি তো নিজে গিয়ে দরজা বন্ধ করে... বলতে বলতে কাঠ হয়ে গেল আদিত্য... ওর হাতের ওপর ব্যাঙটা বসেছিল আর হঠাৎ মানুষের গলায় কথা বলে উঠেছিল... আবর মনে পড়ল এখন
    হ্যাঁ, দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলে তুমি .. জানি, তারপর? ..
    কি যে একটা হল! মানে, আমার একটা পোষা ব্যাঙ আছে। ওটার সঙ্গে বকবক করি আমি। আজ এতো জ্বর এসেছে, খাওয়া দাওয়া হয়নি, মাথায় খুব যন্তন্নাও করছে.. তারমধ্যে মনে হল, ব্যাঙটা আমার দিকে তাকি স্পষ্ট মানুষের মত ...
    "কথা বলল, তাই তো?" চন্দ্রা চায়ে জিভ রাখে আলতো করে। এখোনো মানুষীর মত করে খেতে শেখে নি। আগেই জিভটা নাগাল পেতে চায় খাবারের। উ: কি গরম!
    হুঁ, আর তারপরেই আমি ..
    ভয়ে চোখ উল্টে খাটের ওপর... ঝিরিঝিরিয়ে হাসছে চন্দ্রা। জানি... তোমর.. এখন ভয় করছে আর?...
    না না, ভয় কিসের? বলতে বলতে আরো সিঁটিয়ে গেল আদিত্য। কি কেলো মাইরি। একদিকে মেয়েটাকে দারুণ ভালো লাগছে আর অন্যদিকে কোনো আইডিয়াই নেই এ আসলে কে। বলছে সব জানে, ব্যাঙটার কথা বলাও জানে! আবার দেখ কেমন অদ্ভুত ভাবে চা খাচ্ছে ... ঘর অন্ধকার... ভয় পাবে নাই বা কেন!!
    ভয় নেই, আমি চন্দ্রলেখা....
    ধীরে ধীরে নিজের ব্যাঙ জন্ম থেকে মানুষী হয়ে ওঠার গল্প বলতে থাকে চন্দ্রলেখা শুধু কার জন্য, কার কথা ভেবে ওর এতদূর আসা সেটুকু আর বলে না। অন্ধকারে চোখ সওয়াতে সওয়াতে চন্দ্রলেখার গল্প শুনতে শুনতে আবাক হওয়ার ক্ষমতাও একসময় হারিয়ে ফেলে আদিত্য। ওর বলার ধরনে হেসে ফেলে একএকসময়, আবার তারপরেই, কেমন অন্য সুরে কথা বলে মেয়েটা মনকেমন করিয়ে দেয়...
    "তুমি, এই প্রথম.... এরকম... মানে.. আগে তুমি.........
    "না:, আগে আমি পুরোপুরি মানুষীরূপ পাইনি। আজ প্রথম, কারণ আমি আমার সাধনার সেই স্তরে পৌঁছেছি যাতে দিনের বারো ঘন্টা আমি মানুষী থাকি
    "আর বাকি বারো ঘন্টা!!!"
    "বাকি বারো ঘন্টা আমায় তুমি যেমন দেখতে অভ্যস্ত তেমনই"
    "মনে আছে? তুমি সেদিন আমায় বাইরে যেতে বলছিলে.... বৃষ্টিতে ভিজতে যেতে বলছিলে"
    "হুঁ, কিন্তু তুমি তো...."
    "আমার যেতে ইচ্ছে করেনি একটুও। আমার এখানে বসে বসে বৃষ্টি দেখতেই ভালো লাগে.. কেমন সুন্দর ছাট আসে জলের... আমাদের কেয়াঝোপের বাড়িতেও আমরা পাতার আড়ালে বসে থাকতাম অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে, আর যখন মেঘ সরে গিয়ে চাঁদ উঠত, ঝকমকে চাঁদ, দারোয়ানের বউয়ের মেজে রাখা থালার মত গোল চাঁদ, তখন ভিজে মাটিতে লাফালাফি লুটোপুটি....... বলতে বলতে থেমে গেল চন্দ্রা। আদিত্য একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে অথচ ওকে দেখছে না যেন
    "এই!! কি হল তোমার? এই যে, শুনছ! ভয় করছে? "
    ঘোর ভেঙে যায় আদিত্যর "তুমি জানো আমি কি কাজ করি?"
    "হ্যাঁ, ফোনে কথা বল"
    হো হো করে হেসে ওঠে আদিত্য "ফোনে কথা বলাটা কাজ!!"
    "আমি কি করে জানব!! আমি তো ওটাই করতে দেখি সবসময়"
    "আমি ছবি আঁকি বুদ্ধু ব্যাঙ্কুয়ারী। দেখছ না কত কাগজ রোল করে রাখা.. আর ঐ যে ওঘরে একটা স্ট্যান্ড দেখছ কাঠের.. ঐ টা হল আমার স্টেজ। ওখানেই আমার সব পারফরম্যান্স"
    "স্টেজ কি?"
    "স্টেজ বোঝো না!! ....."
    নিজেদের অজান্তে আস্তে আস্তে ওরা সহজ হয়ে ওঠে একে অন্যের কাছে ... বৃষ্টিকে ডেকে অন্ধকার হুকুম করে "এখনই থেমো না.. তুমি থামলেই ওদের গতিতে ছেদ পড়বে.... এখন থামা চলবে না, এই বলে দিলুম"
    বৃষ্টি , আপন খুশিতে ঝরতেই থাকে ঝরতেই থাকে....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন