কৈশোরে গম্ভীর স্থানীয় রাজার পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন। একজন শিল্পীর বড় হওয়ার পিছনে ভাত কাপড় যোগানোর একটা হাত খুব জরুরী, যেটা আজকের শিল্পীরা পাচ্ছেন না। ছৌনাচ যিনিই সামনে থেকে দেখেছেন, তিনিই বুঝবেন, এ আসলে একধরণের প্রাচীন সিনক্রোনাইজড জিমন্যাসটিকস। কোন আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া ছৌ নৃত্যশিল্পীরা কীভাবে এই বিদ্যা করায়ত্ব করেন সে এক বিস্ময়। ... ...
চড়িদা গ্রামটি হোটেল থেকে বেশি দূরে নয় - আন্দাজ তিন কিলোমিটার দূরে হবে। রাস্তার ধারে ধারে ছৌ মুখোশ বিক্রির দোকান। পথে কয়েকটি বিদ্যালয়ও চোখে পড়ল। কুড়ি বছর আগেও একবার এ গ্রামে এসেছিলাম, তখনকার থেকে এখনকার দৃশ্যপট আমূল পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তখন এমন রাস্তা ছিলনা। হেঁটে উঠতে হয়েছিল। ইতিউতি বাড়িঘরের মধ্যে দোকানঘর ছিল অল্প। এখন পাকা রাস্তায় হু হু করে গাড়ি করেই এসে পড়লাম। সামনে অগুন্তি দোকানঘর। ... ...
খুন খারাপি নেই, রহস্য সমাধান করার একক বাহাদুরিও নেই, তবু গোয়েন্দা গল্প। ... ...
পুরোন জিনিষ বাতিল হোক, বিক্রি করে দেওয়া যাক পুরোন কাগজ, পুরোনো বই, আর হ্যাঁ মেরুদণ্ডগুলোও। ... ...
সমাজ কোথায় নিয়ে যায় ! ... ...
জীবনের সারমর্ম হয় না গো ... ...
"জানিস না, পুলিশ একবার ছুঁলে বায়ান্ন ঘা! এরপর পাড়ায় যদি পুলিশের আসা যাওয়া চালু হয়, তাহলে তোর কিন্তু এ পাড়ার বাস তুলে ছাড়বো হতভাগি, অলুক্কুণে হাড়জ্বালানে। নাতি মেরে বের করে দেব রাস্তায়। আমার বুকের ওপর বসে তোর ঐ বাঁটনা বাঁটা চিরজম্মের মতো যদি ঘুঁচিয়ে দিতে না পারি তো আমারও নাম...." ... ...
সেই একই কেস। “দেখ মা, এরা নিজেরা ভুল করেছে, তার পানিশমেন্ট পেয়েছে। দে ডোন্ট ডিজার্ভ সিমপ্যাথি।” ‘“ভুল করেনি, এদের ঠকানো হয়েছে। দুটো এক নয়।” “দে চোজ দ্য রঙ মেন। দেয়ার ফল্ট।” “কাগজ পড়িস? প্রোপোজাল রিজেক্ট হয়েছে বলেও অনেক ঘটনা ঘটে। তারও দরকার হয় না, জাস্ট প্রেজেন্সই অনেক কিছু করে।” “কিছুই বুঝলাম না।” “খামবুনির ঘটনা মনে আছে? মেয়েটি গ্যাংরেপড হয়ে খুন হয়। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল, কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির কি দোষ ছিল?” ... ...
জীবন যেদিকে নিয়ে যায় ... ...
"আ-আই হ্যাভ আ কোয়েরি।" মা তাকাল আমার দিকে। "তোমাদের… ডিভোর্স হল ফর দিস রিজন?” "মেনলি। একবার ওকে না বলে একটা এনজিওতে ডোনেট করেছিলাম বলেও প্রচুর ঝামেলা করেছিল।... আরও কিছু খুচরো প্রবলেম ছিল। তবে সে সব কম বেশি সব ফ্যামিলিতেই থাকে। তবে ওই… সব যোগ হয়ে ব্যাপারটা ক্রমশ পয়েন্ট অফ নো রিটার্নের দিকে চলে গেল। দুজনেই বুঝতে পারছিলাম কোনও টান আর নেই আমাদের মধ্যে। মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়ে গেল। তুই তখন ছোট, ক্লাস ফাইভ, তাই আমিই তোকে পেলাম। তোকে আঁকড়েই বাঁচতে চেয়েছিলাম, কিন্ত…." ... ...
জীবন যেরকমই হোক ... ...
ছেলেটার মোবাইল বেজে উঠেছে। "হ্যাঁ স্যার বসিয়েছি… ঠিক আছে।" ফোন রেখে ছেলেটা বলল, "ওনারা ভিআইপি রোডে জ্যামে আটকে গেছেন। আপনাদের কোল্ড ড্রিংকস দিতে বললেন।" তৃষা বলল, "একটু খাবার জলও দেবেন।” ছেলেটা পাশের ঘরটায় ফিরে যেতেই স্বর্ণালীর প্রশ্ন, "ওনারা মানে কারা?" খোঁচা বলল, "আর একটু অপেক্ষা কর।" "না। ওনারা কারা? ডু উই নো দেম?" "জানি তোর অনেক প্রশ্ন আছে, বাট প্লিজ আর একটু ওয়েট কর,” বলল তৃষা। ... ...
প্রকাশকের সন্ধানে শুরু করছি আমার উপন্যাস ... ...
তার পরেরদিন সকালে আবার মা উঠিয়ে দেয় ঘুম থেকে, তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নিতে বলে, ভর্তি হতে যেতে হবে। আমি অবাক হয়ে ভাবি হিন্দু গার্লস কি এত সকালে ভর্তি নেবে? ওদের তো দুপুরে স্কুল, কিছু জিগ্যেস করার আগেই দাদু আমাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, সেই ভাগাড়পাড়ার স্কুলের দিকেই যাই আমরা। দাদু আমাকে নিয়ে ‘বালিকা শিক্ষা সদন জুনিয়র হাই' স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়, বিলবইতে লেখা ছিল নামটা, ইরাদিদিমণি হেডমিস্ট্রেস। কিন্তু এখানে কেন সেটা যদি কেউ একটু বুঝিয়ে দিত! জানুয়ারী মাসে তো তেমন ক্লাস হয় না, রোজই প্রায় দশটায় ছুটি। আমি বাড়ী ফিরে দেখি শুভ্রা, রিঙ্কু, শর্বরী, মিঠু, সাতুরা এ ওর বাড়ী গিয়ে ডাকাডাকি করে একজায়গায় হয়, তারপর একসাথে খুব মজা করতে করতে যায়, ইলু, শীলুও হীরালাল পালে ভর্তি হয়েছে এই বছর, ওরাও যায়। ওদের স্কুলে রোজ ড্রেস পরতে হয় না, বেশীরভাগ দিন ওরা পরিস্কার এমনি জামা পরে স্কুলে যায়, মাঝে মধ্যে সবুজ-সাদা স্কুলড্রেস পরে। আমার তো আর ওদের সাথে হইহই করে যাওয়া হয় না, আমি থেকে যাই ভাগাড়পাড়া স্কুলে ফেলের মধ্যে ফার্স্ট হয়ে। ... ...