আগামী সপ্তাহে খুব সম্ভবত সংসদে পেশ হতে চলেছে হাইয়ার এডুকেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এইচইসিআই) বিল ২০১৮। এই বিল পাশ হয়ে গেলে ১৯৫৬ সালের ইউজিসি অ্যাক্ট রদ হয়ে যাবে, এবং ইউজিসির পরিবর্তে গঠিত হবে একটি নতুন উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যার নাম এইচইসিআই। প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাতে কী এসে গেল? বিশেষত শিক্ষাবিদরা যখন মাসে একবার ইউজিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে থাকেন, অতএব ইউজিসি ভেঙ্গে দেওয়া হলে তাঁদের আপত্তি কেন? আপত্তি অনেক। প্রাথমিক স্তরে মাননীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভা ... ...
না গো দাদা, এভাবে তো আর পারা যাচ্ছে নি। সবাই, সব্বাই মিলে এমন করে আমাদের এই পরম পবিত্র, পরম প্রাচীন, পরম - ব্রত, না না – ব্রত না, দূর, ঐ পরম যাহোক একটা – সেই পরম ধর্মটার পিছনে কি এমন করে লাগতে আছে? মানে আপনারাই বলুন, কে না জানে যে অপরাধীদের ৯৫% ই মোছলমান (এই রে, এই ৫% এর জন্য আবার পেমেন্ট না কেটে নেয়)? তো সবাই যেখানে জানেই, সেখানে কত্ত মাথা খাটিয়ে, হাঁটু খাটিয়ে খবর কল্লাম যে ২০১৬ তে যত রেপ হয়েছে তার ৯৫% করেছে মুসলমানেরা, আর ৯৬% ধর্ষিতা হয়েছে হিন্দুরা – বলুন, ভুল কিচু বলিচি? আরে আমি নই, খোদ মহেশ ... ...
খপরে প্রকাশ, রাগা বলেছেন যে কাংরেস হল মুসলিম পার্টি। না না – পাইওনিয়ার বা নবভারতের খবর নহে – এমন কি রিপাবলিক টিভিও নহে – এই খবরের উৎস খোদ উর্দু কাগজ – ইনকিলাব। গত ১২ই জুলাই তারীখে ইনকিলাব পত্রিকার খবর, মুসলিম নেতাদের সাথে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে স্বয়ং রাহুল গান্ধী বলেছেন, “বিজেপি যদি বলতে চায় কংগ্রেস হল মুসলিম পার্টি, তবে তাই। কংগ্রেস মুসলিম পার্টি, কারণ মুসলিমরা বর্তমানে দুর্বল এবং কংগ্রেস সর্বদাই দুর্বলের পক্ষে” – মোদ্দা কথা, কংগ্রেস হল মুস্লিম পার্টি। সেই রাহুল গান্ধী, কিছুদিন আগেই গুজরাট নির্বাচ ... ...
গত ৯ বছরের প্রবাসী জীবনের জ্বালায় গাদা গাদা মিছিলে পাশে থেকেছি শুধু মনে মনে আর অন্তর্জালের জগতে... শহর কাঁপানো হোককলরবের বৃষ্টিভেজা আগুনের দিনে ফেবুকে কটা সলিডারিটি পেজের মডারেশনের কাজ, অসংখ্য চ্যাট, স্কাইপ কল আর আইএসডি কলের বাইরে কিছুই করতে পারিনি, তাতে ওই মূহুর্তে ওইখানে না থাকতে পারার আপসোস, ছটফটানি সামলানো যায় না অথচ নিজের প্রবাসকে অভিসম্পাত দেওয়া ছাড়া খুব কিছু করারও থাকে না। এসবের মধ্যেই বেড়েছে বয়স, যত না শরীরের, তারও বেশী হয়ত বা মনের।অন্তত তাইই ভাবতাম। এতগুলো বছর বাদে ... ...
" হ্যাঁ, অর্ক, কি চলছে রে তোদের কলেজে ? বাচ্চা গুলো এভাবে না খেয়ে আছে আজ দু দিন হলো ? কি দাবী ?"" ওদের হোস্টেল নেই ।। প্রিন্সিপাল কে বার বার বলা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি।।।পুলিশ ঢুকে ছত্রভঙ্গ করেছে ।।।আর কিছু ওদের করার ছিল না ।।তুমি কোথায় আছো ? আসবে ? তোমাদের দরকার ! "।।।।ইতিহাস রচনার কোন ধারাবাহিক নিয়ম থাকেনা।।। আমাদের মুহুর্ত যাপন ইতিহাস রচনা করে।।। কিন্তু সবাই বলে, সে ইতিহাসের নাকি নানা রং হয়।।। বোধ হয় সেই রঙের বিকাশের উৎসব কেই ইতিহাস বলে।।।রং বলতে মনে পরে, ইতিহাসের ... ...
ঘটনাটা হতে পারত আর পাঁচটা কলেজের সাধারণ ঘটনার মত: হোস্টেল দেওয়া নিয়ে ছাত্রদের সাথে কর্তৃপক্ষের বচসা, মতানৈক্য, তার জেরে দুই দিন নিজেদের দাবি নিয়ে ছাত্রদের অবস্থান, এবং সব শেষে একটি মধ্যস্থতায় আসা। ঘটনাটা ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে হয়ে উঠল একটা গণ-আন্দোলন, যা এই শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিচ্ছেদ যোগ করলো, আর আমাদের দিলো কিছু নতুন মুখ, কিছু নতুন আশা, যা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে যুব সমাজের মননে।মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা যখন স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সেলিংগের মাধ ... ...
সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো ... ...
এ কথা প্রমাণিত ও প্রত্যক্ষ যে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস বলে যা রয়েছে তা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক। সিলিং খসে পড়ে ছাত্র দের আহত হওয়ার খবরও আছে। আর এই অব্যবস্থা তো আর একদিনে হয় না, হয়ও নি। এর পিছনে ছিল কতৃপক্ষের উদাসীনতা। যা ইচ্ছাকৃত বলে ভাবলে তা খুব একটা ভুল হয় না। কিন্তু কেন?কেন বারবার যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি মেডিকেলের ওপর কতৃপক্ষ এত উদাসীন? কেন সেখানে বারবার তুঘলকি ফরমান জারী করে ক্ষমতা দেখান হয় বা ন্যায্য দাবি কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়? খেয়াল করে দেখবেন, পশ্চিমবঙ্গ রা ... ...
গতকাল, শুক্রবার দুপুরে গেছিলাম মেডিকেল কলেজ। যখন পৌঁছালাম, ওখানে বেশ কিছু লোক – যদিও সব মিলিয়ে দুশোর বেশী নয় অবশ্যই – পরিচিত মুখও দেখা গেল কিছু। কাবেরী বসু ছিল, অমিত দত্ত দা ছিলেন, কোয়েল, দেবিকা, আরো কয়েকজন। অরিজিত গুহ চলে এল আরেকটু পরেই। শুভদীপ অবশ্য তখন বেরিয়ে গেছে। ডাঃ অর্ক বৈরাগ্যকে শুধু ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারেই চিনতাম, দোলনচাঁপা আলাপ করিয়ে দিলেন। আর দেখলাম অনশনরত ছেলেগুলো শুয়ে আছে। অনিকেত চেনা মুখ, একপাশে ঘুমাচ্ছে দেখা গেল। দেবাশীষের সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়েছে – ওর মা পাশে বসে। বিপি প্রত্যেকে ... ...
২আহাদে আহমদ হইলমানুষে সাঁই জন্ম নিললালন মহা ফ্যারে পড়ল সিরাজ সাঁইজির অন্ত না পাওয়ায়।এক মনে জমিতে লাঙল দিচ্ছিল আলিম সেখ। দুটি জবরজঙ্গী কালো মোষ আর লোহার লাঙল। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। আজকাল আর কেউ কাঠের লাঙল ব্যবহার করে না। তার অনেক দাম। একটু দূরে আলিম সেখের খালাতো ভাই কদর সেখ বসে আছে বটগাছের ছাউনিতে। বৃষ্টি কমলে সে এসে লাঙল ধরবে। কাঠের লাঙলের বড় বেশি খরচ। নষ্টও হয় তাড়াতাড়ি। ভীষণ জোরে মেঘ ডাকছে। আজকাল এই এক হয়েছে। অঝোরে পানি নেমে দরিয়া ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে যাক, কিন্তু এই দ ... ...
প্রিয় কমরেড,যদিও তুমি আমার একদা অভিভাবক ছিলে, তবুও তোমায় কমরেড সম্মোধন করেই এই চিঠি লিখছি, কারন এটা সম্পূর্নভাবে রাজনৈতিক চিঠি। এই চিঠির মারফত আমি তোমায় শো কজ জানাচ্ছি। তুমি যে রাজনীতির কথা বলে এসেছো, যে রাজনীতি নিয়ে বেচেছো, যে রাজনীতির স্বার্থে নিজের জীবনের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করেছো, আজকে সেই রাজনীতির চাহিদা পূরন করতে তুমি ব্যর্থ হয়েছো। তবে এখন যদি ভাবতে বসি, তাহলে হয়তো তোমার ব্যর্থ হওয়ার কারন খুজতে গেলে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে। যেদিন তুমি আমায় বলেছিলে - 'সোভিয়েত আমাদের জন্যে একট ... ...
ক্যালাইডোস্কোপ ১। রোদ এসে পড়ে। ধীরে ধীরে চোখ মেলে মানিপ্যান্টের পাতা। ওপাশে অশ্বত্থ গাছ। আড়াল ভেঙে ডেকে যায় কুহু। ঘুমচোখ এসে দাঁড়ায় ব্যালকনির রেলিং এ। ধীরে ধীরে জেগে ওঠা শহর, শব্দ, স্বরবর্ণ- ব্যঞ্জন; যুক্তাক্ষর। আর শুরু হল দিন। শুরু হল কবিতার খেলা-খেলি। ততক্ষণে 'অরুণ প্রাতের' রোদ ভর্তি হয়ে গেছে চায়ের কাপে। ছলাৎ শব্দ তুলে বেজে উঠছে কলিং বেল। কাজের মাসি। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে লুচি ভাজার গন্ধ। "তুমি তো আকাশ আঁকছ। শোনা যাচ্ছে ডানার আওয়াজ।আমি পাখিকোথায় সাঁতার ... ...
সঙ্গীতা বেশ টুকটাক, ছোটখাটো বেড়াতে যেতে ভালোবাসে। এই কলকাতার মধ্যেই এক-আধবেলার বেড়ানো। আমার আবার এদিকে এইরকমের বেড়ানোয় প্রচণ্ড অনীহা; আধখানাই তো ছুটির বিকেল--আলসেমো না করে,না ঘুমিয়ে, বেড়িয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না। তো প্রায়ই এই টাগ অফ ওয়ারে আমি জিতে যাই, কিম্বা সঙ্গীতা আমাকে জিতিয়ে দেয়। কখনো কখনো ওরও অবশ্য জিততে ইচ্ছে করে। সেইরকম এক রোববার সন্ধ্যায় আমাদের ইকো পার্ক যেতে হল। ইকো পার্ক বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূর না, কিন্তু যাতায়াত একটু ঝঞ্ঝাটে।তেঘরিয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো করে হলদিরাম, সেখান ... ...
ফুটবল শিখতে চাওয়া সেই প্রথম নয় কিন্তু। পাড়ার মোড়ে ছিল সঞ্জুমামার দোকান, ম্যাগাজিন আর খবরের কাগজের। ক্লাস থ্রি কি ফোর থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তাম হি-ম্যান আর চাচা চৌধুরীর কমিকস আর পুজোর সময় শীর্ষেন্দু-মতি নন্দীর শারদীয় উপন্যাস। সেখানেই একদিন দেখলাম ফুটবলের ওপর বই, অমল দত্তের “ফুটবলের অ-আ-ক-খ”, খুব ভুল না হলে নামটা তাই ছিল। কিনে ফেলা হল। ছোট্ট বই, একদিনেই শেষ করা গেল। ঐ বয়েসে মাঠে যাওয়ার অনুমতি বিকেলে এক ঘণ্টার বেশি ছিল না। তাই যা পড়লাম, তা প্র্যাকটিস করার জায়গা ছিল আমাদের ছোট্ট ঘরটাই। ... ...
দিল ক্যা করে যব কিসিসে কিসিকো প্যার হো গ্যয়া - হয়ত এই রকমই কিছু মনে হয়েছিল ওয়াজিদ আলি শাহের। মা জানাব-ই-আলিয়া ( বা মালিকা কিশওয়ার ) এর জাহাজ ভেসে গেল গঙ্গার বুকে। লক্ষ্য দূর লন্ডন, সেখানে রানী ভিক্টোরিয়ার কাছে সরাসরি এক রাজ্যচ্যুত সন্তানের মায়ের আবেদন জানাতে চললেন তিনি। সঙ্গে আরেক ছেলে সিকন্দর হাশমত। অথচ যার জন্য করা, সেই নবাবই রয়ে গেলেন কলকাতায়। সাল ১৮৫৬। আসলে নবাবটি একটু অন্য ধাতের - যুদ্ধ বিগ্রহ রাজ্য শাসনের থেকে তাঁর মন বেশি গান- নাচ- কবিতা-প্রেম এই সবে।সে বছরই রাজ্য হাতছাড়া হবার প ... ...
অনেক সকালে ঘুম থেকে আমাকে তুলে দিল আমার ভাইঝি শ্রী। কাকা দেখো “ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি”। একটু অবাক হই। জানিস তুই, কাকে বলে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি? ক্লাস এইটে পড়া শ্রী তার নাকের ডগায় চশমা এনে বলে “যে বৃষ্টিতে ইলিশ মাছের গন্ধ বুঝলে? যাও বাজারে যাও। আজ ইলিশ মাছ আনবে কিন্তু।” বাইরের আকাশ আমার ঘর থেকে এখন আর দেখা যায় না। চারপাশে উঁচু উঁচু এ্যাপার্টমেন্ট। তবু চারদিকের বাড়ির গা বেয়ে ঝুরো ঝুরো জলকণা। কবে কারা যেন গঙ্গায় মাছ ধরতে যেত? কবে যেন ঘনি শিখিয়েছিল বৈঠা টানা? মাছের জাল বুনতে বুনতে কত গল্প করতো দয়ারামের দাদ ... ...
দুটো গল্প। একটা আজকেই ব্যাংকে পাওয়া, আর একটা বইয়ে। একদম উল্টো গল্প, দিন আর রাতের মতো উলটো। তবু শেষে মিলেমিশে কি করে যেন একটাই গল্প।ব্যাংকের কেজো আবহাওয়া চুরমার করে দিয়ে চিৎকার করছিল নীচের ছবির লোকটা। কখনো দাঁত দিয়ে নিজের হাত কামড়ে ধরছিল, নাহলে মেঝেয় ঢাঁই ঢাঁই করে কপাল ঠুকছিল, সে কি আওয়াজ! রক্তপাত হবার সমূহ সম্ভাবনা। এক কাস্টমার মহিলা হঠাৎ বলে উঠলেন, ও তো বাইরে গেছিল।মানে কাউন্টার থেকে টাকা নিয়ে বাইরে গেছিল। এখন কম পড়লে ব্যাংক দেবে কেন!লোকটি পাগলের মতো নিজের জুতো খুলে গাল ... ...
কাল রথের মেলা। তাই নিয়ে আনন্দ করার বয়স পেরিয়ে গেছে এটা মনে করাবার দরকার নেই। তবু লিখছি কারণ আজকের সংবাদপত্রের একটি খবর।আমি তাজ্জব কাগজে উকিলবাবুদের কান্ডকারখানা পড়ে। আলিপুর জাজেস কোর্ট ও পুলিশ কোর্টে প্রায় কোন উকিলবাবু নেই, দু চারজন জুনিয়র ছাড়া। কি ব্যাপার, না সবাই রথে পুরী গেছেন। গত বছর তাদের কোন সহকর্মী রথের রশি ধরে টানাটানি করবার পর নাকি হঠাৎ তার পশার চতুর্গুণ বেড়ে যায়। ফোকটে পয়সা করবার এই উপায় ভারী মন টেনেছে যুক্তি নির্ভর উকিলবাবুদের। তাই একবছরেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে তিনশ। দূর দূরা ... ...
প্রথম যৌবন বেলায় রাঙামাটির নান্যাচরের মাওরুম গ্রামে গিয়েছি সমীরণ চাকমার বিয়েতে। সমীরণ দা পরে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন। সেই গ্রুপ ছেড়েছেন, সে-ও অনেকদিন আগের কথা। এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম। কয়েকটি গ্রামের নানা বয়সী নারী-পুরুষ এসেছে সেই বিয়ের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা থেকে নিমন্ত্রিত ত ... ...
আজকে এক বাঙ্গালি বীরের জন্মদিন। আজকে শহীদ আজাদের জন্মদিন। মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার কিংবদন্তীর ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, রুমির সহযোদ্ধা এবং অবশ্যই অবশ্যই মোসাম্মাৎ সাফিয়া বেগমের সন্তান। শহীদ আজাদ হচ্ছেন এমন একজন মানুষ যার কথা বলতে গেলে তার মার কথা বলতে হয় অবধারিত ভাবেই। মার কথা বলব তার আগে আজাদের কথা বলি। শহীদ আজাদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই। নিউ ইস্কাটনে থাকতেন। বাবা তৎকালীন সময়ের বড় ব্যবসায়ী ইউনুস আহমেদ চৌধুরী। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর আজাদ কে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু ক ... ...