এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ

  • গণপিটুনি থেকে আইন বহির্ভূত হত্যাঃ ভিড়ের আদালতে মনুষ্যত্বের পরাভব

    সন্দীপন মজুমদার
    আলোচনা | সমাজ | ০১ জুলাই ২০২৪ | ২৮২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ছবি: রমিত চট্টোপাধ্যায়


    ইংরেজিতে Lynching বললে যা বোঝায় বাংলায় এক কথায় তার প্রতিশব্দ নেই। নেই কারণ আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে কালো মানুষদের পিটিয়ে মারার যে উৎসব প্রচলিত হয়েছিল ১৮৩০ সাল থেকে শুরু করে কিঞ্চিদধিক প্রায় একশত বছর ধরে, তার একমাত্র কারণ হিসেবে বর্ণবিদ্বেষকে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু ভারতে যূথবদ্ধভাবে মানুষ মারার কারণ ভারতের ভাষা, ধর্ম, নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের মতই বহুবিধ। ভারতে স্বাধীনতার প্রাক্কালে দেশবিভাজনের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দিয়ে এই উপমহাদেশের মানুষ এই ধরণের লিঞ্চিংয়ে হাত পাকায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উপাদান ছিল ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। এরপর উল্লেখযোগ্য ১৯৬৯ সালের ৪০ দিন ব্যাপী আমেদাবাদ দাঙ্গা (মৃত সরকারী মতে ৬৬০, বেসরকারীমতে ২০০০)। ১৯৮৪ সালের ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু পরবর্তী এক পক্ষকাল ব্যাপী দিল্লীর শিখ গণহত্যা, ১৯৮৮ সালের দুই মাস ব্যাপী মীরাট দাঙ্গা, ১৯৮৯ সালের একমাস ব্যাপী ভাগলপুর দাঙ্গা, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা, ২০২০ সালের দিল্লী দাঙ্গা। এই দাঙ্গাগুলিতে যে লিঞ্চিংয়ের ঘটনাগুলি ঘটে তার মূল কারণ ধর্মীয় গোষ্ঠীগত পরিচয়ভিত্তিক বিভেদ।

    কিন্তু ভারতের মত দেশে আরো হাজারটা কারণে লিঞ্চিং ঘটে থাকে। ২০১৪ সালের ২১ শে জুলাই দক্ষিণ দিল্লীর কোটলা মুবারকপুরে ২৯ বছরের মণিপুরী যুবক আখা সালৌনিকে পিটিয়ে মারা হয় সামান্য কথা কাটাকাটির জন্য। মারে পাঁচ ছয় জন স্থানীয় যুবক। ২০০৬ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর মহারাষ্টের খৈরলাঞ্জিতে ওবিসি সম্প্রদায়ের কিছু লোক জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে একটি দলিত পরিবারের চারজনকে টেনে বের করে, বিবস্ত্র করে গ্রামে ঘোরায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং সবশেষে পিটিয়ে মারে সবাইকে। ২০১৪ সালের ২রা জুন ২৮ বছরের যুবক মহসীন শেখ, পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী মহারাষ্ট্রে শিবাজী এবং বাল ঠাকরেকে ফেসবুকে কুৎসা করার অভিযোগে রাত্রি নটার সময় মসজিদ থেকে প্রার্থনা করে ফেরার সময় জনতার হাতে লিঞ্চড হয়। এই লিঞ্চিংগুলোর মুখ্য কারণ তাই কোথাও ধর্মীয় বিভেদ, কোথাও উগ্র প্রাদেশিকতা, কোথাও নৃতাত্ত্বিক বিভিন্নতা, কোথাও জাতপাতের ঘৃণা। ২০১৩ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি আসামের রুক্মিণীগাঁও নামক জায়গায় একটি দোকানে চুরির চেষ্টার অপরাধে একটি চোদ্দ বছরের ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলে জনতা। শেষ ঘটনাটি যেখানে ঘটে সেটি মূলত মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকা। সাম্প্রতিককালে মণিপুরে মেইতেই আর কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গণধর্ষণ এবং লিঞ্চিংয়ের অজস্র ঘটনা ঘটেছে, ঘটে চলেছে। তার আগে গত কয়েক বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গোরক্ষক বাহিনীর তাণ্ডবে গোমাংস বহন করার অভিযোগে বেশ কয়েকটি লিঞ্চিংয়ের শিকার হয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।

    আমাদের রাজ্যে সম্প্রতি শিশুচুরির গুজবে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিস এসে কোনোরকমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে না বাঁচালে এগুলি সবই লিঞ্চিংয়ের নজির হয়ে উঠত। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, ভবঘুরে, মহিলা-ছাড় পাচ্ছেন না কেউ। যদিও সারা বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে ছেলেধরা, গরুচোর বা ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতেই থাকে। এগুলি সাধারণত খবরের কাগজের ভেতরের পাতায় ছোট্ট খবর হিসেবে থাকে। পুলিসও নাম-কা-ওয়াস্তে একটা তদন্ত করে কেসগুলি মিটিয়ে দেয়। এই ঘটনাগুলি গ্রামের মানুষ প্রায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘটিয়ে থাকেন। এর পেছনে যে কারণগুলি তারা দেখান তা হচ্ছে (১) পুলিসি অকর্মণ্যতা, (২) দীর্ঘসূত্রী বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা আর (৩) গ্রাম বা অঞ্চলের সুরক্ষা।

    লিঞ্চিয়েংর মধ্য দিয়ে একধরণের ‘বিচারপ্রদান’ করার ন্যায্যতা, বৈধতা এবং ক্ষমতাপ্রয়োগের স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় সমাজ। তাই লিঞ্চিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তেমন হয় না বা হলেও বিরুদ্ধতার কন্ঠস্বর থাকে ক্ষীণ। আদিবাসী সমাজে ডাইনি নাম দিয়ে অসহায় প্রৌঢ়া মহিলাকে লিঞ্চিংয়ের যে ঘটনাগুলো আমরা মাঝে মাঝে শুনতে পাই সেখানে কুসংস্কারের পাশাপাশি এই সামাজিক ক্ষমতাপ্রয়োগ এবং গ্রামসমাজের স্বায়ত্তশাসনের মনোভাবও তাই প্রবল থাকে।

    লিঞ্চিংয়ের প্রেরণা হিসেবে গুজবের ভূমিকা এই উপমহাদেশে একটু বেশি। যখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না তখনও গুজব লিঞ্চিংয়ের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। শোনা যায় ১৯৮২ সালে বিজন সেতুর ওপর ১৭ জন আনন্দমার্গী সাধুদের হত্যার পেছনে ছেলেধরা সংক্রান্ত গুজব রটানোর একটা ভূমিকা ছিল। ১৯৯০ সালে বানতলায় অনিতা দেওয়ান এবং ড্রাইভার অবনী নাইয়ার মৃত্যু এবং আরো দুজন মহিলা অফিসারের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পেছনেও এরকম একটা গুজবের ভূমিকা শোনা গেছিল। গত তিন দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে শহর এলাকায় পরপর লিঞ্চিংয়ের খবর আসছে। ২৮শে জুন কলকাতার বৌবাজার অঞ্চলে একটি ছাত্রাবাসে মোবাইল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয় ইরশাদ আলম নামে ৩৭ বছরের এক গরীব যুবককে। যাঁরা মারলেন তাঁরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এস সি বা এস টি ছাত্র যাদের বাড়ি মফস্বল বা গ্রাম বাংলায়। দু একজন, বিশেষত যার মোবাইল চুরি গেছে বলে অভিযোগ, তাঁরা স্নাতকোত্তর পাশ করে গেছেন। এই ঘটনা অনেকের স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনছে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে ঐ মোবাইল চুরির অভিযোগে কোরপান শাহ নামে জরির কারিগরের গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা। অভিযোগ হবু ডাক্তাররাই তাকে পিটিয়ে মেরেছিলেন। গত ২৯ শে জুন কলকাতার সল্ট লেকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয় একজনকে। ৩০ শে জুন হুগলীর পাণ্ডুয়ায় কথা কাটাকাটির জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মারা হয়। তাই সামাজিক হিংস্রতার প্রকাশ লিঞ্চিংয়ের ট্র্যাডিশন সমানেই চলছে।

    লিঞ্চিংয়ে মানুষ কেন অংশ নেয়? মনস্তাত্ত্বিকরা বলবেন মানুষের ভেতরের আক্রামক প্রবৃত্তি এবং আদিম হিংস্রতা যাকে শিক্ষা,সভ্যতা এবং বিবর্তন চেপে রেখেছে মাত্র তা অনুকূল পরিবেশ পেলে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় শাস্তি না পাওয়ার সম্ভাবনা জনিত বাঁধনছাড়া মনোবৃত্তি (impunity)। এর ওপর যূথবদ্ধ আক্রামকতাকে যখন ধর্ম, জাতি, বর্ণগত বিভেদের নানা বদ্ধমূল ধারণা অনুপ্রেরণা যোগায় তখন তো সোনায় সোহাগা। একই সঙ্গে লিঞ্চিংয়ে থাকে পৌরুষের বিকৃত আস্ফালন, থাকে পিতৃতান্ত্রিক শাস্তিপ্রদানের অহংকার।

    তার মানে মনস্তাত্ত্বিক কারণের সঙ্গে সামাজিক কারণের যোগসাজসেই লিঞ্চিংয়ের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ। এর বিসর্জন কবে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মানুষের অবদমিত হননেচ্ছা যতদিন থাকবে ততদিন লিঞ্চিং ফিরে ফিরে আসবে। তবে একদিকে আইন শৃঙ্খলার সঠিক প্রয়োগ আর তার চেয়েও বেশি করে সমাজতাত্ত্বিক কারণগুলির বিশ্লেষণ এবং অপনোদন প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এই জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো যেতে পারে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ জুলাই ২০২৪ | ২৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০১ জুলাই ২০২৪ ০৩:০১533988
  • ভারতেই এরকম মনস্তাত্বিক সমস্যা এত বেশি কেন?
  • প্যালারাম | ০১ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫০534017
  • "ভারতেই এরকম মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা এত বেশি কেন?"
     
    হয়তো বেশি। তবে বেশি ধরে নেওয়ার মধ্যে একটা বায়াস কাজ করে। এই ডেটাসেটে গোটা লাতিন আমেরিকায় 'রিপোর্টেড' লিঞ্চিংয়ের কালেকশন করা হয়েছে। লিঙ্কের পঞ্চম ছবিতে দেশ ধরে ধরে সংখ্যা দেওয়া আছে। তার কিছু উপরে শুধু মেক্সিকোর ছবিও আছে আলাদা করে।
    অন্যদিকে, ২০১৭-র এই প্রতিবেদনে দু-খানি স্প্রেডশিট দেওয়া আছে, ভারতে ২০১০/১১ থেকে ২০১৭ অবধি লিঞ্চিংয়ের। ৬৩-৬৮ তার সংখ্যা। খুব খানিক জল মেশানো ধরে নিলেও, "ভারতে বেশি" তো কই মনে হচ্ছে না!
    লিঞ্চিং নিয়ে চিন্তা হোক। কী করে এ জিনিস টিকে থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হোক। হুট করে ক-দিন ধরে রাজ্যে কেন বেড়েছে, তা নিয়ে জল্পনাও দরকার...
    কিন্তু ভারতকে খামোকা আলাদা করে দেখে মনে হয় লাভ নেই।
  • যোষিতা | ০১ জুলাই ২০২৪ ১৮:২৫534019
  • হুট করে বেড়েছে কি? 
  • যোষিতা | ০১ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩১534020
  • অবিশ্যি মব লিঞ্চিংএ মেক্সিকো তথা ল্যাটিন অ্যামেরিকার তুলনায় ভালো পোজিশনে যখন ভারত রয়েছে, তাহলে তো ভালই। 
  • মতামত | 46.22.223.178 | ০১ জুলাই ২০২৪ ১৯:১২534023
  • আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে যাদের জীবনে কোনো এচিভমেন্ট নেই, তাদের ভেতরে এই বিশ্বায়নের দুনিয়ায় জন্ম নেওয়া প্রবল জিঘাংসা। এটা দেশে-বিদেশে সর্বত্রই দক্ষিনপন্থী সমর্থকদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এই যোষিতার মতো চাড্ডি এনারাইদের নিয়েও চমৎকার কেস স্টাডি হতে পারে। বিদেশে থেকেও বিশেষ এচিভমেন্ট নেই, ফলে সেখানে কেউ পোঁছে না, ইদিকে আজকাল আর এনারাই বলে কেউ বেশি পাত্তা দেয়না, ফলে ক্ষণে ক্ষণে দেশ কত খারাপ তাই আউড়ে বিদেশে থাকার ফাঁপা অহংকারটাও বজায় রাখতে হবে। এই পরিস্থিতিই চাড্ডি মানসিকতার জন্য অনুকূল। জীবনে কোনো এচিভমেন্ট না থাকলে অন্যের প্রতি একটা লকলকে হিংসা বেরিয়ে আসে। সমাজের নিচুস্তরে সেটা লিনচিংয়ের রূপ নেয়, আবার একই শূন্যবোধ এনারাই চাড্ডিদের জন্ম দেয়।
  • যোষিতা | ০১ জুলাই ২০২৪ ১৯:১৬534024
  • হুশ্। আবার ঐ লুকোনো চাড্ডিটা এসেছে।
    ভাগ!
  • যোষিতা | ০১ জুলাই ২০২৪ ১৯:১৮534025
  • তোর মুরোদ থাকলে নিজের আইপি থেকে লেখ ব্যাটা। তোর ম্যামকে জিগা হারামজাদা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন