এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  উচ্চশিক্ষার আনাচকানাচ

  • নেট পরীক্ষা ও এমসিকিউ - একটি প্রহসন

    উৎপল
    আলোচনা | উচ্চশিক্ষার আনাচকানাচ | ২৪ জুন ২০২৪ | ৮৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • নেট, নিট, এন-টি-এ - সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির দৌলতে এই ত্রয়ী এখন উচ্চশিক্ষার জগতে কলঙ্কিত শব্দগুচ্ছ। নিট কেলেঙ্কারির কথা আগেই প্রকাশিত হয়েছে গুরুর পাতায়। এই লেখায় রইলো একজন সাহিত্যের ছাত্র নেট পরীক্ষার্থীর অভিজ্ঞতার কথা। সাহিত্যবোধ নয়, নিজের ভাষায় বা বোধ অনুযায়ী প্রকাশ করাও নয়, এই নতুন পরীক্ষানীতিতে একমাত্র দক্ষতা মুখস্থবিদ্যা, একমাত্র মাপকাঠি আন্দাজে ঢিল মেরে লাগিয়ে দেওয়া।

    কিন্তু এই অভিজ্ঞতা ব্যক্তিবিশেষের নয়, শুধু সাহিত্যের বা বিজ্ঞানের নয়, এ-ও সবাই জানে। দুর্গতি শুধু ছাত্রের নয়, শিক্ষকের, অভিভাবকের, এবং বৃহত্তর সমাজের। অর্থাৎ, পাঠক আপনার-ও।
    শিক্ষাক্ষেত্রের এই বিপুল ধ্বংসের আয়োজন নিয়ে, এই দুর্যোগ ও দুর্নীতি নিয়ে, নিজের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, অথবা পর্যবেক্ষণ লিখে ফেলুন ব্লগে অথবা পাঠিয়ে দিন আমাদের, গুরুচণ্ডা৯-র ঠিকানায়।



    আজ একটু নিজের কথা বলি। গত কয়েকবছর ধরেই আমি নিজেকে 'ভাষা শহীদ' বলে আসছিলাম। নেহাত মজা করে নয়, বিশ্বাস করে। বাংলা পড়তে এসেছিলাম, অন্য জায়গায় চান্স না পেয়ে নয়, ভালোবেসে। অনায়াসে বি.এসসি ও এম.এসসি-এর মায়া কাটিয়ে, বাড়ির সবার বিরুদ্ধে গিয়ে সাহিত্য পড়ব বলেই সাহিত্য পড়েছি। তখন মনে হয়নি, এর ভবিষ্যত কি। অদূরে অন্নজলের সংস্থান কি হবে তা নিয়েও ভাবিনি। এখন বুঝি ভাবলে ভাল হত। সকলের মতে মাথা যেহেতু খুব একটা মন্দ ছিল না, বিশ্বাস রেখেছিলাম শেষ একটা কিছু নিশ্চয়ই করে উঠব - হয়ত কোনো একটা পছন্দের বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ হবে।

    এখন সে শখ মিটেছে। UGC, NTA ও NET সে শখ মিটিয়ে দিয়েছে। মেধা ও শ্রম এখানে খুব একটা কাজে লাগবে না। সেসব শিকেয় তুলে যদি ভাবা যেত খুব কষে মুখস্থ করে উতরে যাব, তাও সম্ভব নয়। এবার প্রশ্ন হল কেন নয়? উদাহরণ দিই।

    'পুনশ্চ' কাব্যগ্রন্থের যে কবিতাটি উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়ে শেষ হয়েছে, - সেটি হল বলে অতঃপর চারটি বিকল্প। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি 'পুনশ্চ'য় কবিতা সংখ্যা পঞ্চাশটি।




    প্রশ্ন যদি হজম না হয়ে থাকে আরও দুই-একটা উদাহরণ দিই - 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর বিভিন্ন অংশ থেকে পাচঁটি পংক্তি তুলে দেওয়া হল, ক্রমানুসারে সাজাও।





    বিজয়গুপ্তের 'মনসামঙ্গল' ও রামেশ্বর ভট্টাচার্য্যের 'শিবায়ন' থেকেও একই রকম প্রশ্ন। বেশিরভাগ প্রশ্নই করা হয়েছে এমনটাই - "প্রদত্ত সংকেতে শুদ্ধ ক্রমের সঠিক বিকল্পটি হলো -"।




    এর সাথেই, গত কয়েক বছর ধরে আরও যে ধরণের প্রশ্ন আসছে তার থেকেও দুই-একটা বলি -

    এক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটি প্রবন্ধ থেকে নীচে কয়েকটি শুদ্ধ-অশুদ্ধ মন্তব্য দেওয়া হল।




    দুই. 'উজ্জ্বলনীলমণি' থেকে কয়েকটি শুদ্ধ-অশুদ্ধ মন্তব্য দেওয়া হল।

    তিন. 'নবজাতক' কাব্যের কয়েকটি রচনার নাম ও সেগুলি রচনার স্থান দুটি তালিকায় দেওয়া হল - উভয় তালিকার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করো।

    চার. 'ইঁদুর' গল্পের সমাপ্তি বাক্যটি হল -

    পাঁচ. সমর সেনের 'একটি বেকার প্রেমিক' কবিতায় 'কলতলা' শব্দের সঙ্গে প্রথমে 'য়' তারপর 'র' ব্যবহৃত হয়েছে - শুদ্ধ না অশুদ্ধ।

    ছয়. 'পূজারিণী' কবিতার (উল্লেখ্য কবিতাটি ছাপা অক্ষরে ২০ পৃষ্ঠার বেশি) কয়েকটি লাইন - শুদ্ধ ক্রমের সঠিক বিকল্প সাজাও।




    পরের নেট পরীক্ষাটিতে এরা যদি উপন্যাস ও গল্প-প্রবন্ধ থেকে কোন পরিচ্ছেদের পর দাঁড়ি-কমা আছে বা অমুক প্রকাশনীর অমুক পরিচ্ছেদের এত নম্বর পৃষ্ঠায় উক্ত শব্দগুলির শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্বাচন করো জাতীয় প্রশ্ন করে, তাতেও আশ্চর্য হব না। কারণ বুঝে গেছি এদের দ্বারা সবই সম্ভব।

    UGC NET বর্তমানে এমনই এক পরীক্ষা যেখানে মেধা বা শ্রমের কোনও জায়গা নেই, থাকার মধ্যে আছে কেবল আন্দাজ এবং একমাত্র আন্দাজ।

    নেট-এর গণ্ডি পেরিয়ে যারা আশা করে নিজ পছন্দের বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে বা আপাত ভাবে JRF এর টাকায় অস্বচ্ছল বাড়িটিকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবে ও ভবিষ্যতে একটি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনের প্রত্যাশায় রাতের পর রাত, মাসের পর মাস পরিশ্রম করে চলেছে - তাদের স্বপ্নকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে রাষ্ট্রের মামদোবাজি। যত জানবে তত কম মানবে- এই তো নিয়ম। ফলে উচ্চশিক্ষা নিতান্ত খারাপ জিনিস, তার জন্য খরচ বাজে খরচ। ফলাফল পরীক্ষা শেষের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সে পরীক্ষা বাতিলের খাতায়। শোনা যাচ্ছে বাতিল পরীক্ষা আবার হবে। আমরা যারা পরীক্ষায় বসব, তারা আবার করে একটি প্রহসনের মুখোমুখি হব, এম সি কিউ নির্ধারণ করবে আমাদের সাহিত্য পাঠের দক্ষতা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ জুন ২০২৪ | ৮৫৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    খুশি - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:1d8c:2239:9c77:5033 | ২৪ জুন ২০২৪ ২২:১৬533681
  • সাহিত্যের পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন !!! 
  • যোষিতা | ২৫ জুন ২০২৪ ০৩:৩১533685
  • জঘন্য টাইপের মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন। পেপার যারা সেট করেছে তাদের আচ্ছা করে ক্যালানো উচিত।
  • :|: | 174.251.163.104 | ২৫ জুন ২০২৪ ০৩:৫১533686
  • এই পূজারিণী কার? এই ছত্রগুলি তো নৃপতি বিম্বিসারের নয়! তবে? 
  • :|: | 174.251.163.104 | ২৫ জুন ২০২৪ ০৩:৫৪533687
  • ওরে বাবা। নজরুলের পূজারিণী। বি-শা-ল!
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুন ২০২৪ ০৪:২৭533688
  • নজরুলেরও যে পূজারিণী কবিতা আছে, সেইটাই জানতাম না। আজ নেটে খুঁজে দেখলাম বিশাল তো বটেই, তাছাড়া ওঁর বিদ্রোহী, আমার কৈফিয়ৎ ইত্যাদি কবিতার ধারেকাছেও না কবিতা হিসেবে।
  • অরিন | 132.181.180.107 | ২৫ জুন ২০২৪ ০৭:৪৮533690
  • এরা বেসিকালি মুখস্ত বিদ্যার ক্ষমতার পরীক্ষা নিচ্ছে, এই জাতীয় পরীক্ষা বড়োজোর স্কুল কলেজে সেমেস্টার  এর পরীক্ষায় চলে, যেখানে গবেষক বা অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে, সেখানে এমন ভাবে এই ধরণের পরীক্ষাগুলো সাজানো যেত যাতে পরীক্ষার্থীদের মৌলিক চিন্তার পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারত, সেক্ষেত্রে যারা পরীক্ষার প্রশ্ন সেট করবেন, তাঁদের নিজেদেরও মৌলিক চিন্তার ব্যাপারটা থাকার কথা, এদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সেট করার বহর দেখে বোঝা যাচ্ছে সে ক্ষমতা এদের কতটা, ;-) 
     
    তার ওপর পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর ভাষা দেখুন, "'অমুক তমুক তালিকার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান "করো"।
    করো মানে টা কি ? যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরা কি শিশু না ইশকুলের ছাত্তর? 
     
    এনারা রীতিমতন প্রাপ্তবয়স্ক গবেষক, বা শিক্ষক, তাঁদের সম্মান সূচক সম্বোধন কেন করা হবে না? এইখানে একটা ব্যাপার আছে, যে, ' 'অমুক তমুক তালিকার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান "করুন" ' যদি প্রশ্নপত্রে বলতে হয় বা লিখতে হয় তাহলে "তালিকার মধ্যে সামঞ্জস্য  বিধানের" মতন Bloom সাহেবের Taxonomy র নিচের সারিতে অবস্থিত ক্যাটেগরির পরীক্ষা নেওয়া বা সেই মতো প্রশ্ন সেট করা চাপের হয়ে যায় কিনা । এতে করে তো আর পরীক্ষার্থীর evaluation বা জ্ঞান সৃষ্টির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না ।
     
     
    Bloom সাহেবের Taxonomy  অনুযায়ী জ্ঞানের ক্যাটেগরি ।
     
     কাজেই কতগুলো স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের যেভাবে মুখস্ত বিদ্যার ক্ষমতার পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেগুলোকে এলোমেলো করে সাজিয়ে এই ধরণের জামাই ঠকানো প্রশ্নের  উদ্যোগ! 
     
    সমস্যাটি এমসিকিউর নয়, পরীক্ষকদের । 
     
    সত্যি প্রহসন চলছে! 
  • b | 14.139.196.230 | ২৫ জুন ২০২৪ ০৮:৪৭533691
  • বহুদিন আগে ইউ জি সি নেট (আর্ট্স) পরীক্ষায় তিনটে সেকশন থাকতো। এক লজিক্যাল রিজনিং ও গণিতের (ক্লাস টেন) এর দক্ষতা, এটা সবাইকে দিতে হত।  দুই বিষয়ভিত্তিক এম সি কিউ  (অনেকটা উৎপল যা লিখেছেন সে রকম), কিন্তু এর মধ্যে মান নেবে গেছে কি না জানি না।  তিন, বিষয়্ভিত্তিক এসে টাইপ প্রশ্ন ও উত্তর, তাতে অনেকটাই খেলিয়ে লেখার সুযোগ ছিলো। সেগুলোর মানও যে খুব উঁচু ছিলো তা নয়। সংক্ষেপে বলি, পাঁচ ছয় বছরের কোশ্চেন ব্যাংক ও দিল্লির সুলতান চাঁদ পাব্লিকেশনের চোথা বই থেকে "ম্যানেজ" হয়ে যেতো, অন্ততঃ আমাদের সাবজেক্টে।
  • অরিন | ২৫ জুন ২০২৪ ১০:৩৭533694
  • এ যা পরীক্ষার বর্ণনা দিলেন,এ তো ভাল। এখন আর এরকম হয় না?
  • Kishore Ghosal | ২৫ জুন ২০২৪ ১১:৩৭533695
  •  ছ্যাঃ এর থেকে আমাদের মাধ্যমিকের  বাংলার পরীক্ষা-পদ্ধতি (১৯৭৬ -প্রথম ব্যাচ) অনেক যুক্তিযুক্ত ছিল। কবিতা উদ্ধৃতির ব্যাখ্যা, কিংবা গল্পের নামকরণের সার্থকতা ইত্যাদি লিখে নিজের কেরদানি দেখানোর সুযোগ ছিল। হ্যাঁ নোটবই - কিংবা "ছাত্রবন্ধু" তখনও ছিল, সে সব মুখস্থ করে বহু বন্ধুকে পাতা ভরিয়ে লিখতেও দেখেছি - কিন্তু তার মধ্যেও যারা মেধাবী তাদের সুযোগ থাকত নিজেদের প্রকাশ করার, পরীক্ষকরাও সে লেখার মান বুঝতেন। 
     
    কিন্তু আধুনিক পরীক্ষার  এই যে নমুনা দেখলাম, এ তো প্রশ্ন ফাঁস এবং গণ টোকাটুকির সাদর আমন্ত্রণ! সে আমন্ত্রণে লক্ষ-লক্ষ টাকার হাতছানিও যে আসবে - তাতে আর আশ্চর্য কি? 
  • guru | 115.187.51.210 | ২৫ জুন ২০২৪ ১৩:৩৫533698
  • আমিও লেখকের সঙ্গে একমত | আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপরে (subject কোড :৯০ Poliitics including international Relations এন্ড এরিয়া স্টাডিস ) UGC NET দিয়েছি গত মঙ্গলবারে | 
     
    সেখানে শিবাজীর উপরে একটি প্রশ্ন ছিল | শিবাজীর ৪ টি যুদ্ধের উপরে সাল তারিখ অনুযায়ী আগে পরে একটি লিস্ট বানাতে হতো | অর্থাৎ কোন যুদ্ধটি আগে কোনটি পরে সেটির লিস্ট মাল্টিপল চয়েসের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হতো |ঘটনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সঙ্গে শিবাজীর কি সম্পর্ক ? 
     
     
  • সাম্রাজ্যবাদ | 103.249.39.163 | ২৫ জুন ২০২৪ ১৪:৩০533699
  • কিছু করার নেই ,সোশ্যালিস্ট ব্লকগুলো বিলুপ্ত হয়ে যবে থেকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ একচেটিয়াভাবে দাপাচ্ছে ,তবে থেকেই এম সি কিউ প্যাটার্নের শুরু। এম সি কিউ প্যাটার্ন ওঠাতে হলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করতে হবে। এর বিকল্প কিছু নেই। কিচ্ছু নেই। পিরিয়ড।
    ( এটা আঁচ করে ষাট সত্তরের দশক থেকেই মনস্বী শিবদাস ঘোষ তাঁর পার্টি অফিসে পার্টি কমরেডদের এম সি কিউ সলভ করার টেকনিকও শেখাতেন পার্টি ক্লাসগুলোতে) 
  • s | 100.36.114.105 | ২৫ জুন ২০২৪ ২০:২১533704
  • নেট পরীক্ষার এই দশা দেখে খুব খারাপ লাগল। কি আর বালি। 
     
    মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দেখেও বেশ মজা লাগল। আমাদের ছোটবেলায় শুনাতাম মার্কিন সামরাজ্যবাদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও ইত্যাদি। তারপর তো গঙ্গা থেকে মিসিসিপি - অনেক জল বয়ে গেল। 
    তা এই মার্কিন দেশের এক পাবলিক স্কুলের ইতিহাস পড়ানোর একটু গল্প বলি। আমার ছেলে যখন এলিমেন্টারী স্কুলে পড়ত তখন ভার্জিনিয়ার জেমসটাউন বলে এক শহরে গিয়েছিল ফিল্ড ট্রিপে। জেমসটাউনে ব্রিটিশরা প্রথম কলোনি তৈরী করেছিল। সেখানে কলোনিস্টদের বাড়িঘর , কামারশালা , ফসল রাখার গুদামঘর , পুরোনো পোস্ট অফিস এই সবা রাখা আছে। বাচ্চারা সারাদিন ঘুরে ঘুরে এইসব দেখল। ফিরে আসার পর তাদের একটা আসাইনমেন্ট দেওয়া হল। ধর তুমি এক বেকার যুবক , ইংল্যান্ডে কাজের সুবিধে হচ্ছে না। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যে তুমি একদিন জাহাজে চড়ে বসলে আর জেমসটাউনে এসে নামলে। জাহাজে চড়া থেকে তুমি ডায়রি লেখা শুরু করেছ আর জেমসটাউনে এসেও তুমি রোজ ডায়রি লিখেছ। এরপর একদিন ক্লাসটিচার সবার ডায়েরি আলোচনা করলেন। ঘটনাচক্রে আমি সেদিন ক্লাসে ছিলাম। সে একেবারে আনফিল্টার্ড কল্পনা। ভীষণ মজা লেগেছিল। কল্পনা হয়েও খুবই লজিকাল , নতুন দেশ দেখার আনন্দ , পুরানো দেশ ছাড়ার দু:খ , সবই শুনেছিলাম। মানবচরিত্র সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছিলাম সেদিন। 
    আর স্কুলটা পাবলিক মানে সরকারি স্কুল। বছরের প্রথমে কিছু খাতা পেনসিল কিনে দেওয়া ছাড়া আর কিছু খরচা লাগত না। ফিল্ড ট্রিপের জন্যে অল্প কিছু টাকা দিতে হয়েছিল। 
  • :|: | 174.251.163.104 | ২৬ জুন ২০২৪ ০৩:৩৬533708
  • "ঘটনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সঙ্গে শিবাজীর কি সম্পর্ক ?"
    এই বিষয়টি একটি টই বা বুবুভা দাবী করে ;) এক্কথায় উত্তর দেওয়া অসম্ভব। একটু ধরতাই দেই। বিখ্যাত প্রবাদ আছে "কোথায় খাপ খুলেছো শিবাজী -- এ যে পলাশী!" সেই পলাশী যেখান থেকে ভারতবর্ষ এবং গ্রেট ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হলো। 
  • :|: | 174.251.163.104 | ২৬ জুন ২০২৪ ১০:৪৭533717
  • ঠিক। বাণিজ্যিক কূটনীতি শুরু হয়েছিলো আগেই। কিন্তু রাজনৈতিক কূটনীতি বোধহয় শুরু হয় পলাশীর যুদ্ধের শর্বরী পোহালে বণিকের মানদন্ড রাজদন্ড রূপে দেখা দিলে পরে। এখন আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বাণিজ্য এবং রাজনীতি দুইই গুরুত্বপূর্ণ হবার প্রভূত সম্ভাবনা। 
  • অরিন | ২৬ জুন ২০২৪ ১১:৫৫533718
  • হ্যাঁ । 
    পলাশীর যুদ্ধ একটি টার্নিং পয়েন্ট বলা যেতে পারে যেখানে বাণিজ্যিক কূটনীতি, রাজনৈতিক কূটনীতি এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে ভেদরেখাটি ক্রমশ মুছে যেতে থাকে । এর কয়েক বছর পরে দক্ষিণ গোলার্ধে ইংরেজ নিউ জিল্যান্ড আবিষ্কার করবে, এবং মাওরিদের সঙ্গে ঊনবিংশ শতকে এই এক রকম অত্যাচার ও যুদ্ধ শুরু  হবে,, যে কোম্পানি এই দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত, তার নাম নিউ জিল্যান্ড কোম্পানি, এবং, কি আশ্চর্য্য, :-), তার বোর্ড অব ডিরেক্টর্সদের মধ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরা ছিলেন, যে সমস্ত জাহাজ আসত, তাদের সঙ্গে বাংলায় নোঙ্গর এবং বাঙালি জাহাজী লস্করদের এই সব দেশে আসার একটা ব্যাপার ছিল, বস্তুত ১৮১০ সালে এক বাঙালি নাবিক ব্রিটিশ জাহাজ থেকে বে অব প্লেনটিতে  উধাও হয়ে যান, পরে জনৈক মাওরি মহিলা কে বিয়ে করে স্থিতু হন (দেখুন, https://www.ethniccommunities.govt.nz/assets/Resources/08c3cf72c7/Caste-Away-Maori-Indian.pdf )   ।   দুটো দেশের কলোনির ইতিহাসের মধ্যে এক ধরণের সাযুজ্য আছে, যেখানে বাংলায় আর Aotearoa নিউ জিলান্ডে  "জন কোম্পানি"র রাজ্য বিস্তারের আর স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংঘাতের ইতিহাসের পাঠ পড়বার মতন ব্যাপার । 
  • এলেবেলে | ২৬ জুন ২০২৪ ১৩:১৭533722
  • শুধু নেট পরীক্ষাকে প্রহসন বললে আংশিক বলা হয়। কারণ এটি একটি চাকরি পাওয়ার ছাড়পত্র, যার দৌলতে নেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা সর্বভারতীয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারে মাত্র। যদিও আবেদন করলেই চাকরি মিলবে, এমন নিশ্চয়তা আদৌ নেই। আদতে এটি একটি এলিমিনেশন টেস্ট যার সুবাদে প্রচুর চাকরিপ্রার্থীকে প্রথম সুযোগেই ছিটকে দেওয়া যায়। এবং আমার পরিচিত একজনও এক চান্সে এই পরীক্ষা পাস করেছে, এমন উদাহরণ নেই।
     
    পরীক্ষাটির দুটি স্তর - ১০০ নম্বর জেনারেল পেপার এবং বাকি ২০০ নম্বর বিষয়কেন্দ্রিক। এই জেনারেল পেপারেই অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ঘায়েল হয়। দুনিয়ার হেন জিনিস নেই যা এই পেপারে ভদ্রস্থ নম্বর পাওয়ার জন্য পড়তে হয় না। আগে বিষয়কেন্দ্রিক পরীক্ষায় খানিকটা সাবজেক্টিভ প্রশ্ন থাকত যেখানে ভালো ছেলেমেয়েরা তাদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পেত। এখন ওএমআর শিটে খাতা দেখার দৌলতে সবই এমসিকিউ প্রশ্ন যার খানিক নমুনা লেখক দিয়েছেন।
     
    কিন্তু এই ঘন্টার পরীক্ষায় পাস করে হবেটা কী? এই রাজ্যের কলেজগুলোতে অধ্যাপক নিয়োগের শেষ বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত কলেজ সার্ভিস কমিশন সমস্ত বিষয়ের হবু অধ্যাপকদের নিয়োগ করে উঠতে পারেনি। যদি ধরে নেওয়া যায় এ বছরের শেষে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তাহলে পরবর্তী বিজ্ঞাপন বেরোবে ২০২৫ সালে (মানে সরকার আদৌ যদি সে ইচ্ছা পোষণ করে আর কি)। তার মানে চাকরি পেতে গেলে এই নেট উত্তীর্ণরা এবং আগের বারের অধ্যাপনার জন্য অসফল অথচ নেট উত্তীর্ণদের অপেক্ষা করতে হবে ২০৩০ বা ৩১ সাল পর্যন্ত। কিন্তু মজার কথা হল, নেট ঘোটালা নিয়ে যত কথা হচ্ছে এই ধীরগতির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তার দশ শতাংশ কথাও খরচ করা হচ্ছে না।
     
    মজার আরও বাকি আছে। এই রাজ্যে সম্ভবত এই একটি পরীক্ষা আছে যেখানে আবেদনকারীরা আবেদন করার সময় তো বটেই, এমনকি পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও শূন্য পদের সংখ্যা জানতে পারে না। তারা অধ্যাপনা করার স্বপ্ন নিয়ে সিএসসি-তে বসে এবং ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে শূন্য পদের সংখ্যা দেখে চমকে চৌতিরিশ হয়ে যায়। বিশ্বাস না হলে সিএসসি-র সাইটে গিয়ে এ বছরে বিভিন্ন বিষয়ে নিযুক্ত অধ্যাপকদের সংখ্যা দেখে চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন করে নিতে পারেন। বিশেষত এমন কিছু বিষয় যা রাজ্যের প্রায় সব কলেজেই পড়ানো হয়, সেখানে নিযুক্ত অধ্যাপকের সংখ্যা সাকুল্যে ২৫ জনও ছাড়ায়নি, এমন নিদর্শনও আছে।
     
    সঙ্গে উপরি হিসাবে আছে শাসক দলের তাবেদারি এবং টাকার বিনিময়ে চাকরি বাগানো। শোনা গেছে, এ বছরে অধ্যাপকপিছু 'রেট' ছিল ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। সর্বোপরি একজন ছাত্র বা ছাত্রীও জানে না কোন কারণে সে নির্বাচিত হল বা দৌড় থেকে ছিটকে গেল - কারণ তারা অ্যাকাডেমিক স্কোর এবং ইন্টারভিউ বাবদ বরাদ্দ নম্বরের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে। 
     
    এবারে আসি সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা দিয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যে কলেজে পড়ানোর সুযোগসুবিধা নিয়ে। প্রায় সারা দেশে অধ্যাপনার প্রথম ন্যূনতম শর্তটি হল সেই রাজ্যের ভাষার ওপর চমৎকার দখল। এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা হিন্দিভাষী অঞ্চলের কলেজগুলিতে সংখ্যায় কতজন আছেন, খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। দেখতে পারেন দক্ষিণ ভারতের কলেজগুলির চিত্রও। 
     
    কাজেই শেষ বিচারে নেট একটি আস্ত ধোকার টাটি। পাস করলে স্বর্গের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যাবে, এমন স্বপ্ন না দেখাই ভালো। শুধু একবার পাস করে গেলে ওই পরীক্ষাটিতে আর বসতে হবে না, এটুকুই যা প্রাপ্তি।
  • সাম্রাজ্যবাদ | 103.249.39.163 | ২৬ জুন ২০২৪ ১৪:৫০533724
  • @এলেবেলেদা
     
    নেট পরীক্ষায় পাশ করলে পিএইচডি করতে গেলে পাঁচ বছর ফেলোশিপ পাবে, এর জন্য নেট পরীক্ষার ভিড়।
    আর একটা কথা বলি, অনেকেই মানতে চাইবেন না, জানি, একাডেমিক্স সেক্টরে সেটলড হতে গেলে, সেটা অধ্যাপনাই হোক বা গবেষণাই হোক, চ্যানেলবাজি একটা বিরাট ফ্যাক্টর। কোন প্রভাবশালী অধ্যাপকের সাথে চেনাজানা আছে কি নেই, এটা বিরাট ম্যাটার করে। টাকার বাইরে এটা একপ্রকার আইনি দুর্নীতি। 
  • এলেবেলে | ২৬ জুন ২০২৪ ১৭:৩১533733
  • সাম্রাজ্যবাদ, আবারও বলি আপনার কথা আংশিক সত্যি। বছর পাঁচেক আগেও মাস্টার্স পাস করার পরেই কোনও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে চান্স পাওয়া মুশকিলই ছিল না, নামুমকিন ছিল। তখন একটি দু বছরের প্রোবেশনারি পিরিয়ড ছিল যার গালভরা ডিগ্রিটির নাম ছিল এম ফিল। সেটা নেট না পেলেও পাওয়া যেত, কারণ রেট বলে একটা পরীক্ষা ছিল এবং অধ্যাপকদের এই ডিগ্রিটি হাসিল করা বাধ্যতামূলক ছিল, শিক্ষকদের বি এড-এর মতোই। স্কলারশিপ ছিল মাসে মাত্র ৫ হাজার টাকা।
     
    কিছু দিন আগে পর্যন্তও এই রেট দিয়ে পিএইচডিতেও চান্স পাওয়ার সুযোগ ছিল যদিও বর্তমানে নেট পাস করা মাস্ট হয়ে গেছে। এম ফিলও আর বাধ্যতামূলক নেই। কিন্তু নেট পাস করলেই পিএইচডি-তে সুযোগ পাওয়া অত সহজ নয় কারণ আসন সংখ্যার স্বল্পতা। এবং এখানে স্কলারশিপ শেষ কবে বেড়েছে কেউ জানে না। এখন পাওয়া যায় মাসে ৮ হাজার টাকা। কাজেই এই ৮ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য ছেলেমেয়েরা নেট দেওয়ার জন্য লাইন লাগিয়েছে এবং টকাটক পিএইচডি করতে ঢুকে যাচ্ছে, বিষয়টা এত সহজ-সরল নয়।
     
    চ্যানেলবাজি যে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল না বা এখনও নেই, তা বলব না। তবে এই বছরের সিএসসি-র ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ ও ডি (নাম শুনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটা আন্দাজ করতে পারবেন) তাঁর ছাত্রকে এবং অন্য এক অধ্যাপক তাঁর স্ত্রীকে কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি 'পাইয়ে দিতে' পারেননি।
     
    আসলে যেটা বলতে চাইছি সেটা হল এই নেট কেলেঙ্কারি শিক্ষাক্ষেত্রে র‍্যামপান্ট দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, আর্থিক লেনদেন - ইত্যাদি নানা বিষয় সমন্বিত বিরাট আকারের হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
  • সাম্রাজ্যবাদ | 103.249.39.163 | ২৬ জুন ২০২৪ ১৭:৩৮533734
  • @এলেবেলেদা 
    যা বলেছেন , পুরোটাই একমত , তবে নেট এর ফেলোশিপ টা একটু ক্রশ চেক করবেন, আমি যতদূর জানি ,নেট এর ফেলোশিপ অত কম নয় , এখন যথেষ্ট ভাল ফেলোশিপ , ত্রিশ হাজারের বেশি হবে তবু কম নয় , তায় ইনকাম ট্যাক্স ফ্রি। আট হাজার নয় মনে হয়। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3e79:4ce7:266f:9b07 | ২৬ জুন ২০২৪ ১৭:৪৮533735
  • মাঝে মাঝে খবর দেখি কলেজে কলেজে, এমনকি প্রেসিডেন্সির মত কলেজেও, সিট ভরানো একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি ছাত্র ছাত্রীরা কলেজে পড়তেই না আসে তো শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?
  • সাম্রাজ্যবাদ | 103.249.39.163 | ২৬ জুন ২০২৪ ১৮:০১533739
  • এখন স্টুডেন্টদের একটা অংশ ডিগ্রী মুখী শিক্ষার থেকে কেরিয়ারমুখী শিক্ষার দিকে যাচ্ছে। তাই ডিগ্রী কলেজগুলোতে সিট খালি থাকছে। এমনটা মনে হয়। যদিও ডিটেইলস ডেটা নেই
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3e79:4ce7:266f:9b07 | ২৬ জুন ২০২৪ ১৮:১৬533742
  • এই সিট খালি থাকার খবরটা মনে পড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর সম্পর্কেও দেখেছি। যাদবপুর শিবপুরের মত কয়েকটা ওপরের দিকের কলেজ বাদ দিলে নাকি বহু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই সিট ফাঁকা থাকে। সেটা কি ঠিক?
  • এলেবেলে | ২৬ জুন ২০২৪ ১৮:২৮533744
  • সাম্রাজ্যবাদ, নন-জেআরএফ ফেলোশিপ এখনও ৮ হাজার টাকাই। জেআরএফ ক্র্যাক করলে সেটা ২৬ হাজারের আশেপাশে। এখন পিএইচডি করা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কতজন জেআরএফ ক্রাক করেছে বা করতে পারে, সেটা জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দেবেন না প্লিজ।
     
    পলিটিশিয়ান, সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলোতে চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন চালু হওয়ার পরে এবং দীর্ঘ দিন এ রাজ্যে শিক্ষক-অধ্যাপক নিয়মিত নিয়োগ না করার কারণে কলেজগুলোতে সমস্ত বিষয়েই প্রচুর আসন ফাঁকা যাচ্ছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর হালও একই। আর বিএড কলেজগুলোর হাল কহতব্য নয়। প্রায় ৯০% কলেজে বিষয়ভিত্তিক স্থায়ী অধ্যাপকের সংখ্যা একজন বা বড়জোর ২ জন। বাকিটা চলছে স্যাক্টদের দিয়ে এবং সেই নিয়োগও আপাতত বন্ধ। কাজেই পড়ারও কেউ নেই, পড়ানোরও।
  • Bimon Sarkar | ২৬ জুন ২০২৪ ১৮:৫৬533745
  • জে আর এফ এর ফেলোশিপ স্টাইপেন্ড এখন 37,000 + HRA এবং এস আর এফ ফেলোশিপ স্টাইপেন্ড 42,000+ HRA। গতবছর থেকে স্টাইপেন্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • কৌতূহল | 2a0b:f4c2:4::109 | ২৭ জুন ২০২৪ ০৫:১৫533759
  • জে আর এফ কি কোন পরীক্ষা?
  • kk | 172.56.33.28 | ২৭ জুন ২০২৪ ০৮:০১533766
  • জে আর এফ মানে জুনিয়র রিসার্চ ফেলো। এস আর এফ হলো সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। পিএইচডি করতে ঢুকে সাধারণত প্রথম দু বছর জেআরএফ হয়ে থাকতে হয়। তারপর কতখানি কাজ হয়েছে তার ওপরে নির্ভর করে সে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হবার জন্য রেডি কিনা। তখন কাজের মূল্যায়ণ হয়। পরীক্ষক সন্তুষ্ট হলে তখন এস আর এফ এ প্রোমোশন দেন।
  • kk | 172.56.33.28 | ২৭ জুন ২০২৪ ০৮:০৪533767
  • এই নিয়ম আমাদের সময়ে ছিলো। এখনও একই আছে কিনা তা অবশ্য জানিনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন