পয়লা অক্টোবর, দক্ষিণ-নৈর্ঋত কোণ বরাবর চার ঘণ্টা হাঁটার পর জিওয়ানি নামের একটা বড় জলাশয়ের কাছে পৌঁছলাম। একটা বিশালাকার ডুমুর গাছ (স্থানীয় ভাষায় এমকুয়ু), উন্যামওয়েজির বনের দৈত্যাকার গাছগুলোর মধ্যে একটা, তার ছায়ায় একটা পুরানো আধ-পোড়া বেড়া-ঘেরা থাকার জায়গা দেখলাম - এক ঘণ্টার মধ্যে সেটা একটা দুর্দান্ত শিবিরাবাসে রূপান্তরিত হল। ... ...
২৮ তারিখে আমরা উগান্ডা থেকে সোয়া তিন ঘণ্টা দূরে বেনটা নামের এক গ্রামে পৌঁছলাম। জঙ্গলের কোলে একটা ছোট সুরক্ষিত গ্রাম। উগান্ডার ভুট্টা ক্ষেতের মধ্য দিয়ে পথ চলেছে। ... ...
এ অধ্যায়ে চলছে উজিজির পথে রওনা হয়ে উগান্ডা গ্রামে পৌঁছনর বর্ণনা। ... ...
এ অধ্যায়ে চলছে উজিজির পথে যাত্রার বর্ণনা। ... ...
এ অধ্যায়ে শুরু হল উজিজির পথে যাত্রা। ... ...
"উন্যানয়েম্বেতে আছি প্রায় তিন মাস হল, এখনও এখানেই আছি, তবে আশা করছি তেইশ তারিখের আগেই এখান থেকে চলে যাব।" - এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বে ছেড়ে যাওয়ার তোড়জোড়। ... ...
প্রথমবার অফশোর সারভাইভ্যাল ট্রেনিং করতে যাচ্ছি – আমাকে ঠিকানা দিয়ে দেওয়া হল ট্রেনিং সেন্টারের – ম্যাপ দেখে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। শেষে গিয়ে পোঁছলাম – এখানে আমাদের কোম্পানির হাজারো কিসিমের ট্রেনিং হয় – জঙ্গলের মধ্যে একটা নদীর পাশে। এই ট্রেনিং নিয়েই আলাদা করে লেখা যায় – তবে আজকের লেখা প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি অফশোর সারভাইভ্যাল ট্রেনিং এক সপ্তাহের হয়। থিওরি থেকে শুরু করে প্রচুর প্র্যাক্টিক্যাল – পাশ করলে তবেই সার্টিফিকেট। অনেক কিছু শিখতে হত – আগুন কেমন করে নেভাবেন, ফার্স্ট-এড, এক বোট থেকে অন্য বোটে কি ভাবে দড়ি দিয়ে ঝুলে ট্রান্সফার করবেন নিজেকে, প্ল্যাটফর্মে বিপদ হলে জলে কেমনভাবে ঝাঁপ মারবেন, লাইফ-বোট কি ভাবে অপারেট করবেন – ইত্যাদি। পাঁচ দিনের মধ্যে দুই দিন প্রায় জলেই কাটাতে হত – বিশাল সুইমিং পুলের মত ব্যবস্থা আছে, যদিও গভীরতা সাধারণ সুইমিং পুলের থেকে অনেক বেশি। সেখানে শেখানো হত জলে বেঁচে থাকার পদ্ধতি – লাইফবোট না থাকলে কতক্ষণ জলে ভেসে থাকা যায় গ্রুপ করে ইত্যাদি। ... ...
এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও উজিজির দিকে এগিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু। ... ...
এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও ফের লিভিংস্টোনের খোঁজ শুরুর কাহিনী। ... ...
এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও মিরাম্বোর সঙ্গে আর এক প্রস্থ যুদ্ধ। ... ...
সকালে উঠে ব্রাশ্ করে কচৌরি গলিতে কচুরি খেতে যাওয়ার সময় মনটা লুচি-লুচি হয়ে থাকে। আলতো করে ফুলে ওঠা লুচি। কিন্তু আঙুল দিয়ে টোকা মেরে ফুটো করে গরম বাষ্প বের করে দিলে লুচির যেমন অবস্থা হয়, হঠাৎ মনেরও তাই। কিছুদূর যেতেই তিনজনের সঙ্গে দেখা। ম্যাটাডোরে পাশাপাশি শুয়ে আছেন ওঁরা। পা থেকে মাথা পর্যন্ত কমলা-হলুদ কাপড়ে মোড়া। জ্বলছে ধুপ। ইতস্তত গাঁদার পাপড়ি। সবাই এক আঙুলে প্রণাম সারছে। পথচারী কেউই খুব একটা বিচলিত নয়। তিনজনেরই গন্তব্য মণিকর্ণিকা। মুখ হাঁ হয়ে যায়। এ কি সিস্টেম? আমাদের শ্মশান হয় গ্রামের প্রান্তে, শহরের উপকণ্ঠে। শহরের মধ্যিখানে শ্মশান? না হওয়ার হাজার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে, জানি। .... অত জানি না। তবে মণিকর্ণিকা কান ধরে শিখিয়ে দেয় - আজ যারা জিলিপি খেতে খেতে প্রণাম ঠুকলে, কাল এই জিলিপি প্রণাম যে তাদেরই প্রাপ্য হবে না - এই গ্যারান্টি খোদ মহাদেবও দিতে পারবেন না। ... ...
এ অধ্যায়ে স্ট্যানলে ফের শুরু করলেন উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও লিভিংস্টোনের খবরাখবর। ... ...
এ অধ্যায়ে স্ট্যানলে বর্ণনা করছেন এক আফ্রিকান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধ যুদ্ধের কথা। ... ...
এ অধ্যায়ে স্ট্যানলে বর্ণনা করছেন এক আফ্রিকান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধ যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা। ... ...
উন্যানয়েম্বে ১৯ শতকে একটি রাজ্য ছিল। এখানে বাস করতেন মূলত নিয়ামওয়েজি গোষ্ঠীর মানুষেরা। গত দু'অধ্যায় থেকেই স্ট্যানলে বর্ণনা করছেন উন্যানয়েম্বে রাজ্যের মানুষদের কথা। ... ...
উন্যানয়েম্বে ১৯ শতকে একটি রাজ্য ছিল। এখানে বাস করতেন মূলত নিয়ামওয়েজি গোষ্ঠীর মানুষেরা। গত অধ্যায় থেকেই স্ট্যানলে বর্ণনা করছেন উন্যানয়েম্বে রাজ্যের মানুষদের কথা। ... ...
ডোকরার কাজে বিশেষ ধরনের মোম লাগে। মোম দিয়ে নকশার বিষয়টা বুঝতে পারছিলাম না আমরা। প্রবীণ শিল্পী অশৈল্পিক চারজনকে হাতে কলমে দেখিয়ে দিলেন। সরু সুতোর মতো মোম দিয়ে কচ্ছপের ছাঁচের পিঠে নকশা করলেন। জ্যান্ত কচ্ছপের পিঠে যেমন ছোপ দেখা যায় তার একটা ছাঁদ। মোম দিয়ে চোখ তৈরি করলেন। ছাঁচের নকশার জন্য বিভিন্ন আকার লাগে। গোল, তিন কোণা। শিল্পী প্রথমে সেই কেন্দু কাঠের টুকরো দিয়ে মোম পিষে লম্বা, চ্যাপ্টা করে নেন। তার পর মাপ অনুযায়ী কেটে নেন। কেন্দু কাঠের টুকরো দিয়ে মোম পেষাইয়ের পদ্ধতিটা বাবালা আর ইন্দ্রর চেনা লেগেছিল। ওদের কথায়, সোনার কাজে যে দলনা মেশিন ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। সেটি যন্ত্র, ডোকরার দলনা কেঠো। ... ...
উন্যানয়েম্বে ১৯ শতকে একটি রাজ্য ছিল। এখানে বাস করতেন মূলত নিয়ামওয়েজি গোষ্ঠীর মানুষেরা। এই অঞ্চলেরই বর্ণনা করছেন হেনরি মর্টান স্ট্যানলে। ... ...
দুঃস্বপ্নের মতো আসা কোভিড দু বছর আগের সমস্ত ছবিই সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল।দুটি লকডাউনের ধাক্কায় একেবারে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল সমগ্র কেল্লা নিজামত এলাকা।কেল্লা জীবন্ত হয় পর্যটকদের আগমনে, পর্যটকরা শুধু কেল্লার জৌলুশই বৃদ্ধি করে না সেই সাথে কেল্লার ভেতরের অজস্র সাধারণ মানুষের জীবিকা অর্জনের মাধ্যমও হয় তাঁরা।কিন্তু লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকায় কেল্লা পর্যটক শূণ্য হয়ে পড়ায় কেল্লার টাঙ্গাওয়ালা,নৌকার মাঝি, টোটোওয়ালা, হোটেলওয়ালা, রেস্টুরেন্টওয়ালা, আইস্ক্রিমওয়ালা, ফুচকাওয়ালা,ছোট হকার, সৌখিন দ্রব্যের দোকানদার, চাওয়ালা,পার্কিং ব্যাবসায়ী, সবাই হঠাৎ করেই জীবিকা হারায় ৷ সবাইকেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হয়েছিলো। ... ...
উন্যানয়েম্বে ১৯ শতকে একটি রাজ্য ছিল। এখানে বাস করতেন মূলত নিয়ামওয়েজি গোষ্ঠীর মানুষেরা। এই অঞ্চলেরই বর্ণনা করছেন হেনরি মর্টান স্ট্যানলে। ... ...