গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৯. এ লেখাটি ‘রিয়াবুতু’ নামক ত্রিপুরার একটি ওয়েবজিন প্রকাশ করেছিল ২৪.১.২৪. তবে সেখানে লেখাটি পাঠিয়েছিলাম সংক্ষিপ্ত আকারে। এখানে রইলো বিশদে। বেতয়া নদীর তীরে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলার একটি প্রান্তিক গ্ৰাম দেবগড়। স্থানটি জৈন ও হিন্দু ধর্মের প্রেক্ষিতে পুরাতাত্ত্বিকদের কাছে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানকার পুরাকীর্তিগুলি আছে ASI এর তত্ত্বাবধানে। দেবগড় পাহাড়ে রয়েছে ভগবান মহাবীর বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ২০১৯ এর ৭ ও ৮ই মার্চ পর্যটকবিরল নির্জন সুন্দর সেই স্থানে দুটি রাত ছিলাম। সেখানে কয়েকজন স্থানীয় মানুষের সাথে আলাপচারিতার অভিজ্ঞতা, ধর্মশালার ম্যানেজার ও এক কর্মী পরিবারের সহৃদয়তা এবং সর্বোপরি এক নির্লোভ অটোচালক রামুর আচরণ আমায় অভিভূত করেছিল। তাই পাঁচবছর পরেও স্মৃতিতে তা অমলিন। এ লেখার প্রোটাগনিস্ট - রামু ... ...
এক বৃদ্ধ অসুস্থ ছিলেন বলে, কয়েকমাস পরে পেনশন তুলতে গেছেন সরকারি আপিসে। গিয়ে শোনেন আইন বদলে গেছে। এবার শুধু হাজিরা দিলেই হবেনা, কাগজ লাগবে। কী কাগজ? কর্তব্যরত কেরানি বললেন, জ্যান্ত সার্টিফিকেট।- সেটা আবার কী? কেরানি মাছি তাড়ানোর ভঙ্গীতে বললেন, ডেথ সার্টিফিকেট শোনেননি? শ্মশানে দরকার হয়? সেইরকম জ্যান্ত সার্টিফিকেট লাগবে। নইলে সরকার জানবে কীকরে আপনি জ্যান্ত আছেন? যান কাগজ নিয়ে আসুন। ... ...
সংশোধন করে কী হবে? সে বলেননি। কিন্তু আন্দাজ করা যায়। হিন্দুরাষ্ট্র হবে। অবাধ বাঙালি বিতাড়ন হবে। বাংলা হবে হিন্দুস্তান। একনায়কতন্ত্রের দিকে কয়েকধাপ এগোনো হবে। রাজ্য সরকারগুলো এখনই প্রায় মিউনিসিপ্যালিটি, তাকে ক্লাবের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। তা তুলেও দেওয়া হতে পারে। তারপর দেশজুড়ে একদিকে হিন্দি-হিন্দু--হিন্দুস্তান, অন্যদিকে আদানি-আম্বানির রাজত্ব। তাদের অনুদান নিয়ে শাসক দল ফেঁপে উঠবে, লুঠ-তরাজের অবাধ বন্দোবস্তো করে দেবে, বিনিময়ে পেটোয়া গণমাধ্যম জুড়ে সর্বক্ষণ গেয়ে চলা হবে, দেশে স্বর্গরাজ্য এসে গেছে। ... ...
দা জোন অফ ইন্টারেস্ট সিনেমার কথা আলাদা করে বলতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে গল্প। যুদ্ধের সিনেমায় আমরা যা সাধারণত দেখি এখানে তা সরাসরি নাই কিন্তু প্রবল ভাবেই আছে। ইংলিশ পরিচালক জোনাথন গ্লেজার পোল্যান্ডের কাহিনী নিয়ে জার্মান ভাষায় তৈরি করেছেন সিনেমাটি। জার্মান এক অফিসারের বাড়ির গল্প দেখানো হয়েছে। নির্বিকার ভাবে ইহুদি নিধনের পরিকল্পনা করছে, গল্পের পিছনে গ্যাস চেম্বারের ধোয়া দেখা যাচ্ছে, গুলি শোনা যাচ্ছে, মাঝেমধ্যেই আর্ত চিৎকারের শব্দ আসছে। কিন্তু তাদের সমস্ত আগ্রহ অন্য কিছু নিয়ে। চার পাঁচজন মহিলা বাড়িতে কাজ করছে, সব যথাসময়ে হচ্ছে, বাচ্চারা বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছে, রোদে গা এলিয়ে বসে থাকছে! মাঝে মধ্যেই গা ঘিনঘিন একটা অনুভূতি আমার হইছে। সেরা সিনেমা না জিতলেও এইটা যে এ বছর সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমার পুরস্কার জিততে চলছে তা এক প্রকার নিশ্চিত। ... ...
গিজা থেকে দাশুর প্রায় ঘন্টাদেড়েকের রাস্তা, পঞ্চাশ কিলোমিটার মতো, দুই-তৃতীয়াংশ যাওয়ার পর যেখান থেকে মেমফিসের রাস্তা আলাদা হয়ে গেছে, শুরু হলো ম্যাজিক। রাস্তার দুপাশের ছবি যেন হঠাৎ কোনো জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বদলে গেল! সবুজ শীতের ফসলের ক্ষেত আর খেজুর গাছের সারি। ঘন নীল আকাশের গায়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, অপূর্ব শোভা এই রাস্তার, সঙ্গে ভর-দুপুরে প্রাণ-জুড়নো ঠান্ডা হাওয়া! সায়িদি বললো, সাক্কারা আর দাশুরের খেজুরের বাগান খুব প্রসিদ্ধ। আর এখানকার এক বাগানের খেজুরের স্বাদ আর মিষ্টত্ব অন্য বাগানের থেকে আলাদা! পরে খেয়ে দেখেওছিলাম সত্যি তাই। আমরা সাক্কারার রাস্তা ছাড়িয়ে আগে চলে গেলাম দাশুরের পথে। দূর থেকে স্টেপ পিরামিড দেখতে পেলাম। দাশুরের পিরামিড চত্বর একেবারেই খাঁ খাঁ মরুভূমির মধ্যে, ঢোকার সময় রীতিমতো গাড়ির লাইসেন্স ইত্যাদি দেখেশুনে ঢুকতে দেওয়া হলো, এই এলাকাটি মিশরীয় সেনার আওতায় ... ...
ঈশ্বরে বিশ্বাস করার একটি নৈতিক যুক্তিও আছে—ঈশ্বরে বিশ্বাস করা উচিত, কারণ—সারাদিন যেন মোরা ভালো হয়ে চলি। এ দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ হয় না, বড় জোর প্রমাণ হয়: ঈশ্বর যে আছেন, সেটা সাধারণ মানুষকে বোঝানো রাজনীতিক আর শিক্ষকদের কর্তব্য। এমন করা উচিত কিনা – তা ধর্মতত্ত্বের প্রশ্ন নয়, রাজনীতির প্রশ্ন। ঈশ্বরে বিশ্বাস— উপকারী: শুধুমাত্র এই যুক্তি কোনো সত্যিকারের ধার্মিক মনোবৃত্তির ব্যক্তির পক্ষে যথেষ্ট নয়, কারণ তিনি তো জানতে চাইবেন—ঈশ্বর সত্যিই আছেন কিনা! ঈশ্বর আছেন কিনা, আর ঈশ্বরে বিশ্বাস স্বাস্থ্যকর কিনা – এই দুটি প্রশ্নকে এক করে দেখা নেহাত আহাম্মকি। নার্সারি ক্লাসে সান্তা ক্লজ়ে বিশ্বাস হয়তো কার্যকর, কিন্তু সেই কারণই যদি যথেষ্ট হত, তবে বড়রাও সান্তায় বিশ্বাস করতো। ... ...
বাইরের ঘরের এই সবুজ রঙের সোফাটা এমনিতে দেখলে মনে হয় একবারে কালচে শ্যাওলামাখা একটা পাথরের স্ল্যাব। হাত রাখলেও মনে হয়, ওপরে চাদর পাতা কঠিন কাঠের বেঞ্চ। কিন্তু জিনিসটার ওপর শুলেই কাঠিন্য আর বোঝা যায় না, আচ্ছাদনটা ধীরে ধীরে নরম হতে থাকে। তারপর একসময় নিলয় ডুবে যায় সোফার ভেতর। আর শুয়ে মোবাইল ঘাঁটতে শুরু করলে এই পুরো ডুবে যাওয়াটা এত তাড়াতাড়ি হয় যে নিলয় ইদানীং আলাদা করে কিছু বুঝতেও পারে না। ... ...
সুবল মান্ডি যখন মা আর ছেলেকে রাস্তায় বসিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে গিয়েছিল, তখন চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু দেখে কী মনে হচ্ছিল দশ-এগারো বছরের ছেলেটার? ভাবার চেষ্টা করে অরিন্দম, ভাবতে পারে না। অরিন্দমের মনে পড়ে অরণ্যের দিনরাত্রি সিনেমার সেই দৃশ্যের কথা, শুভেন্দু বলছে, ‘এই সব জায়গায় এলে মানুষের আয়ু বেড়ে যায়!’ মনে মনে হেসে ওঠে অরিন্দম। মনে হয়, আমরা শহরের লোক, কত কম জানি নিজের রাজ্যটাকে! আদৌ কি জানি? ... ...
ঝাণ্ডা ওড়ে অনেক- বামপন্থীদের লাল, রাজপন্থীদের সাদা কালো লাল, প্যারা মিলিটারি/ ভগ্ন সৈনিকদের স্বস্তিকা, প্রজাতন্ত্রের প্রতীক কালো সোনালি লাল । শহরে সমাগত সৈন্য বাহিনী, যে যেখানে খুশি লুঠপাট করে। দীর্ঘ পরিচিত সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে , এখন চেনা পথে অচেনা পথিক । এক ঘোলাটে চোখে বার্লিনের মানুষ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখবার চেষ্টা করে । গণতন্ত্র? প্রাশিয়ার পার্লামেন্ট তো ছিল , কিন্তু সেখানে ভোট দেওয়ার অধিকার কেবলমাত্র প্রাশিয়ান পুলিশের কাছে ক্লিন চিট পাওয়া চব্বিশ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষদের । এবার নাকি বিশ বছরের ওপরে পুরুষ নারী নির্বিশেষে এক মাথা এক ভোটের অধিকার পাবেন। বয়স্ক জার্মান পুরুষেরা এই নবীন ভাবনার কড়ি সে কড়ি নিন্দা করলেন – মেয়েদের স্থান রান্নাঘরে, ভোটের ঘরে নয়। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে তখন উত্তাল আরেক বার্লিন। সকল অশান্তি, ক্ষুধা, রাষ্ট্র বিপ্লবকে উপেক্ষা করে সেই বার্লিনে উন্মুক্ত শিল্প সঙ্গীত বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত , সেখানে বিরাজ করেন আলবার্ট আইনস্টাইন থেকে বিলি ওয়াইলডার, মাক্স লিবারমান থেকে আনা পাভলোভা ! ... ...
আধার দেশ গরিব ... ...
ধরুন, আপনারা জনা দশেক মিলে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেছেন। ওয়েটার একটা গোল টেবিলে বসালো—সবার থেকে সবাই সমান দূরত্বে—একেবারে নিখুঁত প্রতিসাম্য। তারপর দশটা গেলাস এনে টেবিলে রেখে দিয়ে গেল, দু-জনের ঠিক মাঝখানে একটা করে গেলাস। আবারও প্রতিসম। এখন আপনি ডান হাতের গেলাস তুলবেন, না বাঁ হাতের – সেটা আপনার মর্জি। কেউ না কেউ তো প্রথম গেলাসটা তুলবেনই, যাঁর সবচেয়ে বেশি তেষ্টা পেয়েছে, তিনিই প্রথম তুলবেন। যেই তিনি কোনো একটা গেলাস তুললেন – ধরা যাক ডান হাতের, প্রতিসাম্য ভেঙে গেল। ওয়েটার কিন্তু জোর করে প্রতিসাম্য ভাঙেনি, আপনাদেরই একজন ভাঙলেন। তাঁর হাতে দুটো সমান সম্ভাবনা ছিল – ডান বা বাঁ দিকের গেলাস তোলার, তিনি যে কোনো একটা বেছেছেন। কিন্তু যেই তিনি ডানদিকের গেলাস তুললেন, আপনাদের সবাইকেই ডানদিকের গেলাসই তুলতে হবে, নইলে কেউ একজন গেলাস না পেয়ে রেগে যাবেন আবার কেউ দুটো গেলাস নিয়ে বোকাবোকা মুখ করে বসে থাকবেন। ... ...
লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-এর জন্যে আমরা ঢুকলাম গিজা কমপ্লেক্সের পিছন দিকে। এখান থেকে প্যানোরামিক একটি ভিউ পাওয়া যায় পুরো অঞ্চলটির। খোলা শান-বাঁধানো চত্বরে প্রায় হাজার খানেক বসার চেয়ার। এর একেবারে সামনেই রয়েছে ফারাও খাফ্রের পিরামিড, তার ডানপাশ ঘেঁষে সামনেই গ্রেট স্ফিংক্স। আরও ডানদিকে ফারাও খুফুর পিরামিড। আর খাফ্রের পিরামিডের বাঁদিকে বেশ কিছুটা দূরে ফারাও মেনকাউরে-র পিরামিড। দিনক্ষণ দেখে আসিনি বটে, শুধু আমাদের বিশেষ দিনটুকু মধ্যমণি করে আসা, তাও যখন এই আঁধারে অপ্রত্যাশিতভাবে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় চারদিকে ‘সমুদ্র সফেন’, আর সেই অপূর্ব জ্যোৎস্না সাড়ে চার হাজারের ইতিহাস ধুইয়ে দিচ্ছে চোখের সামনে, সেটুকু দেখে আনন্দে মন ভরে উঠবেই। এই আমাদের প্রথম পিরামিড দেখা, এমন অপার্থিব আবহে! একবার বিরাট থালার মতো চাঁদের দিকে তাকাই, আর একবার পিরামিডের দিকে, সে-শোভা বর্ণনা করার ভাষা নেই! কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে সাতটায় শুরু হলো আমাদের শো। মিশরের ফারাও যুগের প্রাচীন ইতিহাস আর সঙ্গে আলোর খেলা - পিরামিড, স্ফিংক্স, আর পাথরের গায়ে প্রাকৃতিক প্রোজেক্টর স্ক্রীন-এর উপর। ... ...
সকালে উঠে মশারি সরিয়ে নামতেই চোখ গেল সামনে রাখা টেবিলের দিকে। আর যেতেই মাথাটা গরম হয়ে গেল অবিনাশবাবুর। কাল একটু রাতের দিকে মাসকাবারি মুদির জিনিসপত্র ডেলিভারি দিয়েছিল। তুলে রাখার ইচ্ছে হয় নি বলে টেবিলের ওপর সব রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সানলাইট সাবান ছিল, মশলা, তেল আর তার সঙ্গে পাঁচ কেজি চাল। বাকি সব ঠিক থাকলেও চালের প্যাকেটের প্লাস্টিক কুটিকুটি করে কাটা, চাল ছড়িয়ে আছে টেবিলের ওপর যার কিছুটা মেঝেতেও গড়িয়ে নেমেছে। ইঁদুর! ... ...
সাফল্যমণ্ডিত, কারণ, এই পুরোটাই করা হবে ধীরেসুস্থে। পাকিস্তানের মতো জোরেসোরে না। সইয়ে সইয়ে। ৫৬ সালে বাংলা-বিহার সংযুক্তির প্রস্তাব এলে আন্দোলনে ফেটে পড়বে বাংলা। পিছিয়ে আসা হবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে। তার কমাস পরেই ভাষাভিত্তিক রাজ্যের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়া হবে আইন করে। একই সঙ্গে বোম্বেকে দেওয়া হবে খোলা মাঠ। ৫৭ সালে তৈরি হবে নতুন রেডিও চ্যানেল। বিবিধ ভারতী। যা মূলত বোম্বে সিনেমার গানকে সর্বভারতীয় জায়গায় পৌঁছে দেবার সরকারি ব্যবস্থা। বোম্বের প্রচার প্রসার , ফুলে ফেঁপে ওঠা চলবে অবাধে। বোম্বের তারকারা হয়ে উঠবেন আন্তর্জাতিক তারকা। পাশাপাশি রেডিওতে বহুভাষিক সর্বভারতীয় সম্প্রচার কিন্তু বন্ধ হবেনা, কয়েক দশক। পুরোটা সইয়ে নিয়ে অবশেষে আশির দশকে এসে, দূরদর্শনের যুগে সর্বভারতীয় টিভি হয়ে উঠবে বাধ্যতামূলক হিন্দি শিক্ষার কার্যক্রম। ... ...
নিমতলী, চুড়িহাট্টা ও বনানীর পর বেইলি লোড-- ঘন বসতিপূর্ণ পুরানো ঢাকা থেকে শুরু করে মেগাসিটি ঢাকা, একের পর এক লকলকে আগুনের শিখায় পুড়ছে শত প্রাণ, চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই। তাহলে এতোসব উন্নয়নের ফিরিস্তি কি কেবলই কথামালার রাজনীতি? অগ্নি-দুর্ঘটনা থেকে নাগরিকের সুরক্ষা নেই? ... ...
তামারবুন্ডু থেকে চান্ডিল ইতিমধ্যেই একটা দল কাজ করছে, নতুন কমরেডরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে। তারপর এই দুটো গ্রুপ চান্ডিল থেকে আলাদা হয়ে যাবে। একটা গ্রুপ চান্ডিল থেকে দলমা পাহাড় হয়ে পুরুলিয়ার বরাবাজার দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। তারা বরাবাজার থেকে বলরামপুর, বান্দোয়ান এলাকায় কাজ করবে এবং সেফ করিডোর তৈরি করবে। অন্য গ্রুপটা চান্ডিল থেকে দলমা হয়ে ঘাটশিলা যাবে, সেখান থেকে কাঁকড়াঝোড় হয়ে বেলপাহাড়ি ঢুকবে। ... ...
মুখের কথা শুনেই তিনি বলে দিচ্ছিলেন কে কোথাকার বাসিন্দা : লিসন গ্রোভ , হক্সটন, হ্যাম্পটন কোর্ট! তা এঁরা তো সবাই নেহাত লন্ডনের বাসিন্দা ! তাঁকে একটি একটি কঠিন কেস দেওয়া হলো -এই যে কর্নেল পিকারিং, ইনি নানা জায়গায় ঘুরেছেন , বলুন দিকি কোথায় কোথায় ? তাঁর মুখের কথা শুনে হিগিনস অবলীলাক্রমে বললেন, চেলটেনহ্যাম, হ্যারো , কেমব্রিজ, ইন্ডিয়া ! চমৎকৃত পিকারিং জানতে চাইলেন কোন মায়াবলে হিগিনস এই অসাধ্য সাধন করেন , হাও ডু ইউ ডু ইট? উত্তরে হিগিনস বললেন,সিম্পল ফোনেটিকস , দি সায়েন্স অফ স্পিচ ! তিনি তো বলেই খালাস কিন্তু আমাকে যে নেশাটি ধরিয়ে দিলেন সেটা আজও কাটিয়ে উঠতে পারি নি । ... ...