কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
স্বস্তি জোড় হাতে তাঁর দিকে এগিয়ে গেল, নিচু হয়ে প্রণাম জানিয়ে বলল, “গুরুদেব, আজকে আপনাকে একদম অন্যরকম লাগছে কেন?” গৌতম আরও এগিয়ে স্বস্তিকে কাছে টেনে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “তাই? ঠিক কী রকম লাগছে বল তো?” স্বস্তি গৌতমের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “ঠিক কী বলতে পারব না, তবে একদম অন্যরকম। আপনি যেন কোন নক্ষত্রের মতো। সবে ফুটে ওঠা পদ্মফুলের মতো। কিংবা... কিংবা... গয়াশীর্ষ পাহাড়চূড়ার ওপরে পূর্ণিমার চাঁদের মতো”। ... ...
আমার দেশ, আমার আমির-গরীব দেশ, ফিউডালিজম আর ধর্মীয় মৌলবাদের মাঝে, শ্রেণীভেদ আর পুঁজিবাদের মাঝে কোনো একখানে ঝুলতে থাকা, অতি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদ-শাসিত ভারতবর্ষ -- তার কি খবর? ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
মন্দিরে মসজিদে না থাকুন, ঈশ্বর আছেন আমাদের মননে, চিন্তায়, দৃষ্টিতে, অনুভবে। সে উপলব্ধি আমাদের অন্তরে আসে অহরহ। তিনি আছেন, শরতের নির্মল আকাশ ও সোনালী রোদ্দুরে। তীব্র গ্রীষ্মের পর ঘন বর্ষার প্রভাতে। শীতের শুকনো-ঝরাপাতা বওয়া হিমেল হাওয়ায়। বসন্তের পলাশ-রাঙা অরণ্যের অভিলাষে। সমুদ্রের ব্যাপ্তিতে, পর্বতের মহিমায়। প্রতিটি শিশুর দৃষ্টি ও হাসিতে। নিরন্ন মানুষের ক্ষুন্নিবৃত্তিতে। মায়ের মমতায়, পিতার হাত ধরে উৎসবের মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানোয়। ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ায় কপালে দিদি বা বোনের অনামিকার স্পর্শে, প্রিয়ার মুখ চুম্বনে। ... ...
পটলওলা ফিলসফিক্যাল পটলতোলা বুঝতে পারে নি বলে সক্রেটিস ঈষৎ খাপ্পা হয়ে গেছেন – আশাপাশে তখন তাঁর প্রিয় ছাত্র – গোলগাপ্পাস, হোগাসপোগাস, ফাষ্টোকেলাস, হলুদঅমলতাস, গপগপখাস ও একদমঝাক্কাস। ফাষ্টোকেলাস এমনিতে খাই খাই করলেও সে বেশী খেতে পারত না, তার আহিঙ্কেটাই ছিল ষোলআনা। খেত বেশী গপগপখাস – নিঃশব্দে খেত, যা পেত খেত। উত্থাপম খেয়ে সক্রেটিসের মতই তারও ঠিক জমে নি। তাই পটলের পাশের ঝুড়িতে কচি শসা দেখতে পেয়েই তুলে নিয়ে দিয়েছে কামড়। সব্জীওলা কমপ্লেন করলে সাথে সাথে, “স্যার দেখুন, কেমন কামড় দিচ্ছে আমার শসায়!” ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
টুরিস্ট-ম্যাপের বাইরে অজানা এক জায়গায় হানা দেওয়ার কাহিনী... ... ...
ধরে নাও, সমুদ্রতীরের কোনও শহরে আমার আর তোমার দেখা হয়ে গেল, বহুদিন পর, প্রথমবারের মতো। দু'জনেই অন্তরে বেশ অবাক, কিছুটা ক্ষুণ্ণই হলাম একে অন্যকে ভালো থাকতে দেখে, কারণ, আমরা তো ভাবিনি ভালো থাকবে অন্যজন আমাদের ছাড়া। ভালো তো কারুরই থাকার কথা নয়, ভেবেছিলাম, কারণ প্রত্যেকে কারুর সঙ্গে যেমন আছে, কাউকে ছেড়েও তো আছে? তাই মুখে শুধু বলি, "ভালো তো? কতদিন পর...!" ... ...
কাঁচির ক্যাঁচক্যাঁচ শুনতে শুনতে আমি খালি ভেবে যাচ্ছি কত গুণতে হবে, আর হেব্বি টেনশন হচ্ছে, যদিও যথেষ্ট টাকা এনেছি সাথে। টেনশন কাটাতে টেনিদার ‘দি গ্রেট ছাঁটাই’ গল্পের সেলুনের নামগুলো মনে করার চেষ্টা করলাম - ওঁ তারকব্রহ্ম সেলুন, বিউটি-ডি-সেলুনিকা, সুকেশ কর্তনালয় – শেষেরটার একটা ইংরেজী নামও ছিল, সেটা মনে পড়ল না। ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকা নিয়ে গত সাড়ে চার দশকের স্মৃতি-আখ্যান ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...