আমষ্টারডাম এমন একটা শহর যেখানে মানুষের থেকে সাইকেল বেশী – মোটামুটি আট লক্ষ লোক বাস করে এই শহরে, আর সেখানে সাইকেলের সংখ্যা প্রায় আট লক্ষ আশি হাজার মত (২০১৪ সালের হিসেব)। আর এই শহরের সবচেয়ে বেশী রিপোর্টেড ক্রাইম কি জানেন? সাইকেল চুরি। নানা বছরের গড় হিসেব বলছে আমষ্টারডামে বছরে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার মত সাইকেল চুরি হয়! এবার এই সংখ্যাটা জানার পর আপনার সাইকেল চুরি হলে কি আপনি আর পুলিশের কাছে যাবেন? কি মনে হয়? এত পুলিশ গোটা হল্যান্ডে নেই যে বছরে ৮০ হাজার সাইকেল চুরির কিনারা করবে! ... ...
সামাজিক ফ্রেম অফ রেফারেন্সটা এত বেশি করে মাথায় গেঁথে বসে যায় যে সমলিঙ্গের সম্পর্কেও সেই নারী-পুরুষের তথাকথিত সম্পর্ক,বিয়ে ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেই সম্পর্কের স্বীকৃতি বলে মনে হয়। নিজেদের অজান্তেই আমাদের সঙ্গীরা মনের ভেতর সঙ্গী/ বন্ধু / পার্টনার না হয়ে শুধুই বর-বৌ/ স্বামী স্ত্রীর খাঁচায় ঘুরতে থাকে। অভিধানটাও এত সেকেলে যে সেখানেও অন্য শব্দের কোনও অপশান নেই। তথাকথিত সিসজেন্ডার হয়েও কেউ কেউ মনে মনে শাঁখা-সিঁদুরের ফ্যান্টাসির লালনও করতে থাকি। আর তাই তো দশমীর সিঁদুর খেলায় অংশ নেওয়া বা দোলের লাল আবিরের আধিপত্য ও আমাদের জীবনে কয়েকগুন বেশি। আসলে মনে মনে তো সমাজ নিয়মে সিঁদুরের স্বীকৃতিটাই লালিত হয়। আর হাইলি পলিগ্যামাস সম্পর্কের মাঝখানেও প্রেমিকপুরুষের হাতের সিঁদুর,সম্পর্কের অধিকার নিয়ে কখনও কখনও আরও বেশি নেশা ধরাতে সক্ষম। নেশায় বুঁদ হতে মনে মনে অনেকের মত আমি তো আজও চাই। আসলে ওই নেশায় মাতাল হয়ে বোকা বনতে চাওয়াটাই যে আসল ফ্যান্টাসি, স্বপ্নে পোলাও রাঁধলে যতখুশি ঘি ঢালোনা কেন কে আটকাবে...সে রাতে সকলেই বুঝেছিল একচুটকি সিঁদুরের কিমত কতটা। অনেক রাত পর্যন্ত চলেছিল কান্নার রোল। সকলের জীবনেই কোনও কোনও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার চেপে স্মৃতি বেড়িয়ে এসেছিল কান্না হয়ে। সারারাত মানুষগুলোকে সামলে ছিল যে দুজন মানুষ তাদের অবদান ভোলার নয়। দুই মানসিকস্বাস্থ্য সহায়িকা, দুই কাউন্সেলর। ... ...
বৌদ্ধধর্ম তিব্বতে পৌঁছেছিল সপ্তম শতাব্দীতে। কিন্তু তার আগে ভারতবর্ষে কীরকম ছিল তার চেহারা? হীনযান, মহাযান কী? নির্বাণই বা কী? ... ...
তিনি হাতে ডু-অ্যাণ্ড-ডোন্ট লিস্ট ধরিয়ে দিলেন। তাকিয়ে দেখলাম ‘ডু’ তাতে বিশেষ কিছু নেই, কেবল ‘ডোন্ট’ আর ‘ডোন্ট’। ১) কম করে ছ-মাসের আগে ঘর ছাড়া চলবে না, ২) ঘরে বান্ধবী টান্ধবী আসা চলবে না, ৩) ভোজন চলতে পারে, তবে পান চলবে না, ৪) বেশি রাত অবধি আলো জ্বালিয়ে রাখা চলবে না, ৫) ভাড়া তিন তারিখের বেশি বাকি রাখা চলবে না, ৬) ১১-টার বেশি রাত করে ঘরে ফেরা চলবে না, ৭) ঘরের দেওয়ালে পেরেক টেরেক পোঁতা চলবে না, ৮) ইত্যাদি আরও অনেক কিছু চলবে না... ... ...
কোলকাতার কলেজে পড়তে যাওয়া আমার মত মফস্বলি ছেলেকে প্রতিদিন অনেক নতুন নতুন দিগন্তের সন্ধান দিত।লোকাল ট্রেনের ভিড় কামরায় পুরুষের গা ঘষাঘষি, সাময়িক যৌন ভাললাগা, পাবলিক টয়লেটে পুরুষের যৌনতার হাতছানি থেকে শুরু করে আরও আরও নতুন নতুন মুখের পরিচয় । ক্রমশ বুঝতে পারছিলাম আমি একা নই। শিয়ালদহ থেকে এরকম একদিন হাঁটতে হাঁটতে হাতে পেলাম সানন্দা পত্রিকার পুরানো সংখ্যা ‘রূপান্তর’। এই সংখ্যাটা আমাকে পরিচিত করেছিল আর এক দুনিয়ার। আমার মনে হয় সেক্স-রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি নিয়ে উনিশশো আটানব্বই নিরানব্বই সালে সেই প্রথম কলকাতার বাংলা ম্যাগাজিনের আলোচনা। যে ম্যাগাজিন ততদিনে গুটি গুটি ঢুকে পড়েছে মধ্যবিত্তের অন্দরমহলে। আমার সাজগোজ তথাকথিত মেয়েলিপনা রণ কখনও প্রশ্রয় দেয়নি।সকলের কাছে এই সম্পর্কটাকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাত ও । আর বোধহয় সেটাই স্বাভাবিক ছিল অতবছর আগে। আর আমারও কেন জানিনা সবসময় মনে হত, মনে মনে আমি রণর বৌ হলেও আমি তো মেয়ে নই। মনে করতাম যদি রণ বা অন্য পুরুষ মানুষরা আমাকে মেয়েই ভাববে তাহলে তো তারা মেয়েদের কাছেই যাবে। যত বড় হয়েছি তত বুঝেছি সবকিছুই এরকম দু আর দু এ চার হয়না। ... ...
ঝড়ে লিভিংরুমের দেওয়ালজোড়া কাঁচ খানখান হয়ে পড়ে যাবার পর ও বুঝতে পারলো সিকিউরিটি বলে কোনো চিরকালীন আড়াল নেই। সামনে বাবা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ।বাবার সারা হাত পায়ের রক্ত চোখে এল প্রথমে। তারপর গেঁথে যাওয়া কাঁচের টুকরোগুলো। বাবার মুখটা কেমন ভয়ে, বিস্ময়ে, ব্যথায় বেঁকে বেঁকে যাচ্ছিল আর ও চিৎকার করছিল। আসলে ও আর বাবা কাঠের বিশাল ফ্রেমটা চেপে ধরেছিল দুজনে দু'দিক থেকে।এই মহার্ঘ্য কাঁচের পার্টিশন বাবা আনিয়াছে সিঙাপুর থেকে। ... ...
এই আচমকা বাম্পার যেন কুমারসাহেবের হেলমেট ছুঁয়ে গেল। উনি ডাক করার সময় পেলেন না। ক্রুদ্ধ চোখে কোসলে স্যারের দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে কেটে কেটে বললেন — তার মানে আপনি ওই ডাইনি দুটোর কথা বিশ্বাস করছেন? ... ...
আমার নতুন কাজের জায়গায় এসে একসময় অনুভব করলাম আরও অনেক বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা দরকার। শুধু ক্যুইয়ার নয় সাধারণ মানুষেরও এইচ আই ভি নিয়ে ভুল ভাঙা দরকার। এইচ আই ভি নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকা যায় সেটা লোকে যত জানবে তত এইচ আই ভি পরীক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। এই ভাবনা থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন একটা পোস্টার ডিজাইনের।এই পোস্টারটা সমস্ত সরকারী হাসপাতালে এইচ আই ভি নির্ণয় কেন্দ্র বা আই সি টি সি বিভাগে আছে। যখন দেখি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ফোনে কেউ বলে "দাদা আপনি সত্যি সত্যি এইচ আই ভি পজিটিভ!এইচ আই ভি নিয়ে সত্যিই ভাল থাকা যায়? একটু আগেই জানতে পারলাম আমিও এইচ আই ভি পজিটিভ।" আর তখন আমাকেই কাউন্সেলিং করতে হয়। এইচ আই ভি নিয়েও সুস্থ স্বাভাবিক থাকা যায় অ্যন্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপির মাধ্যমে। শুধু নিয়মিত ওষুধ আর চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হয়। তখন বুঝতে পারি পোস্টারে সেদিন আমার মুখ দেখানোর সিদ্ধান্তটা একদম সঠিক ছিল। ... ...
আজ থেকে মাত্র কয়েকশ’ বছর আগে (১৭৫৬-৫৭ সি.ই.), নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সরিয়ে ক্লাইভ ও তাঁর অনুগত মিরজাফরকে সিংহাসনে বসাতে বণিক মহতাব চাঁদ ও স্বরূপ চাঁদের (ইতিহাসে যাঁরা “জগৎ শেঠ” (Banker of the World) উপাধিতে বিখ্যাত) ভূমিকা এবং তাঁদের বিপুল অর্থব্যয়ের হিসেব জানলে চমকে উঠতে হয়। অতএব রাজাকে রাজা বানিয়ে তুলতে (king-maker) বণিকসম্প্রদায়ের প্রভাব আজও যেমন আছে, সে সময়েও ছিল – এমন অনুমান করাই যায়। ... ...
সমকামী পুরুষ ও লিঙ্গান্তরকামী পুরুষের মধ্যেকার এমন টানাপোড়েন আজও হয়ে চলে। অথচ পুরুষালি হওয়ার কারনে নিজের মধ্যে গুমরে মরা মানুষগুলো নিজের কথা প্রাণ খুলে বলতে পারেনা অনেকসময়ই। সামাজিক রাজনীতির চাপে তথাকথিত পুরুষালি-পুরুষের পৌরুষের আড়ালে জোর করে ঢাকা পড়ে যায় তাদের ভালো লাগা খারাপ লাগা যৌনতার উদযাপন। পারিবারিক, সামাজিক চাপ তো বটেই কখনো বা নিজের মধ্যেও চলা দ্বন্দ্ব উপেক্ষা করতে না পেরে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অনেকেই। উভকামী হলে না হয় এক রকম, কিন্তু আজন্মলালিত ফ্রেম অফ রেফারেন্স থেকে নারী পুরুষের বিয়ের সেলিব্রেশনের বাইরে যেতে পারেন না অনেক সমকামী পুরুষ। আবার অনেকেই নিজেদের বিবাহিত সম্পর্কে নিজেকে পুরুষ হয়েও নারী রূপে কল্পনা করে নিজেদের সম্পর্কটাকে লেসবিয়ান সম্পর্কের উদযাপনে খুশি হওয়ার চেষ্টাও করেন। আসলে এই পৃথিবীতে সাদা-কালো, আলো -অন্ধকার এর মতো কেমন যেন দুইয়ের প্রভাব বেশি। এই দুইয়ের পৃথিবী নারী-পুরুষের বাইনারিতে আটকে থাকতেই অভ্যস্ত। আর তাই অন্যরকম মানুষ যাদের মনটা একরকম আর দেহটা একরকম তাদের নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে। আজও তো লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরা বা পাবলিক বাসে মহিলা সিটের বিরোধিতা করে চলেন একদল মানুষ। আসলে আগুনের আঁচ তাদের গায়ে লাগেনা তাই তারা হয়তো বোঝেন না। আজও যেখানে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয় সেখানে এই লিঙ্গ রাজনীতির লড়াইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকেরা খুব সহজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জায়গা ছেড়ে দেন না। আর তারপরেও তাঁরা রাস্তার মোড়ে বা ট্রাফিক সিগনালে ভিক্ষা করতে দেখলে নাক কুঁচকে তাকাতে একবারও দ্বিধা বোধ করেন না। অন্য যৌনতার অন্য যাপনের নানা দিক নিয়ে খোঁজ রাখার মতো সময় সমাজের বাকি অংশের নেই। শুধুই ব্যঙ্গ আর বিদ্রূপ দিয়ে বিচার করতে ব্যস্ত তারা। ... ...
বেড়ালটা আবার এসেছিল।কাল রাত্তিরে। জানলা দিয়ে দিব্যি গলে চলে এল। আমার খাটের পাশে ওষুধপত্তর ও নার্সের চার্ট রাখা ছোট সাদামত বিধবা টেবিলটার ওপর কেমন যেন অলস ভঙ্গিতে উঠে বসল। আমাকে দেখতে লাগল। পিত্তি-হলুদ চোখ। আমি হাত নেড়ে তাড়া দেব, সে সুযোগ নেই।হাত জোড়া আছে খাটের পাশে স্ট্যান্ড থেকে ঝোলানো রক্তের বোতলে। ব্লাড ট্রানসফিউশন। আগের কেমো হয়ে যাওয়ার পর প্লেটলেট কাউন্ট নাকি কমে গেছে ... ...
চামেলিপিসিদের খাটের নীচে কী আছে সেটা দেখতে খুব ইচ্ছে করে, কিন্তু জিজি মানা করেছে। অন্যদের বাড়ি গিয়ে তাদের জিনিষপত্রের দিকে তাকানো নাকি ভারী অসভ্যতা। ওদের চৌকির তলায় এত এত জিনিষ যে কখনো পাশ দিয়ে অসাবধানে যেতে গেলেও পায়ে গুঁতো লাগে শক্ত বস্তামত কীসবের সাথে। চামেলিপিসির বাড়ি থেকে ফেরার সময় প্রথমদিন অত লোককে রাস্তায় লাইন করে বসে খেতে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। অনেকেই কেমন নোংরা কালো জামা পরা, একদম সামনে যে তার শার্টের কাঁধে এত্তটা ছেঁড়া! ওদের মায়েরা বকে না জামা নোংরা করলে? জিজি তাড়াতাড়ি হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে, ওদের নাকি বলে কাঙালি। শ্রীহরি ওদের ভোজন করায়। রোজ রোজ লুচি ছোলারডাল খেতে পায় কী মজা! মা বোঝায় না মোটেই মজা নয়, সারাদিনে ওরা অনেকেই হয়ত আর কিচ্ছুই খেতে পাবে না। ওরা রাস্তায়ই থাকে, অনেকের মায়েরাও হয়ত ওই লাইনেই বসেছে। আমার খটকা যায় না, রাস্তায় থাকাটা কি খুব খারাপ ব্যপার? কেমন ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে পারে। ... ...
অমন হাইটের শংকর, কিন্তু ওর বাবা বীরেশবাবু ছিলেন মেরেকেটে পাঁচ দুই। তাই ভিড়ের মধ্যে চোখে পড়তেন না। একদিন লম্বু অরবিন্দনগরের আড্ডায় অনুযোগ করল--রমেন, তোর ব্যবহারে বাবা দুঃখ পেয়েছে রে! বলেছে রমেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগ্রেট খায়, আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু আমাকে দেখে একটু আড়াল করলেও তো পারে! লুকোনোর চেষ্টাও নেই, ফুকফুক করে ধোঁয়া ছেড়েই চলে। ... ...
আম্ফান পরবর্তী করোনা র দিন ... ...
এই যুদ্ধ প্রতি মুহূর্তে ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদের পরিবারকে এবং পূর্ব ইউরোপের অনেক বন্ধুজনকে। আমার রোমানিয়ান স্ত্রীর কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনকালটা গল্পে পড়া কাহিনি নয়। মাখনের জন্য দীর্ঘ লাইন। কাঠের টুল পেতে হোম ওয়ার্ক করেছে সেখানে। যে কোনো বিরোধী মতামতের মানুষকে পাড়া থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেছে নিয়মিত। অত্যন্ত গোপনে রেডিও ফ্রি ইউরোপ শুনেছে বাবার পাশে বসে। চাউসেস্কু শহর ভ্রমণে বেরুলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পতাকা নেড়েছে। সেটাই নিয়ম ছিলো। ... ...
এখন পর্য্যন্ত যা নমুনা দেখা গেছে তাতে মনে হচ্ছে ছোটে পালোয়ানের বংশটি বেশ খানদানি। ওর প্রপিতামহের নাম পর্য্যন্ত মনে আছে! আর সমস্ত খানদানি বংশের ছেলেদের মত ও নিজের পরিবারের গৌরবগাথা শোনাতে ভালবাসে। কখনও কখনও কুস্তির আখড়ায় সাথিদের কিসসা শোনাতে থাকেঃ ... ...
MistBorn-এর লেখক Brandon Sanderson-কে নিয়ে পরে বিশদে আলোচনা হবে (প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার মশাই – লালমোহন থাকলে হয়তো ‘হাইলি সাসপিশাস’-ও বলতেন), কিন্তু ওঁর একটা ক্ষমতা নিয়ে অল্প-কথা এই জায়গায় বলতেই হচ্ছে – তা হল ওঁর অসাধারণ ম্যাজিক-সিস্টেম তৈরি করার ক্ষমতা। এই বিশেষ বইটিতে যে সিস্টেমটা ব্র্যান্ডনবাবু বানিয়েছেন, তার নাম অ্যালোমেন্সি। ব্যাপারটা ঠিক কি, তা নিয়ে একটি শব্দও আমার খরচ করার দরকার নেই – বইয়ে বিশদে আছে। এতটাই ডিটেলে, যে এই ধরণের সিস্টেমের অন্তর্গত সামঞ্জস্য সম্পূর্ণ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে এদের জন্যে নিবেদিত রেডিট-পাতায় মাইলের পর মাইল তক্কো চলে। ... ...