আলেয়া তুমি এখন কোথায় ? ... ...
জীবন এরকমই আমার ... ...
যখন মহাপুরুষ ছিলুম ... ...
"সে ছিল এক একদম অন্যরকম হিন্দোস্তান। যেখানে বাস করতেন বলিষ্ঠ পাঠান, নির্ভীক রাজপুত, জ্ঞানী ব্রাহ্মণরা…সম্মানের সঙ্গে সেখানে একসঙ্গে বাঁচতেন হিন্দু আর মুসলিম জনগণ.."। আনিস কিদওয়াই লিখেছিলেন তাঁর 'আজাদী কি ছাঁও মে' নামক বইয়ের মুখবন্ধে। কে ছিলেন এই আনিস কিদওয়াই? কি এমন কাজই বা করেছিলেন তিনি এই দেশের জন্য? নিশ্চিত আমাদের অনেকের কাছেই আনিস এক অশ্রুতপূর্ব নাম। এই লেখায় আমরা বরং সংক্ষেপে ফিরে দেখি এই ব্যতিক্রমী অথচ বিস্মৃত সমাজকর্মীর জীবন ও মহতী সক্রিয়তাগুলিকে…। ... ...
কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া নিয়ে সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকা নিয়ে গত সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
বাবা ... ...
আমার জীবন যেরকম....................... ... ...
হারানো প্রযুক্তি ... ...
১৯৬৪র কোন এক সময়। ডক্টর মিচিয়াকি তাকাহাসির তিন বছরের ছোট্ট ছেলে তেরুয়ুকি ভীষন কষ্ট পাচ্ছে ক'দিন হোলো। হিউস্টনে ওদের পড়শী মেয়েটির কপালে খেলার দিনই কপালে গুটি গুটি ফুসকুড়ি বেরিয়েছিল। মেয়েটির সঙ্গে খেলে আসার পরই তেরুয়ুকির ধুম জ্বর, গা ভর্তি ফোস্কা আর প্রবল শ্বাসকষ্ট। বিজ্ঞানী বাবা বোঝেন রোগটা চিকেন পক্স। ছোট্ট ছেলের রোগ সেরে গেল একসময়। কিন্তু পৃথিবীকে পক্সমুক্ত করার শপথ থেকে আর সরে আসলেন না ডক্টর মিচিয়াকি তাকাহাসি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৪; প্রথমে মার্কিন মুলুকে, তারপর ১৯৭০ থেকে জাপানে ভ্যারিসেলা জোস্টার ভাইরাস নিয়ে দীর্ঘ একদশকের নিমগ্ন গবেষণার পর বিজ্ঞানী বাবা আবিষ্কার করে ফেললেন পৃথিবীর প্রথমতম চিকেন পক্সের টিকা। ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকা নিয়ে সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
দোল যাপন হোস্টেলের দিনগুলো ... ...
জীবন চলিয়া যায় .................. ... ...
গড়িয়ার মেসি মেস ... ...
আমার উড়াল ... ...
অবশ্য ওহেন কাব্যিক উপমা তখন সুমনের মাথায় আসেনি। সেসব এসেছে পরে - স্বপ্ন লজ্জাহীন, সবিনয় নিবেদন বা বাংরিপোসির দু রাত্তির জাতীয় মুচমুচে উপন্যাস পড়ে। বছর দুয়েক পরের কথা, কেতকীর সাথে সুমনের আলাপ তখন কেতকীদের বাড়ির ছাদে নিয়মিত সান্ধ্যআড্ডার সুবাদে জমে ক্ষীর। সুমন গেছে হায়দ্রাবাদ বেড়াতে। সালারজং মিউজিয়ামে Awakening of Galatea ছবির সামনে অভিভূত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সুমন। এক অদ্ভুত ভালো লাগার আবেশে ছেয়ে যায় সুমনের মন। ব্রিটিশ চিত্রকর হার্বাট গুস্তভ শ্মালজ অঙ্কিত ১৯০৭ সালের সেই অয়েল অন ক্যানভাসের প্রতিলিপির অভিঘাত উদ্দাম উন্মাদনাময় নয়, বরং আচ্ছন্ন করা এক শিরশিরে মাদকতায় যেন অবশ হয়ে যায় সত্তা। অনন্য সুন্দর সেই সৃষ্টি! দু বছর আগে সেই সন্ধ্যায় চাঁদনী রাতে সুশ্রী নদীর খোয়াইয়ের যে অস্পষ্ট খোয়াব ভাবনায় উঁকি দিয়েছিল - তার স্বরূপ যেন তখন চোখের সামনে উদ্ভাসিত। ... ...
পরচর্চার আনন্দ, উত্তেজনা অনস্বীকার্য। তবু চতুর্দিকে ধর্ম, রাজনীতি, দূর্নীতি, হিংসা, যুদ্ধের কলুষতায় আতুর মনের টুকুন মোলায়েম পরিচর্যা হয় - আমার ক্ষেত্রে - মেদুর পরীচর্চায়। তেমন কিছু এনিগম্যাটিক পরী, দক্ষ সাহিত্যিকদের কলম বেয়ে এসেছে আমার মনের আঙিনায় - দিয়েছে সবিশেষ আনন্দ। অণিমা (যাও পাখি), মণিদীপা (মানবজমিন), মনীষা (স্বপ্ন লজ্জাহীন), মার্গারিট (ছবির দেশে কবিতার দেশে), মারিয়ানা (কোয়েলের কাছে), ছুটি (একটু উষ্ণতার জন্য), কিশা (বাংরিপোসির দু’রাত্তির), ঋতা (সবিনয় নিবেদন), সুজান (পুত্র পিতাকে), রেণু (এই, আমি রেণু) … এমন আরো অ-নে-কে। তবে শুধু শব্দের ডানায় ভর করা পরী নয়। অতীতে কিছু বাস্তব পরীর সাহচর্যেও পেয়েছি অমল আনন্দ। এখন আর পরীসান্নিধ্যের সম্ভাবনা নেই। তাই নানা মিষ্টি স্মৃতির জাবর কাটি অবসরে। দুঃসময়ে অনেকে পথে নেমে প্রতিবাদ করেন। অনেকে কোনো ফোরামে করেন পরিস্থিতির সুচিন্তিত বিশ্লেষণ। দেন সম্ভাব্য সমাধান। আমি পড়ে সমৃদ্ধ হই। আত্মকেন্দ্রিক, ভীতু, ক্ষীণ বোধবুদ্ধির মানুষ আমি। তাই পৃথিবীর দুর্দশায় মন ভারাক্রান্ত হলে মাঝেমধ্যে গৃহকোনে একান্তে বসে YTতে ভর করে ভার্চুয়ালি চলে যাই দুর দেশ ভ্রমণে প্রকৃতির মাঝে। বা পড়ি পছন্দের কোনো বই বা দেখি কোনো সিনেমা। তখন বইয়ের বা সিনেমার কোনো পরী তাদের নারীত্বের সুষমায় আমার বিক্ষুব্ধ চিত্তে শান্তির চামর বোলায়। সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই বাস্তব থেকে। তাই আমি পরীদের কাছে কৃতজ্ঞ। পরীহীন পৃথিবী পলায়নবাদীর কাছে অকল্পনীয় অভিশাপ। ... ...
জীবনের নানা দিক নানা পথ ... ...
হাংরি আন্দোলন ... ...