সাপ পুষলে ছোবল খেতে হয় ... ...
১৯৯৭ সালের শেষ নাগাদ একটি টেলিফোন কল পেলাম- আই এফ আর পত্রিকা আমাদের কর্মধারা লক্ষ্য করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে এমারজিং মার্কেটে বানিজ্যরত ব্যাঙ্কগুলির মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। প্রায় বলতে যাচ্ছিলাম আমরা ছাড়া বাজারে আর আছেটা কে! একাধিক টেলিফোন কনফারেন্স, সাক্ষাৎকার এবং ডিলের দলিল দস্তাবেজ প্রদানের পরে অন্তত আমার মনে কোন সংশয় ছিল না এই পুরস্কারের প্রথম বিজয়ের গৌরব একমাত্র আমাদের প্রাপ্য! যথা সময়ে তা এলো। ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিং রিভিউ পত্রিকার ইতিহাসে প্রথম এমারজিং মার্কেট ব্যাঙ্ক অফ দি ইয়ার সম্মান পেলো সিটি ব্যাঙ্ক । অস্কার সেরিমনির মতন নাটকীয়ভাবে কোন বন্ধ খাম খোলা হয় না , আগেভাগেই জানানো হয় কে পাস কে ফেল । ডরচেষ্টার হোটেলে বার্ষিক পুরষ্কার প্রদানের অনুষ্ঠান ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে *। প্রধান অতিথি ব্রিটিশ মহারানির একমাত্র কন্যা প্রিন্সেস অ্যান, যিনি প্রিন্সেস রয়্যাল আখ্যাতেও বিভূষিত। সেভ দি চিলড্রেন নামক জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট তিনি। রাজকুমারী অ্যান শুধু খানাপিনার জন্যে আসেন না– তিনি তাঁর প্রিয় প্রতিষ্ঠান সেভ দি চিলড্রেনের জন্যে টাকাও তোলেন! সমাগত পুরস্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলি মুক্তহস্তে দান করে থাকেন সেই তহবিলে। ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকার সাড়ে চার দশকের নানা আখ্যান ও স্মৃতি বিষয়ক রচনা ... ...
বিদেশের প্রভাব ! অ্যাঁ ! ... ...
যে কোন নাটকের গোড়ায় পাত্র পাত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় , তারপরে ঘটনার ঘন ঘটা - রাইজিং অ্যাকশন! সেটির পরিণতি ক্লাইম্যাক্সে ; অতঃপর ফলিং অ্যাকশন । বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে স্বচ্ছন্দে বলতে পারি নাট্য শাস্ত্রীদের এই বিন্যাসের সঙ্গে ফুটবল খেলাটা হুবহু মিলে যায় । তফাত এই যে সবটাই মঞ্চে বা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় না । পাত্রদের নাম ধাম , প্রতি সপ্তাহের বেতন কত তা আমরা জানি । তাদের ভূমিকা এই নাটিকার ক্লাইম্যাক্স পর্বে , মানে মাঠের ভেতরে। খেলা শুরুর আগে মঞ্চের চারপাশে যা চলতে থাকে সেটা রাইজিং অ্যাকশন, সেটা আমার কাছে আসল খেলার চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়! ম্যাচের কয়েকদিন আগে থেকেই শহরের পথঘাট ভরে যায় - নানান দেশের পতাকা, মুখে রং, মাথায় বিচিত্র টুপি , ক্লাউনের সাজ সজ্জা , ফুটপাথে ম্যাপ ও ছবি আঁকা, নানান গান ( একবার লন্সে ইউরো ২০১৬ তে ক্রোয়েশিয়া আর পর্তুগালের ফ্যানরা রাস্তার ওপরে লোক সঙ্গীতের চাপান উতর বসিয়ে দিয়েছিলেন – এ যতো গায় অন্যে গায় তার শত গুণ । কারো ভাষা অবিশ্যি কেউ বোঝে না )। স্লোগানে স্লোগানে অলি গলি গুলজার। সারা ইউরোপে উজ্জ্বল গ্রীষ্মের দিনে অজস্র হাসি খুশি মানুষের মেলা বসে যায় – ফুটবল শুধু একটা বাহানা! ... ...
দিনে দিনে ক্রমশ: অসামাজিক হয়ে যাচ্ছি বলে নিজের আত্মচেতনা সজাগ হচ্ছে এই বলে যে কিছুটা অন্তত এফর্ট দেওয়া দরকার আমার তরফে যাতে করে একদম বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই - তা এফর্ট দিচ্ছি আজকাল। আর সেই এফর্টের আগে-পরে যা হচ্ছে সেগুলো ডকুমেন্টেড করে রাখাই এই লেখার উদ্দেশ্যে ... ...
গল্প। আমার জীবনের ঘটনাগুলো নিয়েই গল্প লিখি ... ...
আমেরিকাতে থাকার সময় কয়েকবার বাইবেল স্টাডি গ্রুপের মেম্বারদের সাথে দেখা হয়েছিল। তারই একখান এনকাউন্টারের গপ্পো ... ... ... ...
কৈশোর যৌবন বার্ধক্যের ... ...
বাঙালি কি সত্যিই আত্মবিস্মৃত জাতি? গতকাল ভোরে ৮৭বছর বয়সে একদম নীরবে চলে গেছেন বিজ্ঞানী আদ্যন্ত প্রচারবিমুখ মানুষ, গবেষক-জনস্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক দিলীপ মহলানবীশ। তাঁর আজীবনের সমস্ত অবদান কেবল ছোট্ট একটা অবিচুয়ারি হয়েই থেমে গেছে আজকের সব সংবাদমাধ্যমের হেডলাইনে। কাল বা আজ খুব সংক্ষিপ্ত কিছু স্মৃতিচারণ ছাড়া কোথাও তাঁর কথা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়নি..। গোটা পৃথিবী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাথা ব্যথা হলেও, কোথাও নেই ডাক্তার দিলীপ মহলানবীশের একটুকরো ছবিও। বিজ্ঞানী হেমেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি অনেক আগেই ডুবে গেছেন বিস্মৃতির ধুলোয়, ডাক্তার দিলীপ মহলানবীশকেও কি ভুলে যাব আমরা এভাবেই? ... ...
নিজেকে উজাড় করার কৌম-প্রক্রিয়ায় ... ...
কলেজ স্ট্রিট নিয়ে সাড়ে চার দশকের অভিজ্ঞতা ... ...
১৯১৯ এর ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের গুজরানওয়ালাতে (হ্যাঁ, এই জায়গাটি ইদানিং বিলেতের অধুনা বিখ্যাত 'ভারতীয়' প্রধানের পূর্বপুরুষের ভিটের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে) জন্মেছিলেন অমৃতা। চলে গিয়েছিলেন আরেক ৩১ এ, ২০০৫ এ। ঠিক গত পরশু দিনই। ৯৬ বছরের ইমরোজ আজও জীবিত। দিল্লিতে সেই ছোট্ট ফ্ল্যাটের পরিসরে, একান্ত নিজস্ব এক অমৃতাকে ঘিরে বাঁচেন তিনি। কবি -লেখিকা - নারীবাদী আইকন অমৃতা হিসেবে পাঠক-ভক্তের মধ্যে অনির্বাণ রইলেও ইমরোজের সমগ্রতায়, ইমরোজের ফ্ল্যাটের অসংখ্য ছবিতে রয়ে যাওয়া অমৃতা আসলে ছিলেন এক প্রাণবতী ঝর্ণা। যে নির্ঝরের সকল অভিমুখে উপলসম বুক পেতে অনিঃশেষ প্রেম নিয়ে ৭টি দশক ধরে অবিচল হয়ে আছেন ইমরোজ, আজও রোজ…। ... ...
হ্যারি বেলাফন্টেদের কাছে সময় হার মানে...সবসময়!! ..আর জিতে যায় ক্লান্ত ক্লান্তিহীন মানুষের নিয়ত ভেসে চলার গান!! ... ...
বাটপাড়ের মন বলতে যা বোঝায় ... ...