সম্প্রতি ইসকন ও রামকৃষ্ণ মিশনের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিকৃত ইতিহাসের সুলুকসন্ধান করা... ... ...
ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
আমার ছোটবেলার পাহাড় ঘেঁষা মফস্বলের বাড়িতে একটা প্রাচীন লোহার সিন্দুক ছিল। ডালার ওপর একটা ফ্ল্যাট পদ্মফুল। তার মাঝে সরু একটি নিখুঁত কাটা আয়তক্ষেত্র । চাবিটাও তিনসেরি। মাঝে মাঝে যখন খোলা হতো, মনে পড়তো আলিবাবার খুল যা সিম সিম। ছোঁবার যো ছিল না,ঐ ডালা হাতে পড়লে থ্যাঁতলানো টিকটিকি। শুধু একবার কয়েন, অলংকার,দলিল নামিয়ে পরিষ্কার করার সময় মায়ের লেখা একটা একটা লুকোনো চিঠি আবিষ্কার করেছিলাম। রুলটানা কাগজে গোটা গোটা অক্ষর, প্রাপক আমার বাবা,-----" আমার গায়ের রঙ কালো বলে অনেক লাঞ্ছনা সইতে হয়। আবার মেয়ে হলো, ত ... ...
এই মরশুমের অন্য খেলাটি কৌতুহলোদ্দীপক। আফগানিস্তানের অর্থনীতি চলে আফিম, ফল ও বন্দুকের কুটির শিল্পের উপর। ফল ছাড়া দুটি পণ্যই আন্তর্জাতিক বাজারে বেআইনী। কিন্তু কিন্তু কিন্তু - আজারবাইজানের তেল করাচীর বন্দরে আনতে গেলে আফগানিস্তানের জমিনে কব্জা লাগবে। চীন-পাকিস্তান সেই কারনেই তালিবানের পাশে। করাচী থেকে রাস্তা তৈরীর কাজ বহুকাল ধরে চীন চালাচ্ছে। এই সাফল্য যতটা তালিবানেদের তার চেয়ে বেশী চীনের। ... ...
একটি জাতি প্রায় সমষ্টিগতভাবে রেসিস্ট। রাজনৈতিক শুদ্ধতার বাইরে থেকে চাপানো কৃত্রিম জ্ঞান দিয়ে ফেসবুকে সচেতনতার সাময়িক পলেস্তারা নির্মিত পোস্ট রচনা করা যায়, রেসিস্ট মানসিকতার আগাছা তাতে নির্মূল হয়না। তাই এভাবেই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে বেরিয়ে আসে রেসিজমের বয়ান, রেটরিক, ভাষা। সে ভাষায় সাহিত্য করে পুরস্কার লাভ হতে পারে, নিজেকে আ্যক্টিভিস্ট বা বামপন্থি বলে আত্মপ্রচার করা যেতে পারে, কিন্তু মানুষসভ্যতায় বিশ্ব-শিল্প-সাহিত্যে বা জাতিগতভাবে কোন সংযোজন সম্ভব হয়না। ... ...
বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে, আর সবাই তাদের নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণী দেয়াও শুরু করেছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ভবিষ্যৎবাণী করা অনেকটা সহজ যেমন ধরুন আজকের ব্রাজিল বনাম কোস্টারিকা ম্যাচ কে জিতবে, অথবা এখন যে ম্যাচটা চলছে সেটা কি ড্রাগ হবে নাকি হবে না। এর চাইতে একটু কঠিন ভবিষ্যৎবাণী হতে পারে পেনাল্টি হবে কিনা বা পেনাল্টি শটে আদৌ গোল হবে কিনা এসব। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন যে ভবিষ্যৎবাণীটি সেটা হচ্ছে সমগ্র টুর্ণামেন্টের ওয়ার্ল্ড কাপটি কার হাতে যাবে। আর এই দুরূহ কাজটিই করে দেখিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স। ... ...
মনে করুন, আপনি জানতে চাইলেন, যুক্তিবাদ জিনিসটা ঠিক কী এবং কখন কোথা থেকে কীভাবে তা এল, এইসব ব্যাপারস্যাপার নিয়ে পড়াশোনা কীভাবে শুরু করা যায় । এ সব নিয়ে ভাল ভাল প্রবন্ধ আর বই তো বিস্তর আছে, অন্তত ইংরিজি ভাষায়, এবং বাংলাতেও হয়ত বা ছিটেফোঁটা কিছু, তার মধ্যে কোথা থেকে শুরু করবেন, আর কোনদিকে কতদূরই বা হাঁটবেন? মনে করুন, আপনি গ্রন্থের অরণ্যে হারাতে চাইছেন না, ভয়ঙ্কর পণ্ডিতিও চাইছেন না, আবার একেবারে হালকাপলকা খেলো কথাবার্তাও চাইছেন না । যেন বেশ সিরিয়াস, গুরুত্বপূর্ণ ধরনের কিছু কথাবার্তা পড়ে ফেলা যায়, অথচ পড়বার শ্রমটি যাতে পাহাড়ের মত সামনে দাঁড়িয়ে নতুন বোধপ্রাপ্তির আনন্দটুকুকে আড়াল না করতে পারে, এইটুকু চাইছেন । ... ...
একটা পরিবারে ধরা যাক বাবা, মা এবং বাচ্চা তিনজনেরই জ্বর হয়েছে। পরিবারটি মোটামুটি স্বচ্ছল, কাজের মাসি পিসি সবই আছে। আজকাল এমনিতেও আর আলাদা করে বাজার করার দরকার পড়ে না, মোবাইলে দু চারটে বোতাম টিপে দিলেই স্যাট করে বাড়ির দরজায় তরিতরকারি মায় মাছের ঝোল বা রেশমি কাবাব সবই পৌঁছে যায় ঘন্টা খানেকের মধ্যেই। অসুখ করলে ডাক্তার দেখানো হয়, ওষুধও পড়ে নিয়মিত। তা, এ হেন একটা পরিস্থিতিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই কি দেখা যাবে? দেখা যাবে যে, তিনজনেই শুয়ে বসে কাতরাচ্ছে, জ্বরে যেমন হয় আর কি। আর তারপর বাবাটিকে অনতিবিলম্বেই দে ... ...
"ওয়েলকাম টু জুরাসিক পার্ক" অডিটোরিয়ামের বাঁ পাশে হরিণদের এনক্লোজারের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ময়ূরের খাঁচাটার সামনে। এ ময়ূরগুলো ঠিক পোষ মানা নয়। বিদ্যাপীঠের পোল্ট্রিতে মুরগীকে দিয়ে তা দিইয়ে অনেকক'টা ময়ূরের ডিম ফোটানো হয়েছে, সেগুলো আজন্ম মানুষের সাহচর্যে বেড়ে ওঠা। ছোটবেলায় ধাই-মা মুরগীর পিছনে পিছনে ঘুরত, বড় হতে হতে নিজের জাত চিনে আলাদা হয়েছে। ওদেরকে খাঁচার বাইরে মাঝেমধ্যেই ছাড়া হয়, ডেয়ারীর খড়গাদা পেরিয়ে ইলেভেন-টুয়েলভের হস্টেলের কাছ ... ...
ভারত মহাসাগরের তীরে এক বর্ণময় নারীর জীবনাবসানের সাক্ষী হতে হচ্ছে নেহাত ঘটনাচক্রে। হঠাতই এসে পড়েছি তামিলনাড়ুর পাশে, ইচ্ছে ছিল আজ শ্রীরঙ্গাপত্তনমে টিপুর কাছে যাবার, সব ভন্ডুল করে দিয়ে ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে এক বৃদ্ধা অভিনেত্রীর, আপাতসফল কিন্তু নিষ্ঠুর একনায়িকার অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। সে আগুনের আঁচের সেঁক নিচ্ছে চেন্নাইতে এপোলো হাসপাতালের সামনে মানুষের কাতার, সন্ত্রস্ত সেবাকর্মীরা,রেলস্টেশন,এয়ারপোর্ট জুড়ে আটকে পড়া অসহায় মুখের ভিড়, বন্ধ দোকান বাজার আর ক্রমশ জনবিরল হতে থাকা রাস্তাঘাট। বন্ধ করে দেওয়া হ ... ...
কিন্তু সমস্ত কিছু গা-সওয়া হয়ে যাবার পরও কিছু কিছু জিনিস তবুও চমকে দেয়। দিল্লির ঘটনা যেমন। স্রেফ এইজন্য নয়, যে, পুলিশ নৃশংসতা দেখাচ্ছে। এইজন্যও নয়, যে, হিন্দুত্ববাদীদের নারকীয় গুন্ডামি নতুন কিছু। কিন্তু যা এখানে চমকে দিচ্ছে, সেটা হল প্রকাশ্যে, ইন্টারনেট যুগে যে খুল্লামখুল্লাভাবে জিনিসটা ঘটানো হচ্ছে। সরাসরি হামলা, বোমা এবং অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার, পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট সক্রিয়তা, অব্যর্থভাবেই মনে করিয়ে দেয় গুজরাতের নরমেধ যজ্ঞের কথা। পদ্ধতিটা সেই একই। এবং সেটা কোথায় ঘটানো হচ্ছে? ভারত রাষ্ট্রের রাজধানীতে। বছর দুই আগেও এ ঘটনা অবিশ্বাস্য মনে হত। কিন্তু আর হচ্ছে না। সুররিয়েল মনে হচ্ছে কেবল। ভিডিও গুলো দেখলে সকলেরই মনে হবে মনে হয়। ... ...
ললিত স্যার না থাকলে দেবু দত্তগুপ্তর লেখার সাথে হয়ত কোন দিনও পরিচয় হত না। তখন দশম শ্রেণী, স্যার একদিন আলোচনা প্রসঙ্গে একটি বইয়ের কথা বললেন, যা সারাংশ দিলেন তাতে করে খুবই আগ্রহ জন্মাল। এটাও বললেন যে বইটা আমাদের ওই বয়সী ছাত্রদের সবারই পড়া উচিত অন্তত একবার করে। ওই বই তখন আমাদের ওদিকের দোকানে বিক্রী হত না – তাই স্যারই আনিয়ে দিলেন কোথা থেকে যেন। হাতে এসে পড়ল লাল-কালো প্রচ্ছদের একশো তিরিশ পারাত বইটি – “যে পাহাড়্গুলি ডিঙোতে চাই”। আমাদের এলাকা তখন প্রবলভাবে বামপন্থী – স্কুলের স্যাররাও বেশীর ভাগ বাম মতাদর ... ...
‘চুল’কানিস্থানঃ রানাঘাট স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম।কালঃ রাজ্যে পঞ্চম তথা শেষ দফা ভোটের আগের দিনের সকাল।পাত্রঃ চিনতে হলে শেষ অবধি ধৈর্য ধরুন।পোলিং পার্টির বাসে রানাঘাট কোর্ট পাড়ায় নেমে ষ্টেশন অবধি আসতে আসতে পাক্কা ছ’ মিনিটের জন্য ফুলিয়ার ট্রেনটা যখন মিস করলাম তখন অশান্ত মনের হোমাগ্নিতে আরও খানিক হবি বিসর্জন হল। সকাল চারটেয় উঠে রেডি হয়ে বেরতে দাঁতে কুটোটি কাটার সুযোগ পাইনি। সামনের শেডে ভাজা কচুরি দেখে মনে অসম্ভব লোভ সৃষ্টি হ ... ...
সমান নাগরিক সংহিতাঃ বিতর্ক হোক নান্দীমুখগত ৯ ডিসেম্বর, ২০ ... ...
আমি গণিতবিদ নই – কিন্তু গণিত ভালোবাসি। গণিতজ্ঞদের দিকে তাকাই সম্ভ্রমের চোখে – আর ঠিক এই কারণেই পাশের গ্রামে ফিরোজ, বন্ধু সুমন এরা ছিল আমার ঈর্ষা মিশ্রিত বিষ্ময়ের পাত্র। তাই এই লেখা শুরু করার আগেই সাফাইটা গেয়ে দিই – বলে রাখি যে এই প্রবন্ধ কোন নতুন তথ্য দেবার জন্য নয়, নয় কোন গালভরা গবেষণার গল্প বলার জন্য। এটা নিছকই সেই সব তথ্য, ঘটনা আর নাম সমৃদ্ধ, যা অনেক সময় আমরা খেয়াল করি না। অর্থাৎ ধরুন আপনি নিজের জামাটি রোজ পড়েন, কিন্তু সেই জামায় কয়টা বোতাম আছে তা কখনো খেয়াল করেছেন কি? এই লেখাও তেমন হবে আর কি! ... ...
এই লেখাটা ভাঙ্গর, পরিবেশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নানা স্ট্যাটাস, টুকরো লেখায়, অনলাইন আলোচনায় যে কথাগুলো বলেছি, বলে চলেছি সেইগুলো এক জায়গায় লেখার একটা অগোছালো প্রয়াস। এখানে দুটো আলাদা আলাদা বিষয় আছে। সেই বিষয় দুটোয় বিজ্ঞানের সাথে সাথে আমার রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তাও জড়িত অবশ্যই, কারণ আর সব কিছুর মতই বিজ্ঞানও রাজনীতি মুক্ত বা রাজনীতি বহির্ভূত বিষয় নয়। আমি মনে করি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষতিকারক। এ কথা আমি ভাঙ্গর আন্দোলনে যখন পরিবেশ স ... ...
স্কটিশ ক্যাফে*******************************(১)মহাযুদ্ধের ক্ষত তখনও ইউরোপের শরীরে শুকোয়নি, তার মধ্যেই বেজে উঠল আরো একটা যুদ্ধের দামামা। শক্তি বাড়িয়ে হিটলার তখন ইউরোপের সম্রাট হবার উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করছে। কয়েক বছরের মধ্যেই মারা যাবে নয়-দশ কোটি মানুষ। কিন্তু সেই মহামৃত্যুমিছিলের পাশাপাশি একটা আলোর রেখাও ছিল। দুই যুদ্ধের সমসাময়িক সময়্টা সমস্ত দিক থেকেই ইওরোপে আইকনিক। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উর্বরতম সময়। গোটিঙ্গেনে তখন গাউসের সোনার তরী সোনার ফসলে ভরে ঊঠেছে। কেম্ব্রিজ-ইকোল পলিটেকনিক-কোপেনহেগেন- ... ...
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখিত রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি বইটির আলোচনা। ... ...
সুস্থ বলতে যদি নীরোগ শরীরে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার কথা ভাবেন, তো তার জন্য ব্যায়াম একরকম। আবার যদি আটচল্লিশ ইঞ্চি বুকের ছাতি আর তেত্রিশ ইঞ্চি বাইসেপস বাগানোর তাল করেন, তাহলে অন্যরকম। রোগবালাই দূরে রেখে বহুদিন বাঁচার বৈজ্ঞানিক ফর্মূলা …অমলবাবুর হার্টের রোগ, আর সেই সুবাদে তিনি বছর-পাঁচেক ধরে আমার চিকিৎসায় আছেন। রোগী হিসেবে তিনি বেশ ভালো। ডাক্তারের কাছে ‘ভালো রোগী’ মানে জানেন তো? ‘ভালো রোগী’ হলেন তিনি যিনি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলেন। অমলবাবু তাঁর ওষুধ ঠিকমতো খান, সময়ে দেখিয়ে যান, খাবার-দাবার ... ...
১। ভারতে কোনো সাধারণ ভাষা বা সাধারণ জাতীয়তা নেই। ব্রিটিশ শাসনের চাপে একটা বহির্মুখী ঐক্য গড়ে উঠেছে, কিন্তু তার ভিতরে যা সাংস্কৃতিক মিল, তা ইউরোপের বা মধ্যপ্রাচ্যের নানা জাতির মধ্যের মিলের চেয়ে বেশি কিছু না। ফলে ভারতবর্ষকে একটা জাতি হিসেবে ভাবা যাবেনা। ২। ভারতবর্ষের সুনির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীগুলোর একটা তালিকা করেন তিনি। পূর্বে বাঙালি, ওড়িয়া, অসমীয়া। পশ্চিমে গুজরাতি, মারাঠি। দক্ষিণে চারটি - তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালি। এবং খুবই কৌতুহলোদ্দীপক, পাঞ্জাবি এবং হিন্দুস্তানিদের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, যে, এদের জাতিনির্মাণ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। একই তালিকায় পাহাড়ের জনজাতিরাও আসে। ৩। দেশভাগের পর, বাংলা নিয়ে আলাদা করেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেহেতু বাঙালি একটা আস্ত জাতি, তাই কৃত্রিম ভাগাভাগির পরও দুই টুকরোর মিলনের পক্ষে ছিলেন দিয়াকভ। তিনি প্রায় ভবিষ্যদ্বাণী করেন, যে, কোনো সন্দেহ নেই, ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দিকেই বাঙালি সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে রাষ্ট্রশক্তিকে। এই ভবিষ্যদ্বাণী, বলাবাহুল্য সত্য হয়েছে। নকশালবাড়ি, মুক্তিযুদ্ধ, উদ্বাস্তু, এনআরসি, সব মিলিয়ে বাঙালি সমস্যা এবং বাঙালি ট্র্যাজেডি চলেছে, চলেছে রক্তগঙ্গাও। ... ...