এটি মূলতঃ তির্যকের 'রয়েছি মামণি হয়ে' ও শুচিস্মিতা'র 'সন্তানহীনতার অধিকার'এর পাঠপ্রতিক্রিয়া।--------------------------মা শব্দটি এখনও মহিমান্বিত । সুদূর অতীতের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তো নেই। এখনো এমন ভাবার কোন কারণ দেখি না যে ভবিষ্যতে মা শব্দের গুরুত্ব কোমলতা এবং মহিমা কমে যাবে। আমি এও বিশ্বাস করি না যে অন্তত মানব শিশুর জীবনে বাবার ভূমিকা কম গুরুত্ব পূর্ন। তবে এই আলোচনা মায়ের বৃত্তেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বিতর্ক এখনো এই পর্যায়ে আসেনি যে জৈবিক দিক দিয়ে শিশুর প্রাণোদ্গমে মা অথবা বাবা সমান গুরুত ... ...
সে ছিল এক রংদার কফি হাউসের দুনিয়া– এক টেবলে ভাগাভাগি করে পাশাপাশি বসে সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, কমলকুমার মজুমদার, মৃণাল সেন, সমর সেন, ও পাশের টেবলে গর্জন করছে সদ্য-ছাপা কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর প্রথাচ্যুত জোয়ান কবিদের দঙ্গল! এই ধরতাইটুকু, এই দীপ্ত আধুনিকতা এবং পঞ্চাশের দশকের কলকাতার প্রেক্ষাপট বুঝে না-থাকলে আজকের কবরখানা কলকাতায় দাঁড়িয়ে সত্যজিতের শতবর্ষ-সেলিব্রেশন অর্থহীন হয়ে যায়। ... ...
অনেকে মনে করেন, এই যে বিচিত্র জটিল জীবদেহ এবং তার মধ্যে প্রাণ ও মনের খেলা, এ নাকি কোনও সর্বজ্ঞ ইঞ্জিনীয়ার বেশ পরিকল্পনা করে গুছিয়ে না বানালে নিজে থেকে কিছুতেই হতে পারত না । অতএব, বিবর্তন তত্ত্ব-টত্ত্ব সব ফেল, আসলে ভেতরে ভেতরে সবই ‘তাঁর’ লীলা ! চলুন তবে, একটু ঘেঁটেঘুঁটে দেখি কেসটা । ... ...
(এই লেখার মূল অডিয়েন্স গুরুর জনতা নয়, মূলত গুরুর বাইরের জনতাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। ব্লগের লেখা, এখানেও তুলে দিলাম। বিশেষ ধন্যবাদ রৌহিনকে, আর শাক্যজিৎকে)(১)লেখা শুরু করার আগে ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখা ভালো, যা দিনকাল চলছে। কে কখন কোথা থেকে সিডিশন চার্জ ফার্জ লাগিয়ে দেবে, জানা তো নেই, দিল্লি ঘেঁষে বাস করি, বহুকালের চেনাশনা বন্ধুরাও আজকে কেমন কিছু ইস্যুতে পোলস অ্যাপার্ট হয়ে যাচ্ছে, ঘরের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি – আর পিছু হঠবারও জায়গা নেই। পাকিস্তানে যাবার হুমকি বেশ কয়েকবার পে ... ...
যখন কার্গিল যুদ্ধ বাঁধে আমি তখন সবে মাধ্যমিক দিয়েছি। কিন্তু মাঝেমাঝে এটা ওটার কারনে স্কুলে যাই। সেই সময় যুদ্ধের ফান্ড বিষয়ে স্কুলে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সরকারী স্তর থেকে না হলেও সম্ভবত শিক্ষকেরা নিজেরাই এগিয়ে এসেছিলেন এবং ছাত্রদের কাছে আবেদন করেছিলেন ডোনেট করতে। আমি টাকা দিইনি। না, সেই বয়েসে দেশদ্রোহ যুদ্ধোন্মাদনা এসব ভারী ভারী চিন্তার বশবর্তী হইনি। দিইনি, কারণ বাবা যে কুড়ি বা তিরিশ টাকা দিয়েছিলেন সেটা আমি নিজেই সরিয়ে ফেলেছিলাম বিড়ি-সিগারেট খাব বলে। যে শিক্ষক ইনিশিয়েটিভটা নিয়ে ... ...
ম্যাজিক রিয়ালিজম নিয়ে প্রশ্ন করাতে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ একবার বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিলেন “ম্যাজিক আবার কি? ইউরোপীয়ানদের কাছে যেটা ম্যাজিক রিয়ালিজম আমাদের কাছে সেটাই বাস্তবতা। আমাদের বাস্তবতায় ঝড়ে একটা গোটা সার্কাস উড়ে গিয়ে আমাজন নদীতে পড়া অথবা তিনমাথা ওয়ালা শিশুর জন্ম নেওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। আপনারা বুঝবেন না”।কলকাতায় নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা, জলাজমি বুজিয়ে ফেলা, জংগুলে জমি ভরাট করে রিয়েল এস্টেটের অশ্লীল মাথা তোলার প্রতিবাদে যদি আমার মনে হয় প্রকৃতি আস্তে আস্তে দখল নিয়ে নিচ্ছে আমার ... ...
বিজ্ঞান ও যুক্তির সত্যসন্ধানী ভাবমূর্তিতে নাকি আজকাল একটু কালির ছিটে লেগেছে, ও সব নাকি আসলে ততটা ‘সত্য’ নয়, যতটা পশ্চিমী মগজ-ধোলাই । ও হচ্ছে এশিয়া, আমেরিকা আর আফ্রিকার প্রাচীন জ্ঞানকে দাবিয়ে রাখা আর অস্বীকার করবার হাতিয়ার, পশ্চিমী জ্ঞানকেই একমাত্র জ্ঞান বলে বাকি পৃথিবীর ওপর চাপিয়ে দেবার ষড়যন্ত্র । এই কারণেই নাকি আধুনিক যুক্তিবাদ, বিজ্ঞান আর তারই উপজাত আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগে যুদ্ধ-বিগ্রহে, মানুষকে দমিয়ে রাখতে, নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংস করতে । কাজেই, এ হেন খারাপ জিনিসের জন্ম ও বাড়বৃদ্ধি যে এশিয়া আর আফ্রিকার উপনিবেশগুলোকে শোষণ না করে সম্ভব হতে পারত না, তাতে আর সন্দেহ কী ? আধুনিকতা ও পাশ্চাত্যের রোমান্টিক বিরোধিতার এই ফ্যাশনেব্ল্ বয়ানটি বিশ শতকের সাত থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক্স-এ খুব চলত । আজ তার সুদিন গিয়াছে, তবু আজও অনেকে নিয়মিতই এ নিয়ে ফেসবুকে চর্বিতচর্বণ করে থাকেন । ভারতের মত এক সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ইংরেজের হাতে দখল হয়ে যায়, আর, মোটামুটি ওই একই সময় থেকে ব্রিটেন-এ শুরু হয় শিল্প-বিপ্লব, অতএব সেটা নিশ্চয়ই ভারত থেকে লুঠ করা টাকাতেই সম্ভব হয়েছিল, এ রকম একটা ধারণা অ্যাকাডেমিক পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ পড়ুয়া মানুষ অবধি অনেকেই পোষণ করে থাকেন । কিন্তু, কথাটা কি সত্যি ? মানে, যে ভাবে বলা হয় ওভাবেই সত্যি ? ... ...
'The Rojava Revolution is the Paris Commune under German siege ,Mardrid during the Spanish civil war,and Stalingrad during the second world war' জর্জ অরওয়েল তার স্পেনের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা ‘ Homage to Catalonia’ শুরু করছেন এইভাবে ‘ In the Lenin Barracks in Barcelona, the day before I joined the militia,I saw an Italian militiaman standing in front of the officer’s table.’। ফ্যাসিবাদি বিরোধী ১৯৩৬-১৯৩৯সালের সেই লড়াই হাজারো স্বাধীনতাকামী মানুষের সাথে পেয়েছিলো ... ...
আমার সুচিত্রা সেনের অভিনয় জঘন্য লাগত। বেশ ন্যাকাই লাগত, ইন ফ্যাক্ট। আমি অনেককে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে উনি অভিনয় করতে পারেন না, আর প্রচুর গালাগালের সম্মুখীন হয়েছি। আজ এই পোস্টটা লিখে তো আরোই হব, কারণ সমাজের অলিখিত আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি সমালোচনার ঊর্ধ্বে।কথা বলার টোন তো অসহ্য ছিলই, কিন্তু সবথেকে বিরক্তিকর ছিল তাকানো - বহু, বহু ওপরে কোথাও। "তুমি আমাকে ভালবাসবে না, শহীদ মিনার?" জাতীয় ব্যাপার।কিন্তু তাহলে কীসের এত মাতামাতি? "ঐধরনের অভিনয়ই তো তখনকার দিনে চলত"টা অত্যন্ত ব ... ...
সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো ... ...
পোস্ট মডার্ণ বা উত্তর আধুনিককে বিদ্বজ্জনেরা সংক্ষেপে পোমো বলে থাকেন। অর্থাৎ পোমো কবিতা হল উত্তর আধুনিক কবিতা। সাহিত্যে, বিশেষতঃ বাংলা সাহিত্যে এই কবিতার এক অসামান্য অবদান রয়েছে – সেই নিয়েই আমাদের আজকের বিদগ্ধ আলোচনা। যারা বুদ্ধিজীবি নন বা এখনো সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন নি – তারা এই আলোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না – আপনাদের কিঞ্চিৎ জ্ঞানবৃদ্ধি না করতে পারলে আর এত বুদ্ধি নিয়ে করবটা কি বলুন – আজকাল আর কিডনিতেও ধরে না যে। অনেকে ভাবেন যেমন তেমন অর্থহীন কিছু পংক্তি লিখে গেলেই বোধ হয় পোমো কবিতা হয়ে যায় ... ...
কাল একটা নাম প্রকাশ হতেই রে রে করে তেড়ে এসেছিল কিছু চাড্ডি, সে আসবেই জানা কথা। কেউ কেউ তো প্রমাণ না দিয়ে লিখেছি বলে পুলিশ টুলিশের ভয়ও দেখালো। তা সে দেখাক গে। কি আর করা যাবে। ধরে ফরে নিয়ে গেলে কদিন বিনি পয়সায় লপসি খাওয়া যাবে। কিন্তু একটা প্রশ্ন, নাম ভুল, নামের মধ্যে আমরা হিন্দুত্ব খোঁজার চেষ্টা করছি সেসব মেনে নিলাম। কিন্তু প্রশ্নটা হলো ঠিক নির্বাচনের পরপরই দিল্লির এই দাঙ্গা কেনো? আর দাঙ্গাই যদি হলো তাহলে বেছে বেছে ইস্ট দিল্লিতে কেনো? ইস্ট দিল্লির চেয়ে অনেক বেশি মুসলমান দিল্লির অন্যান্য অংশে আছে, সবচেয়ে বড়ো কথা শাহিনবাগেও হতে পারত দাঙ্গা, কিন্তু না হলো ইস্ট দিল্লিতেই। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, ভোট পরপরই দাঙ্গা কেন? দাঙ্গার কারণ আদৌ দিল্লি তো, দাঙ্গার মোড়কে আসল লক্ষ্যটা পশ্চিমবঙ্গ নয়ত? একটু খতিয়ে দেখা যাক না হয়। ... ...
বিগত কয়েকশো বছরের সময়সীমা জুড়ে ধর্মকে কেবলই সরতে হয়েছে ‘ইতিহাস’ নামক নাটকটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক চরিত্র থেকে ক্রমশ গুরুত্বহীন হতে থাকা পার্শ্বচরিত্রে । একেই পণ্ডিতেরা আজ বলছেন ‘সেক্যুলারাইজেশন’, বাংলায় হয়ত বা কোনও মতে বলতে পারি ‘ধর্মনিরপেক্ষীভবন’ । এ প্রক্রিয়ার তিনটে দিক । প্রথমত, রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর থেকে ধর্মের রাশ আলগা হয়ে যাওয়া, প্রশাসন-অর্থব্যবস্থা-সেনা-শিক্ষাব্যবস্থা এইসব থেকে ধর্মের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া । দ্বিতীয়ত, জ্ঞান-চিন্তা-শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতির জগতে আধুনিক বিজ্ঞান যুক্তিবাদ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের দ্বারা ধর্মের তাত্ত্বিক পরিসরটি দখল হয়ে যাওয়া । এবং তৃতীয়ত, ব্যক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ও মনোজগতে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত ক্রমশ আলগা হয়ে আসা । বোঝা যায়, প্রক্রিয়াটি অনতিসংক্ষিপ্ত, জটিল, বহুমাত্রিক, বহুস্তরীয় । ‘সেক্যুলারাইজেশন’ নিয়ে চর্চা, কাজে কাজেই, খুব সোজা না । ... ...
চন্দ্রপুলিধনঞ্জয় বাজার থেকে এনেছে গোটা দশেক নারকেল। কিলোটাক খোয়া ক্ষীর। চিনি। ছোট এলাচ আনতে ভুলে গেছে। যত বয়েস বাড়ছে ধনঞ্জয়ের ভুল হচ্ছে ততো। এই নিয়ে সকালে ইন্দুবালার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোট খাটো ঝগড়াও। পুজো এলেই ইন্দুবালার মন ভালো থাকে না। কেমন যেন খিটখিটে হয়ে যায়। পইপই করে ধনঞ্জয় বলেছিল মেয়ে ডাকছে এতো করে ঘুরে এসো। ইন্দুবালার ছোট মেয়ে থাকে ব্যাঙ্গালোরে। এবছরেই তাদের সেখানকার পাট উঠবে। জামাই চলে যাবে ইউক্রেনে। মেয়ে তার ছেলেপুলে নিয়ে এসে উঠবে দিল্লী। শ্বশুর বাড়িতে। তারপর সেখান থেক ... ...
এই লেখার শুরুর আগে শুরুর গল্প বলে কিছু নেই। কিংবা আছে, কে জানে! পাই বলল একটা নিয়মিত কলাম লিখতে। ব্যাপারটা একটু ভীতপ্রদ, কারণ নিয়মমাফিক লেখা চাপ। আর তাছাড়া আজকাল গুরুতে অন্য বাকি সব লেখা বা কলামের সমাজচেতনা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অ্যানালিসিসের তীব্রতা – এর সবকটাই আমার নাগালের বাইরে। কিন্তু পাই-য়ের রিকোয়েষ্ট ফেলা চাপের – তো যেটা ঠিক হল, আমার যা খুশী লেখার লাইসেন্স থাকবে। এটুকু বলার, যাদের ব্রেন সারাদিন জটিলতার চাপ না নিয়ে রাতের বেলা রেষ্ট নিতে পারে না – যাদের ব্রেন তত্ত্ব এবং তথ্যের ভারে নিমজ্জিত না হলে হা-হুতাশের ফীডব্যাক লুপে ঢুকে করে – তাঁরা স্বচ্ছন্দে এই লেখা এড়িয়ে যেতে পারেন। এই কলামের অনেক লেখা হয়ত মায়ের কাছে মাসির গল্পের মত হয়ে যাবে – তাঁরা আমাকে নাদান এবং চাষার ছেলে বলে অ্যাডজাষ্ট করে নেবেন। তো কি দিয়ে শুরু করা যায়? ঠাকুমা বলত শুভ দিনে নাকি মাছ পয়া জিনিস – ছোটবেলায় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হলে তার পিছনে পুকুরের কাতলা মাছের অবদান যে অর্ধেকের বেশী সেই বিষয়ে ঠাকুমা আমার পুরো কনভিন্সড ছিল। তাই মাছের গল্প দিয়েই শুরু হোক। লেখা ভালো লাগলে, বেল আইকনে চাপ দেবেন। ও, এখানে তো আবার বেল আইকন নেই! বাট ইউ নো, হোয়াট আই মিন। কিছু একটাতে চাপ দেবেন। ... ...
মডার্ন মেডিসিনের ছাত্র হিসেবে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে কিছু ভাবনার কথা লিখেছিলাম অনেকদিন আগে।কথাগুলো প্রাসঙ্গিক বোধ করায় আরেকবার শেয়ার করলাম।প্রথমেই জানাই, আমি মডার্ন মেডিসিন প্র্যাক্টিশনার, ওরফে এলোপ্যাথি চিকিৎসক আর অন্য চিকিৎসাপদ্ধতি বিষয়ে খুব একটা বিশেষ জানি না। আর, সেই না জানার জন্যেই, অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে আমি খুব একটা কথাবার্তা বলতে চাই না।হোমিওপ্যাথি নিয়ে আমার খুব একটা জ্ঞানগম্যি আছে এমন নয়। আর সেইজন্যেই, এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নিকটজনের অসুস্থতার তদারক ... ...
দুর্জনেরা বলে ইদ মানে নাকি আমাদের (কিছু কিছু হিন্দুদের) নিজেদের সেকুলার প্রদর্শন করার দিন। রোজকার যাপনে যতোই মৌলবাদ প্রকাশ করি না কেন, ওই দিন গদ-গদ ভাবে 'ইদ মুবারক' জানিয়ে আমরা সেকুলার সাজি। সে যাই হোক, এর মধ্যে কতোটা সত্যতা আর কতোটা মিথ্যাচার তা নিয়ে নিশ্চয়ই বিতর্ক থাকবে। সে প্রশ্নে যাচ্ছি না।আমার দেখা অনেকেই ধর্মের নামে পশুবলি প্রথার বিরোধিতা করেন। কালী পুজোয় পাঁঠা-বলি নিয়ে অনেক অনেক কথা বলেন। তারা নিজেদের বরাবর সেকুলার হিসেবে দাবি করেন বলেও জানি। কিন্তু এই তাদেরই অনেককে কুরবানির ইদে ... ...
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী লিখিত অদ্যম ৩ বইটির আলোচনা। ... ...
পথিকের প্রদর্শিত পথ সুজয়যুক্ত করতে আনন্দের বাজারে এখন হাম্পটি ডাম্পটি।গতকাল ( ৬ই এপ্রিল, ২০১৮) যে দৈনিক দৈনিক না পড়লে আপনি পিছিয়ে পড়বেন তাঁরা আপনাকে এগিয়ে রাখতে জেনেভা থেকে নিয়ে এলেন হাম্পটি ডাম্পটি কে ... ...
সময়টা ছিল ২০০৩-এর ডিসেম্বর অথবা ২০০৪-এর জানুয়ারি। আমি তখন একুশ এবং কলেজের ফাইনাল ইয়ার। কলেজ থেকে পিকনিকে গেলাম আমরা ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা দল বেঁধে। জায়গাটা ছিল বাটানগর ছাড়িয়ে গংগার ধারে এক মরে যাওয়া টাউনশিপ, যেখানে কোনো এক সময়ে একটা কারখানা ছিল এবং তাকে ঘিরে লোকালয়। এখন শীতকাল, এখানে সন্ধ্যে নেমে যায় সকাল হতে না হতেই, এবং সারা অঞ্চল জুড়ে একটা কালচে কুয়াশার চাদর।সেই মৃত জনপদ আসলে গোটা কারখানা জুড়েই। তার বড় রাস্তার পাশে বন্ধ কোয়ার্টারের সারি, তার ভাংগা দেওয়াল জুড়ে বর্ষার ড্যাম্প, নিঃঝুম পানে ... ...