শেষবারের মত অমলেন্দুর সঙ্গে কথা বললাম - বিদায় জানাতে। অমলেন্দুর মাথায় হাত ছুঁইয়ে, ওর ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হেসে কল্পনার সঙ্গে ফাটকের রক্ষীর পেছন পেছন বিশাল উঁচু কাঠের গেটের ছোট্ট নীচু দরজা পেরিয়ে জেলের অন্দরমহলে ঢুকলাম। পাথর বিছনো অন্ধকার সুড়ঙ্গের মত পথ, খালি পায়ে, রক্ষীর লন্ঠনের আলোয়, আরেকটা লোহার তারকাঁটা বসানো বড় গেট। আমরা ভেতরে ঢুকলাম, পেছনে সশব্দে গেট বন্ধ হল। ... ...
অনেক রাতে, দেওয়ালের ওপর দিয়ে চেঁচিয়ে কল্পনার সঙ্গে কথা বলে ক্লান্ত হয়ে, সেলের গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে দেখতাম - জেলের দেওয়ালের বাইরের অশ্বত্থ গাছের মাথার ওপর ঝকঝকে পরিস্কার আকাশে চাঁদ উঠেছে, একটা সাদা প্যাঁচা স্থির হয়ে বসে পুরুষ ফাটকের ছাতে, উঠোনের অন্য প্রান্তে হাজার হাজার ঘুমন্ত পাখিকে বুকে নিয়ে শান্ত নিমগাছের নিচে নর্দমা থেকে বেরিয়ে ব্যাং গুলো লাফঝাঁপ করছে। ... ...
জঙ্গলের মধ্যে দুঃসাহসিক বন্দুক যুদ্ধে আমার ধরা পড়া, ইউরেনিয়াম প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত, বিস্ফোরক দিয়ে পুলিশ থানা উড়িয়ে দেওয়া - এইসব খবর বেরুচ্ছে হৈহৈ করে। অবশেষে তদন্তকারীরা সব ফিরে গেল - দিল্লি, পাটনা, কলকাতা, পাঞ্জাবে, আমার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখা মোটা মোটা সব ফাইল নিয়ে - আমাকে আমার খুপরি সলিটারি সেলে ফেলে রেখে। বাইরের পৃথিবী, এমনকি জেলখানারও অন্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন আমার সেলে। তখনই মনে হয় আমি ঠিকঠাক বুঝতে পারলাম - গত কদিন, কয়েক সপ্তাহ ঠিক কী হচ্ছিল। এর আগে পর্যন্ত আমি বোধহয় ঠিক বুঝতেই পারিনি, কী চলছে, কী হতে পারে, কী হবে। আমার মস্তিষ্ক বোধয় এই ভয়ানক চাপ থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্য আমার চিন্তা পদ্ধতিকেই কিছুটা অকেজো করে দিয়েছিল - অন্তত শুরুর কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে আমাকে মানিয়ে নেওয়ানোর জন্য। ... ...
মুগ্ধ বিস্ময় আর আগ্রহ তখন আমার, বাইরের পৃথিবী, নানান দেশ, বিদেশের মানুষজন নিয়ে। আমার কিশোরীবেলা থেকে পকেটমানি জমিয়ে রাখি, অন্য দেশে বেড়াতে যাবো বলে। বড় হয়ে, লন্ডনে আর জার্মানীতে কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় অন্য পাঁচ মহাদেশের ছত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিশে বুঝতে শুরু করলাম - অন্য দেশের মানুষ আমাদের কী চোখে দেখে। আমাদের, মানে বৃটিশদের। আমি বুঝতে শুরু করলাম স্কুলে পড়ানো আমাদের 'গৌরবময়' রাজকীয় ইতিহাস আসলে ঠিক তত গৌরবময় না, আর ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির দারিদ্র আর দুর্দশার পেছনে বৃটেন বা তার মত অন্যান্য কলোনীপ্রভুদের প্রভুত্বের অতীত ও নীতি টীতিগুলির কতটা অবদান। ... ...
যুগাবতারদের কর্মকাণ্ড ... ...
অই ননচ্যালান্স! বাংলার আদি ইমোশন। গনেশ জননী হোক বা সতীর দেহত্যাগ বা বটতলার হত্যাকাণ্ডের গপ্প -- পটের মুখাবয়ব জুড়ে সেই টানা টানা চোখ, শরীরে মন্থর রেখার আনাগোনা। যেন অবাক চোখে শুধু দেখে যাওয়া। তাতে ক্রোধ - দুঃখ - ভয় কিছুরই আধিক্য নেই। যেন সব চোখই শিশুর চোখ। তার সামনে কখনো দাদুর বুড়ো আঙুল কেটে নিয়ে যায় নেংটি ইঁদূর, কখনো ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেয় হাতির পাল, কখনো বা পুষি বেড়ালকে গিলে খায় পাড়ার হুমদো কুকুর। ... ...
বহুদিন ধরে জনৈক "হরিদাস পাল" হয়ে - "ধর্মাধর্ম" রচনা করেছিলাম এই গুরুচণ্ডা৯-তে - এখন গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন প্রকাশ করেছে "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থ - লেখার সময় আপনাদের যেমন সহযোগিতা পেয়েছিলাম, আশা করব এখন গ্রন্থ হিসেবেও এটি একই রকম সাড়া পাবে। ... ...
কেন মহিলা কবিদের উপেক্ষা করা হয় ? ... ...
সত্তর দশক আর সত্তর দশকের কবিদের নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় না, তাই ... ...
আত্মজীবনী কি গল্প ? উপন্যাস ? গল্প-উপন্যাস তাহলে কী ? ... ...
রাস্তাই রাস্তা ... ...
কেদার ভাদুড়ীর কাব্যগ্রন্হ পুনঃপ্রকাশিত হওয়া দরকার ... ...
যৌনতা যৌনতা যৌনতা ... ...
কিনে পড়লে টের পাবেন ... ...
শেষ বয়সের দাপট.... ... ...
মহিলা কবিরা যা পারেন ... ...
হিন্দি থেকে অনুবাদ তো ! দেখুন যদি পড়া-টড়া যায় ! ... ...
জীবনে কতোরকমের ল্যাঙ খেতে হয় ! ... ...