মাতৃগর্ভেই মানুষের প্রথম সমুদ্রদর্শন । নোনাজলের স্বাদগন্ধ অনেকটা রক্তের মতো । অনঙ্গ অন্ধকারে হাত মেলে, পা ছড়িয়ে, অন্ধকারের মতো শীতল চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে মায়ারুধির শ্যাওলা মেখে পৃথিবীতে নেমে আসা । ক্রমশঃ ট্রেনের বাঁশির স্বরে বেড়া ভাঙার আর্তকান্না, আমায় তুই আনলি কেন, ফিরিয়ে নে ... ...
বাংলাভাষায় ‘দীক্ষা’ শব্দটি বড়ই অভাগা। ‘শিক্ষা-দীক্ষা’-র মতো যুগলে ছাড়া সে এককভাবে কানে এলেই কেমন একটা ‘ধম্ম-ধম্ম’ গন্ধ পাওয়া যায়! বেশিরভাগ অভিধানেই শব্দটির অর্থ হিসেবে পাওয়া যায়, ‘হিন্দুধর্মীয় সংস্কারবিশেষ’ বা ‘গুরু কর্তৃক শিষ্যকে বিশেষ কোনো দেবতার মন্ত্র দান’ বা ‘নির্দিষ্ট দেবতার উপাসনায় উপদেশ দান’, ইত্যাদি। এই কথা ঠিক যে, হিন্দুধর্ম্মে শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, ইত্যাদি বিভিন্ন মতে দীক্ষার প্রচলন আছে। তান্ত্রিক মতে দীক্ষা দুই প্রকারের হয়, ‘বহির্দীক্ষা’ ও ‘অন্তর্দীক্ষা’। পূজা, হোম প্র ... ...
মুশকিল হচ্ছে এই সব হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়! আর এখানেই রোমানিয়া পিছিয়ে গেছে পশ্চিম ইউরোপ থেকে। গেম মারা চলছে, এখন গরমের সময়, এখনও চলছে, শীত আসলেও চলবে। সমস্যার গোরায় হাত না দিলে গেম মারা থামান যাবে না। গেম মারার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে। আর সাথে সাথেই আছে ভারত পাকিস্তান। ( এখানে কিন্তু ভারত পাকিস্তানে কোন ভেদাভেদ নাই। পাকিস্তানি দালাল ধরে ভারতীয়রা হরহামেশা গেম মারছে। পাকিস্তানি নাপিতের জন্য সবাই বসে থাকে, কখন আসবে আর সস্তায় চুল কাটাবে! ) নেপালের বেশ সুনাম রোমানিয়ায়। তারা গেম মারে না বা খুব কম মারে। যতদূর জানি সামনে এই তিন দেশ থেকে আর লোক নিবে না রোমানিয়া। কিন্তু যদি শ্রমিক বান্ধব না হতে পারে তাহলে আসলে কোন কাজই কাজে আসবে না। কেন যায় এইটার উত্তর বের করতে পারলেই গেম মারা বন্ধ হবে। আমি একজন ইথুইপিয়ার নাগরিককে চিনি, তার সঙ্গী সাথী সব গেম মেরে চলে গেছে, তিনিও যাবেন। কাজেই গেমের দোষ শুধু আমাদের দিয়ে আমাদেরকে ব্ল্যাক লিস্ট করে আসলে কোন কাজ হবে না। সমস্যার গোরায় যেতে হবে। ... ...
জনগণেৱ ভোটাধিকাৱ প্ৰয়োগে সীমাবদ্ধ যৌক্তিকতা বা বাউন্ডেড ৱ্যাসনালিটি ত্বত্তেৱ ভূমিকা ... ...
ৱ্যাগিং'এর শিকার হয়ে যাদবপুরে একটা বাচ্চা ছেলে মরে গেলো। তাই নিয়ে একদিকে রাজনীতি চলছে, আর একদিকে মিডিয়ার কুৎসিত মুনাফাবাজি ও বেআইনি ভাবে যার তার নামে তালিবানি প্রচার চলছে। সবকিছু দুদিন পরেই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। মিডিয়া তখন নতুন একটা ইস্যুতে আবার মুনাফাবাজি করবে। কিন্তু সমাজের অনেক গভীরে লুকিয়ে রাখা এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা কখনো হবেনা। ... ...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয়াবহতা ... ...
দেশভাগ, বাটওয়ারা, পার্টিশান – উপমহাদেশের চুপচুপে রক্তভেজা এক অধ্যায় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা, নির্মম কাটাছেঁড়া এই সবই ভারতে শুরু হয় মোটামুটি ১৯৪৭ এর পঞ্চাশ বছর পূর্তির সময়, অর্থাৎ ১৯৯৭ থেকে। তার আগে স্থাবর অস্থাবর সবকিছু ছেড়ে কোনওমতে প্রাণ নিয়ে পালানো মানুষজনও নিজেদের একান্ত আলাপচারিতায় এর হিংস্র ক্ষতবিক্ষত অংশটুকু সযত্নে এড়িয়ে যেতেন বা কোনও রূপকের (আগুনে ঝড় বা ভূমিকম্প) সাহায্যে বর্ননা করতেন। হ্যাঁ খুশবন্ত সিঙের ‘আ ট্রেইন ট্যু পাকিস্তান’ খুবই ব্যতিক্রমী ছিল। খুব সম্ভবত আউটলোক পত্রিকার বিস্তারিত আলোচ ... ...
#পার্টিশানের_অজানা_কাহিনী ৩ ১৯৪৭ এর ডিসেম্বর মাসে হুমায়ুনস টুম্ব রিফিউজি ক্যাম্পে একদিন দেখা গেল এক অভাবনীয় দৃশ্য। ৫০০০ রিফিউজির একটি দল খাটিয়া , বড় বড় শস্যের বস্তা, টুকিটাকি ঘর গেরস্থালির জিনিষপত্র, মায় ছাঁকনি পর্যন্ত যাবতীয় গৃহস্থালির জিনিষপত্র সঙ্গে করে এসে ঢুকছে। যথেষ্ট সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান এই দলটিতে মেয়েরাও বেশ পরিপাটি গয়নাগাঁটিতে সেজেগুজে এসে হাজির। এঁরা কেন রিফিউজি ক্যাম্পে এসেছেন বোঝা যাচ্ছে না, কারণ এঁরা লুন্ঠিত, দাঙ্গাবিধ্বস্ত যে নন সে তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। জিগ্যেস করে এক অভ ... ...
আসলে কেমন ছিল ১৯৪৭-এর আগস্ট? কেউ উদযাপন করছিল সদ্য পাওয়া স্বাধীনতা দিবস বিনা পয়সায় বাসে চড়ে আর ফ্রিতে সিনেমা দেখে, আর কারও কাছে সে দিন ভরা ছিল জন্মভূমি হারানোর বেদনায়। এমন একটা সময় ঘিরে কাজ করেছে নানা ধরনের আবেগ, কাউকে মনের দুঃখ মনে চেপে রেখে তুলতে হয়েছে পাকিস্তানের পতাকা, আবার কেউ কেউ আনন্দিত হয়েছে কিছু অসামান্য গুজব শুনে আর তাকে সত্যি ভেবে। ... ...
এই বৃহষ্পতিবার, ২৫ শে সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হপ্তা। যে যেখানে আছেন, যেভাবে পারুন, প্রতিবাদ করুন। সেই খবর জানান। কিছু সংগঠিত করতে চাইলে , কোন মতামত থাকলে জানান এখানে,এতদিন ধরে যেখানে যা প্রতিবাদ হয়েছে, হচ্ছে, তার খবরাখবর, ছবি, ভিডিও, প্রতিবেদনও থাকুক এখানে ... ...
যাদবপুর, হয়েছে টা কীসৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়মিডিয়ায় কোনো খবর নেই, কারণ ভোরবেলায় ঘটেছে ঘটনাটি। যাদবপুরের কিছু ছেলেমেয়েকে লিখতে বলেছিলাম, তারা স্বভাবতই আন্দোলনে ব্যস্ত। ওদিকে লোকজন জানতে চাইছেন, হয়েছে টা কি। মূলত আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পাতা থেকে তথ্যগুলি তুলে দিলাম। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে, থাকলে শুধরে দেবেন। সংশোধন বা নতুন কোনো খবর থাকলে মন্তব্য করবেন। সবকিছু এক জায়গায় থাক। আর অন্য কাউকে জানাতে হলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আমি ব্লগে এইসব লিখিনা, কিন্তু কী করা যাবে, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। ... ...
সোমবার ফ্লাইট। তাই আমাকে বিদায় জানাতে ক্যাম্পে তেমন কেউ ছিল না। যারা ছিল তাদের মধ্যে একজনের চোখ কী ছলছল করে উঠেছিল? না কি আমারই চোখ ভিজে যাচ্ছিল? কিন্তু কেন? এই সেই কুখ্যাত ক্যাম্প, যেখানে বৃষ্টিতে আমাদের রুমে নোংরা পানি ঢুকে সয়লাব হয়ে গেছিল। এখানেই বদমায়েশ কোম্পানি দুই মাস ধরে গরম পানি বন্ধ করে রেখেছে। এখানেই শীতের সময় হিটার বন্ধ করে দিত। এই ক্যাম্পের একটা স্ক্রুরর প্রতিও কোন প্রেম থাকার কথা না আমার। অথচ বুকের ভিতরে মোচড় দিয়ে উঠল কয়েকবার! অদ্ভুত মানুষের মন। ... ...
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি এই সেদিন কলকাতা এসে ঘুরে গেলেন। আসার আগে দিল্লির বঙ্গভবনে গিয়ে তিনি মোচার চপ, মাছের ঝোল খেলেন। কলকাতায় এসে হলুদ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন, রাস্তার পাশে ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিলেন। অলি-গলিতে হেঁটে বেড়ালেন। বিবিধ সংস্কৃতির পীঠস্থান লস এঞ্জেলেস শহর। গার্সেটি আগে ছিলেন সেখানকার মেয়র। দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব নেবার পরে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার রান্নার বৈশিষ্ট্য, বাংলার মন বুঝতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টায় বোধ হয় একটা ফাঁক থেকে গেল। মল কালচার, দেশি-বিদেশি রেস্তোঁরা, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ আর বিলীয়মান ঘরোয়া রান্নার এই যুগে আমেরিকান সাহেব দুপুরের আহারটা কলকাতার কোন একটি পাইস হোটেলে সারলেই পারতেন। কারণ, এই পাইস হোটেলগুলিই কলকাতার আসল হেরিটেজ ইটারি। মেনুতে থাকত সদ্য ধোয়া কলাপাতার ওপরে লেবু-লঙ্কা সহ ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, সুক্তো, পাঁচফোড়ন দেওয়া পাতলা মসুরির ডাল, কুমড়ো ফুলের বড়া আলু-পোস্ত এবং আলু-পেঁপে-কাঁচকলা সহ মাছের কবিরাজি ঝোল, হাঁসের ডিমের ডালনা, আলুর বড় টুকরো দিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল এবং কাঁচা আমের চাটনি। সঙ্গে রাখা যেত মাটির খুড়িতে মিষ্টি দই, একটা নরম পাকের সন্দেশ ও রসগোল্লা। বেরিয়ে আসার সময় একটা মিঠে পাতার পান। বাঙালির ইটিং আউটের প্রায় শতবর্ষের বিবর্তনের সঙ্গে জড়িত এই রাজ্যের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, পারিবারিক আচার, জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং ব্যবসার বর্তমান হাল হকিকতের একটা পরিষ্কার চালচিত্র তাহলে তিনি পেয়ে যেতেন। তিনি আরও উপলব্ধি করতেন, এই সব পাইস হোটেলে একটা সময় সাধারণ মানুষ মাত্র এক পয়সার বিনিময়ে ঠিক বাড়ির মতো রান্না খেয়ে পেট ভরাতেন। কলকাতার আসল বাঙালিয়ানার হদিস পেতে হলে এই পাইস হোটেলগুলিতেই আসতে হবে। বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির ইতিহাসে পাইস হোটেলের হেরিটেজ কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। সেখানে বসে সাবেকি রান্নার আস্বাদ গ্রহণ তারিয়ে তারিয়ে ভিনটেজ ওয়াইন উপভোগ করার মতোই অতুলনীয়। ... ...
আড় চোখে দেখি পাশের যাত্রী ঘাড় বেঁকিয়ে মেসেজ পড়ার চেষ্টা করছে। তাড়াতাড়ি উত্তর দিতে গেলাম “পরে কথা হবে।” মানে পি-এ-আর-ই (পরে) কে-এ-টি-এইচ-এ (কথা) ইত্যাদি। কিন্তু পি-কিউ-আর-এস এক বোতামে, জে-কে-এলও তাই। ‘আর’ পেতে তিন বার বোতাম টিপতে হবে। জ্বালাতন!! পি-এ-আর-ই লিখতে চাইছি, কিছুতেই আসছে না। আর-এর জায়গায় পি কিম্বা কিউ চলে আসছে। ডিলিট করতে গিয়ে পি-টাও মুছে গেল। একটা শব্দ লিখতে মিনিট দেড়েক চলে গেল। বন্ধ করে দিই ফোন? ছিছি, তাই করা যায়? লোকে তো এখনও তাকিয়ে আছে, ভাববে আমি মেসেজ করতে পারি না। ... ...
একজন কোন কাজকেই পাত্তা দেন না। আরে সাদেক ভাই, আমি এই কাজ করার লোক? কোম্পানি আমার যে ট্রেড তার বাহিরে কোন জায়গায় আমাকে কোনদিন কাজ করাতে পারবে না। যেখানেই পাঠাবে, আমি এমন কাজ করব যে আমাকে ফেরত পাঠাবে। বলবে এই লোক দিয়ে চলবে না। আমিও চলে আসব, এসে রুমে ঘুমাব। অথচ আমরা সবাই জানি উনি খুব পরিশ্রমী। যে কাজেই লাগায় দেওয়া হোক তিনি একটুও গাফলতি না করে কাজ করেন। আমি যে ওষুধ কোম্পানিতে ছিলাম ওইখানে এখন উনি কাজ করেন। যাওয়ার সময় বললেন, কালকেই চলে আসব, দেইখেন! দুই মাস হতে চলল, ভাই এখনও একই কথা বলেন। দেইখেন, বেতন নিয়েই এমন কাজ শুরু করব যে আমাকে ফেরত দিয়া কুল পাবে না। আমি আর কী, শুনি শুধু! ... ...
কমল অর্চনার চুলের মুঠি ধরে তাঁকে চেয়ার থেকে টেনে তোলে এবং তাঁর মাথা দেওয়ালের দিকে ছুড়ে দেয়। দেওয়ালে মাথা ধাক্কা লাগার ঠিক আগে চুল ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের দিকে নিয়ে আসে। এই পদ্ধতিতে অত্যাচার চলে ১৫-২০ মিনিট ধরে। অর্চনা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। সারা শরীরে অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছিল তখন অর্চনার। তাঁকে চেয়ারে বসতে বলা হল। কিছুক্ষণ পর আদিত্যকে রুণু নির্দেশ দিল অর্চনার চুল ধরে ঝুলিয়ে রাখতে। আদিত্য ঝাঁপিয়ে পড়ে অর্চনার চুল এত জোরে টানে যে তাঁর মাথার কিছু চুল ছিঁড়ে যায়। ... ...
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি কেমন হবে? ... ...
এসে গেলো আবার এই "শ্রেষ্ঠ দেশের" স্বাধীনতা দিবস -- ফোর্থ অফ জুলাই। আহা, কী দেশপ্রেম! অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ মানুষ অভুক্ত, অসুস্থ, অশিক্ষিত। এই আমেরিকাতেই। ... ...
বঙ্গ সম্মেলন নামক হট্টমেলা ও ঘেঁটে ঘ'এর গল্প। এই আমেরিকায়। ... ...