৮৪ সালে দোলের সময় যাদবপুরের কয়েকটি ছাত্রছাত্রী গেছিল শুশুনিয়া পাহাড়ে শৈলারোহণ অভ্যাস করতে। সেই তিনদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই কাহিনী। এতে আসবে মানবজীবনে প্রবৃত্তি ও প্রবণতার নানা প্রেক্ষিত। মিথস্ক্রিয়ায় নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অভিঘাত। আর পার্শ্বপ্রসঙ্গ হিসেবে - পর্বতারোহণ বিষয়ক কিছু প্রসঙ্গ। হয়তো গোটা কুড়ি পর্বেই শেষ হয়ে যাবে এই ব্লগ। ... ...
আইনত একজন ফরাসি নাগরিক বছরে ৭৫০০ ইউরো, নির্বাচনী বছরে অতিরিক্ত ৪৬০০ বা মোট ১২১০০ ইউরো পার্টি ফাণ্ডে জমা দিতে পারেন । নিকোলা সারকোজি একটি চতুর স্কিম খাড়া করলেন, ৭৫০০ ইউরো যে কেউ দিতে পারে , ঠিক কে দিচ্ছে তার আধার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে কে ? তাঁর চেলা চামুণ্ডারা ফেক বিল বানানোর ফ্যাক্টরি খুলে ফেললেন যার অডিট করার সময় বা অর্থ কোনটাই নির্বাচনী কমিশনের নেই । টাকার ফোয়ারা বইতে লাগলো । এর পরে তিনি ধরলেন একটি বৃহৎ মৎস্য , তাঁর নাম লিলিয়ান বেতেনকুর ( লো রিয়াল সুগন্ধির বৃহত্তম শেয়ার হোল্ডার, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মহিলা )। সারকোজির রি ইলেকশনের সময়ে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় লিলিয়ান বেতেনকুরের ক্যাশ বাকসো থেকে এত ইউরো সারকোজির নির্বাচনী তহবিলে প্রবেশ করেছিল সে বিষয়ে বেশি কৌতূহল না দেখানোয় উৎসাহ দেবার মানসে সারকোজি এক বিচারপতিকে এক প্রকাণ্ড রিটায়ারমেনট প্যাকেজ অফার করেন । শেষ রক্ষা হয় নি, বেআইনি ভাবে নির্বাচনী খরচ খরচা যোগাড় করার অভিযোগে ফরাসি আদালত ২০২১ সালে সারকোজির তিন বছরের শাস্তি হয়, দু বছর সাসপেনডেড এক বছর কারাদণ্ড ... ...
অন্য যে কোন দেশের মতন ব্রিটেনে রাজনৈতিক দলের অর্থের প্রাথমিক উৎস বাৎসরিক সদস্য চাঁদা এবং শুভানুধ্যায়ীদের অকুণ্ঠ অর্থ সাহায্য। আপনার যা ইচ্ছে, কৌটোয় ফেলে দিন – লিব ডেমের কোন দাবি নেই ! নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কোন প্রার্থী স্থানীয় নির্বাচনে পনেরশ পাউনড, সাধারণ নির্বাচনে চুয়ান্ন হাজার পাউনডের ( ব্রিটেনের গড় পড়তা মাথা পিছু আয় ৪৪,০০০ পাউনড) বেশি ব্যয় করতে পারেন না - তার হিসেব তৈরি রাখতে হয়। নির্বাচন কমিশন সেটি যে কোন সময়ে চাইতে পারেন। যতদূর জানি, ভারতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয় সীমা ৯৫ লক্ষ টাকা (ভারতের মাথা পিছু জাতীয় আয়ের ৫২ গুণ) – কিন্তু পার্টি তার দলীয় বা তারকাদের প্রচারে যে কোন পরিমাণ খরচ করতে পারেন। সেটি অসীম। ... ...
- এই ইলেকশানে তো খরচা আছে ! অন্তত তোমার ছবিওলা কয়েকটা লিফলেট ছাপাতে হবে না ? সেটা কোথা থেকে আসবে? পার্টি দেবে , না আমাকে দিতে হবে ? - তুমি লিবারাল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে বহুদিন কাজ করছ কিন্তু জানো কি কাকে শর্ট ক্যানভাসিং বলে ? ইলেকশন ফাইনান্সিং? আমি কত খরচা করতে পারি তার লিমিট আছে , কাউন্সিল ইলেকশনে পনেরশ পাউনড , পারলামেনট ইলেকশানে চুয়ান্ন হাজার পাউনড । পার্টি টাকা তোলে নানান ভাবে । এই আলোচনাটা কাল করতে পারি ? ... ...
বাংলাদেশ কেন বিজেপির টার্গেট? কারণ, বাঙালিদের মধ্যে ওরা ঘৃণা, বিভেদ, ও শত্রু তৈরী করার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। ... ...
রালফ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স তো এদেশের ? তাহলে নির্ঘাত জানেন থিওরেটিকাল ট্রেনিঙের সময়ে পথের নিয়ম কানুন শেখানোর সঙ্গে শিক্ষকরা আরও একটি সতর্কতা বাণী দিয়ে থাকেন- মনে রাখবেন জার্মানিতে বহু নারী পুরুষ অনিদ্রায় ভোগেন এবং জানলার পাশে বসে দুনিয়ার খবরদারি করে থাকেন । তেমনি একজন সে রাতে পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছেন অমুক নম্বর প্লেট ওলা পরশে গাড়ি থেকে একজন টলোমলো পায়ে নেমে উলটো দিকের এত নম্বর বাড়িতে ঢুকেছেন। পথে ঘাটে নয় , নিজের বাড়িতে বসে ড্রিংক ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করেছে মাথিয়াস! বিস্মিত হবেন না । শিব ঠাকুরের না হোক কান্ট হেগেল মার্কসের আপন দেশে পার্ক করা গাড়িতে বসেও ড্রাইভিং লাইসেন্স হারানো সম্ভব । পরবর্তী ভ্রমণের সময়ে মনে রাখবেন। ... ...
বাংলার নতুন সামাজিক, রাজনৈতিক বিপ্লব ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া এলিট শ্রেণীর হাত ধরে আসেনি। এসেছে মাটির গন্ধ, কাদা মাখা, নন-এলিট কিছু মার খাওয়া মানুষের হাত ধরে। ... ...
জার্মানিতে বাড়ির গেটের পাশে, ফ্ল্যাটের দরোজায় কেবল গৃহীর নামের বোর্ড সাঁটা থাকে না , তিনি যে ডক্টর, ইনগেনিউর, আরখিটেখট, রেখটসআনভালট ( উকিল) নিদেন পক্ষে উচ্চ ডিগ্রির অধিকারী কোনো হের বা ফ্রাউ সেটি জানিয়ে খ্যাত হতে চান। সকালবেলা ফ্রাঙ্কফুর্টের স্পর স্ত্রাসের বাড়ি থেকে অফিস যাবার সময়ে ফ্রিডবেরগার লানড স্ত্রাসের ট্রাম স্টপে অপেক্ষা করার সময় এদিক ওদিক তাকিয়ে জেনে ফেলেছি লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দারা কে কোন কর্ম করেন, কোন ডিগ্রি ধারণ করেন। লন্ডন এসে ইস্তক দেখলাম এখানে বাড়ির মালিক তাঁর সংক্ষিপ্ত সি ভি জানাতে অনিচ্ছুক, , ফ্ল্যাটের দুয়োরে বড়জোর মিস্টার বা মিসেস অমুক । গোলডারস গ্রিনে সেটাও দেখেছি বলে মনে পড়ে না। সারের গ্রামে , আমাদের পাড়া পড়শির বাড়ি নম্বর বিহীন , গেটে নাম লেখা – রাসটন লজ, ইনউডস, পার্কভিউ। কারো দেয়ালে মালিকের পরিচিতি সাঁটা নেই। পাস বা পেশা তো নিতান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ফর অ্যান ইংলিশম্যান , হিস হোম ইজ হিস কাসল । তাঁরা খুবই প্রাইভেট পারসন। থাকতে দে না আপন মনে আমায়, অথচ বাড়ি জমি বিক্রির কিসসা সকলকে জানাতে চান ! জার্মানির ঠিক উলটো ! ... ...
দিল ক্যা করে যব কিসিসে কিসিকো প্যার হো গ্যয়া - হয়ত এই রকমই কিছু মনে হয়েছিল ওয়াজিদ আলি শাহের। মা জানাব-ই-আলিয়া ( বা মালিকা কিশওয়ার ) এর জাহাজ ভেসে গেল গঙ্গার বুকে। লক্ষ্য দূর লন্ডন, সেখানে রানী ভিক্টোরিয়ার কাছে সরাসরি এক রাজ্যচ্যুত সন্তানের মায়ের আবেদন জানাতে চললেন তিনি। সঙ্গে আরেক ছেলে সিকন্দর হাশমত। অথচ যার জন্য করা, সেই নবাবই রয়ে গেলেন কলকাতায়। সাল ১৮৫৬। আসলে নবাবটি একটু অন্য ধাতের - যুদ্ধ বিগ্রহ রাজ্য শাসনের থেকে তাঁর মন বেশি গান- নাচ- কবিতা-প্রেম এই সবে।সে বছরই রাজ্য হাতছাড়া হবার প ... ...
কলকাতার রাস্তায় কান পাতলে আসল কথা শোনা যায়। আমরা কান পাতি না। ... ...
আজকে তো বিশ্ব চড়াই দিবস। এই প্রসঙ্গে আমার ছোট বেলার চেনা চড়াইদের কথা মনে পড়ছে। অসমে তখন ব্রিটিশ আমলের বাংলো বাড়ী নেই নেই করে ও ছিলো। ঠান্ডা গরমে সমান আরামের হতো বলে সেগুলোর এবং অন্য অনেক বাড়ীর চাল হতো সোনালী খড়ের, আঞ্চলিক ভাষায় আমরা বলতাম ছনের চাল। এরকম মাঘ ফাল্গুনে চালগুলো নুতন করে ছাওয়া হোতো ঝড় বৃষ্টির দিন শুরুর আগে। কি সুন্দর লাগতো সোনালী চুল ওয়ালা বাড়ীদের। মেহেদীর কেয়ারী। বড় রঙ্গিন বোগানভ্যালিয়া, ব্লিডিং হার্ট আর সুগন্ধি জুঁই বেলি। স্বর্গের মাসতুতো বোন সেই জনপদ? না বোধহয় সহোদরাই। তা সেই খড়ে ... ...
মনে হয় জার্মানি, সুইজারল্যান্ড , অস্ট্রিয়া, লিখটেনস্টাইন, লুকসেমবুরগ - এই দেশগুলি একই ভাষা দ্বারা বিভক্ত! এদের সকলের মূল ইন্দো ইউরোপিয়ান ভাষা গোষ্ঠীর প্রাচীনতম শাখা জার্মান , যা সুযোগ সুবিধে মতন ল্যাটিন গ্রিক শব্দ ধার করেছে, কেউ বেশি কেউ কম । মূল ব্যাকরণ এক মনে হলেও সুইসদের শব্দ চয়ন, শব্দবন্ধ আলাদা , উচ্চারণে যথেষ্ট বৈষম্য আছে । চিনি চিনি করি চিনিতে না পারি ! মানে লিখিত সুইস অনেকটাই বোঝা যায় কথিত সুইস একেবারে অন্য জগতের খেলা।এই নিয়ে হাসি ঠাট্টার অন্ত নেই । দুবাই বিজনেস লাউঞ্জে সেদিন এক মহিলার ফোনালাপ শুনছিলাম অনেকক্ষণ ধরে। তিনি থামলে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ কিছু মনে করবেন না , সুইস জার্মান বলেছিলেন, তাই না ?’ হেসে ফেললেন। আমার বোধগম্য জার্মানে বললেন, কতটা বুঝলেন ? বললাম, এই যখনই মনে হচ্ছিল মোটামুটি বিষয়টার খেই ধরতে পারছি, তখুনি গভীরে তলিয়ে গেলাম ! ... ...
ঝাণ্ডা ওড়ে অনেক- বামপন্থীদের লাল, রাজপন্থীদের সাদা কালো লাল, প্যারা মিলিটারি/ ভগ্ন সৈনিকদের স্বস্তিকা, প্রজাতন্ত্রের প্রতীক কালো সোনালি লাল । শহরে সমাগত সৈন্য বাহিনী, যে যেখানে খুশি লুঠপাট করে। দীর্ঘ পরিচিত সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে , এখন চেনা পথে অচেনা পথিক । এক ঘোলাটে চোখে বার্লিনের মানুষ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখবার চেষ্টা করে । গণতন্ত্র? প্রাশিয়ার পার্লামেন্ট তো ছিল , কিন্তু সেখানে ভোট দেওয়ার অধিকার কেবলমাত্র প্রাশিয়ান পুলিশের কাছে ক্লিন চিট পাওয়া চব্বিশ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষদের । এবার নাকি বিশ বছরের ওপরে পুরুষ নারী নির্বিশেষে এক মাথা এক ভোটের অধিকার পাবেন। বয়স্ক জার্মান পুরুষেরা এই নবীন ভাবনার কড়ি সে কড়ি নিন্দা করলেন – মেয়েদের স্থান রান্নাঘরে, ভোটের ঘরে নয়। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে তখন উত্তাল আরেক বার্লিন। সকল অশান্তি, ক্ষুধা, রাষ্ট্র বিপ্লবকে উপেক্ষা করে সেই বার্লিনে উন্মুক্ত শিল্প সঙ্গীত বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত , সেখানে বিরাজ করেন আলবার্ট আইনস্টাইন থেকে বিলি ওয়াইলডার, মাক্স লিবারমান থেকে আনা পাভলোভা ! ... ...
মুখের কথা শুনেই তিনি বলে দিচ্ছিলেন কে কোথাকার বাসিন্দা : লিসন গ্রোভ , হক্সটন, হ্যাম্পটন কোর্ট! তা এঁরা তো সবাই নেহাত লন্ডনের বাসিন্দা ! তাঁকে একটি একটি কঠিন কেস দেওয়া হলো -এই যে কর্নেল পিকারিং, ইনি নানা জায়গায় ঘুরেছেন , বলুন দিকি কোথায় কোথায় ? তাঁর মুখের কথা শুনে হিগিনস অবলীলাক্রমে বললেন, চেলটেনহ্যাম, হ্যারো , কেমব্রিজ, ইন্ডিয়া ! চমৎকৃত পিকারিং জানতে চাইলেন কোন মায়াবলে হিগিনস এই অসাধ্য সাধন করেন , হাও ডু ইউ ডু ইট? উত্তরে হিগিনস বললেন,সিম্পল ফোনেটিকস , দি সায়েন্স অফ স্পিচ ! তিনি তো বলেই খালাস কিন্তু আমাকে যে নেশাটি ধরিয়ে দিলেন সেটা আজও কাটিয়ে উঠতে পারি নি । ... ...
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসী বাঙালিরা কটা অনুষ্ঠান করে, এবং বাংলাদেশের প্রবাসী বাঙালিরা কটা অনুষ্ঠান করে? তুলনা করলে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন। ... ...
টাইম মেশিনে চড়ে এই পৃথিবীর কোন শহরে ফিরে যেতে পারি, যাবো বার্লিনে । ঝরিয়া, পাইকপাড়ার বাড়িতে বসে বাল্য, যুবা কাল থেকে গত শতাব্দীর ইতিহাসের যে পর্ব এবং স্থানটি আমাকে আকৃষ্ট করে রেখেছে সেটি তিন দশকের বার্লিন। এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে পতন ও অভ্যুদয়ের ঘনঘটা আর কোথাও চোখে পড়ে নি । ওয়ান্স আপন এ টাইম নয়, এই সময়কালকে যেন ধরা ছোঁয়া যায় , এই তো সেদিনকার কথা! নিতান্ত ভাগ্যক্রমে ইতিহাসের এই ঘুরন্ত রঙ্গমঞ্চের সেট, উইংস,তার পিছনের দৃশ্য পট শুধু চোখে দেখি নি , মঞ্চের মাঝখান দিয়ে হেঁটেছি –কথা বলে ইতিহাস , ভিলহেলমস্ত্রাসেতে বিসমার্কের অফিস যেখানে বসে তিনি আফ্রিকা খণ্ড খণ্ড করছেন, হিটলার ওই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মশাল যাত্রা দেখছেন , তিরিশে জানুয়ারি ১৯৩৩, এক নম্বর ঊনটার ডেন লিনডেনে আডলন হোটেল , পারিসার প্লাতস, গ্রুনেভালডের পথ যেখানে রাথেনাউ প্রাণ হারালেন, ফ্রিডরিখস্ত্রাসে স্টেশন, আপোলো থিয়েটার, আলেক্সান্দার প্লাতস , কুডামে সুবেশ নরনারী : বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম এখনও দাঁড়িয়ে , এই তো আজকের সন্ধ্যায় বিসমার্ক আলেতে জ্বলবে আলবার্ট স্পেয়ারের ডিজাইন করা পথবাতি। ... ...
জীবন থেকে, রাজনীতি থেকে ধর্ম, স্পিরিচুয়ালিটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করলে রক্ষণশীলতার প্রতিক্রিয়া কীভাবে সমাজকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে, তার প্রমাণ এই রামমন্দির। ... ...
আমেরিকায় ভোরবেলায় শাঁখ বাজেনা। কখনোই বাজেনা। আমার পুরোনো শহর কলকাতায় বাজে। এখানেই আমি থাকি। এসেছি আবার। ... ...
ভূমিকা ম্যাথু আর্নল্ড বলেছিলেন একাকিত্বের সঙ্গে সাহচর্যের যোগ সাধন করে পত্রলেখা। লিখি বটে একা কিন্তু সেটি স্বগতোক্তি নয় , এমনকি একাকি গায়কের গানও নয়, এ যেন কারো সঙ্গে কথা বলা। প্রত্যুত্তর শুনতে পাই না তৎক্ষণাৎ কিন্তু জানি পাবো ! ঠিক সেই অভিলাষে আড্ডার এই ধুনিতে ধোঁয়া দেওয়া । ফরাসি অনুই , ইংরেজি স্মার্ট অথবা জার্মান গেম্যুটলিখকাইটের বাংলা হয় না। অভিমানের প্রতিশব্দ অন্য কোন চেনা ভাষায় পাই নি । বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময়ে দেশটার পরিচয় করাতে গিয়ে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছিল বাঙালি ( তখনও বাংলাদেশি শব্দটা চালু হয় নি) আড্ডা নামক এক বস্তুর প্রেমে আবদ্ধ , তাঁদের মতে এ শব্দের অনুবাদ হয় না । * আড্ডা আমাদের একান্ত আপন- সেখানে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নেই , স্থান কাল পাত্র নেই : কেউ গুরু সেজে টঙে চড়তে চাইলে তাকে তৎক্ষণাৎ মাটিতে আছাড় দেওয়া, লঘুকে লঘুতর করাই প্রত্যহের আনন্দ । আড্ডা নিয়ম বর্জিত । তার চার ইয়ারি বা বারো ইয়ারি হতে কোন বাধা নেই। আড্ডার নেই কোনো সিলেবাস , ইতিহাস, ভূগোল, অতীত , বর্তমান । এখানে কেউ কিছুই হয়ে ওঠেন না তাই এখানে বসে কি হনু কি হনু ভাবার সুযোগ নেই ! আড্ডার শুরু বা শেষ খোঁজা বাতুলের কর্ম । আড্ডায় আছে খোলা হাওয়ার স্বাধীনতা , তাই দিয়ে শুরু করি বৈঠকি আড্ডার আসর । * Bengalis are given to a passion known as Adda which they claim couldn’t be translated in to any other language! ... ...