ভারতের আদিবাসীদের ভাষা বা অ-ইন্দো ইউরোপীয় ভারতীয় ভাষা প্রসঙ্গেভারতে প্রচলিত ভাষাগুলি চারটি ভাষাবংশে ছড়ানো। সেগুলি হল - ১) অষ্ট্রিক ২) দ্রাবিড় ৩) ভোট চিনীয় বা সিনো টিবেটান ৪) ইন্দো ইউরোপীয়ান । এই ভাষাবংশগুলির মোট ভাষার সংখ্যা অবশ্য অসংখ্য, যার অধিকাংশই ভারতে প্রচলিত নয়।১) অস্ট্রিক – অস্ট্রিক ভাষাবংশের ভাষাগুলি পৃথিবীর একটি বিস্তৃর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রচলিত। এর বেশ কয়েকটি শাখা আছে। ভারতের আদিম অধিবাসী, যাদের আমরা আদিবাসী বলে জানি, তারা এরকম এক শাখার কয়েকটি ভাষায় কথা বলে। স ... ...
বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর সময়কাল ধরে ‘ফান্ডামেন্টালিজম’ বা ‘মৌলবাদ’ সারা পৃথিবী জুড়ে এমনই এক ‘ফেনোমেনন’ হয়ে দেখা দিয়েছে, কোনও চিন্তাশীল মানুষই যাকে আর উপেক্ষা করতে পারেন না। ইউরোপে রেনেসাঁ, বৈজ্ঞানিক বিপ্লব, এনলাইটেনমেন্ট, শিল্প বিপ্লব এইসব ঘটে যাবার পর থেকে আলোকপ্রাপ্তদের মনে ক্রমশ এই ধারণাটাই স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছিল যে, জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি অর্থনীতি এইসবের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের প্রভাব আস্তে আস্তে কমে আসবে, এবং এক সময়ে হয়ত তা পুরোপুরিই অবলুপ্ত হয়ে যাবে। সমাজতন্ত্রের ধ্যানধারণার প্রচার ও প্রসারের ফলে এ প্রত্যাশা আরও অনেক জোরালো হয়েছিল, শেষতক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক বা না-ই হোক। সেদিক থেকে দেখলে, বিশ শতকের শেষে ধর্মের রমরমা বেড়ে ওঠা এবং মৌলবাদের উত্থান প্রায় এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এখন, বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে হবে, গভীরভাবে ভাবতে হবে যুক্তি সহকারে, এবং পৌঁছতে হবে কোনও এক বুদ্ধিগ্রাহ্য উপলব্ধিতে। বোঝার চেষ্টা করতে হবে, সমকালীন সমাজবিজ্ঞান এ নিয়ে কী ভাবছে। ... ...
শনিবার সকালে কলকাতার একটি ইংরেজি কাগজের ভাঁজ খুলতেই পাতাজোড়া রঙিন ঝকঝকে বিজ্ঞাপন দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। উত্তরবঙ্গের অরণ্যময় ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে উচ্চবিত্ত শহুরে নাগরিকদের ভোগবাদকে উস্কে দিতে ২০ একর জমিতে বিলাসবহুল আবাসন তৈরি হচ্ছে। দুপুরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কাগজের অনলাইন এডিশনে দেখলাম, ফরিদাবাদের বনভূমিতে বন কেটে বসত তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এন জি টি) সেই রিয়ালটারকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। অসাধু ব্যবসায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাঁচ একর জমিতে অন্তত ৫০০ গাছ কেটে ফেলেছে। প্রতিটি গাছ কাটার জরিমানা দু' লাখ টাকা। ফরিদাবাদের ঘটনায় এন জি টি-র নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে স্মরণ করা যেতে পারে, প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রচার করা হয়েছিল। সনাতন হিন্দু ধর্মে বৃক্ষ ও প্রকৃতি বন্দনার প্রশস্তির প্রকৃত লক্ষ্য হল, মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা জাগিয়ে তোলা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা গাছ রক্ষা করা তাঁদের আবশ্যিক কর্তব্য বলে বিবেচনা করতেন। আর সে কারণেই প্রতিটি গাছের প্রতি তাঁরা আরোপ করতেন ধর্মীয় পবিত্রতা। তাই সমাজে খুব সহজেই গাছ হয়ে উঠেছিল ধর্মীয় আরাধনার বস্তু। এর দৃষ্টান্ত রয়েছে লোকাচারেও। নগরায়ণের বেপরোয়া দাপটে বোঝা যায়, প্রকৃতিকে লালন করার যে সহজাত নীতিবোধ অতীতে ছিল তা থেকে বর্তমান সমাজ পুরোপুরি বিচ্যুত। ... ...
কবিতা ... ...
দুর্জনেরা বলে ইদ মানে নাকি আমাদের (কিছু কিছু হিন্দুদের) নিজেদের সেকুলার প্রদর্শন করার দিন। রোজকার যাপনে যতোই মৌলবাদ প্রকাশ করি না কেন, ওই দিন গদ-গদ ভাবে 'ইদ মুবারক' জানিয়ে আমরা সেকুলার সাজি। সে যাই হোক, এর মধ্যে কতোটা সত্যতা আর কতোটা মিথ্যাচার তা নিয়ে নিশ্চয়ই বিতর্ক থাকবে। সে প্রশ্নে যাচ্ছি না।আমার দেখা অনেকেই ধর্মের নামে পশুবলি প্রথার বিরোধিতা করেন। কালী পুজোয় পাঁঠা-বলি নিয়ে অনেক অনেক কথা বলেন। তারা নিজেদের বরাবর সেকুলার হিসেবে দাবি করেন বলেও জানি। কিন্তু এই তাদেরই অনেককে কুরবানির ইদে ... ...
পারভারশান - এমনও হয়৷৷ সত্য ঘটনা অবলম্বনে৷ চরিত্রের নাম ,স্থান, কাল কাল্পনিক৷ ... ...
সাধারণত অর্থনীতির নোবেল শুনলেই মনে হয় খুব জটিল কোন তত্ত্বকথা অথবা লম্বা লম্বা অংক। অংক ছাড়া অর্থনীতি হয় না এ কথা ঠিক। তবুও কিছু কিছু অর্থনীতির তত্ত্ব যা কিনা ভবিষ্যতে নোবেল পাবে, তার সাথে আমাদের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক জীবনের টুকটাক যোগাযোগ আছে। অংক না কষেও সেগুলোর একটা ধারণা করা যায় বৈকি। এরকমই একটা বিষয় ব্যাংক ফেল করে সঞ্চিত টাকা খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা এবং তার থেকে পরিত্রানের উপায়। এই বিষয়ে কাজ করার জন্য ইকোনমিক সায়েন্সে ২০২২ সালে নোবেল মেমোরিয়াল পুরস্কার দেওয়া হল দুইজন বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং প্রাক্তন ফেডারেল রিজার্ভ প্রেসিডেন্টকে। ... ...
হাসিমুখে তাকে বলে ফেলার সময়ই আমরা বুঝতে পারি যেন একটা জলাজমি চাপা পড়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরে। তার উপরে হু হু করে বহুতল উঠে যাবে শীঘ্রই। এতগুলো বছরের বর্ষার কচুপাতায় জমে থাকা জল, নেউলের দৌড়, ইঁদুরের ডাক; --- এসবের আর কোনও সাক্ষী থাকবে না। জীবিতের শোক যে মৃত বহন করে না সে তো আমরা বহুকাল আগেই জেনেছি! জীবিতের ভেতরে মরে যাওয়া এই ছোট্ট অংশটিকেও জীবিত একাই বহন করে চলে আজীবন ... ...
পুজোর উৎসবের আতিশয্যে ভুলে না যাই, আজ গান্ধী জয়ন্তী। আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারাবার পরে গান্ধীজির প্রথম জন্মদিনটি পালিত হয়েছিল স্মরণে। আজ এত দশক বাদে জনচেতনার পরিসরে গান্ধী কি ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন? সরকারি-বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে গান্ধী-চর্চা কি তেমনভাবে কোথাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে? খবরের কাগজে চোখে পড়ল, কেন্দ্রীয় সরকারি তরফে গান্ধী এবং সঙ্গত কারণেই লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন মারফত শ্রদ্ধা নিবেদন। রয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান 'প্রত্যহিকী'তে দিনটির বিশেষ তাৎপর্যের উল্লেখ, 'মৈত্রী' প্রচারতরঙ্গে 'সুচিন্তন' অনুষ্ঠানে গান্ধিবাণী এবং 'সঞ্চয়িতা' প্রচারতরঙ্গে রিলে করা হয়েছে দিল্লির হিন্দি অনুষ্ঠান। ওই পর্যন্ত। ইঙ্গিত স্পষ্ট, অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় গান্ধী আজ কার্যত ফিকে। ... ...
কত গল্প করতো বুড়ো -- ঘুড়ি তো ছিল ছুতো ! মেটেবুরুজ-কলুটোলা - রাজাবাজার - গ্যাস স্ট্রীটের দোকানগুলোর মাঞ্জা ছিল লা-জবাব কিন্তু কোন কথা জিজ্ঞেস করলে জবাব পাওয়া যেত না ! জনাবের মুখভর্তি যে পান -জর্দা- সূর্তি ! ... ...
#JusticeForAsifa ... ...
সেই পুরোনো লোক, আম্বেদকর। সেই পুরোনো দল, আরএসএস। নতুন সাল, ২০১৬। নতুন মতামত — ‘মেলাবেন, তিনি মেলাবেন’। ২০১৬-র এপ্রিলে সে-ই অর্গানাইজার-এরই সংখ্যায় প্রচ্ছদ হল — “Ultimate Unifier”। সঙ্গে ছবি — না, মৈত্রেয় বুদ্ধের নয় — আম্বেদকরের। স্তুতির বন্যা বয়ে গেল। ‘গোটা দেশকে জুড়ে রাখার ফেভিকল তিনি সাপ্লাই করেছেন’ থেকে শুরু করে, ‘ব্রাহ্ম-প্রার্থনা-আর্য – সমস্ত সমাজের ভাল ব্যাপারগুলোই তাঁর চিন্তাধারায় বর্তমান’ হয়ে, ‘মোটেই তিনি ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে ছিলেন না, ব্রাহ্মণ্যবাদের শ্রেণীবিভাগের বিরোধী ছিলেন’ পর্যন্ত। ... ...
অবশ্য তিনি এই ভদ্রলোকের মত হিন্দি বলেন কি না জানা নেই যিনি পাঞ্জাবি ক্লায়েন্টকে বলেছিলেন, "হাম ঘরমে খাকে বনকা মোষ কিঁউ তাড়ায়গা?" অথবা সেই আর একজনের মত। ইনি একগাদা প্রিন্টআউট নিয়ে যাকে দেওয়ার তাঁকে বলেন, "পেজ থোড়া আগে পিছে হো গিয়া, আপ থোড়া গুছা লেনা।" ... ...
সেমিস্টারের পরীক্ষা যদি জুজু হয়, তবে কেমন হয় আষাঢ় শেষের বেলা? এই লেখা তাই মিশে যায় পরীক্ষার শেষে সব ফিরে আসা পথের সাথে। ... ...
রবীন্দ্রনাথের গানের হারিয়ে যাওয়া শিল্পীদের কথা ... ...