একজন মানুষ বাংলার দুর্ভিক্ষে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন, যাঁর বিচলিত হওয়ার বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। কিম্বা এভাবেও বলা যেতে পারে, বিচলিত না হয়েও তিনি দিব্যি জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। ইনি স্টেটসম্যান পত্রিকার তৎকালীন মুখ্য সম্পাদক ইয়ান স্টিফেন্স। আপাদমস্তক রক্ষণশীল ইংরেজ এই মানুষটি ভারতের স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি আদৌ সহানুভূতিশীল ছিলেন না। গান্ধীর তিন সপ্তাহব্যাপী অনশনকে তিনি কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন; বলেছিলেন-প্রচারের আলোয় আসার উদ্দেশ্যে একজন রাজনীতিবিদের হীন প্রয়াস।এহেন স্ট ... ...
(সতর্কীকরণঃ এই পর্বে দুর্ভিক্ষের বীভৎসতার গ্রাফিক বিবরণ রয়েছে।) ১৯৪৩-এর মে মাস নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, বাখরগঞ্জ, চিটাগং, নোয়াখালি থেকে অনাহারে মৃত্যুর খবর আসতে থাকল। 'বিপ্লবী' পত্রিকার ২৩ শে মে সংখ্যায় মেদিনীপুরে ৫টি অনাহারে মৃত্যু আর ৮টি ধান লুঠের খবর বের হল।জানানো হল-প্রতিদিন ছ' থেকে সাতশো মানুষ তমলুক থেকে রেলে চাপছে ওড়িশায় গিয়ে সস্তায় চাল কিনবে বলে। বহু মানুষ তাদের ঘটিবাটি বেচে দিয়ে কলকাতার দিকে রওনা হয়ে যাচ্ছে-স্রেফ দুমুঠো খেতে পাবে এই আশায়। পাবনা থেকে খবর এল ... ...
রবীন্দ্রনাথের কথায় আমরা কান দিই নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি ঠিকঠাক আমরা মনে রাখতে পারলাম শহিদদেরও? ... ...
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। মধ্য কলকাতার এক ব্যস্ত রাস্তা। অবশ্য শুধু এটুকু বললে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলা হয় না। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে পশ্চিমবঙ্গ চিনেছে অন্যভাবে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এই ৩১ নং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেই রয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের সদর দপ্তর।যেখানে বসে বিগত চৌত্রিশ বছর রাজ্য-রাজনীতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেছেন বামফ্রন্ট নেতৃবর্গ। এ তো গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের প্রাথমিক পরিচয়। কিন্তু কে এই আলিমুদ্দিন? ... ...
১৯৩৪ থেকে জয়যাত্রা শুরু হয় সুলেখা কালির যা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও অব্যাহত। এতদিনে ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে "সুলেখা ওয়ার্কস লিমিটেড"-এর। পশ্চিমবঙ্গ সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্যে সুলেখা এখন একটি পরিচিত ব্র্যান্ড। যা আমাদের সবার অজান্তে ইতিহাসের পাতায় নথিভুক্ত করে ফেলেছে যাদবপুরের সুলেখা মোড়ের নামও। ... ...
নামিবিয়ার নোমাডদের আশ্চর্য মনঃসংযোগ ... ...
অতি-বৈষম্যই কি ধ্বংস ডেকে আনবে? ... ...
"তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে ..."সেই অক্ষরগুলোকে ধরার আরেকটা অক্ষম চেষ্টা, আমার নতুন লেখায় ... এক বন্ধু অনেকদিন আগে বলেছিলো, 'আঙ্গুলের গভীর বন্দর থেকে যে নৌকোগুলো ছাড়ে সেগুলো ঠিক-ই গন্তব্যে পৌঁছে যায়' .. সেই বন্দরের দিকে তাকিয়েই ভাসিয়ে দিলাম এই লেখাটাও !(বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ এই গল্পের সমস্ত ঘটনা কাল্পনিক, মনগড়া, আজগুবি এটসেটেরা। আসলে বাংলা মিডিয়ামের ছেলেরা আদৌ আমার মতন ল্যাদাভ্যারুস না, বরং অনেক স্মার্ট হয় ! কাউকে কাউ ... ...
রবীন্দ্রনাথের নিজের গলায় রেকর্ডিং হওয়া 'তবু মনে রেখো' গানটির ইতিহাস। যেখানে পাওয়া যায় আবেগস্পৃষ্ট এক কবির উচ্চারণ। ... ...
এই বাংলার বুকেই একসময় দেওয়া হতো প্রকাশ্যে ফাঁসি আরও ভালোভাবে বলতে গেলে একসময়কার ভারতের রাজধানী কলকাতার বুকে প্রচলন ছিল এই প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার। হ্যাঁ চমকে ওঠার মতোই ঘটনা বটে, প্রকাশ্যে ফাঁসি তাও আবার খোদ কলকাতার বুকে! ... ...
আরে দাদুভাই, আর কইয়ো না। আজ এক্কেরে বেকুব বইনা গেসি। বিকাল বিকাল লেকে যাইতাসি। ওই সাদার্ণ এভেনিউয়ের মাঝের ঘাসের বুলেভার্ডে পোলাপানরা তো ঘুড্ডি উড়াইতাসে। তা উড়াক যত ইচ্ছা। হঠাৎ দেখি গোল পার্কের দিক থিকা একখান কাটা ঘুড্ডি, সঙ্গে অনেক মাঞ্জাসুতা, ভাসতে ভাসতে আইতাসে এদিকে। ব্যাবাক পোলাপান লাগাইলো দৌড় ! তাগো সব্বাইরে পিছনে ফেইল্যা আগে আগে আইতাসে একটা কালা ভূশন্ডি ছ্যামরা -- খালি গা আর দড়ির হাফ-প্যান্টুল পরা ! সে যে কি ছুট -- কি কমু ! ... ...
এর আগে তেঁতুল মার্কা হুজুরেরা তেঁতুল তত্ত্ব দিয়েছে। সমাজের নানা উঠতি মাঝারি, নিম্ন - নিম্ন মধ্যবিত্ত, দীর্ঘ, ক্ষুদ্র, নানা আকারের তাত্ত্বিকগণ নারী নিয়ে তত্ত্ব দিয়ে গেছে। নারী যেন পুরুষের তত্ত্বের জন্যই বেঁচে থাকে। যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গি সে তেমন তেমন তত্ত্ব দিয়ে গেছে। নারীর কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা ঠিক করে দিবে পুরুষ। ঠিকাদারি দায়িত্ব নিয়ে এসেছে পুরুষ, এই দায়িত্ব বিল্ট ইন দেওয়া হয়েছে জন্মের সময় থেকেই। এই তত্ত্ব তত্ত্ব খেলা এতদিন নানাজনে দিয়ে গেলেও এর বিপরীতে দাঁড়ানোর মত মানুষ ছিল এখনো আছে। ... ...
দক্ষিণপন্থী ও ধর্মান্ধ ফ্যানাটিকদের মগজধোলাই মেশিনের প্যাটার্ণ। হিন্দু, মুসলমান, বা খৃষ্টান। দেশে দেশে তার চেহারা একই। ... ...
৭.--‘রোজ সকালে যদি আপনার একশো গ্রাম পায়খানা না হয়, তবে বুঝবেন সিস্টেম ক্লিয়ার হয়নি। পেটের ভিতরে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়—ভদ্রসমাজ নাকে রুমাল দেয়। তাই ব্যবহার করুন গন্ধরাজ চুড়ন...!’‘গন্ধরাজ চুড়ন’ এর ক্যানভাসারের চিৎকারে রোজ সকালে ঘুম ভাঙে লাটুর। আর ঘুম ভাঙতেই মুড ডুম হয়ে যায়! যদি ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই কাউকে একশো গ্রাম পায়খানার ফান্ডা শুনতে হয়, তবে মেজাজের পিন্ডি চটকে যাওয়াই স্বাভাবিক! তার উপর সম্প্রতি তার মেজাজ একটা বিশেষ কারণেই খারাপ হয়ে আছে। মা ফসসা হতে চলেছেন। সেটা দুঃখের কথা ... ...
জামাত বিএনপি বা উগ্র ধর্মান্ধ মুসলমানদের সঙ্গে আরএসএস বিজেপি বিশ্ব হিন্দুদের আমি প্রচুর মিল খুঁজে পাই। যা তেমন কেউ জানেনা, কারণ তেমন কেউ আরএসএসকে আমার মতো এতো কাছ থেকে দেখেনি। এই মিলগুলো সংক্ষেপে বলা খুব দরকার। ... ...
গতকাল ফেসবুকে এই লেখাটা লিখেছিলাম বেশ বিরক্ত হয়েই। এখানে অবিকৃত ভাবেই দিলাম। শুধু ফেসবুকেই একজন একটা জিনিস শুধরে দিয়েছিলেন, দশ মহাবিদ্যার অষ্টম জনের নাম আমি বগলামুখী লিখেছিলাম, ওখানেই একজন লিখলেন সেইটা সম্ভবত বগলা হবে। ------------- ধর্মবিশ্বাসী মানুষে নিজের ধর্ম নিয়ে আমার মত ঈশ্বরঅবিশ্বাসী লোকের থেকেও কত কম জানে দেখে খুবই আশ্চর্য ও অবাক হই।একে তো চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠীর আগে মহা জুড়ে দেওয়া এখন প্রায় সার্বজনীন রোগের পর্যায়ে, তারপর কয়েকদিন আগে নবদুর্গা নিয়ে এক আলোচনায় দেখছ ... ...
অন্যান্য আর পাঁচটা সাধারণ খুনের সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য ছিল না পঞ্চম শুক্লা মার্ডার কেসের। কিন্তু অতি সাধারণ হয়েও এই হত্যা রহস্যের জট খুলেছিল অভাবিতভাবে। বস্তুতপক্ষে এই কেসের সূত্র ধরেই মৃতদেহের সঠিক পরিচয় পেতে ভারতের বুকে প্রথম ব্যবহার করা হল সুপার ইম্পজিশন পদ্ধতি। যা তৎকালীন সময়ে ছিল বর্তমানের ডিএনএ পরীক্ষার সমতুল্য। ... ...
আমি এবারে ভেঙে পড়লাম। সেই কেজি ওয়ান থেকে অপেক্ষা করছি। ভেবেছিলাম ইন্দিরা গান্ধী চিঠি দেবে ওভারটাইমের জন্য। সে হেরে গেছে। আমি তাহলে দেশের দরকারে লাগব কী করে? চোখে জল চলে এল আমার। মা একটু সময় নিয়ে ব্যাপারটা বুঝল, আমার সমস্যাটা কী? তারপরে বলল, - তুমি ভুল বুঝে কষ্ট পাচ্ছ। দেশ ঐভাবে চিঠি দেয়না। দেশ কি চায়, সেটা বইতে লেখা থাকে। আর খেলতে গেলে হারজিত হবেই। কখনো মোহনবাগান জিতবে, কখনো ইস্টবেঙ্গল। এতে দুঃখের কিছু নেই। আমি কান্না ভেজা গলায় বললাম, - তা সে কোন বইতে দেশের দরকার লেখা থাকে, সেটা কি তোমার কাছে আছে? আমি পড়তাম তবে। ... ...