না গো দাদা, এভাবে তো আর পারা যাচ্ছে নি। সবাই, সব্বাই মিলে এমন করে আমাদের এই পরম পবিত্র, পরম প্রাচীন, পরম - ব্রত, না না – ব্রত না, দূর, ঐ পরম যাহোক একটা – সেই পরম ধর্মটার পিছনে কি এমন করে লাগতে আছে? মানে আপনারাই বলুন, কে না জানে যে অপরাধীদের ৯৫% ই মোছলমান (এই রে, এই ৫% এর জন্য আবার পেমেন্ট না কেটে নেয়)? তো সবাই যেখানে জানেই, সেখানে কত্ত মাথা খাটিয়ে, হাঁটু খাটিয়ে খবর কল্লাম যে ২০১৬ তে যত রেপ হয়েছে তার ৯৫% করেছে মুসলমানেরা, আর ৯৬% ধর্ষিতা হয়েছে হিন্দুরা – বলুন, ভুল কিচু বলিচি? আরে আমি নই, খোদ মহেশ ... ...
খপরে প্রকাশ, রাগা বলেছেন যে কাংরেস হল মুসলিম পার্টি। না না – পাইওনিয়ার বা নবভারতের খবর নহে – এমন কি রিপাবলিক টিভিও নহে – এই খবরের উৎস খোদ উর্দু কাগজ – ইনকিলাব। গত ১২ই জুলাই তারীখে ইনকিলাব পত্রিকার খবর, মুসলিম নেতাদের সাথে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে স্বয়ং রাহুল গান্ধী বলেছেন, “বিজেপি যদি বলতে চায় কংগ্রেস হল মুসলিম পার্টি, তবে তাই। কংগ্রেস মুসলিম পার্টি, কারণ মুসলিমরা বর্তমানে দুর্বল এবং কংগ্রেস সর্বদাই দুর্বলের পক্ষে” – মোদ্দা কথা, কংগ্রেস হল মুস্লিম পার্টি। সেই রাহুল গান্ধী, কিছুদিন আগেই গুজরাট নির্বাচ ... ...
" হ্যাঁ, অর্ক, কি চলছে রে তোদের কলেজে ? বাচ্চা গুলো এভাবে না খেয়ে আছে আজ দু দিন হলো ? কি দাবী ?"" ওদের হোস্টেল নেই ।। প্রিন্সিপাল কে বার বার বলা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি।।।পুলিশ ঢুকে ছত্রভঙ্গ করেছে ।।।আর কিছু ওদের করার ছিল না ।।তুমি কোথায় আছো ? আসবে ? তোমাদের দরকার ! "।।।।ইতিহাস রচনার কোন ধারাবাহিক নিয়ম থাকেনা।।। আমাদের মুহুর্ত যাপন ইতিহাস রচনা করে।।। কিন্তু সবাই বলে, সে ইতিহাসের নাকি নানা রং হয়।।। বোধ হয় সেই রঙের বিকাশের উৎসব কেই ইতিহাস বলে।।।রং বলতে মনে পরে, ইতিহাসের ... ...
ঘটনাটা হতে পারত আর পাঁচটা কলেজের সাধারণ ঘটনার মত: হোস্টেল দেওয়া নিয়ে ছাত্রদের সাথে কর্তৃপক্ষের বচসা, মতানৈক্য, তার জেরে দুই দিন নিজেদের দাবি নিয়ে ছাত্রদের অবস্থান, এবং সব শেষে একটি মধ্যস্থতায় আসা। ঘটনাটা ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে হয়ে উঠল একটা গণ-আন্দোলন, যা এই শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিচ্ছেদ যোগ করলো, আর আমাদের দিলো কিছু নতুন মুখ, কিছু নতুন আশা, যা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে যুব সমাজের মননে।মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা যখন স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সেলিংগের মাধ ... ...
৩.--‘হ্যালো’?--‘হ্যালো। পুঁটিরাম নার্সারী?’ওপ্রান্ত থেকে এমন একটা অদ্ভুত নাম শুনে ব্যায়ামবীর রাবন, তথা বাবন ঘাবড়ে গেল। পুঁটিরাম নার্সারী! এমন নামের কোনও নার্সারী আছে নাকি! সে আমতা আমতা করে বলে—‘না...এটা তো নার্সারী নয়। আপনার বোধহয় ভুল হচ্ছে’।--‘সে কি!’ ওপ্রান্ত থেকে ব্যথিত স্বর ভেসে আসে—‘এমন বলতে পারলেন আপনি? আমার ভুল হচ্ছে না! আপনারই ভুল হচ্ছে’।তার চোখ প্রায় চড়াৎ করে চাঁদিতে উঠে পড়েছে। অনেকটা চোখওয়ালা নারকোলগুলো যেমন হয়, তেমনই চাঁদি ছুঁয়ে পিট্পিট্ করে তাকিয়ে থেকে সে ক ... ...
“আমার চারপাশে ঘন অন্ধকার। নিকষ কালো অন্ধকার। আমি দাঁড়িয়ে আছি একটি আলোকিত বৃত্তের মাঝখানে। পরিক্রমা করে চলেছি একটি উজ্জ্বলতম পটভূমি। আমি জানি, স্থির জানি, এই আলো, উজ্জ্বলতা কিছুই দীর্ঘস্থায়ী নয়। সেই আলো যে কোন মুহূর্তে নিভে যেতে পারে। আমাকে নিক্ষেপ করতে পারে আরও গভীরে। গভীরতর অন্ধকারে। অথচ আমার চারপাশের এই ঘন অন্ধকারের ওপারেই আছে বিরাট এক আলোর জগৎ। সে আলো মেকী নয়। কৃত্রিম নয়। সেই আলোর জগৎ থেকেই আমার আসা। এসেছিলাম অনেক অন্ধকার পেরিয়ে। কী ভয়ঙ্কর সেই অন্ধকারের মূর্তি।” (আমার আমি/ উত্তম কুমার চট্টোপা ... ...
সঙ্গীতা বেশ টুকটাক, ছোটখাটো বেড়াতে যেতে ভালোবাসে। এই কলকাতার মধ্যেই এক-আধবেলার বেড়ানো। আমার আবার এদিকে এইরকমের বেড়ানোয় প্রচণ্ড অনীহা; আধখানাই তো ছুটির বিকেল--আলসেমো না করে,না ঘুমিয়ে, বেড়িয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না। তো প্রায়ই এই টাগ অফ ওয়ারে আমি জিতে যাই, কিম্বা সঙ্গীতা আমাকে জিতিয়ে দেয়। কখনো কখনো ওরও অবশ্য জিততে ইচ্ছে করে। সেইরকম এক রোববার সন্ধ্যায় আমাদের ইকো পার্ক যেতে হল। ইকো পার্ক বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূর না, কিন্তু যাতায়াত একটু ঝঞ্ঝাটে।তেঘরিয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো করে হলদিরাম, সেখান ... ...
গতকাল, শুক্রবার দুপুরে গেছিলাম মেডিকেল কলেজ। যখন পৌঁছালাম, ওখানে বেশ কিছু লোক – যদিও সব মিলিয়ে দুশোর বেশী নয় অবশ্যই – পরিচিত মুখও দেখা গেল কিছু। কাবেরী বসু ছিল, অমিত দত্ত দা ছিলেন, কোয়েল, দেবিকা, আরো কয়েকজন। অরিজিত গুহ চলে এল আরেকটু পরেই। শুভদীপ অবশ্য তখন বেরিয়ে গেছে। ডাঃ অর্ক বৈরাগ্যকে শুধু ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারেই চিনতাম, দোলনচাঁপা আলাপ করিয়ে দিলেন। আর দেখলাম অনশনরত ছেলেগুলো শুয়ে আছে। অনিকেত চেনা মুখ, একপাশে ঘুমাচ্ছে দেখা গেল। দেবাশীষের সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়েছে – ওর মা পাশে বসে। বিপি প্রত্যেকে ... ...
এ কথা প্রমাণিত ও প্রত্যক্ষ যে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস বলে যা রয়েছে তা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক। সিলিং খসে পড়ে ছাত্র দের আহত হওয়ার খবরও আছে। আর এই অব্যবস্থা তো আর একদিনে হয় না, হয়ও নি। এর পিছনে ছিল কতৃপক্ষের উদাসীনতা। যা ইচ্ছাকৃত বলে ভাবলে তা খুব একটা ভুল হয় না। কিন্তু কেন?কেন বারবার যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি মেডিকেলের ওপর কতৃপক্ষ এত উদাসীন? কেন সেখানে বারবার তুঘলকি ফরমান জারী করে ক্ষমতা দেখান হয় বা ন্যায্য দাবি কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়? খেয়াল করে দেখবেন, পশ্চিমবঙ্গ রা ... ...
আমি খেলা-টেলা তেমন দেখি না, কিন্তু কাল বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে একটা লেখা আমার নজর কাড়ে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়, মানুষ ফুটবলারদের বা অন্য কোন ক্রীড়াবিদদের বেলায় কাপ জেতাকেই এত বেশি মূল্য দেয় কেন? অন্যান্য জায়গায় খেলোয়াড়রা কতটা ভাল খেলছে, তার ওভারল পারফরমেন্স কেমন হচ্ছে সেদিকে তারা দেখছেই না... এমনটা হচ্ছে কেন?মেসির কথাই ধরা যাক, দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারছেন না বলে তাকে নিয়ে কতই না আলোচনা সমালোচনা চলছে, অথচ দলের বাইরে তার পারফরমেন্স প্রশ্নাতীত। এই তালিকায় পাওয়া যাবে ফুটবল গ্রেট ডি স্তেফানো, ইয়ো ... ...
প্রথম যৌবন বেলায় রাঙামাটির নান্যাচরের মাওরুম গ্রামে গিয়েছি সমীরণ চাকমার বিয়েতে। সমীরণ দা পরে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন। সেই গ্রুপ ছেড়েছেন, সে-ও অনেকদিন আগের কথা। এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম। কয়েকটি গ্রামের নানা বয়সী নারী-পুরুষ এসেছে সেই বিয়ের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা থেকে নিমন্ত্রিত ত ... ...
অনেক সকালে ঘুম থেকে আমাকে তুলে দিল আমার ভাইঝি শ্রী। কাকা দেখো “ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি”। একটু অবাক হই। জানিস তুই, কাকে বলে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি? ক্লাস এইটে পড়া শ্রী তার নাকের ডগায় চশমা এনে বলে “যে বৃষ্টিতে ইলিশ মাছের গন্ধ বুঝলে? যাও বাজারে যাও। আজ ইলিশ মাছ আনবে কিন্তু।” বাইরের আকাশ আমার ঘর থেকে এখন আর দেখা যায় না। চারপাশে উঁচু উঁচু এ্যাপার্টমেন্ট। তবু চারদিকের বাড়ির গা বেয়ে ঝুরো ঝুরো জলকণা। কবে কারা যেন গঙ্গায় মাছ ধরতে যেত? কবে যেন ঘনি শিখিয়েছিল বৈঠা টানা? মাছের জাল বুনতে বুনতে কত গল্প করতো দয়ারামের দাদ ... ...
প্রিয় কমরেড,যদিও তুমি আমার একদা অভিভাবক ছিলে, তবুও তোমায় কমরেড সম্মোধন করেই এই চিঠি লিখছি, কারন এটা সম্পূর্নভাবে রাজনৈতিক চিঠি। এই চিঠির মারফত আমি তোমায় শো কজ জানাচ্ছি। তুমি যে রাজনীতির কথা বলে এসেছো, যে রাজনীতি নিয়ে বেচেছো, যে রাজনীতির স্বার্থে নিজের জীবনের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করেছো, আজকে সেই রাজনীতির চাহিদা পূরন করতে তুমি ব্যর্থ হয়েছো। তবে এখন যদি ভাবতে বসি, তাহলে হয়তো তোমার ব্যর্থ হওয়ার কারন খুজতে গেলে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে। যেদিন তুমি আমায় বলেছিলে - 'সোভিয়েত আমাদের জন্যে একট ... ...
ফুটবল শিখতে চাওয়া সেই প্রথম নয় কিন্তু। পাড়ার মোড়ে ছিল সঞ্জুমামার দোকান, ম্যাগাজিন আর খবরের কাগজের। ক্লাস থ্রি কি ফোর থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তাম হি-ম্যান আর চাচা চৌধুরীর কমিকস আর পুজোর সময় শীর্ষেন্দু-মতি নন্দীর শারদীয় উপন্যাস। সেখানেই একদিন দেখলাম ফুটবলের ওপর বই, অমল দত্তের “ফুটবলের অ-আ-ক-খ”, খুব ভুল না হলে নামটা তাই ছিল। কিনে ফেলা হল। ছোট্ট বই, একদিনেই শেষ করা গেল। ঐ বয়েসে মাঠে যাওয়ার অনুমতি বিকেলে এক ঘণ্টার বেশি ছিল না। তাই যা পড়লাম, তা প্র্যাকটিস করার জায়গা ছিল আমাদের ছোট্ট ঘরটাই। ... ...
ক্যালাইডোস্কোপ ১। রোদ এসে পড়ে। ধীরে ধীরে চোখ মেলে মানিপ্যান্টের পাতা। ওপাশে অশ্বত্থ গাছ। আড়াল ভেঙে ডেকে যায় কুহু। ঘুমচোখ এসে দাঁড়ায় ব্যালকনির রেলিং এ। ধীরে ধীরে জেগে ওঠা শহর, শব্দ, স্বরবর্ণ- ব্যঞ্জন; যুক্তাক্ষর। আর শুরু হল দিন। শুরু হল কবিতার খেলা-খেলি। ততক্ষণে 'অরুণ প্রাতের' রোদ ভর্তি হয়ে গেছে চায়ের কাপে। ছলাৎ শব্দ তুলে বেজে উঠছে কলিং বেল। কাজের মাসি। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে লুচি ভাজার গন্ধ। "তুমি তো আকাশ আঁকছ। শোনা যাচ্ছে ডানার আওয়াজ।আমি পাখিকোথায় সাঁতার ... ...
বছর তিন বাদে সুকিয়া স্ট্রিটের পাড়ায়, বাড়ির ঠিক সামনের মাঠে চুপচাপ বসে দেখতে হত বড়দের খেলা, নিজে খেলার উপায় ছিল কম। বিকল্প হিসেবে ফুটবলের জায়গা হিসেবে নেওয়া হল পাড়ার বন্ধু বাজুর বাড়ির সরু গলি, সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট চওড়া, যেখানে আমি আর বাজুই শুধু দুটো দল, বল ছিল পয়সা থাকলে রাবার ডিউস ক্রিকেট বল আর না থাকলে সুতো বাঁধা প্লাস্টিকের ড্যালা।একে অন্যকে ঐ সরু জায়গার মধ্যে টপকে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরের ভার পরিবর্তন, ভারসাম্য আর সব মিলিয়ে সামান্য জায়গায় ড্রিবলিং স্কিল তৈরির রান্নাঘর ছিল সেই ... ...
কখনও একসাথে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করে দেখেছেন? কেমন লাগে এভাবে কয়েকটা কাজ একসাথে করতে? গোলমাল লাগে? নাকি লাগে না?একসাথে কয়েকটা কাজ করাকে বলা হয় "মাল্টিটাস্কিং", আর কাজ করতে গিয়ে যে গোলমাল লাগে, গবেষকগণ তাকে বলছেন "ইন্টারফিয়ারেন্স"। কিন্তু গবেষকগণ হঠাৎ করে এই ব্যাপারগুলোর এরকম নামকরণ করতে গেলেন কেন? এটা নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কী? হুম হয়েছে বৈ কি... গত বছরেই এটা নিয়ে একটা পেপার দেখেছিলাম। সেদিন একজনের সাথে কথা হল, বললেন তিনি নাকি সবসময় মাল্টিটাস্কিং করেন, এটা নাকি তার বদ অভ্যাস। আমি বললাম, ... ...
হাইনৎস লাইপম্যানের বিখ্যাত উপন্যাস অগ্নিগর্ভর অন্যতম প্রধান চরিত্র অটো আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা করেছিল কারন সব কিছু মেনে নেওয়া উদাসীন দুনিয়াটা কমিউনিস্ট অটোর কাছে অসহ্য ঠেকছিল, খুনীদের রক্তাক্ত হাতে হাত মিলিয়ে আপোষ করে বেঁচে থাকা তার কাছে অসহ্য লাগছিল। ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বিদেরমানের লাশ পাওয়া যায় রেল লাইনের ধারে, নাৎসি বিরোধী অভিনেতা হার্বার্টকে ধরিয়ে দেয় তার প্রেমিকাই, আর একদা সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা ম্যাক্স, লোভে অথবা ভয়ে কিংবা হয়তো দুটোর জন্যই যোগ দেয় নাৎসিদের সাথেই। কিন্তু তাতেও সব শেষ হয়ে ... ...
রামায়ন ও ইন্টারনেট (পর্ব ১) টেনিদা একটু গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বলল, বুঝলি সেকালেও ফেসবুক, ইন্টারনেট ছিল। ক্যাবলা চাপাস্বরে বলল, ওই শুরু হল ঢপের চপ। টেনিদা হুংকার ছেড়ে বলল, "এ্যাই ক্যাবলা কি বললি রা?" ক্যাবলা তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বলল, "আমি না, প্যালা বলছিল, আসার সময় দেখে এসেছে কালিকায় চপ ভাজছে। তাই বলছিলাম, একটু চপ টপ হলে এই বৃষ্টিতে ভালো হত।"আমি সবে প্রতিবাদ করতে যাব, এমন সময় টেনিদা উদাস গলায় বলল, "নাহ্ চপ আর খাবো না। বরং নগেনের দোকান থেকে একটু পকোড়া নি ... ...
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। সহজ ও সোজা একটা কথা। কিন্তু এই সহজ ও সোজা কথাটার মাঝে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে আছে জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় গৌরব কে অবহেলায় ফেলে রাখার লজ্জা, আছে জাতি হিসেবে আমরা কতখানি নির্বোধ তার পরিচয়, এর মধ্যেই আছে রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা।বিশ্বের বড় বড় গণহত্যার থেকে কোন অংশে কম হয়নি একাত্তর সালে এই বাংলায়। নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেলা।এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষ কে মেরে ফেলা, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই আর। সংখ্যাট ... ...