এই লেখাটি চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম ওয়েবম্যাগে প্রকাশিত। এইখানে আবারও দিলাম। যাঁরা পড়েন নি, পড়ে দেখতে পারেন। বিজ্ঞানে বিশ্বাস, চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশ্বাস বনাম প্রশ্নের অভ্যেসবিষাণ বসু“সোমপ্রকাশ। - স্বয়ং হার্বাট স্পেন্সার একথা বলেছেন। আপনি হার্বাট স্পেন্সারকে জানেন ত?ভবদুলাল। - হ্যাঁ…...হার্বাট, স্পেন্সার, হাঁচি, টিকটিকি, ভূত, প্রেত সব মানি।”চলচিত্ত-চঞ্চরি (সুকুমার রায়)আপনি তো বিজ্ঞান মানেন। নিজেকে বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তমনা হিসেবে দা ... ...
ওই কোণের ছেলেটাকে দ্যাখ। ঘ্যাম দেখতে। তোকে দেখছে।-উরি শ্লা, এ তো পুরো হট প্রপার্টি রে। কিন্তু কি ব্যপার বলতো, মাল, তুই ছেলে দেখছিস কেন? চেঞ্জ-ফেঞ্জ হয়ে গেলি না কি? আমার চান্স আছে?-বা-আ-ল। তোর জন্য দেখছি বে। না হলে তো সারা জীবন এইরকম আমার রুমমেট হয়ে থাকবি আর আমার সঙ্গে শপিং করে আর সিনেমা দেখে কাটিয়ে দিবি। মাঝখান থেকে আমার আর গার্লফ্রেন্ড জুটবে না। --আচ্ছা, দাঁড়া তোর জন্যও জোটাচ্ছি। ওই সামনের নীল কুর্তি পছন্দ?-ধুস। ওর থেকে তো শালা তুই বেটার। ... ...
এক জীবনে একজন মানুষের কি চাওয়া থাকতে পারে? যদি সে হয় একটু অভিযান প্রিয়, যদি সে হয় পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছাসহ কোন মানুষ? কি চাইতে পারে সে? বিমল মুখার্জি নামক এক বাঙালি নিজের মনের ভিতরের দুনিয়া ঘুরে দেখার ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপান্তর করতে পেরেছিলেন। সাথে পেয়েছিলেন একজন মানুষ এক জীবনে যা চাইতে পারে তার সব। তিনি ডেনমার্কের এক ধনাঢ্য পরিবারের সর্বোচ্চ স্নেহ ভালবাসা পেয়েছিলেন। তারা তাকে তাদের সম্পত্তির অংশীদার করে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। জন্মদিনে বাড়ি, গাড়ি এমন কি বিমান পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।বিমান চালি ... ...
আচ্ছা আপনি কি ভারতবাসী? না মানে সেটা ততটা জরুরী নয় – মানে আপনি কি দেশপ্রেমিক? না না সেটাও ততটা জরুরী নয় – মানে আপনি কি জাতীয়তাবাদী? ইয়ে, মানে এমনকি সেটাও বেশী জরুরী নয় – কথাটা হল, আপনি কি একজন ভক্ত? যদি হন, তাহলে আপনি নিশ্চয় বিশ্বাস করেন যে আচ্ছে দিন এসে গেছে? কী বললেন, টের পাচ্ছেন না? আপনি সেকু মাকু নয় তো? না হয়ে থাকলে টের পাবেন অবশ্যই। অবশ্য সেকু মাকুরাও টের পাবেই – একদম হাড়ে হাড়ে টের পাবে যে আচ্ছে দিন কাকে বলে। পাইয়েছি টের ওই অতুল মঞ্জরেকরকে – কত্তবড় সাহস, গান ছেড়েছে কি না “আচ্ছে দিন কব আয়েঙ্ ... ...
আমাকে অংক করাতেন মনীশবাবু। গল্পটা ওনার কাছে শোনা। সত্যিমিথ্যে জানিনা, তবে মনীশবাবু মনে হয়না মিছে কথা বলার মানুষ। ওনার বয়ানেই বলি।তখনও আমরা কলেজ স্ট্রীটে থাকি। নকশাল মুভমেন্ট শেষ। বাংলাদেশ যুদ্ধও শেষ হয়ে গেছে। শহর আবার আস্তে আস্তে স্বভাবিক হচ্ছে। লোকজন একটু-আধটু রাত করে ফিরতে শুরু করেছে। সিনেমা হলে নাইট শোয়ে আবার লোক হচ্ছে। আর এদিকে লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। আমরা বলতাম ব্ল্যাকাউট। যুদ্ধের ভাগশেষ। আর সেই সঙ্গে জলের হাহাকার। সকালে ঘন্টাখানেক আর সন্ধ্যেয় ঘন্টাখানেক জল আসে। সেই জমিয়ে সারাদিন চা ... ...
পূর্ণেন্দু পত্রীর বিপুল-বিচিত্র সৃষ্টির ভেতর থেকে গুটিকয়েক কবিতার বই পর্যন্তই আমার দৌড়। তাঁর একটা প্রবন্ধের বই পড়ে দারুণ লাগলো। নিজের ভালোলাগাটুকু জানান দিতেই এ লেখা। বইয়ের নাম 'কিছু মানুষ কিছু বই'।বেশ বই। সুখপাঠ্য গদ্যের টানে পড়া কেমন তরতরিয়ে এগিয়ে যায়। নামেই স্পষ্ট, এখানে কিছু মানুষ আর বই নিয়ে প্রবন্ধ সাজানো। আলোচনা গড়িয়েছে প্রথম ভাগ কিছু মানুষ প্রসঙ্গে, পরের পর্ব পঠিত বই প্রসঙ্গে। বইটিতে নানা গুণী মানুষ সম্পর্কে যেমন অনেক অজানা বিষয় জানা যাবে, একইভাবে বই সম্পর্কিত অনেক নতুন তথ্য/অপঠ ... ...
ভাইফোঁটার স্মৃতির জোয়ারে চাপা পরে গেল ভাসানের গল্প. আমার ছোটবেলার সিঁথির গায়ে তখনো নকশাল আমলের দগদগে ঘা. বাঙ্গাল উদ্বাস্তুর সর্বহারানোর শেষে ফিরে-দাঁড়ানোর লড়াইতে সঙ্গী এপার বাংলার বিভিন্ন জেলার থেকে আসা মানুষেরা. কলকাতায় উড়তে থাকা সোনার টুকরো খপ করে ধরে ফেলার আশায় দিন কাটে তাদের. আজকের ধনাঢ্য সিঁথির নর্দমার জলে যে সোনার টুকরোর সন্ধান , সে দিন তখনো ভাবনার অতীত. এই নিতান্ত নিম্নবিত্ত - মধ্যবিত্ত আবহে দুর্গাপুজো হাতে গোনা. তাদেরও বিসর্জন সাড়া হত দশমীর রাতেই. নেহাতই কোন বড় গোছের পাঁজিগত সমস্যা হলে ... ...
২০০৮-এর ১লা এপ্রিল দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা বা RSBY নামে এক স্বাস্থ্যবিমা চালু করেছেন। অন্য স্বাস্থ্যবিমায় যার নামে বিমা তাকে প্রিমিয়াম দিতে হয়। এই বিমায় কিন্তু সরকার সেই ‘প্রিমিয়াম’ দিয়ে দেন, ও গরীব মানুষ বিনামূল্যে একটা নির্দিষ্ট মূল্যমান অবধি অনেক চিকিৎসা সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই পেতে পারেন। কিন্তু গরীব মানুষ কি জানেন তাঁর কি পাওয়ার কথা? যা পাওয়ার কথা তা তিনি পাচ্ছেন কি? •রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা কাদের জন্য? ... ...
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এবার হচ্ছে একাদশ তম জাতীয় নির্বাচন। আমি ভোট দিচ্ছি নবম জাতীয় নির্বাচন থেকে। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেখার সুযোগ পেয়েছি বেশ কয়েকবার। আমার দেখা নির্বাচন গুলোর মাঝে সবচেয়ে মজার নির্বাচন দেখতে পেয়েছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। গ্রামের মানুষ তাদের প্রতিনিধি বাছাই করতে গিয়ে যা করে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর। চা আর বিড়ি ফ্রি চলে পুরো প্রচারণার সময় জুড়ে। চায়ের রহস্য যখন ভেদ করলাম তখন আমার চোখ কপাল পার হয়ে যায় প্রায়। সারা দিন এত এত ... ...
সেই যে যখন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড দিয়ে টঙ টঙ ঘন্টা বাজিয়ে ট্রাম চলত ২৯ নম্বর, ৩১ নম্বর। উজ্জ্বল সবুজ গড়ের মাঠ ছুঁয়ে , গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে বসা দোকানের ছোট ছোট দম দেওয়া গাড়ি, হাত পা ছোঁড়া পুতুল পাশ কাটিয়ে ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে যাবার সময় বাগড়ি মার্কেটের উপচে আসা বাজির বাজারকে এক ঝলক টা টা করে হাওড়া ব্রীজ পেরিয়ে সোজা হাওড়া স্টেশান। সাবওয়ে তখনও তৈরী হচ্ছে, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে সোজা ঢুকে পড়া যেত। কালীপুজো আর ভাইফোঁটার মাঝের দিনটায় ৩/ডি ইন্দ্র রায় রোডের বাড়ির খুকীর হাত ধরে, খুকীর ... ...
২০০৫ সালের মে মাসে ইউপিএ সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে হঠাৎ একটা খবর উঠতে শুরু করল যে প্রধাণমন্ত্রী সব ক্যাবিনেট মিনিস্টারের একটা রিপোর্ট কার্ড তৈরি করবেন।মনমোহন সিং যখন মস্কোতে, এনডিটিভি একটা স্টোরি করল যে নটবর সিং এর পারফর্মেন্স খুব বাজে এবং রিপোর্ট কার্ডে নাকি তাঁর নাম সবার শেষে এসেছে এতই বাজে নাম্বার পেয়েছেন উনি।নটবর সিং খবরটা শুনে খুব আহত হলেন।অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিও নিয়ে নিলেন।মস্কোতে মনমোহন সিং এর কানে খবরটা পৌঁছাতে মিডিয়া অ্যাডভাইজারকে উনি বললেন খোঁজ নিতে এনডিটিভি কি রিপোর্ট করেছে।সব শোনার ... ...
ক্লাস ফোরে যখন পড়ছি তখনও ফেলুদার সঙ্গে পরিচয় হয়নি, পড়িনি হেমেন্দ্রকুমার। কিন্তু, যথাক্রমে, দুটি প্ররোচনামূলক বই পড়ে ফেলেছি। একটির নাম 'শয়তানের ঘাঁটি' ও অপরটি 'চম্বলের দস্যুসর্দার'। উক্ত দুটি বইয়ের লেখকের নাম আজ প্রতারক স্মৃতির অতলে। যতদূর মনে পড়ে, এই বইদুটি ছিল দেব সাহিত্য কুটিরের প্রকাশনা।সে সময়ে দেব সাহিত্য কুটির ছিলো বালকদিগের অনিবার্য ঠিকানা, রহস্য ও রোমাঞ্চে একেবারে ঠাসা।দুটি বইই পড়তে দিয়েছিলেন মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের লাইব্রেরিয়ান পানুদা।শয়তানের ঘাঁটির প্লট এরকম: পদ্মার চর থেকে ... ...
লেফট অ্যারো, ফার্স্ট ব্র্যাকেট ওপেন, কোটেশন মার্ক, ফার্স্ট ব্র্যাকেট ক্লোজ! আজ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা। কাল থেকে ফিল্ম দেখানো শুরু হয়ে যাবে পুরোদমে। অনেক মানুষ আসবেন নিশ্চয়ই। চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যানারে ছাপানো মমতা ব্যানার্জীর সুবিশাল ছবিগুলির নিচ দিয়ে নন্দনে ঢুকবেন চলচ্চিত্র সেলিব্রেট করতে। বার্গম্যান, মাজিদি, ফিলিপ নয়েস; সে এক দুধর্ষ ব্যাপার! মানুষ সেলিব্রেট করবেন চলচ্চিত্র, দুর্দান্ত সব আলোচনা হবে সিনেমার ভাষা সিনেমার রাজনীতি এইসব নিয়ে। মাঝে মাঝে মোবাইল বেজে উঠবে হলে, তবে সে ... ...
গাছ |And I don't want the world to see meCoz I don't think they’d understandWhen everything’s meant to be broken,I just want you to know who I amক্যাফের দরজাটা খোলা মাত্র মাঝারি ভল্যুমে চালানো গান কানে ঝাপটা মারলো| রাজপুর রোডটা শেষ হওয়ার কিলোমিটার টাক আগে‚ ডান হাতে রামকৃষ্ণ মিশনটা ছাড়ালেই বাঁ দিকের নেমে যাওয়া রাস্তাটার মোড়েই এই ক্যাফে| ছিমছাম ও পরিপাটি| একটা দেওয়াল শুধুই কাঁচের হওয়ার ফলে‚ দিব্বি দেখা যায় সবুজে মোড়া পাহাড়ের সারি| সাথে উপরি পাওনা হিসেবে রয়ে ... ...
চট করে আজকাল সিনেমা দেখতে যাই না। বাংলা সিনেমা তো নয়ই। যদিও, টেলিভিশনের কল্যাণে আপটুডেট থাকা হয়ে যায়।এইভাবেই জানা যায়, এক ধাঁচের সমান্তরাল বাংলা ছবির হয়ে ওঠার গল্প। মধ্যমেধার এই রমরমার বাজারে, সিনেমার দুনিয়া আলাদা হবে, এমন দুরাশার কারণ দেখিনা। কিন্তু, এই চূড়ান্ত মিডিওক্রিটি নিয়েও আঁতলেমি দেখলে একটু গা ছমছম করে বইকি!!ছবির চাইতেও আরো আকর্ষণীয়, এই ধরণের ছবির বেশ কিছু একনিষ্ঠ দর্শক রয়েছেন, তাঁরা। এঁরা মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখেন, ঢোকা এবং বেরোনোর সময় সেল্ফি তুলে জানান যে তাঁরা সত ... ...
আমাদের দেশের রাজনীতি পাঁচ হাজার বছরের হারাপ্পান কঙ্কালকেও রেহাই দেয় না। কবর থেকে তুলে নানা পরীক্ষানিরীক্ষার পর যেই দেখে পালে বাতাস লাগছে না, অমনি সব রিপোর্ট চেপে দেয়। ধর্মীয় প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার মরীয়া চেষ্টা অথবা দুর্বলের ওপর চূড়ান্ত অত্যাচার যে কোন ধর্মকে মৌলবাদী করে তোলে। সে দুর্বল সংখ্যালঘু অথবা দলিত হতে পারে, মেয়েরাও হতে পারে। আবার কোন সম্প্রদায়ের ওপর রাষ্ট্রীয় মদতে নামিয়ে আনা অত্যাচারও হতে পারে। পাঞ্জাবে বীরের জাত সুদর্শন শিখ নারীপুরুষের সান্নিধ্যে এবার ধর্মীয় ভারত দেখবো ... ...
সকাল থেকে সন্ধে অবধি এক কাজের শহর থেকে ছুটির শহরে যাওয়ার ফাঁকে যা লেখা হ'ল তা এক জায়গায় থাক বরং......১কি লাভ বল তো ফুলে চিরকাল জরা আসেনদীবক্ষে চরার পাঁজরে কাঁচাপাকা ঘাস দোল খায়নিত্যস্নান হয়ে ওঠে না তার, দরজা জানলা নেইফাটা ঠোঁটে বিড়বিড় করে কবে সেই দেড়কুড়ি বছর আগে বাবুদের কলে ছানাপোনা জলটুকু চাকরীসূত্রে শহরেই গেছে চলে। কী লাভ বল তো ব্যবসায়ে, অনাদায়ী অনিচ্ছুক ঋণপালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়, পোকা ধরে প্রিয় বাদ্যযন্ত্রেমাঝে মধ্যে অকারণে খুশি হ' ... ...
১।সেলিব্রিটি পাবলিকদের মাঝে মাঝে সাংবাদিকরা ইন্টারভিউ নেবার সময় গুগলি প্রশ্ন দেবার চেষ্টা করে। তেমনি এক অখাদ্য গুগলি টাইপের প্রশ্ন হল, আপনি জীবনে সবচেয়ে বড় কমপ্লিমেন্ট কি পেয়েছেন এবং কার কাছ থেকে। বলাই বাহুল্য আমি বিখ্যাত কেউ নেই, তাই আমাকে এই প্রশ্ন কেউ করে নি। কিন্তু আমি নিজে নিজেকে অনেক করেছি সেই জিজ্ঞাসা।প্রচন্ড ভেবে ভেবে দেখা গেল - লাইফে কমপ্লিমেন্ট পাবার মতন তেমন কিছু তো করি নি! অবশ্য ক্লাস সেভেন থেকে প্রায় টুয়েলভ পর্যন্ত কার্তিক, চঞ্চল সহ অনেক জনতাকে দায়িত্ব নিয়ে ইংরাজ ... ...
কালো টাকার বিরুদ্ধে “জাতীয় জেহাদ” চতুর্থ দিনে পা দিল। প্যান্ডেমোনিয়ম অব্যাহত। মানুষ রেগে যাচ্ছেন, আবার অনেকে এটা সাময়িক অসুবিধা যাকে বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেওয়া যায় বলে নিজেদের সংযত রাখছেন। মোদীভক্তেরা ধন্য ধন্য করছেন একটা সাহসী পদক্ষেপের জন্য – আর মোদী এপোলজিস্টরা ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন নতুন কারণ খুঁজে বার করছেন কেন এ কাজ সেরা তা প্রতিষ্ঠা করতে। এই সব নিয়ে চতুর্দিকে আলোচনা হচ্ছে – এখানে আরো একটা সরেস আলোচনা হতেই পারতো – কিন্তু আপাততঃ আমরা কিছু মুখরোচক অংশ বাদ দেব।ঘটনা হচ্ছে মানুষ বেশ ভালোমত অস ... ...
অর্থনীতিবিদ অরুণ কুমারের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়া লিগাল নামক একটি পত্রিকায়। অধ্যাপক অরুণ কুমারকে কালো টাকার অর্থনীতি সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ বলেই মনে করা হয়। ১৯৯৯ সালে পেঙ্গুইন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছিল তাঁর আলোকসম্পাতী বই দ্য ব্ল্যাক ইকনমি ইন ইন্ডিয়া। এই সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক অরুণ কুমার জানিয়েছেন•বিমুদ্রাকরণ এর আগে অর্থনীতির স্বার্থে কয়েকবার করা হয়েছে, কিন্তু কালো টাকা উদ্ধারের জন্য কখনোই তা করা হয় নি। যখন মুদ্রা তার মূল্য হারিয়ে ফেলেছিল, তখনই এটা করা হয়েছিল। সোভিয়েত ইউন ... ...