১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক অদ্ভুত দেশটার জন্ম হওয়ার পর সমস্ত পাকিস্তানের জনগণ যখন আবেগে ভেসে যাচ্ছিল নতুন একটা তরতাজা দেশ পেয়ে, বিশেষ করে এই দেশের পূর্ব অংশের বিপুল পরিমাণ মানুষের আনন্দের কোন সীমা ছিল না। কারন মূলত এই ভূখণ্ডের মানুষের আন্দোলনের চাওয়া পাওয়ার ফলে জন্ম নেয় পাকিস্তান নামক দেশটা। যদিও এর চেহারা ঠিক দেশের সংজ্ঞার সাথে যায় না, যদিও নিজেদের বড় একটা অংশকে ভিনদেশের সাথে রেখে আসতে হয়েছে তবুও এই জাতি খুশি ছিল। এই অংশের মানুষের কারনেই এই দেশটা জন্ম নিয়েছিল এই কথা বলা হচ্ছে কারন এই ভূখণ্ডের মান ... ...
প্লেট থেকে একমুঠো ডালমুট তুলে মুখে ফেলে লালমোহনবাবু বললেন, "আচ্ছা মশাই, টিভিতে সিরিয়ালের জন্যে গপ্প লিখলে কীরকম পয়সা যায় বলুন তো?" গেল কবছর ধরে বাংলা ছবিতে একের পর এক গোয়েন্দা গল্পর আগমনে লালমোহনবাবুর মনে আশা ছিল যে ওনার গল্প নিয়েও ডিরেক্টরদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যাবে। কিন্তু এখনও অব্দি সেরকম কোন উৎসাহ না দেখায় লালমোহনবাবু বেশ মুষড়ে পড়েছেন। যদিও ওনার বইয়ের কাটতির কোন কমতি নেই। বছরের পর বছর পুজোর সময়ে একটা আর পয়লা বৈশাখ একটা করে বই বের করে চলেছেন। আর সেই বই বেরোতে না বেরোতেই ফুরিয়েও যায়। কোন বইয়ের ... ...
একতার দৌড়: রান ফর ইউনিটি রাজপথে প্রকান্ড কলরব শুনিয়া বাতায়ন হইতে মুন্ড বাহির করিয়া দেখিলাম অগণিত যুবক যুবতী শিশু কিশোর দৌড়াইতেছে। কোনও বিপদ উৎপন্ন হইয়াছে অনুমান করিয়া ত্বড়িৎগতিতে নীচে আসিলাম। দেখিলাম একদল মানুষ দৌড়াইতেছে। উহাদের চোখেমুখে ভীতি, চেহারায় শঙ্কার ছাপ প্রবল। উহাদের কাহারও মাথায় টুপি, কাহারও গলায় যোগচিহ্ণ। এই প্রানপণ দৌড়ের কারণ জিজ্ঞাসা করিতে কহিল, একতার জন্য দৌড়াইতেছি। যখন ভাবিতেছি কে এই একতা (কাপুর না কি?) তক্ষণি দেখিলাম উহাদের পশ্চাতে আরও এক লোক দৌড়াইতেছে। তাহাদে ... ...
..."এবার জ্যোৎস্নায়সেইপথে বসন্ত আসবে, দু-এক রক্তের বিন্দু লেগে থাকবে গায়ে।"চওড়া, পাকা ব্রিজ পেরিয়ে একটা মোড়। এককোণে বিজ্ঞাপণ, মুখ্যমন্ত্রী হাসছেন। অন্যকোণে বহুতলের বিজ্ঞাপণ, টিবিএইচকে, থ্রিবিএইচকে, সুইমিং পুল। ডানদিকে ঘুরলে নালার পাশ দিয়ে রাস্তা, তাও মোটের ওপর খুব সরু না। দুটো গাড়ি পাশাপাশি আসা যাওয়া করে। বাস যায়। মন্দির, কারখানা, ভাটিখানা ও ইশকুল। পলিটেকনিক কলেজ, বাঁয়ে সরু রাস্তা, দেড়খানা গাড়ির বেশি জায়গা নেই। কোথাও হয়ত একটু চেপে এলো, কোথাও অল্প হাঁফ ছাড়ার মত চওড়া। তারপর আবার বাঁ ... ...
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বিখ্যাত ও অতি জনপ্রিয় সাংবাদিক ছিলেন জামাল খাসোগি। ট্যুইটারে তাকে অনুসরণ করতেন ষোল লক্ষ মানুষ। ২ অক্টোবর কিছু ব্যক্তিগত কাগজপত্র নেবার জন্য তিনি তুরষ্কের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ করেন। তার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায় নি। সন্দেহকে সত্যি প্রমাণ করে দু সপ্তাহ পর সৌদি শাসন অবশেষে স্বীকার করে নেয় যে খাসোগিকে দূতাবাসেই হত্যা করা হয়েছিল। সৌদি কর্তৃপক্ষ বচসা ও হাতাহাতির ঘটনায় খাসোগির মৃত্যু হয়েছে - এই প্রাথমিক দাবি করলেও তা যে নির্লজ্জ মিথ্যা তার অনেক প্রমাণ প্রতিনিয়ত উঠে আসছে। এর মধ্ ... ...
আমাদের ছোটবেলায় স্কুলে বুক লিস্ট বলে একটা জিনিস দেওয়ার চল ছিল। বুক লিস্ট বা বইয়ের ফর্দ দেওয়ার পর স্কুলে কিছু সরকারি তথা দরকারি বই (যথা সহজ পাঠ, কিশলয়, গণিত মুকুল ইত্যাদি) ফ্রিতে পাওয়া যেত। টুকিটাকি বই কিনতে হত। এর মধ্যে বিশেষ করে মনে পড়ে 'জানা-অজানা' নামক বই। সে বইতে ভারতের রাষ্ট্রপতি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের নামধাম থেকে শুরু করে, কতগুলি মহাদেশ, আসন্ন অলিম্পিকের লোগো, ইত্যাদি জানিয়ে দেওয়া হত। মনে রাখতে হবে তখন, আমাদের সেই ছেলেবেলায়, হাতের কাছে ইন্টারনেট, গুগল বা সিধুজ্যাঠা-কেউই নেই। কিন্তু, এই অ ... ...
'সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি।' কবিরা সংবেদনশীল হন। কবিরা দ্রষ্টা হন।যে দৃশ্য অন্যরা সাধারণভাবে দেখেন, সেই 'কেউ কেউ কবি', এ-সব দৃশ্যের অন্তরালে দেখতে পান অন্যতর সত্য। সেই সত্যের ধারাভাষ্য লেখেন তাঁরা।বিনয় মজুমদার এই ধরনের কবি ছিলেন। চেনা ও আপাত দৃশ্যের আড়ালে ঢাকা সত্য বের করে আনতেন স্বকীয় দক্ষতায়। তাঁর বহুচর্চিত কাব্যগ্রন্থের নাম ' ফিরে এসো চাকা'। 'ফিরে এসো চাকা'র প্রথম কবিতাটি নিয়েই এই সামান্য প্রয়াস, সেটি পড়লে বিস্ময়ের উদ্রেক হয়:একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়েদৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্ ... ...
২০ সে জুন ১৯৪৭ বাঙলার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে বাঙলা ভাগের পরিকল্পনা গৃহীত হয় । ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রোধে বাঙলার যে শিক্ষিত হিন্দু জাতীয়তাবাদী অংশ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র ৪ দশকের ব্যবধানে বাঙলার সেই শিক্ষিত হিন্দু জাতীয়তাবাদী অংশ দেশভাগের পূর্বে ধর্মের ভিত্তিতে প্রদেশকে ভাগ করার পক্ষে সংবদ্ধ আন্দোলন চালায় এবং প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে বাঙলা ভাগ মেনে নেয় । সেই অর্থে আজকে ২০শে জুন পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিবসের সূত্রপাত বটে কিন্তু একই সাথে নেহেরু ,প্যাটেল ,জমিদার শ্রেণী , মারোয়াড়ী লবি’র ক্ষুদ্র ... ...
জর্জ অরওয়েলের খুব বিখ্যাত একটি উপন্যাস আছে অ্যানিলাম ফার্ম বলে।আমার খুব প্রিয় বই এটি।কমিউনিস্ট বিরোধী প্রোপাগান্ডার মধ্যে একদম ওপরের সারিতে রয়েছে এই বইটি।বইটিতে রূপকের মাধ্যমে একটা কমিউনিস্ট দেশের আভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা দুর্বলতাকে তুলে ধরা হয়েছে।মূলত আক্রমণটা করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে।বইটার ন্যারেটিভের জন্য নয়, আমার ভালো লাগার কারন ফর্মটার জন্য।ম্যানর ফার্মের সব জন্তুরা একবার ওল্ড মেজর যে নাকি একটা শুয়োর ছিল তার নেতৃত্বে একটা মিটিং এ বসল।সেখানে মানুষকে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হল আর মিস্ ... ...
#চলো এগিয়ে চলি#সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্য প্রথম ভাগের উৎসব শেষ। এরপরে দীপাবলি। আলোর উৎসব।তার সাথে শব্দবাজি। আমরা যারা লিভিং উইথ অটিজমতাদের ক্ষেত্রে সব সময় এই উৎসব সুখের নাও হতে পারে। অটিস্টিক মানুষের ক্ষেত্রে অনেক সময় আওয়াজ,চিৎকার, কর্কশ শব্দশারীরিক অস্থিরতা তৈরি করে।আমরা যারা নিজেদের সাধারণ ভাবি তারা কিছুটা নিজেদের সামলাতে পারি।কিন্তু এরা অনেক ক্ষেত্রেই পারে না।দীপাবলি তে অপরিহার্য ধন লক্ষ্মী পুজো।মানুষের জীবনে টাকা পয়সার গুরুত্ব অসীম।আমাদের বাচ্চাদের অনেকের উপা ... ...
২।স্নানের সময় হয়ে গেছে। কোনো মতে মাথায় একটু তেল লাগিয়ে বাথরুমে ঢুকল শোভা। বোনেদের মধ্যে সবার আগে ওই স্নানে যায়। কারন মেজদির কলেজের ক্লাস শুরু হয় দেরিতে আর কিরন যতক্ষণ পারে পরে নেয়। কলঘরের দড়জাটা এঁটে দিল শোভা। বড়মামাদের বাথরুমের সাথে ওদের কলঘরের কোনো মিলই নেই। বড়মামাদের বাথরুমে শ্বেত পাথরের মেঝে,বাথটব। বাথরুমের তাকে নানান প্রসাধনি। সেখানে ওদের কলঘরটা বড়ই ম্যাড় ম্যাড়ে। সিমেন্টের মেঝে, পলেস্তরা খসা দেওয়াল আর তেল সাবান - ব্যস, এইটুকুই। তা হলই বা, এতে এমন কিই বা অসুবিধে?প্রথমবার ... ...
#চলো এগিয়ে চলি(35)#সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্যআমরা যারা অটিস্টিক সন্তানের বাবা-মা আমাদের যুদ্ধ টা নিজের সাথে এবং বাইরে সমাজের সাথে প্রতিনিয়ত। অনেকে বলেন ঈশ্বর নাকি বেছে বেছে যারা কষ্ট সহ্য করতে পারেন তাঁদের এই ধরণের বাচ্চা "উপহার" দেন। ঈশ্বর বলে যদি কেউ থাকেন তার এ হেনরসিকতা আমার পোষায় নি।আমি সাধারণ পিঁপড়ে কামড়ে কেঁদে ভাসিয়ে বরফ ঘষে বসে থাকি ,তাই আমি কষ্ট সহিষ্ণু নই ঈশ্বরের এটা জানা উচিৎ তবু আমার অটিস্টিক সন্তান।আমি যেচে স্পেশাল বাচ্চার মা যেমন হই নিতেমন ই বাচ্চা যখন অন্য ... ...
#চলো এগিয়ে চলি #সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্যআমরা যখন ছোট তখন থেকেই দেখবেন মা -বাবা রা আমাদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে শেখান।সাঁতার না জানলে পুকুরের ধারে যাবেনা,খোলা ইলেকট্রিক তার এ হাত দিতে নেই,ভিজে হাতে সুইচ বোর্ড ধরতে নেই, ইত্যাদি। আমাদের সন্তান রা যেহেতু একটু পিছিয়ে তাই এই বিপদের সম্ভবনা কিন্তু তাদেরঅনেক বেশি।আমাদের মধ্যে অনেকের সন্তানহয় তো বিপদের আন্দাজ করতে পারেন না সেই ভাবে তাই আমরা যারা স্পেশাল বাচ্চার বাবা-মা আমাদের যুদ্ধ টা হয় তো একটু বেশি।আমি বিশেষজ্ঞ নই আমার অভ ... ...
প্রথমে ফিতার ক্যাসেট দিয়ে শুরু তারপর সম্ভবত টিভিতে দুই একটা গান শোনা তারপর আস্তে আস্তে সিডিতে, মেমরি কার্ডে সমস্ত গান নিয়ে চলা। এলআরবি বা আইয়ুব বাচ্চু দিনের পর দিন মুগ্ধ করে গেছে আমাদের।তখনকার সময় মুরুব্বিদের খুব অপছন্দ ছিল বাচ্চুকে। কী গান গায় এগুলা বলে আমদের কে নিবৃত করার চেষ্টা করা হত সব সময়, আমরাও নতুন অ্যালবাম একটাও না কিনে থাকতাম না। তাই এখনও এলআরবি বা আইয়ুব বাচ্চুর গান শুনতে যত না ভাল লাগে তারচেয়ে শতগুণ করে নস্টালজিক। অদ্ভুত সুন্দর কিছু গানের কথা আর ভয়ানক রকমের সুন্দর সুরের মূর্ ... ...
"After the torchlight red on sweaty facesAfter the frosty silence in the gardens..After the agony in stony placesThe shouting and the crying...Prison and palace and reverberationOf thunder of spring over distant mountains...He who was living is now deadWe who were living are now dyingWith a little patience ..." বিভাস কে চিনিস, রাকা ? বছর চারেকের এক ফুটফুটে বাচ্চা ছিল.. ওর মা, বাবা ওর জন্য এই পুজোতে নিশ্চয় অনেক দিন ধরে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে নতু ... ...
#চলো এগিয়ে চলি #সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্যমন ভালো রাখতে কবিতা পড়ুন,গান শুনুন,নিজে বাগান করুন আমরা সবাই শুনে থাকি তাই না।কিন্তু আমরা যারা স্পেশাল মা তাঁদেরবোধহয় না থাকে মনখারাপ ভাবার সময় না তার থেকে মুক্তি। আমরা, স্পেশাল বাচ্চার মা তাঁদের জীবন টা একটু অন্যরকম ভাবে সাজাতে হবে ,যেদিন থেকে বুঝবেন আপনিএকজন spl বাচ্চার মা।আমাদের অনুভূতি বোধকরি প্রথম থেকেই কন্ট্রোল করা ভালো।ধরুন আপনি এবং আপনার স্বামী দুজনেই বাচ্চার অটিজম মেনেনিয়েছেন, ভালো বোঝাপড়া।কিন্তু দিনের শেষে ... ...
এখন যেখানে সল্ট লেক সিটি সেন্টারের আইল্যান্ড - মানে যাকে গোলচক্করও বলা হয়, সাহেবরা বলে ট্র্যাফিক টার্ন-আউট, এবং এখন যার এক কোণে 'বল্লে বল্লে ধাবা', অন্য কোণে পি-এন্ড-টি কোয়ার্টার, তৃতীয় কোণে কল্যাণ জুয়েলার্স আর চতুর্থ কোণে গোল্ড'স জিম - সেই গোলচক্কর আশির দশকে ছিল আমাদের ঠেক। ৮৭-সালের ওয়ার্ল্ড কাপে পাকিস্তান হারবার পর এই অকুস্থলেই বাস থামিয়ে উদ্দাম নৃত্য প্রদর্শন করা হয়েছিল। 'সান্থাল টুইস্ট' না হলেও তার কাছাকাছি। তবে কেউই নেশা করেনি। এবং বাসে শর্মিলা ঠাকুরও ছিলনা, কাবেরী বোসও নয়।আজ থেকে ... ...
#জলছবি-বাংলাদেশ ( সবার যেমন কিছু স্বপ্নের ভ্রমণ থাকে, আমারটা ছিল বাংলাদেশ। বাবা-পিতামো’র চরণধুলি যেখানে পড়েছিল সেই দেশ দেখব। এই ছিল স্বপ্ন। চূড়ান্ত পিতৃতান্ত্রিক ভাবনা। তবুও। গিয়েওছিলাম। অসম্ভব আনন্দ হয়েছিল। আজ প্রায় এক দশক পরে দেখছি স্মৃতিটা ঝাপসা হয়ে আসছে। কিন্তু এই স্মৃতিটা এমন, যাকে আমি একদম ফিকে হয়ে যেতে দিতে চাই না। সেই ধরে রাখার তাগিদে এই লেখা। তবে হয়তো একটু ভালবাসায় বায়াসড, কখনো বা পলিটিক্যালি ভুল লেখা হবে। যারা পড়বেন তাঁরা নিজ গুণে মার্জনা করবেন এই আশা। )দিন - ১ ... ...
একটি বই, আর আমার সময়বিষাণ বসুএকটি আশ্চর্য বইয়ে বুঁদ হয়ে কাটলো কিছু সময়। দি রেড টেনডা অফ বোলোনা।প্রকাশক পেঙ্গুইন মডার্ন। দাম, পঞ্চাশ টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মাত্র পঞ্চাশ টাকা।বোলোনা ইতালির এক ছোটো শহর। শহরের সব জানালার বাইরে সানশেডের মতো করে মোটা কাপড়ের ছাউনি। সেই ছাউনির রঙ লাল। সব বাড়িতেই। সময়ের প্রভাবে, কোনোটি উজ্জ্বল, কোনোটি বা ফিকে হয়ে আসা লাল। স্থানীয় ভাষায়, সেই ক্যানভাস কাপড়ের ছাউনির নাম টেনডা। টেন্ট শব্দটি কি একই সূত্র থেকে এসেছে? জানিনা। ... ...
[মূল গল্প - Del rigor en la ciencia (স্প্যানিশ), ইংরিজি অনুবাদে কখনও ‘On Exactitude in Science’, কখনও বা ‘On Rigour in Science’ । লেখক Jorge Luis Borges (বাংলা বানানে ‘হোর্হে লুই বোর্হেস’) । প্রথম প্রকাশ – ১৯৪৬ । গল্পটি লেখা হয়েছে প্রাচীন কোনও গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার ভাণ করে, এবং সেহেতু শেষে একটি ভুয়ো সূত্রনির্দেশও দেওয়া আছে । সেই প্রাচীনগন্ধী মেজাজটি অক্ষুণ্ণ রাখতে অনুবাদের গদ্যটিকে কিঞ্চিৎ ‘আর্কায়িক’ রূপ দিতে হল । এ গল্পটি সেই অর্থে কল্পবিজ্ঞান নয়, তবে, হয়ত বা বিজ্ঞান নিয়ে । বাস্তবতা, বৈজ্ ... ...