ডিপ্রেশন মানেই জীবন শেষ করে দেওয়া নয়। বিশ্বাস করুন, পৃথিবীতে এমন কেউ আছেন যিনি আপনার কথা শুনতে যান, কথা বলতে চান। তাই হয়তো নতুন এক শব্দের কয়েনেজ “4 a.m friend”… হ্যাঁ, এমন একজনকেই চাই যাকে রাত বিরেতে উঠিয়ে বলতে পারি, হ্যালো, আমি আজ ভালো নেই। কথা বলতে পারি… হয়তো তাহলে ডিপ্রেশন কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব। সুশান্তের পাশে কাল কেউ ছিলনা…তাই হয়তো ওকে এভাবেই চলে যেতে হলো… ... ...
হিন্দু শব্দটার উৎস নিয়ে একটা সংশয় অনেকের দেখতে পাই। এটা নিয়ে আলোকপাত করছি। শব্দটির অস্তিত্ব সুলতানী আমলের আগে ছিল কিনা সেই নিয়ে অনেকের সংশয় দেখা যায়। প্রথমেই বলি, এই লেখার উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি খোঁজা নয়, বরং হিন্দু শব্দটার ব্যুৎপত্তি খোঁজা। ... ...
স্বপ্নস্বাদআমাদের ছোটবেলায় চকোলেট ছিল বেশ দুর্লভ একটা জিনিস, লেবু লজেন্স, টিকটিকি লজেন্সের স্বাদে আমোদিত দিনগুলোয় একটা ডেয়ারী মিল্কের বার হাতে পাওয়া মানে চাঁদ পাওয়ার চেয়ে কম কিছু ছিলনা। সেই বার রাখা থাকত তালাবন্ধ মীটসেফের কোনে। মন দিয়ে পড়ে বাবা মাকে খুশি করতে পারলে তবেই মিলত সেই বারের একটা টুকরো। তাই চকোলেট জিনিসটা দেবতার খাদ্য ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনি। প্রবাসী আত্মীয় দেশে ফেরার সময় নিয়ে আসতেন টবলেরোনের ত্রিভুজ, সে জিনিস আবার অমৃতের কাছাকাছি, টোবলেরোনের খালি খোল সংগ্রহ করে স্কুলব্যাগে ক ... ...
কিন্তু চকোলেটের ‘আধুনিক’ যুগের সূচনা বলতে গেলে ১৮২৮ সালের পর। যখন কর্মাশিয়াল ভাবে চকোলেটের আরো বেশী করে উৎপাদন শুরু হল। এর এইখানেই ডাচ্-দের অবদান। কোয়েনার্ড ভ্যান হুটেন নামে এক ডাচ্ কেমিষ্ট উদভাবন করে ফেলল কোকো জগতে যুগান্ত কারী এক জিনিস। তিনি উদভাবন করলেন এক হাইড্রোলিক প্রেস যার মাধ্যমে প্রসেস করা কোকো বিনস্ থেকে কোকো বাটার-কে আলাদা করে ফেলা গেল খুব সহজে, আর পরে রইল চকোলেটের/কোকো-র গুঁড়ো। ব্যাস আর পায় কে! কিন্তু ভ্যান হুটেন এতেই থামলেন না, তিনি আরো গবেষণা করে সেই চকোলেটের পাওডারের সাথে ক্ষারক জাতীয় লবণ (অ্যালকালাইন সল্ট) মিশিয়ে এই পাওডার-কে এমন করে তুললেন যে সেই পাওডার এবার খুব সহজেই কোন তরলে মিশে যায়। এই প্রসেসটা তিনি পেটেন্ট করেছিলেন এবং তা কালক্রেমে পরিচিত হয় ‘ডাচিং’ পদ্ধতি নামে। বলতে গেলে এই ডাচিং প্রসেস ছাড়া হয়ত আজকের এই চকোলেট বিপ্লব সম্ভব হত না। ... ...
দুধসাগর তারকরলি - - তা হোটেলখানি বেশ উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, সামনে লোহার জমকালো গেট। রাতে এসে হর্ন বাজাতে এক রোগা পাতলা বাচ্চামত ছেলে এসে গেট খুলে বাঁদিকে হাত দেখালো। ভেতরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার ঝুপসি গাছে ভরা, ভেতরের পথটিও ঠিক পাকারাস্তা নয় মাটির উপর ইঁট আর পাথরের টুকরো ফেলা। বাঁদিকে গাড়ি নিয়ে অল্প এগোতেই দেখা গেল আর এগোন যাবে না, মাটির পথ ধাপে ধাপে নেমে গেছে। ... ...
আর্য শব্দের উৎস ও এই নামে পরিচিত জনগোষ্ঠীর উৎস- দুটো নিয়েই আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। ইতিহাসের একটা প্রশ্নের উত্তর কখনই একটা সূত্র থেকে পাওয়া যায় না, বিশেষ করে প্রশ্নটা যখন প্রাগৈতিহাসিক যুগকে ঘিরে। তাই আমরা পাঁচরকম আঙ্গিকে উত্তরটা খোঁজার ও বোঝার চেষ্টা করব- সাহিত্য, ভাষা, জেনেটিক্স, আইকোনোগ্রাফি ও শিল্প। এগুলি সবই ইতিহাস গঠনের রসদ। আজ শেষ পর্বে দেখব আইকোনোগ্রাফি ও শিল্পের আঙ্গিকে। ... ...
একটি জাতি প্রায় সমষ্টিগতভাবে রেসিস্ট। রাজনৈতিক শুদ্ধতার বাইরে থেকে চাপানো কৃত্রিম জ্ঞান দিয়ে ফেসবুকে সচেতনতার সাময়িক পলেস্তারা নির্মিত পোস্ট রচনা করা যায়, রেসিস্ট মানসিকতার আগাছা তাতে নির্মূল হয়না। তাই এভাবেই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে বেরিয়ে আসে রেসিজমের বয়ান, রেটরিক, ভাষা। সে ভাষায় সাহিত্য করে পুরস্কার লাভ হতে পারে, নিজেকে আ্যক্টিভিস্ট বা বামপন্থি বলে আত্মপ্রচার করা যেতে পারে, কিন্তু মানুষসভ্যতায় বিশ্ব-শিল্প-সাহিত্যে বা জাতিগতভাবে কোন সংযোজন সম্ভব হয়না। ... ...
তখন প্লাষ্টিকের ব্যাগ আসে নি। আমাদের সকলের বাড়িতে চটের থলে নামের একটা জিনিস থাকত। আজকের দুনিয়ায় চারিদিকে প্লাষ্টিক বর্জ্য বিষয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে। এতো আলাপ-আলোচনায় আমাদের সচেতনতা কি বাড়েনি? অবশ্যই আমরা এই নিয়ে ভাবছি, বিকল্প খুঁজছি। আমরা কাপড়ের আর কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করছি আজকাল, পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছি। আসুন, একটু তলিয়ে দেখা যাক। ... ...
বাংলার সাহোরের রাজার ছেলে গৃহত্যাগ করে গ্রহণ করলেন প্রব্রজ্যা এবং উপসম্পদা গ্রহণপূর্বক নাম নিলেন 'শান্তরক্ষিত'। নালন্দায় পাঠান্তে নিযুক্ত হলেন উপাধ্যায় হিসাবে। সেখান থেকে বা সালনাং-এর সাথে পাড়ি জমান সেই তিব্বত... ... ...
গোরেস্তানে মধ্যরাত্রে পঙ্খিরাজ টানা গাড়ি নামে! গাড়ি ভরা লাশ! গোরেস্তানের নীরবতায় ঝিঁঝিঁর ঝিমঝিম টানা সুরের মধ্যে ঝুমঝুমি বাজিয়ে পঙ্খিরাজ গাড়িটা নাজেল হয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে আর ঘোড়ার ক্ষুরের ক্লান্ত শব্দ চারদিকের মৌনতার মধ্যে রহস্য ঢেলে দেয়! ... ...
স্কুলে পড়ার সময়, সম্ভবত ক্লাস নাইনে পড়ার সময় এস. ওয়াজেদ আলির ‘ভারতবর্ষ’ শিরোনামে একটি রচনা পড়েছিলাম। ১৯৮৪ পর্যন্ত মাধ্যমিকের সিলেবাসে ছিল এই প্রবন্ধটি। উত্তরকালের কাছে তাঁর পরিচিতি এই ‘ভারতবর্ষ’ নামে বিখ্যাত রচনাটির জন্যেই বোধহয়। সেখানে একটি লাইন ছিল ‘সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে, কোথাও তার পরিবর্ত্তন নেই’। বাক্যটি তাঁর জীবিতকালের মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ হিসাবে স্থান করে নিয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী (৬৮ বছর) পরে আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ... ...
মানুষ নামলে পথে চারদিক তোলপাড় হয় / মানুষ নামলে পথে রাজার সিংহনাদ মিউ করে ওঠে! / মানুষ ভয়ঙ্কর যদি সে শ্লোগান তুলে নেয় ... ...
বড়ো মেয়ে শমরিতা রিতু পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়ার পর থেকে হায়দার আলীর স্বপ্ন মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন। তাঁর বংশে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনি। এসএসসি, এইচএসসি’তে জিপিএ ফাইভ পেয়ে পাস করার পর হায়দার আলীর স্বপ্ন নতুন মাত্রা পায়। মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন তিনি। জেলা আদালতে করণিকের চাকুরি করেন। দুটো মেয়ে। স্বল্প বেতনে সুদূর উত্তরের জেলা শহর কুড়িগ্রামেও ভালোভাবে সংসার চালানো বেশ কষ্টকর। মেয়েকে ঢাকা কিংবা অন্য শহরে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর কথা শুনে রিতুর মা বরাবরই ভয় পেয়েছেন। ... ...
আজ, ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকেল ৪টায় কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হল একটা প্রেস কনফারেন্স। এপিডিআর, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, ফোরাম অফ পিপলস হেলথ, মেডিকাল সার্ভিস সেন্টার, মেডিকাল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস এসোশিয়েসন, প্রোগ্রেসিভ এন্ড ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস ফ্রন্ট, বন্দী মুক্তি কমিটি ও কলকাতা নাগরিক সমন্বয়-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আগামী কাল, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকেল ৩টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে এন আর এস মেডিকাল কলেজ অবধি মিছিল।দাবীঃ১। কোরপান শাহের হত্যাকারীদের শাস্ত ... ...
শৈশবপ্রস্তর ভিন্ন অন্যথা বিস্ময় নাই। মেহেন্দির ঘ্রাণ ও বর্ণ উভয়ত পুলকপ্রদ। বৃষ্টিবৎ ছুটিয়া যায় উৎসাহী হেলার দল। যেথা অন্ড ছিল, তা হইতে জায়মান কুতকুতে অর্বুদ চক্ষু। আয়ু, তোমাকে জন্মাবধি এমন দৃশ্য আরো দিতেছে নির্ভার রৌদ্র। ... ...
সাড়ে পাঁচশ পৃষ্ঠার বই যখন শেষ হয়ে আসছে, মহারাজা যখন সমানে অসুস্থ হয়ে পরছেন তখন আমাদেরকে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছিল এই লোকটা কী জিনিস ছিল। আমি সিনেমার হিসাব করছিলাম তখন, শুধু মনে হচ্ছিল না, এই অসুস্থতায় তিনি যাবেন না, এখনো তো আগন্তুক করা বাকি, এর আগে যাবেন কী করে? অসুস্থ অবস্থায় শেষ সিনেমা আগন্তুক তৈরি করলেন, উৎপল দত্ত তার জীবনের অন্যতম সেরা অভিনয় করলেন। আর শেষ সিনেমায় এসেও সত্যজিৎ দেখালেন তিনি কত বড় পরিচালক, কী দুর্দান্ত কাজই না করে গেছেন। আগন্তুক সিনেমার শুটিং শেষ হওয়ার পর, শেষ শট নেওয়ার পর তিনি বলে উঠেন, "যাঃ, আমার যা কিছু বলার ছিল সব ফুরিয়ে গেল, আমার আর কিছুই বলার নেই।" এই কথা শোনার পর বিজয়া রায়ের যেমন লেগেছিল, আমাদেরও তেমনি যেন লাগে। আমরা জানি তাই সত্য হয়েছিল। কিংবা বলা চলে উনার সময় ফুরিয়ে গেছিল, সত্যজিতের মত মানুষ কী কোনদিন ফুরিয়ে যায়? ... ...
কিন্তু প্রথম থেকেই যেটা লক্ষ্য করছিলাম, এই উপলক্ষ্যে মানুষ তিনটে জিনিষ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে - এক, কেরলের লিটারেসি রেট, দুই, মালাপ্পুরম মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল আর তিন, কেরলের মানুষের হিংস্রতা। ছকটা খুব কঠিন নয়। ... ...
তাস খেলা ভয়ানক অপরাধ! / জুয়া তো রাষ্ট্রনায়কের খেলা!! / ফকিরেরা কেন দুঃসাহস দেখাবে? ... ...
জঙ্গল না কাটলে, প্রকৃতিকে ধ্বংস না করলে "সভ্য" মানুষ বাঁচবে না। প্রান্তিকদের প্রান্তিকতর করে না তুললে উন্নয়ন থমকে যাবে। মানুষকে অত্যাচারে, বঞ্চনায় স্যাডিস্ট এবং নৃশংশ করে তুলতে পারলেও সভ্যতার অনেক লাভ। এইসব নৃশংশ হত্যার দায় সভ্যতাকে নিতে হয় না - নিজ গৃহকোণে চোখের জল ফেলে "অসভ্য নিষ্ঠুর" মানুষের প্রতি ঘৃণাবর্ষণ করে একটু স্বান্ত্বনা পাওয়া যায়। ... ...
ল্যাংস্টন হিউজের এই সময়ের জন্যও প্রবল প্রাসঙ্গিক কবিতা 'হার্লেম'-এর অনুবাদ দিয়ে শুরু করলাম। আশা রাখি আরো অনুবাদ আসবে। ... ...