আতংকিত, মানুষ অসহায়। যেন এক যুদ্ধ পরিস্থিতি! যেকোন মুহূর্তে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে। আমার এতদিনের সযত্নে লালিত সংসার এক মুহুর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। এখন শত্রু আর ওইখানে কোথাও নেই, শত্রু আছে আকাশে-বাতাসে, মানুষের মধ্যে মিশে! তাই মানুষ মানুষকে সন্দেহ করছে। সামাজিক দূরত্ব রাখতে মানুষ মানুষের থেকে দূরে থাকতে চাইছে। সন্দেহ হলেই অপরকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে। করোনা-কেন্দ্রিক এক জীবন গড়ে উঠেছে আমাদের। এক মৃত্যু-মুখী চেতনার জীবন। ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া জীবন। "এরা ভিড় বাড়াচ্ছে, ওরা মাস্ক পরছে না" – এইসব নিয়ে অপরকে দোষারোপ করা একাকীত্ব যাপন। ... ...
ঈশ্বরী আমাদের মধ্যেই মিশে থাকেন। ঘরের কাছে আরশিনগরে তাঁকে ধরি ধরি ধরিতে না পারি, শুধু আঁচলের আভাসুটুকু রয়ে যায় মানসপটে। ... ...
এক ইউরোপিয়ান আমায় বলেছিলো, কন্টিনেন্টাল ইউরোপকে বোঝার সবচেয়ে ভালো রাস্তা হল ফুটবল| ইউরোপ ফুটবলে বাঁচে, ফুটবলেই মরে| বড় বড় ক্লাবগুলোর রাইভ্যালরি, সিটি ডার্বি, কান্ট্রি ডার্বি, লিগ, কাপ - ফুটবল ফ্যানদের জীবন এতেই আবর্তিত| আমার বাড়ীর পাশের আইবেরিয়ান রেস্তোঁরার মালিক পর্তুগিজ বেনিতো তার জ্যান্ত উদাহরণ| তার বাসস্থান পোর্তো শহরের পোর্তো ফুটবল ক্লাবের জন্যে সে কি না করতে পারে? আজ তারই গপ্পো| ... ...
রাস্তাটার একদম শেষে একটা পুকুর, টলটলে। দুইপাশে জংলা ঘাস, কুচো কুচো তারা ফুল। পুকুরটাকে জাপটে ধরে আরেকটা রাস্তা, রাস্তার শেষে নিমোর বাড়ি। আমি তাই জানি, কারণ ঐ রাস্তা দিয়েই লাফাতে লাফাতে আসে। আমাদের পুকুর এক , শুধু রাস্তা আলাদা। ... ...
টিকটিকি দেখলো। মেয়েটা ল্যাপটপের সামনে।ওর দিকে তাকাচ্ছে না একবারও। অভিমান হল টিকটিকির।মানুষ বড় স্বার্থপর। ভেবে নিল। ডে ওয়ান। সকাল। উওলগ্যাংগ প্যাটেরসনের ছবি। আউটব্রেক। মেডিক্যাল থ্রিলার। জাস্টিন হফম্যান। মর্গান ফ্রিম্যান। রেঁনে রুশো। ইবোলার ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকার কোনো অন্চলে আর তারপর ইউ এস এর একটি ছোটো শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেটা। উনিশশো পঁচানব্বুই। ... ...
কবি বীতশোক ভট্টাচার্যের প্রয়াণ-দিবস আজ। কিছু স্মৃতি ও কিছু কবিতা নিয়ে এই লেখা। ... ...
একদিন জেন বলল ওর বৌদি বেশ সমস্যায় পড়েছে – কারণ ওর দাদা ফ্যামিলি ছেড়ে চলে গেছে অন্য ভালোবাসার মানুষের সাথে। জেনের দাদার বয়স তখন প্রায় ৪৮ মত – তিন ছেলে মেয়ের বাবা। বিদেশে এই সব হতেই পারে – কিন্তু আমার চমকটা লাগলো অন্য জায়গায়। বেশ কিছু দিন ধরেই দাদা-বৌদির বনিবনা হচ্ছিল না। ওর দাদা নাকি অন্য একটা ছেলের প্রতি আসক্ত হয় পড়ছিল ক্রমে – এবং খুব রিসেন্টলি জেনের বৌদি-কে জানায় আর একসাথে থাকা সম্ভব নয়, কারণ তার উপর সে আর কোন আকর্ষণ অনুভব করছে না! বরং বুঝতে পেরেছে ওই ছেলেটিকে ও প্রবল ভালোবেসে ফেলেছে। তাই ডিভোর্স দিয়ে ছেলেটার সাথে থাকতে চায়। সেই শুনে আমার অবাক অবস্থা দেখে জেন আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করল "সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন" কাকে বলে ইত্যাদি। ... ...
নামটা ছিল একটা মাত্র শব্দে, যার মানে করতে গেলে এরকম একটা মানে দাঁড়াতো। কিন্তু সেই ভাষা জানতো যারা তাদের কেউ আজ আর বেঁচে নেই। ফলে শব্দটা ঠিক কি ছিল আজ আর জেনে উঠতে পারা যাবে না। গ্রামের বাইরে ছিল শুধু জঙ্গল জঙ্গল আর জঙ্গল। যতদূর চোখ যায় আর যতদূর মানুষ যেতে পারে। মানুষের তো স্বভাব হেঁটে দেখা কতদূর যাওয়া যায়। তা, সেরকম মানুষ সব সময়েই থাকে। যারা ছিল সেরকম সেদিন, তারা যদি কেউ সেই জঙ্গলের শেষ দেখেও থাকে, গ্রামে আর ফেরেনিকো তারা। ... ...
অনেক কিছু স্মৃতি উঠে আসছে – ২০০০ সাল অবধি তেমন ভাবে ‘কবিতা’ নিয়ে চর্চা বা ভাবনা হয়ে ওঠে নি। ওই গোঁফ ওঠার বয়সে যা ছড়া/কবিতা লেখে সবাই তেমন কিছু ছাড়া। আর সব প্রচলিত বিখ্যাত কবির কবিতা পড়া – সেই সময় ছিল সমকালীন জয় গোস্বামী টাইপের ইত্যাদি। এমন এক সময়ে পরিচয় হয়ে যায় এক অদ্ভুত ওয়েবসাইটের সাথে – মনে রাখতে হবে তখনো ইন্টারনেট এমন প্রচলিত হয়ে ওঠে নি, ব্রড ব্যান্ড ইত্যাদি তো দূরের কথা – অর্কূট, ফেসবুক, ইউটিউব কিছুই নেই। এমন ভাবে নিরলস কবিতার সাধনা করে যাওয়ার সাইট বিরল। দুই বাংলার অনেক এখনকার চেনা এবং জনপ্রিয় কবি এই সাইটে হাত পাকিয়েছিলেন এখানে। ভাবছি তেমন কারো কারো দের দিয়েই কিছু লেখা যাক টুকটাক। ... ...
আধুনিক তথ্যবিজ্ঞানে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের আবিষ্কৃত ফর্মুলা কিভাবে কাজে লাগছে, কিভাবে মেশিন লার্নিংয়ের একটি জরুরি ভিত্তিপ্রস্তর আসলে এই বাঙালী বিজ্ঞানীর অবদান, যা আমাদের দৈনন্দিন অনলাইন জীবনকে নিয়ত প্রভাবিত করছে, এই দিকটি তুলে ধরার জন্যই এই প্রবন্ধ। ... ...
এরপর একটা ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে রেণু নামবে; পিয়ানো যেখানে বাজছে সেদিকেই যাবে রেণু- নামতেই থাকবে -তাকে আর আটকাতে পারবে না সুবর্ণ- আস্তে আস্তে রেণু কুহেলির সন্ধ্যা রায় হয়ে যাবে। ... ...
আমাদের বন্ধু ব্যাচে হাবাই সর্বপ্রথম অবৈধ সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিল ক্লাস ইলেভেনে পড়ার সময়। ক্ষ্যাপা মাষ্টারের কাছে প্রাইভেট টিউশনি শেষ করা এবং ইস্কুলের গণ্ডী পেরোবার সীমারেখা থেকেই হাবা-র কাছে তার নিজেরই ‘রঞ্জিত’ নামটি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছিল। ক্ষ্যাপা মাষ্টার আজ আর নেই – আমাদের গ্রাম থেকেই টিউশনি পড়িয়ে ফেরবার পথে জি টি রোডে লরির ধাক্কায় প্রাণ হারাণ। এই ঘটনা আমাদের বিষাদগ্রস্ত করেছিল কিছুদিন কারণ খ্যাপা মাষ্টার আমাদের নিমো গ্রামের অনেক ছেলেরই কৈশোরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। আমরা তাই ক্ষ্যাপা ... ...
পাউরুটি আমি ভালবাসি। না বেসে থাকা যায়? যার অমন নরম তুলতুলে গা! কিন্তু মুশকিল হল পাউরুটি আমায় মোটে পছন্দ করে না। টিভিতে দেখায় না, বড় ডাইনিং টেবিলে বসে পাউরুটি, মাখন, ডিম আর ফলের রস (থুড়ি, ব্রেড, বাটার, এগ, ফ্রুট জুস) সহযোগে জলখাবার (থুড়ি ব্রেকফাস্ট) খাচ্ছে, আর তারপরই অফিস যাচ্ছে পেল্লাই গাড়ি করে, অমনটা আমারও খুব শখ। তাহলেই মনে হয় যেন স্পোকেন ইংলিশটা শিখে যাব। আটার রুটি আর আলু-কুমড়োর ছেঁচকি খেয়ে বেরোলে মুখ দিয়ে 'নরঃ নরৌ নরাঃ' ছাড়া আর কিছু বেরোবে কেন? ... ...
জাতীয় শিক্ষানীতি বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা নিয়ে কী বলছে ? বেসরকারী স্কুলগুলোও কি পঞ্চম শ্রেণি অবধি মাতৃভাষা/ আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষাদান করতে বাধ্য হবে নাকি এলিটেরা ফাঁক ফোকর খুঁজে ইংরাজী মাধ্যমেই রয়ে যাবেন ? ত্রিভাষা নীতি কি অ হিন্দীভাষী রাজ্যগুলিতে কার্যত হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া ? এই প্রশ্নগুলো থাকছেই। ... ...
মহাশয়, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ আপনাদের এই গুরুচন্ডালি নামক ওয়েব সাইট যাতাযাত শুরু করেছি। বলাই বাহুল্য, ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে আমার মত লেখকদের যে কি পরিমাণ উপকার হয়েছে সেই বিষয়ে আশা করি আপনাদের মত সম্পাদকরা সম্যক অবহিত আছেন। এমনকি আমার এমনতর সন্দেহও এককালে হয়েছিল যে, ইন্টারনেট শুধুমাত্র আমার মত লেখকদেরই সুবিধা করে দেয় নি, আপনাদের মত সম্পাদকদের দিকেও মুখ তুলে তাকিয়ে ছিল। যাই হোক আমি যখন নানাবিধ লেখার সৃষ্টি যন্ত্রনা নিয়ে ছটফট করছি এবং বিনা পয়সায় প্রসব করার স্থান উপযুক্ত স্থান খুঁ ... ...
স্বাদের কথা যখন বললাম তখন আরেকটু বলি। বড় ঈদ মূলত খাওয়ার ঈদ। কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা জানা নাই আমার। আমার ধারনা এই ঈদের পরে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়। কারণ সবার ঘরে ঘরে গোরুর মাংস। সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত চলছে গোরু খাওয়া। এখন অনেক ধরনের রান্না হয় মাংস। আগে তা হত না। আম্মাকে দেখতাম বড় এক পাতিলে অনেক মাংস একবারে রান্না করত। ওই এক জিনিসই। চলত জ্বাল দেওয়া আর খাওয়া। একদিন পর থেকে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেত। যতই দিন যেত ততই নতুন স্বাদ পাওয়া যেত। দুইদিন তিনদিনের মাংসের যে স্বাদ তা রীতিমত স্বর্গীয় লাগত আমাদের। জ্বালে জ্বালে মাংস আর মাংস থাকত না, সব মিশে অন্য কিছু একটা হয়ে যেত, যার কোন তুলনা নাই। ঈদের পর দিন আমাদের বাড়িতে খাওয়া হত গোরুর মাংস আর পরোটা। কেউ কেউ চালের গুড়ার রুটি খেত, আমাদের এখানেও হত। লা জবাব স্বাদ! এখন নানান ধরনের রান্না হয় মাংস। কাবাব হয়, কোরমা হয়, টিকিয়া হয়, সাদা মাংস রান্না হয়, এবং আরও নানান ধরনের রান্নায় এখন ঈদ জমে যায়। ... ...
জানুয়ারীর শেষের দিকের সেই ঠান্ডাকে পাতলা জামাটা বাগে আনতে পারছিল না, আমি ক্রমশঃ কুঁকড়ে যাচ্ছিলাম। কাঁধের গামছাটা গায়ে ভালো করে জড়িয়ে নিলাম যতটা ঢাকা যায়। ফাঁকা জায়গায় কাঁচা বাঁশের চৌদল্লা ছুঁয়ে বসে আছি অনেকক্ষণ – গঙ্গার হাওয়া থেকে বাঁচার জন্য উঠে এসে একটু আড়াল পানে যাব তার উপায় নেই। কারণ আমাকে নাকি ছুঁয়ে থাকতেই হবে! পদা-কাকার অবশ্য শীত করার কথা নয়, তবুও সাদা কাপড়টা ভালো করে টেনেটুনে দিলাম। চন্দনের গন্ধ আছে, আছে রজনীগন্ধার আর নতুন কাপড়ের। মাথায় গোড়ায় তখনও জ্বেলে রাখা ধূপ গোছার থেকে ধোঁয়া পায়ের গোড়ায় আমার দিকেই ভাসিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার হাওয়া। গাছের পাতা দেখা যায় না অন্ধকারে, ওরা অনেক দূরে – তাই ধোঁয়া দেখেই বুঝতে পারি বাতাসও মাঝে মাঝে আনমনা হয়! এতদূরে বাল্বের আলোও এসে ওঠে নি ঠিকঠাক – প্রায় অন্ধকারই – যেটুকু আবছায়া তাও ওই হ্যারিকেনের আলোয়। পদাকাকুর মুখটা দেখতে পাচ্ছি না পায়ের দিকে বসে, যেন মনে হচ্ছে শুধু সাদা তুলো আভাস পাচ্ছি মুখের আশেপাশে। কতই বা বয়স আমার তখন! মনে হয় সেই প্রথম একাকীত্বের অনুভব – আনমনা ভাবতে থাকি, আসলেই এই ভাবেই সবাই একদিন একা হয়ে যাব – তখনও হয়ত অন্য কেউ চন্দনের গন্ধ পাবে – প্রিয়জন, প্রতিবেশী, অচেনা? উত্তর তো জানা নেই আমার! ... ...
মফঃস্বলের প্রেমের গল্প - এখনকার সময়ে খুবই কাঁচা এবং অদরকারি, স্মার্ট নয়। মগ্নমৈনাকঅনির্বাণ দত্ত চৌধুরী--(১)মৈনাক আজ অনেক দিন পরে স্কুলের পাড়ায় এসেছেন। প্রায় বছর কুড়ি হয়ে গেল।তখন মৈনাকরা ভাড়া থাকতেন। একটা দোতলা হলুদ রঙচটা বাড়ির একতলায়। এই তো সেদিনকার কথা। টেস্ট দিয়ে হই হই করতে করতে বাড়ি গেলেন। টেস্টের পরে টানা তিনমাস ছুটি। বাড়ি বসে পড়তে হবে। তারপর মাধ্যমিক।তি--ন--মা--স।ভাবা যায়? গরমের সময় একমাস ছুটি ছাড়া স্কুল জীবনে এতোটা টানা ছুটি ... ...
Commonwealth War Graves Commission নামে একটা সংস্থা আছে। এরা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ব্রিটিশ যত সৈন্য নিহত হয়েছে তাদের প্রতি সম্মান জানানোর কাজ করে। বিভিন্ন জায়গায় যত কবর আছে যুদ্ধের সব গুলোর যত্ন নেওয়া, ইতিহাস তুলে রাখা এবং তাদের যেন কখনোই মানুষ ভুলে না যায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে এদের কাজ। CWGC একটা ওয়েব সাইট আছে, তাতে তারা বলছে পুরো দুনিয়ায় ২৩ হাজার স্থানে ওয়ার সিমেট্রি আছে আর তাতে শায়িত আছে ১.৭ মিলিয়ন নর নারী সৈনিক। এই সংস্থা ১৯১৭ সালে Imperial War Graves Commission নামে যাত্রা শুরু করে, ১৯৬৫ সালে নাম পরিবর্তন করে Commonwealth War Graves Commission হয়। কিন্তু কাজ একই আছে, এই দীর্ঘ দিন ধরে তারা নিজেদের বীরদের সম্মান দিয়ে আসছে। ... ...
দু হাজার কুড়ির শুরুর থেকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস অতিমারির তাণ্ডব চলছে। এখন অবধি ২০ মিলিয়ন (১৯৮ লক্ষ) লোক আক্রান্ত, ৮ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ মারা গেছে (৪% মৃত্যুহার)। এর মধ্যে খোদ ভারতেই সরকারী হিসেব অনুযায়ী ২১ লাখ লোক আক্রান্ত, সাড়ে ৪৩ হাজার মানুষ মারা গেছেন, ছ'মাস বড়জোর অতিক্রান্ত হয়েছে। ... ...