নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক রকম মিথ, মিসইনফরমেশন চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে সবচেয়ে এক্সাইটিং মিথটা ছিল যে এই ভাইরাসটা আসলে একটা বায়োউইপন বা জৈব-অস্ত্র, যা চীনের ল্যাবরেটরি থেকে বাইরে বের হয়ে গেছে, আর তার ফলে তৈরি হয়েছে এই প্যান্ডেমিক। ... ...
১৯৮৬ সালের নম্ভেম্বর মাস – ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব লীগের নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে টালমাটাল অবস্থায় আছে। চট করে কিছু চেঞ্জ না আনলে আরো নিচের লিগে অবনমন হয়ে যেতে পারে। কি করবে তা হলে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড? বাকি সব ফুটবল ক্লাব যা করে তারাও তাই করল্ম পাল্টাও কোচ। নিয়ে আসা হল আবেরডীন ফুটবল ক্লাব থেকে আলেক্স ফার্গুসেনকে যে সেখানে ছয় বছরে দশটা ট্রফী জিতেছে, তার মধ্যে একটা ইউরোপীয়ান কাপও আছে রিয়েল মাদ্রীদ কে হারিয়ে। বাকিটা ইতিহাস। ... ...
ফেলে আসা মুহুর্তেরা, স্মৃতির সরণী বেয়ে, তুচ্ছ নিতান্ত, আজ আছে, কাল নেই। ... ...
করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি লেখা। ... ...
এখন মাঝে মাঝেই মাকে স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নেও আমি ভুলতে পারি না যে আম্মা আমাদের সাথে নাই। যতবার দেখি ততবার আমি আম্মাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকি, কাঁদতে কাঁদতে ঘুম ভাঙে আমার। জরিয়ে ধরার সুখটুকুই শুধু থাকে তখন। ... ...
হিটলারের সময়ে ইহুদী-দের গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মারতে যে গ্যাস ব্যবহার করা হত সেই ‘জাইকলন বি’ (Zyklon B) নামক বিষাক্ত গ্যাস উদ্ভাবনের পিছনেও হেবারের হাত ছিল। তো দেখা যাচ্ছে একধারে মানুষ-কে নতুন জীবনদান কৃষিকাজ ইত্যাদিতে কৃত্রিম সার ব্যবহারের দিগন্ত খুলে দিয়ে – আর অন্যদিকে বিষাক্ত গ্যাস আবিষ্কার করে মানুষ মারতে সাহায্য করা – হেবারের জীবন এই ভাবেই প্যারাডক্সে ভরে উঠেছিল। তিনি প্রায় ডঃ জেকিল এবং মিঃ হাইড হয়ে উঠেছিলেন একই সাথে। ... ...
এই লেখায় পাবেন - ১। প্রাচীন ডিএনএ এর সাহায্যে মানব প্রজাতির উদ্ভব ও পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে গবেষণার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস; ২। আমাদের ফিনোটাইপগুলো, যাকে আমরা রেশিয়াল ক্যারেক্টারিস্টকস বলি যেমন চুল ও ত্বকের রং সেগুলোর বিবর্তন; ৩। মানুষের সাথে আর্কাইক হিউম্যান স্পিসিজ যেমন নিয়ান্ডারথাল ও দেনিসোভানদের মিশ্রণ ... ...
ইন্টারনেশ্যানাল এনার্জি এজেন্সি প্রতিবছর এক গাব্দা রিপোর্ট বের করে ‘ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক’ নামে। সেইমত কিছুদিন আগে বেরিয়েছে ২০১৯ সালের রিপোর্ট – ৮১০ পাতার সুবিশাল রিপোর্ট। এতে তেল ছাড়াও আছে গ্যাস, কয়লা, বিদ্যুত সহ বাকি আরো কিছু রিন্যুউএবেল জ্বালানীশক্তি নিয়ে আলোচনা। তবে আমাদের এই লেখা তেল সংক্রান্ত বলে, ওই রিপোর্টে তেলের ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে কি দাবী দাওয়া আছে তাই দেখব এখন। ... ...
পরী এসে দাঁড়ায় ছাদের কার্নিশে মাঝে মাঝে । আজকাল প্রায় রাতেই আসছে। দুধেল সাদা পোশাকটা অন্ধকারেও আলো ছড়াতে থাকে । পথভুলে এই শহরতলিতে তাদের বাড়ির ছাদে কেন যে নামে রাত্রিবেলা, যখন সে ছাদে থাকে বুঝতে পারেনা রিন্টু । তবে পরী এলে তার ভালই লাগে। আজকাল একটু একটু গল্পগাছাও হয় তাদের মধ্যে। এই তো গত পরশু এসেছিল। সেদিন দীপক দা মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দোকানে আসার পথে পড়ল ছিনতাইবাজের খপ্পরে। ... ...
সমকামিতাকে কিভাবে ডারউইনীয় বিবর্তনের কাঠামোয় রাখা যায়? মানুষের যৌন আচরণের কোন কোন দিকগুলো মানুষকে আর সমস্ত প্রাণীর থেকে আলাদা বানিয়েছে? ... ...
সে এক অদ্ভুত জিনিস। ছোট। গোল। কমলা। চকচকে। আর তার গায়ে আলো পড়লেই চারদিক কমলা হয়ে যায়। হাওয়ার সংস্পর্শে এলে সে জিনিস সবার গলা থেকে বেরোতে শুরু করে সাপের বাঁশির মতো সুর। কানের পাশ দিয়ে হাওয়া বয়ে গেলে তখন হিসহিসে শব্দ হয়। ক এইবার জিনিসটা হাতে নিয়ে দেখতে পারলো। ... ...
এক ছিল মেয়ে। সে হবে এই এক বিঘৎখানেক লম্বা। বিঘৎ শুনে ভির্মি খেওনা বাপু, বিঘৎ হল গিয়ে এই তোমার হাতের চেটো আর আঙুলগুলো মিলিয়ে যতখানি, সেই ততখানি। ওই দ্যাখো আবার ভুরু কোঁচকায়। তোমরা বুড়ো আংলার গল্প জানো? দেড় আঙ্গুলেকে চেনো? থাম্বেলিনার গপ্পো পড়েছো? আমাদের এই মেয়েও ওইরকমই। এই বিঘৎখানেক লম্বা। মেয়ের নাম হল গিয়ে লীলাবতী। লীলাবতী খুব দয়ালু আর ভারি ... ...
অমিলপয়ার ছন্দে ফাল্গুনের এক বসন্তসন্ধ্যা নেমে আসছিলো আমাদের গ্রামে। বেঙ্গল ক্লাবে সারা রাতের অনুষ্ঠান। বুধাদিত্য বাজাবেন সেদিন। তিনি তখন যুবক এবং অদ্ভুত চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী নবীন প্রতিভা। সন্ধে আটটা নাগাদ অনুষ্ঠানের শুরু। সামনের দিকে সাকচি হাইওয়ের তেলেভাজার দোকানের পাশে বাইকটি লাগিয়ে আমি আর সুগত হলের দিকে এগোচ্ছি। অন্ধকার থেকে গেটের হ্যালোজেন আলোয় আসতেই দেখি সামনে পর্ণা আর একটি মেয়ে। প্রথম গেটে কার্ড দেখাচ্ছে। ঠিক পিছনেই আমরা। ময়ূরপঙ্খি রঙের সিল্ক থেকে মৃদু খসখস শব্দ আর অচেনা কোনও সুরভির অস্পষ্ট ইশারা। চুপ করে দাঁড়িয়েই ছিলুম। মুখ ফেরাতে দেখতে পেলো। ... ...
দাঙ্গাশ্রান্ত ভারতে বসন্ত এসে গেছে। চাঁদের নিজের কোন আলো নাই বলিয়া তাহার হসন্ত উড়ে গেছে। চারিদিক কড়া ও কনফিউজড রোদ্দুর। জবানিতে। জবানি ছাড়িয়ে শরীরে। উদ্ভিন্ন যৌবনা মেয়েদের পিঠে। এভাবে শুরু হতেই পারত। কিন্তু প্রভূত ফেসবুকীয় আভালানসের পর কিন্তু শুরুতেই প্রশ্ন এসে যাচ্ছে। এলিট নয়, মজুর নয় এমন কে বা কারা সমাজকে মাঝের আঙুল দেখাতে চেয়েছে। গেল গেল, ধর ধর তো হবেই। হোকনা তারা রেবেল উইদাউট আ কজ। না বুঝে করেছে। কাউন্টার কালচার জানেনা। আ্যন্ডি ওয়রহোল দেখে উজ্জিবীত হয়নি কখনও। ফেমিনিজম মেনে পরিকল্পনা করেনি। হয়ত, ডেঁপো। ঈষৎ পেছনপাকা। নেহাত-ই ফক্কর। কথা হচ্ছে, আপনি যাই বলুন ঘটনা কিন্তু ঘটে গেছে। এখন যতই তর্জনী তুলুন, মাঝের আঙুলটা তারা এই বঙ-সমাজকে সপাট দেখিয়ে দিয়েছে। ... ...
মর্মে সার-জল পড়েনি বহুদিনই... ... ...
আজকাল আর মন খারাপের খবর দেখতে-শুনতে-পড়তে ভালো লাগে না। বয়স বাড়ছে, বড্ড মানসিক অস্থিরতা জন্মায়। হয়তো বা পলায়ন প্রবৃত্তি, ঠিক জানিনা। বড় ভালো লাগে আশার, ভালোবাসার কথা পড়তে, শুনতে, দেখতেও। আসলে আমি স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসি। আশা করি সব্বাই মিলে মিশে হাতে হাত ধরে খুব ভালো থাকবে। তাই আজকাল হতাশার কথা শুনলেই এড়িয়ে চলি। কিছু সুদিনের গল্প শোনাতেও ভালো লাগে তাই। ... ...
প্রতিভা সরকার পাঠ সহজ কথা নয়, ইজি চেয়ারে এলিয়ে চায়ের কাপে অলস বিকালে হালকা-পাতলা গড়নের বইটির ১৩টি গল্প একদমে পড়ে ফেলা আদৌ সম্ভব নয়। গল্প, চরিত্র ও কথনে একেকটি কাহিনী পাঠককে থমকে দেয়, চেনা জগত থেকে টেনে হিঁচড়ে নামায় নির্মম বাস্তবতায়, কোনো কোনো গল্পের পাঞ্চ লাইন, এমনকি পুরো গল্পও পাঠককে গভীর ভাবনায় ফেলে, মুখস্ত নীতি-নৈতিকতায় অস্ত্রপচার, কখনো রাহাজানিও করে। প্রতিটি গল্পের ধরণ, বিষয়বস্তু, প্রেক্ষাপট, ইতিহাস-ভূগোল আলাদা। আর নিছকই এসব শুধু সাধারণ মেয়েদের গল্প নয়, যদিও তারাই প্রধান উপজীব্য, কিন্তু এগুলো মূলত প্রান্ত নারী, সমাজের ঊনমানুষ যারা, তাদের নিষ্পেষণ ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প; আবার একই সঙ্গে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম, দলিত, আদিবাসী বা ছিন্নমূল মানুষের নিত্যদিনের জীবন- ইনক্রেডেবল ইন্ডিয়ার গল্প। ... ...
সমকামিতাকে কিভাবে ডারউইনীয় বিবর্তনের কাঠামোয় রাখা যায়? সমকামিতা কি বিশুদ্ধ প্রেমেরই একটা রূপ যেখানে সন্তানধারণের তাগিদের থেকে বৃহত্তর কোনো উদ্দেশ্য কাজ করে? ... ...
আমি এখনো কেঁপে কেঁপে উঠছি সেইদিনের স্মৃতি মনে করে। আর তোমাদের মুখ দেখে অবাক হচ্ছি! কি চমৎকার মুখোশ পরে থাকো তোমরা সবাই ... ...
প্রথমটি বেশ রমরমিয়ে হানা দিয়েছে আমার দেশে। প্রথম দুদিনেই দুজন করে মৃত। এদেরই ধরা পড়েছিল, ফলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফেটাল। মারা যাবার আগে আরো কতোজন যে সংক্রামিত হয়েছে কে জানে ! ঘিঞ্জি শহর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সচেতনতা ও পরিকাঠামোর অভাবে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে বিপুল সংখ্যায় এই মহামারীর শিকার হব আমরা। দ্বিতীয়টি, মানে দাঙ্গা এই উপমহাদেশেরই অন্যতম বৈশিষ্ট্য , একেবারে হাতে গরম হালে দেখিয়ে দিয়েছে আমার দেশবাসী। মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন ছাড়িয়েছে, তবু এখনো দিল্লির নালানর্দমা থেকে এমন গলিত শব উদ্ধার হচ্ছে যে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া তাদের পরিচয় বোঝা যাবে না, হিন্দু মুসলমান তো পরের কথা। ... ...