করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট RT-PCR টেস্টের সম্পূরক। করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার সরাসরি পদ্ধতি হল Reverse Transcription Polymerase Chain Reaction (RT-PCR) । এই পরীক্ষাটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের কয়েকটি অংশকে চিহ্নিত করে সেটির উপস্থিতি নির্দিষ্ট করে। পদ্ধতিটি সহজ নয় এবং সেটিকে ব্যাপকহারে ব্যবহার করতে হলে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সেই তুলনায় অ্যান্টিবডি টেস্টটি সহজ। তবে অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট তৈরি করতে হলেও উন্নত গবেষণাগারের প্রয়োজন। অন্যদিকে অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলাফল সরাসরি সংক্রমণের ব্যাপারে উত্তর নাও দিতে পারে, বরং সংক্রমণ-উত্তর জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে পারে। ... ...
এক লোক হাটে যাচ্ছিল। রাস্তায় ছেলের শ্বশুর বাড়ি পড়ায় সেখানে একটু ঢুকছে। খালি মুখে আলাপ চলল কিছুক্ষণ। পরে বেয়াই যখন উঠতে যাচ্ছে বেয়াইন তখন বলছে যদি পান থাকতো, নাহয় সুপাড়িটা অন্য কারো থেইকা আইনা দিতাম। কিন্তু চুন-ই তো নাই! সব দোষ হচ্ছে চুনের! আসলে কিন্তু কিছুই নাই। করোনা মোকাবেলা বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেকটাই এমন। কোন পরিকল্পনা খুঁজে পাওয়া যায়নি, নিরাপত্তা সরঞ্জামের তীব্র অভাব, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। কিন্তু দোষ সব গিয়ে পরছে চুনের ওপরে মানে ডাক্তারদের ঘাড়ে! আসলে আমাদের পান সুপারি ও চুন কোনটাই নাই! ... ...
'সামাজিক দূরত্ব' যদি চা বাগানে কোথাও থেকে থাকে, তাহলে সেটা আছে এখানেই। সঙ্কটগ্রস্ত শ্রমিক আর সুরক্ষিত মালিকের দূরত্ব। ক্ষুধার বাধ্যতা আর লাভের বিলাসিতার দূরত্ব। ১৭৬ টাকার খাদ আর অকশনের পাহাড়চূড়ার দূরত্ব। বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা আর মহার্ঘ স্বাস্থ্য পরিষেবার দূরত্ব। করোনার বিপদ নিয়ে অজ্ঞানতা আর সুরক্ষিতভাবে লাভের গুড় খাওয়ার জ্ঞানের দূরত্ব। ... ...
নূতন বছরের শুভেচ্ছা - দুর্দিন কেটে যাবে, একদিন। ... ...
সেই ১৮৩২ সাল নাগাদ ফ্যারাডে যখন ইলেক্ট্রোমেকেষ্ট্রির জনক হতে যাচ্ছেন তখন তিনি লণ্ডন রয়েল ইনষ্টীটিউটশনে – নিজের প্রথাগত শিক্ষা না থাকায় আত্মবিশ্বাস কিছু কম। তাই তিনি চিঠি লিখছেন হুইওয়েল-কে এই জানতে যে অথোরিটি এই ব্যাপারে কি মনে করে। ফ্যারাডে পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিকের জন্য ঠিক কি নাম ব্যবহার করা ঠিক হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাইছেন। এই সব চিঠি বাইরে রাখা থাকে না পাবলিক প্রদর্শনীর জন্য। আমাদের প্রোফেসর ট্রিনিটি কলেজের লাইব্রেরীয়ানকে বলে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। লাইব্রেরীয়ান ভল্ট থেকে আসল চিঠি পত্র নিয়ে সে দেখালেন – সে অনেক চিঠি, সুন্দর করে রাখা আছে। বাঁধানো বইয়ের মত করে পাতায় পাতায় চিঠি গুলো আটকানো আছে। প্রথম দিকে ফ্যারাডের চিঠি এবং শেষের দিকে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে হুইওয়েল এর উত্তর। এই চিঠি সব ব্যাখা করছিলেন লাইব্রেরীয়ান, কারণ সেই হাতের লেখা পড়া খুব দুঃষ্কর। এই ভাবেই দেখা গেল ১৮৩৪ সাল নাগাদ প্রথম প্রস্তাব করলেন হুইওয়েল ‘ক্যাথোড’ এবং ‘অ্যানোড’ শব্দের ব্যবহার। আরো বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটালাম – ... ...
ভয়ংকরী কালী সঙ্গে সারা শরীরে শাদা রঙ মাখা জটাধারী শিব সঙ্গে কিছু অনুচর। ড্যা ড্যাং ড্যাং ঢাকের বাদ্যি। একটু রাত করে শিব কালীর তুমুল নাচন। একটু ভয় করে, মজা ও হয়। সিধা দেওয়া হয়, চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু আর পয়সা। ঠাম্মা কটা বাতাসা দেন। খুশিতে শিবঠাকুর কালীঠাকুর দুজনেই আটখানা। আরো নাচতে চায়। কেউ প্রশ্রয় দেয়না বেশি। ঢাকি নাচ বেশি ক্ষণ ধরে হলে নাকি বাড়িতে চুরি হয়, শিবের ভূতরা অন্ধিসন্ধি দেখে যায় পরে শিবঠাকুরের সঙ্গীরা সিঁদ কাটে। চোর কি আর সাধারণ চোর? রাত জেগে পড়ছে কোনো পরীক্ষার্থী, লাগাবে ধমক। ওদের কাজের অসুবিধা হচ্ছে যে। ... ...
ফুলকে নিয়ে মানুষ বড় বেশী মিথ্যা বলায় বলেই" এখন আমার পছন্দ "আগুনের ফুলকি"। আমি প্রতিটি শব্দের হাতে ধরাতে চাই প্রতিবাদের মশাল, প্রতিটি লাইনে ছড়াতে চাই বিদ্রোহের আগুন। হয়তবা সেই শপথ রক্তে ধ্বনিত হয়,আমরা কাউকে যেন কথা দিয়েছিলাম "এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য" করে যাওয়ার বলেই... হয়তবা.... ... ...
লোকসভা,পুলওয়ামা,সবজায়গাতেই এই জনতা- জনার্দন লড়েছি,লড়ছি,প্রাণ দিয়েছি,দিচ্ছি। আমাদের কারও মায়ের বুক ফাঁকা হয়,কারও স্বামী, কারও ভাই হারিয়ে যায় চিরদিনের মত। আমাদের মালিকদের কিছু ক্ষতি হয়েছে! হয়নি, হয়না।ওরা আসরের পেছন কোটি-কোটি টাকার খেলা খেলে।ওদের লাভ হয় কারও ছেলে BCCI এর সচিব হয়,কারও ভাইপো কোটিকোটি টাকার মালিক হয়,কারও ছেলে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে, কেউ ভারতের সেরা ধনী হয়,মন্দির -মসজিদ গুলোতে হাজার-হাজার কোটি টাকা আয় বাড়ে,কেউ আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালায়। ওরা শুধু অপেক্ষায় থাকে আমাদের লড়াইয়ের। ... ...
ছাপা হবার পর প্রেস থেকে প্রথম অনাঘ্রাত লটটা আমি নিজে তুলে এনেছিলাম – সঙ্গে Maria Koel আর লেখিকা ইন্দ্রানীদি নিজে – সে স্মৃতি এখনো অমলিন। কভারটাও প্রথম ছাপা হবার পর আমিই দেখেছিলাম মনে হয়। কালো কভারের ওপর সাদা দিয়ে ছবির কোলাজ – যেন মনে হয় কাগজ কেটে বসানো। পরে অবশ্য জেনেছিলাম তৃণাদি (তৃণা লাহিড়ি) আসলেই কাগজ কেটে ছবিটা বানিয়েছিলেন। তৃণাদি নেই, কভারটা রয়ে গেছে, থেকে যাবে। ... ...
কিছু শোনা, কিছু কল্পনা ... ...
ভারতবর্ষের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা সেই বিপুল সংখ্যক জনতা যদি আদিম হুঙ্কারে গর্জন করে যে - ভাত চাই ! তবেই লক ডাউন মানব ! না হলে আমরা এমনিও মরি অমনিও মরি, করোনায় আমাদের কি যায় আসে হে? ... ...
লকডাউন উঠে গেলেই কি করোনা ফিনিশ? স্পষ্ট করে প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, না। এই ধুন্ধুমার লকডাউন উঠে গেলে পৃথিবী আদপেই পৃথিবী করোনামুক্ত হবেনা। একবার যখন এসে পড়েছে, ভাইরাসটি আছে এবং থাকবে। নির্মূল হবেনা। সে চেষ্টাও পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো স্বাস্থ্যসংস্থা বা সরকার করছেনা। অতএব, যদি নেহাৎই প্রশান্ত মহাসাগরের কোনো দ্বীপে গিয়ে একাকী বসবাস না করতে পারেন, আজ হোক বা ছমাস পরে, এর সংস্পর্শে আপনি আসবেনই, যদি না ইতিমধ্যেই এসে গিয়ে থাকেন। তার মধ্যে কোনো টিকা বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম। (যখন বেরোবে তার পরেও, ফ্লুয়ের মতোই ভাইরাসের নতুন কোনো গোষ্ঠী সম্ভবত উদয় হবে, টিকা যার কোনো প্রতিষেধক নয়।) ফলে ভাইরাস নাকের ডগায় এলে আপনার ভরসা আপনার প্রতিরোধক্ষমতা। কোনো লকডাউন, কোনোভাবেই আপনাকে তার থেকে বাঁচাবেনা। ... ...
কিঞ্চিৎ চিন্তাগ্রস্তই ছিলেন শিবু, ওরফে শিবানন্দ। যামিনী গতপ্রায়, পূর্ব দিগন্ত হইতে চন্দ্রকলাখানি পাড়িয়া, ঝাড়িয়া ঝুড়িয়া নিজের জটায় লাগাইয়া দিলেন। যাক, অদ্যকার মতো কাজ শেষ। এবং সেখানেই প্রকৃত ভাবনার আরম্ভ। সামনে এক্কেবারে আস্ত একটি দিন পড়িয়া আছে, অথচ করিবার কিছু নাই। সে এক কাল ছিল বটে। ছিলিমে সুখটান দিতে দিতে আর আকুল ভক্তগণের প্রার্থনা শুনিতে শুনিতে সময় যে কোথা হইতে মাখনের ন্যায় গলিয়া যাইত। ... ...
অনেক কিছু স্মৃতি উঠে আসছে – ২০০০ সাল অবধি তেমন ভাবে ‘কবিতা’ নিয়ে চর্চা বা ভাবনা হয়ে ওঠে নি। ওই গোঁফ ওঠার বয়সে যা ছড়া/কবিতা লেখে সবাই তেমন কিছু ছাড়া। আর সব প্রচলিত বিখ্যাত কবির কবিতা পড়া – সেই সময় ছিল সমকালীন জয় গোস্বামী টাইপের ইত্যাদি। এমন এক সময়ে পরিচয় হয়ে যায় এক অদ্ভুত ওয়েবসাইটের সাথে – মনে রাখতে হবে তখনো ইন্টারনেট এমন প্রচলিত হয়ে ওঠে নি, ব্রড ব্যান্ড ইত্যাদি তো দূরের কথা – অর্কূট, ফেসবুক, ইউটিউব কিছুই নেই। এমন ভাবে নিরলস কবিতার সাধনা করে যাওয়ার সাইট বিরল। দুই বাংলার অনেক এখনকার চেনা এবং জনপ্রিয় কবি এই সাইটে হাত পাকিয়েছিলেন এখানে। ভাবছি তেমন কারো কারো দের দিয়েই কিছু লেখা যাক টুকটাক। ... ...
আচ্ছা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সভ্যতার এ' রকম বিপর্যয় কি ইতিহাসে আগে হয়েছে? না বলেই মনে হল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চোটে জীবনযাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ঠিক কথা। বুদ্ধদেব বসুর মেমোয়ারে পড়েছি, ট্রাম বাদে কোনও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেত না তখন, সন্ধে নামলে এক কাঠি ওপরে বিদ্যুৎ অফ– মাঝেমধ্যে জনশূন্য রাসবিহারীর মোড়ে ট্রামের ইতস্তত ধাতব মর্মর, আর পূর্ণিমার চাঁদ গলে গলে ট্রামলাইনে পড়ছে। ... ...