একটা ছেলে বাসা খুঁজতে গিয়ে অন্য বাসায় ঢুকল বাড়িওয়ালা বলল, - দেখ বাছা, ঘর আছে তবে দরজা নাই, তার ওপর ওপরেতে ছাদ, জলও পড়তে পারে টুপটাপ্ বাকি ভাড়া বলতে অ্যাডভান্স – ঝক্কি তো নেওয়া যায়না, কে কখন ফুরুত হয়ে যায়. ... ...
একটা অদ্ভুত মাথা ধরা নিয়ে ঘুম ভাঙ্গল গোপাল বাবুর। মাঝে মাঝে এমনটা হয়। আগে কম হত। আজকাল একটু বেশিই যেন হচ্ছে। ভাবেন এর পর শহরে ছেলের কাছে গেলে একটা ভাল ডাক্তার দেখাতে হবে। এখানে, মানে এই মফস্বল শহর শালদুয়ারির পাঁচ কিলোমিটার দূরের গ্রামে তার উপায় নেই। তবে দিন বাড়লে এটা নিজেই কমে যাবে জানেন উনি। তাছাড়া শরীরকে বেশী পাত্তাও দিতে চান না। গোপালবাবুর বাবা বলতেন “শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়”, তাই উনি আজ অবধি সেটাই মেনে চলেন। ... ...
এই লৌহস্তম্ভ রয়েছে দিল্লীর কুতুব কমপ্লেক্সে। বর্তমানে বললাম এই জন্যই যে, এই স্তম্ভ দিল্লীতে চিরকাল ছিল না। মালটা প্রথমে কোথায় ছিল সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে - তবে মোটামুটি সব বিজ্ঞরা আজকাল এই সিদ্ধান্তে এসে পোঁছেছেন যে, এই স্তম্ভ প্রথমে খাড়া করা হয়েছিল বর্তমান উদয়গিরি-তে, ওই ৪০০-৪৫০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ। তারপর সেখান থেকে দিল্লীতে আসে। যদি ধরে নেওয়া হয় যে এই স্তম্ভ সত্যিই ১৬০০ বছরের পুরানো, তাহলে বছরের হিসাবে দেখতে গেলে দিল্লীতে এর ঠাঁই শেষ আটশো বছরের মত। কিন্তু লৌহস্তম্ভটি ক্ষয়ে যাচ্ছে না কেন? যেখানে আমাদের বারান্দার গ্রীল বছর চারেক রঙ করে মেনটেন না করলে ক্ষয়ে গিয়ে দফারফা, সেখানে আজ প্রায় ১৬০০ বছর ধরে এই লৌহ স্তম্ভ কি ভাবে না ক্ষয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে! এর পিছনের রহস্য কি? কোন বিশেষ ধরণের লোহার ব্যাবহার, নাকি বানানোর বিশেষত্ব, নাকি মৃদু আবহাওয়ার প্রকোপ? ... ...
চোতমারানির পোলারা চুদতেও পারে না। আক্রোশটা খিস্তিখেউড়ে পরিণত হয়ে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ছিল। ঘটনাটার ফলাফল তখন সবেমাত্র সে টের পায়। তলপেট থেকে যখন টক জলের ঘূর্ণি গা কাঁপিয়ে বাইরে এসে পড়ে। কলতলায় যাবার সু্যোগ দেয় না। দরজার বাইরে বসে সে হাঁপায় আর শরীরের সমস্ত শক্তি একাট্টা করে গালি দেয়। ... ...
শেষ বিকেলের আলোয় ডলি রাখাইনের ফর্সা কচিপানা মুখে লালচে আভা। কণ্ঠস্বর বাস্পরূদ্ধ, যেন অস্পষ্ট থেকে অস্পষ্ট হতে থাকে, আচ্ছা, বিপ্লব দা, আপনার তো ঢাকায় অনেক টাকার চাকরি! এ রকম একটা বাড়ি সস্তায় কিনতে পারেন? মানবিক লোকজন এসবের দখল নিলে রাখাইন মালিকটি দেশান্তরে গিয়েও অন্তত নিশ্চিন্ত যে, যাক, পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির নিশানাটুকু তো টিকে থাকবে, সেটুকু তো আর একেবারে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে না! … ... ...
যেদিন সুনীল জলধি হইতে হিমালয় পর্বত মাথা চাড়া দিয়েছিল, সেদিন তার সাথে জন্ম তিব্বত মালভূমিরও। এই বিস্তৃত মালভূমির চারিদিকে বিশাল বিশাল পর্বতমালা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। শনশন করে হাড় কাঁপানো হাওয়া বয়। কেমন করে ওখানে জীবন ধারণ করে মানুষেরা? কেমন করে শুরু হয়েছিল সভ্যতার? ... ...
'লকডাউন' জনিত দূষণ মুক্ত পরিবেশ এবং শ্রেণী চরিত্র যুক্ত দূষণওলা সমাজে আবার দেখা যাচ্ছে কমিউনিজিমের ভুত... ... ...
নিউ ইয়র্ক নিবাসী ডঃ পার্থ ব্যানার্জী বিগত দু'সপ্তাহ ধরে লিখে চলেছেন নিউ ইয়র্কে ঘটে চলা ভয়াবহ করোনা সংকটকে তিনি কীভাবে দেখছেন - সেই অভিজ্ঞতা। সঙ্গে রয়েছে এই বিপর্যয়ের কার্যকারণ প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণ। তাঁর অনুমতি নিয়ে লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। রইল প্রথম চারটি পর্ব। ... ...
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৮% এই কোমর্বিড ব্যক্তিসমূহ। মৃত্যুকালে তাঁদের প্রতিরোধক্ষমতা কম হওয়ায় তাঁরা সহজে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন হয় তো, কিন্তু বীজাণুর বাহুল্য ব্যতিরকে এই সংক্রমণ সম্ভব হত না। সরকারি হাসপাতালগুলি অপরিচ্ছন্নতার জন্য ইতিহাসখ্যাত, এই রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবসার আড়তগুলিও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে খুব এগিয়ে নেই, তা এদের শৌচাগারে গেলেই টের পাওয়া যায়। আমরা বাড়িতে রোগির কাছে যেতে যতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানি তার অর্ধেকও সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মানা হয় কী না সন্দেহ। ... ...
পাঠ প্রতিক্রিয়া ... ...
তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...
তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...
".... সামান্য তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যাবে যে দেশের মানুষরা যে কর্মসূচিগুলি পালন করলেন; পরোক্ষে তা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পালনীয় ধর্মীয় উৎসবের কিঞ্চিৎ রূপান্তর মাত্র। সর্বোপরি রামনবমীর ঠিক পরেই রাত "নটায়", "নয় মিনিট" আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালানোর প্রসঙ্গ এলে দুর্জনে তো একটু নিন্দেমন্দ করবেই।...." ... ...
'রোমাঞ্চ কি রয়ে গেছে; গ্রামে অন্ধকারে ঘুম ভেঙে দেহের উপর দিয়ে শীতল সাপের চলা বুঝে যে-রোমাঞ্চ নেমে এলো, রুদ্ধশ্বাসস্বেদে ভিজে-ভিজে। সর্পিনী, বোঝনি তুমি, দেহ কিনা, কার দেহ, প্রাণ। সহসা উদিত হয় সাগরহংসীর শুভ্র গান। স্বর-সুর এক হয়ে কাঁপে বায়ু, যেন তুষত শীতে, কেঁদে ওঠে, জ্যোৎস্নার কোমল উত্তাপ পেতে চায়। রোমাঞ্চ তো রয়ে গেছে শীতল সাপের স্পর্শে মিশে।' (বিনয়) ... ...
দীপেন ভট্টাচার্য’র লেখা নিয়ে সম্প্রতি গুরু’তে আলোচনা, চালাচালি পড়লাম। তার “মাউন্ট শাস্তা” গল্পটি আমি রিভিউ করেছিলাম, ২০১৬ নাগাদ। বিজ্ঞানী/লেখক দীপেন ভট্টাচার্য কে পড়া হয়েছে অবিশ্বাস্য কম। এটা দুর্ভাগ্য। আর সৌভাগ্য হচ্ছে, এতে দীপেন ভট্টাচার্য দ্বিগুণ স্থিতিশীলতায় নতুন নতুন ফর্মের সন্ধান করার অবকাশ পেয়েছেন, কোন বিপুল, চটুল জনপ্রিয়তার দায়ে একমুখী সফল সন্ধান নিয়ে ব্যস্ত থাকেননি। ... ...
"যদি বেঁচে যাও এবারের মতো যদি কেটে যায় মৃত্যু ভয়, জেনো বিজ্ঞান একা লড়েছিল মন্দির মসজিদ নয়" কথা গুলো নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। অনেকে একে ব্লাসফেমি মনে করছে, উদ্ধত্য মনে করছে এই উক্তিতকে। আসলেই কী তেমন মনে করার সুযোগ আছে? আমার মনে হয় না। তবে কথাটা আমার কাছে সম্পূর্ণ মনে হয়নি। বিজ্ঞান একা লড়েছে ঠিক আছে, তবে মসজিদ মন্দির একাই যে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে তা না, লড়াই শব্দটার সাথে যা যা জড়িত সেই সবও তাকিয়ে দেখছে শুধু। কোটি কোটি ডলারের মারণাস্ত্র, নিমিষে দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার মত পারমানবিক বোমা, যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ, কামান, গোলা- বারুদ এই সমস্ত কিছুও অকেজো হয়ে পরে রইছে। ... ...
নিজের চারদেওয়ালের স্বপ্ন দেখা এক মানুষের বড় হয়ে ওঠার টুকরো টাকরা। ... ...