নিউ জিলান্ড নিয়ে কয়েকটি এলোমেলো কথা - মাউই এর মায়ের নাম "তরঙ্গা", আমার কাছে বেশ লাগে ভাবতে যে সমুদ্রের ঢেউ (আমাদের তরঙ্গ?) নাকি মাউই কে বড় করেছে। ... ...
গপ্পো - ক্রমে ক্রমে ঘ্যাঁঘাবাবু আড়াই বছরের হইল। ডারউইনের থিয়োরি অনুসরণ করিয়া কথাও বলিতে শিখল। তাহা শুনিয়া বাড়ির লোকেরা ধন্য মানিল। এমন নহে যে, এতাবৎকাল সে কথা বলিত না। তবে তৎকালে সে ঘ্যাঁঘাভাষায় কথা বলিত। সে কথা কেবল ঘ্যাঁঘা ঘেঁঘীরাই বুঝিতে পারিত। ... ...
প্রকাশ্যে আসা মানা। ইটের তলায় চাপা পড়া এই হলুদ ঘাসেদের নিয়ে শুরু #আমি সিরিজ। এরা কেউ কেউ রূপঙ্করের গান শোনে। নচিকেতা প্রিয়। 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ' আবৃত্তি করে পাওয়া স্কুলের প্রাইজটা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। এক বুক অভিমান নিয়ে মাথায় কাপড় টেনে ঝড়-জলে পড়ে মায়ার সংসারে পড়ে। ঘরের বৌ হয়ে লেখাপড়া-জীবন-জীবিকা কিছুই বোঝা হল না। কেউ আবার পথে নেমে পেল হাজার বঞ্চনা। শেষমেশ ঘর- স্বামী - শাশুড়িও নিজের হল না। শীত-হেমন্ত-যুদ্ধ-শান্তির বাইরে এদের এক ইচ্ছার শরীর আছে। সেন্সেটিভ মন আছে। এক হার মানিয়ে দেওয়া অনুভূতি আছে। শুধু নিজেদের বেঁচে থাকাটাই হল না এই জন্মে। এদের গল্পগুলো বলা হল না। ... ...
ফেলুদা ধপ্ করে একটা শব্দে বইটা বন্ধ করে, নীচু টেবিলটার উপরে রাখা ডান পায়ের উপরে বাঁ পাটা লম্বা করে তুলে, তুড়ি মেরে সিগারেটের ছাইটা ছাইদানিতে ফেলে বললো, "শার্লক হোমস।" ফেলুদা এতক্ষণে ধরে দুটো বই প্রায় একসাথে পড়েছিল। দুমাস আগে বিহারের শিমূলতলায় একটা খুনের ব্যাপারে অপরাধীকে জুতোর সাইজের গোলমালের সাহায্যে ধরে দিয়ে, বেশ মোটা রোজগার করে বসে আছে। ... ...
ইউকিও মিশিমা একজন বিপজ্জনক লেখক আর একারণেই তিনি জাপানের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের একজন। ব্যক্তিগতভাবে কাওয়াবাতা, তানিজাকি, দাজাইয়ের কিছু কিছু লেখা, যা আমি পড়েছি, পড়ে ভালো লাগলেও শেষপর্যন্ত ফিরে গেছি মিশিমার কাছেই। ... ...
অনেকদিন বাদে আজ ছাতে উঠেছে ও। ছাতে এত সুন্দর বাগান করেছে মা! দেখে অবাক হয়ে গেছিল। আইআইটি জয়েন করেছে পরের থেকে খুব কম বাড়িতে আসে। এলেও ছাতে ওঠা হয়না। ওর গৃহবন্দিত্ব না। ঘরবন্দিত্ব চলছে। স্বেচ্ছানির্বাসন। সারা পৃথিবী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিতে হয় মাঝে মাঝে। একেবারে একটা দ্বীপের মধ্যে। খুব বেশিই ছুটছিল যেন! একটার পর একটা সেমেস্টার।টপ করে যাওয়া। না করতে পারলেই ফ্রাস্ট্রেশন। বাড়িতে এখন আর কিছু বলে না। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ও একটা অদৃশ্য চাপ অনুভব করে। দাদা ফার্স্ট হয়েছে।তোমাকেও হতে হবে। দাদা এটা পারে। তোমাকেও পারতে হবে। ... ...
করোনা পরীক্ষা কি সত্যি কম হচ্ছে ভারতে? আর তাই করোনা রোগী যত বেশী হওয়ার কথা তা হচ্ছে না? আসুন দেখা যাক পরিসংখ্যান কি বলছে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি ... ...
ওপরের তাক থেকে তিন চারটে বই টেনে নামাতেই একটা খাম মেঝের ওপর পড়ে গেল। টুলের ওপর থেকে রঞ্জন সাহা তাকিয়ে দেখলেন একটা বড়সড় ব্রাউন রঙের খাম। কিসের খাম বুঝতে পারলেন না। এই তাকটা খুব একটা ব্যবহার হয় না। মাসখানেক ধরে গৃহিনী তাগাদা দিচ্ছেন বই-এর আলমারির ওপরের তাকটা পরিষ্কার করার জন্য। আজ টুলে উঠে সবে কাজটা শুরু করেছেন, তার পরেই এই ঘটনা। ... ...
ত্বরিতগতিতে ছুটে যাচ্ছিল সারমেয়কুল। এদের একটা স্বভাব আছে। খাদ্যের সামান্য আভাস এবং আদরের সামান্যতম আভাস পেলেও এরা লেজ নাড়াতে নাড়াতে দৌড়ে আসে।যেন বহুদিনের পরিচয়। একেক জনের একেক রকম স্বভাব ।কেউ এসেই হামলে পড়ে খায়।কেউ কেউ এসে সলজ্জভাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে।পেটে খিদে।অথচ আসে না।দূরে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়াতে থাকে। ... ...
স্কুলের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেই আজকাল মেয়েদের এগিয়ে থাকার খবর উঠে আসে সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়, girls outperform boys. পাশের হার থেকে প্রথম স্থান, সবেতেই মেয়েদের জয়জয়কার। পরিসংখ্যান একটু খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করলে ছবিটা কেমন অন্যরকম হয়ে যায়, আগুপিছুর হিসেব বদলাতে থাকে। সেই ধূসর পর্দায় ফুটে ওঠে কিছু missing women-এর মুখ। ... ...
কবি বীতশোক ভট্টাচার্যের প্রয়াণ-দিবস আজ। কিছু স্মৃতি ও কিছু কবিতা নিয়ে এই লেখা। ... ...
প্রকৃতির রোষের কাছে মানুষ অসহায় | বিশেষ করে গরীব মানুষের গল্প সারাবিশ্বে একই থাকে, বদলায় না | তাই যখন দক্ষিণবঙ্গে আমফান আছড়ে পড়ে, স্যান্ডি এসে আমেরিকার উত্তরপূর্ব তটরেখা বদলে দেয়, কোথায় যেন নিউইয়র্কের ফর্টি সিক্সথ স্ট্রিট আর টালিগঞ্জের কবি নবীন রোড মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এক গৃহহীনের হুইলচেয়ারে | ... ...
-ওই বেজান বেড়াটার জন্য কত চোখের পানি, কত ঘৃণা, কত যন্ত্রণা, কত যুদ্ধ। যার জান নাই তার লাগি কত জান যায়, আমি রাতের আন্ধারে বেড়াটারে খুইলা লই। যেহানে বেড়া নাই সেহানে দেশভাগ নাই। সব এক, কে কইবে কোনটা দেশ আর কোনটা বিদেশ? ... ...
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের নানান প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে দেশী, বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে। সম্প্রতি বিবিসি একটি তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন বের করেছে, যেখানে প্রতিবেদকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আমেরিকা, ব্রাজিল এর পরে করোনার পরবর্তী হটস্পট হয়ত ভারত। আমরা বিভিন্ন তথ্যের আলোতে এই প্রশ্নটারই উত্তর খুঁজব, একই পরিসংখ্যানে আলো ফেলব বিভিন্ন কোন থেকে। আগেই বলে রাখি, এই লেখা পড়ে আপনি যদি ভারতে পরিস্থিতি খুব ভালো বা খুব খারাপ, এই জাতীয় সিদ্ধান্তে আসার আশা রাখেন, তাহলে হতাশ হবেন। আমি শুধুমাত্র ভাবার চেষ্টা করছি, আপনাদেরও ভাবানোর চেষ্টা করছি। আজ প্রথম কিস্তি। ... ...
গাছ যা মাটির কাছ থেকে নেয় ফেরৎ দেয় তার চেয়েও বেশি - অক্সিজেন বানিয়ে দেয়, বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে, বৃষ্টি আনে, পশুপাখিদের থাকার জন্য বিনামূল্যে বাসস্থান বানিয়ে দেয়, প্রোটিনকে রুপান্তরিত করে। একটা পঞ্চাশ বছরের গাছের এফিসিয়েন্সি মূল্য ১৫ লাখ টাকা বছরে, অঙ্ক কষে বুঝিয়েছিলেন বিখ্যাত উদ্ভিদ বিজ্ঞানী তারকনাথ দাশ । ... ...
পথ চলতে গিয়ে যে সকল মানুষের সান্নিধ্যে এসেছি তেমন একজন কে মনে রেখে ... ...
থেমে যাও হে মৃত্যু আরও একদিন বেঁচে গেছি আমি স্নেহ ভালোবাসা ভালো, নেমন্তন্ন এলে তবে গায়ে মাখি পরিবারের তিনবেলা ভরা পেট বিড়ির আগুনের মতো দামী। ... ...
আধুনিক তথ্যবিজ্ঞানে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের আবিষ্কৃত ফর্মুলা কিভাবে কাজে লাগছে, কিভাবে মেশিন লার্নিংয়ের একটি জরুরি ভিত্তিপ্রস্তর আসলে এই বাঙালী বিজ্ঞানীর অবদান, যা আমাদের দৈনন্দিন অনলাইন জীবনকে নিয়ত প্রভাবিত করছে, এই দিকটি তুলে ধরার জন্যই এই প্রবন্ধ। ... ...
সরকার না চাইলে যেমন দাঙ্গা হয়না, তেমনি রাষ্ট্র না চাইলে অপরাধী বা নিরপরাধী কেউ এনকাউন্টারে মরে না। এনকাউন্টারকে বাহবা দেয় যারা, তারা মব লিঞ্চারের সমগোত্রীয়। নিজের হাতে আইন তুলে নিতে চায়। তুচ্ছ করে দেশের সংবিধানকে, যেখানে একরকম আইনানুগ সুবিধে সবারই পাওনা একথা স্পষ্টাক্ষরে লেখা আছে। ... ...
আজ থেকে বত্তিরিশ বছর আগে রঞ্জনদার লেখা পড়ি প্রথম। দেশ পত্রিকায় 'বাঙালির বাঙালোর' নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। বুদ্ধিতে আর উইটে ভরপুর এক অতি স্বাদু, মুচমুচে, আরবান লেখা। ভাল লেখা পড়লে কেটে রাখতাম। এ লেখাও সংগ্রহ করেছিলাম। আজও আছে। লেখকের নাম ছাড়া আর কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। দেশ পত্রিকার আপিসে গেলে হয়ত পাওয়া যেত। তার বছর কয়েক পরে দেশে ছাড়লাম। ... ...