আমার সাধনপুর স্কুলের তুহিনা পারভীন, গাঁ আর ধম্মের অনেক কুচ্ছিত গঞ্জনা সয়েও "হাঁটুর বের করা প্যান্ট" পরেই বহুদিন রেফারিগিরি করছে। কাল স্টেফানি ফ্র্যাপার্টকে দেখে তুহিনা বা ওর মতো অজস্র ভারতীয় মেয়ে রেফারির চোখভরা স্বপ্ন আরো অনেক চওড়া হয়েছে নিশ্চিত ... ...
আইডিয়া নং ৩] দরজা ভেজানো থাকবে। আমাদের যে প্লাস্টিকের বালতি ছিল তাতে অল্প জল ঢেলে তাই দিয়ে দরজা ভেতর থেকে চেপে দেওয়া হবে। বাইরের লোক টোকা না দিয়ে দরজায় হালকা করে ঠেলা দেবে, দরজা আস্তে আস্তে খুলে যাবে। ভেতরের জনের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না। ফলঃ সুন্দর ব্যবস্থা, অসুবিধের বিষয় হল সিমেন্টের মেঝের ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে বালতি সরে যাওয়ার শব্দ পুরো হিচককের ফিলিমের সাউন্ড এফেক্ট নিয়ে আসত। ঘুমন্ত লোক আঁৎকে জেগে উঠত। ... ...
এই লেখা রামকৃষ্ণ কথামৃতের ভক্তদের জন্য নয়। তাঁরা দয়া করে এই লেখাটি পড়বেন না। কারণ এই লেখা সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উৎসারিত। সেই একই কারণে এই লেখা রামকৃষ্ণ দর্শনের প্রতি অকারণ বিদ্বেষবশত কোনো কুৎসামূলক লেখাও নয় । কারণ বর্তমান লেখক মনে করেন যে রামকৃষ্ণদেবের মত সরলহৃদয়, সুরসিক, তত্বজ্ঞানী এবং বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী ধর্মপ্রচারক বাংলায় চৈতন্যদেবের পর খুব বেশি আসেন নি। বিশেষত পরধর্ম সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ঔদার্যের পরাকাষ্ঠা। তবে রামকৃষ্ণদেবের ‘কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ’ তত্ব নিয়ে আমার বহু প্রশ্ন চিরকাল ছিল। সময়ের সঙ্গে সেই সংশয়ের অবসান তো হয়ই নি, আরো বেড়েছে বরং। এখন ভক্তকুলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া বৃথা। কারণ রে রে করে তেড়ে আসা ছাড়া বা অধিকারীভেদের কথা বলে প্রশ্নের পথ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে যুক্তিসমৃদ্ধ তর্ক কিছু পাই নি। তাই এক অর্থে এই লেখা শুধুমাত্র সেই মানুষদের জন্য, যাঁরা আমার মত সাধারণ, অতি সাধারণ জিজ্ঞাসু। ... ...
নিজের সংশয়গুলো ঝালিয়ে নিচ্ছি ... ...
এই তো মানুষের হাল ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
আত্মপ্রচারের রকমফের ... ...
বাঘ ? কিন্তু আমি তো সিংহ রাশিতে জন্মেছি ... ...
একাই লড়ে যেতে হয় ... ...
সেই একই জীবনরঙ্গ মরবার আগে ... ...
পাণ্ডুলিপি তো অনেকগুলো হয়ে গেল। পাবলিশার পাই না। ... ...
সেই সব কমরেড ... ...
বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর সময়কাল ধরে ‘ফান্ডামেন্টালিজম’ বা ‘মৌলবাদ’ সারা পৃথিবী জুড়ে এমনই এক ‘ফেনোমেনন’ হয়ে দেখা দিয়েছে, কোনও চিন্তাশীল মানুষই যাকে আর উপেক্ষা করতে পারেন না। ইউরোপে রেনেসাঁ, বৈজ্ঞানিক বিপ্লব, এনলাইটেনমেন্ট, শিল্প বিপ্লব এইসব ঘটে যাবার পর থেকে আলোকপ্রাপ্তদের মনে ক্রমশ এই ধারণাটাই স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছিল যে, জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি অর্থনীতি এইসবের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের প্রভাব আস্তে আস্তে কমে আসবে, এবং এক সময়ে হয়ত তা পুরোপুরিই অবলুপ্ত হয়ে যাবে। সমাজতন্ত্রের ধ্যানধারণার প্রচার ও প্রসারের ফলে এ প্রত্যাশা আরও অনেক জোরালো হয়েছিল, শেষতক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক বা না-ই হোক। সেদিক থেকে দেখলে, বিশ শতকের শেষে ধর্মের রমরমা বেড়ে ওঠা এবং মৌলবাদের উত্থান প্রায় এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এখন, বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে হবে, গভীরভাবে ভাবতে হবে যুক্তি সহকারে, এবং পৌঁছতে হবে কোনও এক বুদ্ধিগ্রাহ্য উপলব্ধিতে। বোঝার চেষ্টা করতে হবে, সমকালীন সমাজবিজ্ঞান এ নিয়ে কী ভাবছে। ... ...
একই ! অনাদিকালের......... ... ...
গুরুচণ্ডা৯-র বই । বেশি দাম নয় । না পড়ে থাকলে পড়ে ফেলুন । ... ...
কেদার ভাদুড়ীর কাব্যগ্রন্হ পুনঃপ্রকাশিত হওয়া দরকার ... ...
ধারাবাহিক ... ...
কবিতা ... ...
ঝুরোগল্প ... ...
বছরে চারদিন, যাকে ‘অম্বুবাচী' বলে, তাতে অমনি করতে হয়, রান্না করা কিচ্ছু খেতে নেই। কিন্তু একা মা’কেই কেন করতে হবে? দিদা বড়মামীমা কেউ তো এসব করছে না। আবছামত মনে হয় তাইজন্য জিজি গত শনিবারে তিনকিলো আম নিয়ে এসেছিল, আস্তে আস্তে বলছিল ‘তোর মা কিছুতেই শুনছে না, এইসব একেবারে অর্থহীন, তোর বাবা দেখে কষ্টই পাচ্ছে শুধুশুধু'| কিন্তু মা যে মাছ খেতে খুব ভালবাসত, মাংস প্রায় খেতেই চাইত না, কেন ওরা মা'কে মাছ খেতে দিচ্ছে না? আমাদের এখন খুব বুঝেশুনে খরচ করতে হয়, মা বলেছে, তাইজন্য বুঝি? কেউ যদি একটু বুঝিয়ে দিত। আমার মাথার ভেতরে আবার সাত সকালের সব ধোঁয়া ঢুকে যেতে থাকে, আমি দাদুর খাটে শুয়ে ঐ মাঝ বিকেলে অঘোরে ঘুমিয়ে পড়ি। মেরুদন্ড সোজা করে বসে থাকা আমার দাদু, এত গন্ডগোলেও একটা কথাও না বলা দাদু, একইভাবে বসে আস্তে করে ফ্রকটা পায়ের ওপরে টেনে দিয়ে হাতপাখা দিয়ে আমাকে হাওয়া করতে থাকে। ... ...