সুবল মান্ডি যখন মা আর ছেলেকে রাস্তায় বসিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে গিয়েছিল, তখন চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু দেখে কী মনে হচ্ছিল দশ-এগারো বছরের ছেলেটার? ভাবার চেষ্টা করে অরিন্দম, ভাবতে পারে না। অরিন্দমের মনে পড়ে অরণ্যের দিনরাত্রি সিনেমার সেই দৃশ্যের কথা, শুভেন্দু বলছে, ‘এই সব জায়গায় এলে মানুষের আয়ু বেড়ে যায়!’ মনে মনে হেসে ওঠে অরিন্দম। মনে হয়, আমরা শহরের লোক, কত কম জানি নিজের রাজ্যটাকে! আদৌ কি জানি? ... ...
ঝাণ্ডা ওড়ে অনেক- বামপন্থীদের লাল, রাজপন্থীদের সাদা কালো লাল, প্যারা মিলিটারি/ ভগ্ন সৈনিকদের স্বস্তিকা, প্রজাতন্ত্রের প্রতীক কালো সোনালি লাল । শহরে সমাগত সৈন্য বাহিনী, যে যেখানে খুশি লুঠপাট করে। দীর্ঘ পরিচিত সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে , এখন চেনা পথে অচেনা পথিক । এক ঘোলাটে চোখে বার্লিনের মানুষ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখবার চেষ্টা করে । গণতন্ত্র? প্রাশিয়ার পার্লামেন্ট তো ছিল , কিন্তু সেখানে ভোট দেওয়ার অধিকার কেবলমাত্র প্রাশিয়ান পুলিশের কাছে ক্লিন চিট পাওয়া চব্বিশ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষদের । এবার নাকি বিশ বছরের ওপরে পুরুষ নারী নির্বিশেষে এক মাথা এক ভোটের অধিকার পাবেন। বয়স্ক জার্মান পুরুষেরা এই নবীন ভাবনার কড়ি সে কড়ি নিন্দা করলেন – মেয়েদের স্থান রান্নাঘরে, ভোটের ঘরে নয়। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে তখন উত্তাল আরেক বার্লিন। সকল অশান্তি, ক্ষুধা, রাষ্ট্র বিপ্লবকে উপেক্ষা করে সেই বার্লিনে উন্মুক্ত শিল্প সঙ্গীত বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত , সেখানে বিরাজ করেন আলবার্ট আইনস্টাইন থেকে বিলি ওয়াইলডার, মাক্স লিবারমান থেকে আনা পাভলোভা ! ... ...
আধার দেশ গরিব ... ...
ধরুন, আপনারা জনা দশেক মিলে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেছেন। ওয়েটার একটা গোল টেবিলে বসালো—সবার থেকে সবাই সমান দূরত্বে—একেবারে নিখুঁত প্রতিসাম্য। তারপর দশটা গেলাস এনে টেবিলে রেখে দিয়ে গেল, দু-জনের ঠিক মাঝখানে একটা করে গেলাস। আবারও প্রতিসম। এখন আপনি ডান হাতের গেলাস তুলবেন, না বাঁ হাতের – সেটা আপনার মর্জি। কেউ না কেউ তো প্রথম গেলাসটা তুলবেনই, যাঁর সবচেয়ে বেশি তেষ্টা পেয়েছে, তিনিই প্রথম তুলবেন। যেই তিনি কোনো একটা গেলাস তুললেন – ধরা যাক ডান হাতের, প্রতিসাম্য ভেঙে গেল। ওয়েটার কিন্তু জোর করে প্রতিসাম্য ভাঙেনি, আপনাদেরই একজন ভাঙলেন। তাঁর হাতে দুটো সমান সম্ভাবনা ছিল – ডান বা বাঁ দিকের গেলাস তোলার, তিনি যে কোনো একটা বেছেছেন। কিন্তু যেই তিনি ডানদিকের গেলাস তুললেন, আপনাদের সবাইকেই ডানদিকের গেলাসই তুলতে হবে, নইলে কেউ একজন গেলাস না পেয়ে রেগে যাবেন আবার কেউ দুটো গেলাস নিয়ে বোকাবোকা মুখ করে বসে থাকবেন। ... ...
লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-এর জন্যে আমরা ঢুকলাম গিজা কমপ্লেক্সের পিছন দিকে। এখান থেকে প্যানোরামিক একটি ভিউ পাওয়া যায় পুরো অঞ্চলটির। খোলা শান-বাঁধানো চত্বরে প্রায় হাজার খানেক বসার চেয়ার। এর একেবারে সামনেই রয়েছে ফারাও খাফ্রের পিরামিড, তার ডানপাশ ঘেঁষে সামনেই গ্রেট স্ফিংক্স। আরও ডানদিকে ফারাও খুফুর পিরামিড। আর খাফ্রের পিরামিডের বাঁদিকে বেশ কিছুটা দূরে ফারাও মেনকাউরে-র পিরামিড। দিনক্ষণ দেখে আসিনি বটে, শুধু আমাদের বিশেষ দিনটুকু মধ্যমণি করে আসা, তাও যখন এই আঁধারে অপ্রত্যাশিতভাবে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় চারদিকে ‘সমুদ্র সফেন’, আর সেই অপূর্ব জ্যোৎস্না সাড়ে চার হাজারের ইতিহাস ধুইয়ে দিচ্ছে চোখের সামনে, সেটুকু দেখে আনন্দে মন ভরে উঠবেই। এই আমাদের প্রথম পিরামিড দেখা, এমন অপার্থিব আবহে! একবার বিরাট থালার মতো চাঁদের দিকে তাকাই, আর একবার পিরামিডের দিকে, সে-শোভা বর্ণনা করার ভাষা নেই! কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে সাতটায় শুরু হলো আমাদের শো। মিশরের ফারাও যুগের প্রাচীন ইতিহাস আর সঙ্গে আলোর খেলা - পিরামিড, স্ফিংক্স, আর পাথরের গায়ে প্রাকৃতিক প্রোজেক্টর স্ক্রীন-এর উপর। ... ...
সকালে উঠে মশারি সরিয়ে নামতেই চোখ গেল সামনে রাখা টেবিলের দিকে। আর যেতেই মাথাটা গরম হয়ে গেল অবিনাশবাবুর। কাল একটু রাতের দিকে মাসকাবারি মুদির জিনিসপত্র ডেলিভারি দিয়েছিল। তুলে রাখার ইচ্ছে হয় নি বলে টেবিলের ওপর সব রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সানলাইট সাবান ছিল, মশলা, তেল আর তার সঙ্গে পাঁচ কেজি চাল। বাকি সব ঠিক থাকলেও চালের প্যাকেটের প্লাস্টিক কুটিকুটি করে কাটা, চাল ছড়িয়ে আছে টেবিলের ওপর যার কিছুটা মেঝেতেও গড়িয়ে নেমেছে। ইঁদুর! ... ...
সাফল্যমণ্ডিত, কারণ, এই পুরোটাই করা হবে ধীরেসুস্থে। পাকিস্তানের মতো জোরেসোরে না। সইয়ে সইয়ে। ৫৬ সালে বাংলা-বিহার সংযুক্তির প্রস্তাব এলে আন্দোলনে ফেটে পড়বে বাংলা। পিছিয়ে আসা হবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে। তার কমাস পরেই ভাষাভিত্তিক রাজ্যের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়া হবে আইন করে। একই সঙ্গে বোম্বেকে দেওয়া হবে খোলা মাঠ। ৫৭ সালে তৈরি হবে নতুন রেডিও চ্যানেল। বিবিধ ভারতী। যা মূলত বোম্বে সিনেমার গানকে সর্বভারতীয় জায়গায় পৌঁছে দেবার সরকারি ব্যবস্থা। বোম্বের প্রচার প্রসার , ফুলে ফেঁপে ওঠা চলবে অবাধে। বোম্বের তারকারা হয়ে উঠবেন আন্তর্জাতিক তারকা। পাশাপাশি রেডিওতে বহুভাষিক সর্বভারতীয় সম্প্রচার কিন্তু বন্ধ হবেনা, কয়েক দশক। পুরোটা সইয়ে নিয়ে অবশেষে আশির দশকে এসে, দূরদর্শনের যুগে সর্বভারতীয় টিভি হয়ে উঠবে বাধ্যতামূলক হিন্দি শিক্ষার কার্যক্রম। ... ...
নিমতলী, চুড়িহাট্টা ও বনানীর পর বেইলি লোড-- ঘন বসতিপূর্ণ পুরানো ঢাকা থেকে শুরু করে মেগাসিটি ঢাকা, একের পর এক লকলকে আগুনের শিখায় পুড়ছে শত প্রাণ, চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই। তাহলে এতোসব উন্নয়নের ফিরিস্তি কি কেবলই কথামালার রাজনীতি? অগ্নি-দুর্ঘটনা থেকে নাগরিকের সুরক্ষা নেই? ... ...
তামারবুন্ডু থেকে চান্ডিল ইতিমধ্যেই একটা দল কাজ করছে, নতুন কমরেডরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে। তারপর এই দুটো গ্রুপ চান্ডিল থেকে আলাদা হয়ে যাবে। একটা গ্রুপ চান্ডিল থেকে দলমা পাহাড় হয়ে পুরুলিয়ার বরাবাজার দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। তারা বরাবাজার থেকে বলরামপুর, বান্দোয়ান এলাকায় কাজ করবে এবং সেফ করিডোর তৈরি করবে। অন্য গ্রুপটা চান্ডিল থেকে দলমা হয়ে ঘাটশিলা যাবে, সেখান থেকে কাঁকড়াঝোড় হয়ে বেলপাহাড়ি ঢুকবে। ... ...
মুখের কথা শুনেই তিনি বলে দিচ্ছিলেন কে কোথাকার বাসিন্দা : লিসন গ্রোভ , হক্সটন, হ্যাম্পটন কোর্ট! তা এঁরা তো সবাই নেহাত লন্ডনের বাসিন্দা ! তাঁকে একটি একটি কঠিন কেস দেওয়া হলো -এই যে কর্নেল পিকারিং, ইনি নানা জায়গায় ঘুরেছেন , বলুন দিকি কোথায় কোথায় ? তাঁর মুখের কথা শুনে হিগিনস অবলীলাক্রমে বললেন, চেলটেনহ্যাম, হ্যারো , কেমব্রিজ, ইন্ডিয়া ! চমৎকৃত পিকারিং জানতে চাইলেন কোন মায়াবলে হিগিনস এই অসাধ্য সাধন করেন , হাও ডু ইউ ডু ইট? উত্তরে হিগিনস বললেন,সিম্পল ফোনেটিকস , দি সায়েন্স অফ স্পিচ ! তিনি তো বলেই খালাস কিন্তু আমাকে যে নেশাটি ধরিয়ে দিলেন সেটা আজও কাটিয়ে উঠতে পারি নি । ... ...
হঠাৎ একদিন সেই আলেয়া বু’কে লইয়া বাড়ির বড়রা রূদ্ধদ্বার বৈঠকে বসিলেন। হাত পাখার ডাঁটি দিয়া সে বেচারাকে খানিক মারধোর করা হইল। ভাতের সন্ধানে পাষানপুরিতে আসা ফর্সাপানা গাঁয়ের মেয়ে, আমাদের আলেয়া বু’ ফোঁপাইয়া কাঁদিয়াছিল মাত্র। প্রতিবাদ করে নাই। তাহাকে আমার বাবা ডাক্তার-চিকিৎসা করাইয়াছিলেন। তবে শিগগিরই তাহাকে ছাড়াইয়া দেওয়া হইয়াছিল। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৮. এ লেখাটি “ভ্রমণ আড্ডা” বার্ষিক সংখ্যা ২০২০ তে প্রকাশিত হয়েছিল। ওটা এক অন্য গোত্রের পত্রিকা। বিগত ২৫ বছর ধরে ভদ্রেশ্বর থেকে বছরে একবার বেরোয়। বইয়ের মতো আকার। ১৭০-৮০ পাতার পরিসর। ছবিছবা থাকে না। তবে এখানে ছবি রাখায় বাধা নেই - তাই কয়েকটি ছবি রইলো পুনশ্চের পরে ... ...
সপ্তম পর্ব : বুডাপেস্টের পথে ... ...
ছেলেটার নাম অ্যারন বুশনেল। বয়স ২৫। খবরটা পড়ে, দেখে, এবং শুনে, প্রথমেই মনে হল, তা বলে এইভাবে? অন্য কিছু কি করা যেতনা? তারপর মনে হল, ধাক্কা কত বেশি হলে, তবেই এ জিনিস করা যায়। এ ছেলে ছিল সামরিকবাহিনীতে সাইবারডিফেন্স অপারেশন স্পেশালিস্ট। যেটা ঝপ করে মনে করিয়ে দেবে এডওয়ার্ড স্নোডেনের কথা। তিনিও ছিলেন, যদ্দূর জানা যায়, সাইবার নজরদারির কাজে।ওইসব গোপন কাজে, এমন কিছু থাকে, যা, মানুষের মাথাই ওলটপালট করে দেয়। বুশনেল বলেছে প্যালেস্তাইনে গণহত্যা। স্নোডেনের সময় ছিল আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের উপর একটা সিনেমা দেখছিলাম, তাতে গ্রামকে গ্রাম লোক, ড্রোনহানায় হয় নেই, নয়তো পঙ্গু। একটা গ্রামে ড্রোন হত্যা করেছিল এক মুরুব্বিকে। তারপর তাঁর সমাধির অনুষ্ঠানে আবার ড্রোনহানা। মরে আরও কিছু লোক। ... ...
সত্যেন্দ্রনাথ বসু মশাইকে দিয়েও এই গল্পটা শুরু করলে খারাপ হয় না। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি এমন এক দেশে জন্মেছিলেন, যে, সেখানকার লোকে তাঁর কাজ সম্পর্কে এক বিন্দু না জেনেও তাঁকে আইকন বানিয়ে দেবার আগে দু-বার ভাবে না। ইউরোপে জন্মালে বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি আরো বেশি স্বীকৃতি পেতেন, হয়তো নোবেল পুরস্কারও পেতেন, কিন্তু হিরো-বুভুক্ষুর দল তাঁকে নিয়ে এমন উৎকট মাতামাতি করত না (কতটা উৎকট তার পরিচয় পরে দেব)। সত্যেন্দ্রনাথ ঠিক কী করেছিলেন? ... ...
তার এককোণে একটা টলটলে চৌবাচ্চা, আর কলাফুলের গাছ। উঠোনের তিনদিকে টুকটুকে লাল পথ ছিল, সেই পথ গিয়ে মিশত একটা সবুজ বাগানে। বাগানে না আসলে দালানে - ঘন সবুজ ঘাসের মত মখমলি, মাটির দাওয়ার মত শীতল এক দালান। সে দালান যেমন বড়, না ঠিক বড় নয়, মানে যেন অতল গভীর, মানে ঠিক গভীর নয়, ঠিক কেমন বলতে ঠাহর পাইনা। তবে যেমনই হোক, খুব আপন আপন। আমি যেদিন প্রথম সেখানে গিয়েছিলাম, তখন সবে কুঁড়ি ফুটেছি, অমন কুঁড়ি পাঠশালে কেউ নেয়না। সেদিন সেই দালানে গিয়ে শুয়ে পড়লাম, ঘুম এসে গেল। চোখ খুলে দেখি দালানে একজন মা রয়েছেন। তিনি কে তো জানিনা, মনে হল মায়ের মতো। মা বলল, উনি সবার মা, মায়েরও মা, আমারও মা। ... ...
আলেকজান্দ্রিয়া – ৩৩২ খ্রীষ্টপূর্ব – ম্যাসিডোনিয়ার সম্রাট তৃতীয় আলেকজান্ডার (ওরফে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট) পারস্য জয় করে আজকের গাজা পার হয়ে এসে ঢুকে পড়লেন মিশরে। পারস্যের অত্যাচার আর লুন্ঠন থেকে বাঁচতে মিশর-ও বাধ্য হয়ে বেছে নিল ‘লেসার ইভিল’ আলেকজান্ডারকে (যদিও তাঁর দিগবিজয়ে যাঁরা বাধা দিয়েছেন তাঁদের উপর অত্যাচারের কোনো মাত্রা রাখেননি , পুরু বা পোরাসের গল্প সত্যি ইতিহাস কিনা তা নিয়ে আজকের দিনে ধন্দ আছে) , তায় আবার যুদ্ধবিগ্রহে তিনি মিশরের প্রাচীন ফারাওদের মতো-ই পারদর্শী! তার উপর প্রথমেই মিশরে এসে তিনি দেখতে চাইলেন ‘এপিস বুল’-কে এবং সম্মান জানালেন! ব্যস, মিশরীয়রা মুগ্ধ, নির্ঘাৎ সেই প্রাচীন যুগের-ই কোনো মহান ফারাও এসে গেছেন তাঁদের রক্ষা করতে। সুতরাং নীলনদের উপত্যকা সহজেই বিনা বাধায় ম্যাসিডোনিয়ান সাম্রাজ্যের আওতায় এসে গেল। কিন্তু আলেকজান্ডার আরও উত্তরে গেলেন হোমারের ওডিসি-তে পড়া ফারোস দ্বীপের সন্ধানে, পেলেন এবং তাঁর নিজের নামে একটি শহর স্থাপন করলেন , ব্যবসা-বাণিজ্য আর ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ আর রাজ্যগুলিতে যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী স্থান হিসেবে। ... ...
একথা অনস্বীকার্য যে আজকের ইসলামি দুনিয়ায় সঠিক বৈজ্ঞানিক মনোভাব এবং যুক্তিবাদের চর্চায় ঘাটতি আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই শ্লথতা এবং কূপমণ্ডুকতার পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কায়েমী শক্তির মেলবন্ধন । অথচ অতীতে সমস্ত ধর্ম,সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান থেকে শেখার মনোভাব দেখিয়েছেন ইসলামি পণ্ডিতরা।সবাই পাশ্চাত্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী সেকুলার হবেন না, সাংস্কৃতিক কারণেই তা সম্ভব নয় এটা আমাদের বুঝতে হবে। বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে, যুক্তিবাদ এবং আবেগের মধ্যে কিছুটা সমন্বয় এবং যেখানে সেই সমন্বয় সম্ভব নয় সেখানে তাদের নিজস্ব স্বাধীন ক্ষেত্র সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। ... ...