মধ্যশিক্ষাপর্ষদের সাইট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যবোর্ডের বাংলা মাধ্যম মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২৭৬৮ খানা। হিন্দি মাধ্যম ১১৬, ইংরিজি মাধ্যম ৪৫। সব মিলিয়ে মোটামুটি ধরুন ৩০০০। সিবিএসইর সাইট অনুযায়ী, সিবিএসই অনুমোদিত বিদ্যালয় ৪৫০। আইসিএসইর সাইটে পরিসংখ্যান পাইনি, অন্যত্র দেখলাম শ চারেক। দুটো যোগ করে, মোটামুটি ধরুন ১০০০। অর্থাৎ কিনা পশ্চিমবঙ্গের চারভাগের একভাগ স্কুলই কেন্দ্রীয় বোর্ডের। ... ...
শোভার মুখে ‘বাঘাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ কাহিনী শুনে রীণা যতীনবাবুর কাছে আব্দার করে, বাঘাকে রেখে দাও না, বাবা। বাঘা তখন উঠোনের এপাশ ওপাশ, হাঁসের ঘর, সাদা ইঁদুরের ঘর শুঁকে বেড়াচ্ছে। যেন বিয়ের পর প্রবাসে চলে যাওয়া মেয়ে বহু বছর পর বাপের বাড়ি এসে এখানে ওখানে স্মৃতি খুঁজে বেড়াচ্ছে। দড়িতে ঝোলানো খাঁচার টিয়াটা উত্তেজিত হয়ে এপাশ ওপাশ করে ট্যাঁ ট্যাঁ করে চ্যাঁচাচ্ছে। তবে বাঘা ঢাকা বারান্দায় ওঠেনি। বসার ঘরেও যায়নি। কোনো অবোধ্য কারণে হয়তো ও বুঝেছে ওসব জায়গায় যাওয়ার অধিকার সে হারিয়েছে ... ...
ভূমিকা ম্যাথু আর্নল্ড বলেছিলেন একাকিত্বের সঙ্গে সাহচর্যের যোগ সাধন করে পত্রলেখা। লিখি বটে একা কিন্তু সেটি স্বগতোক্তি নয় , এমনকি একাকি গায়কের গানও নয়, এ যেন কারো সঙ্গে কথা বলা। প্রত্যুত্তর শুনতে পাই না তৎক্ষণাৎ কিন্তু জানি পাবো ! ঠিক সেই অভিলাষে আড্ডার এই ধুনিতে ধোঁয়া দেওয়া । ফরাসি অনুই , ইংরেজি স্মার্ট অথবা জার্মান গেম্যুটলিখকাইটের বাংলা হয় না। অভিমানের প্রতিশব্দ অন্য কোন চেনা ভাষায় পাই নি । বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময়ে দেশটার পরিচয় করাতে গিয়ে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছিল বাঙালি ( তখনও বাংলাদেশি শব্দটা চালু হয় নি) আড্ডা নামক এক বস্তুর প্রেমে আবদ্ধ , তাঁদের মতে এ শব্দের অনুবাদ হয় না । * আড্ডা আমাদের একান্ত আপন- সেখানে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নেই , স্থান কাল পাত্র নেই : কেউ গুরু সেজে টঙে চড়তে চাইলে তাকে তৎক্ষণাৎ মাটিতে আছাড় দেওয়া, লঘুকে লঘুতর করাই প্রত্যহের আনন্দ । আড্ডা নিয়ম বর্জিত । তার চার ইয়ারি বা বারো ইয়ারি হতে কোন বাধা নেই। আড্ডার নেই কোনো সিলেবাস , ইতিহাস, ভূগোল, অতীত , বর্তমান । এখানে কেউ কিছুই হয়ে ওঠেন না তাই এখানে বসে কি হনু কি হনু ভাবার সুযোগ নেই ! আড্ডার শুরু বা শেষ খোঁজা বাতুলের কর্ম । আড্ডায় আছে খোলা হাওয়ার স্বাধীনতা , তাই দিয়ে শুরু করি বৈঠকি আড্ডার আসর । * Bengalis are given to a passion known as Adda which they claim couldn’t be translated in to any other language! ... ...
এতদিন ধরে যে দিনের জন্য অপেক্ষা করছিল, তা যখন সত্যিই এসে হাজির হয়েছে তখন এক অদ্ভুত অনুভূতি হয় সিংরাইয়ের। বাবা-মা’র মাঠ থেকে ফিরতে প্রায় তিনটে বেজে যাবে। বাড়ি ছাড়ার সময় ওদের সঙ্গে দেখা হবে না, প্রথম যখন ভাবনাটা মাথায় আসে মুহূর্তের জন্য একটু খারাপ লাগে সদ্য কৈশোরে পা রাখা ছেলেটার। কিন্তু তারপরই ওর মনে হয়, এর জন্য তো মানসিক প্রস্তুতি সে অনেকদিন ধরেই নিচ্ছে। আজ না হয় কাল তো চলেই যেত বনমালীর সঙ্গে। আজ যে বাড়ি ছাড়ার সময় দেখা হচ্ছে না বাবা-মা’র সঙ্গে তাতে কীই বা এসে যায়! বাড়ি ছাড়ার সময় দেখা হলেই বা কী এসে যেত! ... ...
কলকাতায় বেহালার কাছে যে আবাসনে আমাদের একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আবাসিকদের হোয়া গ্ৰুপে জনৈক পিকেবাবুর সারমেয় ফোবিয়া বা সমস্যা প্রসঙ্গে একবার কিছু আলোচনা হয়েছিল। যেহেতু খেজুরে লেখায় আমি প্রভূত আনন্দ পাই তাই দিয়েছিলাম একটি বিশদে সাজেশন। এই হালকা রসের রচনাটি সেই প্রসঙ্গে ... ...
রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকে যাচ্ছে মার্চ মাসে। এখন প্রতিনিয়ত আমাকে শুনতে হয় যে আমি কেন ফিরে যাচ্ছি না! আমি যে সমস্যায় পড়ে ফিরে এসেছি তার কোন সমাধান হয়নি। তাই ফিরে যাওয়ার আশা করা দুরাশা আমার জন্য। আমার খালাত বোন যে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, সে আমাকে বিসিবির যে প্রধান ডাক্তার ডাক্তার দেবাশিষের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি এই সব ব্যাপারে সেরা ডাক্তারের মধ্যে একজন। জ্যোতির সাহায্য ছাড়া উনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইতে অন্তত দুই মাস অপেক্ষা করতে হত আমার। তিনি আমাকে অনেকখন সময় নিয়ে দেখছেন। একটা থেরাপি দিয়েছিলেন। তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। এবং তিনি আমাকে শেষ কথা বলে দিয়েছেন যে আমার পক্ষে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকা হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি কাজ আর করা সম্ভব না। পায়ের অবস্থা তিনি দেখে চমকে গিয়েছিলেন। উনি স্টেরয়েড দিতে চেয়েছেন কিন্তু আমি এখনও ওইটা দিব কি না সিদ্ধান্ত নেই নি। বাড়িতে থেকে ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে পায়ের ব্যথাও বেড়েছে! ব্যায়াম দিয়েছি কিছু, ওইটা করলেই একটু আরাম হয়, কুশন দেওয়া জুতা পরতে হচ্ছে। এই ভাবেই চলতে হবে আমাকে। আমি অপারেশনের কথা বলে ছিলাম। তিনি এক বাক্যে না করে দিয়েছেন। এই না আমাকে রোমানিয়ান ডাক্তারও করে দিয়েছিল। আমি দেশে চিকিৎসার জন্য চলে আসব শুনে উনি বলেছিলেন যে আমি জানি না তোমার দেশের চিকিৎসার অবস্থা কেমন, কিন্তু আমি তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি যে কোনমতেই তুমি অপারেশনের দিকে যেয়ও না। আর আমি আসলে দেশে অপারেশনের জন্যই আসছিলাম। মনে করছিলাম বিদেশিরা এগুলা করতে ভয় পায়, আমাদের এখানে ঠিকই করে ফেলবে কিছু একটা। তো, এই হল আমার সর্বশেষ অবস্থা। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেকেই আমার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদেরকে এই সুযোগে জানিয়ে দিলাম আমার অবস্থা। ... ...
এই লেখাটি ভ্রমণবিষয়ক "মনপবন" পত্রিকার পরিচয় জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে রচিত। ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
গাঁজাখুরি গরুর গপ্পো ... ...
বিহারে "জন সুরাজ"-এর প্রবর্তক প্রশান্ত কিশোর বিশ্বাস করেন ক্রান্তিকারী গণতান্ত্রিক বা রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে কোনো বিকাশ হওয়া সম্ভব নয়। বৈপ্লবিক আন্দোলন একটি তেজ হাতিয়ার যা দিয়ে একটি মহীরুহ কেটে ফেলা যায়, মানে ক্ষমতাসীন শাসককে ক্ষমতাচ্যূত করা যায় কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো ‘নতুন ব্যবস্থা’ {System} বানানো সম্ভব নয় {যার দ্বারা দেশে, সমাজে দীর্ঘমেয়াদী পজিটিভ আউটকাম আসতে পারে}। ... ...
পুরোনো দিল্লির বাকি তিন শহর ... ...
তাকে থামিয়ে সুভাষ মাহাতো বলে ওঠে, ‘একটা কথা বলুন তো, এই এলাকার কথা উঠলেই আপনারা মাওবাদী সমস্যা বলেন কেন? মানুষের সমস্যা আছে বলেই তো মাওবাদী আছে। মাওবাদীরা সমস্যা হবে কেন?’ সুভাষ মাহাতোর প্রশ্নে থতমত খেয়ে যায় অরিন্দম। কিছু একটা বলার চেষ্টা করতে গিয়েও থেমে যায়, চুপ করে থাকে। ফের বলে ওঠে সুভাষ মাহাতো, ‘আসলে আপনাদের দোষ নেই, সরকার সব সময় বলে মাওবাদী সমস্যা, মাওবাদী সমস্যা, মিডিয়াও বলছে মাওবাদী সমস্যা। আপনারা মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখুন, মানুষ মাওবাদীদের সমস্যা বলে মনে করে কিনা। যেদিন মানুষ মাওবাদীদের সমস্যা বলে মনে করবে, সেদিন সরকার, পুলিশ কিছু লাগবে না, খুন, সন্ত্রাস এমনিই থেমে যাবে। কিন্তু মানুষ যদি মাওবাদীদের সমস্যা বলে মনে না করে, তবে পুলিশ দিয়ে সরকার কিছু থামাতে পারবে না।’ ... ...
পুরোনো দিল্লির প্রথম পাঁচটা শহর ... ...
“শেষ পর্যন্ত শহীদ দিবসের প্রায় একমাস আগেই আমার প্রথম শব্দলিপি তৈরী হয়ে গেল।…ঠিক করলাম মাকে প্রথমে একটা চিঠি লিখে আমার যাত্রা শুরু করবো। দিনটি ছিল ২৫শে জানুয়ারী, ১৯৮৫ – দিনটি মনে রাখার বিশেষ কারণ হচ্ছে, কাকতালীয় ভাবে ঐ দিনটি আমার জন্মদিনও ছিল। চিঠিটা এ্যাপেলের ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টারে প্রিন্ট করে সেদিনই ডাকে পাঠালাম মাকে।…১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ – এ চার বছর যখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র – তখন প্রতিটি শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে যেতাম প্রভাত ফেরীতে যোগ দিয়ে। শেষের বছরগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণে আরও ব্যস্ততায় কাটতো ওই দিনটি। ফলে ১৯৮৫ সালে যখন লন্ডন থেকে কম্পিউটারে প্রথম বাংলায় চিঠি লিখে পাঠালাম ঢাকাতে আমার মা’কে, তখন একটা নামই শুধু মনে এসেছিল – শহীদলিপি।” ... ...
সিন্ধে সাহেব বলেন, হয়তো এই Exercise এক ধরনের Mental Masterbation. আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলি, মানে? উনি হাসতে হাসতে বলেন, মানে কেউ একটা আইডিয়া দিয়েছে, সেটা এক কথায় নাকচ করার আগে - তোমায় লাগিয়ে দিয়েছে - সেটার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে। কোম্পানিরও হয়তো মনে হয়েছে, এই mental masterbation এর পরিণাম Retrograde ejaculation. তবে যদি কোনোভাবে আইডিয়াটা ক্লিক করে যায় তাতে লাভ বই, লোকসান তো নেই। ... ...
শ্রীস্বপনকুমারের বাদামি হায়নার কবলে নামক একটি বাংলা ছবি বিষয়ে দুচার কথা। ... ...
জীবন থেকে, রাজনীতি থেকে ধর্ম, স্পিরিচুয়ালিটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করলে রক্ষণশীলতার প্রতিক্রিয়া কীভাবে সমাজকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে, তার প্রমাণ এই রামমন্দির। ... ...