"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৪ …দুপুরে বাস থেকে নেমে আশ্রয়ের সন্ধানে প্রাচীন নগরীর সরু রাস্তা ধরে এসেছিলাম। এখন শহরের বাইরে দিয়ে চওড়া কংক্রিটের বাইপাস ধরে হাঁটতে থাকি। বাঁদিকে শহরের সীমানায় পাঁচশো ফুট পাহাড়ের মাথায় উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত বিশাল কেল্লা। রীতিমতো সমীহ জাগানো সাইজ। লোকবিশ্বাসে অতীতে নরোয়র ছিল মহাভারতে বর্ণিত নিষধরাজ নলের রাজ্য। তখন তা নলপুরা নামে পরিচিত ছিল। আর এক মতে নরোয়র কেল্লা ও জনপদের প্রতিষ্ঠাতা কুশওয়াহা রাজপুত বংশ। সে গড়ের অতীত গৌরব বর্তমানে ম্রিয়মাণ। কিছু অংশ ভগ্নপ্রায়। অনেকাংশেই জঙ্গলাকীর্ণ। তবু মূলতঃ সেই কেল্লার আকর্ষণেই আমার সেখানে যাওয়া। আয়তনে এ কেল্লা গোয়ালিয়র কেল্লার পরে মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। কিন্তু প্রচারের অভাবে পর্যটকদের কাছে ব্রাত্য। তাতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। নির্জনে মনের আনন্দে ঘুরেছি। ... ...
হল্যান্ডের গাঁ-গঞ্জে, পথে-ঘাটে আমলকীর দেখা না মিললেও স্কিফোল এয়ারপোর্টের বাইরে বেরোলেই ডিসেম্বরের শীতের হাওয়া আপনার শরীরে নাচন লাগাবেই। আর তার সঙ্গে যদি থাকে বৃষ্টি, তবে ষোলো-আনা পূর্ণ! এবার যদিও দিন-দশেকের জন্যে যাওয়া আর কাজের চাপের জন্য খুব বেশী ঘোরাঘুরি হয়ে ওঠেনি, তবুও বাঙালীর পায়ের তলায় সর্ষের তরঙ্গ রোধিবে কে! সুতরাং তার-ই মাঝে ‘হরে মুরারে’ বলে বেরিয়ে পড়া; তবে এবারের ঘোরাঘুরি খুব-ই সংক্ষেপে সারা, তাই এই লেখা অনেকটাই হবে যাতায়াতের পথ আর ছবি-নির্ভর। আগের বার নেদারল্যান্ডস-এর মধ্যে আর আশেপাশের বেশীর ভাগ জায়গাই দেখা হয়ে গিয়েছিল, তাই এবার ভেবেছিলাম সুযোগ পেলে পাশের দেশ বেলজিয়ামে-ও ঢুঁ মেরে আসবো। আর আগেরবার জ্যানসে স্ক্যানসের প্রসঙ্গে কিন্ডারডাইকের কথাও উঠে এসেছিল, তাই মাথায় ছিল সেটাও যদি দেখে আসা যায়। ... ...
হাইস্কুলের মণীষাদি খুবই মারকুটে ছিলেন, তিনিও আর বেত মারেন না, তবে অদ্ভুত অপমানজক শাস্তি উদ্ভাবনে এঁর দক্ষতা ছিল অপরিসীম। ক্লাসে কথা বলায় দুজনকে দোতলার বারান্দায় নিয়ে একে অপরের কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া ও পাশে মিনুদিকে পাহারাদার হিসাবে বসিয়ে রাখা, অঙ্ক না পারলে জুতো হাতে নিয়ে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া, দুজন ছাত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও মারামারির অভিযোগ পেয়ে নিজের নিজের জুতো দিয়ে একে অপরের গালে মারতে বাধ্য করা ইত্যাদি ছিল তাঁর উদ্ভাবন। ... ...
বনমালী দেশোয়ালিরা জানে, জল, হাওয়া পেলে পাথরেও গাছ জন্মায়, আর এখানে তো উর্বর জমি প্রস্তুত! জল, হাওয়াও আছে যথেষ্টই, শুধু সলতে পাকানোর কেউ ছিল না এতদিন। সেই শূন্যস্থানও পূরণ হয়ে যেতেই জঙ্গলমহলে গ্রামের পর গ্রামে মানুষ সাড়া দিতে শুরু করল। যদিও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য সেদিকে আর বিশেষ নজর দেওয়ার সময় পেল না পুলিশ প্রশাসন। ... ...
কোন কোন সময় আমাদের সমাজ কী মুখোসে মুখ ঢাকে না? ... ...
যৌবনে নারীর শীতল প্রত্যাখানে অপমানিত পৌরুষ হয়ে যেতে পারে কর্কশ, বিপথগামী। সবল পুরুষের হবে সংযমী হৃদয়, তাতে অযথা উঠবে না ভাবাবেগের তরঙ্গ, উঠলেও তার পাথরপ্রথিম মুখচ্ছবিতে ফুটবে না অন্তর্লীন বেদনার সামান্য আঁকিবুঁকি, একান্তে ক্ষণিক ক্রন্দনও সর্বৈব নৈব নৈব চ। এই হচ্ছে সমাজে পুরুষের প্রচলিত ম্যানলি ইমেজ। অজান্তেই এই ইমেজ অনুশীলনে রত অধিকাংশ মেল শভিনিস্ট। যারা এ ছকে পড়ে না, নারীর মধুর আন্তরিক সঙ্গ তাদের মননকে করতে পারে গভীর সংবেদনশীলতায় সমৃদ্ধ। সুমনের কাছে কেতকীর সাহচর্য ছিল সেরকম। গন্তব্য নয়, যতদিন সম্ভব সখ্যতার সহযাত্রাই ছিল সুমনের কাছে অতীব আনন্দময়। ... ...
খুব স্পষ্ট না হলেও কাঁটাকলের অর্থনীতি বিভাগে আমরা ছিলাম দুটো দলে বিভক্ত – একদিকে আমার মতন পাতি বাংলা স্কুল, অনামধন্য কলেজ থেকে আসা বৃহৎ ছাত্র সমষ্টি , অন্যদিকে ইন্দ্রজিৎ দেবের মতন কয়েকজন ক্যালকাটা বয়েজ স্কুল, সেন্ট জেভিয়ারস , প্রেসিডেন্সি কলেজের, আলাদা পেডিগ্রির কিছু উজ্জ্বল তারকা; তারা নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলে, জুতো পরে ক্লাসে আসে । সিঁথি বরানগরের বিদ্যেয় ইংরেজি বাক্য আমার মুখ থেকে বেরোয় না। কুণ্ঠিত ভীত সন্ত্রস্ত মনে তাদের দূর থেকে দেখি। হাঁদুর জন্যে ঠনঠনের বাড়ি থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার আসতো প্রতিদিন সাড়ে বারোটা একটার মধ্যে । ব্রাঞ্চে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই হাঁদু জিজ্ঞেস করেছিল ‘ হ্যাঁরে দুপুরে কি খাবি ? ‘ আমার মায়ের পক্ষে সে রকম কোন ব্যবস্থা করা কঠিন ছিল । জানালাম রাস্তায় কিছু একটা খেয়ে নেবো। পরের দিন হাঁদু বললে ‘ আয় আমার সঙ্গে বসে খাবি । মা বলে দিয়েছে আজ থেকে তোর জন্যেও খাবার আসবে রোজ ‘। হাঁদুর কাছে এটা দুপুরের খাবার , ‘লাঞ্চ ‘ নয় ! হাঁদু আর তনুশ্রী পুরী যাবে দু সপ্তাহের ছুটিতে। শুক্রবার অফিসে এসেই বললে ‘ যাক বাবা, দু সপ্তাহ এস পি সেনের মুখ দেখতে হবে না ‘ । তার পরেই চিন্তায় পড়ে গেল “ আরে, তোর খাওয়ার কি হবে ?’ অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললাম ‘হাঁদু, ওটা আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেব ‘ । বিকেল বেলা হাঁদু বললে, ‘ শোন, মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে , সোমবার থেকে তোর জন্যে খাবার আসবে , বুঝলি ? ‘ যে টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে আসে সে বসে থাকবে তোর খাওয়া হয়ে গেলে বাড়ি নিয়ে যাবে এমন মানুষও হয় ? ... ...
পরচর্চার আনন্দ, উত্তেজনা অনস্বীকার্য। তবু চতুর্দিকে ধর্ম, রাজনীতি, দূর্নীতি, হিংসা, যুদ্ধের কলুষতায় আতুর মনের টুকুন মোলায়েম পরিচর্যা হয় - আমার ক্ষেত্রে - মেদুর পরীচর্চায়। তেমন কিছু এনিগম্যাটিক পরী, দক্ষ সাহিত্যিকদের কলম বেয়ে এসেছে আমার মনের আঙিনায় - দিয়েছে সবিশেষ আনন্দ। অণিমা (যাও পাখি), মণিদীপা (মানবজমিন), মনীষা (স্বপ্ন লজ্জাহীন), মার্গারিট (ছবির দেশে কবিতার দেশে), মারিয়ানা (কোয়েলের কাছে), ছুটি (একটু উষ্ণতার জন্য), কিশা (বাংরিপোসির দু’রাত্তির), ঋতা (সবিনয় নিবেদন), সুজান (পুত্র পিতাকে), রেণু (এই, আমি রেণু) … এমন আরো অ-নে-কে। তবে শুধু শব্দের ডানায় ভর করা পরী নয়। অতীতে কিছু বাস্তব পরীর সাহচর্যেও পেয়েছি অমল আনন্দ। এখন আর পরীসান্নিধ্যের সম্ভাবনা নেই। তাই নানা মিষ্টি স্মৃতির জাবর কাটি অবসরে। দুঃসময়ে অনেকে পথে নেমে প্রতিবাদ করেন। অনেকে কোনো ফোরামে করেন পরিস্থিতির সুচিন্তিত বিশ্লেষণ। দেন সম্ভাব্য সমাধান। আমি পড়ে সমৃদ্ধ হই। আত্মকেন্দ্রিক, ভীতু, ক্ষীণ বোধবুদ্ধির মানুষ আমি। তাই পৃথিবীর দুর্দশায় মন ভারাক্রান্ত হলে মাঝেমধ্যে গৃহকোনে একান্তে বসে YTতে ভর করে ভার্চুয়ালি চলে যাই দুর দেশ ভ্রমণে প্রকৃতির মাঝে। বা পড়ি পছন্দের কোনো বই বা দেখি কোনো সিনেমা। তখন বইয়ের বা সিনেমার কোনো পরী তাদের নারীত্বের সুষমায় আমার বিক্ষুব্ধ চিত্তে শান্তির চামর বোলায়। সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই বাস্তব থেকে। তাই আমি পরীদের কাছে কৃতজ্ঞ। পরীহীন পৃথিবী পলায়নবাদীর কাছে অকল্পনীয় অভিশাপ। ... ...
আমেরিকাতে থাকার সময় কয়েকবার বাইবেল স্টাডি গ্রুপের মেম্বারদের সাথে দেখা হয়েছিল। তারই একখান এনকাউন্টারের গপ্পো ... ... ... ...
আমেরিকাতে থাকার সময় কয়েকবার বাইবেল স্টাডি গ্রুপের মেম্বারদের সাথে দেখা হয়েছিল। তারই একখান এনকাউন্টারের গপ্পো ... ...
উপরোক্ত লেখাটির ওপর kk, জিজ্ঞাসু, dc, যোষিতা, ফরিদা, দীমু, পলিটিশিয়ান, রঞ্জনদা ও কিশোরদা কিছু মন্তব্য করেছেন। প্রথম পর্বটি অনেকের ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় পর্বটি কারুরই পছন্দ হয়নি। তবে ভালো বা মন্দ যাই লাগুক তার প্রকাশ উপরোক্ত পাঠকগণ করেছেন মার্জিত আঙ্গিকে। এটাই বাঞ্ছিত। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তাদের মন্তব্যই এই পুনশ্চঃটি লিখতে উৎসাহিত করেছে ... ...
ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন গ্রামে ২০০৩-২০০৪ সালের পর থেকে মাওবাদী আন্দোলনের যে প্রভাব, তার বীজ তো নিশ্চয় পোঁতা হয়েছিল তার অনেক আগে কোনও না কোনও দিন। যদিও ঠিক কবে তা অরিন্দম জানে না। কিন্তু একটা জায়গার আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক কেমন হলে সেখানে এই ধরনের বীজ শত পুষ্পে বিকশিত হয় তাও অরিন্দমের পুরোপুরি জানা নেই। আজ ঘটনাটা শোনার পর থেকে ওর বারবারই মনে হচ্ছে, এই যে একটা এলাকার একটা বছর দশেকের ছেলে আপেল চেনে না, তা কি সেখানকার আর্থিক অবস্থার বা মাওবাদী আন্দোলনের বিকশিত হওয়ার একটা সূচক হতে পারে! ... ...
দুইদিন পর রোজিনা আচলের কাপড় ঘঁষতে ঘঁষতে যখন ছেলের জীবনবৃত্তান্ত বর্ণনা করা শুরু করেছিল, রওশানারা তাকে থামিয়ে দিয়ে কণ্ঠটা চিকুন করে জানতে চেয়েছিলেন, “আগে ক, পোলার কুনো ব্যারাম আছেনি?” এক গাল হেসে দিয়ে রোজিনা মোটা কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছিল, “ যেই হারে ব্যায়াম করে, ব্যারাম আইবো কোথ থনে? নিশ্চিন্ত থাহেন ফুবুয়াম্মা, পোলারে একটা কাশ দিতেও হুনে নাই কেউ কহনো। ‘’ ... ...
সমাজ সংসার মিছে সব... মিছে এ জীবনের কলরব? ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৩ … আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়, তাহলে তো খুব অনিশ্চিত ব্যাপার! উনি নির্মল হেসে দুটো হাত মুখের সামনে তুলে বলেন, বাবুজী, লেনে কে লিয়ে তো হ্যায় স্রিফ দো হাত - লেকিন দেনে কে লিয়ে হ্যায় হাজারো হাত। কুছ না কুছ মিল হি যাতা। কথাটা যে বিরাট ভাবগম্ভীর, তা নয়। তবে কিছু কথা কেতাবে পড়ে অলস ভাবনায় নাড়াচাড়া করা আর কাউকে সেটা গভীর বিশ্বাসে আঁকড়ে জীবন কাটাতে দেখার অভিঘাত আলাদা। দু হাত পেতে আশায় থাকা মানুষের সংখ্যাও তো কম নয়। তাই নিত্য অনিশ্চিয়তা এহেন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাও এতো বিনদাস ভাব! বলার ভঙ্গিতে এমন সহজ কথাও অন্তরাত্মা অবধি নাড়িয়ে দিল। তাই একযুগ বাদেও ভিন্ন জায়গার এই ভ্রমণবৃত্তান্ত লিখতে বসে তাঁর সেই অমল হাস্যময় মুখ মনশ্চক্ষে পরিস্কার ভেসে উঠলো। ... ...
ভোর চারটেয় আমরা তৈরী হয়ে নিলাম, বেরিয়ে দেখি রতন-জীও তৈরী। লোহার ঝাঁপ তুলে টর্চ নিয়ে আমরা যখন বেরোলাম, তখনও নিশুতি রাত বলা চলে। কনকচৌরি থেকে কার্তিকস্বামীর মন্দির প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরত্বে। আর মন্দিরে গেস্ট হাউজ প্রায় আড়াই কিলোমিটার। প্রবেশদ্বার দিয়ে যখন ঢুকলাম, দুশো মিটার মত বাঁধানো রাস্তা পেরনোর পর শুরু হল মাটির রাস্তা, ঘন জঙ্গলের পথ। এতক্ষণ বুঝিনি, জঙ্গলে ঢোকার মুহূর্তে বুঝলাম চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক, মনে পড়ল আজ কোজাগরী পূর্ণিমা। আকাশে থালার মত চাঁদ। একপাশে মেঘ হালকা রয়েছে যদিও, তবু আশায় বুক বেঁধে চলা। রাস্তা কখনো সমতল, কখনো চড়াই, কিন্তু এর আগের যেসব চড়াই পেরিয়ে এসেছি তার থেকে অনেক কম, আরও আশ্চর্য, পায়ের ব্যথা টের পাচ্ছি না একেবারেই, অতএব ভালো গতিতেই উঠছি। যত রাস্তা এগোচ্ছে, জঙ্গলের ছমছমে ভাব জাঁকিয়ে বসছে, চাঁদের আলোর আলপনা পথে, মাঝে মধ্যে খস খস, সর সর আওয়াজ! ... ...
আমেরিকায় নিজের দেশে বাড়িঘর ধ্বসে পড়ছে, ব্রিজ ধ্বসে পড়ছে, পাবলিক স্কুল কলেজের জন্যে টাকা নেই, জেলে পচছে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ। ... ...
জুল ভার্ণ তাঁর বই “ফ্রম আর্থ টু মুন” এ ১৮৬৫ সালে লিখে ফেললেন, “ ... এই চমকপ্রদ ধাতু রূপোর মত সাদা ভাবের, সোনার মতন অবনিশ্বর, লোহার মতন দৃঢ়, তামার মতন জুড়ে দেওয়া সহজ, আর কাঁচের মতন হালকা। এই ধাতুকে আকার দেওয়া সোজা, পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে এর আকরিক, বেশীর ভাগ পাথরেই কিছু না কিছু থাকে এই ধাতুর আকরিক, লোহার থেকে এক-তৃতীয়াংশ হালকা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এই ধাতু যেন আমাদের ‘প্রোজেক্টাইল’-এর জন্য একদম কাষ্টম-মেড”। ... ...