অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে নাকি সলিল চৌধুরী অশৌচ পালন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে বাংলা নাগরিক সঙ্গীতের বাবা ধরলে সলিল নিশ্চয়ই তাঁর উজ্জ্বলতম পুত্র। সেই হিসেবে পিতৃবিয়োগে কাছা-ধারণের মধ্যে আশ্চর্য কিছু নেই। অথচ সলিলের গান শুনে আর যার গানের কথাই মনে হোক, রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে না। হিমাংশু দত্তর কথা মনে পড়তে পারে, দ্বিজেন্দ্রলালের কথা মনে পড়লেও পড়তে পারে - কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নন। সঙ্গীতের অ্যাপ্রোচে এতটাই তাদের তফাত। অনেকটা যেন শচীনকর্তার "শ্যামরূপ ধরিয়া এসেছে মরণ" শোনার পরে ... ...
ছ্যাঁচড়াকোন এক বর্ষার সকালে জন্ম হয়েছিল ইন্দুবালার। কোন এক মাঘের কুয়াশা ভরা ধান ক্ষেতের আল দিয়ে হেঁটে বাবার হাত ধরে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। শুধু এইটুক মনে আছে ফুল ফুল ছাপ একটা ফ্রক পড়েছিলেন। গায়ে ছিল মায়ের বোনা সোয়েটার। মাথায় উলের টুপি। ঠাম্মার কাছে শোনা রূপকথার রানী বলে মনে হচ্ছিল সেদিন নিজেকে। ঠাকুরদার টোলটা তখনও চলছে টিম টিম করে। সেই টোলে বর্ণপরিচয়, ধারাপাত এইসব টুকটাক শিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বেশি দিন সেখানে পড়া হলো না। আমের গাছে মুকুল ভরিয়ে, সরস্বতী পুজোয় হাতে খড়ি দিয়ে দাদুর বড্ড তাড় ... ...
নেহি তো হাম সরকার বদল দেঙ্গে-২তাপস দাসদিল্লি থেকে অাগ্রা যেতে চাইলে দুটো পথ। এক, নয়ডা টু অাগ্রা, যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে। ঝা চকচকে ডিজাইন ইন্ডিয়া। অন্য পথ চিরাচরিত ধ্যারধেরা খানাখন্দর জ্যামে কাহিল পুরনো পথ। যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে চলতে গেলে অতিরিক্ত কড়ি গুনতে হবে। নো কড়ি, নো এন্ট্রি। মানে সবকা পথ নয়, সব কা বিকাশ নয়, কুছ কুছ লোগো কা বিকাশ । উদার অর্থনীতি, যার অাছে সে খাবে, যার নেই সে খাবে না ব্যাস। দেশ চুরি যাচ্ছে প্রতিদিন। দিল্লি কিষান মজদুর জমায়েতে কত লোক হয়েছিল? পঞ্চাশ লক্ষ, ... ...
নেহি তো হাম সরকার বদল দেঙ্গেতাপস দাসএন জি পি উদয়পুর অাপ এক্সপ্রেসে অামরা পাঁচজন। উঠেছি কিসানগঞ্জ থেকে। যাত্রাপথে পরিচয় হলো নেপাল ঝাপা জেলা, দমকের সূর্য কারকির সঙ্গে। অবসর প্রাপ্ত কমর্চারী। যাবেন মাউন্ট অাবু। ততক্ষণে কথায় কথায় জেনে নিয়েছেন অামরা যাচ্ছি দিল্লি। কিসান মজদুর সংঘর্ষ যাত্রায়। অামাদের সংগঠনের পতাকা দেখতে চাইলেন। তারপর হঠাৎ করে জানতে চাইলেন " অাপকা কমিটি মে লাইব্রেরী হ্যায়? পার্টি স্কুলিং হোতা হ্যায়? এ জরুরি হ্যায়। নেহি তো পার্টি মেম্বার কুছ নেহি শিখেগা।" অামি থতমত। উনি ... ...
এখানে বৃষ্টি থামলেও, ওখানে চলছেই। দিল্লীতে, রামলীলা ময়দানে, সংসদ ভবনের সাজানো গাছগুলোর ওপর সর্বত্র। সেই বৃষ্টিতেই পথ হাঁটছে লাখো জনতা। বৃষ্টি অগ্রাহ্য করেই বর্শামুখের মতো আকাশ ফুঁড়ে দেওয়া লাখো লাল নিশান। কারো ব্যানারে লেখা কৃষক শ্রমিক সংঘর্ষ সমিতি, কারো বা শুধুই সি আই টি ইউ। কিন্তু এমন জোর গলায় , যে শাসকের মুর্দাবাদ ধ্বনিতে ভেজা আকাশেই পাখি উড়ে যাচ্ছে কাতারে। নাসিক থেকে আসা বালু শঙ্কর, বেতিয়া জেলার গরহন রাম, রাজস্থানী কৃষক মডু রাম, বরদি রাম সবাই হাঁক দিচ্ছেন, খবরদার / মোদি সরকার। অ ... ...
দিল্লির রাস্তা আজ লালে লাল।দিল্লি আজ লালঝান্ডার দখলে।মিছিলের ছবি আর ভিডিওগুলো দেখছি আর মনে মনে একটু আপশোষ হচ্ছে।ব্যক্তিগত কারনের জন্য এবার যেতে পারলাম না বলে।শ্রমিক কৃষক মহিলা কারা নেই সেই মিছিলে!বিশেষ করে মহিলারা! দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে আসা তাদের ছবি আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গতবছরের এক দৃশ্যে।গতবছর নভেম্বরে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যৌথ প্ল্যাটফর্মের ডাকে তিনদিনের ধর্না দেওয়া হয়েছিল পার্লামেন্ট স্ট্রিটে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনে।তো সেই ধর্নায় যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের সংগঠনের ৪০ জনের একটা দল চেপে ... ...
পূর্ববঙ্গের ইতিহাসের উপরে গবেষণা ধর্মী বই লিখেছেন মুনতাসীর মামুন। বইয়ের নাম “কোই হ্যায়?” বইয়ের ফ্লাপে লেখা আছে - “পূর্ববঙ্গে ইংরেজ সিভিলিয়ানদের জীবন চর্চা, কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতোপূ্র্বে কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। পূর্ববঙ্গের ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ ড. মুনতাসীর মামুনের বর্তমান গ্রন্থ সেই অচেনা অজানা বিষয় নিয়ে। দীর্ঘদিন গবেষণার পর পূর্ববঙ্গ সম্পর্কিত সিভিলিয়ানদের লেখা ১৯টি স্মৃতিকাহিনীর ওপর ভিত্তি করে রচিত ‘কোই হ্যায়’। গ্রন্থের প্রথম পর্বে ইংরেজ বা ইউরোপিয়দের এ দেশে আগমন, ক্ষমতাদখল ও ঔপনিবেশিক শাস ... ...
ছায়া-আবছায়ার গপ্পোসপ্পো**********************আমার বাবা শিকারে যেতেন। তাঁর লক্ষ্যভেদ অব্যর্থ এবং প্রায় অলৌকিক পর্যায়ের। এই পর্যন্ত পড়ে মনে হবে আমি একটি জিম করবেটের নাতিসুলভ আখ্যানের ভণিতা শুরু করলাম।আমার বাবাকে যারা চাক্ষুষ দেখেছেন বা কোনো সূত্রে পরিচিত তাদের অনেক ভালবাসা শ্রদ্ধা তাঁর পায়ের ওপর জমে আছে এযাবৎ। ****প্রসঙ্গ : পশুপ্রেম, পৌরুষ কিংবা একটি সাদামাটা ভালোবাসার কথকতা।****সেই ভদ্রলোক, প্রদীপবাবু বা সকলের প্রিয় খোকনদা। চিরহাস্যময়, ... ...
বিউলির ডালভাদ্রের যে এমন নাভিশ্বাসের গরম আছে ইন্দুবালা আগে কখনও জানতেন না। কিম্বা ঠাহর করতে পারেননি তেমন। বিয়ের পর ছেনু মিত্তির লেনে এসে বুঝতে পেরেছিলেন শহুরে দমবন্ধ করা পরিবেশ কাকে বলে। গায়ে গায়ে ঠেকানো বাড়ি। চৌকো খোলা ছাদ। বাড়ির ভেতর থেকে একটুস খানি আকাশ। করপোরেশান কলের ছিরছিরে জল। শ্যাওলা ওঠা স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল। বড় সোঁদা সোঁদা গন্ধ। আশে পাশে কোন নদী নেই। পুকুর নেই। তার বদলে বাড়ির সামনে আছে মুখ হাঁ করা বড় বড় নালা। তার দুর্গন্ধ। হুল ফোটানো মশা। গা ঘিনঘিনে মাছি। আর সন্ধ্যে হলেই টিমটিমে ... ...
জর্জ অরওয়েলের খুব বিখ্যাত একটি উপন্যাস আছে অ্যানিলাম ফার্ম বলে।আমার খুব প্রিয় বই এটি।কমিউনিস্ট বিরোধী প্রোপাগান্ডার মধ্যে একদম ওপরের সারিতে রয়েছে এই বইটি।বইটিতে রূপকের মাধ্যমে একটা কমিউনিস্ট দেশের আভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা দুর্বলতাকে তুলে ধরা হয়েছে।মূলত আক্রমণটা করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে।বইটার ন্যারেটিভের জন্য নয়, আমার ভালো লাগার কারন ফর্মটার জন্য।ম্যানর ফার্মের সব জন্তুরা একবার ওল্ড মেজর যে নাকি একটা শুয়োর ছিল তার নেতৃত্বে একটা মিটিং এ বসল।সেখানে মানুষকে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হল আর মিস্ ... ...
আমাদের প্রথম শত্রু, বিধর্মীরা। টিভির দ্রৌপদী পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, এ দেশ হল হিন্দুদের। বাবর এসে দেহলির নাম করে দিয়েছেন দিল্লি, শাজাহান তেজঃমহলের নাম বদলে করেছেন, তাজমহল, সে অনাচার আর সহ্য করা হবেনা।সব বিধর্মী নাম বদলে দেওয়া হবে। মুঘলসরাই এর নাম হবে দীনদয়াল উপাধ্যায়, মোগলাই পরোটার নাম হবে শ্যামাপ্রসাদ । লালকেল্লা ইতিমধ্যেই ডালমিয়া কোম্পানির হাতে চলে এসেছে। যদিও বিশুদ্ধ হিন্দু সংস্থা, কিন্তু নামের শেষে 'মিয়া' থাকায় এখনও নাম বদলনো যায়নি, তবে চিন্তার কিছু নেই, শেষ দুটো অক্ষর বাদ দেবার সিদ্ধান্ত ... ...
জানলার কাছে বসন্তের নরম রোদে সার দিয়ে সাজানো আছে কাঁচের বড় বড় বয়াম। মুখ গুলো ঢাকা আছে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের ফেট্টিতে। বয়াম গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তার মধ্যে কি রসদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু যারা এই বাড়িতে রোজ ভাত খেতে আসে তারা ঠিক জানে। ভাতের পাতে লেবু, নু্ন, লঙ্কা দেওয়ার পাশাপাশি উড়ে বামুন ধনঞ্জয় একটু করে শালপাতায় ছুঁয়ে দিয়ে যায় বয়ামের সেই লুকোনো সম্পদ। কামরাঙা, কতবেল, জলপাই কিম্বা কোনদিন পাকা তেঁতুলের আচার। নতুন কাস্টমাররা অবাক হয়ে যায়। আর পুরোনো লোকেরা ভাবে আজ ... ...
আমরা তো ভুলি নাই শহীদ...দিনাজপুর প্রতিনিধি খবর দেওয়ার আগেই ফুলবাড়ি গণবিদ্রোহে গুলি চালানো প্রথম খবর পাই আন্দোলনের বন্ধুদের কাছ থেকে। তখনো গুলি আর টিয়ার শেল বর্ষণ চলছিলো (২৬ আগস্ট, ২০০৭, বিকেল বেলা)। আমি খবরটি নিশ্চিত করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরে পরিচিত সাংবাদিকদের টেলিফোন করা শুরু করি। অফিসে জানাই, টপমোস্ট নিউজ রেডি হচ্ছে।দিনাজপুরের সাংবাদিকরা তখন গুলিবর্ষণের খবরে মটর সাইকেলে ফুলবাড়ি রওনা হয়েছেন। পরিস্থিতির এতোটা অবনতি হবে তারা ভাবতেই পারেননি। তাই সেদিন সবাই দিনাজপুর সদরেই অবস্ ... ...
স্বাধীনতা, রাজনীতি, সং-এর গঠন, পিওর কটন, ইত্যাদি - স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ বিষয়ক কিছু চিন্তা (২)এই লেখার উদ্রেক-এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। উদ্রেকই বলবো, কারণ নিতান্তই উদ্রেক না হলে লিখতাম না। লেখার সময় বিশেষ নেই এই মুহূর্তে হাতে। কিন্তু এই লেখাটা লেখা গত দুদিনে খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে এই লেখা একাধারে একজন ব্যক্তিমানুষের এবং অপরদিকে একজন সংগঠকেরও বটে। ফলতঃ কিছু কথা আসবে ব্যক্তিমানুষের তরফে এবং কিছু কথা সংগঠকের দিক থেকে। আশা করি পাঠক এই দু'ধরণের মন্তব্যের কোনটি কার ... ...
পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম ভারত সফর।সাল ১৯৫২। প্রথম টেস্ট দিল্লিতে।পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারল না।ইনিংস ডিফিট।ভারত জয়ী এক ইনিংস সত্তর রানে।লখনৌর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান নামল ব্যাট করতে।প্রথম ইনিংসে তুলল ৩৩১ রান।নজর কাড়ল পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান নজর মহম্মদ।ওপেন করে পুরো ইনিংস শেষ হওয়া অব্দি নট আউট থেকে ১২৪ রানের দুর্ধর্ষ ঝকঝকে ইনিংস খেলে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিল তখন পুরো পাকিস্তান সেই ছেলেটাকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখলেও, এমনকি নিজেও নিজের কেরিয়ারের প্র ... ...
যে অঞ্চলে অভুক্ত অবস্থায় মৃত্যু সহজ একটি ঘটনা, যেখানে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে অভুক্ত শিশু, আবার যেখানে বৃদ্ধ মা বাবাকে পিটিয়ে মারে একমাত্র সন্তান -- সেখানে কবিতা কী! সেই দেশ কি এই একবিংশ শতকে দাবি করে এই পরিস্থিতিকে দূরে সরিয়ে শুধু ল্যাপটপ কিংবা স্মার্ট ফোনে লিখে ফেলতে কিছু ন্যাকান্যাকা পুচুপুচু প্রেমের কবিতা?"--- কথাটি ঝাড়গ্রাম শহরের একজন টোটো চালকের। যুবক। বয়েস তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশের মধ্যে। চোখে চশমা। ইংরেজি ভাষাতে তুখোড়। কথা বলে বুঝলাম, এমএসসি পাস। কিনা চাকরি নেই! তাই টোটো চালানোটাকেই পেশা ... ...
আজ ঝুলন| ছোটবেলায় আমাদের বাড়ীতে এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলো পুরোপুরিই ছোটদের খেয়ালখুশীর ছিল - এর কোন ধর্মীয় অনুষঙ্গ যে আদৌ আছে তাও জানতাম না| শুধুই আমাদের হাতে ছিল বলে, মজা ছিল অফুরান| তবে সম্বল খুবই কম| বিনাকার সঙ্গে পাওয়া সেই মিনিয়েচার জন্তুদের কথা অনেকেরই মনে আছে হয়তো | যখনই নতুন পেস্ট আসত, সযত্নে তাদের বার করে , তুলে রাখতাম একটা হরলিকসের ফাঁকা কৌটোয়| গন্ডারের সঙ্গে সিংহ, সিংহের সঙ্গে হরিণ সবাই মিলেমিশে সারাবছর থাকত সেই কাঁচের জারে| আর ছিল পুতুলের ঝুড়িতে মেলার থেকে কেনা পেটটি-নাদা বুড়োবুড়ি, আধবি ... ...
দেবব্রত বিশ্বাস খুব সম্ভবত: সর্বোচ্চ আলোচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। দিস্তে দিস্তে লেখা হয়েছে ওনার গান গাওয়া সম্পর্কে, তাঁর জনাদর সম্পর্কে, বিরুদ্ধতা ও তৎসহ তাঁর অভিমান সম্পর্কে। কিছু আমি পড়েছি।ওনার গানের যে দুটো দিক নিয়ে আমি বিশেষ উৎসাহী, সে নিয়ে খুব লেখাপত্তর চোখে পড়েনি। এক, ওনার গানের যন্ত্রানুষঙ্গ ও বিন্যাস (arrangement) আর দুই, গানকে নিজের strength -এর জায়গা থেকে গড়ে নেওয়া।প্রথমেই ধরুন যন্ত্রের ব্যবহার। শান্তিনিকেতনী ঐতিহ্যে রবীন্দ্র গানের সঙ্গে সঙ্গতে বেজেছে এসরাজ, তালে ক ... ...
যবে থেকে আটানা বিলুপ্ত হলো, বকুবাবু,নদীমাতৃক সভ্যতার থেকে, যবে থেকে বুনিয়াদী গোশালার ঠিকা নিলো রক্ষকবাহিনী,যবে থেকে, বকুবাবু, গেরুয়ার মানে শুধু ভয়,সেই থেকে, বকুবাবু, আমিও ভুলেছি ফুটানি।সেই কবে বিশটাকায় খেয়েপরে লাগাতার স্বাচ্ছন্দ্য কিনেছি,সে ছিল বিদিশাযুগ,জীবন যখন ছিল মোটামুটি বাওয়ালসম্মত।কিন্তু, ও বকুবাবু, শুনছেন...যবে থেকে আটানা বিলুপ্ত হলো হরপ্পার ভাঙা ম্যাপ থেকে,যবে থেকে তুমুল লগ্নির দাপটে আগুন লাগল ধানের গাদায়,যবে থেকে সুলভ ম ... ...
বেহাল পাছায় তার দৈনিক বরাদ্দ লাথ,তবু তার বেকারার দিল!দিনগত যত পাপ ধুয়ে দেবে সন্ধ্যের লাজবাব দারু,উপমাও এনে দেবে যথাযথ ইনসাফজমে গেলে তার মাহফিল।তাকে সব ছেড়ে গেছে, কেননা এ-মেহেঙ্গাবাজার কাউকেই দেয়নি সেই স্বঘোষিত পাঙ্গাসুযোগ।তবুও সে নির্বিকার, লড়ে যায়, হারামি এ-সভ্যতার খাল খিঁচে নেয়।দ্যাখো তার সমূহ রগড়।আ এমন ছায়াযুদ্ধ হাল ছেড়ে কখন সে অকারণ অশ্রুসজল,তখন সে মুন্না আজিজ,তখন সে মির্জা গালিব।পারবে, বসন্তসেনা, মৃচ্ছকটিকের ছেঁড়া পা ... ...