#চলো এগিয়ে চলি 2#সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্যবিবর্তনের ঠিক কোন জায়গায় মানুষ কথা বলতে শিখেছে আমার জানা নেই।তবে আগুনআবিষ্কারের চেয়ে এর গুরুত্ব কিছু কম নয়।মানুষের মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম জায়গাকথা বলা।A person with Autism Spectrum দের অসংখ্য সমস্যার মধ্যে কথা বলা,বাসঠিকভাবে ভাব প্রকাশ এর সমস্যা দেখা যায়শতকরা আশি ভাগ ক্ষেত্রে। কথা বলতে শেখার প্রথম শর্ত শুনতে পাওয়া,স্বরযন্ত্রের সক্ষমতা,এবং কথা মাথার ভিতরে তৈরি করা।বোধ্যাঙ্ক বা IQ একটা মানুষের নির্দিষ্ট মানের ন ... ...
#চলো এগিয়ে চলি#সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্যদ্রোণাচার্য অর্জুনকে বললেন, "ওই গাছের ডালে কী দেখতে পাচ্ছ বলো,,"অর্জুন বলল, "আমি শুধু পাখির চোখ দেখতে পাচ্ছি"।,,এর আগে তাঁর কোনও শিষ্যের উত্তর আচার্য দ্রোণের মনঃপূত হয় নি।অর্জুন শর সংযোজন করে শর নিক্ষেপ করলেন।পলকে চক্ষুবিদ্ধ সেই পাখি মাটিতে।মহাভারতের এই অংশ টি আমাদের মায়েদেরখুব প্রিয় বলুন।একটাই লক্ষ্য আমাদের বাচ্চা কে মানুষ করা, বড় করা। পাখির চোখ ।কিন্তু একজন বিশেষ শিশুর মা -বাবা যাঁরা, ওই গল্প আমাদের ও জানা আমর ... ...
তামুক মাঙায়ে দিছি, প্রাণনাথ, এবার তো জাগো!শচীন খুড়ার গান বাজিতেছে, বিরহবিধুর।কে লইবে মোর কার্য, ছবিরাণী, সন্ধ্যা রায়, মা গো!এইক্ষণে ছাড়িয়াছি প্রিয়ঘুম, চেনা অন্তঃপুর।তুহু মম তথাগত, আমি আজ বাটিতে সুজাতা।জাগি উঠ, কুম্ভকর্ণ, আমি বধূ, ভগিনী ও মাতা।তামুক সাজায়ে দিছি, দুয়ারে তৈয়ার তব হুঁকা।তোমা লাগি সাজিয়াছে, দ্যাখো, দেওদাসী সুতনুকা।কপালে বিন্দিয়া, আর, কেশদামে রচিয়াছি ফুল।রবিমামা দেয় হামা, তুমি নাক ডাকিছ আকুল।আজু শুভ রবিবার, কুচুমনা, গিয়াছ কি ভুলে? ... ...
একটি বই, আর আমার সময়বিষাণ বসুএকটি আশ্চর্য বইয়ে বুঁদ হয়ে কাটলো কিছু সময়। দি রেড টেনডা অফ বোলোনা।প্রকাশক পেঙ্গুইন মডার্ন। দাম, পঞ্চাশ টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মাত্র পঞ্চাশ টাকা।বোলোনা ইতালির এক ছোটো শহর। শহরের সব জানালার বাইরে সানশেডের মতো করে মোটা কাপড়ের ছাউনি। সেই ছাউনির রঙ লাল। সব বাড়িতেই। সময়ের প্রভাবে, কোনোটি উজ্জ্বল, কোনোটি বা ফিকে হয়ে আসা লাল। স্থানীয় ভাষায়, সেই ক্যানভাস কাপড়ের ছাউনির নাম টেনডা। টেন্ট শব্দটি কি একই সূত্র থেকে এসেছে? জানিনা। ... ...
গত ১৭ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ‘শিক্ষা দিবস’ ছিল। না, অফিশিয়ালি এই দিনটিকে শিক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বটে, কিন্তু দিনটি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। সেদিনই এটা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ১৭ আর ১৯ তারিখ পরপর দুটো পরীক্ষার জন্য কিছু লেখা হয়নি...১৯৬২ সালের এই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে চলছিল শিক্ষা আন্দোলন, সেই আন্দোলনে শরিফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে পুলিসের গুলিতে মারা যান নবকুমার স্কুলের ছাত্র বাবুল, বাস কন্ডাক্টর গোলাম মোস্তফা ও গৃহক ... ...
কেলেভূতকে (আমার কন্যা) ঘুড়ির কর (কল ও বলেন কেউ কেউ) কি করে বাঁধতে হয় দেখাচ্ছিলাম। প্রথম শেখার জন্য বেশ জটিল প্রক্রিয়া, কাঁপকাঠি আর পেটকাঠির ফুটোর সুতোটা থেকে কি ভাবে কতোটা মাপ হিসেবে করে ঘুড়ির ন্যাজের কাছের ফুটোটায় গিঁট বাঁধতে হবে - যাতে করে কর এর দুদিকের সুতো সখৎ সাম্যবাদী হয়ে উঠবে এবং আকাশে উঠে ঘুড়ি আচরণ করবে সুশীল সমাজের মতো মধ্যপন্থায় থেকে - সেই সূক্ষ্ম হিসেব অনেকটা রান্নায় নুন দেওয়ার মতোই।এখন তার বয়েস দশ হতে চললো, কিন্তু কেলে যখন নিতান্তই শিশুমাত্র তখন থেকেই আমার একটা চেষ্টা ছিল ... ...
এত্তো ভুলভাল শব্দ ব্যবহার করি আমরা যে তা আর বলার নয়। সর্বস্ব হারিয়ে বা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে যে প্রাণপণ চিৎকার করছে, তাকে সপাটে বলে বসি - নাটক করবেন না তো মশাই। বর্ধমান স্টেশনের ঘটনায় হাহাকার করি - উফ একেবারে পাশবিক। ভুলে যাই পশুদের মধ্যে মা বোনের বাছাবাছি আছে। মা বলে ডেকে ভুলিয়েভালিয়ে অন্ধকার কোণে ফুসলে নিয়ে যাওয়া নেই। বাগড়ি মার্কেটের সবহারা ব্যবসায়ীর কান্না দেখে আমাদের নিজস্ব মন্ত্রীমশাইয়ের প্রতিক্রিয়া শুধু নয়, উত্তর প্রদেশের সবার বড় মুখিয়াও একই কথা বলেছিলে ... ...
আমার জীবনে, যে কোন কারণেই হোক, সেলিব্রিটি ক্যাংলাপনা অতি সীমিত। তিনজন তথাকথিত সেলিব্রিটি সংস্পর্শ করার বাসনা হয়েছিল। তখন অবশ্য আমরা সেলিব্রিটি শব্দটাই শুনিনি। বিখ্যাত লোক বলেই জানতাম। সে তিনজন হলেন সৈয়দ মুজতবা আলী, দেবব্রত বিশ্বাস আর সলিল চৌধুরী। মুজতবা যখন মারা গেছেন তখনও আমি ঘুন্সি পরি। দেবব্রতর মৃত্যুর সময়ে আমার বয়েস এগারো-বারো। কাজেই এনাদের মূল্য আমি বুঝেছি অনেক পরে। সলিল চৌধুরী অবশ্য আমার যৈবনকাল অব্দি জীবিত ছিলেন, কিন্তু শেষ অব্দি আর সাক্ষাৎ করে উঠতে পারিনি।এখন মনে হয় এনাদের কারু ... ...
সতী : শেষ পর্বপ্ৰসেনজিৎ বসু[ ঠিক এই সময়েই, বাংলার ঘোরেই কিনা কে জানে, বিরু বলেই ফেলল কথাটা। "একবার চান্স নিয়ে দেখবি ?" ]-- "যাঃ ! পাগল নাকি শালা ! পাড়ার ব্যাপার। জানাজানি হলে কেলো হয়ে যাবে।"--"কেলো করতে আছেটা কে বে ? তিনকুলে কেউ আসে ? একা মাল। তিনজনের ঠাপ খেলে বাপ বলার জোর থাকবে না।"--"ঠাপের লোভ দেখাস না ওয়াড়া। একেই চড়ে আছে। ভালমন্দ করে দেব কিছু একটা।"--"ভালমন্দ করতেই তো বলছি শালা। তিনজন আছি। ঠিক সাল্টে নেব। কী ? ঠিক কিনা ?"প্রথমে ... ...
বিনোদবিহারী সখেদে বলেছিলেন, “শিল্পশিক্ষার প্রয়োজন সম্বন্ধে শিক্ষাব্রতীরা আজও উদাসীন। তাঁরা বোধহয় এই শিক্ষাকে সৌখিন শিক্ষারই অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছেন। শিল্পবোধ-বর্জিত শিক্ষা দ্বারা কি সমাজের পূর্ণ বিকাশ হতে পারে?” (জনশিক্ষা ও শিল্প)কয়েক দশক পরেও, পরিস্থিতি বদলায় নি। হয়তো, কিছুটা অধঃপতনই হয়েছে।শিল্প বা শিল্পীর প্রতি সাধারণ মানুষের অবজ্ঞা বা অনীহা চোখে পড়ার মতো। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও, যাঁরা এমনকি বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়ের চর্চা করে থাকেন, তাঁরাও রীতিমতো গর্বের সাথে বলে থাকেন, মডা ... ...
[মূল গল্প – Sentry, লেখক – Fredric Brown, প্রথম প্রকাশকাল - ১৯৫৪] ..................... বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহের মাটিতে কর্তব্যরত সে, জলে-কাদায় যতটা মাখামাখি, খিদে আর শীতে তার চেয়ে কিছু কম নয় ।এখানে আলোটা পাওয়া যায় এক বিদ্ঘুটে নীল রঙের সূর্য থেকে, আর মাধ্যাকর্ষণের যা দশা সে আর বলে কাজ নেই । সে যাতে অভ্যস্ত তার দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ এখানে, নড়াচড়া করাই দায় ।যুদ্ধের এমন কতকগুলো মৌলিক ব্যাপার আছে, লাখো বছরেও যার কোনও পরিবর্তন হয়না । যার ... ...
মানব ইতিহাসের যত উত্থান পতন হয়েছে, যত বিপদের সম্মুখীন হয়েছে তার মধ্যে বর্তমানেও যা প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে এমন কিছু সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শরণার্থী সমস্যা। হুট করে একদিন ভূমিহীন হয়ে যাওয়ার মত আতঙ্ক খুব কমই থাকার কথা। স্বাভাবিক একজন পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষ নিজেকে শরণার্থী বলে আবিষ্কার করার পিছনেও থাকে নানা প্রক্রিয়া। নিজের ও পরিবারের জীবন যখন ঝুঁকির মধ্যে পরে তখন কখন কিভাবে সে উদ্বাস্তু হয়ে যায় নিজেও সম্ভবত জানে না। তখন সে জানে শুধু জীবন বাঁচানো।বিশ্ব জুড়ে এ একে মারছে, ও ওকে মারছে আর ব ... ...
সতী : প্রথম পর্বপ্রসেনজিৎ বসুমেয়েটা মাসতিনেক হল এসেছে এই পাড়ায়।মেয়ে ? এই হয়েছে শালা এক মুশকিল ! বিয়ের পর মেয়েরা বউ হয়, কিন্তু ডিভোর্সের পর তারা কি বউই থাকে ? নাকি ফের মেয়ে বনে যায় ? জল জমে বরফ হয়। বরফ গললে আবার জল। কিন্তু এক্ষেত্রে ? ডিভোর্সি মহিলারা ঠিক কী শালা ? কুমারী নয়, কারণ ফুলশয্যা হয়ে গেছে। সধবা নয়, কারণ বর্তমানে বর নেই। আবার বিধবাও নয়, কারণ বর মরেনি। তাহলে ? ধ্যার ওয়াড়া ! ছেলেদের নিয়ে এসব ঝামেলা নেই। ছেলে ছেলেই। জল-বরফ-বাষ্প কিস্যু নয়। ছেলে। তো কথা হচ্ছিল এ ... ...
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের তরফ থেকে, বেশ কিছু লেখালিখি একসাথে সাজিয়ে, একটা সঙ্কলন প্রকাশিত হলো।নাম, ইতিহাসের সঙ্কলন, সঙ্কলনের ইতিহাস।একটা উদবেগজনক আর দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে আমরা এই বই প্রকাশ করেছি। সত্যি বলতে কি, এই বইয়ের জন্মের কারণই আমাদের উদবেগ, বিরক্তি, ক্রোধ, কিছুটা হতাশাও।গত দেড়-দুবছরে, এই রাজ্যে, চিকিৎসকদের উপর হামলা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। তথ্য হিসেব করলে, সংখ্যাটা দাঁড়ায়, গড়ে, প্রতি সাড়ে তিন দিনে, রাজ্যের কোনো না কোনো প্রান্তে, চিকিৎসকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ... ...
এক জীবনে একজন মানুষের কি চাওয়া থাকতে পারে? যদি সে হয় একটু অভিযান প্রিয়, যদি সে হয় পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছাসহ কোন মানুষ? কি চাইতে পারে সে? বিমল মুখার্জি নামক এক বাঙালি নিজের মনের ভিতরের দুনিয়া ঘুরে দেখার ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপান্তর করতে পেরেছিলেন। সাথে পেয়েছিলেন একজন মানুষ এক জীবনে যা চাইতে পারে তার সব। তিনি ডেনমার্কের এক ধনাঢ্য পরিবারের সর্বোচ্চ স্নেহ ভালবাসা পেয়েছিলেন। তারা তাকে তাদের সম্পত্তির অংশীদার করে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। জন্মদিনে বাড়ি, গাড়ি এমন কি বিমান পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।বিমান চালি ... ...
আমার বড় ভাই মেসবাহ রহমান, মানব গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর সাভার সিআরপিতে ভোর বেলা দেহ রেখেছিলেন, ঘুমের ভেতরেই হার্ট এটাক।সেদিন মর্নিং ডিউটি ছিল, সকাল ৭টার টেলিভিশন নিউজ বুলেটিন অন এয়ার হয়েছে মাত্র। এমন সময় ভাইয়ার নার্সের হাউমাউ কান্না। আমি তাকে স্থির বুদ্ধিতে একজন ডাক্তার ডেকে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বলি। অফিসে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ছুটি নিয়ে সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ছুটে যাই। পাগলের মত একেতাকে টেলিফোন করি, আমার একমাত্র ভাই!আগের দিনই ডে অফের বিকালে দুঘন্টার বাস জার্নি করে সাভা ... ...
#জলছবি-বাংলাদেশ ( সবার যেমন কিছু স্বপ্নের ভ্রমণ থাকে, আমারটা ছিল বাংলাদেশ। বাবা-পিতামো’র চরণধুলি যেখানে পড়েছিল সেই দেশ দেখব। এই ছিল স্বপ্ন। চূড়ান্ত পিতৃতান্ত্রিক ভাবনা। তবুও। গিয়েওছিলাম। অসম্ভব আনন্দ হয়েছিল। আজ প্রায় এক দশক পরে দেখছি স্মৃতিটা ঝাপসা হয়ে আসছে। কিন্তু এই স্মৃতিটা এমন, যাকে আমি একদম ফিকে হয়ে যেতে দিতে চাই না। সেই ধরে রাখার তাগিদে এই লেখা। তবে হয়তো একটু ভালবাসায় বায়াসড, কখনো বা পলিটিক্যালি ভুল লেখা হবে। যারা পড়বেন তাঁরা নিজ গুণে মার্জনা করবেন এই আশা। )দিন - ১ ... ...
অধিগঠন/অধোগঠন বা সারফেস আর ডিপ স্ট্রাকচার(একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। বিষয়টাই খুব জটিল। বুঝে গেলে অবশ্য মনে হবে, তেমন জটিল কিছু নয় তো! শুরুতেই তত্ত্বটা বলে নেওয়া হল। সেখান থেকে আমার জ্ঞানবুদ্ধি মত ব্যাখ্যায় যাবো। আর, যেহেতু মূল লেখার একটা অংশ অনুবাদ করে দেওয়া হল, একটু খটোমটো লাগতেই পারে। ফ্রেইরি পড়ে উপকৃত হবেনই পাঠক, কিন্তু তার জন্য একটু পরিশ্রম করতেও হবে। তাছাড়া, এইসব অপটু লেখা পড়েই সব বুঝে যাওয়া যাবে না … মূল লেখাগুলো পড়তেই হবে। ডায়ালোগ চাই। ‘অধিগঠন’ (‘surface structure’ ) আর ‘অধোগঠন ... ...
নেহি তো হাম সরকার বদল দেঙ্গে-৩তাপস দাস কংক্রিটের স্তূপের নীচে চাপা দেহটার একটা হাত, একটা পা বাইরে। ক্ষেতের পাশে মরে পড়ে থাকা ফুলে ওঠা পোকা পড়া বেওয়ারিশ নীল গাইয়ের মতো। ও যখন মাঝেরহাট ব্রিজের নীচে চাপা পড়ে, তখন কোলাহল থেমে ছিল মাত্র কিছুক্ষণ। তারপরে রাস্তার সৌন্দর্যের পোঁচ পড়েছে। মোলায়েম পিচে ঢেকে দিয়েছে ক্ষত স্থান। মুখ্যমন্ত্রী হেঁটে যাবেন সপার্ষদ। ব্যঙ্গ বিদ্রূপে ঢেকেছে মগজ। তার বেশি কিছু নয়। মিছিল হয় নি। মিছিল সাজে নি। চোখের জলের অপচয় করে নি কেউ। রেগে ফেটে পড়ে নি কেউ। এমনকি তার ... ...
Bury my heart at wounded knee - An Indian history of the American west বইটি লিখেছেন আমেরিকান লেখক ডি. ব্রাউন। বাংলায় অনুবাদ করে আমার মত মূর্খকে এই দারুণ করুন ইতিহাস কে জানতে সহায়তা করেছেন দাউদ হোসেন। অনুবাদক এর বাংলা নাম দিয়েছেন “আমারে কবর দিও হাঁটুভাঙ্গার বাঁকে”। অনুবাদ মোটামুটি ভাল, পাঠযোগ্য। যেহেতু এটা উপন্যাস না তাই উপন্যাসের রস জাতীয় কিছু এখানে নাই। এর রস যা আছে তা পুরোটাই ইতিহাস। পৃথিবীর ইতিহাসের কালো দিক গুলোর মাঝে অন্যতম আমেরিকা মহাদেশ থেকে রেড ইন্দিয়ানদের নিশ্চিহ্ন করার ইতিহাস। স্পর্শকা ... ...