সাম্য অনেক বিষয়ে গল্প লিখেছে, কিন্তু দাঙ্গা বা সম্প্রীতি নিয়ে একটিও নয়। নয় মানে লিখতে পারেনি। লিখবে কী, আজ পর্যন্ত দাঙ্গার সঙ্গে ওর প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ ঘটেনি। খুব ছেলেবেলার একটা দৃশ্য ওর মনে আছে। ওরা যে শহরে থাকে, সেখানে হঠাৎ কী কারণে যেন গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। কী গণ্ডগোল, কোথায় হচ্ছে-- এসবের কিছুই জানা নেই সাম্যর। ও দেখল ওর বাবার চোখেমুখে আতঙ্কের ছবি। বাবা অফিস কোয়ার্টারের সিঁড়ি বেয়ে একবার উঠছেন, আবার নেমে আসছেন উদ্বিগ্ন মুখে। একটা আতঙ্কের পরিবেশ যেন। ওই ছোটোবেলায় এসব বোঝার কথা নয় ওর। বোঝেওনি। বাবার ওই সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামার মধ্যে কেমন মজা পেয়ে গিয়েছিল। আজও যখন দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে, তখনই চোখে ভেসে ওঠে সেই সিঁড়ি ভাঙার দৃশ্যটা। এরপর দাঙ্গার সঙ্গে ওর পরিচয় ঘটে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে। সেই ৬ ডিসেম্বর সাম্য ছিল স্বরূপনগরে, থানার উদ্যোগে একটা যাত্রা উৎসবে। সন্ধের সময়ও জানে না কী ঘটনা ঘটে গেছে দূরে অযোধ্যা নগরীতে। থানার ও সি পরিচিত। তিনি যেন কেমন অস্থির ছিলেন। মুসলমান অধ্যুষিত স্বরূপনগরে সেদিন ব্রজেন দে-র বাঙালি পালা খুব জমেছিল। হিন্দু-মুসলিম শিল্পীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভেরী বাজিয়েছিলেন রঙ্গমঞ্চে। মাঝরাতে সাম্যরা ফিরেছিল। রাস্তায় দেখেছিল যাত্রা ফেরত মানুষেরা ফিরে যাচ্ছে গল্প করতে করতে। তাদের মধ্যে হিন্দু ছিল, মুসলমানও ছিল। ইছামতী নদী পার হয়ে শহরে যখন প্রবেশ করল, তখনই আতঙ্কের সঙ্গে ওর পরিচয় ঘটল। মোড়ে মোড়ে পুলিশ। সাম্যদের ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, কোথা থেকে আসছেন, কী ব্যাপার ইত্যাদি। এই ব্যাপারটা নিয়ে একটা গল্প লিখেছিল সাম্য। আতঙ্কের পরিবেশে মানুষের স্বাভাবিক আচরণের গল্প। এই স্বাভাবিকতা যেন দাঙ্গার বিরুদ্ধে দৃপ্ত প্রতিবাদ। তবু সেখানে দাঙ্গা ছিল না। চেষ্টা করেও লিখতে পারেনি সাম্য। এখন যেন সেই সুযোগ এসে গেল সাম্যর। ... ...
আরে ধুর, ছেলেটা হাত দিয়ে যেন হাওয়া তাড়ায়। এক জায়গায় দুবার কখনও হবে না, টেররিস্টরা কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলে? আবার কোথাও করবে, পুলিশ টিকিও ছুঁতে পারবে না। পুলিশও কোন ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না। দুই টেররিস্ট তো পরশুদিনই এনকাউন্টারে মারা গেছে। একটা তৃপ্তির হাসি ছড়িয়ে পরে সুবিমলের মুখে। কিন্তু কি অডাসিটি , তারপরেও আবার ব্লাস্ট হয়েছে। তার মানে বুঝতে পারছ? গমগম করে ওঠে সুবিমলের গলা। পাকিস্তানের মদত আর ট্রেনিং। সবকটা মুসলমানকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিলে তবে যদি কিছু হয়। কিন্তু এনকাউন্টার করল কেন? খবরের কাগজ থেকে মুখ সরাল উপরের বার্থের লোকটা এবার। ওদের ধরতে পারলে তো বরং কিছু খবর জানা যেতো। হয়তো পরের ব্লাস্টটা হত না। সবাইকে চমকে দিয়ে সালমা বলে ওঠে, আল্লা জানেন, পিছন থেকে গুলি করে মেরেছে ছেলেটাকে, ওদের হাতে তখন কোন হাতিয়ার ছিল না। তার জলভরা চোখ বোরখার সীমানা ছাড়ায়। হঠাত কামরাটা এক মুহূর্তের জন্য নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কিন্তু পর মুহূর্তে সুবিমল ঝাঁঝিয়ে ওঠে, বেশ করেছে, এতগুলো নিরীহ লোকের জান নিতে ওদের তো হাত কাঁপেনি। দেশের দুষমন সব। ধরে ধরে সবাইকে গুলি করে মারা উচিত। সালমার কান্না আর নিঃশব্দ রইল না। বাধ্য হয়ে রমাকে বলতে হল , তুমি থামো তো একটু। সব জায়গায় গিয়ে তোমাকে পুলিশগিরি করতে হবে না। ... ...
আমার বাবা জন্মসূত্রে হিন্দু হলেও পূর্বপুরুষের আদিবাস ছিলো ভাটি অঞ্চলের ময়মনসিংহে। মাটির সূত্রে, ভাষার সূত্রে যাদের সঙ্গে আত্মীয়তা, নাইবা থাকলো ব্যক্তিগত পরিচয়, পারেননি দুর্ভাগ্যের দিনে তাদের প্রতি উদাসীন থাকতে। একটি পলায়নপর ক্ষুধাতুর, ক্লান্ত দলকে নিজের সীমিত ক্ষমতায় একটু বিশ্রাম একটু আহার দিতে চেষ্টা করেছেন। বাবা দুঃসাহস করেছিলেন। নিজে আক্রান্ত হতে পারতেন। বাগান আক্রান্ত হতে পারতো। ঘরছাড়া মানুষ যেটুকু সম্বল পারে নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলো অজানা নূতন ঠিকানার খোঁজে। পথেই ছেড়ে যেতেও হচ্ছিলো কিছু। এক দর্জি তার সেলাইকলটি --ফুটমেশিনটি নিয়ে যাত্রা করেছিলো, যেখানেই যাক করে খেতে তো হবে। পঞ্চাশ টাকার বিনিময়ে সেটি বাবার কাছে বিক্রি করে গেলো। ওটি বহন করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিলনা আর, পাথেয়র প্রয়োজনও ছিল। আমাদের মা আমাদের সম্বতসরের জামাকাপড় সেই মেশিনে সেলাই করতেন। সেই মেশিনে জড়িয়ে ছিলো ঘরহারার দীর্ঘশ্বাস । ... ...
এই তো গেল খাওয়াদাওয়া। আলতাফের আরও অনেক গুণ। সে গড়গড়িয়ে সংস্কৃত বলতে পারে, ইতিহাসের বৈদিক যুগ তার খুব পছন্দের, কেনোপনিষদে কত নম্বর সূক্তে যম নচিকেতাকে কী কী বলেছিল সে সব তো বটেই উর্দু আরবি কোরান হাদিসও একইরকম ভাবে হজম করে ফেলেছে মহাভারতের ইল্বল বাতাপির মতো। তারপর আগেই বলেছি তার পরোপকারের তুলনা নেই। আলতাফের খুব পছন্দের শব্দ হল ইত্তেফাক অর্থাৎ কিনা কোইন্সিডেন্স অর্থাৎ কিনা সমাপতন। ওতেই জীবনের সব রহস্য লুকিয়ে আছে বলে ওর মনে হয়। এই যেমন আমার বন্ধু রিনা আর্কাইভের গবেষণা করতে দিল্লিতে না এলে আলতাফের সঙ্গে আমার দেখাই হত না। এরকম অজস্র ইত্তেফাকের কাহিনি নিয়ে আলতাফের সোজা সরল মজার জীবন। আমি বললুম, চলো, হজরত নিজামুদ্দিনের দরগায় একদিন যাই। যেখানে উনি সাধনা করতেন সে নাকি খুব শান্তির জায়গা। আমার বন্ধুরা বলেছে। আলতাফ একটু চুপ করে রইল, বলল, আপনি বলছেন, আমি নিশ্চয়ই যাব কিন্তু আমি মসজিদ দরগায় যাই না, তাই আপনাকে হয়তো ভালো করে গুছিয়ে সব বলতে পারব না। আমি বললাম সে তো আমিও নিয়মিত মন্দিরে যাই না। তাতে কী এসে গেল? মেহবুব-এ- ইলাহি এই সুফিসাধকের দরগায় সব ধর্ম আর জাতের মানুষরা যায়। আর এখানেই পাশাপাশি চিরশান্তিতে শুয়ে আছেন মুরিদ আর মুরশিদ, শিষ্য আর গুরু। চিস্তি সুফিয়ানা সিলসিলা ধরে রেখেছে বিখ্যাত শায়ের, সংগীতজ্ঞ, কাওয়ালির স্রষ্টা, ভাষার জাদুকর আমির খুসরো আর তাঁর গুরু নিজামুদ্দিন আউলিয়ার গভীর প্রীতিময় আখ্যান। ... ...
সে কি আর নীতেশ রবিদাস জানে না? পৌরসভার নোটিশ পেয়ে কার কাছে না গিয়ে ধর্ণা দিয়েছে তারা। ব্রিটিশ আমল পার হয়ে পাকিস্তানি আমল, জয়বাংলা, কেউ তাদের ওঠাতে চায়নি। ফুলে ফেঁপে বড়ো হয়েছে তাদের পরিবার। বাঁশের বেড়া দিয়ে খোপ খোপ বিভক্ত হয়েছে পরিবার। চামড়া সেলাইয়ের কাজ ছেড়ে রংমিস্ত্রি, রিকশা মিস্ত্রি, কত পেশায় ছিড়িয়ে গেছে তারা। কিন্তু সন্ত ঋষি সন্তানদের ওঠানোর চিন্তা করেনি কেউ। দ্য প্যারাগন হাউজিংই প্রথম এদের উৎখাতের প্রসঙ্গ ওঠায়। কেউ তখন পাশে দাঁড়ায়নি একা বদরুল ছাড়া। তাও নিশীথের কারণে। সব জানা আছে নীতেশের। মনে আছে তখন আর কেউ এগিয়ে আসেনি। এ নিয়ে সীতেশবাবুর সাথে তর্ক বাড়িয়ে লাভ নেই। সে এসেছে তারা এবার মা দুর্গার পূজা করবে এটা জানাতে। বাঙালি না হলেও দীর্ঘদিন এই বাঙালি সমাজে থেকে তারা মনেপ্রাণে বাঙালি সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে। আর এ যেন সেই দুর্গোৎসব শুরুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, খেয়ে পরে সবাই ভালো আছে তাই উদ্বৃত্ত টাকায় শারদীয় ঊৎসবের আয়োজন। মূল স্রোতে মিশে যাওয়ার চেষ্টা। ... ...
কমল বলে, “এই বাড়ি আপনাদের কাছ থেকে আমি কিনে নেব। দেখবেন আমি কেমন যত্ন করে রাখব। নতুন বাঁধন দেব, ভাঙ্গা ইঁট বদলাব, চুনকাম করব।” মজিবুল মাথা নেড়ে হাসে, বলে, “এমনই হবার কথা ছিল, কমলবাবু।” রেজওয়ানা বোঝে না মজিবুল কী বলতে চায়। তারপর কমল বলে, “কাল শুক্রবার। ছুটির দিন। আমার একটা অনুরোধ রাখুন আপনারা। আজ রাতে আপনারা এখানে থেকে যান। রাতের খাবার তৈরি। মনে করুন আপনারা আজ স্বাধীন, বেড়াতে এসেছেন আপনাদের শহরেরই আর এক প্রান্তে এক হোটেলে।” রেজওয়ানা কমলের দিকে তাকায়, একটা সন্ধ্যায় কমলের মুখটা মনে হয় বয়সে ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে। এমন ভাবে জীবনকে দেখা যেতে পারে, ভাবে রেজওয়ানা, এভাবেও বেঁচে থাকা যায়। দুজনে যে কখন কমলের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করল তারা নিজেরাই জানল না। সন্ধ্যাতারা কখন ডুবে গেছে। রেজওয়ানা কবির আর ড্রাইভার সেলিমকে ফোন করে খবরটা জানিয়ে দিল। ... ...
সিন্ধু নদকে ছেড়ে ইসমত আর কীর্তনখোলা নদীকে ছেড়ে সআদত এসে পড়েছিল এক নতুন দেশে, যেখানে তারা সংখ্যালঘু। তবু তারা বেছে নিয়েছিল এই দেশটাকে, কেন-না, মাঝখানের এই দেশটাই জুড়ে রেখেছিল পরস্পরের জন্মভূমিকে। পালানোর আগে স্থির হয়েছিল, দু'জনের দেখা হবে দিল্লিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে─সবে পঁচিশ বছর বয়স তখন তার, সেভাবে সেজে ওঠেনি তখনও, ওরা চিঠিতে জানিয়েছিল, জেনেছিলও এমন-কি, সেই প্রায় সদ্যোজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনেই থাকবে তারা; সেখানেই দেখা হবে তাদের, বহুদিনের দাবদাহের পর বৃষ্টি নামবে চোখের পাতায়─আনন্দজল। সআদত তাকে বাংলা ভাষাশিক্ষার কিছু প্রাইমার রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠালেও ইসমত তখনও বাংলা ভাষাটা পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারেনি, কারণ যেহেতু তার বাড়িতে সবাই উর্দুতে কথা বলে, ফলত তার বাংলা বলার অক্ষম চেষ্টায় ক্রিয়াপদ গুলিয়ে যায় এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়ে উর্দু শব্দ। সআদত যে তাকে বাংলা শেখার জন্য জোরাজুরি করেছিল, তা নয়; বরং ইসমত নিজেই চেয়েছিল ভাষাটা শিখতে : ওদের বিয়ের পর সআদতের আম্মি-আব্বুর সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করে তোলার উপায় হিসাবেই বিষয়টাকে দেখেছিল ইসমত আর তাই বছর ঘুরতে-না-ঘুরতেই মোটামুটি চলনসই একটা কথোপকথনের ভাষা, নিজের মতো করে, তৈরি করে নিতে পেরেছিল সে। ... ...
এটা হবেই, জানা কথা। তাই গত দশ বছরে বেশ কয়েকবার একা বা ওর দলের সঙ্গে এই বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেও ভেতরে কখনো পা রাখার কথা ভাবে নি রাজিয়া। তিনতলায় উঠে আসা তো দূরের কথা। ওকে ওর দীক্ষা মা বলেছিল পুর্বাশ্রমের কথা সম্পূর্ণ ভুলে যেতে হয়। হিজড়া সমাজের এটাই নিয়ম। তাই রাজেশনারায়ণকে মুছে ফেলে ওকে দেওয়া হয়েছিল ওর নতুন নাম। দীক্ষা মা জিজ্ঞেস করেছিল, “কি নাম নিবি রে বেটি?” রাজেশের মনে পড়েছিল ছোটবেলার কথা। ইস্কুলে ইতিহাস পড়ার সময় কেমন কখনো নিজেকে মনে হত লক্ষীবাই, কখনো রাজিয়া সুলতানা। পুরনো নামের সঙ্গে মিলিয়ে তাই নিজের নতুন নাম রেখেছিল রাজিয়া। পূর্বাশ্রমের কথা এতদিন তো ভুলেই ছিল। তাই এমনকি পুজোর কদিন মনটা হু হু করলেও কখনও এদিকে পা মাড়ায় নি ও। কিন্তু আজ আর কিছু করার নেই। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সিংহভবনের চৌকাঠ পেরোতে হল রাজিয়াকে। উকিল বলেছে, এনআরসিতে নাম তুলতে হলে বার্থ সার্টিফিকেটটা যেভাবেই হোক নিয়ে যেতে হবে। বাকি কাগজপত্র, অপারেশানের সার্টিফিকেট সব যোগাড় হয়ে গেছে। শুধু এইটাই বাকি। জীবনও কখনো কখনো কিছু কৌতুক করে। আজ রাজিয়ার নাগরিকত্ব প্রমাণের কাজে লাগবে দশ বছর আগে বিসর্জন হয়ে যাওয়া রাজেশনারায়ণের জন্মনথি। যাকে কেউ মনে রাখে নি। রাজিয়া নিজেও না। ... ...
রমজান মাস পড়ল। সে সময় চলছে বাগদি পাড়ার পুন্যি পুকুরে জবকার্ড থেকে মাটি কাটার কাজ। বেলা বারোটা। সব পাড়া থেকেই দু-চারজন করে কাজে লেগেছে। যারা রোজা রেখেছে, খালি পেটে টলছে। তখন বাগদি পাড়ার কেউ একজন বলে উঠল, তুমরা যারা রোজা রেখেছ, ঘর যাবে তো চলে যাও। বাকি কাজ আমরাই করে দিব। এত রোদে খালি পেটে আর খাটতে হয় না। দুগি বাগদির মেয়েটার বিয়ে লেগেছে মাছডোবায়। জামাইকে দিতে হবে একখানা নতুন সাইকেল, হাত ঘড়ি, আর নগদ পনেরো হাজার টাকা। কোথায় পাবে দুগি! খালেবিলে, নদীতে, মুয়ানে মাছ ধরে সে। দুগি গেল মল্লিকপাড়ার ঝড়ো মল্লিকের কাছে। গিয়ে সব কথা বলে আবদার করে বসল, ও চাচা, দুগিটার বিয়ে লাগাইছি। তুমি কিছু দিবে নাই? ঝড়ো মল্লিক বলল, ও মা, এ তো খুশির খবর! মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিস, কিছু দিতে হবে বইকি। তা কী দিলে খুশি হবি বলত? আবদুল চাচা তো সাইকেলটা দিচ্ছে, তুমি একখানা ভালো হাত ঘড়ি কিনে দিও তাইলে। ... ...