হ্যাঁ, রাশিয়ানরা মনে করেন সান্টা নাকি ইললিগাল ইমিগ্র্যান্ট। তাহলে রাশিয়ান বাচ্চাদের বড়দিনের সময় উপহার দেন কে? কেন ডেড মরোজ। রাশিয়ার একদম উত্তরে নাকি তাঁর বাস। ডেড মরোজ এবং সান্টার মধ্যে অনেক পার্থক্য। ডেড মরোজ উপহার দিতে বেরোন ইংরিজী নববর্ষের আগের দিন, বড়দিনের আগের দিন নয়। ডেড মরোজও স্লে চড়েন কিন্তু স্লে'টি টানে ঘোড়ায়। ওঁর সাথে থাকে আকর্ষণীয়া নাতনি স্নেগুরোচ্কা। এহেন ডেড মরোজ আসলে পশ্চিমী দুনিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়ানদের জেহাদ - ঠান্ডা যুদ্ধ। ... ...
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে গ্রীন একার্স মলে গত ২৮শে নভেম্বর ভিড়ের চাপে মারা গেলেন দিমিতাই দামোর (ডাকনাম জিমি) নামে ওয়াল মার্টের এক ৩৪-বছর বয়সী অস্থায়ী কর্মী । কালো শুক্রবার বা ধন্যবাদজ্ঞাপন দিবসের পরের দিন দারুণ সস্তায় কেনাকাটা করার জন্য ভোর সাড়ে তিনটে থেকে ঐ দোকানের সামনে যে ভিড় হয়েছিলো তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ ডাকতে হয়। এরপর ভোর পাঁচটায় দোকান খোলার কয়েক মিনিট আগে প্রায় ২০০০ লোকের চাপে দোকানের কাঁচের দরজা ভেঙে যায় এবং ভিড় সামলাতে সচেষ্ট জিমি ও তাঁর সহকর্মীরা পাগলপারা ক্রেতাদের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। জিমি পড়ে যান কালো লিনোলিয়াম টালির ওপর আর তাঁর দেহের ওপর দিয়ে দোকানে ঢুকে পড়েন শয়ে শয়ে উৎসাহী ক্রেতা। ... ...
উত্তর ইরানের একটি শহর থেকে গত এক সপ্তাহে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের পোষাকের জন্য। দেশব্যাপী পশ্চিমী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রচার এতে নতুন মাত্রা পেল । ইরানে এখন কারুর গায়ে আধুনিক পোষাক দেখলেই তাদের আটক করে , ঈশ্বরবিরোধী আখ্যা দিয়ে, চূড়ান্ত হেনস্থা করা হচ্ছে এবং তাদের বলপূর্বক পোষাকসম্পর্কিত নিয়ম (অবশ্যই সরকার প্রবর্তিত) মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনিতে এই পোষাক নিয়ে বাড়াবাড়ি ইরানে নতুন নয়। ... ...
শীত এসে গেল। ক্রমশ কমে আসছে তাপমাত্রা, গরম জামারা সূর্যের আলো দেখছে ইতিউতি, ছুটির দরখাস্তর ফাইলটা মোটাসোটা হচ্ছে প্রতিদিন, হাওয়ায় খুশি খুশি ভাব। এই সপ্তাহের খবর্নয়, তাই, খুব হালকা আর মজাদার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হলো না। কথায় আছে, Man proposes but God disposes . তাই এই সপ্তাহের খবর্নয় ছেয়ে থাকছে শুধুই সমস্যা, যাদের জন্য রোজ লক্ষ লক্ষ শব্দ খরচ হয়। আমরা তো ""শিক্ষিত ও প্রগতিশীল"", আসুন কিছু শব্দ অপচয় করে সেটাই প্রমাণ করি। ... ...
এসে গেছে ক্রিসমাস। বিদেশে এই সময় দোকানে, বাজারে, শপিং মলে সর্বত্র দেখা যায় হাসিখুশি, মোটাসোটা, লাল পোশাক পরিহিত সান্টা ক্লজ। সান্টা সাজা কিন্তু সহজ নয়। একে তো শারীরিক গঠন সান্টার উপযুক্ত হতে হবে, তার ওপর এই একমাস সাংঘাতিক পরিশ্রম করতে রাজী থাকতে হবে। সবাই জানে যে সান্টা স্লে চড়ে তাই গাড়ি চালিয়ে কাজে যাবার অনুমতি নেই এই নকল সান্টাদের। কর্মক্ষেত্র থেকে বেশ খানিক দূরে তাদের গাড়ি রেখে হেঁটে আসতে হয়। তার ওপর থাকতে হবে বেশ ভালো অভিনয় ক্ষমতা। ছোটদের তো মনে হতে হবে যে আসলে এই সান্টা তাদের গল্পের বইয়ের আসল সান্টা। জার্মানীতে এই মুহূর্তে সান্টা সাজার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ... ...
আপনার হাতে যদি এমন ক্ষমতা থাকে যে নবজাতকের যা খুশি নাম দিতে পারেন অথচ কেউ আপত্তি করার থাকবেনা, তাহলে বুঝতেই পারছেন অপছন্দের লোকজনের ছানাপোনা হলে অদূর ভবিষ্যতেই খেঁদি-পেঁচা-মামদো ইত্যাদি নামাঙ্কিত মানুষজনের খুব একটা অভাব হবে না চারপাশে। তাহলে যে সব বিজ্ঞানীরা নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন, সে ছাই হোক না কেন ছোট্টো একটা মাছি কিংবা পচা গোবর বা আনাজপাতিতে গজিয়ে ওঠা মোল্ড খাওয়া গুবরে পোকা? সম্ভাবনাটা ভাবুন, শুধু আপনাকে ঐ নতুন প্রজাতিখানা আবিষ্কার করতে হবে। ... ...
সদ্য সমাপ্ত হল আমেরিকার ঐতিহাসিক ভোট। প্রত্যাশা মতনই বারাক ওবামা সামলাবেন হোয়াইট হাউস। সারা দুনিয়ার লোক কম বেশি খবর রাখেন এই নির্বাচনের। সন্দেহ নেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আমাদের খবর্নয়েও তাই এসে পড়েছে ভোট। আমেরিকায় ভোট হল এবং দিনের শেষে জেনে গেলাম ফলাফল। ভোটাররা একটা সুইচ টিপছেন আর ভোট শেষ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের এমন সুযোগ সুবিধা কিন্তু সর্বত্র নেই। যেমন আফ্রিকা মহাদেশের গাম্বিয়ায় ভোট হয় মার্বেল দিয়ে। বুথে থাকে অনেক মার্বেল আর প্রার্থীদের রং ও ছবি লাগানো লোহার ড্রাম। ভোটদাতারা মার্বেল নিয়ে পছন্দমতন একটি ড্রামে ফেলেন। ... ...
র্যাঙ্কিং আমাদের খুব প্রিয়। সেরা ছাত্র, সেরা গ্রন্থ, সেরা গান ইত্যাদি ইত্যাদি নানারকম তালিকা বানিয়ে চলি বছরজুড়ে। সেই তালিকায় এক অভিনব সংযোজন ঘটলো কদিন আগে। ফোর্বস পত্রিকা সম্প্রতি র্যাঙ্কিং করলো "মৃত সেলিব্রিটিদের রোজগার" এর নিরিখে। সেই তালিকায় প্রথম নাম, এলভিস প্রিসলি। গত একবছরে ৫২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি। তালিকায় তিন নম্বর নামটাও বেশ চমকপ্রদ। "ডার্ক নাইট" খ্যাত হিথ লেজার আয় করেছেন ২০ মিলিয়ন ডলার। ... ...
সেই ছোটবেলা থেকে আমাদের সঙ্গে ভাইরাসের আলাপ। জীব ও জড়ের মাঝে থাকা এক কিম্ভুত বস্তু, যাদের জীবনধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য প্রজনন, তাদের সম্পর্কে আমাদের অগাধ বিরক্তি ও অজস্র জিজ্ঞাসা চিরকাল। সেই অসংখ্য প্রশ্নেরই একটার উত্তর মিললো সম্প্রতি। বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন এমন এক ভাইরাস, যে স্বজাতির দেহেই সংক্রমণ ঘটায়। বিভিন্ন শ্রেণীর প্রাণী ও উদ্ভিদদেহে থাকার সময় ভাইরাস বংশবৃদ্ধি ঘটায়, এবং তার ফলে সেই প্রাণী বা উদ্ভিদকোষটি ধ্বংস করে বেরিয়ে যায়। এই প্রথম জানা গেল নতুন এক প্রজাতির ভাইরাসের কথা, যে এক বিশেষ ধরণের জায়ান্ট ভাইরাসের কোষে বংশবিস্তার করে। নতুন পাওয়া এই ভাইরাসের নাম - "স্পুটনিক"। ... ...
পেটরোগা বাঙালীরা যেখানে সারাদিন গ্যাস অম্বলের ওষুধ পকেটে নিয়ে দিন কাটান সেখানে কেউ যদি দুবেলা পাথর চিবিয়ে খাবার কথা বলেন, তাহলে বাঙালী তো তাকে মহাপুরুষ বলে ধরে নেবেই। গল্প উপন্যাসে এইসব মহাপুরুষদের কথা মাঝে মাঝে আমরা শুনেওছি। তবে এতদিনে মনে হয় সেই সব মহাপুরুষদের চোখে দেখার সৌভাগ্য হবে আমাদের। যদিও এনারা কেউ মহাপুরুষ নন, বরং মহানারী বলা যায় এঁদেরকে। সকাল বিকেল পাথর চিবিয়ে খান এঁরা। তবে এই পাথরে দাঁত ভাঙেনা। ... ...
আমরা, মানে মানুষরা একে অপরকে চিনি মুখ দিয়ে। বিভিন্ন লোকের মুখ এবং ধরা যাক হাতের ছবি মেলাতে বললে কিন্তু বেশ মুশকিলেই পড়ব। আরও মুশকিলে পড়ব যদি হাতের বদলে যেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পোশাকে ঢাকা থাকে সেইসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মেলাতে দেওয়া হয়। কিন্তু শিম্পাঞ্জীরা অবলীলাক্রমে মিলিয়ে দিতে পারে মুখের সাথে পশ্চাৎদেশ বা যৌনাঙ্গ। সম্প্রতি "অ্যাডভান্স সায়েন্স লেটার" নামক জার্নালে এমনই একটি পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। এই পরীক্ষায় বেশ কিছু শিম্পাঞ্জীকে তার সাথীদের পশ্চাৎদেশ এবং যৌনাঙ্গের ছবির সাথে সাথে মুখের ছবি দেখানো হয় এবং শিম্পাঞ্জীরা সহজেই মিলিয়ে দেয় বন্ধুদের যৌনাঙ্গ এবং পশ্চাৎদেশের সাথে মুখ। ... ...
মিশিগানের সেই দম্পতিকে মনে আছে তো? এই গেল সপ্তাহেই যাদের খবর বেরিয়েছিল? আমেরিকায় রিয়েল এস্টেটের বাজার এখন বেশ মন্দা যাচ্ছে, বাড়ি বেচা-টেচা বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিন-কে-দিন। তো গেরি আর সিন্ডি মান তাঁদের বাড়ি বেচার এক অভিনব প্ল্যান বের করেছিলেন। পুতুলের বাড়ী বিক্রী করতে চেয়েছিলেন এক লাখ উনসত্তর হাজার ডলারে, সাথে নিজেদের বাড়ি ফ্রি। আসলে নিজেদের বাড়িটাই বেচা উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু খদ্দের জুটছিল না। তা, এই পুতুলের বাড়ীর সাথে আসল বাড়ীটি বেচার ফান্ডা তো মার্কেটে হু-হু করে ছড়িয়ে গেছে, তাঁদের বাড়িটা ইন্টারনেট আর মিডিয়ার কল্যাণে রাতারাতি বেশ বিখ্যাত হয়ে গেছে। এইমাত্র খবর পাওয়া গেল, তাঁদের বাড়ি কেনার লোক পাওয়া গেছে। আরও ভালো খবর, সেই ক্রেতা কেবল মূল বাড়িটাই কিনছেন, পুতুলের বাড়ীতে তিনি হাতও লাগাচ্ছেন না। ... ...
বাদ্যযন্ত্রের অভাব? সঙ্গীতে বৈচিত্র্য চান? একঘেয়েমি কাটাতে, বা সম্পূর্ণ মৌলিক ঘরানা শুরু করতে চাইলে জাপানের জো মাসাওকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারেন। কুড়ি বছর বয়স থেকে মি: মাসাও বেলচা বাজান। গত ডিসেম্বরে ""বিশ্ব বেলচাবাদ্য প্রতিযোগিতা""য় (এই প্রথম এমন প্রতিযোগিতা হলো) বিজয়ী হওয়ার পর থেকে ৬৬ বর্ষীয় জো'র জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিযোগিতায় ৪০ জন অংশ নিয়েছিলেন। ... ...
সবাই জানে দুটো বিন্দুর মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব হচ্ছে সরলরৈখিক। তাই বলা যায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার সময় সরলরৈখিক পথে চললেই সবথেকে কম এনার্জী খরচ হবে। কিন্তু পাহাড়ে চড়ার সময় গল্পটাই অন্যরকম। পাহাড়ে চড়তে আমাদের শরীরের ক্রিয়াকলাপ, বা এনার্জী খরচ করার পদ্ধতি সম্পূর্ণ বদলে যায়। চড়াই ওঠার সময় এমন এক একটা মোড় আসে যেখানে সরল রৈখিক দূরত্ব অতিক্রম করা "মেটাবলিকালি" অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ। তাই আমরা এঁকেবেঁকে চলে কমিয়ে নিই কষ্ট। ... ...
সিয়েরা লিয়ন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ। বলাবাহুল্য, অত্যন্ত গরীব দেশ। ১৯৯১ থেকে ২০০২ অবধি গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশের অন্যতম প্রধান শহর ফ্রিটাউন থেকে সুইডেনের এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিল এক ফুটবল ক্লাব, এফ সি জোহানসন। এই প্রথম কোনো আফ্রিকার দল খেলল এই টুর্নামেন্টে, তাই উদ্যোক্তারা যারপরনাই উত্তেজিত ছিলেন। যদিও এটা কোনো খবর নয়। প্রথমবার খেলেই প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়ে দেশে ফিরেছে এফ সি জোহানসন, এটাও খবর না। খবর হলো, দেশে ফিরতেই দলটি বাঁধনছাড়া অভ্যর্থনা পায়, কারণ, তারা ফিরে এসেছে। এর আগে অনেকবারই এই দেশের অ্যাথলিটরা বিদেশে গিয়ে বেপাত্তা হয়ে গেছেন, স্রেফ খেয়ে-পরে একটু ভালোভাবে থাকার আশায়। ভালো-খারাপের ঊর্ধ্বে, হয়ত বা শুধু বেঁচে থাকতেই ওঁরা এভাবে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ... ...
ছোট্ট থেকে মিতুলের মা মিতুলকে শেখায়, কোনও খাবার একা একা খাবে না, ভালো খাবার হলে, সবাইকে দিয়ে খেতে হয়, সবার সাথে মিলেমিশে খেতে হয়। ... বাঁদরের মা বাঁদরছানাকে এইরকমভাবে শেখায় কিনা জানা যায় নি, তবে বাঁদরেও দিয়ে থুয়ে খাওয়া পছন্দ করে। অন্যের সাথে মিলেমিশে খাবার যে মজা, অন্যকে কিছু দেবার মধ্যে নিজের ভেতরকার যে আনন্দ, তা বাঁদরের মধ্যেও বিলক্ষণ প্রকাশ পায়। আমেরিকান গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন। ... ...
সারা বিশ্ব যখন মেতে রয়েছে খেলার মহাযজ্ঞে, চতুর্দিকে কান পাতলেই যখন শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের মেডেল কাউন্ট আর তার সাথে অনেক সাফল্য আর ব্যর্থতার খবর - ঠিক সেই সময়েই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত যে আপাতত খেলাধুলো, বিশেষ করে গলফের মতন খুব দামী খেলাধুলোকে কিছুদিনের জন্য সরিয়ে রাখা দরকার। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট Lee Myung-Bak এক নতুন নির্দেশ জারি করেছেন যে প্রশাসনের সাথে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা যেন কিছুদিন তাঁদের গলফ খেলার অভ্যেসটাকে সামলে রাখেন। ... ...
পৃথিবীর দীর্ঘতম রেললাইন কোনটি? ছোটবেলায় জানা অজানার কথায় আমরা সবাই পড়েছি ৫৭৭২ মাইলের ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে। কিন্তু আর বেশিদিন না। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবছরের শেষেই শুরু হচ্ছে লণ্ডন থেকে নিউ দিল্লী হয়ে ঢাকার ট্রেন। পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথ প্রায় ৭০০০ মাইল লম্বা। ট্রেন চলবে পুরনো সিল্ক রোড ধরে - ইস্তাম্বুল, তেহরান, লাহোর হয়ে দিল্লী ও শেষে ঢাকা পৌঁছতে লাগবে সব মিলিয়ে ২৩ দিন। ইউনাইটেড নেশনের এই প্রোজেক্টে ভারত এখনো অবধি ৯০ মিলিয়ন পাউণ্ড খরচ করেছে। শুধুই পর্যটন নয় নতুন এই রেল খুলে দেবে বাণিজ্যের দরজাও। সহজে, কম পয়সায় জিনিষপত্তর আদান প্রদান করা যাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনার মধ্যে আছে লণ্ডন থেকে চীনের ইউনান প্রদেশ ও সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ স্থাপন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে দিয়ে যেতে গেলে ভিসা লাগবে কি? এখনো ঠিক জানা নেই। ... ...
কখন কি ঘটে যায়, কিচ্ছু বলা যায় না। টগবগে ফিটনেস নিয়ে অনেককে সুস্থ ও দীর্ঘজীবী হতে দেখা যায়, এতে তেমন অবাক হওয়ার কিছু নেই। অবাক লাগে যখন টগবগে স্বাস্থ্য নিয়ে একজন প্রফেসর নিজের মৃত্যুদিন জেনে নিয়ে শেষ বক্তৃতা দিয়ে যান হাসিমুখে, এবং বক্তব্য রাখার মাঝে রীতিমত ডনবৈঠক দিয়ে প্রমাণ করে দেন শ্রোতাদের অধিকাংশের থেকে তিনি বেশি ফিট। আর এর থেকেও আশ্চর্যের কথা হলো, ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত ওজন কখনো কখনো মৃতসঞ্জীবনীর কাজ করতে পারে। যেমন কিনা ঘটতে পারে রিচার্ড কুই নামের এক মৃত্যুদন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামীর ক্ষেত্রে। ... ...
পূর্ব ডেনমার্কের দু-হাজার বছরের পুরনো এক কবরখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু দেহাবশেষ, বিজ্ঞানীদের অপরিসীম আগ্রহ জাগিয়ে। সেই সব দেহাবশেষ পরীক্ষা করে তাঁরা যা জানতে পেরেছেন, তা হিটলার প্রবর্তিত বহুচর্চিত আর্যজাতিতত্ত্বকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। দুহাজার বছর আগেকার সেই সব দেহাবশেষে এত ধরণের জেনেটিক ভেরিয়েশন পাওয়া গেছে, যা-যা আজকের পৃথিবীর মানুষের দেহে পাওয়া যায়। ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেন থেকে সম্প্রতি অ্যামেরিকান জার্নাল অফ ফিজিকাল অ্যান্থ্রোপলজিতে প্রকাশিত এক রিসার্চ পেপারে এর ওপরে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা নাজিদের সযত্নলালিত "নর্ডিকরাই সুপিরিয়র" আইডিয়ার মূলে কুঠারাঘাত করে। ... ...