দোলকবিতা: ২০১১ ... ...
রামকিঙ্করময় ছেলেবেলা নিভৃতে পথ হেঁটেছিল যেদিন মায়াসার চুপকথা পার হয়ে উপত্যকা বনানীর জালিকাবিন্যাসে বিনষ্টপ্রায় শুকনোধারা নদীর ভাঙতে থাকা পাড় ধরে চলে যায় চলে যায় নিরভ্র দ্যুতি নিরন্তর বিস্তার উপেক্ষা করে ... ... ...
কথাগুলো মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিল আমি সাততাড়াতাড়ি আমার খেলার মাঠটা বার ক'রে দিলাম বললাম, খেলো সে হাসলো, আর খেলতে লাগলো বন্ধুদের ডেকে নিয়ে একরাশ সাজোয়ান সুঠাম পা, নিরুপায় বল এপার ওপার হচ্ছে আমার সুখ হলো আবার সেদিন ভোর ভোর চোখ কচলাতে কচলাতে দেখি আমার জলার ধারে সে উবু হয়ে বসে ঘাস কাটছে ভালো লাগলো জানেন। ... ...
সরোদ বাজছিল। সরোদ এসেছে রাবাব থেকে। শুনেছি, জানিনা। সরোদ পার্সিতে মেলোডির মানে বয়ে চলে। সামনের জলচল খালটি বইছে না। নারীটি বইছে না। নাকি বইছে? শূন্যে স্থির হয়ে আছে কার আকাশবাড়ি? সতত ঈশ্বর তুমি চাঁদের আশেপাশেই থাকো, নাকি অন্যে আবাস তোমার আভাসে প্রকাশো? আমার এত এত জিজ্ঞাসা! আমার সারা জীবন শুধু জিজ্ঞাসা। অথচ... ... ...
আকাশে তাকিয়ে আছে একটি পেরেক মাটিতে ঘুমিয়ে আছে একটি পেরেক সকল পথের আগে গাভীর মতন চোখ মেলে থেমে আছে একটি পেরেক এগিয়ে চলেছো কেউ পথের উপর এই ধুলো এই রোদ পেরিয়ে পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে কেউ আকাশের নিচে ফুটে থাকা অসহায় পেরেক মাড়িয়ে ... ...
ভ্যালেন্টাইনের সোনালী বিকেলে কলম ধরতে গিয়ে ভেসে গেলেন, ভাসিয়ে দিলেন মহাকবি ফরিদা ... ... ...
আমি এই নাছোড় অভ্যেসে / অহোরাত্রি হাবুডুবু, আর ... / কি ভাবে খন্ডাবো বল এই প্রত্ন-রোগ / উচিত তর্কের মত সহজাত দোষ! / কুলগ্না জাতক, নেহাত আনাড়ী মেয়ে / গুরুচন্ডালী দোষে একা ... ...
আমার বেদনা তুমি টের পাও অন্তর্যামিনী? / নীচু হয়ে বসে রয়েছ- টিলার ওধারে / ঝাউবন, আদিগন্ত বালি ... ... ...
হয়ত তখন তুমি ভেবেছো / এই পথে একদিন কে যেতো / ঝোলা ব্যাগ কাঁধে ফেলে নিঝঝুম ... ...
আম ফলেছে গোটা গোটা / বৈশাখকে চেনো / কাঁঠাল আসবে গোটা গোটা / জষ্ঠিকে চেনো ... ...
লম্বা গাছের মত জীবন / নীচে নদী আর বড় বড় নৌকোর ছবি / ক্যালেন্ডারের মতন দরকারি মানুষেরা বাজারের জন্য ... ...
শৌখিন ও লাজবাব / সারাগায়ে দৈনিক সিনেমাপত্রের জামা পরে / ভোরবেলা ঘুম ভাঙে সাবানবালক... / ভাষা তার কোনোদিনই বেস্ট ফ্রেন্ড নয়, ... ...
কোনো সমুদ্রের হোটেলে বন্ধ ঘরের মধ্যে আমি মরে গেছি। ধরো, সেসময় ভোর পেরিয়ে সকাল। ঘরের জানালার কাচে বাইরের সাদা আলো। প্রতিদ্বন্দী অন্য হোটেলের ঘরগুলিতে যারা আছে- যেসব সংসার অথবা একলা মানুষ, তারা এসময় জেগে উঠে প্রকৃতির টানে হয়তো বাথরুমে, হয়তো নির্ভার হয়ে এসে বিছানায়। কেউ রাতের কোঁকড়ানো চুল চিরুনি লাগিয়ে সোজা করছে, কেউ ভুল মোজা ভুল পায়ে পরে তা আবার সংশোধন করছে। সমুদ্রে ঢেউ উঠে পাড়ে ছুটে আসছে পরপর। সকালের নরম, শীতল ঢেউ। সৈকত নির্জন। শুধু বিগতদিনের আস্ফালন, রক্তপাত বা ধস্তাধস্তির ছাপ বালিতে লেগে আছে। জীবন্ত হয়ে আছে পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া দুইজোড়া পায়ের ছাপ। বহুদূর তারা পাশাপাশি হেঁটে গিয়ে বাঁক নিয়ে কোথাও অদৃশ্য হয়েছে। ঝাউবন ঠাণ্ডা। তার গোড়ায় গোড়ায় পরিষ্কার বালি। হোটেলের ডেস্কে যে মানুষ কর্তব্য সামলাতে এইমাত্র এসে বসল, সে এখানে আসার আগে বাতাসে তার শেষ হাই ত্যাগ করে এসেছে। সমুদ্রের হোটেলে যে মেয়েরা আছে, এখন তাদের জল দিয়ে ধোয়া পরিচ্ছন্ন যোনি। জামার নীচে শান্ত স্তন। যেসব পুরুষেরা দিগ্বিজয় করে এখানে এসেছে, তাদের পুরুষ্ট লিঙ্গ এখন মৌনসাধকের মতো ক্ষমাশীল। তাদের মুখগহ্বরে শুদ্ধ আত্মার গন্ধ। তাদের আঙুলের গাঁটে বাদশাহের মতো অসংখ্য চুনি-পান্নার আংটি সকালের আলোয় ঝিকমিক করছে ... ...
দ্যাশে ফির্যা পুzI / থিম - চীz - পিzI / হবু গবু রাzI / বুলবুল ভাzI ... ...
আওয়াজ তার - আকা কাই আকা কাই / খালি কাই খালি কাই ... ...
অনেকটা বিকেল হয়ে গেছে। এইবার আমি অলিখিত কৃষ্ণগহ্বরগুলো নিয়ে আরেকবার বেড়াতে চাই সারাটা অঞ্চল। এখন কিছুটা ভালো, যদিও সেই কতবার বিউটি অ্যান্ড দা বিস্ট নামক তীব্র আশাবাদী ... ...
যে কবি, সে কবি হতে চায় না কোনোদিন; / জোৎস্না তো চাঁদের, চাঁদ ফিরে পেতে চায়? / জল কি ডাঙার কাছে রেখে যায় হীণ / স্রোতের আক্ষেপ? শুধু বহতা শেখায়। ... ...