ভূতের মতো কান্ড যেমন নির্বোধ অতি ঘোর যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন চৌকিদারই চোর আপনারা ভোটের ভিডিও দেখেছেন, ভাটের ভিডিও দেখেছেন। দুই যোগ করে যা হয়, এই হল সেই বস্তু। এই বাজারে আঁচ না পোয়ালে পিছিয়ে পড়বেন। ... ...
"লিখতে বসে বেশ গুরুগম্ভীর ভূমিকা লিখব ভাবছিলাম। ফ্যাসিবাদ, মানুষের অধিকার নিয়ে বড়সড় কিছু লিখব ভাবছিলাম। হল না। তাই যা দেখেছি তাই লিখেছি। ব্যক্তি মানুষের দেখার চোখের কিছু ভুল ত্রুটি থেকে গেল হয়তো। কুড়ি মার্চ বিকেলে প্রেস ক্লাব প্রথম যাই। হোলির সপ্তাহ। পরিবারের সাথে সময় কাটাবো বলে তিনটে দিন ছুটি নিয়েছিলাম। একুশ তারিখ নেহাত ই উৎসুক হয়ে দেখতে গেছিলাম এস এস সি র অনশন মঞ্চে। শোস্যাল মিডিয়া তে কদিন ধরে বিভিন্ন পোস্ট থেকে অনশন র কারণ অথবা এই কদিনে অনশনের জন্য বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা কানে আসছিল।..." -এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রত্যক্ষদর্শীর প্রতিবেদন ... ...
এই টুকরো খবর এবং ছবিগুলি ঠিক যে ভাবে হাতে এসেছে, সেভাবেই তোলা হল। ধূলাগড় নিয়ে অজস্র উড়ো খবর ইত্যাদিতে অন্তর্জাল ছেয়ে যাবার পরে এই ছবি এবং খবর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলেই মনে হয়। পঁচিশে বৈশাখে পরস্পরকে রাখি পরিয়ে আপন করে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রায় ২০০-২৫০ হিন্দু মুসলমান। তারপর একে অপরকে রাখি বেঁধে শুরু হয় পদযাত্রা আর তার সাথে মৈত্রীর বার্তা হাতে নিয়ে হাতে হাতে সোনালি সুতো বেঁধে দেওয়ার পালা। হাওড়া জেলার এই অঞ্চল, যেখানে বিগত ডিসেম্বর মাসে ইদ মিলাদ উন নাবি উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখা গিয়েছিল, সেই অঞ্চলের বহু সাধারণ মানুষ অভাবনীয় স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে যোগ দিলেন এই উৎসবে। ... ...
কোলকাতা মেডিকেল কলেজে পুরনো হস্টেলের কিছু ছবি ... ...
কর্পোরেটাইজড পুলিস স্টেটের চেহারা বাস্তবে কিরকম হতে পারে কলিঙ্গনগরের দিকে তাকালেই তা বেশ মালুম হবে। উড়িষ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা দুটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিসের ভূমিকা যখন স্ক্যানারের তলায়, কার্যসিদ্ধি করবার জন্য পুলিস চমৎকার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। বাইরে থেকে আদিবাসীদের নিয়ে এসে প্রথমে স্থানীয় প্রতিবাদীদের সাথে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারপর "আইনশৃঙ্খলা' রক্ষার জন্য পুলিস হস্তক্ষেপ করছে। ... ...
পরঞ্জয় গুহঠাকুরতার বক্তব্যে প্রাধান্য পায় দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা। এই দেশের রাজনৈতিক সামাজিক প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের সচেতন ব্যবহার যে কতটা জরুরি এবং সেই সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সৎ স্বাধীন সাংবাদিকতাকে কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে প্রসঙ্গও উঠে আসে। ... ...
নব দত্তকে সাদা পোশাকের পুলিশ গ্রেপ্তার করে, যা পুলিশের গ্রেপ্তার বিধি সংক্রান্ত মামলায় (AIR 1997 SC 610) বিচারপতি ডি এ বসুর রায়ের সম্পূর্ণ বিরোধী। নব দত্তের পরিবারকে তার গ্রেপ্তার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয় নি। ওঁদের গ্রেপ্তারের সময় কাউকেই কোন 'অ্যারেস্ট মেমো' দেওয়া হয় নি, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এই ঘটনায় পুলিশের কার্যকলাপ প্রমান করে যে আইনের শাসন ভেঙ্গে পড়ার মুখে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদী স্বরকে বোবা করে দেবার স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র। ... ...
১৩ বছর চা বাগান বন্ধ। সরকার থেকে আসা সমস্ত রকমের ভাতা এপ্রিল থেকে বন্ধ। এবং এত কিছু বন্ধের মধ্যে অনাহারে গন্ধ না শুঁকে, লোকদেখানো চিল্লিমিল্লি না করে নীরবে সরকারি হাসপাতাল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে (নাকি উপেক্ষা করে!) চিকিৎসাহীন মারা যাচ্ছেন শ্রমিকরা। হয়তো দয়ার বা ভিক্ষার দান আর নেবেন না মনস্থির করেছেন। বাগান শ্রমিক স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন, ‘– কেন আমাদের সব সময় সবকিছু চেয়ে নিতে হবে। এসব কি দয়ার দান নাকি ? –’ অধিকার সচেতন শ্রমিকদের মৃত্যু কেড়ে নিচ্ছে প্রশাসনের রাতের ঘুম। ... ...
অনুবাদ ঃ জারিফা জাহান এরপরই সরকার বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস বের করে। ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এদের মধ্যে মালতী দাস নামে এক সমাজকর্মী, গুলির ক্ষত নিয়ে আইসিইউ তে ভর্তি। বাকি আহতরা হলেন অনিমা খাতুন, রাশিতা খাতুন, গৌতম বৈশ্য এবং উৎপল পত্গিরি। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ, শহরের বহু প্রতিবাদী কর্মীকে হুমকি ও ধরপাকড় শুরু করেছে, এদের মধ্যে বিশেষত কেএমএসএস ( কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি) এর ওপর তাদের নেকদৃষ্টি পড়েছে। কেএমএসএস দলনেতা ও উপদেষ্টা বেদান্ত লস্কর, যুগ্ম সাধারণ সচিব ধৈয্য কানোয়ার এবং কেএমএসএস কর্মী গোপী সাইকিয়াকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন? কারণ তাঁরা প্রতিবাদীদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন। বেদান্ত এবং গোপী তো ঘটনাস্থলে উপিস্থিতই ছিলেন না, বাইকে চেপে ফেরার সময় শহরের মধ্যে ওঁদের ধরা হয়। আজ তাঁদের আইপিসির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ এনে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে তোলা হয়েছে। ... ...
লিঙ্গকে এস্সার মামলার একজন আসামী হিসেবে দেখায় পুলিশ, এ ছাড়াও তাকে অভদেশ গৌতম মামলাতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়(যদিও সেই ঘটানাটি ঘটেছিলো প্রায় এক বছর আগে)। চার্জশীট যখন দাখিল করা হল তখন বোঝা গেল যে সাক্ষ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করে লিঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা আনা হয়েছে সেটি একটি টাইপ করা কাগজ যেটাতে নাকি অভদেশ গৌতমের সই রয়েছে। তো ঐ বয়ানে লেখা আছে তার বাড়ীতে হামলা হবার কিছুদিন পরে তিনি নাকি "শুনতে" পান যে কিছু পার্টিকর্মী, যারা আরো দূরের গাঁয়ে থাকে, তারাও নাকি কোথাও শুনেছে যে ঐ হামলার মুল মাথা ছিলো লিঙ্গ। এবং এই লিঙ্গই নাকি হবে মাও পার্টীর ভবিষ্যত মুখপাত্র। শুধুমাত্র এই একটি ই "প্রমাণ" রয়েছে পুলিশের কাছে। একটি টাইপ করা কাগজ। এবং সেটি যদি জেনুইন বলেই ধরে নেওয়া যায়, তাহলেও একেবারেই কোনো মামলায় ফাঁসানোর জন্য গ্রাহ্য হতেই পারে না। কারন খালি একটা "গুজবে"র কথাই বলা হয়েছে এতে। ... ...
মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্তৃপক্ষের অপরিসীম উদাসীনতা তাদের ঠেলে দিয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পথে। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ এবং মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমের বিস্ময়কর নীরবতার কারনে সাধারন মানুষের কাছে তাদের সমস্যা এবং এবং কার্যকলাপ অনেকটাই অজ্ঞাত। আন্দোলনকারী ছাত্র আলমগীর খান তাদের সাম্প্রতিক অবস্থা এবং পরিকল্পনা জানিয়েছেন এই লেখায়। ... ...
মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্তৃপক্ষের অপরিসীম উদাসীনতা তাদের ঠেলে দিয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পথে। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ এবং মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমের বিস্ময়কর নীরবতার কারনে সাধারন মানুষের কাছে তাদের সমস্যা এবং এবং কার্যকলাপ অনেকটাই অজ্ঞাত। ক্যাম্পাসের সাম্প্রতিক খবর জানিয়েছেন সুজন ভট্টাচার্য। ... ...
৭ই ফেব্রুয়ারী আন্দোলনরত ছাত্ররা এসে পৌঁছয় দুর্গাপুরে। এনাইটির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ৪০ জন ছাত্র। এরপর ৯ তারিখ এনআইটি-র ডিরেক্টর মৌখিকভাবে একটি আলোচনাসভার প্রস্তাব রেখেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। দুর্গাপুরে অবস্থানরত ছাত্ররা সেই মর্মে তাদের সহপাঠী এবং অভিভাবকদের ওইদিন দুর্গাপুরে আসার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এই আলোচনাসভা শেষ অবধি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিনা বা হয়ে থাকলেও সেখানে কি আলোচনা হয়েছিল, কোনো সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছিলো কিনা সেসব জানা যাচ্ছে না। তবে জানা যাচ্ছে যে দুর্গাপুরের আন্দোলন নিয়ে ৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিলো ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে। তার মধ্যে একটি 'এই সময়' এবং একটি 'আনন্দবাজার পত্রিকা'-য়। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনটিতে একটি আলোচনাসভার উল্লেখ রয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে ওই আলোচনাসভায় সমাধানসূত্র মেলেনি। ... ...
৮ই জানুয়ারি ২০১০ থেকে ১২ ই জানুয়ারি ২০১০, নন্দন চত্বরে চলছে লিট্ল ম্যাগাজিন মেলা। মেলার সময় প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত আটটা। প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মেলার মতই, এখানেও উপস্থিত আছে কাগুজে গুরুচণ্ডালি। মুক্তমঞ্চ যেখানে বাঁধা হয়, তার কাছেই ৯৯ ও ১০০ নং স্টল আমাদের। ... ...
৮ই জানুয়ারি ২০১০ থেকে ১২ ই জানুয়ারি ২০১০, নন্দন চত্বরে চলছে লিট্ল ম্যাগাজিন মেলা। মেলার সময় প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত আটটা। প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মেলার মতই, এখানেও উপস্থিত আছে কাগুজে গুরুচণ্ডালি। মুক্তমঞ্চ যেখানে বাঁধা হয়, তার কাছেই ৯৯ ও ১০০ নং স্টল আমাদের। ... ...
৩০ জুন, ভোর ৫টা। গ্রামটি ঘিরে ছিলো যৌথ বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের ৩০০ জনের একটি দল। জঙ্গলে ঝোপে লুকিয়ে ছিলো লাঠি আর বন্দুক। শেষ পর্যন্ত ওরা এলো। মাথায় কলো কাপড়, জংলা ঊর্দি গায়ে ওরা এলো অসংখ্য জিপ আর কালো ভ্যান নিয়ে। সাথে এলো ওখানকারই বীরচন্দ্রী গ্রামের বীর চাঁদেরা, সিপিএম কর্মীরা। প্রশান্ত দাস আর জিতু সাউ, স্থানীয় সিপিএম নেতা। এরা অবশ্য এর কিছুদিন আগে থাকতেই সোনামুখীতে আসছে আর শাসিয়ে যাচ্ছে মহিলাদের - ইজ্জত থাকবে না। ৩০ জুন, যখন যৌথ বাহিনী এলো তখন গ্রামের পুরুষরা সবাই গ্রাম ছেড়ে গেছে। সেটা বড়ো কিছু নয়। এ তো নিত্যনৈমিত্যিক। পুলিশ বা যৌথ বাহিনী আসছে খবর পেলেই পুরুষদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। অন্যথায় মার-ধোর, জেল-হাজত, মিথ্যা মামলা-হয়রানি। সোনামুখী ও তার আশেপাশের গ্রাম বীরহান্ডি, শিমলি, বাঁকশোল, ঘৃতখাম, দিদিধা, জারুদিয়ায়ও এসব নিত্যিকার ব্যাপার স্যাপার। সরকারী খবর, সোনামুখীতে মাওবাদীরা ছিলো। অথচ সেদিন যারা আহত, লঞ্ছিত হয়েছেন দুজন বয়স্ক মানুষ বদে সকলেই মহিলা । ... ...
আপনার, আমার - আমাদের সক্কলের জীবনে যা একক ও স্বতন্ত্র - আমাদের সেই ডি এন এ সিকোয়েন্সকে সুরে বাঁধার এক আশ্চর্য প্রয়াস নিয়েছেন অ্যান্ড্রু মর্লে নামে এক গান পাগল মানুষ। ... ...
গত বিশে ডিসেম্বর ইরানের সরকার জাফর পনাহীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ছ-বছর কারাদণ্ড দেয়। তার সাথে এই ফর্মান জারী করে যে পনাহী কুড়ি বছর কোনো চলচ্চিত্র মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন না, মিডিয়ায় কোনো প্রকার কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এমন ঘৃণ্য অবিচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমী এককাট্টা হয়ে লড়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। পনাহীর প্রতি এই ধরনের বিদ্বেষ নতুন নয়। ২০০৯-তে ওনাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১০-এর শুরুতে ওনাকে আবার ধরা হয়, কাঠ-খড পুড়িয়ে শিল্প-প্রেমীরা দু-লাখ মার্কিন ডলার যোগাড করে তাঁকে জামিনে ছাড়ান। ... ...
অভিযোগ ও বিচার: ১) ২০০৭-এর মে মাসে বিলাসপুর থেকে গ্রেফতার হন সমাজসেবী চিকিৎসক বিনায়ক সেন,নক্সাল নেতা নারায়ণ সান্যালের চিঠি মাওবাদীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে। ২) বিনায়ক সেন, নক্সাল আইডিওলজিস্ট নারায়ণ সান্যাল ও কোলকাতার ব্যবসায়ী পীযূষ গুহ মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাষ্ট্রবিরোধী নেটওয়ার্ক চালান। ৩) আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে ড: বিনায়ক সেন নারায়ণ সান্যালের চিঠি আন্ডারগ্রাউন্ড নক্সাল সংগঠনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ৪) ছত্তিসগড় পুলিস যে জনসুরক্ষা অধিনিয়মের ভিত্তিতে বিনায়ক সেনকে গ্রেফতার করেছে উনি শুরু থেকেই সেই অধিনিয়মের বিরোধিতা করছিলেন এবং এটি অসংবিধানিক বলে প্রচার করেছেন। ... ...
ধ্যাৎ, আমরা জানি যে ওসব কূটকচালিতে আমাদের মত ছাপোষা মানুষদের পড়তে নেই। তাই শহরের কোন মানবাধিকার কর্মী, কোন সংগ্ঠন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইছে না। ঘরে জব্দ দাস ক্যাপিটাল, দুটো চিঠি আর একটি লোকের কথায় যদি বিনায়ক সেনের মত হাই প্রোফইল লোক, যাঁর বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল কেস নেই, যিনি বহুবছর ধরে গরীবদের জন্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁকে জেলে পোরা যায় তবে আমরা তো শাকভাত খাওয়া ভেতো বাঙালী। দাস ক্যাপিটাল যে আমার ঘরেও আছে, স্যার। আর ওই হাই প্রোফাইল কেসের পাশাপাশি আরেক কোর্টে এক লো-প্রোফাইল মামলায় এক সত্তর পার বুড়ো বাঙালী অসিত সেনগুপ্ত ঘরে মাওবাদী সাহিত্য রাখার ও এক ছাত্রকে সরকার বদলে মাওবাদী সরকার বানাতে হবে বলার অপরাধে ঐ দেশ্দ্রোহের ধারায় আটবছর জেলে থাকার সাজা পেয়েছেন। বেশ হয়েছে। এবার পি ইউ সি এল এর ছত্তিশগড় ইউনিট বাঙালীমুক্ত হবে। বিনায়ক সেনেরা রায়পুরে মানবাধিকার আন্দোলনকে স্বাস্থ্য ও শিশুদের পরিপ্রেক্ষিতে জুড়ে দিয়ে যে সম্মানজনক ও ঈর্ষণীয় স্তরে নিয়ে গেছিলেন তাতে প্রাক্তন সচিব রাজেন্দ্র সায়েলকে বাঙ্গালোরের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন বিনায়ক জেলে যাওয়ায় সায়েল (যাঁর পেশা বলতে আমেরিকান ক্রিশ্চিয়ান সংস্থার গ্র্যান্ট পাওয়া) আবার রায়পুরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কাজের স্তর কি হবে কে জানে? ... ...